#দাম্পত্য_জীবন
#মেহু_আপু
#পর্ব_05
নীলা বাড়িতে ঢোকা মাত্রই তার মা তানিয়া বেগম নীলাকে জড়িয়ে ধরে। এরপরে বলে কেমন আছিস মা? নীলা বলে আলহামদুলিল্লাহ মা তুমি কেমন আছো? ভালো আছি মা এরপরে আকাশকে জিজ্ঞেস করলো কেমন আছো বাবা? তোমার বাড়ির সবাই ভালো আছে? আকাশ বলে হ্যা মা সবাই ভালো আছে। তানিয়া বেগম বলে নীলা জামাইকে রুমে নিয়ে যা? নীলা বলে হ্যা মা। রুমে ঢুকে নীলা বলে এই যে, এখানে বসুন। জানালা খুলে দিয়ে নীলা বলছে আহ কি যে ভালো লাগছে।
আকাশ বলে নীলা তোমাকে কি আমার রুমে দম বন্ধ লেগেছিলো যে এখানে এসে উত্তেজিত হয়ে গেছো। নীলা বলে কি যে বলেন নিজের রুম আর মানুষের রুম কি এক? আকাশ বলে ও আচ্ছা বিয়ের সাথে সাথে আমার সব কিছু কে পর ভেবে নিছো? নীলা বললো আই আ্যাম সরি আমি এভাবে বলতে চাই নাই আকাশ। আকাশ বললো থাক আর কিছু বলতে হবেনা তোমায়।
নিচে ইমরান ইতঃস্তত বোধ ফিল করছিলো তখন রিয়া এসে বলে এই আপনি ক্যান দুলাভাই আর আপুর মাঝে কাবাব মে হাড্ডি হতে এসেছেন। ইমরান বলে ওলে বাবা আমি ক্যান আমার সাদাসিধা ভাইকে এতগুলো শাঁকচুন্নির হাতে ছেড়ে দিবো! যদি কামড়ে দেয় তাই প্রটেট করতে এসেছি।
রিয়া বলে আমি শাঁকচুন্নি আজ আপনাকে দেখাবো মজা। এসেছেন আমার বাড়িতে আমাকেই শাঁকচুন্নি বলা আজ রাতে দেখাবো নতুন খেলা। এসব রিয়া মনে মনে বলে। তখন ইমরান বলে এই যে আপনি চুপ করে গেলেন যে কথাটি কি গায়ে লেগেছে। রিয়া ইমরান কে পাত্তা না দিয়ে উপরে চলে যায়। কেয়া বলে উঠে বেচারি দিল টোট দিয়া। ইমরান বললো দেখো কেয়া আমি কিন্তু ওভাবে বলিনি। আর আমি মজা করেছিলাম এতে মাইন্ড করার কি আছে? কেয়া বললো দেখুন ভাই সেইটা ওকে বলুন আমাকে বলে লাভ আছে এই বলে কেয়াও উপরে চলে যায়।
ইমরান বললো মেয়ে গুলা তো ঘাড়ত্যাড়া কই ওদের বাড়ি আসলাম ওরা আমাকে ফেলে দিয়ে উপরে চলে গেলো। আর আমার এই ভাইয়ো বউয়ের লেজ ধরে বেড়াচ্ছে! ধ্যাত,ক্যান যে আসলাম এইখানে মরতে। পরে আবার ইমরান ভাবলো রিয়াকে আমার এভাবে বলা ঠিক হয়নাই। আসলে আমি ওকে বাজিয়ে দেখছিলাম কিন্তু ও এতো মাইন্ড করবে জানলে করতাম না 🙂 এই বলে ইমরান টিভি ছেড়ে বসে বসে থাকে সোফায়।
নীলা বললো আকাশ আমাকে ভূল বুঝিয়েন না। আর আমার এই কথায় এতো ভূল ধরার কি আছে যান তো ফ্রেশ হয়ে চেঞ্জ করে আসেন। লং ড্রাইভ করছেন তাই ভালো লাগছে না বোধহয় আপনাকে। আকাশ বললো আপনার বাড়িতে এসেছি বলে কথা গুলো ছেড়ে দিলাম এই বলে ফ্রেশ হতে গেলো।
নীলা এই সুযোগে তার চুল গুলো খুলে ক্যামেরা অন করে স্লো মশানে গান ছেড়ে ড্যান্স করতে লাগলো।
আকাশ চেঞ্জ করে এসে নীলার এই অবস্থা দেখে আবারো ক্রাশ খায়। মনে মনে বলে মেয়ে টার কতগুন অপূর্ব সুন্দরী লাগছে। হাভা হাভা চোখে এক দৃষ্টিতে নীলাকে দেখতেই আছে।
নীলা এদিক ঘুরতেই লজ্জা পেয়ে আকাশকে বলে রুমে ঢুকলো একটু কাশি দিতে হয় এই ম্যানার্স জানেন না। আকাশ তখন বললো এই যে আমি ভিতরেই ছিলাম। নীলা লজ্জা পেয়ে আর কিছু না বলেই চেঞ্জ করতে যায়।
—— রাত 9.00 PM —–
তানিয়া বেগম ডাইনিং এ খাবার প্রস্তুত করে সবাইকে ডাকে। সবাই খেতে আসে এবং ডাইনিংগে বসে পড়ে। ইমরান বলে এই ভাইয়া তুই আমায় কই আনলি। আকাশ বললো কেনো কি হয়েছে? ইমরান বললো তোর এই সালী দুটা তালছেড়া কই একটু এদের সঙ্গ নিতে এসেছিলাম! কিন্তু ওরা এটিটিয়োট দেখাচ্ছে। আকাশ বললো চুপ থাক ওরা শুনতে পাবে। তখন কেয়া বলে এই যে ভাই আমাদের দুলাভাইকে কি বলে গুজর গুজর করছেন। ইমরান বললো কই কিছুনাতো। লিটন সাহেব বলে কেয়া চুপ করো! খেতে বসতে কথা বলতে নেই। নীলা সবাই তাড়াতাড়ি খাতো। আমি খুব টায়ার্ড ২ দিন যাবত যা ঝড় গেলো। আজ তাড়াতাড়ি ঘুমাবো। আকাশ মনে মনে বললো মনে হয় মহারানীর উপর দিয়ে একাই ঝড় গেছে 🤨
খাওয়া দাওয়া শেষে লিটন সাহেব বললো বাবা আকাশ আমি উঠি তোমরা আলোচনা করো আমার আবার কিছু কাজ আছে। আকাশ বললো হ্যা বাবা যান। তানিয়া বেগম বললো কেয়া রিয়া ইমরানকে গেষ্ট রুম টা দেখে দিইয়ো আমি আসি। কেয়া বলে হ্যা ঠিক আছে। রিয়া বললো আজ তোমাকে দেখাবো মজা। ইমরান বললো কিছু বললে রিয়া। রিয়া বললো হ্যা চলুন আপনাকে গেষ্ট রুম দেখিয়ে দিচ্ছি। ইমরান বললো এ বাবা এত তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন। নীলা বললো আমার খুব ঘুম পেয়েছে ইমরান তোমরা আজ গল্প করো।আমি কালকে তোমাদের সাথে এটেন্ড করবো। তখন আকাশ বলে সবাই নিজ নিজ রুমে যাও আমিয়ো টায়ার্ড খুব। এই বলে নীলার সাথে রুমে চলে আসে।
ইমরানকে গেষ্ট রুমে সব কিছু দেখিয়ে দিয়ে চলে যায় কেয়া আর রিয়া।
রিয়া আর কেয়া রুমে যেয়ে বলে বেডাকে আজ খুব ভয় দেখাবো দাড়া একটুখানি সময় যাক।
নীলা বলে আকাশ আপনি আজ আমার বেডে ঘুমান। আকাশ বললো তুমি কোথায় ঘুমাবে? নীলা বললো আমার বেডে। আকাশ বললো কিন্তু কিভাবে? নীলা বললো এই মাঝখানে কোল বালিশ রাখবো এই সাইড টায় আমি ঘুমাবো ওই সাইড টায় আপনি ব্যাচ সমস্যা ক্লিয়ার।
আকাশ বললো ও আচ্ছা বলেই শুয়ে পড়লো। নীলা বললো কি করছেন জুতা না খুলেই শুয়ে পড়লেন। আকাশ বললো পারবো না। এরপরে নীলা নর্মাল ড্রেস পড়ে আকাশের জুতা খুলে দিয়ে ল্যাম্পপোস্ট অফ করে শুয়ে পড়ে।
রাত গভীর হয় রিয়া ইমরানের ঘরে রিমোট নিয়ন্ত্রিত পুতুল রেখে আসে ওই পুতুল কে রিমোটের মাধ্যমে চালনা করে শুরু করে। পুতুল চলতে শুরু করে আলো ছড়িয়ে দেয় আকাশ এর ঘুম ভাঙ্গে আর পুতুলের হাটা চলা দেখে মনে করে শাঁকচুন্নি তাই সে দৌড়ে দরজা খুলে। দরজা খুলেই রিয়াকে দেখে ভয় পায়। কেয়া এসে বলে আর বলবেন শাঁকচুন্নি। ইমরান বলে এতো বড় সাহস তোমাদের ঘরে ওইটা কি দেখো? রিয়া তখন পুতুল টি নিয়ে আসে এই যে শাঁকচুন্নি। ইমরান লজ্জায় পড়িয়া রুমে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দেয়। রিয়া আর কেয়া বললো সমস্যা ক্লিয়ার ব্যাডা আর কোনোদিন খালি পিছনে লাগতে আসিস।
ইমরান রুমে ঢুকে বলে ছি! কি করলাম আমি ওরা আমাকে ভীতু ভাবছে। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে ইমরান।
সকাল হয়ে যায় নীলা খুব সকালে উঠে তারপরে গোসল করে সুন্দর করে সাজুগুজু করে। আকাশ আর বাড়ির সকলেই ঘুমাচ্ছে তখন সকাল 7.00 টা বাজে নীলা তার স্কুটি নিয়া বাইরে বের হয়ে যায়।
7.30 টা নাগাধ তানিয়া বেগম উঠে সবার জন্য ব্রেক ফার্স্ট রেডি করে আজগরের অফিসে সকালে কাজ থাকায় নাস্তা করে বের হয়ে যায়। কেয়া রিয়া উঠে পড়ে। কেয়া আর রিয়া দুদিন ধরে ভার্সিটি যায়না তাই তানিয়া বলে উঠলো আজকে ভার্সিটিতে যাবি না তোরা। রিয়া বললো বড় আম্মু আজকের দিনটা আমাকে মাফ করো আমি যাবো না। তানিয়া বলে কেয়া তুই যাবিনা। কেয়া বলে হ্যা যাবো আজকে আমাদের বিভাগে এসাইনমেন্ট আছে আমি বেড়োচ্ছি তুমি নাস্তা রেডি করো।
কিছুক্ষণ পর নাস্তা খেয়ে কেয়া তার স্কুটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে। তানিয়া বেগম বলে তুই ভার্সিটি গেলি না ওইখানে বসে আছিস ক্যান হাতে হাত লাগা তোর জামাইবাবুর প্রিয় খিচুড়ি করছি। রিয়া বলে বড় আম্মু নীলাপু আর দুলাভাই এখনো উঠে নাই 8.40 বাজে আমি ওদের ডাকছি নাস্তা করার টাইম পাড় হয়ে যাচ্ছে তো। তানিয়া বললো হ্যা যাওতো। এরপরে রিয়া ইমরানকে যেয়ে বলে উঠুন নাস্তা করতে হবে দরজায় নক করছে আর বলছে। ইমরান তখন বললো মা এখান থেকে যাওতো আজকে ভার্সিটিতে ক্লাস নাই পরে উঠবো। তখন রিয়া বলে আমি আপনার মা না রিয়া বলছি উঠেন। তখন ইমরান বলে ও আচ্ছা আমারতো হুশ নাই ঘুমে সরি আমি নিচে যাচ্ছি একটুপর যান।
এরপরে রিয়া নীলার রুমে যায়। রুমে যেতেই দেখে দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকতেই দেখে নীলা ভিতরে নেই আকাশ ঘুমাচ্ছে। এই বিষয় দেখে ওয়াশরুমে যেয়ে দেখে নীলা নাই তখন রিয়া আকাশকে ডাক দেয়। দুলাভাই দুলাভাই ওই দুলাভাই উঠুন আফা কই। আকাশ তখন লাফ দিয়ে উঠে বলে আফা কই মানে।
নীলা আপু নিচেও নাই আপনার রুমেও নাই তাই বলছি। তখন আকাশ বলে আমি কি করে জানবো বলেই নিজের ফোন হাতে নেয়। তখন দেখতে পায় নীলার এসেমেস। নীলা এসেমেসে লেখেছে। আকাশ তুমি নাস্তা করে নিয়ো আমি একটা জরুরি কাজে কাউকে না বলে বেড়িয়েছি কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবো।
আকাশ তখন রিয়াকে বলে নীলা বাইরে গেলো একা একা আমাকে তো ডাকতে পারতো। তখন রিয়া বলে এই দুলাভাই আপু ছোট বাচ্চা না চলেন নাস্তা করতে হবে। আকাশ বলে তুমি নিচে যাও ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।
নীলা স্কুটি চালিয়ে ডিরেক্ট হামজার বাড়িতে আসে। এসে দেখে হামজা বাড়িতে নাই তাই নীলা হামজার জন্য 40 মিনিট থেকে অপেক্ষা করতেছিলো। এদিকে হামজার বোন শুধু একাই বাড়িতে তাদের মা নাকি তার নানাবাড়িতে বেড়াতে গেছে গতকাল। তাই নীলা হামজার বোনের সাথে টাইম ইসপেন্ড করতেছিলো। হামজার বোন হামজাকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ডাকে। হামজা বাড়িতে আসে। হামজা নীলাকে দেখে অবাক হয়। হামজার বোন বলে আপনারা গল্প করুন আমি নাস্তা আনি এই বলে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
নীলা বলে অবাক হচ্ছো নাকি হামজা। হামজা বললো তুমি এখানে। নীলা বললো আমাকে খুব ভালোবাসো তুমি তাইনা। হামজা বললো হ্যা খুব ভালোবাসি আমার জীবনের চেয়েও বেশি। নীলা বললো ও আচ্ছা আমার বিয়ের দিন তাহলে রেলস্টেশনে যাও নাই ক্যান। হামজা বললো তোমাকে এসেমেসে তো সব বলছি। নীলা বললো তো হামজা সাহেব তোমার মা ও বোনকে মারার হুমকি কে দিছিলো। হামজা বললো তোমার বাবা?
এইবার নীলা খুব রেগে যেয়ে হামজাকে চড় মারে। নীলা বলে তোর মতো ছোটলোকের সাথে আমার তিন বছরের সম্পর্ক ছিলো ভাবতেই ঘৃণা লাগছে। হামজা বললো আমাকে মারলা, কি করেছি আমি? এইবার নীলা তার বাবার করা রেকর্ড শোনায় হামজাকে। হামজা অবাক হয়ে বলে তোমাকে এটা দিলো কে? নীলা বললো এই তোমার আসল চেহেরা বড়লোকের মেয়েকে সম্পত্তি হাতানোর লোভ ছিলো। হামজা তখন বলে এসব কেউ ইচ্ছে করে তোমার আমার মাঝে ভূল বুঝাবুঝির জন্য ফেইক রেকর্ড বানাইছে। নীলা বলে চুপ করো আমি যার সাথে তিন বছরের সম্পর্ক ছিলাম তার ভয়েস ভালো করে চিনি।
হামজা বলে তো কি করতাম আমি। আমার ভালোবাসা চাইনা টাকা চাই এর জন্য বলেছি। নীলা আবার হামজার গালে চড় দিয়ে বলে অসভ্য, ছোটলোক, ইতর, কিছু পাবা না তুমি। আর আজকের পর থেকে তুমি আমার কাছে মৃত্যু। হামজা বললো কিছু পাবো না মানে আমার ভালোবাসার দাম তোমার বাবা ৫ ০ লক্ষ্য টাকা দিতে চাইছে ওইটা না দিলে আমি মামলা করবো। তখন নীলা বলে চুপ ছোটলোক তোকে কে ভালোবাসছে। আল্লাহ আমাকে বাচাইছে তোর মতো ছোটলোকের হাত থেকে কিছু পাবি না তুই। এই বলে নীলা বের হয়ে যায় স্কুটি নিয়ে।
হামজা চিৎকার করে ওয়ালে হাত ঘুষি মারে। হামজার বোন নাস্তা আনার সময় এই দৃশ্য দেখে দৌড়ে এসে বলে কি হয়েছে ভাই। হামজা বলে কিছুনা তুই নাস্তা রেখে দিয়ে আয়। হামজার বোন বলে নীলাপু চলে গেছে। হামজা বললো কথা বলিস না তুই এখান থেকে যা। হামজার বোন চলে যায়।
হামজা নীলার পিক হাতে নিয়ে বলে কাজটা তুমি ঠিক করলা না নীলা এর মূল্য তোমাকে হাড়ে হাড়ে দিতে হবে তৈরি থাকো।
সিন চেঞ্জ হয়ে নীলার বাড়িতে আসে তানিয়া বেগম আকাশ, ইমরান, রিয়া নাস্তা করে উঠে।তানিয়া বললো মেয়েটা আর চেঞ্জ হলোনা এখনো আগের মতোই রইলো।আকাশ বললো ও আগেও এইরকম করতো মা। তানিয়া বললো হুম বাবা।
একটুপর নীলা চলে আসে স্কুটি রেখে ভিতরে ঢুকতেই আকাশ বলে উঠে দাঁড়াও। নীলা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছে আকাশ? আকাশ বললো তোমার এত আর্জেন্ট সমস্যা আমাকে বলবানা আমিয়ো তোমার সাথে বের হতাম। নীলা বলে আরে আপনি ঘুমাচ্ছিলেন তাই আপনাকে আর ডাকিনি। তানিয়া বলে উঠে নীলা এখন তোমার বিয়ে হইছে। এইভাবে জামাইকে না বলে হুটহাট বেড়াতে নেই। আকাশ বললো মা ঠিক আছে ও তো একটু আমাকে বলে যেতে পারতো।নীলা বললো সরি আকাশ আর কোনোদিন হবেনা। আকাশ বলে বাইরে তো কিছু খাও নাই চলো নাস্তা করবা। নীলা ভদ্র মেয়ের মতো যেয়ে নাসতা করে রুমে চলে যায়!আকাশ পিছে পিছে চলে যায়।
ইমরান বলে যেমন ভাবী তার তেমন বোন। এই কথা শোনা মাত্রই রিয়া রেগে যায়। ইমরান বলে এই রিয়া রাগ করো ক্যান? রিয়া বলে রাগ করবো না সবসময় আমাকে ইনসাল্ট করেন। ইমরান বলে ক্যান তোমার পিছনে লেগে লাগি তুমি বুঝোনা। রিয়া বললো কি বুঝবো বলেই চলে যেতে লাগলো। ইমরান হাত টেনে বুকে টেনে নেয় রিয়াকে।
চলবে,,,
[ আসসালামু আলাইকুম। ভূল ত্রুটি মার্জনীয়। সবাই গঠনমূলক মন্তব্য করবেন আপনাদের সাড়া না পেলে লিখতে ভালো লাগে না। আপনারা যারা গল্পটা পড়েন দয়া করে নেক্সট না লিখে ভালো একটা কমেন্ট করুন। এতে আমার তৃপ্তি বোধ লাগে লিখতে ইচ্ছে করে]