#প্রণয়_হাওয়া_লাগলো_মনে(০৮)
#সুমাইয়া_ইসলাম_জান্নাতি(লেখনীতে)
________________
নববধূ তার প্রিয় দর্শণের জন্য নিজেকে প্রণয়ের রঙে রাঙিয়ে বাসর ঘরে অপেক্ষা করছে। এ অপেক্ষার যেন শেষ নেই। এক অতীব সুন্দরী রমনী তার প্রণয় পুরুষের জন্য নিজেকে লাস্যময়ী রূপে সাজিয়ে তার আগমনের জন্য অপেক্ষা করছে অথচ সেই মানুষটারই কোন খবর নেই। অন্বেষার ধৈর্যের বাধ এবার যেন ভাঙলো। পড়নে ফিনফিনে পাতলা জামদানি শাড়ি। গলায়, হাতে, কানে হালকা জুয়েলারি। পাতলা শাড়িতে শরীরের কিছু অংশ দৃশ্যমান হলেও এমন সাজে অন্বেষাকে চোখ ধাঁধানো সুন্দর লাগছে। তার দিকে তাকালেই যেন অপর মানুষটির চোখ ঝলসে যাবে। আহা! কি তার সৌন্দর্য। বিশ্রামহীন একটা দিন গিয়েছে। শরীর ক্লান্তিতে নুয়ে পড়ছে। চোখে ঘুমেরা এসে হানা দিচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে এসে ঘুমেরা অন্বেষাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়ে যাবে তাদের ঘুমের রাজ্যে। কিন্তু অটল অন্বেষা, সে ঘুমাবে না। তার স্বামী সাহেব না আসা পর্যন্ত তার অপেক্ষায় কাটিয়ে দিবে সে।
এশার নামাজের পরে সবাই যখন রাতে খাবার খেতে ডাইনিংয়ে জড়ো হয়েছে ঠিক সেই সময় শোরুম থেকে সারফারাজের ফোন আসে। জরুরি ডাক পড়াই তখনই বেরিয়ে পড়তে হয়েছে শোরুমের উদ্দেশ্যে। বিয়ের যাবতীয় ঝামেলা, ব্যস্ততার জন্য দোকানগুলোর দিকে সারফারাজ সেভাবে নজর দিতে পারেনি। যার দরুণ ফোন পাওয়া মাত্রই তাকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে পরিবারের বারণ একপ্রকার অগ্রাহ্য করে। অন্বেষা নিরবে, নিশ্চুপে সবটা শুধু দেখে গিয়েছে। কিছু বলার নেই এখানে।
অন্বেষা বিছানা থেকে নেমে ছোট ছোট কদমে রুমময় পায়চারি করছে। ঘড়িতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখলো। সময় এগারোটা বেজে পাঁচ চল্লিশ মিনিট। প্রায় তিন ঘন্টা সারফারাজ বাইরে অবস্থান করছে বাড়ি থেকে। সবকিছু এক পাশে রেখে অন্বেষার এবার সারফারাজের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে। এ বাড়িতে আসার পর সারফারাজ এত রাত পর্যন্ত কখনও বাইরে থাকে না। আজই প্রথম। লো ভলিউমে যান্ত্রিক পাখা চলছে। রাতের আবহওয়া বেশ শান্ত ও শীতল। মাঝেমধ্যে বেলকণির গ্রিল গলিয়ে ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস রুমে আসছে। অথচ অন্বেষার শরীরে মৃদু ঘাম জমেছে। অন্বেষার মনে ভয় দানা বাধছে। মনে মনে বলছে, “কেমন মানুষ তিনি! নতুন বউ, বাসর ঘর রেখে কেউ কখনও এত রাত অব্দি বাইরে থাকে! কান্ডজ্ঞানহীন এক মানব!”
হঠাৎ দরজায় কড়াঘাতের শব্দ হলো। অন্বেষা পায়চারি বন্ধ করে স্থীর হয়ে দাড়ালো। আবারও কড়াঘাতের শব্দ। অন্বেষার চোখে মুখে স্পষ্ট লজ্জা ফুটে উঠেছে। লাজুক হেসে দ্রুতগতিতে গিয়ে দরজা খুলে দিল। ওপাশে হাসুর মা দাড়িয়ে। অন্বেষা যেন আরেকটু লজ্জা পেল। কি ভেবেছিল আর কি হলো।
”মা জননী! বাপজান কি আহে নাই?”
“জি না, খালা। তিনি আসেননি এখনো।”
“ওহ্। চিন্তা কইরো না। তাইলে সে কামে আইটকা পড়ছে। তুমি কি ঘুমাই গেছিলা? বিরক্ত করলাম মা!”
“না খালা। কি যে বলেন। বিরক্তি কিসের। এখনো ঘুমাইনি আমি। আপনি ঘুমাননি যে!”
“আমি রাইতের খাওন খাইয়া ঘুমাই গেছিলাম। রুমে পানি আছিলো না। পরে দেখি তোমাদের রুমে বাতি জ্বলতাছে। আন্দাজ করছি বাপজান আসে নাই। দেহো, আমার আন্দাজ ঠিক হইল।”
“ওহ্ আচ্ছা। খালা আপনার যদি সমস্যা না থাকে আসেন ভেতরে। একটু গল্প করি।”
“তুমি কফি খাবা বউ?”
নাহ্ থাক। এত রাতে আপনার কষ্ট করতে হবে না। এমনি আসেন। গল্প করি।”
“কিয়ের কষ্ট বউ! যামু আর আসব। তুমি এট্টু থাহো।”
“তাহলে আপনার জন্যও আনবেন। ঠিক আছে?”
হাসুর মা ইতস্তত করে বলল, “কি যে বল না। তোমার জন্য আনমুনে।”
অন্বেষা দৃঢ় কন্ঠে বলল, “একদমি না। একসাথে দুজনে পান করবো। দুজনেরটা নিয়ে আসবেন। ঠিক আছে?”
হাসুর মার চোখ মুখ ঝলমলিয়ে ওঠে। এমন প্রস্তাবে সে খুব একটা অখুশি হয়নি। তার চোখ মুখ দেখেই তা ভালো বোঝা যাচ্ছে। মাথা নাড়িয়ে জানালো ‘আইচ্ছা।’
অন্বেষা রুমে গিয়ে হালকা পাওয়ারের বাতি অফ করে সাদা আলোর ঝকঝকে বাতি অন করলো। সামনের দর্পণে নিজেকে এক অন্যরকম অন্বেষায় আবিষ্কার করলো। কি পাতলা শাড়ি। অন্বেষার খুব লজ্জা লাগছে। সে তাড়াতাড়ি একটা বড়সড় নামাজের হিজাবে নিজেকে মুড়িয়ে নিল। হাসুর মায়ের সামনে নিশ্চয়ই এমন সাজে সে যেতে পারে না। এ সাজ শুধু সুন্দরী রমনীর একান্ত মানুষটার জন্য।
কিছু সময় পর ধোঁয়া ওঠা দুকাপ গরম কফি নিয়ে রুমে ঢুকে হাসুর মা। অন্বেষা মুচকি হেসে এককাপ নিল আরেক কাপ হাসুর মা নিল। কথোপকথনের এক পর্যায়ে অন্বেষা হাসুর মার উদ্দেশ্যে বলল, “খালা! তিনি কি আজই এত রাত অব্দি বাইরে নাকি আগেও এমন হয়েছে?”
হাসুর মা মনোযোগ নিয়ে কফি পান করছিল। অন্বেষার প্রশ্ন বাক্যের পিঠে প্রতিত্তোরে বলল, “না, আগেও এমন রাইত হয়ছে। মাঝেমধ্যে দোকানপাটের হিসাবে গড়মিল হইলে এমন রাইত হয়। ঢাকার শহরে এ আর কি এমন রাইত। দেহ গে রাস্তায় এহনো কতশত কর্মব্যস্ত মানুষের আনাগোনা। তুমি চিন্তা করো না। আইয়া পড়বো।” বলেই আবারও কফি পানে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন হাসুর মা।
অন্বেষা এ পরিবারের সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। না জানারই কথা। হাসুর মায়ের কথা অবাক হয়ে শুনলো। অন্বেষার হঠাৎই মনে হলো এই ফাঁকে হাসুর মার থেকে কিছু কথা জেনে নেওয়াই যায়। গল্পের ছলে অজানা কথা জানা হলো। এ পরিবারের কার কি পছন্দ, অপছন্দ সে সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। হাসুর মার উদ্দেশ্যে আগ্রহ নিয়ে শুধালো, “খালা! ওনার কিসের শোরুম?”
“ও মা! তুমি জানো না বউ? বাপজানের তো একখান মোবাইলের শোরুম আরেকটা বেডাগো জামাকাপড় দোকান বড় মার্কেটে। তই তোমার শশুরের আরেকখান দোকান আছে। ওনিও আগে ব্যবসা করতেন। পাঞ্জাবির দোকান। এখনো আছে। সেইডা তোমার শাশুড়ির নামে চলে। সারফারাজ দেখাশোনা করে রাখে।”
অন্বেষা খেয়াল করলো হাসুর মা অতিরিক্ত কথা বলে। প্রশ্নের যতটুকু উত্তর দেওেয়া প্রয়োজন সে তার থেকেও কয়েকগুন বাড়িয়ে বলে। যেমন সৃজনশীল প্রশ্নের ক. দাগের এক মার্কের উত্তর সে ঘ. দাগের চার মার্কের উত্তরের মত বৃহৎ আকারে দেয়। ব্যাপারটা পরিক্ষার সময় হলে বোকামি আর সময় অপচয় ছাড়া কিছুই হতো না। কিন্তু অন্বেষার ভালোই উপকার হলো। এক প্রশ্নে আরও চার প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে। আগ্রহ নিয়ে সবটা শুনলো অন্বেষা। তারপর ছোট্ট করে বলল, “ওহ্ আচ্ছা।” আপাতত তার এ সম্পর্কে জানার মত কিছুই নেই। চুপ থাকাই শ্রেয় এটাই মনে করলো অন্বেষা। অন্যদিকে আবার সে বাড়াবাড়ি রকমের ইন্ট্রোর্ভাট। এতটা ছিল না অবশ্য। কিন্তু তার বিভীষিকাময় অতীত হতে বাধ্য করেছে। এত কিছুর মাঝেও অন্বেষার অতীত তার মস্তিষ্ক থেকে কখনও যায় না। কি করে যাবে! অতীত ভুলা কি এতই সহজ।
হাসুর মা যেন বহুদিন পর কথা বলার মত মানুষ পেল। এ বাড়ির প্রতিটা মানুষ খুবই ভালো। কিন্তু এত কথা কখনও বলার সাহস হয় না তার। অন্বেষা মনোযোগী শ্রোতার ন্যায় শুনছে সব। সে নিজেও হাসুর মার উদ্দেশ্যে বলল, “খালা, আপনার নিজের পরিবার নেই? সংসার স্বামী, সন্তান তারা কোথায়?”
হাসুর মা সাথে সাথে জবাব দিল না। এদিকে অন্বেষা খুব খারাপ লাগছে। হয়তো সরাসরি এভাবে প্রশ্ন না করলেও হতো। না জানি মানুষটা কষ্ট পেয়েছে কিনা! হাসুর মার নিরাবতা লক্ষ্য করে অন্বেষা পূনরায় বলল, “দুঃখিত খালা। আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। আমি বুঝতে পারিনি আমার কথায় কষ্ট পাবেন। দুঃখিত খালা।”
হাসুর মা নিরাবতার অবসান ঘটিয়ে বলল, “না গো বউ সেরকম কিছু না। আমার সংসার আছিলো। নিজের সংসার। কিন্তু বেশিদিন টিক নাই। পর পর দুইডা পোলা হইছিল বেশিদিন দুনিয়ার আলো বাতাস সহ্য হয় নাই তাগো। আল্লাহ্ উডায় নিছে। তারপর সে একদিন আরেকটা বিয়া কইরা হাজির হইলো। ব্যাস! আমার সংসারের ইতি ঘটলো তহন থেকেই। বাপের ভিটেই জায়গা হয় নাই। তোমার মত আমারো সৎ মা ছিল। মাইরা খ্যাদায় দিছে বাড়ি থেকে। আল্লাহর অশেষ রহমতে জায়গা হলো এ বাড়িতে। এ বাড়িতে যখন আসি সারফারাজের বয়স পনেরো থেকে ষোলো হবে। সাইমা সাইফা বেশ ছোট। আমার হাতেই মানুষ দুডো।”
কথার ইতি টেনে চোখের কোণে জায়গা নেওয়া পানিটুকু শাড়ির আঁচল দিয়ে মুচে নিল। হাসুর মার প্রতিটা কথায় ছিল গাঢ় বিষাদের ছোঁয়া।
অন্বেষার খুব খারাপ লাগলো। কয়টা দিনে মানুষটাকে হাসুখুশি রূপেই দেখে এসেছে সে। তার মধ্যে এত কষ্ট লুকিয়ে আছে ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি অন্বেষা। পৃথিবীর সবথেকে দুঃখি মানুষগুলোই বোধহয় অন্যের সামনে নিজেকে সুখি হাসিখুশি রাখার মারাত্মক সুন্দর নিখুঁত অভিনয়টা করতে পারে। কেউ কেউ হয়তো সফল হয়। যেমন : হাসুর মা।
হাসুর মা নিজেই আবার বলল, “বড় পোলাডা মাস খানিক বাঁইচা ছিল। নাম ছিল হাসেম। সেই থেকে ভাবিরা ‘হাসুর মা’ বলে ডাকতো। বিয়া শাদী আর করা হয় নাই। কে করবো? ততদিনে বেডা মানুষের ম্যালা রূপ আমি দেইখা ফেলছি। বেডার ঘর করবো না। এইতো এ বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে আছি। কাম কাজে সাহায্য করি। দিব্যি আছি গো বউ। সবই আল্লাহর রহমত।” মুখের এক টুকরো হাসি ফুটিয়ে তুলল হাসুর মা। আরেক অভিনয় মানুষটার।
অন্বেষা সৃষ্টি কর্তার নিকট কোটি কোটি শুকরিয়া জানাতে ভুলল না। তার জীবনে সারফারাজ নামক মানুষটা না আসলে কতটা নির্মম হতো ভাবতেই অন্বেষা শরীর কেঁপে ওঠে। হাসুর মার উদ্দেশ্য আহত স্বরে বলল, “দুঃখ কষ্ট সব অতীতের পাতায় তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। এইযে আমরা আছি। আমরাই তো আপনার সংসার পরিবার। তাই নয় কি?”
“হ আম্মা। তাই তো।”
“তাহলে আর দুঃখ কিসের? কখনও কষ্ট লাগলে, দুঃখ লাগলে এই অন্বেষাকে বলবেন। আমি আপনার কষ্ট সবথেকে ভালো বুঝবো। মেয়ে হিসাবে এই এতিমকে মেনে নিবেন তো খালা?”
হাসুর মা তাৎক্ষণিক জবাব দিতে পারলো না। চোখ দুটো দিয়ে ঝর্ণার পানির মত অভিস্রোতে পানি পড়ছে তার। অথচ মুখে এক টুকরো প্রাপ্তির হাসি। খপ করে অন্বেষার হাতদুটো নিজের হাতের মুঠোয় পুড়ে নিল হাসুর মা। মমতা ভরা কন্ঠে বলল, “মাগো, জীবনের সবচেয়ে দামি কথাটা শুনালে তুমি। অবশ্যই আমার মাইয়া তুমি। তোমার মত মাইয়ার মা হইতে কিসের আপত্তি থাকবে কও দেহি!”
রুমের দরজা খোলা পেয়ে হুড়মুড়িয়ে রুমে ঢুকলো সাইমা, সাইফা। চেহারাই কেমন আতঙ্কিত ভাব। অন্বেষা, হাসুর মা ওদের দেখে স্বাভাবিক হলো। সাইফা ভীত কন্ঠে গড়গড়িয়ে বলে উঠলো, “মিষ্টি ভাবি! ভাইয়া আজ রাতে ফিরতে পারবে না। ভাইয়া বাড়ি ফেরার পথে ওনার গাড়িতে বাচ্চা এক ছেলের এক্সিডেন্ড হয়েছে। এই নিয়েই হাসপাতাল থেকে থানায় দৌড়াদৌড়ি করা লাগছে ভাইয়ার। চিন্তাই থাকব ভেবে একটু আগেই ফোনে জানিয়েছে আমাকে। আমার মনে হলো এতবড় ঘটনা তোমাকে না জানালেই নয়। মাকে কিছু বলিনি। এমনিতেই তিনি প্রেশারের মানুষ।”
অন্বেষার বুকটা কেমন ধ্বক করে উঠলো। খুব মন চাইছে গগনবিদারী কান্নায় লুটিয়ে পড়তে। চোখ অশ্রুতে ছলছল করে উঠলো। কাঁপা কাঁপা স্বরে সাইফার উদ্দেশ্যে বলল, “বাচ্চাটা কি অবস্থা? খুব কি খারাপ? আর ওনি ঠিক আছে তো!”
“বাচ্চাটার অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ভাইয়া ঠিক আছে। নিজের কথা কিছুই বলেনি। আল্লাহকে ডাকো। ভাইয়া সকালে আসতে পারবে। ওদিকে ঝামেলা বেধেছে। বুঝোই তো বাংলাদেশের পাবলিক। দোষ কার এটা দেখবে না। কিন্তু গন্ডগোল পাকাতে ওস্তাদ। অন্যদিকে সাইমা কেঁদেয় চলেছে। সে বড্ড ইমোশনাল। কিন্তু সাইফা বেশ শক্ত। যেকোনো বিপদে সারফারাজের অনুপস্থিতিতে তাকেই সবাইকে সামলাতে হয়। সাইফার কথা শেষ হতে না হতেই জ্ঞানশূণ্য হয়ে লুটিয়ে পড়লো বিছানায় অন্বেষা। রুমের বাকি তিনটি প্রাণি আঁতকে উঠলো এ দৃশ্যে। সাইমার কান্নার পরিমাণ আরও বাড়লো। অন্যদিকে হাসুর মাও গুনগুনিয়ে কাঁদছেন।
“কান্না থামাও তোমরা। এভাবে কাঁদলে হবে? ভাবিকে ধরো। জ্ঞান ফেরাতে হবে তো! আমরা একসাথে তাহাজ্জুতের নামাজে ভাইয়া এবং বাচ্চাটার সুস্থতা ভিক্ষা চাইবো আল্লাহর কাছে। আব্বু তো নেই। নিয়ে গেছেন আল্লাহ্। আমার ভাইটার যেন কিছু না করেন। এটাই চাওয়া।” শক্ত মনের অধিকারী সাইফাও কেঁদে ফেলল। আনন্দ পূর্ণ বাড়িতে শোকের ছায়া নামতে বেশিক্ষণ লাগলো না।
ইনশাআল্লাহ চলবে….
আমি খুবই দুঃখিত+লজ্জিত। কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছিনা। এত ব্যস্ততা যে লেখার সময় হয়নি। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত দিব এখন থেকে। ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন। মার্জিত ভাষায় ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।