#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৭
ইউনিভার্সিটি চত্বর! বৃক্ষতলে বসে রয়েছে বন্ধুরা। সূর্য্যি মামার সংস্পর্শে স্বেদজল উপস্থিত মুখশ্রীতে। সকলে অপেক্ষায় দুই মানবীর। কিন্তু তাদের দেখা ই নেই। আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে? পুষ্পি হাত দিয়ে বাতাস করতে করতে শুধালো,
” ওই দুই মাইয়া গেছেডা কই? বাড়িত থে আসতে এতক্ষণ লাগে? মনে হইতাছে মঙ্গল থে রওনা দিছে। ”
বিশাল মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
” একদম ঠিক কইছোছ। অগো বাড়ি তো মঙ্গলের এক চিপায়। জানোছ না? ”
” আস্ত অলস। ”
পুষ্পি কথাটা বলতে না বলতেই মৃদু চিৎকার করে উঠলো। ওর চিৎকারে হতবিহ্বল হয়ে গেল বাকিরা! বিন্দু বুকে হাত রেখে ভীত স্বরে শুধালো,
” ক্ কি হইছে? চিৎকার করোছ ক্যান? দিনদুপুরে ভূত দেখছোছ নি? ”
” ইয়েস বেবি। ওই যে দুই মামদো ভূত আইতাছে। ”
পুষ্পি’র ইশারা মোতাবেক ওরা তাকালো পেছনে। স্বস্তির নিঃশ্বাস নির্গত হলো। দুয়া এবং তৃষা হেলেদুলে আসছে। দুয়া এসে ধপ করে বসলো বিন্দুর পাশে। তৃষা বসলো পুষ্পির পাশে। দু’জনেই হাঁপিয়ে গেছে। দুয়া ব্যাগ থেকে ওয়াটার বোতল বের করে ঢকঢক করে তিন ঢোকে পানি পান করলো।
” পানি দে দোস্ত। ”
তৃষা হাত বাড়িয়ে। দুয়া ওর হাতে বোতল ধরিয়ে টিস্যু দিয়ে মুখশ্রী হতে স্বেদজল মুছে নিলো। পানি পান করা শেষে বোতল ফিরিয়ে দিলো তৃষা। এতক্ষণে ওরা দু’জন লক্ষ্য করলো বাকিরা ওদের দিকে কেমন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে।
” কি হয়েছে? এমন পুলিশি নজরে তাকিয়ে আছিস কেন? ” প্রশ্ন করলো দুয়া।
” আমরা চোর না ডাকাত? নজর ঠিক কর। ”
তৃষা বলতে না বলতেই খ্যাঁক করে উঠলো বিশাল।
” ফা’জিল মাইয়া! মডেলিং কইরা হেলতে দুলতে দুলতে আইছে! আইয়া আবার ভাব নেয়। আমরা বুঝি অদৃশ্য?”
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দুয়া মেকি হাসলো। থেমে থেমে বললো,
” অদৃশ্য হতে যাবি কেন? দেখেছি তো। বুঝতেই পারছিস কি গরম। ”
বিন্দু ভেংচি কেটে বললো,
” হ তোদেরই খালি গরম লাগে। আমরা তো এসির তলে বসে বসে হাওয়া খাইতাছি! ”
তৃষা অবাক হওয়ার ভান করে বললো,
” এসি! ওহ্ মাই আল্লাহ্! ওই টাকলু অধ্যক্ষ এসি লাগাইলো কবে? ”
দুম করে ওর পিঠে এক ঘু ষি মে|রে দিলো পুষ্পি। ক্ষ্যা”পা ষাঁড়ের মত গর্জন করে উঠলো তৃষা।
” পুষ্পা রে! হাত সামলা। নইলে তোরে পিডাইয়া কিন্তু বিল্লু অর্জুন বানাই দিমু। ”
তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ জানালো পুষ্পি। শীতল কণ্ঠে বললো,
” তৃষ! ভালো হইয়া যা। ভালো হইতে পয়সা লাগে না। তোর কত বড় সাহস! আমার আল্লু বেবিরে বিল্লু ডাকোছ! ”
” ডাকছি তো কি হইছে? আল্লু না বিল্লু না ঘিল্লু! নামে কি আসে যায়? ”
” অফকোর্স আসে যায়। তোরে যদি এহন তৃষ্ণা ডাকি? ভালো লাগবে? ”
” নিশ্চয়ই লাগবে। ”
গদগদ কন্ঠে বললো তৃষা। ওদের দু’জনের কাণ্ড দেখে দুয়া’র কপাল চাপড়াতে ইচ্ছে হলো। ও কিছুটা তীক্ষ্ণ চাহনি নিক্ষেপ করে ওদের দুজনকে বললো,
” আল্লু হেটার্স আর ডাই হার্ট ফ্যান! তোরা থামবি? গরমের মধ্যে কি শুরু করছোছ? ”
” ক্যাচাল শুরু করছে। ”
ফোঁড়ন কেটে বললো ওদের বন্ধুমহলের রত্ন! সবচেয়ে পড়ুয়া ছেলেটা। তিয়াশ! চোখে স্বল্প পাওয়ার চশমা। শ্যামবর্ণ মুখ গরমে রক্তিম হয়ে উঠেছে। পুষ্পি দাঁতে দাঁত চিবিয়ে যেই না কিছু বলতে উদ্যত হলো অমনি উঠে দাঁড়ালো তিয়াশ। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে হাতঘড়িতে একবার চোখ বুলিয়ে বললো,
” ক্লাস শুরু হতে পাঁচ মিনিট বাকি। তোদের ক্লাসে যাওয়ার ইচ্ছা আছে কি নেই? ”
তড়িৎ উঠে পড়লো দুয়া। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বললো,
” অফকোর্স আছে। ”
দুয়া’র দেখাদেখি বাকিরাও উঠে পড়লো। বিশাল অসন্তুষ্ট কণ্ঠে বলে উঠলো,
” শুরুতেই ওই ব্যা টা টাকলার ক্লাস। ধুৎ! ভাল্লাগে না। ”
সবাই মিলে পা বাড়ালো নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টের দিকে। তৃষা ও পুষ্পি বায়োলজি ডিপার্টমেন্ট। বাকিরা অ্যাকাউন্টিং এ।
•
বহু কষ্টে প্রথম ক্লাস শেষ করলো তৃষা, পুষ্পি। কাঁদো কাঁদো মুখ করে একে অপরের দিকে তাকিয়ে।
” দোস্ত রেডি থাক। সুনামি আসছে। আজকের পড়া রেডি করছোছ তো? ”
পুষ্পি উৎফুল্ল কণ্ঠে বললো,
” আজ আর ভুল করিনি। ঊনসত্তর থেকে ঊনআশি পৃষ্ঠা পুরো ঠূটস্ত করে আসছি। পড়া ধরলেই ফরফর করে বলে দেবো। ”
তৃষা ওর মাথায় গাট্টা মে রে বললো,
” গা’ধির গা’ধি। পড়া দিছে ছিয়ানব্বই পৃষ্ঠা থেকে। আর উনি পড়ে আসছে কি! ”
আহাজারি করে উঠলো পুষ্পি।
” ইন্না লিল্লাহ। শেষমেষ নয়ছয় আমারে এমনে শেষ কইরা দিলো? ও আল্লাহ্ গো! এহন কি হবে? রাক্ষস যে আমারে জীবন্ত অপমান করবে! ”
তৃষা ক্ষি প্ত হয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু থেমে গেল আগন্তুককে দেখে। তৎক্ষণাৎ উঠে পড়লো ওরা সকলে।
” আসসালামু আলাইকুম স্যার। ”
” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ”
উপস্থিত অজস্র ছাত্রীর ক্রাশ। তাদের হার্টথ্রোব ইয়াং লেকচারার। পড়নে ফর্মাল গেটআপ। শুভ্র রঙা শার্ট কালো বেল্টের অন্তরালে ইন করে রাখা। পায়ে কালো ব্র্যান্ডেড শু। শার্টের দু স্লিভ গুটিয়ে কনুইয়ে তুলে রাখা। বাঁ হাতে দৃশ্যমান সিলভার ডায়াল ওয়াচ। বিদেশিদের মতন লালচে চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা। চোখে চিকন ব্রাউন ফ্রেমের চশমা। গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। গৌর বর্ণের মুখশ্রী অত্যাধিক আকর্ষণীয় লাগছে! লাইক অ্যা ফরেনার! ছাত্রীরা বিমোহিত নয়নে তাকিয়ে ছিল তাদের ক্রাশের পানে। আদ্রিয়ান আয়মান তূর্ণ! নামটা যেন ওদের হৃদয়ের অলিগলিতে পোস্টার ছাপিয়ে রাখা। তূর্ণ খেয়াল করলো অধিকাংশ ছাত্রীরা ওর দিকে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। ও যে সবাইকে বসতে ইশারা করেছে তা অবধি খেয়াল করেনি। শুধুমাত্র ছেলেরা এবং অল্প কিছু মেয়ে বসেছে। বাকিরা দাঁড়িয়ে। তূর্ণ এবার একটু উঁচু আওয়াজে বললো,
” সিট ডাউন এভ্রিওয়ান। ”
এবার বোধহয় কাজে দিলো। তড়িৎ বসে পড়লো সকলে। তূর্ণ ফিরলো পরিচিত ফর্মে! হাতে থাকা
‘ ইন্ট্রোডাক্টরি বায়োকেমিস্ট্রি ‘ বইয়ে একপলক তাকিয়ে স্টুডেন্টদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো। এতেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল সবার।
” সকলে গত দিনের টপিক দেখে এসেছেন তো? ”
স্টুডেন্টরা ভীত নয়নে একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলো। এবার কি হবে? কপালে আছে কি? সসম্মানে বসে থাকা নাকি শীতলতম অপমান?
•
ক্যান্টিনে বসে রয়েছে বন্ধুরা। পুষ্পির মুড অফ। তা লক্ষ্য করে তিয়াশ শুধালো,
” এর আবার কি হয়েছে? মুখ পেঁচার মতো করে রাখছে কেন? ”
” আর বলিস না ভাইয়া..! ”
তৃষা কথাটা শেষ করতে পারলো না। তার আগেই ক্ষি প্ত বাঘিনী রূপে আবির্ভূত হলো পুষ্পি।
” খবরদার তৃষা! তোর ওই ব’জ্জাত ভাইয়ের নাম মুখেও নিবি না। আস্ত এক বদ মাস্টার! মাইয়াগো ক্রাশ দেইখা সাপের পাঁচ পা দেখছে নি? ”
বন্ধুরা কেউই কিছু বুঝতে পারলো না। দুয়া ভেজিটেবল রোল এ কা’মড় বসিয়ে শুধালো,
” কি হয়েছে পুষ্পি? তূর্ণ ভাইয়ার উপর এত ক্ষে পে আছিস কেন? সে না তোর একশো উনপঞ্চাশ তম ক্রাশ? ক্রাশের ওপর কেউ এভাবে ক্ষি প্ত হয় নাকি? ”
” আর ক্রাশ! বা* ক্রাশ। আস্ত এক বদ। ”
তিয়াশ শুধরে দিলো,
” মুখ খারাপ করিস না পুষ্পি। মনে রাখিস সে আমাদের লেকচারার। সম্মানীয় লোক। ”
” রাখ তো তোর সম্মান। উনি আমার সম্মান রাখছে যে আমি ওনারে সম্মান দেবো? ”
বিশাল ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো,
” মানে? উনি তোর সম্মান বাজারে বিক্রি করে দিছে নাকি? ”
” তার চেয়ে কম কিছু না। পুরো ক্লাসের সামনে আমাকে..! ”
দুয়া এবার একটু সিরিয়াস হলো।
” তোকে কি করছে সেটা খোলাসা করে বলবি তো? তূর্ণ ভাইয়া কিন্তু অহেতুক কিছু করে না। সত্যি করে বল আগে তুই কি কুকর্ম করছিস? ”
” আমি কুকর্ম করছি? ”
তেঁতে উঠলো পুষ্পি। ওকে সামলিয়ে তৃষা মৃদু স্বরে বললো,
” আর বলিস না। এই মাইয়া ভাইয়ের ব্যাক টু ব্যাক তিন ক্লাসে পড়া পারে নাই। তুই তো জানিস ই তূর্ণ ভাইয়া একবার, দুইবার পর্যন্ত ছাড় দেয়। কিন্তু তৃতীয়বার? সোজা শাস্তি। ”
” শাস্তি? চমৎকার তো! তা কি শাস্তি দিছে? ”
বিন্দুর কৌতূহলী মুখ দেখে পুষ্পির মেজাজ খারাপ হলো। কেমন শ*তান বন্ধু! তৃষা হাসি চেপে বললো,
” পুরো ক্লাসের সামনে ওকে হোয়াইট বোর্ডে ত্রিশ বার লিখিয়েছে ‘ আমি পড়া চোর। ‘ বুঝতেই পারছিস হোল ক্লাসের সামনে, এর উপর ওর কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং হাতের লেখা। সব মিলিয়ে প্রেস্টিজ পুরো পাংচার! ”
হা হা করে হেসে উঠলো ওরা সবাই। তিয়াশ অবধি বাদ গেল না। লজ্জায় পুষ্পির মুখখানি এতটুকু হয়ে গেল।
” বদ মাস্টার। এর কোনোদিন ভালো হইতো না। বউ হইবো ফেল্টু। পড়া চোর! দেখে নিস। ”
দুয়া তড়িৎ প্রতিবাদ জানালো।
” ও য়ে! আমার না হওয়া ভাবীর নামে বদ দোয়া দিবি না। মে রে ভূত বানিয়ে দেবো। এমনিতেই তূর্ণ ভাইয়ার বিয়ে খাওয়ার জন্য কত্ত এক্সাইটেড হয়ে আছি। কবে যে ভাই বিয়ে করবে! ”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো দুয়া। বাকিরা মুখ টিপে হাসতে লাগলো। পুষ্পি’র মুখখানি দেখার মতো হয়েছে কিনা!
•
আঁধার রজনী। কলিংবেলের শব্দ পেয়ে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন তাহমিদা। শাড়ির আঁচলে ভেজা হাত মুছতে মুছতে দরজার দিকে অগ্রসর হলেন। পুনরায় কলিংবেল বাজতে না বাজতেই দরজা খুলে গেল। চক্ষুতারায় দৃশ্যমান হলো বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা মানবের ক্লান্ত বদন।
” আসসালামু আলাইকুম। ”
” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ”
সালামের জবাব দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন সাজ্জাদ সাহেব। ওনার হাত থেকে অফিসের ব্যাগ এবং পলিথিন এর ব্যাগ দু’টো নিলেন তাহমিদা। সাজ্জাদ সাহেব ক্লান্ত দেহে সোফায় বসে পড়লেন। তাহমিদা দ্রুততার সহিত গোলাকার টি টেবিলের ওপর পলিথিনের ব্যাগটি রেখে সোফায় রাখলেন অফিস ব্যাগ। অতঃপর ফুল স্পিডে ফ্যান চালু করে ডাইনিং টেবিল হতে এক গ্লাস পানি নিয়ে এলেন। সাজ্জাদ সাহেব ততক্ষণে শার্ট ঢিলে করে আয়েশ করে বসেছেন। স্ত্রীর হাত থেকে পানি নিয়ে উনি তিন ঢোকে পানি পান করলেন। সন্তুষ্ট চিত্তে হাসলেন। তাহমিদা মুচকি হেসে গ্লাস রাখলো টি টেবিলের ওপর। তখনই নিজ বেডরুম থেকে বেরিয়ে এলো দুয়া। পড়নে তার মেরুন কালার লং টপস এবং প্লাজো পাজামা। গলায় ঝুলানো স্কার্ফ। বাবাকে দেখে মেয়েটি খুশি হলো। ছুটে গেল বাবার কাছে। বসলো বাবার বাম পাশে।
” আব্বু! আসসালামু আলাইকুম। আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি তো? ”
সাজ্জাদ সাহেব আদুরে কন্যাকে পেয়ে মুচকি হাসলেন। মেয়ের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে বললেন,
” ওয়া আলাইকুমুস মা। আল্লাহ্’র রহমতে আসতে কোনো অসুবিধা হয়নি। ”
” তাহলে দেরি হলো কেন? আমি সেই কখন থেকে ঘড়ি দেখছি। ”
আদুরে কণ্ঠ শুনে সাজ্জাদ সাহেব মুচকি হাসলেন।
” রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম ছিল মা। তাই একটু দেরি হয়েছে। তোমার ভাইয়্যু কোথায়! ওকে দেখছি না যে? ”
” কোথায় আবার? তোমার হাই কোয়ালিটি ব্রিলিয়ান্ট বাবু হোমওয়ার্ক করছে। ”
মা-বাবা দুজনেই নিঃশব্দে হেসে উঠলো। দুয়া খেয়াল করলো টেবিলের ওপর পলিথিনের ব্যাগ রাখা।
” আব্বু ওটাতে কি? ”
বলতে না বলতেই হাঁটু গেড়ে টেবিলের পাশ ঘেঁষে বসলো। পলিথিনের ব্যাগ চেক করে দেখতে লাগলো কি এনেছে। দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল!
” ওয়াও! চকোলেট আইসক্রিম! থ্যাংক ইউ সো মাচ আব্বু। ”
আইসক্রিমের বাটি হাতে উঠে দাঁড়ালো দুয়া। খুশিমনে রুমে যাওয়ার পূর্বে আব্বুর গালে চুমু দিতে ভুললো না। হেসে উঠলেন সাজ্জাদ সাহেব। তাহমিদা পেছন থেকে বলে উঠলেন,
” ভাইকে দিয়ো কিন্তু। নিজেই সব খেয়ো না। ”
রুম থেকে শোনা গেল,
” আচ্ছা। অল্প একটু দেবো নে। ”
” পা’গলী মেয়ে! ”
চলবে.
[ কেমন লাগছে তূর্ণ এবং দুয়া জুটিকে? ]