#ভালো_তোকে_বাসতেই_হবে #লেখক_সুর্য_হুসাইন_শুভ #পর্ব_১

0
899

#ভালো_তোকে_বাসতেই_হবে
#লেখক_সুর্য_হুসাইন_শুভ
#পর্ব_১

বড়লোক বাপের একমাত্র সন্তান অন্তু। প্রচন্ড জেদি, বদমেজাজি তার সাথে আগুন ঝড়া
সুন্দরী ।
বি.বি.এ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ।
এটাও বলা যায় যে, সে তার ভার্সিটির সেরা সুন্দরীর খেতাব পেয়েছে ।
কিন্তু দিন দিন মেয়েটা আদর পেয়ে পেয়ে বাদরে পরনতি হচ্ছে দেখে, তার মা বাবার চিন্তার শেষ নেই ।

সারাদিন, হই হুললা আর আড্ডা মেরে পার
করে ।
আর কথায় কথায় বাজি ধরে সবার সাথে ,,
বাজিটা সে জিতবেই জিতবে ।
তার মা বাবা তাকে, অনেক চেষ্টা করেও বসে আনতে পারে নি ।
কারণ তাদের একটাই মাত্র সন্তান
তাই আদর পেয়ে পেয়ে অনেকটা বেয়াদা হয়ে গেছে । আর এখন এটা এতোই বেশি যে, তাদের পক্ষে কন্টোল করা অসম্ভব হয়ে গেছে ।

তাই তার মা বাবা ঠিক করলো, মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিবে ।

কিন্তু এই মেয়ের সম্পর্কে জানার পর কেউ তাকে বাড়ির বউ বানাতে
চাইবে না ।
শেষে এক গভীর চিন্তায় পড়লো তারা ।

শেষে অন্তুর মা সামিহা বেগম এর মনে হলো তার গ্রামের বান্ধবীর কথা ।
ওরা গ্রামে থাকে ,, ওদের তো একটাই ছেলে আছে । আর তাকে এই অবস্থায় থেকে, একমাত্র তার বান্ধবীই উদ্ধার করতে পারে ।
সানিহা বেগম তার বান্ধবীর সাথে কথা বলপ জানতে পারলো , তার ছেলের লেখাপড়া প্রায় শেষ ।
তাই বিয়েতে আপত্তি নেই তার ।
আর তার ছেলেও,, সেও কথা দিলো কথা ফেলবে না ।
আর তার অন্তুকে বেশ পছন্দ ।
তাই তিনি সামিহা বেগমকে পাকা কথা দিলেন ।

সামিহা বেগম গ্রামে গিয়ে তার বান্ধবীকে বুঝিয়ে বললো, আর তার সাথে তার বান্ধবীর ছেলেকেও দেখে আসলো ।
ছেলে দেখতে মাশাল্লাহ ।

সবদিক থেকেই পারফেক্ট । কিন্তু একটা সমস্যা ।
ছেলে গ্রামে লিখাপড়া করেছে তাই অন্তুর সাথে মানিয়ে নিতে পারবে না হয়তো ।

ছেলেকে সব বলে অন্তুর নাম্বারটা দিয়ে চলে আসে ।
তারা বাসায় এসে অন্তুকে বিয়ের কথা বলে
কিছুদিনের জন্য ভার্সিটিতে যাওয়া অফ করে দিতে বলে ৷।
অন্তু তো রেগে আগুন ।
এভাবে থাকার পর অন্তুর প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসছিলো ।
তাই সে আর পারছিলো না । সে তার আম্মুর কাছে জানতে চাইলো ছেলের সম্পর্কে ।
সব জেনে অন্তুর চোখ লাল হয়ে গেল ।
সে আব্বু আম্মুর মুখ চেয়ে বিয়ে করতে পারে কিন্তু একটা গাইয়া খ্যাত ছেলেকে কখনো তার স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারবে না ।

যে করেই হোক বিয়েটা ভাঙতেই হবে ।
তাই অন্তু ছেলেটির নাম্বার তার আম্মুর কাছ থেকে চেয়ে নিলো যে, সে ছেলেটির সাথে কথা বলে পরিচয় হতে চায় ।
বিয়ের আগেই ফ্রী হতে চায় জড়টা কাটিয়ে ।
তাই সামিহা বেগম ছেলেটির নাম্বার দিয়ে দিলো ।

অন্তু রাত ১১ টার দিকে ফোন দিলো ছেলেটির নাম্বারে ।

অন্তু : হ্যালো

.

ছেলেটি : কে কইতেছেন ?

.

অন্তু : আমি…… যার সাথে আপনার বিয়ের কথা ঠিক হয়েছে ।

.

ছেলেটি : ও, এইটা তুমার নাম্বার ?
আচ্ছা শুনো, তোমারে আমার মেলা পছন্দ ওইছে । মুই তুমারেই বিয়া
করিম ।

অন্তু : আপনি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারেন না ?

.

ছেলেটি : তুমি তো মোর বউ হবা,,
তুমার লগে শুদ্ধ ভাষায় কতা কয়ন যায় নাকি ?
এইটাই ঠিক আছে ।

.

অন্তু : ডিসগাসটিং….. এই শুনেন আমি আপনার মতো একটা গেয়ো ভুত, গাইয়া, খ্যাতকে বিয়ে করবো না ।

.

ছেলেটি : কিন্তু আমি তো তুমাক ই বিয়া করিম ।
মুই তো সবাক বন্ধু গুলাক কইয়া দিছি ।

.

অন্তু : আপনাকে বিয়ে করবো না,,
মরে গেলো না ।

.

ছেলেটি : তুমি মোক বিয়া করার লাইগা পাগল হইয়া যাইবা, মনে রেখো ।
মোরে বিয়া করার লাইগা মরতেও চাইবা ।

চলবে..?.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here