#অদ্ভুত_ভালোবাসা
পর্ব ০৭ {সিজন ২}
#অন্না
.
.
.
নীরা::: ভেবোনা এই আমি তোমাকে ছেরে কখনও চলে যাবো আর কোনো শাকচুন্নিকে তোমার ঘারে ঝুলতে দিবো,,আমি মরে গেলেও না ভুত হয়ে তোমার ঘাড় মটকে দিবো যদি এমন করো
,
নিলয়::: ভুত না শাকচুন্নি,,আমার শাকচুন্নি
,
নীরা দৌড়ে এসে নিলয়কে জরীয়ে ধরলো,,,
,
নিলয়::: কখনও যদি এমন দিন আসে আমি তোমায় ভুলে যাচ্ছি তাহলে তোমার ভালোবাসায় আমাকে ভরিয়ে দিও,, কখনও তোমাকে ভুলতে দিও না,,,
,
নীরা::: কেনো?, আমায় ভুলার খুবই শখ নাকি?
,
নিলয়:::হুম না ভুললে তোমার সতীন কি করে আনবো বলো
,
নীরা ::: কি বললে তুমি???
,
নিলয়::::শুনবে নাকি দেখবে?
,
নীরা::: তোমাকে আমি আস্ত খেয়ে নিবো
,
নিলয়::: এখনি খাবে? আর একটু রাত হোক
,
নীরা::: লজ্জা বলতে কিচ্ছু নাই? এভাবে কেউ কথা বলে?
,
নিলয়::: লজ্জা কেনো পাবো? তুমি কি আমার বেয়ান লাগো নাকি?
,
নীরা::: তুমি আসলেই
,
নিলয় ::: আমি নীর পাখির নিলয়,,, এই চলো না ছাদে যাই
,
নীরা ::: যাবোনা,,
,
নিলয়::: কেনো?
,
নীরা ::: আমার সতীন কে নিয়ে যাও,, আমাকে লাগবে কেনো?
,
নিলয়::: আরে আমি তো
,
,
তিশা::: ভাই,ভাবি তোমরা খেতে এসো,,,
,
নীরা হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে গেলো,,,
,
নিলয়::: এই নীরু,,,,,নীর,,,,,কথা তো শোনো,,, আমি তো ইয়ার্কি করলাম,,, নীর পাখি,,,,,,,,,,,
,
এই মেয়ে এমনিতেই এমন করে একে নিয়ে যে আমি কি করে বাজি টা জিতবো কে জানে,,, আল্লাহ্ আমার পাশে থেকো,, এই পাখিটাকে আমার কাছ থেকে আলাদা করো না তুমি,,,,
,
,
খাবার টেবিলে আজ নীরা নিলয়ের থেকে দুরে গিয়ে বসেছে,,নিলয়ের পাশে বসে নি,,,
,
নিলয় খেতে বসে মহা বিপদে পরলো,,, এদিকে নিলয় নীরার মুখে প্রথম গ্রাস তুলে না দিয়ে খাবার খায় না আর আজ নীরা রাগ করে দুরে গিয়ে বসেছে,,,, নিলয় অনেক ভেবে ভেবে বললো
,
নিলয়::: মামুনি আমার শরীর টা ভালো লাগছে না আজ আমি খাবো না,,
,
মামুনি :::: সে কি রে,,, কেনো?
,
নিলয়:::: আবহাওয়া ভালোনা,,, তাই
,
মামুনি ::: আবহাওয়ার সাথে তোর খাবার সম্পর্ক কি?
,
নিলয়::: ও তুমি বুঝবে না,
,
নিলয়েরর কথা শুনে নীরা চট করে উঠে নিলয়ের পাশে বসল্র,,, তারপর এক গ্রাস খাবার তুলে নিলয়ের মুখে গুজে দিলো ,
,
তিশা::: বাহ্ বা আমায় কেউ এতো ভালোবাসা দেখায় না,,
,
নীরা উঠে গিয়ে একটা বড় গ্রাস তুলে তিশার মুখে গুজে দিলো,,,,
,
তিশা::: উমউমমমম
,
নীরা:: আরো ভালোবাসা চাই??
,
তিশা মাথা নাড়িয়ে না বলে
,
নিলয়::: এভাবে ভালোবাসা দিলে কে বা ভালোবাসা চাইবে,,,
,
নীরা নিলয়ের দিকে চোখ গরম করে তাকালো,, নিলয় চুপ হয়ে গেলো, ,কেনই বা হবে না থানার যে বড় অফিসার আছে তারাও তাদের বউদের ভয়পায়,, এখানে তো নিলয় বেচারা নীরাকে ভয় না পেয়ে যাবে কোথায়,,, যাই হোক
,
নিলয় আর কোনো কথাই বললোনা,, নীরা খাইয়ে দিলো আর নিলয় চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে আসলো,,,,
,
নীরা রুমে এসে নিচে বিছানা করতে শুরু করে দিলো,,,
,
নিলয়::: কি করছো এটা?
,
নীরা ::: চোখে দেখেন না কি করছি?
,
নিলয়::: সেটা তো ভালো ভাবেই দেখতে পাচ্ছি,, কিন্তুু এটা করছো কেনো?
,
নীরা ::: কেনো ঘরে সতীন আসলে তো নিচেই শুইতে হবে,, আগে থেকে অভ্যাস করছি,,
,
নিলয়:::: ঠাস করে একটা থাপ্পর মেরে দিবো আজে বাজে কথা বললে,, কিসের সতীন হ্যা কিসের সতীন,,, তখন থেকে এক বাজনা বাজাচ্ছো,,,, আমি কি বিয়ে করে এনেছি যে এ কথা বলছো,,,,,
,
নীরা::: তুমি তো তখন বললে
,
নিলয়::: হ্যা বলবো কেনো দেখছো না তোমার সতীন নিয়ে আমি শুয়ে আছি,,, যত্ত বাজে কথা চিন্তা ভাবনা করা ,, থাকো তুমি
,
নীরা দৌড়ে নিলয়ের হাত টেনে ধরলো
,
নিলয়::: কি হলো,
,
নীরা ::: তুমি জানোনা আমার একা ভয় করে তার পরেও আমায় একা রেখে চলে যাচ্ছো
,
নিলয়::: যাবো না তো কি করবো তোমার সতীনের কির্তন শুনবো?
,
নীরা::” এত্ত রাগ করো কেনো কথায় কথায়,,
,
নিলয় গিয়ে সোফায় শুয়ে পরে
,
নীরা::: এখানে ঘুমাচ্ছো কেনো?
,
নিলয়::: তো কি ঘুমাবো?
,
নীরা::: কেনো বিছানায়
,
নিলয়;:: ঠাস করে থাপ্পর মেরে দিবো স্টুপিড এর মতো কথা বললে
,
নীরা::: এটা স্টুপিড এর মত কথা হলো?
,
নিলয়::: তা নয়তো কি হ্যা, তুমি জানোনা তোমাকে ছারা আমার বিছানায় ঘুম হয় না,, তার পরেও এই কথা বলো কোন সাহসে?
,
নীরা;:: আচ্ছা বাবা আচ্ছা সরি, আমার ভুল হয়েছে,,, আমিও বিছানায় ঘুমাবো চলো , হয়েছে এবার তো বিছানায় চলো
,
নিলয়::: না,
,
নীরা::: কেনো?
,
নিলয়::: রাগ হয়েছে আমার রাগ ভাঙাও,, জানোনা কেউ রাগ করলে তার রাগ ভাঙাতে হয়,
,
নীরা::: জানবো কি করে,, আমায় তো কেউ শেখায় নি,,,
,
নিলয়::: ফাজলামু হচ্ছে?
,
নীরা::: নাহ্ ফাজলামু করবো কেনো তুমি কি আমার বিয়াই লাগো?
,
নিলয় ;:: আমার কথা আমাকেই রিপিট করছো?
,
নীরা::: হ্যা করছি,, তো?
,
নিলয়::: কাল থেকে রাতে বাসায় আসবো না,, থেকো একা একা দেখো কেমন লাগে,,,
,
নীরা::: তাই আচ্ছা,,,,,,
,
নিলয়::: কি করছো তুমি?.
,
নীরা::: লাগেজ বের করছি
,
নিলয় ::: কেনো?
,
নীরা:::: কাল বাপের বাড়ি চইলা যামু,, দেখুম তুমি কেমনো থাকো,,,
,
নিলয়::: পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো,, বাড়ির বাহিরে এক পাও দিয়েছো তো,, আমার অনুমতি ছারা আমার কাছ থেকে দুরে যাবার কথা চিন্তা করেছো তো,,,
,
নীরা এক পা দু পা করে নিলয়ের সামনে এসে দাড়ালো,,,
,
নীরা::: তাই??? যদি মরে যাই,, আটকাতে পারবে?
,
নিলয় চট করে নীরাকে কোলে তুলে নেয়,,,,
,
নিলয়::::তোমার জন্য পৃথিবীর সবার সাথে লড়াই করতে পারবো কিন্তুু আল্লাহর সাথে পারবো না কারন আল্লাহ্ তোমাকে আমার জীবন সাথী হিসাবে আমার জীবনে দিয়েছে,, কিন্তুু একটা কথা মনে রেখো আমি বেচে থাকতে নীরের কিছু হতে দিবো না, ,,, আর কখনও যেনো একথা তোমার মুখে না শুনি,, কি বুঝা গেলো????
,
নীরা::: হুম
,
নিলয়::: এখন তো কর
,
নীরা::: কিইইইই
,
নিলয়:: কিছুনা যাও
,
নীরা : কষ্ট হচ্ছে না? নামাও আমায়
,
নিলয়::: সারাজীবন এভাবে তোমায় কোলে নিয়ে থাকতে পারবো,,, আচ্ছা তুমি ঠিক মতো খাওনা তাইনা?
,
নীরা::: কই না তো
,
নিলয়;:::: তাহলে এতো হলকা হয়ে গেছো কেনো?
,
নীরা::: তাই?
,
নিলয়::: কিছু মানুষ আছে যারা চায় না তুমি আমার কাছে থাকো,,তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করবে তোমাকে আমার কাছ থেকে সরানোর,,
,
নীরা::: কাম ওন নিলয় কেউ চেষ্টা করেও আমাদের আলাদা করতে পারবে না,,, আর আমি ছোট বাচ্চা না বুঝলা নিলু,,,,যে যা বলবে তাই বিশ্বাস করবো,,,
,
নিলয়’:::: এভাবে কেউ আমায় কোনোদিনও ডাকে নি জানো জানু,,,,,,,
,
নীরা::: ডাকবে কি করে নীরা তো আগে তোমার কাছে আসেনি,,,
,
নিলয়::: কাছে আসোনি?
,
নীরা::: মানে আগে তোমার লাইফে আসি নাই,,
,
নিলয়:::লাভ ইউ নীর পাখি
,
নীরা::: লাভ ইউ টু নিলু,,এবার তো নামাও আমায়
,
নিলয়::: কেনো?ভালোলাগছে না?
,
নীরা::: না
,
নিলয়::: ভালো তো লাগবেই না,,, আমি তো পুরাতন হয়ে গেছি না,,
,
নিলয় নীরাকে বিছানায় বসিয়ে চলে আসতে গেলে নীরা নিলয়কে ধরে টান দেয় আর নিলয় নীরার ওপর পরে যায়,,,,, নিলয় নীরার খুব কাছে চলে যায়, নিলয়ের নিঃশাস নীরার মুখের ওপর পরছে,,, নীরা আবেক ভরা চোখে নিলয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,,,
,
নীরা::: কথায় কথায় এতো রাগ করো কেনো?
,
নিলয়::: তুমি আদর দিয়ে রাগ ভাঙাবে বলে,,,
,
নীরা::: আচ্ছা,,,,
,
নীরা দুহাত দিয়ে নিলয়ের কাধে হাত দিয়ে নিলয়কে টেনে নিজের বুকের সাথে জরীয়ে ধরে নিলয়ের ঠোটে কিস করতে শুরু করে,,,, দুজন দুজনকে ভালোবাসার পরশে ভরিয়ে দিতে শুরু করে,,, তাদের মধ্যে ভালোবাসার কোনো কমতি নাই,,, ঘরের প্রতিটা জিনিস ওদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে আছে,,, নিলয় নীরার ভালোবাসার তুলনা কারো সাথে করা যাবে না তাদের এ অদ্ভুত ভালোবাসা শুধু তাদেরই,,,,,,
,
,
,
,
সকালে সবাই বসে এক সাথে নাস্তা করছিলো তখনই মানিক আসে
,
মানিক::’ স্যার ভাবির সাথে েএকজন দেখা করকে চায়,,
,
নিলয়::: পাঠিয়ে দাও,,,
,
একটা লোক হাতে একটা লাল গোলাপের তোরা নিয়ে রুমে ঢোকে,,,
,
লোকটি ::: ম্যাম এটা আর এই চিঠিটা আকাশ স্যার আপনার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে,,,
,
তিশা::: ভাবি ভুলেও হাতে নিও না,, তোমার গুন্ডা কিন্তু এখানেই আছে,,,
,
নীরা এগিয়ে গিয়ে চিঠিটা হাতে নিয়ে পরে,, নিলয় শুধু দেখছে কিছু বলছে না,,, হঠাৎ ই নীরা ওই লোকটিকে ঠাস করে থাপ্পর মেরে দেয়,, বাড়ির সব মানুষ দাড়িয়ে যায় খাওয়া বন্ধ করে,, কিন্তু নিলয় খাচ্ছে আর নীরার কাজ দেখছে,,,,
,
লোকটি:: ম্যাম আপনি,,,
,
নীরা::: চড় টা আপনাকে নয় আপনাে স্যার কে মারলাম,,,বলে দিয়েন উনাকে দ্বিতীয়বারর যেনো এ কাজ না করে,,, আমি কিন্ত কোনো সস্তা মেয়ে না,,, আমার স্বামী ওকে মেরে তক্তা বানিয়ে দিবে,, সময় থাকতে ওকে ভালো হতে বলেন,,, বেরিয়ে যান আমার বাড়ি থেকে,,, নিলয় মুচকি মুচকি হাসছে,,,,
,
নীরা::: হাসার কি হলো???.
,
নিলয়::: কিছু না,,, পানি খাবে?,
,
নীরা;:: এত্ত বড় বেয়াদপ ছেলে আমায় প্রেমপত্র দেয় তাও আমার শশুর বাড়িতে,,,
,
নিলয়;::’ ফুল গুলো তো নিতে পারতে,, বেচারা কত কষ্ট করে পাঠিয়ে দিয়েছিলো,,,,
,
নীরা::: নিলে খুসি হতে?
,
নিলয়::: নাহ্ শুধু হাত টা ভেঙে দিতাম তোমার
,
নীরা;:: কিইইইই,
,
নিলয়::’ হ্যা,,তারাতারি চলো কলেজে যেতে দেরি হয়ে যাবে,,,
,
নিলয় নীরাকে কলেজে নামিয়ে দিয়ে অফিসে চলে যায়,, নীরা কলেজে ঢুকতেই দেখে আকাশ দাড়িয়ে আছে………………