ব্রেকিং নিউজ! বগুড়া শহরের সাতমাথায় ময়লাস্তূপে শিহাব নামে একটি ছেলের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।খুবই বিভৎসভাবে খুন করা হয়েছে তাকে।লাশের হাত -পা শরীর থেকে আলাদা করে টুকরো টুকরো করে কাটা; বুক চিরে কলিজা বের করে ফেলা হয়েছে। তার পেটের নাড়ি- ভুঁড়ি দেহ থেকে ছিন্ন ভিন্ন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি!!
টেলিভিশন এর সামনে বসে তৃপ্তি সহকারে নিজের প্রাক্তন এর ছিন্ন-ভিন্ন লাশ দেখছে শ্রাবণী আর মুচকি মুচকি হাসছে। কারণ পুলিশ হাজার খুঁজেও এটা বের করতে পারবে না যে সেই শিহাবকে মেরেছে।
——-
কি? সব মাথার উপর দিয়ে গেলো? কিছুই বুজলেন না? শ্রাবণী কেনো শিহাব কে মারলো বা শিহাব কে? আর শ্রাবণীই বা কে!! না বোঝারই কথা কারণ আমি তো এখনও পরিচয় বলিনি।
চলুন জেনে নেয়া যাক। শ্রাবণীর পরিচয় ধীরে ধীরে জানতে পারবেন একটু তো টুইস্ট রাখতেই হয়। আর শিহাব? সে হলো শ্রাবণীর প্রাক্তন প্রেমিক।
—–
দুই বছরের সম্পর্ক শিহাব আর শ্রাবণীর।তারা একে অপরকে অনেক ভালো বাসে। শিহাবই শ্রাবনীকে প্রথম তার মনের কথা বলে। শিহাব অনেক ভদ্র ছেলে আর ক্লাস টপার হওয়ায় শ্রাবণীও রাজি হয়ে যায়। তখন থেকেই চলছে তাদের সম্পর্ক। কিন্তু ইদানিং শিহাবের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছে শ্রাবণী। এখন শিহাব শ্রাবনীকে কেমন যেনো এড়িয়ে চলে, আগের মতো কথা বলে না। শ্রাবণী বুঝতে পারলেও কিছু বলে না ভাবে হয়তো ব্যাস্ত থাকে। কিন্তু একদিন শিহাব শ্রাবনীকে ডেকে বলে
– শ্রাবণী, তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
– হুম বল কি বলবা!
– আমি আর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইনা।
I want breakup.
– পাগল হয়ে গেছ? কি বলছো এসব? আর কিছুদিন পর আমাদের এনগেজমেন্ট আর তুমি আমার সাথে মজা করছো! Oh, come on sihab!
– মজা করছি না, আমি সিরিয়াস।
– কিন্তু কেনো ?হটাৎ কি হলো?
– কিছু হয়নি আমার আর তোমাকে ভালো লাগে না ।
– ভালো লাগে না মানে? তাহলে এতদিন এগুলোর মানে কি শিহাব?
– আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না শ্রাবণী, bye.
শিহাব শ্রাবনীকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে শ্রাবণীর রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ।তবুও শ্রাবণী নিজেকে কন্ট্রোল করছে কারণ রাগের মাথায় কিছু করা যাবে না। যা করা লাগবে ঠান্ডা মাথায়। শিহাব তো আর জানে না তার প্রেমিকার এই সহজ সরল চেহারার পিছনে একটা সাইকো লুকিয়ে আছে।
– শিহাব, just wait and watch। তুই নিজেও কখনো কল্পনা করতে পারবি না যে তোর সাথে কি হতে চলেছে!!
———-
আজকে আড্ডা দিতে দিতে একটু বেশিই রাত হয়ে গেছে শিহাবের। কানে হেডফোন লাগিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটছে শিহাব। গভীর রাতে সব কিছু পুরো নিরব হয়ে আছে। আসে পাশে একটা কুকুর পর্যন্ত নেই। গলির কাছে আসতেই শিহাবের মনে হলো কেউ তার পিছু নিয়েছে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে কাওকে দেখতে না পেয়ে আবার হাটতে লাগলো।কিছু দূর যাওয়ার পর মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলো শিহাব।
——
চোখ খুলে শিহাব নিজেকে একটা নির্জন ঘরে চেয়ারের সাথে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করলো।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো শিহাব। কিছু দূর চোখ যেতেই শিহাব লক্ষ করল একটা মেয়ে অবয়ব পিছন ফিরে দাড়িয়ে আছে।
– কে আপনি? আমাকে এভাবে বেধে রেখেছেন কেনো? ছেড়ে দিন আমাকে।
কোনো উত্তর না পেয়ে শিহাব আবার চিৎকার করে বলতে লাগলো
– কি হলো! আমাকে ছেড়ে দিন বলছি। নাহলে ভালো হবে না কিন্তু।
তখনই মেয়েটা পিছন ফিরে তাকায়।মেয়েটিকে দেখে পুরো অবাক হয়ে যায় শিহাব। কারণ মেয়েটা আর কেউ না ওর প্রেমিকা শ্রাবণী।
– কিরে? চুপ হয়ে গেলি যে! শকড হতে গেছিস নাকি?
– শ্রাবণী , তুমি এখানে? আর আমাকে এভাবে বেধে রেখেছো কেনো?(রেগে গিয়ে)
– আরে বুজতে পারছিস না? তোর আয়ু ফুরিয়ে এসেছে।
– কি বলছো এসব তুমি!
– তোর মত গাধা এগুলো বুঝবে না ! একটু পর একদম প্রাকটিক্যাল দেখায় দিবো।তাহলে এমনি বুজতে পারবি।
– আজেবাজে কথা বাদ দিয়ে আমাকে ছেড়ে দাও , শ্রাবণী।(চিৎকার করে)
– চুপ একদম চুপ কোনো কথা বলবিনা। এখানে আমি ছাড়া আর কেউ তোর চিৎকার শুনবে না।
এইদিকে শিহাব বার বার ওকে ছেড়ে দিতে বলছে কিন্তু শ্রাবণী শিহাবের আর কোনো কথায় কান দেয় না। পাশে থাকা লোহার রডটি নিয়ে আগুনে পুরোপুরি গরম করতে থাকে। শিহাব কিছুই বুঝতে পারছে না যে শ্রাবণী কি করছে। রড গরম হয়ে গেলে শ্রাবণী আবার শিহাবের কাছে যায়। তারপর….
#ব্রেকিং নিউজ! বগুড়া শহরের সাতমাথায় ময়লাস্তূপে শিহাব নামে একটি ছেলের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।খুবই বিভৎসভাবে খুন করা হয়েছে তাকে।লাশের হাত -পা শরীর থেকে আলাদা করে টুকরো টুকরো করে কাটা; বুক চিরে কলিজা বের করে ফেলা হয়েছে। তার পেটের নাড়ি- ভুঁড়ি দেহ থেকে ছিন্ন ভিন্ন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি!!
টেলিভিশন এর সামনে বসে তৃপ্তি সহকারে নিজের প্রাক্তন এর ছিন্ন-ভিন্ন লাশ দেখছে শ্রাবণী আর মুচকি মুচকি হাসছে। কারণ পুলিশ হাজার খুঁজেও এটা বের করতে পারবে না যে সেই শিহাবকে মেরেছে।
——-
কি? সব মাথার উপর দিয়ে গেলো? কিছুই বুজলেন না? শ্রাবণী কেনো শিহাব কে মারলো বা শিহাব কে? আর শ্রাবণীই বা কে!! না বোঝারই কথা কারণ আমি তো এখনও পরিচয় বলিনি।
চলুন জেনে নেয়া যাক। শ্রাবণীর পরিচয় ধীরে ধীরে জানতে পারবেন একটু তো টুইস্ট রাখতেই হয়। আর শিহাব? সে হলো শ্রাবণীর প্রাক্তন প্রেমিক।
—–
দুই বছরের সম্পর্ক শিহাব আর শ্রাবণীর।তারা একে অপরকে অনেক ভালো বাসে। শিহাবই শ্রাবনীকে প্রথম তার মনের কথা বলে। শিহাব অনেক ভদ্র ছেলে আর ক্লাস টপার হওয়ায় শ্রাবণীও রাজি হয়ে যায়। তখন থেকেই চলছে তাদের সম্পর্ক। কিন্তু ইদানিং শিহাবের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করছে শ্রাবণী। এখন শিহাব শ্রাবনীকে কেমন যেনো এড়িয়ে চলে, আগের মতো কথা বলে না। শ্রাবণী বুঝতে পারলেও কিছু বলে না ভাবে হয়তো ব্যাস্ত থাকে। কিন্তু একদিন শিহাব শ্রাবনীকে ডেকে বলে
– শ্রাবণী, তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
– হুম বল কি বলবা!
– আমি আর তোমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চাইনা।
I want breakup.
– পাগল হয়ে গেছ? কি বলছো এসব? আর কিছুদিন পর আমাদের এনগেজমেন্ট আর তুমি আমার সাথে মজা করছো! Oh, come on sihab!
– মজা করছি না, আমি সিরিয়াস।
– কিন্তু কেনো ?হটাৎ কি হলো?
– কিছু হয়নি আমার আর তোমাকে ভালো লাগে না ।
– ভালো লাগে না মানে? তাহলে এতদিন এগুলোর মানে কি শিহাব?
– আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না শ্রাবণী, bye.
শিহাব শ্রাবনীকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে শ্রাবণীর রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ।তবুও শ্রাবণী নিজেকে কন্ট্রোল করছে কারণ রাগের মাথায় কিছু করা যাবে না। যা করা লাগবে ঠান্ডা মাথায়। শিহাব তো আর জানে না তার প্রেমিকার এই সহজ সরল চেহারার পিছনে একটা সাইকো লুকিয়ে আছে।
– শিহাব, just wait and watch। তুই নিজেও কখনো কল্পনা করতে পারবি না যে তোর সাথে কি হতে চলেছে!!
———-
আজকে আড্ডা দিতে দিতে একটু বেশিই রাত হয়ে গেছে শিহাবের। কানে হেডফোন লাগিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটছে শিহাব। গভীর রাতে সব কিছু পুরো নিরব হয়ে আছে। আসে পাশে একটা কুকুর পর্যন্ত নেই। গলির কাছে আসতেই শিহাবের মনে হলো কেউ তার পিছু নিয়েছে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে কাওকে দেখতে না পেয়ে আবার হাটতে লাগলো।কিছু দূর যাওয়ার পর মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করলো শিহাব।
——
চোখ খুলে শিহাব নিজেকে একটা নির্জন ঘরে চেয়ারের সাথে বাধা অবস্থায় আবিষ্কার করলো।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো শিহাব। কিছু দূর চোখ যেতেই শিহাব লক্ষ করল একটা মেয়ে অবয়ব পিছন ফিরে দাড়িয়ে আছে।
– কে আপনি? আমাকে এভাবে বেধে রেখেছেন কেনো? ছেড়ে দিন আমাকে।
কোনো উত্তর না পেয়ে শিহাব আবার চিৎকার করে বলতে লাগলো
– কি হলো! আমাকে ছেড়ে দিন বলছি। নাহলে ভালো হবে না কিন্তু।
তখনই মেয়েটা পিছন ফিরে তাকায়।মেয়েটিকে দেখে পুরো অবাক হয়ে যায় শিহাব। কারণ মেয়েটা আর কেউ না ওর প্রেমিকা শ্রাবণী।
– কিরে? চুপ হয়ে গেলি যে! শকড হতে গেছিস নাকি?
– শ্রাবণী , তুমি এখানে? আর আমাকে এভাবে বেধে রেখেছো কেনো?(রেগে গিয়ে)
– আরে বুজতে পারছিস না? তোর আয়ু ফুরিয়ে এসেছে।
– কি বলছো এসব তুমি!
– তোর মত গাধা এগুলো বুঝবে না ! একটু পর একদম প্রাকটিক্যাল দেখায় দিবো।তাহলে এমনি বুজতে পারবি।
– আজেবাজে কথা বাদ দিয়ে আমাকে ছেড়ে দাও , শ্রাবণী।(চিৎকার করে)
– চুপ একদম চুপ কোনো কথা বলবিনা। এখানে আমি ছাড়া আর কেউ তোর চিৎকার শুনবে না।
এইদিকে শিহাব বার বার ওকে ছেড়ে দিতে বলছে কিন্তু শ্রাবণী শিহাবের আর কোনো কথায় কান দেয় না। পাশে থাকা লোহার রডটি নিয়ে আগুনে পুরোপুরি গরম করতে থাকে। শিহাব কিছুই বুঝতে পারছে না যে শ্রাবণী কি করছে। রড গরম হয়ে গেলে শ্রাবণী আবার শিহাবের কাছে যায়। তারপর….
#Life_Game
পার্ট -১
#writer_rukaiya_rakhi
( কি মনে হয় তারপর কি হতে পারে? শ্রাবণী লোহার রড কেনো গরম করলো ?কি করতে যাচ্ছে সে এই রড দিয়ে?কমেন্টে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিবেন🥰)
( কি মনে হয় তারপর কি হতে পারে? শ্রাবণী লোহার রড কেনো গরম করলো ?কি করতে যাচ্ছে সে এই রড দিয়ে?কমেন্টে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিবেন🥰)