#লাভ_গেম
#ফাবিহা_নওশীন
৬.
রুশা ধীরে ধীরে সিড়ি দিয়ে নেমে এসে আদ্রিশের পেছনে দাঁড়াল। আদ্রিশ সোফায় বসে কারো সাথে মোবাইলে কথা বলছে। সামনে ল্যাপটপ খোলা। রুশা ওকে কিছু বলতে এসেছে।
আদ্রিশ মোবাইলে চেঁচিয়ে বলল,
“আমি কতবার কল করেছি? তোদের যখন দরকার হয় তখন আঠার মতো লেগে থাকিস আর আমার প্রয়োজন হলে তোদের খুঁজেই পাওয়া যায় না। এরপর যদি কখনো কোনো প্রয়োজনে আসিস মেরে ঝুলিয়ে দেব।”
রুশা আদ্রিশের রাগান্বিত সুর শুনে পা টিপে টিপে পেছনে চলে যাচ্ছে। এখন কিছু বলতে গেলে যদি ওকে কিছু বলে তাই চুপচাপ চলে যাচ্ছে।
আদ্রিশের কথা বলা শেষ হতেই মোবাইল টেবিলের উপর রেখে বলল,
“রুশা,এদিকে এসো।”
রুশা আদ্রিশের কন্ঠস্বর শুনে থমকে গেল। তারপর পেছনে ঘুরে দেখে ও ল্যাপটপে কাজ করছে। ভুল শুনলো কি-না বুঝতে পারছে না। তাই কনফিউজড হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
রুশা কোনো উপায় না দেখে আদ্রিশের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
“আমাকে ডেকেছেন?”
আদ্রিশ রুশার দিকে চোখ তুলে তাকাল।
“হ্যা, বসো।”
রুশা বাধ্য মেয়ের মতো বসে পড়ল।
“কিছু বলতে এসেছিলে?”
রুশা আমতা আমতা করে বলল,
“হ্যা, আসলে আমি একটু বাড়িতে যেতে চাইছিলাম।”
আদ্রিশ কয়েকবার পলক ফেলে বলল,
“ঠিক আছে। রেডি হয়ে নেও। আমি অফিসে যাওয়ার সময় তোমাকে নামিয়ে দিয়ে যাব। বিকেলে সেজান তোমাকে গিয়ে নিয়ে আসবে। একা কিন্তু বের হবে না।”
রুশা মাথা নাড়াল। আদ্রিশ হঠাৎ কন্ঠস্বর মোলায়েম করে রুশার দুহাত ধরে বলল,
“তুমি এই দুইদিনে এটুকু তো বুঝেছই আমার অনেক শত্রু। ওরা আমার পেছনে পড়ে থেকেও আমার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। তাই আমার দুর্বলতা খুঁজছে। আর আমার বর্তমান দূর্বলতা তুমি। ওরা আমাকে হার্ট করার জন্য তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে।”
রুশা আঁতকে উঠে আদ্রিশের দিকে তাকাল।
“ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি আছি তো। কথা দিচ্ছি আমি থাকতে কেউ তোমার ছায়াও মারাতে পারবে না। এখনো কেউ জানে না আমি বিয়ে করেছি। কেউ যাতে না জানে তাই তো হুট করে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান ছাড়াই বিয়ে করেছি। এখনো কোনো রিসিপশন করিনি। কাউকে জানাইনি। আমি চাই তুমি সেফ থাকো। তাই বলছি সাবধানে থাকবে। একা একদম বের হবে না। প্রয়োজন পড়লে সেজানকে নিয়ে যাবে। এখন যাও রেডি হয়ে নেও।”
রুশা উঠে চলে গেল। আনমনে হাঁটছে আর ভাবছে আজকে হঠাৎ এত ভালো ব্যবহারের কারণ কি। এত সফট ভয়েজ। রুশার বিশ্বাসই হচ্ছে না। এত ভালো ব্যবহারের পেছনে অন্য কারণ নেই তো। এসব ভাবতে ভাবতেই সিড়ির কাছে এসে উস্টা খেল।
“আহহ!” শব্দ করে পায়ের আঙুল ধরে বসে পড়ল। জখম আঙুলে নতুন করে ব্যথা পেয়েছে। আদ্রিশ ওর গলা শুনে ওর দিকে চেয়ে ওকে পা ধরে বসে থাকতে দেখে ল্যাপটপ রেখে দৌড়ে ওর কাছে যায়।
ওর পা ধরে বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কি হয়েছে? ব্যথা পেয়েছো?”
“ওই সামান্য একটু।”
আদ্রিশ আঙুলের দিকে চেয়ে কঠিন গলায় বলল,
“সামান্য? পা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। দেখে চলতে পারো না?”
রুশা এতক্ষণ রক্ত খেয়াল করেনি। রক্ত দেখে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইল। তারপর ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিল। সব সার্ভেন্ট এসে জড়ো হয়েছে। আদ্রিশ ফার্স্ট এইড বক্স চাইল আর ডাক্তারকে কল করতে বলল। রুশাকে কোলে তুলে সিড়ি বেয়ে উপরে নিয়ে গেল। বিছানায় বসিয়ে ওর জন্য পানি আনল। রুশা পায়ের দিকে চেয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। আদ্রিশ ওর পাশে বসে চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলল,
“আর একটু কষ্ট করো ডাক্তার চলে আসবে।”
“আপনার ডাক্তার আসতে আসতে আমি রক্তশূণ্য হয়ে মরে যাব।”
আদ্রিশ রুশার ঠোঁটে আঙুল রেখে বলল,
“হিশশ! মরার কথা বলবে না। আমি আছি তো। আমি থাকতে তোমার কিছু হবে না।”
রুশার কান্না থেমে গেল। দুজনের চোখে চোখ আঁটকে গেছে। ওর কম্পিত ঠোঁট আদ্রিশের বুকে ঝড় তুলে। রুশার ভালো ঠেকছে না সিচুয়েশন। তাই আবার বলল,
“আমার আঙুল!”
আদ্রিশের হুশ হলো। ও সরে গিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স থেকে তুলা, স্যাভলন, ব্যান্ডেজ ও মলম বের করল। রুশার পায়ের আঙুল থেকে আগের রক্তমাখা ব্যান্ডেজ খুলে আঙুলের রক্ত মুছে বলল,
“তোমার খেয়াল কোথায় থাকে? দেখো তো কি অবস্থা করেছো আঙুলের।”
রুশা বকুনি খেয়ে চুপ করে আছে। আদ্রিশ স্যাভলন দিয়ে ক্ষত পরিস্কার করার জন্য তুলা ছোয়াতেই রুশা চিৎকার করে উঠে।
পা সরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আপনি প্রতিশোধ নিচ্ছেন না? ইচ্ছে করে আমাকে এত ব্যথা দিচ্ছেন।”
“শাট আপ! চুপ করে থাকো। রক্ত পরিস্কার না করলে ইনফেকশন হয়ে যাবে। তখন আরো বেশি সাফার করতে হবে।”
রুশা কান্না থামিয়ে বাচ্চাদের মতো ইনোসেন্ট মুখ করে বলল,
“একটু আস্তে আস্তে ওষুধ লাগাবেন।”
“আচ্ছা, এখন হাত সরাও।”
রুশা এক চোখ বন্ধ করে আরেক চোখ দিয়ে পায়ের আঙুলের দিকে তাকাল। আদ্রিশ ওর কাহিনি দেখে হেসে ফেলল। রুশা ফ্যালফ্যাল করে ওর দিকে চেয়ে আছে। এমন আস্ত গুন্ডা যে হাসতে পারে জানা ছিল না।
আদ্রিশ ওর আঙুলে ওষুধ দিতেই রুশা চোখ বন্ধ করে আদ্রিশের কোট খামচে ধরে। আঙুল জ্বলে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নিল। চোখের পাতা ভিজে গেছে। আদ্রিশ ব্যান্ডেজ করা শেষে রুশার দিকে তাকাল। ওর চোখের পাতা ভিজে গেছে। আদ্রিশ আঙুল দিয়ে ওর চোখের পানি মুছে দিল। রুশা হাত সরিয়ে নিয়ে আদ্রিশের দিকে তাকাল। তারপর পায়ের দিকে তাকাল। পায়ের ব্যান্ডেজ কমপ্লিট। কিন্তু আদ্রিশ এভাবে চিপকে আছে কেন? রুশা আবারও আদ্রিশের দিকে তাকাল। ওর ভয় ভয় লাগছে। আদ্রিশ রুশার নাকে নাক ঠেকাল। রুশা চোখ বন্ধ করে নিল। দম বন্ধ হয়ে আসছে। হাত মুঠ করে রেখেছে। দরজায় কড়া পড়ল। আদ্রিশ বিরক্তি নিয়ে দরজার দিকে তাকাল।
“কে?”
“স্যার, ডাক্তার চলে এসেছে।”
আদ্রিশ রুশার দিকে তাকাল। রুশা নিচুস্বরে বলল,
“বেঁচে গেছি।”
আদ্রিশ ওর দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল। রুশা ঘাবড়ে গিয়ে বলল,
“ডাক্তার কি হবে? ব্যান্ডেজ তো হয়ে গেছে।”
“ডাক্তার আরেকবার দেখে নিক। তুমি বসো। আমি অফিসে যাচ্ছি।”
আদ্রিশ রুশার পায়ের আঙুলে ঠোঁট ছুয়ালে রুশা পা সরিয়ে নিয়ে বলল,
“কি করছেন?”
আদ্রিশ উত্তর না দিয়ে চলে গেল। রুশাও আশ্রমে যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করতে পারলো না। আর এ পা নিয়ে যাবেই বা কি করে।
.
আদ্রিশ শাওয়ার নিয়ে ঘরে এলো। রুশা বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে বসে আপেল খাচ্ছে আর মোবাইল টিপছে। আদ্রিশ আড়চোখে একবার ওকে দেখে নিল। কিন্তু কথা বলল না। রুশা খেয়াল করছে আদ্রিশ বারবার আড়চোখে ওকে দেখছে। রুশা সিচুয়েশন স্বাভাবিক করার জন্য বলল,
“আমি কি আগামীকাল আশ্রমে যাব?”
“তোমার পায়ের এই অবস্থা নিয়ে কি করে যাবে?”
“আমি যেতে পারব।”
“তোমার এত তাড়া কিসের?”
রুশা ঘাবড়ে গেল। আমতা আমতা করে বলল,
“তেমন কিছু না। একটু দরকার ছিল।”
“সে দরকার অন্য সময় মিটিয়ে নিও। আগে সুস্থ হও তারপর যাবে।”
.
পরের দিন অনেকটা জেদ করেই রুশা বাইরে গেল। সাথে সেজান ছিল। আশ্রমেও সেজান ওর সাথে যায়। কথা আর বাচ্চারা ওকে দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়ল। কথা, সেজানকে দেখে রুশাকে বলল,
“আপু এই গুণ্ডাকে সাথে নিয়ে এসেছো কেন?”
সেজান ওর কথা শুনে ধমক দিয়ে বলল,
“এই কি বললে? কি বললে তুমি?”
কথা ভয় পেয়ে রুশার পেছনে লুকায়। রুশা আলতো হেসে বলল,
“সেজান ভাই রাগ করবেন না। ও মজা করে বলেছে।”
সেজান আর কিছু বলল না। রুশা বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করবে। সেজান আর কথাকে সাথে নিয়ে গেল। ওরা কেনাকাটা শেষ করে গাড়িতে শপিং ব্যাগ রেখে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা খাচ্ছে। সেজান দূরে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ সেজান এসে কথাকে ধাক্কা মারল। কথা নিচে পড়ে গেল। রুশার হাত থেকে প্লেট পড়ে গেল। ও থমকে দাঁড়িয়ে আছে। সেজান ওকে টানছে কিন্তু ও নড়ছে না। ওদের উপর আক্রমণ হয়েছে। কেউ একজন রুশাকে মারার চেষ্টা করছে। টানাটানির এক পর্যায়ে সেজানের হাতে গুলি লাগে। তখন রুশার হুশ হয়। দুই তিনজন লোক ওদের দিকে গুলি ছুড়ছে। কথা আর রুশাকে ও গাড়ির পেছনের দিকে নিয়ে যায়। তারপর নিজের রিভলবার দিয়ে ওদের দিকে গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে ওরা চলে যায়। সেহান হাত চেপে ধরে বসে পড়ল। হাত থেকে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে। রুশা আর কথা পেছনে থেকে দৌড়ে আসে।
“সেজান ভাই, আপনার তো গুলি লেগেছে। ওরা কারা ছিল?”
“জানি না ভাবি।”
“আপু ওরা কারা ছিল পরে দেখা যাবে। আগে দেখি উনার গুলিটা বের হয়েছে কি-না।”
কথা সেজানের হাত ধরতেই সেজান বলল,
“গুলি বের হয়ে গেছে।”
রুশা দাঁড়িয়ে আছে। কথা ওকে দেখে অবাক হলো। কথা যেখানে বিচলিত হয়ে পড়ছে রুশা থমকে দাঁড়িয়ে আছে। রুশা এতটা ভীতু জানা ছিল না।
কথা গাড়ির ডিকি থেকে শপিং ব্যাগে রাখা কাপড় থেকে এক টুকরো কাপড় এনে শক্ত করে সেজানের হাতে বেঁধে দিল।
“আপনার কষ্ট হচ্ছে?”
সেজান কথার চোখের দিকে তাকাল। কথার চোখে ভয় আর দুশ্চিন্তা দেখে মৃদু হেসে বলল,
“ইউ নো, আ’ম ভিলেন। ভিলেনদের সামান্য গুলিতে কিছু হয় না।”
রুশা সেজানকে বলল,
“সেজান ভাই, হসপিটালে যেতে হবে।”
“প্রয়োজন নেই। আপনাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাব৷ আমি আর রিক্স নিতে চাই না। আপনার কিছু হলে ভাই আমাকে ছাড়বে না।”
“কিছু হবে না। উঠুন। আগে আমরা হসপিটালে যাব।”
রুশা আর কথা মিলে ওকে গাড়িতে বসাল। গাড়িতে যেতে যেতেই রুশা আদ্রিশকে কল করে ওদের সিচুয়েশন জানাল।
আদ্রিশ সবটা শুনে চোখ বন্ধ করে নিল। টেবিলের উপরে রাখা গ্লোবটা বাঘের মতো ভয়ানক গর্জন করে ছুড়ে মারল।
ডাক্তার সেজানের হাতের ব্যান্ডেজ করছে। রুশা পাশেই দাঁড়িয়ে দেখছে। কথা রুশার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে।
“কথা, তুমি ভয় পাচ্ছো। বাইরে চলো।”
রুশা জোর করে কথাকে বাইরে নিয়ে গেল। আদ্রিশ তখন কডিটোর দিয়ে আসছিল। রুশাকে দেখে আরো জোরে পা চালাল।
“রুশা, তুমি ঠিক আছো? তোমার কোথাও লাগে নি তো?”
আদ্রিশ রুশাকে ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে, চুল সরিয়ে ঘাড়, পিঠ, হাত চেক করছে।
“আমি একদম ঠিক আছি।” আদ্রিশ রুশাকে জড়িয়ে ধরল। ওর হার্টবিট ফার্স্ট চলছে। রুশা ওর অস্থিরতা অনুভব করতে পারছে।
“আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তুমি ঠিক আছো দেখে শান্তি লাগছে।”
“সেজান ভাইয়ের হাতে গুলি লেগেছে।”
আদ্রিশ রুশাকে ছেড়ে দিল। দ্রুত ভেতরে গেল। সেজানের ব্যান্ডেজ করা শেষ।
“ডাক্তার সব ঠিক আছে তো?”
“জি, চিন্তার কিছু নেই। কয়েকদিন রেস্টে থাকতে হবে।”
আদ্রিশ সেজানকে জড়িয়ে ধরল। সেজান বলল,
“ভাই, আমি ঠিক আছি।”
“সেজান, তুমি আমার ছোট ভাই। আমার ভাইয়ের রক্ত যে ঝড়িয়েছে তাকে আমি কখনো মাফ করব না। নিশ্চিন্তে থাকো। এর বদলা আমি নেব। ভয়ংকর শাস্তি দেব।”
“সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কিন্তু কারা করল এমন? ওরা ভাবীর উপর আক্রমণ করেছে। এই গুলিটা ভাবীকে লক্ষ্য করেই করেছিল। ভাবীর কথা কেউ কি করে জানবে?”
“জেনেছে। আমাদের শত্রু আমাদের মাঝেই মিশে আছে। আমাদের খুব কাছে কিন্তু আমরা চিনতে পারছি না। আমাদের বিশ্বস্ত হয়ে সব খবর নিচ্ছে আর শত্রুদের সব খবর দিচ্ছে। তাকে খুঁজতে হবে সেজান।”
“হ্যা, ভাই আমারও তাই মনে হচ্ছে। নয়তো আমাদের গোপন মিটিংয়ের কথা কেউ কি করে জানবে? ভাবীর সাথে আপনার বিয়ের কথা কেউ জানে না। আপনার সাথে ভাবীকে কেউ দেখেনি তবে জানবে কি করে? ”
রুশা ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওদের কাছে এসে বলল,
“সেজান ভাই, আপনি কয়েকদিন ফুল রেস্টে থাকবেন। ডাক্তার যে ইন্সট্রাকশন দিয়েছে সে অনুযায়ী চলবেন।”
তারপর আদ্রিশের দিকে চেয়ে বলল,
“সেজান ভাই কিছুদিন আমাদের সাথে থাকুক। একা বাড়িতে উনার দেখাশোনা কে করবে? আমাদেরও তো একটা দায়িত্ব আছে।”
“অবশ্যই। সেজান তুমি কিছুদিন আমাদের বাড়িতেই থাকবে।”
চলবে……