#হালাল_প্রেমের_গল্পকথন -২
Tahrim Muntahana
সময়টা তখন রাত ১০ টা। কিছুক্ষণ হলো শশুড়বাড়িতে পা রেখেছে তাহু। তথাকথিত নিয়মের বেড়াজালে পড়তে হয়নি তাকে, বরং আসা মাত্রই তাহুর ননাস তাহুকে তার ঘরে রেখে এসেছে। ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়েছে তাহু। কেমন যেন অস্বস্তি বোধ করছে সে, বারবার মায়ের কথা মনে পড়ছে। এতক্ষণ তো এমন মনে হয়নি! পরিচিত অপরিচিতের ক্যানভাসে এসেই কি তাহুর মা কে প্রয়োজন হলো? ছলছল চোখ নিয়ে পুরো ঘর একপলক দেখে নেয় সে, কান্না রা যখন উপচে পড়তে চাইছে ঠিক তখনই মায়ের আরেক রূপ তাহুর শাশুড়ির গলার আওয়াজ শোনা যায়। ঘরে আসার অনুমতি চায়ছেন তিনি। তাহু নিজেকে সংযত করে নেয়, অনুমতি দিতেই খাবার নিয়ে ঘরে ঢুকেন তাহুর শাশুড়ি মিসেস ফাহিমা! মিষ্টি হেসে তাহুর শিউরে বসতেই তাহু ঝরঝর করে কেঁদে দেয়। মিসেস ফাহিমা যত্ন নিয়ে আগলে নেন ভাগ্নী কে। কান্নাভেজা কন্ঠে তাহু বললো,
~ বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছে মামি!
~ মনে তো পড়বেই। এখন কান্না করো না, আগে খেয়ে নাও, তারপর আপার সাথে কথা বলবে।
তাহু চুপচাপ মামির হাতে খেয়ে নেয়। মায়ের সাথে অনেকটা সময় কথা বলে। এরপরেই যেন চঞ্চলতা আবার তাহুকে ঘিরে ধরে। মিসেস ফাহিমা চলে যান বাকি কাজ করতে। ফোন থাকলে তাহুর আর ভয়-ডর নেই যেন। ডুবে যায় ফোনে, সময় পেরিয়ে যায়, ঘড়ির কাটা একটায় গিয়ে ঠেকে। কাজিন, বন্ধুদের দের সাথে আলাপ সেরে তাযিন আসে ঘরে। তাহুকে নির্ঘুম ফোন টিপতে দেখে চটজলদি এগিয়ে গিয়ে ফোনটা নিজের হাতে নিয়ে নেয়। আকস্মিক এমন হওয়ায় ভয় পেলেও তাহু খানিক রেগে যায়। তাযিন তাহুকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই বলে উঠে,
~ চুপচাপ ঘুমান। কোনো কথা নয়!
~ শুকরিয়া নামাজ আদায় করবেন না?
~ ওহ হ্যাঁ, খেয়াল ছিলো না। ওযু নিয়ে আসুন। তার আগে আমার সামনে দাঁড়ান তো!
তাহু চুপচাপ বরের সামনে দাঁড়ায়। তার খুব করে জানা এখন তাযিন কি করতে পারে। তাহুর ভাবনাকেই সত্য করে তাযিন তাহুর কপালে হাত রাখলো। বিড়বিড় করে কিছু দোয়া পড়ে তাহুর ললাটে উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে পিছু সরে আসলো দু কদম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে। আর সে যেন বলে-উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি!”
করণীয় কাজ টি শেষ হতেই তাহু ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকলো ওযু নিতে। দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে তাযিন পেছনে দাঁড়িয়ে গেল তাহু। আহা! কত জনমের ইচ্ছে যেন ছিল স্বামীর সাথে ইমামতিতে নামাজ আদায় করবে। আজ পূরণ হলো।
শুকরিয়া আদায় শেষ করে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়লো তাযিন। তাহু কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে উঠলো,
~ আপনি এখন ঘুমোবেন?
~তো আপনি কি মশা মারতে বলছেন?
~ আপনি, আমাকে আপনি আপনি করছেন কেন?
~ অভ্যেস, কয়েকদিন পর ঠিক হয়ে যাবে।
~ আপনি আসলেই ঘুমোবেন?
~ বয়স কত?
~ ১৮ বছর হতে আরো ২ মাস।
~ শিশু শিশুর মতো থাকেন, মুখে আঙুল ঢুকিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে নামাযের জন্য ডাকতে হলে আপনাকে বাথটাবে ভিজিয়ে রাখবো, মনে রাখবেন!
তাহু কিছুক্ষণ বিষ্ময়ে তাকিয়ে থেকে চোখ রাঙালো। এই ব্যাটার সাহস কত! তাকে ভয় দেখাচ্ছে! বিবাহিত একজন মেয়েকে শিশু বলায় চরম অপমানিত হলো তাহু, এমনিও সারাক্ষণ নিজেকে বাচ্চা দাবী করলেও এই সময় এমন সম্বোধন মানতে পারলো না। গমগম কন্ঠে বললো,
~ বুড়ো বেডার বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে। শিশু তাহলে বিয়ে করতে কে বলছিলো?
তাযিন বউয়ের কথায় হেসে উঠলো। ঘুমোনোর চিন্তা বাদ দিয়ে বললো,
~ আপনার ওযু আছে না?
~ আছে, কেন?
~ আপনি কোরআন তিলাওয়াত করবেন, আমি শুনবো!
~ ননন আমি শুনবো, আপনি তিলাওয়াত করবেন। আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,” নবীজি (সা.) আমার কোলে মাথা রাখতেন এবং কোরআন তিলাওয়াত করতেন। অথচ আমি ঋতুমতী ছিলাম।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৬৩৪)
হাদীসটা বলেই কোরআন শরীফ আনতে ছুটে গেল তাহু। তাযিন আর দ্বিমত করলো না। বরং তাহুর কোলে মাথা রেখে নিম্নস্বরে অনেকটা সময় তিলাওয়াত করলো। সময় কখন পেরিয়ে শেষ রাতে এসে ঠেকলো কেউ ই টের পেল না। কোরআন শরীফ যথা মর্যাদায় রেখে তাযিন কিছুক্ষণ নিজের চক্ষু শীতলকারীনী’র দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর আবার আল্লাহ’র কাছে হাজিরা দিতে উঠে দাঁড়ালো। তাহুর কাছে সবটা যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। আজ যেন ইচ্ছের ষোলকলা পূর্ণ হলো!
…
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকের সকাল টা ভিন্ন ছিল। ঘুম থেকে উঠেই নানান হাঁকডাকের আওয়াজ, কিছুক্ষণ পর পর কিছু মহিলাবৃন্দ এসে নতুন বউ দেখে যাচ্ছে, এটা সেটা মন্তব্য করছে; পুরো টা সকাল তাহুর পাংশুটেই কেটে গেল। দুপুর হতেই অনেকটা রিলেক্স মুডে চলে এলো তাহু। বাড়িতে শাশুড়ি, ননাস, বর ছাড়া কেউ নেই, অনেকটা মুক্ত পাখির উড়তে লাগলো সে। তবে একটা কাজেও হাত দিল না, কাজ দেখলেই যেন পালাই পালাই একটা ভাব এসে যায়। আর সে তেমন একটা কাজ পারেও না, যা পারে তার মধ্যে একশোটা ভুল করে বসে থাকে,শশুড় বাড়িতে প্রথম বারের মতো এসে নিজের ইজ্জত খোয়াতে কেই বা চাইবে!
শাশুড়ি-ননাসের সাথে এটা ওটা বলে হাসাহাসি করছিলো তাহু, দরজার অপাশ থেকে শশুড়ের ডাক ভেসে আসে। দৌড়ে এগিয়ে যাবে তার আগেই মফিজুর রহমান বলে উঠলেন,
~ আমার সাথে দুজন পুরুষ রয়েছে, ছোট মা কে নিজের ঘরে যেতে বলো তানিয়া।
নিজের বোকামোতে নিজেই লজ্জা পেল তাহু। পাগলের মতো ছুটে যাচ্ছিলো, কি অঘটন টাই না ঘটতো। জলদি করে নিজের ঘরে চলে যায় সে, তানিয়া এসে দরজা খুলে দেয়। ঘরে গিয়ে তাযিন কে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে তাহু মুচকি হেসে এগিয়ে যায়। এবার একটু জ্বালানো যাক! পানি দিয়ে গাল ভিজিয়ে তাযিনের শিউরে বসে ঠেলতে থাকে তাহু। ঘুম হালকা হতেই চোখ মেলে তাযিন। তাহুকে নাক টানতে দেখে ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। পুরোপুরি ঘুম টা ছাড়তেই যখন আসল ঘটনা বুঝতে পারে তাহুর পিঠে চাপড় বসিয়ে বলে উঠে,
~ এক্টিং পারফেক্টলি পারেন না, পুরো গাল ভেজালে যে কেউ ই বুঝতে পারবে আসল ঘটনা।
ধরা পড়ে তাহুর মুখ ছোট হয়ে যায়। অকর্মা হয়েছে একটা, কোনো কাজ ও ঠিকমতো করতে পারে না! মলিন মুখে বসে থেকে হঠাৎ মনে পড়ে তাযিন তাকে মেরেছে, নিজেও সর্বশক্তি দিয়ে তাযিনের পিঠে এক কিল বসিয়ে দিলো। ব্যাথায় পিঠ বেঁকিয়ে নিলো তাযিন। তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে ফেলতেই তাহু কিউট একটা হাসি দিয়ে বললো,
~ ব্যাথা পেয়েছেন? আমি এমন ভাবে দিতে চাইনি, শক্তি পেলাম না আর, আরেকটু জোরে দেওয়া যেত।
কথাটা শেষ হতেই তাহুর চুলের বেণী ধরে টান দিলো তাযিন। একপ্রকার ধস্তাধস্তি শেষে দুজনেই একযুগে নিম্নস্বরে হেসে উঠলো। যেন এর থেকে মজার বিষয় আর নেই। কিছুক্ষণ হাসার পর তাহু বললো,
~ কোনো একসময় বলেছিলাম, জামাইকে মারার জন্য হলেও বিয়ে করা উচিত। আজ ফলে গেল!
~ কোনো এক সময় আমিও বলেছিলাম বউয়ের নরম গালে শক্ত হাতের থাপ্পড় বসিয়ে গরম করে দেওয়ার জন্য হলেও বিয়ে করা উচিত।
চোখ ছোট ছোট হয়ে এলো তাহুর। তাযিন ভাবালেশ হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে রইলো। হঠাৎ করেই তাহু গেয়ে উঠলো,
~ আপনি ভালো না জামাই, আপনি ভালো না, আপনার মনে এই ছিলো আগে জানতাম না।
কিছুটা শব্দ করেই হাসলো তাযিন। যা ঘর ভেদ করে বাইরের মানুষদের কানেও পৌঁছালো। বসার ঘর থেকে উচ্চস্বরে তানিয়া বললো,
~ এখানে আসেন জনাব, আপনার হাসিখুশি মুখটা একটু দেখি। খেয়ে যে ঘরে ঢুকেছেন, বের হওয়ার নাম ও নেই দেখছি। লোকে এমনি বলে না বিয়ের পর ছেলে মানুষ পর হয়ে যায়।
তাহুই আগে বের হলো। মফিজুর রহমানের সাথে আসা লোক দুটো চলে গেছে। ননাসের সাথে তাল মিলিয়ে বললো,
~ ঠিক! আপু তুমি একদম ঠিক বলছো। বিয়ের পর ছেলে মানুষ পর হয়ে যায়, না হলে ঘরের বউ কে কেউ মারে?
~ ধরে নিয়ে আয় ওইটাকে, চ্যাঙদোলা করে পুকুরে ফেলে আসি। ও জন্ম নেওয়ার পর আমার আদর কমে গেছে, এখন বিয়ে করে আরেকজন নিয়ে আসছে, আদর ভাগেই নাই।
~ তুমি আমাকে এটা বলতে পারলা আপু? যাও আজকে আমি খাবো না।
কথাটা বলেই তাহু কিছুক্ষণ হেসে শাশুড়িকে উদ্দেশ্য করে বললো,
~ আম্মা, খিদে পেয়েছে।
~ তুই না বললি খাবি না আজ?
তানিয়ার কথায় চোখ কপালে তাহুর। কখন বললো খাবে না। খিদেয় মরে যাচ্ছে সে। নিজেই খাবার এনে তানিয়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,
~ বলেছি তোমাকে খাইয়ে দিতে হবে। আমার সত্যিই খুব খিদে পেয়েছে। আম্মু ফোন দিয়ে যখন বলবে, খাস নি কেন? আমি কি তখন শশুড়বাড়ির দুর্নাম করতে পারবো, আবার আমি মিথ্যে কথাও বলতে পারি না। আল্লাহ মিথ্যাবাদী কে ঘৃণা করেন।
তানিয়া আর কথা বাড়ালো না। মেয়েটার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খিদে পেয়েছে। ছোট থেকেই তাহুকে খুব সমিহ করে তানিয়া। যখন তাদের বাড়ি আসতো ছোট সময়ে, তানিয়ার মনে আছে কোল থেকে একদমই নামাতো না সে। আর বড় হওয়ার পর তো আসতোই না, সেই গিয়ে দেখে আসতো। আজ এই ছোট্ট মেয়েটা নাকি তার ভাইয়ের বউ, ভাবতেও তানিয়ার নিজেকে সুখী সুখী লাগছে। চারপাশের পরিবেশ দেখে চিন্তা হতো তার। সে থাকবে না, ভাইয়ের বউ কেমন না কেমন হবে, বাবা মা কে অনাদর করবে নাতো, খারাপ ব্যবহার করবে নাতো, এসব ই মাথায় জেঁকে বসতো। কিন্তু এখন সে হলফ করে বলতে পারবে দুনিয়া ছাড়লেও কোনো চিন্তায় তার নেই। মেয়েটা যে তার মতোই তার বাবা মা কে ভালোবাসে, ভালোবাসবে সে গ্যারান্টি দিতে পারবে। ভাবনার একপর্যায়ে তানিয়ার মনে হয় তাহু তার মা কে আম্মা বলে ডেকেছে। অবাক হয়ে বললো,
~ তুই মা কে আম্মা বলছিস?
~ মা বললে তো তখন কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলবা তোমার মা কে আমি তাবিজ করেছি, তাই আম্মা ডাকলাম। কিন্তু কেমন জানি হাসি পায়। ন মানে আগে মাম্মি ডাকতাম এখন আম্মা!
তানিয়াও হেসে উঠে। হঠাৎ করে সম্বোধন পাল্টালে খানিক ইতস্তত লাগবেই। তবে আম্মা ডাক টা দারুণ। খাওয়া শেষ, মুয়াজ্জিনের আহ্বান ভেসে আসছে। তাহু পানি খেয়ে চটজলদি উড়নার একাংশ মাথায় টেনে, তানিয়াকেও ইশারা করে। তবে তানিয়া সে ইশারা বুঝেও চুপচাপ আযানের জবাব দেয়। বলে উঠে,
~ নারীদের মাথায় কাপড় দেওয়া আজানের সাথে সম্পর্কিত নয়। নারীদের মাথায় কাপড় সব সময় থাকা উচিত। সেক্ষেত্রে আমি এখন ঘরে অবস্থান করছি, মাথায় কাপড় দেয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
তাহু হাসলো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,
~ আজানের সময় মাথায় কাপড় দেওয়া আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, এটিতে ধর্মীয় বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু তুমি কি জানো? অসতর্কাবস্থায় আজানের শব্দ শুনে একজন যদি সতর্ক হয় ও মাথায় কাপড় টেনে নেয় তাহলে এটা ঈমান ও আল্লাহভীতির পরিচয় দেয়। কারণ আজান আল্লাহ তায়ালার বড়ত্ব ও মহত্ত্বসংবলিত কিছু বাক্যের সমষ্টি, যা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক বা চিহ্ন। এটি সম্পর্কে হাদীস ও রয়েছে।
পবিত্র কোরআনে এসেছে, “কেউ আল্লাহর প্রতীকে সম্মান প্রদর্শন করলে সেটা তো তার হৃদয়ের খোদাভীতিপ্রসূত।”
(সুরা : হজ, আয়াত : ৩২)
তানিয়া বুঝে নিজেও সায় জানালো। তাহু চুপচাপ কিছুক্ষণ বসে চললো গোসল করতে। তাযিন ও মফিজুর রহমান মসজিদে চলে গেছে। তাহুও গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো। এই সময় না ঘুমালে চলবে না তার!
চলবে…?