#রোদেলা
লেখা: #মাহাবুবা_মিতু
৮২.
পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার কিছু পরে মাইক্রোবাস ছাড়ে রাজশাহীর উদ্দ্যেশ্যে। যদিও ট্রেনে যাবার কথা তুলেছিলো নাতাশা। কিন্তু এত অল্প সময়ে ট্রেনের এতগুলো টিকিট ম্যানেজ করা টাফ হওয়ায় মাইক্রোবাসের ব্যাবস্থা করেন ছোট খালু । অনিমা বেচারী আসতে পারে নি অসুস্থ শ্বশুরকে রেখে। ওর এই এক দুঃখ। সাপের্ট করার কেও নেই তাই একা সব দিক দেখতে হয় ওকে।
সবাই সময় মতে পৌঁছে গেলেও ছোট খালামনিরা আসতে দেরি করায় গাড়ি ছাড়তে দেরি হলো। তা না হলে সাড়ে ছয়টায় রওনা হওয়ার কথা ছিলো। সকাল সকাল রওনা দিলে জ্যামে পরতে হবে না তাই জলদি রওনা দেওয়ার প্ল্যান ছিলো সবার। সুফিয়ান জানে বেঁধে দেওয়া সময় মতো আসবে না সবাই, তাই এত সকালে আসতে বলেছে যাতে অন্তত আটটার আগে বাস ছাড়া যায়। ওর বুদ্ধি কাজে লেগেছে, গাড়ি ছেড়েছে সাড়ে সাতটার কিছু পরে।
সকাল সকাল রওনা হওয়ায় গাবতলির দিকে একটা হালকাপাতলা জ্যাম পেলো ওরা । তবে অন্যান্য দিনের মতে এত বেগ পেতে হলো না তাদের। সাভার ক্যান্টারমেন্ট রোড পার হতেই কুয়াশা ভেঙে রোদ যখন উঁকি দিলো আকাশে তখনই গাড়িতে থাকা কাজিন গোষ্ঠী তুমুল হৈচৈ শুরু করে দিলো। নাতাশা একটা কিউট ব্লুটুথ স্পিকার এনেছে সাথে করে। সেখানে সবার ফোনে থাকা সুন্দর সুন্দর গান গুলো প্লে হলো একে একে। দুপাশের গাছপালা আর প্রকৃতিক পরিবেশ পিছনে ফেলে গাড়ি ছুটছে রাজশাহীর উদ্দ্যেশ্যে।
এগারোটায় গাড়ি থামলো ফুড ভিলেজে। সেখানে সকালের নাশতা খেলো সবাই যার যার পছন্দ মতো। আধঘন্টার মতো সময় লাগলো এখানে। সাড়ে এগারেটায় গাড়ি বিরতি শেষ করে আবার রওনা দিলো গন্তব্যে।
ঢাকা-রাজশাহী হাইওয়েতে গাড়িটা মোটামুটি স্পিডেই চললো। গান বাজনা থামিয়ে এবার ওর ব্যস্ত হলো চারপাশের প্রকৃতি দেখায়। বন পড়া হাইওয়েতে বাস যখন ঢুকলো বাসটা যেন স্তব্ধ হয়ে গেলো। সবাই যার যার জায়গায় বসে বাইরের অপরূপ দৃশ্য দেখছে। দুই পাশে বিলের পানি মাঝখানে হাইওয়ে। মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এখন শীতকাল হওয়ায় এখন পানি কমে গেছে, তবুও এমন দৃশ্য নজর কারলো সবার। সুফিয়ান জানালো বার্ষায় এ রোডের দুপাশে অথৈ পানি থাকে। তখন সেটা অপূর্ব লাগে দেখতে।
দুইপাশে সবুজের সমারোহ পেছনে ফেলে দুইটা নাগাদ গাড়ি প্রবেশ করলো নগরে। দুইপাশে বাজার, দোকানপাট সুউচ্চ ভবন, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, জায়গায় জায়গায় কোচিং সেন্টারের বিলবোর্ড, ফুটপাত ধরে নানান দোকানের পসরা । এ যেন আরেক শহর।
কখনো গ্রাম না দেখা নতাশার আশা ভঙ্গ হলো। ও ভেবেছিলো গাছপালা ঘেরা রাস্তা আর দুই পাশে ক্ষেত আর ক্ষেত দেখবে পুরোটা সময় জুড়ে। মাঝে মাঝে বিশাল উঠান ওয়ালা ছোট ছোট বাড়িঘর, বাড়ি লাগেয়া পুকুর, গোয়ালে গরু, সাথেই ধান, গম, সরিষা, টমেটো ক্ষেত। কিন্তু এতো ঢাকার মতো আরেক শহর।
অবশেষে দুপুর তিনটায় সুফিয়ানদের বাড়ির সামনে থামলো বাসটা। একে একে সবাই নামলো গাড়ি থেকে। দুই ছেলে আর ছেলে বৌদেরকে গেইটের বাইরে দাঁড় করিয়ে বাকী সবাইকে ভেতরে ঢুকতে দিলো সুফিয়ানদের দুই চাচী। দুই বৌ প্রথমবার এলো এ বাড়িতে। কিছুদিন আগে সুফিয়ান একা এসেছিলো গ্রামে, তাতে চাচা চাচী ভীষণ রাগ করেছিলো ওর উপর, বউকে সাথে না আনায়। এবার তারা ভীষণ খুশি দুই বউ একসাথে এসেছে, সাথে বিয়াই বাড়ির আত্নীয়।
পরিচয় পর্ব সংক্ষেপে সেরে দুই বউকে বরণ করতে ডালা নিয়ে হাজির হলেন তারা। এখানকার ট্রেডিশনাল নিয়মে দুই বউকে বরন করলেন দুই চাচী। সবশেষে দুই ছেলেকে বললেন বউদের কোলে তুলে বাড়িতে প্রবেশ করতে। অবশেষে দুই ভাই দুই বৌ কোলো করে বাড়িতে ঢুকলো একই সাথে। বাড়ির সকলের চোখে মুখে আনন্দ উপচে পরছে।
নাসিমার চোখ হঠাৎ আর্দ্র হয়ে গেলো মেয়েদের এমন সৌভাগ্য দেখে। তার জীবণে তিনি এমন ভালোবাসা কখনো পান নি। ভাগ্য বিড়ম্বিত তাকে সবসময় লাঞ্চিত হতে হয়েছে। তিনি সবসময় চেয়েছিলেন আল্লাহ যেন তার মেয়েদেরকে ভালো রাখেন। তার জীবণ যেমন তার প্রতি নিষ্ঠুর, ওদের বেলায় যেন এমন না হয় । তার মতো কিছু যেন মেয়েদের জীবণে না ঘটে। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেছেন। শুধু কবুল করেছেন বললে ভুল হবে আল্লাহ দু হাত খুলে তার নিয়ামতে পূর্ণ করে দিয়েছেন তার মেয়েদের জীবণ। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ খোদার প্রতি।
সুফিয়ানের মতো জামাতা পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। এ ব্যাপারে নাসিমার গোপন অহংকারও রয়েছে পরিচিত মহলে। ছোট মেয়ের বরটা একটু চুপচাপ, আত্মভোলা হলেও জামাতা হিসেবে ভালোই। লাজুক আর একটু কম কথা বলে তবে মেয়েকে ভালেবাসে নিখাঁদ। এখন বলতে গেলে মোটামুটি নিশ্চিন্ত নাসিমার জীবণ। ছেলে না থাকার যে গোপণ কষ্ট ছিলো তার বুকে আল্লাহ তা পূরণ করে দিয়েছেন দুই জামাতা দিয়ে।
ওরা এত মানুষ বাড়িতে আসবে বলে সুফিয়ানদের ঘর গুলো তালা খুলে ঝাড় পোঁছ করে রেখেছেন তারা। ওর দাদার আমলে তৈরী তিনতলা বিশাল এল শেপের বাড়ির ভাগ বাটোয়ারায় তিন ভাইয়ের মধ্যে তিন তলা পরেছে সুফিয়ানেদর বাবার ভাগে ।
ওর বাবা ব্যাবসায় যখন পসার করলো তখন ওর মাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন । তা সুফিয়ান জন্মেরও আগের কথা। তখন থেকে তালাবদ্ধই থাকে ঘরগুলো। আগে বছরে দু-তিন বার আসা হতো ইদ-চাঁদে। বাবা মা মা*রা যাবার পর আর সুফিয়ানরা ইংল্যান্ড চলে যাবার পর, বলতে গেলে আসাই হয় না এদিকটায়।
সুফিয়ানের বড় চাচার চারটা ছেলে দুই মেয়ে। বিয়ে করে তাদের ও সংসার হয়েছে। তাদের ছেলেমেয়েরা ও বড় হয়েছে। এত বড় সংসার তার তাই তিনি চেয়েছিলেন ওদের অংশটা কিনে নিতে। কিন্তু সুফিয়ান বিক্রি করে নি। বলেছে প্রয়োজন হলে ঘরগুলো ব্যাবহার করতে।
এরপর তারা ওদের আসবাবপত্র তিনটি ঘরে রেখে বাকী ঘরগুলো ওর দুই চাচা ব্যাবহার করেন। ওরা তো এদিকটাতে আসেই না, ঘরগুলো পরে থাকার চেয়ে কারো কাজে লাগুক তাই ভালো মনে করেছে ও।
রোদেলা আর নাতাশা তিনতলার প্রথম ঘরটাতে থাকলো। পাশের ঘরে নাসিমা আর দুই খালা মনি থাকবে বলে ঠিক হলো। রেজওয়ান প্রিসিলাকে আলদা ঘরে দেয়া হলো। ছেলেদের মধ্যে রোদেলার বাবা, আর দুই খালু গেলো এক ঘরে। আরেকটা ঘরে সুফিয়ান, কল্লোল, নোভেল আর ছোট খালামনির ছেলে পিয়াস।
যার যার রুমে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে বসতেই নিচে ডাক পরলো খাবারের জন্য। এতদূর জার্নি করে আসায় সকলেই মোটামুটি ক্লান্ত আর ক্ষুদার্ত ছিলো। বড় চাচীর ডাক পরা মাত্র নিচে নামলো সবাই। এত লোক একসাথে হওয়ায় খাবার ঘরের চারদিকে শতরঞ্জি পাতা হয়েছে। বাড়ির সকলেও বসলো তাদের সাথে।
দুপুরের রান্না হয়েছে ভাত, পোলাউ, করল্লা ভাজি, কাতলা মাছ ভুনা , গরুর গোশতো, মুরগী আর ভুনা ডাল। ছোটখাটো একটা আয়োজনের মতো হ’য়েছে এতগুলো মানুষ একসাথে আসায়। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই যার যার মতো রেস্ট করলেও রোদেলা বারান্দায় দাঁড়ায়। সেখানে দাঁড়িয়ে ও পুরো বাড়িটাকে দেখলো । তিন তলা বাড়িটার বিশাল উঠোনে এক কোণে একটা কুয়ো। কুয়ো ব্যাপারটার সাথে তেমন পরিচয় ছিলো না ওর। তাই ভালো লাগে ব্যাপারটা। কুয়ো তলার সাথে লাগোয়া বিশাল কাঁঠাল গাছ। তার পাশে সারি সারি গাছ লাগানো দেয়াল ঘেঁষে।
দুই চাচার আলাদা সংসার হলেও তাদের ছেলে ছেলে বৌ একসাথেই থাকে। যৌথ পরিবারের এমন দৃশ্য ও কেবল গল্প সিনামায়ই দেখেছে। বাস্তবে দেখে কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে। এটা ওর শ্বশুর বাড়ি। ও এ বাড়ির একজন তা ভাবতেই ভালো লাগছে ওর। লাল মেঝের বিশাল ঘরগুলো বেশ পছন্দ হয় রোদেলার। শ্বাশুড়ির তালাবদ্ধ ঘরে তার সংসার দেখতে গেলো রোদেলা। প্রতিটা আসবাবপত্র ছুঁয়ে কল্পনা করতে চেষ্টা করলো সুফিয়া বেগমের সংসারকে। এ বাড়িতে সুফিয়া বেগমের সাথে ওর আসার কথা ছিলো। ওকে এসব কিছু তার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানোর কথা ছিলো। সবই আছে কিন্তু মানুষটা নেই। এটাই তো নিয়ম জগৎ-সংসারের। সবই পরে থাকে, মানুষকে শুধু চলে যেতে হয় ডাক আসার সাথে সাথে।
মনটা কেমন যেন হয়ে যায় ওর। সংবিৎ ফিরে সুফিয়ানের ডাকে, দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে সাড়া দেয় রোদেলা। সুফিয়ান ওর কাপড় চোপড় বের করে দিতে রোদেলাকে ডেকেছে ।
হঠাৎ এতগুলো লোক একসাথে আসায় রোদেলার কেমন অস্বস্তি লাগলো। গরমের দিন হলে একটা কথা থাকতো। শীতের দিনে এত লেপ, কম্বলের ব্যাবস্থা কিভাবে হবে তাই ভাবতে থাকলো ও। রোদেলা কথাটা বললো সুফিয়ানকে। সুফিয়ান উত্তরে কেবল হাসলো। কেন হাসলো তা বুঝলো না রোদেলা৷ মজার বিষয় হলো বিকাল নাগাদ সবার ঘরে তুলে রাখা কাঁথা-বালিশ-কম্বল নিয়ে সবাই এসে হাজির তিনতলায়। এ কথা শুনে চাচী বলে ” গ্রামে থাকার কোন সমস্যা নাই মা, পঞ্চাশ জন এলেও সমাদর করা যাবে চিন্তা নাই কোন। উত্তরে রোদেলা লাজুক হেসেছিলো।
ছেলেরা সন্ধ্যায় ঘুরলো নিজেদের মতো। মেয়ে বৌরা বাড়ির মেয়ে বৌদের সাথে গল্পে মশগুল হলো। কথাই যেন ফুরায় না সবার। রোদেলা খুব আপ্লুত হয় ওর চাচী শ্বাশুড়িদের আন্তরিকতায়। যে কটাদিন থাকলো ওরা দুই চাচীর মধ্যে যেন যুদ্ধ শুরু হলো কার চেয়ে কে বেশী আদর আপ্যায়ন করতে পারে তা নিয়ে। তাদের আতিথিয়েতায় মুগ্ধ সকলেই।
সব চাচাতো ফুফাতে ভাই-বোনদেরকে ডেকে পাঠালো সুফিয়ান। যাওয়ার আগে সবাই একসাথে খাবে চারটা ডালভাত।
সেদিন সকাল সকাল বাজার করে আনলো দুই ভাই মিলে। বাইরে চুলা তৈরী করে লাড়কি দিয়ে রান্না হলো। ঠিক যেন বনভোজন। সবাই নিজ হাতে কোটা বাটা, রান্না করলো। বিশাল উঠোনে ডেকোরেটর থেকে চেয়ার টেবিল এনে দুপুর দুইটা নাগাদ বসলো খাওয়ার আসর।
এখানেই শেষ না। দুই চাচী সন্ধ্যা না হতেই পিঠা তৈরির তোরজোর শুরু করলেন। আর সব ছেলেরা ছাদে গেলো বারবিকিউ পার্টির আয়োজনে। রাত ভর আড্ডা-গানের আয়েজন করা হলো। সেখানে হ্যালোজেন লাইট লাগানো হয়েছে এজন্য। নাতাশা, রোদেলা, প্রিসিলা তিনজন মিলে ছাদে যোগ দিলো ওদের সাথে। গল্প, আড্ডা, গান চললো অনেক রাত পর্যন্ত। কে বলবে মাত্র দু’দিন আগে প্রথম বারের মতো দেখেছে এ বাড়ির সবাইকে। আন্তরিকতা যে কি জিনিস তা এদের কাছ থেকে শিখবার আছে।
পরদিন দুপুরে খেয়ে ওরা কাজিন গোষ্ঠী ঘুরতে বেরুলো রাজশাহী শহরটাতে। সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, নিরিবিলি শহর রাজশাহী। সন্ধ্যা নামলে একটা কফিশপে একসাথে ঢুকলো তেরো জন। কথা গল্প হলো রাজশাহী সম্পর্কে। এক ফাঁকে নাতাশা বললো- ” সুফিয়ান ভাই, আপনি কিন্তু একটা বিশাল থ্যাংকস পাওনা হয়ে গেলেন। সবার কথা জানি না আমি, আমি আমারটা বলতে পারি- এটা আমার স্মৃতিতে জীবনের সেরা ট্যাুর হয়ে থাকবে ” নাতাশার পর একে একে যোগ দিলো কল্লোল, নোভেল, পিয়াস।
পরদিন ফিরতে হবে, এ স্মৃতিটাই কষ্টের সবার জন্য। সুফিয়ানের চাচাতে ফুফাতো বোনেরা দাওয়াত করলে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সময় একদম নেই। এখান থেকে ফিরেই যাবার প্রস্তুতি নিতে হবে। সেদিন রাতেও ছেলেবুড়ো সবাই জেগে কাটালো। বিশাল ছাঁদে বসে বিশাল আড্ডা হলো সবাই মিলে। বারবিকিউ করতে হুট করে খাসি কিনে আনলেন রোদেলার বাবা আর খালুরা মিলে। মসলা মেখে আস্ত খাসিটাকে পেড়ানো হলো।
বারবিকিউ এর আগুনের সামনে বসে রোদেলা। সবার আনন্দ ওকে কেমন সুখ দিচ্ছে যেন। হঠাৎ ভাবলো ঠিক বলেছিলো সুফি, সত্যি অনেক সুন্দর স্মৃতি নিয়ে ফিরবে ও”
এমন সময় হঠাৎ সুফিয়ানের দিকে চোখ পরে রোদেলার। দূর থেকে ওর দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞেস করলো ” কি ভাবছো? ” উত্তরে হেসে রোদেলা জানালো- ” কিছু না ”
মনে মনে কৃতজ্ঞতা জানায় ও সুফিয়ানকে ওর জীবণে আসার জন্য। ওকে ভালোবাসার জন্য।
এরপর এক দৃষ্টিতে বারবিকিউ এর আগুনে চেয়ে থেকে গত তিনটা দিন রিভিউ করলো রোদেলা। মনে মনে বললো-
জীবন সুন্দর…!
আলহামদুলিল্লাহ ফর ইচ এন্ড এভরিথিং…!
চলবে…