তুমি_আমার_মুগ্ধতা #পার্ট০৩

0
440

#তুমি_আমার_মুগ্ধতা
#পার্ট০৩
#Writer:#মারশিয়া_জাহান_মেঘ

১৪.

এক প্রকার জো’র করেই প্রান্তিক অর্ষার দ্বারা সাইন করিয়ে নেয়। অর্ষা আকস্মিক ঘটনার ঘো’র কা’টা’তে পারছেনা৷ প্রান্তিক এর হাত ঝা’প’টে মে’রে বিদ্যুৎ গতিতে ড্রইং রুম ত্যাগ করে। প্রান্তিক অর্ষার যাওয়ার পানে তাকিয়ে থাকে। লয়ার জাঈন প্রান্তিকের দিকে এক পলক তাকিয়ে, ফাইল লাগেজে গুছিয়ে রাখতে রাখতে বললো,

“জো’র করে বিয়েটা করা কি উচিৎ হয়েছে প্রান্তিক?”

প্রান্তিক লয়ার জাঈনের দিকে তাকিয়ে শব্দ করে ক্ষাণিক হেসে বললো,

“এতোদিনতো তোরাই বললি, বিয়ে করিসনা কেন? বিয়ে করিসনা কেন? আর এখন যেই বিয়ে করলাম তাতেই সমস্যা?”

“হেই প্রান্তিক! তুই প্রান্তিক চৌধুরী…. শহরের টপ বিজনেসম্যান। বিয়ের মতো একটা কাজ এইভাবে সেরে ফেলা উচিৎ হয়নি বোধহয়।”

“কাম অন জাঈন। অনুষ্ঠান’তো হবেই তাইনা? সো চিল।”

“এরেজমেন্ট করবি?”

“অফ কোর্স। প্রান্তিক চৌধুরী বিয়ে করেছে আর কেউ জানবেনা? তা কি করে হয়? সবারও’তো দেখা উচিৎ মিসেস চৌধুরী’কে তাইনা?”

১৪.

অর্ষা দরজা লাগিয়ে বিছানায় গ’ড়ি’য়ে পড়ে। কান্না আজ বাঁধ মানছেনা আর। যেই বিয়ে করবেনা বলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে একটা অচেনা ছেলেকে স্বামী বানিয়ে ফেলেছিল আশ্রয়স্থলের জন্য, সেই বিয়ে’ই আজ তার হাতে সুতো বেঁধে দিয়েছে? কিভাবে পারল ছেলেটা এমন করতে? অথচ ফেইসবুক পেইজে দেখেছিল প্রান্তিক চৌধুরী অত্যান্ত সুশীল মনের অধিকারী। অথচ এখন দেখছে তার উল্টো’টা!

“না আমি এই বিয়ে মানিনাহহহ, মানিনাহ এই বিয়ে আমি…” কথাটি বলেই বিছানার পাশে রাখা ফ্লাওয়ার টাওয়ার’টা ছুঁড়ে ফ্লোরে ফে’লে দেয় অর্ষা।

১৫.

“স্যার..উপর থেকে বি’ক’ট আওয়াজ এলোনা একটা?”

একজন গার্ডের কথা শুনে প্রান্তিক উপরে অর্ষার রুমের দিকে পরখ করল। কি একটা ভেবে যেনো সোফা থেকে উঠে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠল। দরজায় কড়া নাড়ছে বার বার কিন্তু কেনো সাড়াশব্দ করছেনা অর্ষা। প্রান্তিক পুনরায় কড়া নেড়ে বললো,

“এতো রাগ কার সাথে দেখাচ্ছো বউউ? আমার বাড়ির জিনিস কি আমার শ্বশুরের সম্পত্তি? যে তুমি এইভাবে ভাঙ্গচূড় করছো।”

অর্ষা ভেতরে বিছানায় হাঁটুতে দু হাত ভাজ করে রেখে কাঁদছিল। প্রান্তিকের এমন কথা শুনে কিছুটা বিরক্ত লেগেছে তার। দরজা খুলতেই প্রান্তিক রুমে ঢু’ক’তে ঢু’ক’তে বললো,

“আমার শখের ফুলের তূড়া’টা এইভাবে ভেঙ্গে ফেললে? It’s Very Bad বউউ, It’s Very Bad.”

কথাটি বলেই প্রান্তিক বিছানায় ধ’প করে শুয়ে পড়ে। দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে অর্ষা রা’গে ফুঁ’স’ছে। প্রান্তিক আলতো রসিক স্বরে বললো, “ইশশ মাথাটা ব্যথা করছে। বউউউ…মাথাটা টি’পে দাওতো।”

অর্ষা এতোক্ষণ চুপ ছিল। প্রান্তিকের এমন গা ছাড়া কথা শুনে বললো,

“নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে কি কাজের বো’য়া এনেছেন? যে কাজ করাবেন।”

“না বউউ কাজের বো’য়া না তোমাকে এনেছি। আর স্বামীর সেবা করা স্ত্রীর দায়িত্ব। তা বোধহয় তোমাকে কেউ শিখায়নি তাইনা বউ? সমস্যা নেই আজ রা’তে আমি শিখাব।”

রা’তের কথা শুনে ভ’র’কে যায় অর্ষা। অর্ষা তোতলিয়ে বললো,

“আজ রা.. রাৃ রাতে মা্ মানে?”

প্রান্তিক কিছু বলতে যাবে তার আগেই দুজন মেয়ে রুমে নক করে বললো,

“আসব স্যার?”

প্রান্তিক বিছানা থেকে উঠে সাথে সাথে বললে,

“জ্বি জ্বি আসুন।”

দুজন মেয়ে পার্লার থেকে এসেছে। অতি সাদামাটা ভাবে অর্ষা ছিল সাইন করার সময়। প্রান্তিক চায় এখন অর্ষাকে বউরুপে সাজাতে। তাই পার্লার থেকে লোক আনিয়েছে।

প্রান্তিক রুম থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি, দরজার সামনে থেকে আবার ফিরে এসে অর্ষাকে মিনমিনিয়ে বললো,

“রেডি থেকো বউ। আজ তোমাকে আ’দ’র শিখাব। অ’স’ভ্য আদর।”

১৬.

“খালামনি প্রান্তিক ওই মেয়েটাকে বিয়ে করে ফেলেছে অথচ তোমরা কেউ কিছু বলছোনা? আংকেল…তুমিও না!”

“কাম অন টয়া মামনি ওই মেয়ে’কে এই বাড়িতে কেউ কখনো মেনে নিবনা। কাজেই প্রান্তিক তোমাকে বিয়ে করতে বাধ্য।”

“নীলয় তুমি ভুলে যাচ্ছো, প্রান্তিক ‘চৌধুরী ম্যানশনের আশায় নেই। কাজেই কে মেনে নিলো অথবা না নিলো, তাতে তার কোনো যায় আসেনা।”

“আহানা..তুমি মা হয়ে মেনে নিচ্ছো? তোমার ছেলের এই কাজকে? আমরা ওর কেউনা? আমাদেরকে ছাড়া চেনা নেই, জানা নেই, একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেললো?”

“কখনো বাবার দায়িত্ব পালন করেছো?”

চুপসে যান নীলয় চৌধুরী। একটু থেমে বলেন,

“তুমি কখনো মায়ের দায়িত্ব পালন করেছো?”

“আমরা কেউ নিজের সন্তান’কে আগলে রাখতে পারিনি। কাজেই আমাদের উপর সন্তানের এই অনীহা স্বভাবই স্বাভাবিক নীলয়।”

“স্টপ মম এন্ড ডেড। এনাফ ইজ এনাফ। সকালে তোমাদের ঝ’গ’ড়া শুনে ঘুম থেকে উঠা আমার রোজ’কার রুটিন হয়ে গেছে।” নাউ স্টপ দিস”

কথাগুলো বিরক্ত কন্ঠে বলতে বলতে উপর তলা থেকে নেমে আসে প্রান্তিকের ছোট ভাই অর্ণীক। তার পাশেই রয়েছে তার ছোট বোন পর্ণা।

“ঝ’গ’ড়া’টাতো তোমাদের বাবা’ই প্রথমে শুরু করে। এনিওয়েস, আমার লেইট হয়ে যাচ্ছে। আমি অফিসে যাচ্ছি। পর্ণা ব্রেকফাস্ট করেছো?”

“ইয়েস মম।”

“চলো তোমাকে কলেজে ড্রপ করে দিয়ে আমাকে অফিসে যেতে হবে। অর্ণীক তুমিওতো যাবে ভার্সিটিতে তাইনা?”

“নো মম। আজকে আমি ভার্সিটিতে যাবনা। আজ আমি ফ্রেন্ড’দের সাথে ঘুরতে যাব। সো বাই। সি ইউ।”

কথাগুলো বলে তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় অর্ণীক। মিসেস আহানা চৌধুরী দী’র্ঘশ্বা’স ফেলেন। অর্ণীক প্রান্তিকের অপোজিট৷ যেদিকে প্রান্তিক শান্ত স্বভাবের ছেলে, সেদিক থেকে অর্ণীক তার বিপরীত। চঞ্চল, ঘুরাঘুরি, ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়েই তার প্রতিদিন। রাত করে বাড়ি ফেরা, পার্টি’তে যাওয়া সব তার মাঝে বিদ্যমান। প্রান্তিক এই বাড়ি থেকে বাগান বাড়িতে চলে যাওয়ার পর তার এইসব কাজ আরও বেড়ে গেছে। প্রান্তিক থাকাতে এইসবের সুযোগ একদম’ই পেতোনা সে।

১৭.

“এখনো হয়….

প্রান্তিক আর কিছু বলতে পারলোনা। অর্ষাকে লাল লেহেঙ্গা’তে কি সুন্দর লাগছে! এ যেনো আকাশের পরী। প্রান্তিক দেখতে এসেছিলো সাজ কম্লিট হয়েছে কিনা। এসেই অর্ষাকে দেখে থমকে গেছে সে। অর্ষা আয়না দিয়ে প্রান্তিকের এমন চাহনি দেখে পিছনে তাকালো। অর্ষার চোখাচোখি হতেই প্রান্তিক নিজেকে সামলে বললো,

“বাহ্ আমার বউকেতো…বেশ সুন্দর লাগছে। যদিও মেকআপ বেশির জন্য সুন্দর লাগছে। এমনিতেতো পুরাই পে’ত্নী।”
অর্ষা উঠে দাঁড়ায়। মেয়েগুলোর দিকে এক পলক তাকাতেই মেয়েগুলো বাইরে চলে যায়৷ অর্ষা কো’ম’ড়ে দু হাত গুঁজে, রা’গে গজ’গজ করে বললো,

“আপনি কি বলতে চান? আমি মেকআপ সুন্দরী?”

“ওমা বউ..তুমি জানোনা? মেয়েরা যে মেকআপ সুন্দরী।”

“কতো মেয়ের কাছে গিয়ে দেখেছেন? যে তাকা মেকআপ মাখে।”

“এইটা মেয়েদের সৌন্দর্যের আসল রহস্য বউ।”

“শাট আপপপ।”

প্রান্তিক কিছু না বলে অর্ষার হাত ধরে হে’চ’কি দিয়ে কাছে টে’নে আনে। কো’মড়ে এক হাত রাখে। অর্ষা চোখ বন্ধ করে ফেলে। নি’শ্বা’স ঘ’ন হয়ে আসে তার। প্রান্তিক অর্ষার একদম কাছে গিয়ে বলে, “বউ ল’জ্জা পেয়োনা, তোমার ওই ল’জ্জা মাখা চেহারা আমায় বড্ড কাছে টা’নে। চোখ মেলে অর্ষা। তখনি আকস্মিক ভাবে অর্ষার ঠোঁ/টে/র সাথে ঠোঁ/ট মিশিয়ে দেয় প্রান্তিক।

অর্ষা প্রান্তিকের পি’ঠে আলতো হাতের কয়েকরা কি’ল বসিয়ে দেয়। ক্ষাণিক ক্ষণ পরে প্রান্তিক ছেড়ে দেয় অর্ষাকে। নিজের ঠোঁ/ট হাত দিয়ে মুছে আলতো শব্দ করে হেসে বললো,

“বিয়ের মিষ্টি মানুষ বলে তি’তা, কিন্তু এই মুহুর্তে আমারতো মনে হচ্ছে মিষ্টি। বউ…”

কথাটি বলেই হেসে চলে যায় প্রান্তিক। অর্ষার হার্টবিট বারবার উঠা’না’মা করছে। একটু আগের ঘটনা’টা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে তার। ঠোঁ/টে আঙ্গুল রাখে সে। র ক্ত বের হচ্ছে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে গুটিয়ে গুটিয়ে নিজেকে পরখ করে সে। একটু আগেও কতো সাদামাটা ছিল। এই মুহুর্ত থেকে কি তবে তার জীবনে যেই পরিবর্তন আনতে চায়নি, সেই পরিবর্তন’ই হবে জীবন?”

১৮.

“কেমন আছেন মিসেস মির্জা?”

“আলহামদুলিল্লাহ মিসেস চৌধুরী। আপনি?”

“আলহামদুলিল্লাহ।”

বেশ হাসিমুখে কুশল বিনিময় করলো মিসেস নিশিতা মির্জা আর মিসেস আহানা চৌধুরী।

“বেশ ভালোই হয়েছে আজকে এই মিটিংটা’তে দুজন গ্রুপ হয়ে কি বলেন মিসেস মির্জা?”

“হুম হুম তাতো অবশ্যই। আপনাদের কোম্পানির সাথে আমাদের কোম্পানি কাজ করবে সেতো এক স্বপ্ন সমতুল্য। এ আমাদের অনেক দিনের সাধনা মিসেস চৌধুরী।”

“কি যে বলেন না আপনি। আর তাছাড়া আমাদের সম্পর্কটাতো এখন শুধু বিজনেসের ক্ষেত্রে নয়, আত্নীয়’তার ক্ষেত্রেও বেশ এগিয়ে।”

মিসেস চৌধুরী প্রান্তিকের বিয়ে করা’র ব্যাপারটা বেশ সুন্দরভাবে এড়িয়ে গেলেন। মিসেস নিশিতা মির্জা কিছুক্ষণ চুপ থেকে ভাবলেন, ‘নাহ..অর্ষার ব্যাপারটা বলা যাবেনা। বললে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তারপর ভদ্রতার খাতিরে হেসে বললেন,

“জ্বি জ্বি তাতো অবশ্যই।”

১৯.

অর্ষাকে নিচে নামানো হয়েছে। সোফায় বসে আছে সে৷ এখন সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। অর্ষা’র সামনেই বসে আছে প্রান্তিক। এখনি সে বাইরে থেকে এলো। পায়ের মোজা খুলতে খুলতে বাড়ির চারিদিকে তাকালো সে। নাহ..অল্প সময়ের মাঝে বাড়িটা সুন্দরভাবেই সাজিয়ে ফেলেছে কর্মচারী’রা। অর্ষার দিকে তাকিয়ে দেখো তাকে৷ এই গ’র’মে ভারী গহনা, শাড়ি নিয়ে বসে থাকতে পারছেনা সে৷ তা তার মুখমন্ডলে ভাসমান। মনে মনে হয়তো প্রান্তিক’কে ইতিমধ্যেই হাজার কথা শুনিয়ে ফেলেছে। প্রকাশ না করলেও বেশ বুঝতে পারছে প্রান্তিক। প্রান্তিক একজন কর্মচারীর উদ্দেশ্যে বললো,

“আমাদের বাসর ঘর এখনো সাজানো হয়নি?”

অর্ষা তাকায় প্রান্তিকের দিকে। মিনমিনিয়ে বলে, “ব’জ্জা’ত বেটা মুখে ল’জ্জা স’র’ম কিছু নেই। এইভাবে এই সন্ধ্যায় সং সাজিয়ে বসিয়ে রাখার কোনো মানে আছে? আজব! সেতো এই বিয়েই মানেনা, বা’স’র’তো আকাশ পাতাল। ‘কখনোই এক ঘরে এই ছেলের সাথে থাকা যাবেনা। আমাকে কিছু একটা করতে হবে..’ কথাটি মনে মনে ভাবতেই অর্ষা চিৎ কা র দিয়ে বললো,

” মানিনাহহহ আমি এই বিয়ে মানিনাহ…”

আচমকা অর্ষার এমন পরিবর্তন দেখে চমকে উঠে প্রান্তিক৷ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে শব্দ করে হেসে ফেলে সে। তারপর উচ্চ স্বরে বললো,

“কে কোথায় আছিস? ডক্টর’কে কল দে। আমার বউয়ের নেরি রোগ দেখা দিয়েছে।”

অর্ষা দাঁতে দাঁত চে’পে বলে,

“ল’জ্জা থাকা উচিৎ আপনার। একটা মেয়ের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছেন আপনি।”

“ল’জ্জা থাকবে কেমন করে বউ? ল’জ্জা’তো আমি তোমার কাছে বি’ক্রি করে দিয়েছি।”

অর্ষা অবাক হয়ে ভাবে কতোটা নির্লজ্জ হলে একটা মানুষ এইসব বলতে পারে। তখনি কলিং বেল বেজে উঠে। একজন সার্ভেন্ট গিয়ে দরজার খুলে দেয়। তখনি তড়িঘড়ি করে কেউ একজন এসে প্রান্তিক’কে জ’ড়ি’য়ে ধরে।

“হাউ আর ইউ ব্রু?”

প্রান্তিক গম্ভীরমুখে ভাইকে জ’ড়ি’য়ে ধরে বলে,

“ভালো আছি৷ তুই কেমন আছিস অর্ণীক?”

প্রান্তিক’কে বরাবরই সবাই গাম্ভীর্য মুখমণ্ডলে দেখে অভ্যস্ত।

“কিভাবে ভালো থাকব ব্রু? তোমাকে ছাড়া। ফিরে চলোনা…ব্রু প্লিজ..”

কথাটি বলতেই বধূরুপে অর্ষার দিকে চোখ যায় অর্ণীকের। আলতো হেসে অর্ষার হাত ধরে বললো,

“কেমন আছেন ভাবী?”

অর্ষা অবাক হয়। কতোটা মিশুক স্বভাবের হলে এইভাবে হাত ধরে সংকোচ ছাড়াই এমনভাবে কথা বলতে পারে মানুষ! মনে হয় সে অর্ষাকে আগে থেকেই চিনে। অর্ষা বুঝতে পারে ছেলেটা দাম্ভিক মানুষটার ভাই। অর্ষা ভদ্রতার খাতিরে মুচকি হেসে বললো,

“আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া, আপনি?”

“কিভাবে ভাল থাকি? নিজের ভাই একা একা বিয়ে করে ফেললে? বাই দ্যা ওয়ে ভাবী, আপনার কোনো বোন আছে? না মানে..আপনার মতো সুন্দরী হলে আমি বিয়ে করে ফেলব। ভালোনা? এক ঘরে দুই বোন। কি বলো ব্রু?”

প্রান্তিক অর্ষার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,

“হুম হুম একদম…”

“তা ব্রু..হবে নাকি পার্টি? ফর মাই নিউ ভাবী?”

“Obviously অর্ণীক। Why nOt? দুদিন পর রিসিপশন রেখেছি।”

“আমাদের ম্যানশনে করবে ব্রু?”

“না.. অসম্ভব।”

মন খারাপ হয়ে যায় অর্ণীকের। প্রান্তিক বুঝতে পারে ভাইয়ের মন খারাপ। তবে সে ওই প্রাণহীন বাড়িতে আর ফিরতে চায়না। ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললো,

“তুই এইখানে থেকে যা অর্ণীক। রিসিপশনের দায়িত্ব’টা তুই নে।”

এক্সাইটেড হয় অর্ণীক। উৎফুল্ল স্বরে বললো,

‘ইয়েস ব্রু..এই কথাটাই, ঠিক এই কথাটাই তোমার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম।”

চলবে….

#বি:দ্র: আজকে কিছু সমস্যার জন্য পার্ট ছোট দিয়েছি। সবাই মানিয়ে নিয়েন। আগামীকাল বড় পর্ব দিব। ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here