★★★ক্রাশ যখন বড় আপু★★★
#লেখক_আসিফ
~~~পর্ব_১১~~~
.
.
— আসিফ বাবা আমি তোর কষ্ট বুজতে পারি,,কারন আমি যে মা।আমিও চাই নিধিকে সারাজিবন আমার কাছে রেখে দিতে।।নিধির মতো ভালো মেয়ে আর হয় না।।।(আম্মু আমাকে বলছে)
— আম্মু আমি নিধিকে ছাড়া বাচবো না?(আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছি)
— আসিফ তুই আমাকে কথা দে,,,,,তুই এই কষ্টের কারনে আত্মহত্যা করার চিন্তা করবি না। নিধির বিয়ে এখনো হয় নি,,,আমি একটা কিছু করে ফেলবো।।(আম্মু আমাকে মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে,,, কারন আম্মু ত আব্বুর মুখের উপর কিছু বলতে পারবে না)
— তবে,,,নিধির যদি অন্য কোথাও বিয়ে হয়ে যায়,,,, সেদিন ই আমি একটা কিছু করে ফেলবো।।(আমি)
আম্মু চলে যাবার আগে জোর করে আমাকে কিছু খাইয়ে গেছে।।।চোখ বন্ধ করে সুয়ে আছি তখন রাত ১২ টা ঘুম আসছিল না। নিধির সাথে কাটানো সময় গুলো মনে পরছে খুব।। মোবাইলে রিং হচ্ছে,,
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক গুকো কল দিয়েছে নীলা আপু,,,আর মাইশা। আমি প্রথমে নীলা আপুকে ফোন করলাম,,,
— কিরে আসিফ কখন থেকে কতগুলো ফোন করছি,,,,রিসিভ করিস নি কেন?(নীলা আপু)
— আপু বাসায় কাজ ছিল,,,নিধিকে দেখতে আসছিল,,,ত।।(এত ক্ষন কান্না করায় কন্ঠে কান্নার ছাপ থেকে গেছে)
— ভাই,,, কি হয়েছে বল,,,তর কন্ঠ কেমন যেন লাগছে।।।(আপু বুঝে গেছে,,)
— না আপু কিছু হয় নি।।(কন্ঠ শেষের দিকে চিকন হয়ে এসেছে)
— ভাই তুই কাদছিস কেন?কি হয়েছে আমাকে বল প্লিজ(নীলা আপু)
— আপু নিধির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,,,নিধি আমার সবসময় খবর রাখতো,,,নিধির সাথে কত খুনশুটি,,আর সৃতি খুব মনে পড়ছে।তাই খারাপ লাগছে।।।(আপুকে মিথ্যে বললাম।আপুকে কখনো নিধির কথা বলি নি)
— মন খারাপ করিস না ভাই,,,ঠিক হয়ে যাবে।
— হুম,,(কথা বলতে পারছিলাম না)
— আচ্ছা রাখি কালকে কথা হবে।(নীলা আপু)
আপুর সাথে কথা শেষ হতেই,,,মাইশার ফোন,,
— হ্যালো?(আমি)
— হ্যালো,,,আমাকে না জানিয়ে,,চলে গেলি কেন?(মাইশা)
— মাইশা নিধির বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে?
— তাই নাকি,,,তোর সাথেই?(মাইশা)
আমি মাইশাকে সব কিছু খুলে বললাম।।মাইশা কথা গুলো সুনে কেদে দিছে।।মাইশা বলছে আব্বু কেন এমন করছে? যেখানে সবাই রাজি শুধু আব্বু ছাড়া।। কি জবাব দিব আমি।। রেখে দিলাম।।
মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে।।মন ভালো না তাই চার্জ দেই না।।।সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাংলো।। দেখি নীলা আপু,,,মাইশা আমার রুমে।।আমি থমকে দাড়াই,,,,সপ্ন দেখছি নাতো।
— আপু তুমি? আরে মাইশা তুই,,,কখন আসলি?(বিছানা থেকে উঠে)
— নিধির কথা বলিস নি কেন আমাকে?আর তর উপড় দিয়ে এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে। আমাকে একবার বলতি?(নীলা আপু)
–আপু বসো,,,নীলা বস আমি একটু ফ্রেশ হয়ে আছি।।।।( আমি ফ্রেশ হতে বাথরুমে চলে গেলাম)কারন নীলা আপুর কথার যে কোনো উত্তর আমার কাছে নাই।।)
ফ্রেশ হয়ে আসা মাত্র,,,
— নে এগুলো আগে খেয়ে নে?(নীলা আপু)
— আপু খেতে ইচ্ছে করছে না?(আমি)
— খা বলছি???(ধমক দিয়ে)
আপুর কথায় নাস্তা করে নিয়েছি। আপু আমাকে আশ্বাস দিচ্ছে,,, একটা কিছু করবে?…মাইশা কিছু বলছে না।কি বলবে খুজে পাচ্ছে না হয়তো।
কাল নিধির বিয়ে,,,,আব্বুকে মামা,,বুজাতে গিয়েও,,পারছে না।মামাকে যেকোনো ভাবে আটকে দিয়েছে।।আব্বু যা বলছে তাই হবে শেষ কথা।।।
কেউ কিছু করতে পারছে না।নীলা আপুর ত আব্বুর সামনে দাড়ানোর শক্তি নাই।।।।
রাত তখন,,,সাড়ে তিনটা।।।নিধির গায়ে হলুদের কাজ হয়ত এতক্ষনে শেষ হয়ে গেছে,,, নিধির চোখে পানি ছলছল করছে।।কিন্তু মেকাপের ভয়ে হয়ত একটু মন খুলে কাদতে পারছে না।।সারাক্ষন মাইশা আমাকে ফলো করেছিল।কিন্তু আমিমি এইসব সহ্য করতে না পেরে,,,,।বাসা থেকে বের হয়ে আসি
এখন আমি,,,মদের আস্তানায়,,,নেশা করছি,,।মনের কষ্ট দুর করার চেস্টা।।
অতিরিক্ত নেশা করার কারনে রাস্তা দিয়ে বাসায় যেতে পারছি না।।রাস্তায় একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা।তার পর নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালে।।।নার্স বলে গেলো আজ তিন দিন আমি এখানে????
তাহলে কি নিধির বিয়ে হয়ে গেছে।।।ভালোই হইছে জ্ঞান ছিল না। হয়ত সেই কষ্ট সহ্য করতে পারতাম না???
,কিছুক্ষনের মধ্যে এক ভদ্রলোক আমাকে,,দেখতে আসেন? সুনছি ওনিই নাকি আমাকে এখানে এনেছে।ওনার গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়েছিলাম।
লোক টি আমার শরীর কেমন আছে জেনে।।বাসার ঠিকানা জানতে চাচ্ছে।আমি বাসায় চলে যেতে পারবো বলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।।বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।।।বাসায় যেতেই সবাই হাওমাও করে কেদে যাচ্ছে।।
.
.
চলবে….