#গল্পগুচ্ছ_সমগ্র
#অচেনা_কেউ
#পর্ব_৪
লেখক_আয়াত_মুস্তারিহ_আয়ান
.
আমি শুধু একটা জিনিশ ই ভবাতেছি..সেই অচেনা মানুষটি কি আসবে আমার কাছে আবারো..
সে তো না করে দিছে..
.
তাহলে এখন কি হবে আমার..
আমার ভাবতেই ভয় করছে কিন্তু আমার ভাই তো আমাকে খুবলে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে..
.
সে আসতে আসতে আমার কাছে আসছে..
আর আমার নিশ্বাস ঘন হয়ে আসছে..
.
আমি চেচাতেও পারবো নাহ..
কি করি এখন?
.
সে আমার কাছে এসে গেছে..
.
.
এমন সময় বারান্দার দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম..
.
আমি ও সেদিকে তাকালাম..আরাফ ও সেদিকে তাকালো..
.
একটা ছেলে..
.
হে একটা ছেলে প্রবেশ করলে রুমে..হেসে হেসেই ঢুকলো কিন্তু আরাফকে আমার উপরে দেখে তার হাসি কোথায় যেনো উড়ে গেলো..
.
এই বেটা তুই কেরে??(আরাফ)
>আরে আমি কে তুই জানিশ নাহ??
>আরে এই মুহুর্তে কেউ আসে??
>আয়েশা??কে ও??(ছেলেটি..)
.
আমি সুযোগ বুঝে ধাক্কা দিয়ে সরে এলাম..ছেলেটির পিছনে দাড়িয়ে আছি আমি..
>আরে কে তুই???(আরাফ)
>ওকে সো লেটস ইনট্রেডিউজ দ্যা মোস্ট এন্টাটেরনিং কেরেক্টার অফ দ্যা স্টোরি..
.
আয়ান নামটা শুনে আমার অন্তর কেপে উঠলো..
এই তাহলে সেই আয়ান??
.
>আবে তুই কোন আয়ান??(আরাফ)
.
আয়ান আর কিছু বলল নাহ…চুপচাপ আরাফ এর কাছে গেলো..
.
আরাফ আয়ান কে মারতে আসে..
আর আয়ান সাথে সাথেই ওর হাত ধরে ফেলে.।
.
.
ঠাসসসসসসসসসসস…ঠাসসসসসসসসসস.
.
একটা মেয়ের সাথে জোড়াজোড়ি করতে খারাপ লাগে নাহ??সাহস বেশি হয়ে গেছে তাই নাহ??
.
আয়েশা যাও জুতা নিয়ে এসো তোমার..
.
আমি দাড়িয়েই আছি..
সে আমায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে জোড়ে একটা ধমক দেয়..
.
যেতে বললাম নাহ???জলদি যাও…
.
.
আমি জলদি সেখানে গেলাম..
.
আয়ান রেগে ফায়ার..
.
সে আরাফ কে এখন ও চড়াচ্ছে.. আর আরাফ কাদছে..
আমি আসার সাথে সাথেই বললো যে..
.
.
জুতার বারি দিতে থাকো একে..
.
আমিও শরীরের সব জ্বালা নিয়ে যেনো তাকে পেটাতে থাকলাম..
.
এতো রাগ.. ফারহানের রাগ সহ তার উপর ঝাড়তে থাকলাম।।।
.
কিছুক্ষন পরে আমাকে আয়ান থামিয়ে দিলো..
.
আমাকে সাইডে নিয়ে কানে কানে আরাফ কে ক যেনো বললো.. ..
.
আর আরাফ চুপ চাপ বিছানা থেকে উঠে ওর রুমে গেলো..
.
কিছুক্ষন পরে দেখি ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।।
।
আমি কিছুই বুঝলাম নাহ..
.
.
.
আচ্ছা আপনি ওর কানে কানে কি বললেন??
>সেটা তোমাকে বলতে হবে??বেবিডল??
>না মানে..
>আর যাই বলো তোমাকে কিন্তু তোয়ালে তে সেই লাগে??
.
এমা… আমি এতোক্ষন এতো কিছুর মাঝে খেয়াল ই করি নি যে আমি এখন ও তোয়ালে পড়ে আছি..
.
.
আমি জলদি রুমে গেলাম..আর চেঞ্জ করে এলাম..
.
.
এদিকে আম্মু ও চলে এসেছে..
.
আমি বাহিরে এসে দেখি আম্মু আর আয়ান গল্প করছে।।
.
আম্মু কি তবে আয়ান কে চিনে??
.
>আয়েশা তুই নাকি আয়ানকে চিনিশ নাহ??(আম্মু)
>হে আম্মু..কে উনি??
>আরে আয়েশা??ও হলো..
>থাক আন্টি..বলতে হবে নাহ..আমি ওকে মনে করিয়ে দিবো..(আয়ান)
>আচ্ছা বাবা..
.
আমি চুপ রইলাম..
.
আয়ান চুপচাপ এসে আমার হাত ধরে বলতে লাগলো..
.
তোমাকে না.. নীল জামাতে চমৎকার মানায় আয়েশ..
.
>এটা আমি জানি মিষ্টার..আয় য়ান..
.
>এটা আয় য়ান না..আয়ান..হবে..
.>সে যাই হোক আমি তো আয় য়ান ই বলবো..
.
.
আহহহহ.
.
আয়ান আমার হাত ধরে বাহিরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে.।
.
আন্টি যাই আপনার মেয়েকে নিয়ে..হারিয়ে গেলে খুইজেন নাহ..(আয়ান)
>আচ্ছা বাবা যাও..
.
.
আয়ান আর আমি বাহিরে চলে আসি..
.
.
আচ্ছা আয়েশা.. তুমি তো নৌকায় চড়তে পছন্দ করো তাই নাহ??
>হুম করি.
>চল আমরা নৌকায় ঘুরবো আজ..
>উম..আচ্ছা চলেন..
.
.
আয়ানের সাথে থেকে আমি যেনো ভুলেই গেছি যে আজ সকালে আমার সাথে অনেক খারাপ কিছু হতে যাচ্ছিলো..
.
আমার আয়ানকে জিজ্ঞাসা করতে মনে নেই যে সে বারান্দায় কি করে এলো..
.
আমরা নৌকায় উঠি..
.
>আচ্ছা আমার দুইটা প্রশ্ন আছে আয় য়ান বাবু..
>কি প্রশ্ন??
>আপনি বারান্দা দিয়ে কিভাবে এলেন??
>আরে আমি এর আগে না হলেও ২০বারের উপরে তোমার বারান্দা দিয়ে এসেছি..আন্টি কতো বকলো আমায়..
.
>কি???আর ইউ সিরিয়াস??
>১কোটি%
.
>আমার মনে নেই কেনো..??
>তা আমি কি করে বলবো??
>তাও কথা..
>আচ্ছা তোমার ২য় প্রশ্নটা আমি করে দেই??
>তুমি কি করে জানো??
>তোমার ২য় প্রশ্ন হবে তোমার নৌকায় উঠা কি পছন্দ এটা আমি কি করে জানলাম…তাই তো??
>আরেএএএ😯😯😯
>হিহি আয়েশ ম্যাম..আমি সব জানি…
.
.
আসলে তুমি এমন কোন প্রশ্ন করবে তা আমি ভালো করেই জানি..
.
কারণ যে এতো কিছু ভুলতে পারে সে এটাও ভুলতে পারে যে আমি জানি তার নৌকায় উঠা পছন্দ..
.
.
আমরা নৌকায় করে অনেক দূর এলাম..
.
এমন সময় মাঝি ভিতর থেকে ইলিশ বের করে আনলো..
সাথে গরম ভাত..
.
আমি দেখে শক হয়ে গেলাম..
.
এটা কিভাবে সম্ভব??কিন্ত পরক্ষনেই মনে পড়লো..ও তো,সব জানে আমার ব্যাপারে..
.
.
আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে খেতে বসলাম..হয়তো সব তার আগের প্ল্যান ছিলো..
.
.
আমি খাচ্ছি আর সে আমার দিকে তাকিয়ে তৃপ্তিময় হাসি দিচ্ছে.
.
আমি কেনো জানি ছেলেটার মায়ায় পড়ে যাচ্ছি..
এতোটা মায়ায় যা বলার বাহিরে..
আমি যে কিছু দিন আগে একটা ছেলেকে ভালোবেসে ধোকা খেলাম সেই বিষয়েও আমার খেয়াল ই নেই..
.
.
.
আমি খেয়ে তার সাথে বসে গল্প করছি..সে খায় নি..খাওয়ার অনেক্ষন পরে মনে পড়লো আমি তো তাকে একটা বার অফার ও করি নি..
.
দাতে কামড় দেই..কিন্তু সরি বলি নি…
.
সন্ধ্যা হয়ে এসেছে প্রায়..
.
সব থেকে সুন্দর দৃশ্য লাগছে আমার এটা..
.
সাথে আয়ান..সে হাত ধরে আছে আমার..
.
পাশাপাশি দুইজন বসে আছি আমরা..মাঝি তার আপন মনে গান গেয়ে চলছে..এতোটা রোমান্টিক সিন আমার লাইফে আসবে এইটা..ভাবা যায় নাহ..
.
.
এই মুহুর্তটার জন্য জীবন ও ছেড়ে দেওয়া যায়..
.
.
যাই হোক..।সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরি আমি..
.
বাবা এসে যাবে অফিস থেকে কিছুক্ষনের মাঝেই..
.
আমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি আর সারাদিনের কথা ভাবছি..
.
।
..
.
.
এদিকে আয়ান তার বাসায় যায়..বাসায় গিয়ে রুমের লাইট অন করতেই..
।
তিশা বলে উঠে..
.
.
আয়াত.কাজ টা কি ঠিক হচ্ছে আদো??
>তিশা তুই জানিশ..আয়াত একবার যা বলে তা করেই ছাড়ে..
>আয়াত মেয়েটার দোষ ছিলো না ওই ঘটনায়..
>আমি তো দোষ দেখতে চাই নাহ..ও ছিলো সেই ঘটনায়..ওর দোষ থাকুক বা না থাকুক..
ওর বিশ্বাস এমন পর্যায়ে জয় করবো যে ও আমার জন্য জীবন দিতেও রাজি হয়ে যাবে..
আর সেই,সময় ওকে শেষ করে দিবো আমি…
.
.
হাহাহাহায়াহাহা…(আয়ান)
.
.
.
.
।
আয়েশা রাতে খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে..তার বাবার সাথে কথাও বলতেছে..
.
হঠাৎ তার বাবার মনে হয় সে তো একটা টেবলেট খায় নি..
আয়েশা মা আমার বরিটা এনে দে তো…
.
.
আয়েশাও লক্ষি মেয়ের মেয়ের মতো তার বাবার রুমে যায়..
.
বাবার রুমে যেতেই দেখে তার বাবার ফোনের আলো জ্বলে উঠে..
.আর স্ক্রিনে অচেনা তুমির নাম্বার থেকে মেসেজ..
.
সে অনেক শক হয়..
.
যখন সে মেসেজ পড়ে তখন তো সে পুরাই শক..এখন যেনো তার কাছে সব পরিষ্কার
.
এর মানে এই অচেনা তুমি ই…..
..
.
.
.
.
#চলবে…
.
নতুন গল্প পেতে পেজে ফলো করে রাখলে পোস্ট করলেই নোটিফিকেশন পেয়ে যাবেন 👍👍👍👍গল্পগুচ্ছ সমগ্র