#সাতরঙা_প্রজাপতি
লেখনীতে:#মাশফিত্রা_মিমুই
||পর্ব:০৬||
দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে অবশেষে দরজা খুলে দিলো জ্যোতি। মহিলাটি মুচকি হেসে বললো,”ভেতরে আসি?”
মুখের উপর না করতে পারলো না জ্যোতি। আবার হ্যাঁ ও বলতে পারছে না। অপরিচিত একজন মহিলা, ভেতরে আসতে চাইছে। যদি উদ্দেশ্য খারাপ হয়! মহিলাটি উত্তরের অপেক্ষা না করে ভেতরে চলে এলো। হেসে বললো,”আমি আপনাদের পাশের ফ্ল্যাটেই থাকি।”
জ্যোতি প্রতিত্ত্যুরে বললো,”ওহ।” কিন্তু এখনো সেই দরজার সামনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে মহিলাটির দিকে তাকিয়ে আছে।
মহিলাটি বললো,”কাল জানলা দিয়ে আপনাদের আসতে দেখলাম। তাই আজই চলে এলাম পরিচিত হতে। এতদিন তো এই ফ্ল্যাটটা খালিই পড়েছিল, এদিকে আমার হাজব্যান্ড সেই সকালে অফিসের জন্য বের হয় আর ফিরে রাত করে। পুরো ফ্ল্যাটে একাই থাকতে হয় আমায়। কতক্ষণই বা একা একা টিভি দেখে কাটানো যায় বলুন তো?”
প্রতিত্ত্যুরে জ্যোতি মৃদু হাসলো। মহিলাটি বললো,
“কিছু মনে করবেন না আসলে আমি না একটু বেশিই কথা বলি।”
“আরে না না কী মনে করবো।”
“আমার নাম ইভা।”
“ওহ। আমার নাম জ্যোতি।”
“মাশাআল্লাহ আপনার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু আপনার নামটাও বেশ সুন্দর।”
জ্যোতি এবারও হাসলো। হঠাৎ মনে পড়ল চুলায় মাছ ভাজা রেখে এসেছে। ইভার উদ্দেশ্যে বললো,
“আপনি বসুন। আমি একটু আসছি।”
ইভা বসলো না।জ্যোতির পিছুপিছু রান্নাঘরেই চলে এলো। মাছ উল্টে দিতে লাগলো জ্যোতি। ইভা বললো,”আমি আবার একটা দেড়টার আগে রান্না বসাই না। একা মানুষ তো। আমার উনি আবার দুপুরের খাবার অফিসেই খেয়ে নেন। ওখানে তো আবার বড়ো ক্যান্টিন আছে।”
কিছুটা সময়ের মধ্যেই দুজনের মধ্যে ভাব হয়ে গেলো। এখন আর একা লাগছে না জ্যোতির।এভাবেই সময় অতিবাহিত হতে লাগলো।
অফিসে আসতেই বস ডেকে পাঠিয়েছে শোভনকে। যাওয়ার আগে সাজেদ বললো,”ম্যাম না কোনো কারণে রেগে আছেন। ভেবে চিন্তে কথা বলিস কিন্তু।”
“হুম।” শোভন বসের অফিস রুমের কাছে এসে দাঁড়িয়ে অনুমতি চাইলো,”আসবো ম্যাম?”
ভেতর থেকে ঝাঁঝালো কণ্ঠের উত্তর এলো,”হ্যাঁ আসুন।”
শোভন ভেতরে প্রবেশ করল। চেয়ারে বসে আছে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে। সাত মাস আগেই পুরাতন স্যার রিটায়ার্ড করেছেন। সেই বসের পরিবর্তেই নতুন বস হিসেবে তনিমা জয়েন করেছে। তনিমা তার টেবিলের সামনের চেয়ারটি ইশারায় শোভনকে দেখিয়ে বললো,”বসুন।”
শোভন বসলো। জিজ্ঞেস করল,”ম্যাম ডেকেছেন?”
“জ্বি। কোথায় ছিলেন এতদিন?”
“ছুটিতে ছিলাম। তাছাড়া আপনাকে তো মেইল করে দিয়েছিলাম।”
“তা তো জানি। কিন্তু গিয়েছিলেন কোথায়?”
বিরক্ত হলো শোভন। উত্তর দিলো,”বাড়িতে গিয়েছিলাম।”
“কেন গিয়েছিলেন?”
এবার শোভন ভ্রু কুঁচকে তনিমার দিকে তাকালো। ব্যক্তিগত প্রশ্ন কোত্থেকে আসছে? বুঝতে পারছে না শোভন। যথেষ্ট ভদ্রতা বজায় রেখে বললো,”এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার ম্যাম।”
উত্তরটি তনিমার মোটেও পছন্দ হলো না। প্রসঙ্গ বদলে বললো,”অনেকগুলো ফাইল জমে আছে। আমি আপনার টেবিলে ফাইলগুলো পাঠিয়ে দিচ্ছি। কাজগুলো আজকের মধ্যেই করে রাখবেন।”
“ঠিক আছে ম্যাম। আসি তাহলে?”
“হুম আসুন।”
শোভন তার ডেস্কে এসে বসলো।সাজেদ তার পাশের টেবিলেই বসা। শোভনকে আসতে দেখেই সাজেদ প্রশ্ন করল,”ডাকলো কেন?”
“কয়েকটা ফাইল নাকি জমে আছে। সেগুলোর জন্যই ডেকেছে।”
কিছুক্ষণ বাদে একজন পিয়ন অনেক গুলো ফাইল এনে টেবিলে রাখলো। মুহুর্তেই চমকে গেলো শোভন। বললো,”এতগুলো ফাইল!”
পিয়ন দাঁত বের করে হেসে উত্তর দিলো,”আরো আছে স্যার। বহেন আনতাছি।”
পিয়ন চলে গেলো। কয়েক মিনিট বাদে আবারো এলো আরো ফাইল নিয়ে। ফাইলে শোভনের টেবিল প্রায় ভরে গেছে। পিয়ন বললো,”ম্যাডাম কইছে আইজকার মধ্যেই কাম শেষ করতে হইবো।”
“হুম জানি।”
পিয়ন চলে যেতেই সাজেদ বললো,”এতগুলো ফাইল কোত্থেকে এলো? আমরা এতজন ছিলাম কই আমাদের তো একবারও এ বিষয়ে বললো না।”
“আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম অল্প কিছু ফাইল হবে কিন্তু এখন তো দেখছি পুরো গোডাউন তুলে এনেছে।”
“আমি হেল্প করবো? দুজনে মিলে করলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে।”
“দরকার নেই। আমিই পারবো।”
শোভন একটা একটা করে ফাইলের কাজগুলো করতে লাগলো। ফাইলের সংখ্যা অনেক। আজ তার একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরা দরকার। কাজ করতে করতে দুপুর হয়ে গেলো। লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে। যে যার যার মতো লাঞ্চ করার জন্য চলে গেছে ক্যান্টিনে। শোভনের খেয়াল নেই সেদিকে। সে তার কাজে ব্যস্ত। যে করেই হোক দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে এমন একটা অবস্থা।
সাজেদ কয়েক সেকেন্ড শোভনের দিকে তাকিয়ে রইলো তারপর বললো,”কী রে লাঞ্চ করবি না? এসে না হয় বাকিটা করিস।”
ফাইলের দিকে দৃষ্টি স্থির রেখেই শোভন জবাব দিলো,”না তুই যা আমি পরে করে নিবো।”
“আজ এত তাড়া কেন?”
“বাড়ি ফিরতে হবে। একটু দরকার ছিলো।”
“বুঝেছি ভাবীকে মিস করছিস।”
বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে নিলো শোভন। বললো,
“বাজে বকিস না তো। যা এখান থেকে।”
“সত্যি বললেই তা বাজে বকা হয়ে যায়।”
কথাটা বলেই চোখ মা’রলো সাজেদ। তারপর ক্যান্টিনের দিকে চলে গেলো। শোভন আবারো কাজে মনোনিবেশ করল। কিছুক্ষণ বাদে শোভনের ডেস্কের সামনে তনিমা এসে দাঁড়ালো। শোভনের সেদিকে খেয়াল নেই। বিষয়টি খারাপ লাগলো তনিমার। ইচ্ছাকৃত একটা কাশি দিয়ে শোভনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করল এবং তাতে সফলও হলো। কাশির শব্দে সামনের দিকে তাকালো শোভন। তনিমাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে নিলো। প্রশ্ন করল,”কিছু বলবেন ম্যাম?”
“হুম বলার জন্যই তো এসেছি। তা এখনো এখানে বসে আছেন কেন? লাঞ্চ করবেন না?”
শোভন দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। মনে মনে বললো, “এতগুলো ফাইল ধরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করতে এসেছে, লাঞ্চ করবেন না?”
উত্তর না পেয়ে তনিমা জিজ্ঞেস করল,”কী ভাবছেন?”
“কিছু না। কাজটা শেষ হলে তারপর লাঞ্চ করবো।”
“তা তো হচ্ছে না, চলুন আমার সঙ্গে। আজ আমরা একসঙ্গে লাঞ্চ করবো।”
বিরক্তি এবার রাগে পরিণত হওয়ার উপক্রম হলো। শোভন চেয়েও মুখের উপর সরাসরি না করতে পারলো না। বললো,”আরেকদিন করবো আজ আমার অনেক কাজ আছে।”
তনিমা আর কিছু বললো না। যেতে যেতে বিড়বিড় করে বললো,”আমাকে কাজ দেখানো হচ্ছে! কত্ত বড়ো সাহস ছেলের।”
পুরো সময়টাই কাজের মধ্যে কাটালো শোভন। কখন যে বিকেল হয়ে গেলো সেই খেয়ালই ছিলো না তার। বিকেলের মধ্যেই সবগুলো ফাইলের কাজ শেষ করে চেয়ার ছেড়ে উঠল। তনিমার কেবিনের দরজার সামনে এসে আবারো ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নিলো।
শোভন ভেতরে আসতেই তনিমা বললো,”আপনাকে কতবার বলেছি আমার কেবিনে আসার জন্য অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
শোভন যা বলতে এসেছিল তাই বলতে লাগলো,
“ফাইল গুলো দেখা শেষ।”
“খুব ভালো খবর।”
“আমার আজ একটু তাড়াতাড়ি ছুটি লাগতো।এখন তো আর তেমন কোনো কাজ নেই। যদি ছুটিটা দিতেন।”
“এত তাড়াতাড়ি ছুটি কেন লাগবে?কোথায় যাবেন?”
“বাড়িতে।”
“বাড়িতে! এসময় বাড়িতে কী? বউ রেখে এসেছেন নাকি?” শেষের কথাটুকু একটু মজা করেই বললো তনিমা।
শোভন ছোট্ট করে উত্তরে বললো,”হুম।”
বেশ মজা পেলো তনিমা। কিন্তু প্রকাশ করল না।মুখে গম্ভীরতা বজায় রেখে বললো,”ছুটি তো দিতে পারছি না মি.শোভন। সন্ধ্যার পর মিটিং আছে একটা। সবার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকেও সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।”
“কিন্তু ম্যাম__!”
“কোনো কিন্তু নয় মি.শোভন।এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়ে আজ জয়েন করলেন এখনো যদি ছুটি চান তাহলে কী হয়? আপনি তো কাজের প্রতি খুবই দায়িত্ববান, গত সাত মাসে আপনার ভালোই তো এক্টিভিটি দেখলাম।”
শোভন আর কিছু বললো না কথাটা হজম করে চলে গেলো নিজের ডেস্কে। সাজেদ বললো,”দিলো ছুটি?”
“না। বললো কিসের নাকি মিটিং আছে সবাইকে থাকতে হবে।”
সাজেদ অবাক হলো কিছুটা। বললো,”মিটিং আছে? কই আমাদের কাউকে তো জানানো হলো না।”
“জানি না। এতদিন জানতাম ছেলে বসরা মেয়ে এমপ্লয়ীদের গায়ে পড়ে কথা বলে। এখন তো দেখছি উল্টো ঘটনা ঘটছে। মেয়ে বস ছেলে এমপ্লয়ীদের গায়ে পড়ে কথা বলছে!”
“শুধু তোর গায়ে পড়েই কথা বলে। গিয়ে দেখ প্রেমে টেমে পড়েছে কিনা। বাই দ্য ওয়ে তুই যে বিবাহিত সে কথা জানে তো?”
“মোটামুটি অফিসের সবাই তো জানে উনি জানবেন না কেন?”
“তাও কথা।”
মাগরিবের আজান হতেই ওযু করে এলো জ্যোতি। নামাজ পড়ে সোফায় বসলো। শোভনের আসার অপেক্ষা করছে। চিন্তা হচ্ছে অনেক। নিজে নিজেই বলতে লাগলো,”উনি তো বলেছিলেন সন্ধ্যার আগেই চলে আসবেন তাহলে আসছেন না কেন? পথে কিছু হলো না তো?”
সঙ্গে সঙ্গে জ্যোতির মনে এক আশঙ্কা ঢুকে গেলো। মনে মনে দোয়া দরুদ পাঠ করতে লাগলো। পুরো একটি ফ্ল্যাটে একা একা একটু ভয়ও করছে তার।অতীতে আর যাই হোক এভাবে একা একা সাময়িক সময়ের জন্য হলেও থাকতে হয়নি জ্যোতিকে। ওদিকে শোভনের মনটাও ছটফট করছে। কী এক অদ্ভুত অনুভূতি। অদৃশ্য এক টান। সপ্তাহ খানেক আগেও যেখানে সে কাজ নিয়ে ভেবেছে, ভেবেছে নিজেকে নিয়ে আজ সময়ের ব্যবধানে সেই ভাবনা বদলে গেছে, আজ অন্য কাউকে নিয়ে ভাবছে। উহু অন্য কেউ নয় বরং তার ভাবনার মানুষটি হচ্ছে তারই জীবনসঙ্গী, সহধর্মিণী। তাহলে কী এবার দায়িত্ব এসে ভর করল কাঁধে নাকি ভালোবাসা? ভাবতেই চমকে গেলো শোভন।
মনে প্রশ্ন এলো, একা একা ভয় পাচ্ছে না তো জ্যোতি? যদি ভয় পায়! যদি চিন্তা করে? দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। ফোন করে যে একটু কথা বলবে সেই উপায়টুকুও নেই। শোভনের ইচ্ছে করল হাতের মোবাইলটি আছড়ে ভেঙে ফেলতে। কী হবে এই মোবাইল দিয়ে যদি তার প্রিয় মানুষের কণ্ঠস্বর শুনে অস্থিরতাই কমাতে না পারে? ছটফট আর রাগ তড়তড় করে বেড়ে যাচ্ছে শোভনের।অযথা ল্যাপটপের সামনে বসে আছে। মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ আগেই এসে বসেছে সে। অথচ এখনো মিটিং শুরু হচ্ছে না।
আরো ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করল শোভন। সাজেদ আর পাশের ডেস্কের রজত বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ালো। বললো,”এবার বেশিই হয়ে যাচ্ছে। এভাবে অযথা বসিয়ে রাখার মানে কী? চল শোভন এবার গিয়ে সরাসরি ম্যামের সঙ্গে কথা বলি। আমরা তো আর উনার প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছি না যে এভাবে যখন তখন যা খুশি আমাদের উপর চাপিয়ে দিবেন।”
“আমি তো বললাম দেখলি তো কী বললেন। এখন তোরা গিয়ে বল।”
সাজেদ এবং রজত আর গেলো না। শেষে শোভন বাধ্য হয়েই তনিমার কেবিনে ঢুকলো। বললো,”ম্যাম আপনি তো বলেছিলেন একটা মিটিং আছে, এদিকে দুই ঘণ্টা পার হলো কোনো মিটিং তো শুরু হচ্ছে না।”
“ওহ বলতেই ভুলে গেছি উনারা আজ আসবেন না তাই মিটিং ক্যান্সেল।”
“এবার তো তাহলে ছুটি দিন। বললাম তো একটা কাজ আছে।”
তনিমা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো শোভনের দিকে। ভেবে বললো,”আচ্ছা যান তাহলে।”
“ধন্যবাদ।”
শোভন আর দাঁড়ালো না। ডেস্ক থেকে ব্যাগটি নিয়ে বেরিয়ে গেলো অফিস থেকে। ঘড়িতে এখন আটটা বেজে বত্রিশ মিনিট। অন্য কোনো সময় হলে হয়তো নিশ্চিন্তে রাস্তার পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে গন্তব্যে ফিরতো শোভন কিন্তু আজ তার অনেক তাড়া। শোভনের একটা ইচ্ছে ছিলো যদিও সেই ইচ্ছেটাকে স্বপ্নও বলা চলে। ইচ্ছেটা ছিলো নিজের একটি বাড়ি করার।সেই ইচ্ছেটা পূরণ করতে করতে হয়তো অনেক সময় লেগে যাবে। সত্যি বলতে কী, সৎ পথে উপার্জন করে কখনো বিলাসবহুল জীবনযাপন করা যায় না। তাই ব্যাংকে একটি হিসাব খুলে মাস শেষে কিছু টাকা সঞ্চয় করছিল সে। ভালো একটা এমাউন্টই জমা হয়েছে সেখানে। অফিস থেকে লোন তোলার জন্যও দরখাস্ত দিয়েছে প্রায় আট নয় মাস আগে। কিন্তু ঊর্ধ্বতন বদলানোর কারণে দরখাস্ত এখনো আটকে আছে।
মাসের মাঝামাঝি চলছে নিজের কাছে যা ছিলো তা দিয়ে সাজেদের টাকা শোধ করে দিয়েছে এখন আবার ফ্রিজ। দীর্ঘশ্বাস ফেললো শোভন। এই ভেবে মাথা থেকে চিন্তা ঝেড়ে ফেললো,”নতুন সংসার প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র কিনে ফেললে, সংসারটা একবার সাজিয়ে ফেললে তো আর এসবের পেছনে খরচ করতে হবে না। তখন আবারো টাকা জমানো যাবে।” আপাতত ফ্রিজ কেনার জন্য জমানো টাকা থেকেই খরচ করতে হবে। তাই আর দেরি করল না শোভন। একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গেলো।
চলবে _____
(কার্টেসি ছাড়া কপি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।)