তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_১৮

0
720

#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_১৮

” তূর্ণ ভাইয়া! আজ একটা সত্যি জানতে চাই। আমাদের বিয়ের পেছনে লুকায়িত সত্যিটা কি? কেন বিয়ে হলো আমাদের? সে রাতে এক্সাক্টলি কি হয়েছিল? ”

একসাথে এত প্রশ্ন! হতবিহ্বল হলো আদ্রিয়ান আয়মান তূর্ণ!
.

আঁধার রজনী। সিঙ্গেল সোফায় বসে মোবাইল স্ক্রল করছিল তূর্ণ। সেসময় কক্ষে প্রবেশ করলো দুয়া। ওর হাতে প্লেট তাতে ফলমূল। মেয়েটা আপেল খেতে খেতে বিছানায় বসলো। তূর্ণ’র দিকে তাকিয়ে শুধালো,

” ফল খাবে? ”

মোবাইল থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ওর দিকে তাকালো তূর্ণ।

” হুঁ? ফল? ”

” হাঁ। খাবে? ”

” দে। ”

দুয়া বসে থেকেই প্লেট বাড়িয়ে দিলো‌। তাতে খ্যাক করে উঠলো তূর্ণ।

” তুই কেমন বউ রে পুতলা? একশো গজ দূরে দাঁড়িয়ে পতিভক্তি দেখাচ্ছিস! কাছে আয়। ”

হাত বাড়িয়ে কাছে আহ্বান জানালো সে। অজানা অনুভূতিতে আবিষ্ট হয়ে মেয়েটি জড়োসড়ো হয়ে গেল। ক্ষীণ স্বরে বললো,

” এখানেই ঠিক আছি। ”

” আবার? স্বামীর মুখে মুখে তর্ক করছিস? আল্লাহ্ পাপ দেবে। আয়। ”

কঠিন বাক্যে মেয়েটা মিইয়ে গেল। আস্তে করে উঠে দাঁড়ালো। গুটিগুটি পায়ে প্লেট হাতে নিয়ে স্বামীর পানে অগ্রসর হলো। কাছে পৌঁছাতেই তূর্ণ বললো,

” বস। ”

সোফার হ্যান্ডেল ইশারা করে বসতে বললো। তাতে বেশ অবাক হলো দুয়া! তূর্ণ এসব কি বলছে! এতটা সন্নিকটে বসতে বলছে। তারা তো অন্য সবার মতো স্বাভাবিক দম্পতি নয়। এখনো দু’জনের মধ্যে যথেষ্ট দ্বিধা বিদ্যমান। তবুও এত কাছে বসতে বলছে! কেন? দ্বিধাদ্বন্দ্ব একপাশে রেখে দুয়া বসলো। সিঙ্গেল সোফার হ্যান্ডেলে। দু’জনার হাত প্রায় ছুঁই ছুঁই। ভেতরে ভেতরে কেমন ভিন্ন অনুভূতি ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে। দুয়া আস্তে করে হাতে থাকা প্লেটটা বাড়িয়ে দিলো।

” ফল। ”

তূর্ণ মোবাইলে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেই দু’টো শব্দে নিজের ইচ্ছে ব্যক্ত করলো।

” খাইয়ে দে।‌ ”

” হা! ” বিস্ময়ে অভিভূত দুয়া!

” তোর কানে কি আজকাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে? একবার বললে শুনতে পাস না? বললাম খাইয়ে দে। ”

দুয়া আপত্তি পোষণ করতে গিয়েও করলো না। মানুষটা তার অর্ধাঙ্গ। একান্ত আপনজন। ধীরে ধীরে তার সনে স্বাভাবিক হতে হবে। সেটা না হয় এখন এই মুহুর্ত থেকেই আরম্ভ হোক! দুয়া হাতে এক পিস আপেল নিয়ে তূর্ণ’র মুখের কাছে ধরলো। হাতটি কেমন কম্পিত হচ্ছে। স্থির থাকতে নারাজ। তূর্ণ তা লক্ষ্য করে স্মিত হাসলো। মেয়েটির কবজি স্পর্শ করে হাতে থাকা আপেলে কা’মড় বসালো। কবজি ছুঁয়ে পুরুষালি হাত। দুয়া’র অনুভূতির দল আজ প্রজাপতির ন্যায় পাখনা মেলে উড়ে বেড়াতে লাগল। নাম না জানা অনুভূতিতে শিহরিত তনুমন। এ কেমন মন কেমনের অনুভূতি? এমনটি তো ইতঃপূর্বে উপলব্ধি হয়নি! মানুষটি তো তার বড্ড চেনা। তার সঙ্গ লাভে কেটেছে কত বর্ষ! অগণিত মুহূর্ত। কখনো তো এমনটি অনুভূত হয়নি! তবে আজ এ কি হচ্ছে হৃদয়ে! তূর্ণ সময় নিয়ে আস্তে ধীরে আপেল খাচ্ছে। এত ধীরগতিতে খাচ্ছে যেন মাছ খাচ্ছে। মাছে কাঁটা, তাড়াহুড়ো করলে গলায় বিঁধে যাবে। দুয়া তো অস্বস্তিতে কুপোকাত। পারছে না এখান থেকে পলায়ন করতে। হঠাৎ ওর মাথায় বুদ্ধি উদয় হলো। গলা খাঁকারি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো স্বামীর। মিষ্টি মধুর কণ্ঠে ডেকে উঠলো,

” শুনছো? ”

” ইয়েস। ”

” একটা প্রশ্ন ছিল। করবো? ”

” ইয়েস। ”

খালি ইয়েস ইয়েস করছে। মন তো চাইছে! দুয়া মেজাজ স্বাভাবিক করে বললো,

” তূর্ণ ভাইয়া! আজ একটা সত্যি জানতে চাই। আমাদের বিয়ের পেছনে লুকায়িত সত্যিটা কি? কেন বিয়ে হলো আমাদের? সে রাতে এক্সাক্টলি কি হয়েছিল? ”

হঠাৎ এমন প্রশ্ন! সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল! ভাবতেও পারেনি তূর্ণ। সে কি বলবে বুঝতে পারছে না। চুপচাপ সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। তা দেখে দুয়া সোফায় প্লেট রেখে উঠে পড়লো। তূর্ণ’র পেছনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো,

” কি হলো? চুপ করে আছো কেন? বলো না ভাইয়া। আমি সত্যিটা জানতে চাই। কি হয়েছিল সে রাতে? ”

তূর্ণ গোলাকার টি টেবিলের ওপর মোবাইল রাখলো। তপ্ত শ্বাস ফেলে ঘুরে দাঁড়ালো তার মাইরা’র পানে। দুয়া ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে।

” বলো। ”

মুখোমুখি এসে দাঁড়ালো তূর্ণ। আলতো করে দু হাতের আঁজলায় ভরে নিলো মায়াবী মুখখানি। নয়নে মিলিত হলো নয়ন।

” সে রাতে যা হয়েছিল টোটালি আনএক্সপেক্টেড ছিল। অন্যায় ছিল। আমি নিজেও এখনো কনফিউজড। বুঝতে পারছি না কি থেকে কি হলো‌। তবে চিন্তা করিস না পুতুল। ইনশাআল্লাহ্ সত্যিটা সামনে চলে আসবে। উন্মোচন হবে সব রহস্য। ততদিন পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধর। হুঁ? ”

মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো মেয়েটি। তাতে সন্তুষ্ট হলো তূর্ণ। সম্মোহনী চাহনিতে তাকিয়ে রইলো খানিকটা সময় ধরে। দু’জনের চোখে চোখ পড়লো। হলো অব্যক্ত কত আলাপণ! কিয়ৎ বাদে মেয়েটার হুঁশ ফিরল। সম্মোহনী চাহনিতে অপ্রস্তুত হয়ে কপোল হতে হাত সরিয়ে নিলো। নিজেও কয়েক কদম পিছিয়ে গেল। এতে ঘোর কেটে গেল তূর্ণ’র। সে গলা খাঁকারি দিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করে তোলার প্রয়াস চালালো। হঠাৎ কিছু মনে পড়ার ভঙ্গিমা করে দুয়া’র দিকে তাকালো। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করলো,

” তখন কি বললি? ”

” কি বলেছি? কিসের কথা বলছো? ” জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে দুয়া।

” এরমধ্যেই ভুলে গেলি! কতটা ভুলোমনা রে তুই! তিন কবুল বলে বিয়ে করা পরাণের স্বামীকে শেষমেষ ভাইয়া বলে ডাকছিস! তোর চক্করে পড়ে আমার অনাগত বাবুরা তো জন্মের পর ওয়া ওয়া না করে মামা মামা করবে। স্টুপিড একটা। ”

বিস্ময়ে অভিভূত জাহিরাহ্ দুয়া! কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া করতেও ভুলে গেল! এ কেমনতর কথা!

দিবাবসুর দীপ্তিতে উজ্জ্বল বসুধা। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ক্যাম্পাস। মূল ফটক পেরিয়ে চত্বরে প্রবেশ করলো শুভ্র রঙা গাড়িটি। বেশকিছু মেয়ে স্টুডেন্টের নজরে পড়লো তা। মুহুর্তের মধ্যেই হইচই পড়ে গেল তাদের মধ্যে। শত অপেক্ষার প্রহর শেষে গাড়ির দ্বার উন্মুক্ত করে বেরিয়ে এলো সুঠামদেহী সুশ্রী মানব। আদ্রিয়ান আয়মান তূর্ণ! পড়নে তার কৃষ্ণবর্ণ শার্ট এবং প্যান্ট। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। খরশান চোয়াল মিঠি রৌদ্রে চকচক করছে। অধর কোলে সুক্ষ্ম হাসির রেখা। লালচে চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করে রাখা। মসৃণ চুলগুলোয় হাত বুলাতে মরিয়া ভার্সিটির ওয়ান অফ দ্যা ব্রিলিয়ান্ট অ্যান্ড বিউটিফুল স্টুডেন্ট নিলাশা। মেয়েটি মোহাচ্ছন্ন চাহনিতে তাকিয়ে স্যারের পানে।

” হায় ম্যায় মা|র যাভা! স্যারকে যা লাগছে না! উফ্! ”

” আমি তো আবারো ক্রাশ খেলাম রে! ”

” একদম আগুন লাগছে! যে আগুনে দ গ্ধ হয়ে চলেছে আমার সারাটা অঙ্গন। ”

” ওই কেউ আদ্রিয়ান স্যারের সঙ্গে আমার সেটিং করিয়ে দে না! প্লিজ। ”

” স্যারকে রোজ ই চকলেট লাগে। একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে হয়। ইশ্! চকলেটটার বউ যে কোন ভাগ্যবতী হবে! ”

একঝাঁক ললনা বিমোহিত এক পুরুষে! তাদের মুখে কত কত সুমিষ্ট শব্দমালা! সেসব বরাবরের মতোই উপেক্ষা করে নিজ গন্তব্যে অগ্রসর হতে লাগলো আদ্রিয়ান আয়মান তূর্ণ। কিন্তু তার অগোচরেই ঈর্ষার অনলে জ্বলেপু’ড়ে ছারখার হলো এক কোমল হৃদয়!

কক্ষ জুড়ে দুরন্ত পায়ে ছুটে চলেছে এক রমণী। যার হৃদয়ের অলিগলিতে জলন্ত অনল! একটুও স্বস্তি মিলছে না। কি করে যে মিলবে স্বস্তি! ভাবনা শেষ হতে না হতেই উদয় মহাশয়। ক্লান্ত বদন। শার্টের স্লিভ বোতাম খুলতে খুলতে কক্ষে প্রবেশ করছে। প্রবেশ করতে না করতেই ইনকাউন্টার! সোজা কোমল দু’টো হাত আঁকড়ে ধরলো শার্টের কলার! হিসহিসিয়ে বললো,

” শা* স্বামী! এত সেজেগুজে ভার্সিটিতে কি? হুঁ? মেয়েদের পড়াতে যাস নাকি হৃদয়হরণ করতে? আস্ত এক লু*চ্চা! মেয়েদের দেখেই রঙধনুর সাত রঙা ঢঙ শুরু হয়ে যায়? ব*জ্জাত ব্যা টা! তোকে তো আমি..! ”

হকচকিয়ে গেল তূর্ণ! আমতা আমতা করে বললো,

” দ দুয়া! কি হয়েছে! ত্ তুই তোকারি করছিস কেন? ”

” তুই তোকারি করছি কেন? জানিস না? জানিস তো শুধু লু*চ্চামি করতে। এইজন্যই প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ফুসফুস ভুসভুস করে এক বোতল পারফিউম খরচা করা হয়! চুল সেট করতে লাগে এক ঘন্টা। শার্ট চুজ করতে আরো এক ঘন্টা। তোকে তো আমি.. ”

কলার ছেড়ে দু’টো হাত লালচে চুলগুলো আঁকড়ে ধরলো। টানতে টানতে দিশেহারা অবস্থা। এই বুঝি ছিঁড়ে গেল। উহ্ রে! ব্যথা!

” দুয়া! অ্যাই দুয়া! ”

পুরুষালি কণ্ঠস্বরে আকস্মিক সপ্তম আসমান ভেঙে টুপ করে ধরনীতে অবতীর্ণ হলো জাহিরাহ্ দুয়া! হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইলো সম্মুখে! তূর্ণ শার্ট খুলে উদোম দেহে দাঁড়িয়ে। আর সে এতটা দূরে! তার মানে! ছিঃ ছিঃ ছিঃ! কি বি শ্রী স্বপ্ন! শেষমেষ বর তুড়ি বাজিয়ে স্বপ্ন হতে ফেরত আনলো! ছিঃ!

” আ আমি! ”

আমতা আমতা করছে মেয়েটা। তূর্ণ ভ্রু কুঁচকে বললো,

” হাঁ তুই। কোন জগতে চলে গেলি? হুঁশ ফিরলো? ”

দুয়া ভ্যাবাচাকা খেয়ে পাশ ফিরে দাঁড়ালো।

” হু হুঁশ ফিরেছে মানে কি? আমি কি বেহুঁশ? ”

” আল্লাহ্ নো’জ ওয়েল। ”

দুয়া ভেংচি কাটলো। বদ লোক একটা! স্বপ্নেই ঠিক ছিল। চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলা উচিত। সে এবার সাহস সঞ্চয় করে বলেই ফেললো,

” ভার্সিটিতে এত রঙচঙ করে যাওয়াটা কি আবশ্যক? ”

তূর্ণ তোয়ালে হাতে নিচ্ছিল। প্রশ্নটা শুনে থমকে গেল! সে কি ভুলভাল শুনছে! পিছু ঘুরে তাকালো তূর্ণ।

” আমায় বললি? ”

” এখানে তুমি ছাড়া কেইবা আছে? ”

তূর্ণ বক্র হেসে শুধালো,

” আমি রঙচঙ করে ভার্সিটি যাই? তা কেমন রঙ? ঠিকমতো দেখেছিস তো? ”

” অ অফকোর্স দেখেছি। ”

মেয়েটার কণ্ঠস্বর কাঁপছে। তূর্ণ হাসিমুখে ওর পানে অগ্রসর হলো। আড়চোখে তা লক্ষ্য করে দুয়া হতবাক! এসব কি কাণ্ড!

” ত্ তুমি এভাবে এগিয়ে আসছো কেন? ”

” বউ পিছিয়ে যাচ্ছে বলে। ” অধর কোলে বক্র হাসির রেখা।

মেয়েটা এমন অপ্রত্যাশিত কাণ্ডে কিঞ্চিৎ ঘাবড়ে গেছে। পেছাতে পেছাতে একসময় পৃষ্ঠদেশ ঠেকলো সমতল দেয়ালে। তূর্ণ এসে থামলো সন্নিকটে।‌ খুবই সন্নিকটে। দু’জনার কায়া প্রায় ছুঁই ছুঁই। অস্বস্তিতে ডুবন্ত মেয়েটা বাম পাশ হতে সরে যাওয়ার প্রয়াস চালালো। কিন্তু আফসোস! পুরুষালি শক্তপোক্ত ডান হাতটি ঠেকে দেয়ালে। ওকে বন্দিনী করে ফেলেছে বাহুডোরে। দুয়া ভীত চোখে তাকালো স্বামীর পানে। চোখে চোখ মিলিত হলো। তূর্ণ’র অধরে মোহনীয় হাসি। চোখেমুখে দুষ্টুমির ছাপ। আস্তে করে মাইরা’র পানে আরেকটু ঝুঁকে গেল মানুষটি। ইচ্ছাকৃতভাবে নির্গত তপ্ত শ্বাস আড়ছে পড়ছে কাঁধে। চোখ খিঁচে বন্ধ করে নিলো মেয়েটি। শিহরিত হয়ে আঁকড়ে ধরলো পোশাকের একাংশ। সে মুহূর্তে ওর কর্ণ কুহরে অধর ঠেকিয়ে মানুষটি ফিসফিসিয়ে শুধালো,

” আর ইউ জেলাস মিসেস জাহিরাহ্ দুয়া? ”

কর্ণে পুরুষালি স্বর! আরেকটু গুটিয়ে গেল মেয়েটি। ওকে আরেকদফা নাস্তানাবুদ করতে চোখেমুখে আলতো করে ফুঁ দিলো তূর্ণ। যাতে নাজেহাল দুয়া’র কোমল হৃদয়। নিঃশব্দে হাসলো তূর্ণ। ঘোর লাগানো স্বরে স্বীকারোক্তি পেশ করলো,

” আই লাইক ইট। ”

‘ ছায়াবিথী ‘ এর লিভিং রুমে উপস্থিত পরিবারের সদস্যরা। সকলের দৃষ্টি নিবদ্ধ নিজাম সাহেবের দিকে। সোফায় উনি এবং তাসলিমা পাশাপাশি বসে। নিজাম সাহেব সকলের দিকে একবার তাকিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানালেন,

” আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”

চলবে.

[ আসসালামু আলাইকুম পাঠক বন্ধুরা। কেমন লাগলো পর্বটি? নিজাম সাহেব কি সিদ্ধান্ত নিলেন বলে আপনাদের ধারণা? মন্তব্য করে জানাবেন। ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here