#বসন্ত_এসেছে
#পর্ব_৫
#মাহিমা_রেহমান
আজ অর্পিতার গায়ে হলুদ। সেই সুবাদে সকলে কাজে ব্যস্ত। রায়াযের রুমে বসে অর্পিতা রাগে ফুঁসছে।রেগে এবার বলে উঠল,
-“ভাই তুই সারারাত আমাকে বসিয়ে রেখে বেলার হাতে মেহেদী দিয়ে দিয়েছিস! তোর জন্য ঘুম নষ্ট হয়েছে রাতে আমার।এখন তাড়াতাড়ি এর ভরপাই দে।”
ভ্রু কুঁচকে রায়ায জিজ্ঞেস করল,
-“কীসের ভরপাই?”
-“আমার ঘুম নষ্ট করার আর বেলার হাতে মেহেদী দিয়ে দেওয়ার।টোটাল দুইহাজার টাকা।বের কর এক্ষুনি।”
সাথে সাথে রায়ায পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিল অর্পিতার হাতে আর বলল,
-“এবার বের হো আমার রুম থেকে।”
মুখ ভেংচি কেটে অর্পিতা চলে গেল ।
.
.
বিকেল চারটা।বাড়ির বড়রা কাজে ব্যস্ত।আর ছোটরা সাজে।আজকে আর কেউ পার্লারে যায়নি।বাড়িতেই বিউটিশিয়ান আসবে।তবে রায়াযের কড়া নিষেধাজ্ঞা।বেলা যেন কোনো ভাবে কোনো প্রকার সাজ দিতে না পারে।রায়াযের করা নিষেধ সকলে মাথা পেতে নেয়।কারণ সকলেই জানে,,তাদের ভাই কী রাগী! নিজের রুমে বসেছিল বেলা তখনই যূথীর আগমন। দাঁত কেলিয়ে যুথী বেলার উদ্দেশ্যে বলেল,
-“বেলা আপা রায়ায ভাই আপনারে তার রুমে ডাকতেসে।”
মাথা নেড়ে বেলা রায়াযের রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়।কারণ সে জানে এখন না গেলে তাকে আরো বেশি ঝামেলা পোহাতে হবে।রুমে প্রবেশ করে কউকে দেখতে পায় না বেলা।ওয়াশরুমের থেকে পানি পড়ার শব্দ আসছে।যার দারুণ বোঝা যায় রায়ায ওয়াশরুমের। কিয়ৎ কাল বাদ বাহিরে বেরিয়ে আসে রায়ায।বেলার দিকে এক পল তাকিয়ে চলে যায় আলমারির দিকে।সেখান থেকে একটা প্যাকেট বের করে বেলার হাতে ধরিয়ে দেয়।আদেশ দেওয়ার ভঙ্গিতে বলে,
-“আজকে এই শাড়িটাই পড়বি।কালকের মত পাকামো করে যদি অন্য শাড়ি পড়তে যাস তো…আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।আর হ্যা অবশ্যই সাজার চেষ্টা করবি না।আর শাড়ি পরার পর যেন শরীরের কোনো অংশ দৃশ্যমান না থাকে।গট ইট?”
ভীতু চোখে তাকিয়ে বেলা দুদিকে মাথা নাড়ায়
-” ঠিক আছে তাহলে যা এবার।”
.
.
বরের বাড়ি থেকে অহরহ মেহমানদের আগমন ঘটেছে।মেহমানদের অপ্যায়নে ব্যস্ত সকলে।বেলাকে আজ নিজের কাছ থেকে একচুল ও দূরে সরায়নি রায়ায।বরঞ্চ বেলার একটা হাত নিজের হাতের মুঠোয় পুরে নিয়ে প্রতি মুহূর্তে যেখানেই যাচ্ছে নিজের সাথে নিয়ে যাচ্ছে তাকে।এ কিনা ক্ষোপের শেষ নেই বেলার।কোনো প্রকার মজ-মস্তি করতে পরছে না সে রায়াযের জন্য।তবুও কিছুই বলার নেই তার রায়াযকে।বেশ ভয় পায় কিনা! বেলাকে নিজের কাছে ডাকছিল অর্পিতা,,ঠিক সেসময় যুথী চলে এলো সামনে।কানে কানে কী যেন বলে গেল বেলার।দ্রুত জন-কলরব ত্যাগ করে নিজের রুমের দিকে এগিয়ে গেল সে।সেদিক তাকিয়ে বক্র হাসি ফুটে উঠল রায়াযের ওষ্ঠ কোণে।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শাড়ি ঠিক করতে ব্যস্ত বেলা।কোথাও দিয়ে নাকি তার শাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে সেটাই খুঁজছিস। সেই সময় তার রুমে আগমন ঘটে রায়াযের।চকিতে সেদিক তাকিয়ে নিজেকে দ্রুত ঠিক করে নেয় বেলা।বেলাকে নিজের কাছে ডাকে রায়ায, জিজ্ঞেস করে,
-“অর্পি তোকে ডাকছিল কেন জানিস?”
মাথা নেড়ে বেলা না বোঝায়।যার অর্থ সে জানে না।হ্যাঁচকা টানে বেলাকে নিজের অতি সন্ন্যিকটে নিয়ে আসে রায়ায।নিজের কপোল দ্বারা ঘর্ষণ করে বেলার বাম কপোলে।ফলে রায়াযের গালে লেগে থাকা হলুদ লেগে যায় বেলার গালে।নিজের গালে মৃদু ব্যথা ও অনুভব হয় বেলার।গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি থাকার দারুণ,,এখন গালটা বেশ জ্বলছে তার।নিজের কাজ শেষে হতেই হেলে-দুলে রুম থেকে বেরিয়ে যায় রায়ায।হলুদের অনুষ্ঠান সমাপ্তিতে সকলে চলে যায় বিশ্রাম করতে।আজ বেশ ধকল গেছে সকলের উপর দিয়ে।
দেখতে দেখতে অর্পির বিয়েও শেষ হয়ে যায়।মেহমানরা অলরেডি যার যার বাড়িতে চলে গিয়েছে।নিত্য নতুন কাজে সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
পড়ার টেবিলে বসে ঝিমুচ্ছে বেলা।তার ঠিক সম্মুখে গুমড়ো মুখে বসে রায়ায।অকস্মাৎ বিভৎস এক ধমকে কেঁপে উঠল বেলা।
-“কী সমস্যা বেলা। পড়া রেখে ঝুমিচ্ছিস কেনো? কিছুদিন বাদই তোর এসএসসি এক্সাম।আর এখন এসে তুই পড়ার টেবিলে ঘুমাচ্ছিস।”
সত্বর লাফ মেরে ঘুমের দেশ থেকে ফিরে আসে বেলা।মন লাগায় পড়ার দিকে।
.
.
মার্চের দশ তারিখ।বেলা বারোটা বেজে পঞ্চান্ন মিনিট।দীর্ঘ এক নিশ্বাস ত্যাগ করে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে বের হয় বেলা।অবশেষে তার পরীক্ষা শেষ হলো।বাহিরে বেরিয়েই দেখতে পেল তীর্যক গরম অতিষ্ঠ রায়ায দাঁড়িয়ে তার জন্য।হাসি মুখে সে এগিয়ে গেল সেদিকে।বেলাকে দেখতেই ব্যস্ত কণ্ঠে রায়ায বলল,
-“তাড়াতাড়ি উঠে বস।যা রোদ আজকে, অসুস্থ হয়ে যাবি একদম। তাড়াতাড়ি কর।”
রায়ায তাড়া দিতেই দ্রুত উঠে পড়ল বেলা।রায়াযকে খুব শক্ত করে ধরে বসল সে।বাইক স্টার্ট দিল রায়ায।জিজ্ঞেস করল,
-“পরীক্ষা কেমন হয়েছে?”
-“আলহামদুলল্লাহ, ভালো ।”
আর কিছু বলল না রায়ায।
বাড়ির গেটে পেরিয়ে বাইক নিয়ে ভিতরে ঢুকে পরল রায়ায।বেলাকে নামিয়ে দিয়ে নিজে চলে গেল কোথাও। রায়াযের যাওয়ার পানে কয়েক পল তাকিয়ে থেকে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে বেলা।বাড়িতে আসতেই সকলেই একই প্রশ্ন,,পরীক্ষা কেমন হয়েছে? পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সকলের প্রশ্নের পাট চুকিয়ে ভোঁতা মুখে নিজের রুমে যায় বেলা।সকলের এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত সে।ধরাম করে বিছানার গা এলিয়ে দেয়।লম্বা একটা ঘুম দেওয়া দরকার তার।এই কয়েকদিন পরীক্ষার যন্ত্রণায় ঠিক মত গুমাতে দেয়নি তাকে রায়ায ভাই।রাত তিনটা বাজে তাকে ঘুম থেকে তুলে পড়ায় বসিয়েছে।সেই দুঃখের দিনের কথাগুলো মনে পড়তেই আপনা আপনি ঘুম এসে ধরা দিল বেলার চোখে।এক সময় ঘুমের দেশে তলিয়ে গেল সে।
.
.
এলামের শব্দ কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই এক লাফে উঠে বসল বেলা।চোখের পলকে তিনমাস কী করে অতিক্রম হয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি সে।এই তো সেদিন পরীক্ষা দিল সে! আর আজই কিনা রেজাল্ট প্রকাশ পাবে।দ্রুত উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হলো।
মা-চাচীরা সকলে মিলে রান্না ঘরে কাজ করছে।সেদিক এগিয়ে গেল সে।সারাবছর যতই শয়তানি করে ঘুরে বেড়াক না কেনো? আজকেই দিনে অন্তত সকলের কাছে ভালো সাজতে হবে তাকে! পাছে যদি ফেল করে বসে? ? ফেল করলে যদি আবার রিকশা ওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় তাকে? তখন কী হবে তার? সকাল সকাল বেলাকে রান্নাঘরে দেখে চমকালো যেন সকলে। রুমি রওশন মেয়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-“কীরে বেলা, এই সকাল সকাল তুই এখানে কী করছিস? কিছু লাগবে তোর? নাকি ক্ষুধা লেগেছে বলে খেতে এসেছিস।”
ক্যাবলা কান্তের মত একটা হাসি দিল বেলা।আমতা আমতা করে বলল,
-” ইয়ে মানে মা! তেমন কিছুই না এমনি।
বলেই নিজের রুমের দিকে দৌড় লাগল বেলা।সকলে সেদিক অবাক নয়নে তাকিয়ে।
বেলা বারোটা বাজতেই হাঁক ছেড়ে বেলাকে ডেকে উঠল রায়ায। রায়াযের এহেন হাঁক ডাকে অন্তর আত্না কেঁপে উঠল যেন বেলার! কম্পনরত পায়ে ছোট ছোট কদম ফেলে নিচে নামল সে।গম্ভীর মুখে বেলার দিকে তাকিয়ে রায়ায।রাশভারী স্বরে বলল,
-“তোর রেজাল্ট বেরিয়েছে।”
কিছুসময় থামল।পরমুহুর্তে বলে উঠল,
-“৪.৩৮ এসেছে তোর। খুব বেশি ভালো না, আবার খারাপ ও না।”
বলেই উঠে নিজের রুমে চলে গেল রায়ায।বাড়ির সকলের মুখের দিকে এবার তাকালো বেলা।সকলে কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে।অতি সন্তর্পনে একটা শুকনো ঢোক গিলল বেলা।কোনদিকে না তাকিয়ে ছুটল নিজের রুমের উদ্দেশ্যে।
রাতের খাবারে জহির রওশন রায়াযের উদ্দেশ্যে বললেন,
-“কাল ভোরেই তোমাকে চট্টগ্রাম যেতে হচ্ছে রায়ায।”
-“হঠাৎ? ”
-“একজন ক্লাইন্ট আসছে কাল।আমাদের চট্টগ্রামের ফ্যাক্টরিতে ঘুরে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি তাই।আমি যেতাম, কিন্তু আমার হাঁটুর ব্যথাটা বেড়েছে বেশ কয়েকদিন হলো।”
খাবার খেতে খেতে রায়ায উত্তর দিল,
-“সমস্যা নেই আমি কাল ভোরেই ফ্লাইটে চলে যাব।”
চপলা কণ্ঠে বেলা বলল,
-“রায়ায ভাই আসার আগে আমার জন্য কিন্তু বেশ কিছু চকলেট নিয়ে আসবেন।ঠিক আছে।
রায়ায মাথা নাড়ালো।
.
.
হামি তুলতে তুলতে শোয়া থেকে উঠে বসল বেলা।ঘড়িতে তাকিয়ে দেখল সকাল সাড়ে আটটা।
রেজন্ট দেওয়ার পর থেকে সকলে কোন অদ্ভুত চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকত।এতে যতটুকু বুঝলো বেলা,,কেউই এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করতে পারেনি তার এতো ভালো রেজাল্ট।সবাই বোধহয় ধরে নিয়েছিল সে ফেল করবে।আর সকলে তাকে ধরে বেধে রিকশা ওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে।ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নামল সে।কেমন তোড়জোড় লেগে গেছে যেন বাড়িতে।সেদিক তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে নিল বেলা।কেউ আসবে নাকি? নাহ তাকে তো এ বিষয়ে কেউ কিছু বলল না।সে গিয়ে বড়মা কে জিজ্ঞেস করল,
-“কী গো বড়মা? কেউ কী আসবে আজকে?”
রাজিয়া রওশন এই বিষয়ে কিছু বলতে পারল না তাকে।কেবল এতটুকু বলল,
-“আমি জানি না রে মা কে আসবে।তোর মা জানে।তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর।তার কথায়ই আমরা আয়োজন করছি।
বেলা এবার লেগে পরল রুমি রওশবের পিছনে। ঘুরঘুর করে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে লাগল,
-“বলো না মা কে আসবে? সেই তখন থেকে জিজ্ঞেস করে যাচ্ছি?”
বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে রুমি রওশন বলে উঠলেন,
-“যাবি এখন থেকে? নাকি দিব কয়েক ঘাঁ পিঠে?”
বলেই খুন্তিটা হাতে নিলেন তিনি।পিটুনির ভয়ে বেলা দিল এক দৌড়।
বিকেল বেলা হাতে একটা শাড়ি নিয়ে বেলার রুমে প্রবেশ করল রুমি রওশন।ট্যাবে গেম খেলতে খেলতে চিপস খাচ্ছিল বেলা।অকস্মাৎ মাকে নিজের রুমে দেখে বেশ কিছুটা অবাক হয়েছে সে।হাত থেকে ট্যাবটা পাশে রেখে উঠে বসল।জিজ্ঞেস করল,
-“কী হয়েছে মা! কিছু বলবে?”
ইতস্তত বোধ করতে করতে রুমি রওশন জবাব দিলেন,
-“হ্যাঁ আসলে বলছিলাম কী…এক শাড়িটা দ্রুত পড়ে নে।কিছুক্ষন পর বাড়িয়ে মেহমান আসবে।”
বেশ খুশি হলো বেলা।বাড়িয়ে মেহমান এলে তার বেশ লাগে।খুশি মনে জিজ্ঞেস করল,
-“তাই? কখন আসবে? আমি তো শাড়ি পরতে পারিনা তুমিই আমাকে শাড়ি পরিয়ে তৈরি করে দাও মা।”
সায় জানিয়ে রুমি রওশন মেয়েকে তৈরি করে দিতে লাগল।”
এরই মাঝে মেহমান এসে হাজির।বেলাকে দ্রুত হাতে তৈরি করে রুমি রওশন চলে গেল মেহমানদের কাছে।যাওয়ার পূর্বে কেবল বলে গেল,
-“একটু পর চিংকি আসছে।আমি যখন ডাক দিব ঠিক তখনই নিচে নামবি।এর আগে নিচে নামার কোনো দরকার নেই।আর হ্যাঁ অবশ্যই মাথায় কাপড় দিয়ে তারপর নামবি।
চিংকি আসতেই মাথায় ঘোমটা দিয়ে তার সাথে নিচে নামল বেলা।হুলরুমে আসতেই তাকে টেনে সোফায় বসিয়ে দিল রুমি রওশন।ভ্রু কুঁচকালো বেলা। এরা কারা?কাউকেই তো চেনা লাগছে বা তার! রুমি রওশন বেলাকে দেখিয়ে তার পাশে বসে মহিলার উদ্দেশ্যে বলল,
-“বুঝেছিস রেশমি এই হলো আমার মেয়ে।”
মহিলাটি মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করল,
-“নাম কী তোমার মা?”
-“রুবাইয়্যাত বেলা।”
-“এবার কোন ক্লাসে তুমি?”
-“এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি এবার।”
মহিলাটি আরো গোটা কয়েক প্রশ্ন করল বেলাকে।বেলা ও তার সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবেই দিল। কিয়ৎ কাল বাদ রুমি রওশন বললেন,
-“ও তাহলে উঠুক এখন থেকে কেমন?”
সায় জানাল মহিলাটি।অতঃপর বেলার হাতের মুঠোয় বেশ কিছু টাকা গুঁজে দিলেন তিনি।অবাক নয়নে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে লাগল বেলা।হচ্ছে কী এসব?
.
.
কান্নায় ভেংগে পরল বেলা।ভেজা কণ্ঠে রুমি রওশনকে বলল,
-“মা তুমি কী পাগল হয়ে গেলে? কিছুদিন হলো আমি কেবল এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি, এরই মাঝে তুমি আমার বিয়ের সম্বন্ধ দেখা শুরু করলে।”
-“তা সমস্যা কোথায়? বড় হচ্ছো তুমি।একদিন না একদিন তো বিয়ে করতেই হতো।এখন করলে সমস্যা কী?”
-“আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না মা!”
-“না করার তো কোনো কারণ দেখছি না।তার উপর ছেলে বড় একজন ডাক্তার।দেখতে ও বেশ ভালো? তাহলে সমস্যা ঠিক কোথায় হচ্ছে তোমায়?”
গলা ধরে আসছে বেলার। কী বলবে সে?
.
.
.
চলবে কী…?