#লুকানো_অনুভূতি
#পর্বঃ২
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
পাসে তাকাতেই দেখতে পেলাম রোয়েন বাইক নিয়ে দারিয়ে আছে। এমন সময় রোয়েনকে দেখে চমকে উঠলাম।
বাইকে উঠে বোস, গম্ভীর কন্ঠে বলেলো রোয়েন।
আমি আবারও চমকে উঠে তার দিকে তাকালাম। যে বাইকে উনি কাওকে উঠতে দেয় না সেখানে আমাকে বলতেছে তার বাইকে উঠতে, ভাবা যায়? তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম এগুলো।
এভাবে না তাকিয়ে থেকে বাইকে ওঠ তারাতারি।
ইয়ে মানে আমাকেতো ইয়াদ ভাইয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলো।
ইয়াদ একটা কাজে আটকে গেছে তাই আমাকে দিয়ে আসতে বলেছে আর নাহলে আমার এতো আজাইরা টাইম নাই যে তোকে শুধু শুধু দিয়ে আসতে যবো।
তার লাস্টের কথা শুনে খানিকটা খারাপ লাগলো, যাবো না আপনার সাথে, আমি একাই যেতে পারবো।
থাপ্পর দিয়ে কান ফাটিয়ে ফেলবো, তোকে বাইকে উঠতে বলেছি কানে যায় না কথা?
যানি এখন তার কথা না শুনলে আরো রেগে যাবে তাই বাধ্য হয়ে তার পিছে উঠে বসলাম। অভিমান হলো তার উপরে, ভালো করে কি কথা বলা যায় না একটু। সব সময় ধমক, থপ্পর এগুলোই আসে মুখে। মনে হয় তার জাত শত্রু আমি। অভিমান হলো তার উপরে। গাল ফুলিয়ে বাইকে উঠে দূরত্ব বজায় রেখে বোসলাম।
ধরে বোস আর নাহলে পড়ে যাবি, গম্ভীর কন্ঠে আবারও বলে উঠলেন তিনি এই কথাটা।
ধরা লাগবে না এভাবে ঠিক আছি আমি।
থাপ্পর খওয়ার আগে ধরে বোস বলে দিলাম। তোর সাথে ভালো ভাবে কথা বলতে হয় না, তাহলেই তোর তেরামো শুরু হয়। থাপ্পর দিয়ে তোর তেরামো ছুটিয়ে দিবো ইস্টুপিট।
তার কথা শুনে গাল আরো ফুলিয়ে তাকে ধরে বসে রইলাম। সহ্য হয় না একদম লোকটাকে, সবার সাথে মিস্টি ভাষায় কথা বলতে পারে, আমার সাথে কথা বললেই তিতা কথা বের হয়, খাটাশ একটা।
উনাকে মনে মনে গালি দিতে দিতে বাইক এসে থামলো বাসার সামনে।
বাইক থেকে নেমে আমাকে নিয়ে বাসায় ডুকলেন। আম্মু তাকে দেখেতো মহা খুসি।
মিনা বেগম বললো আরে রোয়েন যে, কেমন আছো বাবা?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো মামি, তুমি কেমন আছ?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বাবা।
বসো তুমি, আমি তোমার জন্য ঠান্ডা সরবত বানিয়ে আনি।
না মামি মনি এখন কিছু আনা লাগবে না, আমি চলে যাবো। হুর আজকে পরে যেয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছে তাই ওকে দিয়ে যেতে আসলাম।
রোয়েন ভাইর কথা শুনে মাথায় বাঁশ আমার, কি দরকার ছিলো আম্মুকে এই কথাটা যানানো। ইচ্ছে করতেছে তার মাথাটা ফাটিয়ে দেই। এখন যে আম্মু আমার অবস্থা খারাপ করবে বকবক করে। বলতে না বলতে শুরু হয়ে গেলো আম্মুর বকাঝকা।
আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বললো পরবে না তাহলে কি করবে, একটা সেকেন্ড এই মেয়ে স্থীর থকে। সবসময় ছোটাছুটি করবে, এই মেয়েকে নিয়ে আমি আর পারি না।
আম্মুর বকা থেকে বাচার জন্য বড় আম্মুকে খুজচ্ছি আমি, এর ভিতরেই বড় আম্মু এসে আম্মুকে বললো কিরে ছোট কি হয়েছে? আমাদের হুর পরিকে বকা দিচ্ছিস কেনো?
তোমার আদরের মেয়ের সভাব ভলো তো এই জন্য বকা দিচ্ছি, এই বলে মিনা বেগম সব ঘটনা ইয়াসমিন বেগামকে খুলে বল্লেন। সব সুনে ইয়াসমিন বেগাম বললো মেয়েটা আমার ব্যথা পেয়েছে আর তুই ওকে বকা দিচ্ছিস, চুপ কর। এ বলে বড় আম্মু আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো একটু সাবধানে চলবি না মা, এখন পয়ের অবস্থা কি?
আম্মু এখন তেমন ব্যথা নেই, হালকা আছে সেরে যাবে।
আচ্ছা মা তুই যা ফ্রেশ হয়ে আয়। খেয়ে একটা ব্যথার মেডিসিন খেলে ব্যথা সেরে যাবে।
আচ্ছা বলে চলে আসি। আসার সময় শুনতে পেলাম রোয়েন ভাইর সাথে আম্মুরা টুকি টাকি কথা বলছে, ভাইয়া চলে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু আম্মুরা দুপুরে না খেয়ে যেতে দিবে না।
আমি রুমে এসে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের ডুকে গেলাম, এখন সাওয়ার নিলে একটু ভালোলাগবে।
এইদিকে রোয়েন চলে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দিলো না মিনা বেগম আর ইয়াসমিন বেগাম।
ইয়াসমিন বেগম বললো য়াও বাবা তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো।
যাচ্ছি, নানিজান কোথায়? দেখতে পারছি না যে..
মায়ের শরিরটা তেমন ভালো না তাই রুমে সুয়ে আছে।
ওহ! এই বলে রোয়েন উপরে উঠেগেলো ফ্রেশ হওয়ার জন্য। কি মনে করে হুর এর রুমের কাছে এসে ওর রুমে চলে গেলো।
হুর ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে সামনে তাকাতেই ওর বুকের ভিতর ধক করে উঠলো। কারণ ওর বেডে রেয়েন আরাম করে বসে ফোন টিপতেছে।
তারা তারি ওরনাটা ঠিক করলাম, রোয়েন ভাই আপনি এখানে কেনো? আমতা আমতা করে বল্লাম।
কেনো আসতে পারি না? সোজা সাপটার উত্তর তার
না ইয়ে.. মানে.. আসলে.. হটাৎ করে…….
উনি কোনো কথা না বলে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
আমি পিছেতে পিছেতে বল্লাম এ.ভা.বে আ..আগাচ্ছেন কেনো? তুতলিয়ে বল্লাম।
পিছাতে পিছাতে ওয়াশরুমের দরজার সাথে পিঠ ঠেকলো।
উনি এসে আমার দু পাসে হাত রাখলো।
ভয়ে আমি চোখ খিচে বন্ধ করে রাখলাম। হার্টবিট অনেক বেরে গেছে আমার। অনেক সময় এভাবে থাকার পরেও দেখালাম উনি কিছু বলছে না, তখন পিটপিট করে চোখ খুলে দেখি উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক ধেনে। কিছু একটা আছে ওনার এই চোখে যার ভাষা বুঝতে সক্ষম হলাম না আমি।
আমার তাকানো দেখে উনি আমাকে সরিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমের চলে গেলো।
তাজ্জব বনে গেলাম ওনার কাজ দেখে, বাসায় কি আর কোনো ওয়াশরুম নেই যে আমার টায় ডুকে গেলো।
তখন আমার ফোন বেজে ওঠলো, ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি রিহু কল দিয়েছে। কল রিসিভ করে বেলকনিতে চলে গেলাম।
কথা বলা শেষ করে রুমে আসতেই দেখি রোয়ন ভাই ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছে। তাকে দেখে থমকে গেলাম। চোখমুখে পানি দেওয়ার কারণে ফরসা মুখে পানি গুলো মুক্তোর মতো লাগতেছে।
কফি বানিয়ে আন মাথা ধরেছে আমার।
তার কথায় আমার ধেন ভাঙলো। ছি ছি কিভাবে তাকিয়ে ছিলাম, ভাইয়া কি ভাবলে। আমি তারা তারি করে রুমের বাহিরে চলে গেলাম।
তারা তারি কিচেনে চলে গেলাম, যেয়ে দেখি আম্মু কফি বানিয়ে ফেলেছে, আমার আর কস্ট করে বানানো লাগলো না।
যা কফিটা নিয়ে রোয়েনকে দিয়ে আয়, ছেলেটা সেই কখন আসলো এখনো কিছু মুখে দিলো না। আমার হাতে কফিটা দিয়ে আম্মু আবার কাজে বেস্ত হয়ে হয়ে গেলো।
আমি কফিটা নিয়ে আসতে আসতে রুমের দিকে গেলাম। রুমে যেয়ে দেখলাম……
চলবে?