প্রেম_প্রেম_পায় #স্বর্ণালী_সন্ধ্যা পর্ব একুশ

1
730

#প্রেম_প্রেম_পায়
#স্বর্ণালী_সন্ধ্যা
পর্ব একুশ

২১.
‘তোমার প্রতি আমার চাহনী কেমন?’

অপরাজিতার গা শিরশির করে উঠলো। আবারো এই দৃষ্টি! অপরাজিতা চোখ সরিয়ে ফেলল চোখ থেকে। উত্তর দিতে পারছে না সে। কিভাবে উত্তর দিবে ওই চোখে চেয়ে উত্তর দেওয়ার আগেই চোখের মাঝে ডুবে যায় সে। অনুভূতিরা যেনো ডানা মেলে উড়তে যায়। ভীষণ ভয়ানক কিছু করে ফেলতে ইচ্ছে করে। মন চায় একটু ছুয়ে দি প্রেমিক পুরুষকে। কিন্তু তার তো লজ্জা করে।
ফায়াদ অপরাজিতাকে অন্য দিকে তাকাতে দেখে আবার প্রশ্ন করলো,
‘বলো!’

অপরাজিতা তাকালো। জিব দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে কিছু বলতে নিবে আর তখনি ফোনটা বেজে উঠলো। ফায়াদ অপরাজিতাকে ইশারায় ফোন রিসিভ করতে বলল।ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রামিসা বেগম বলে উঠলেন,
‘ কোথায় তুই! বাসায় আয়।’

রামিসা বেগম তাড়া দিচ্ছেন। অপরাজিতা বলল,
‘আসছি মা।’

ফোন রাখতেই ফায়াদ বলল,
‘বাসা থেকে?’

অপরাজিতা মাথা ঝাকিয়ে হ্যা বলল।ফায়াদ বলল,
‘আসো আমি পৌছে দেই।’

অপরাজিতা মাথা নাড়িয়ে বলল,
‘না আপনি আপনার ভাইকে সময় দিন। আমি যেতে পারবো।’

ফায়াদ অপরাজিতা দিকে তাকিয়ে থেকে তার হাত ধরে রাস্তার দিকে হাটা শুরু করলো।অপরাজিতা হাটতে হাটতে বলল,
‘আমি যেতে পারবো তো।আপনাকে কষ্ট করে –‘

ফায়াদ হাতে চাপ দিয়ে বলল,
‘মুখ বন্ধ!রিকশা তে উঠায় দিচ্ছি আমি। বাসায় গিয়ে ম্যাসেজ করবে আমাকে।’

অপরাজিতা চুপ হয়ে গিয়ে বাধ্য মেয়ের মতো মাথা হেলালো। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে একটা রিকশা পেল তারা। রিকশায় বসতেই ফায়াদ রিকশাওয়ালা কে ভাড়া দিতে নিলে অপরাজিতা বলল,
‘আমার কাছে আছে তো’

ফায়াদ একপলক তাকিয়ে ভাড়া মিটাতে মিটাতে বলল,
‘তা আমি জানি। আর আমার মানেই তোমার।’

অপরাজিতা মিষ্টি এক হাসি দিয়ে মিষ্টি কন্ঠে শুধালো,
‘আপনি পুরো মানুষটাই তো আমার।’

শুনে ফায়াদ কিছু বলল না। তবে তার অধর কোণে এক টুকরো হাসি ফুটে উঠলো। সে রিকশা ওয়ালার উদ্দেশ্যে বলল,
‘মামা সাবধানে নিয়ে যেয়েন।’

তার পর অপরাজিতার উদ্দেশ্যে বলল,
‘আল্লাহ হাফেজ’

অপরাজিতাও বলল,
‘হুম আল্লাহ হাফেজ।’

রিকশা চলা শুরু করেছে। ফায়াদ তাকিয়ে আছে অপরাজিতার যাওয়ার পানে। হঠাৎ অপরাজিতার কিছু মনে পড়ায় সামান্য একটু গিয়েই রিকশা থামাতে বলল।রিকশা থামতে দেখে ফায়াদ ভ্রু কুচকে তাকালো। অপরাজিতা পিছে ঘুরে ফায়াদকে উদ্দেশ্য করে বলল,
‘ওই মেয়েটা থেকে দূরে থাকবেন।তাকে আমি চিনি না।আগে আমি জেনে নেই তারপর কথা বলবেন।’

বলেই রিকশাওয়ালাকে বলল,
‘চলেন।

রিকশা চলে গেল।ফায়াদ তাকিয়ে থেকে বিরবির করে বলল,
‘পাগল মেয়ে’

~~~~~~
‘স্যার বেশি ব্যথা পেয়েছেন?’

ফায়াজ নাটকীয় ভাবে বলল,
‘আপনার কি মনে হয় যে অনেক আস্তে ধরেছে!’

নীতি মুখ টিপে হেসে দিল। ফারাজ কফি খাচ্ছে। মাথা ধরে গেছে তার। ছোট্ট একটা মেয়ে এতো শক্তি পায় কিভাবে! তার ভাই যে কারে ভালোবাসল!

নীতির পড়নে একটা লেডিস শার্ট এবং জিন্স। আশে পাশে যে কয়েকজন মেয়ে উপস্থিত আছে তার মধ্যে নীতিই একটু আধুনিকতায় মোড়ানো। পাশের টেবিলে বসা কিছু ছেলে বার বার তাকাচ্ছে। নীতি বিষয় টা খেয়াল করেছে বেশ কিছুক্ষন। তার ভীষণ অস্বস্তি লাগছে। এমন ভাবে তাকানোর কি আছে! সে কি জোকার?
ফারাজ বিষয়টা লক্ষ্য করে নি। সে বসে আছে উল্টো করে। তাই সে দেখছে। ফায়াদ কেফে আসতেই বিষয়টা লক্ষ্য করলো।সে এসেই ফারাজের পাশে বসতে বসতে তার মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে গম্ভীর ভাবে সুধালো,
‘একদিকে খেয়াল থাকলেই হয় না। আশে পাশেও নজর রাখা লাগে যে কি ঘটছে।’

ফায়াদকে সিরিয়াস শোনাচ্ছে তাই ফারাজ বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করলো।বেশ কিছুক্ষণ পর বুঝে এলো তার। সে তো ভুলেই গিয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের স্বভাব। তাই খেয়াল ছিল না। পিছে ঘুরে তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো পাশের টেবিলের দিকে। ফারাজের দৃষ্টি দেখে ভরকে গেল ছেলে গুলো। ফারাজ তারপর নীতির দিকে তাকিয়ে রাগীভাবে বলল,
‘ আপনার প্রব্লেম হচ্ছিল আমাকে বলেন নি কেন?’

নীতি মিন মিন করে বলল,
‘প্রবলেম না।আসলে—‘

ফায়াদ এবার বুঝানোর ভঙ্গিতে বলল,
‘শুনো নীতি৷ এখানের মানুষগুলো ভিন্ন। কিছু মানুষ আছে তুমি যদি তাদের সামনে অস্বস্তি অনুভব করো তারা তোমাকে আরো অস্বস্তি অনুভব করাবে। তুমি তাদের দৃষ্টি দেখে বারবার সংকোচে ভুগছিলে বলেই তাকাচ্ছিল। এটাই তাদের আনন্দ। তুমি ইগনোর করো দেখবে কেউ আর তাকাবে না। Be comfortable. হুম?’

নীতি মাথা ঝাকিয়ে বলল,
‘হুম’

নীতি বুঝ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ আসে নি। তাই একটু অস্বস্তি লাগছিল৷ এখন সে সহজ হওয়ার চেষ্টা করছে।

ফায়াদ এবার নিজের জন্য অর্ডার করা কফি খেতে খেতে বলল,
‘আজ এসেছিস রেস্ট করবি। তা না করে তুই বাহিরে বাহিরে ঘুরছিস। টায়ার্ড লাগে না?’

ফারাজ শয়তানি হাসি দিয়ে বলল,
‘কেন তোর টায়ার্ড লাগে? শক্তি শেষ? ‘

ফায়াদ একপলক ভ্রু কুচকে তাকালো ফারাজের দিকে। পরক্ষণেই শার্টের হাতা উপরে তুলে বাকা হেসে বলল,
‘শক্তির প্রমাণ হয় নি মনে হয়।পাবলিক প্লেসে আরেকবার প্রমাণ দেই। কি বলিস?’

ফারাজ ঢোক গিলে বলল,
‘তোরা প্রেমিক প্রেমিকা দুইটা শুধু মারার ধ্যানে থাকিস নাকি?’

ফায়াদ উত্তর দিল না। এক গাল হেসে কফিতে চুমুক বসালো।ফারাজ এবার বলল,
‘ভাই তোর পুচকি ফুল দেখি অনেক ছোট।’

ফায়াদ দাতে দাত চেপে বলল,
‘she has a name!’

ফায়াদ রেগে যাচ্ছে বুঝতে পেরে ফারাজ থেমে গিয়ে বলল,
‘হ্যা হ্যা অপরাজিতা। সে তো অনেক ছোট আমাদের থেকে। নীতির থেকেও হয়তো ৫/৬ বছরের ছোট হবে।’

ফায়াদ স্বাভাবিক ভাবে বলল,
‘১২ বছরের গ্যাপ!’

ফারাজ চোখ বড় বড় করে তাকালো।ফায়াদ যে এমন একটা ছোট মেয়েতে আটকে যাবে তা ভাবে নি ফারাজ। কারন ফায়াদের সবসময় ম্যাচুর মেয়ে পছন্দ ছিল। যাদেরকে আলাদা করে সামলাতে হবে না।কিন্তু অপরাজিতা তো পুরোটাই বাচ্চামিতে ভরপুর!
ফারাজ বলল,
‘কিন্তু তোর পছন্দ তো–‘

ফায়াদ জানে ফারাজ কি বলবে। কথা শেষ হওয়ার আগেই সে উত্তর দিল,
‘আমার তাকেই পছন্দ।তাকেই লাগবে।’
তারপর হালকা হেসে দিয়ে বলল,
‘I’m actually in love with her immaturity!’

ফারাজকে আর কিছু বলার সুযোগ দিল না। ফারাজ বুঝে গেছে তার মাত্রাতিরিক্ত জীবন নিয়ে সিরিয়াস থাকা ভাইটা একটা বাচ্চা ফুলের সুভাসে ডুবে গিয়েছে। ফারাজ খুশি হলো। ভালোবাসা দেখতেও ভালো লাগে। তবে কোথাও একটা ব্যথাও লাগে। ফারাজ ব্যথা টাকে পাত্তা দিল না।

নীতি ফায়াদের কথা শুনে আবেগে আপ্লুত হয়ে বলল,
‘ইশ কি সুইট!’

ফারাজ মুচকি হেসে বলল,
‘হুম ঠিক বলেছেন। ভালোবাসা জিনিসটা খুবই সুইট।’

ফায়াদ তাকালো ফারাজের দিকে।ফারাজ চোখের ইশারায় বোজালো সে ঠিক আছে।কফি শেষ করে ফারাজ বলল,
‘এখন বাসায় ফেরা যাক! ভাইয়ের ফুল কে তো দেখা হলোই। এখন আমার ঘুম দরকার একটা। ‘

নীতিও বাচ্চাদের মতো বলল,
‘হ্যা আমিও ঘুমাবো।’

তা শুনে ফায়াদ এবং ফারাজ উভয়েই হেসে দিল। নীতি তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করছে হাসে কেন?
ফারাজ বলল,
‘হ্যা চলেন।’

অপরাজিতা বাসায় পৌছাতেই দেখলো তার মা বিরক্তি মুখ দিয়ে কাজ করছে। মা কে৷ জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বিরক্তি নিয়ে বলল,
‘তোর রুমে গিয়ে দেখ। আর ওটারে বিদায় কর তাড়াতাড়ি। মেজাজ খারাপ লাগতেছে আমার।’

মায়ের কথা শুনেই বুঝলো মা খুব রেগে আছে। রুমে গিয়ে তার মেজাজ ও নষ্ট হয়ে গেল। ফায়াদের সাথে দেখা করে যে ভালো মুডটা ছিল তা রুমের ভিতরে থাকা ব্যক্তিকে দেখে ১৩ টা বেজে গেল।
রুমে প্রবেশ করেই দেখলো তার বিছানায় পা উঠিয়ে বসে আছে তার খালাতো বোন ইয়ানা।মেয়েটারে দেখলেই ব’মি করতে মন চায় অপরাজিতার। একে অপছন্দ করার কারন হচ্ছে পড়নে ছোট একটা ড্রেস।শরী’রের প্রায় সবই খোলামেলা। মেয়েটা ছেলে’বাজ। বেশ কয়েকবার ছেলেদের সাথে কু’কর্মে ধরা খেয়েছে। তবুও তার আফসোস নেই। নেশায়ও জড়িত। এসব কারনে রামিসা বেগম একে দেখতেই পারেন না। বোনের মেয়ে বলে বাড়ি থেকে সরাসরি বের করতে পারছেন না।। তাহলে থাপ’ড়িয়ে বাড়ির বাহিরে রেখে আসতেন। ইয়ানা মেয়েটার কথা বার্তা শুনলে যে কারো মেজাজ খারাপ হবে।

অপরাজিতা নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করে বলল,
‘তুমি এখানে কি করছো আপু?’

ইয়ানা ফোন থেকে চোখ সরিয়ে মাথা বাকিয়ে ঢং মিশিয়ে বলল,
‘তোকে দেখতে আসলাম। শুনলাম তোর নাকি বিয়ে ঠিক হয়েছে। কয়েকদিন পর আংটি পড়াবে। ‘

অপরাজিতা চোখ ছোট ছোট করে বলল,
‘কে বলেছে তোমাকে?’

ইয়ানা তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
‘রিল্যাক্স মা বলে নি। মা ইয়াসিনকে বলছিল তখন শুনেছি।কেন আমাকে দাওয়াত করতি না?’

অপরাজিতা মুখের উপর বলল,
‘না। আমি অবশ্য চাইবো না আমার জামাই নিয়ে তুমি উলটা পালটা কিছু করার কথা ভাবো।’

ইয়ানা বাকা হেসে বলল,
‘তোর টেবিলের উপর কতোগুলো ছবি পেয়েছি। ছেলেটা ড্যাম হ্যান্ডসাম!’

ইয়ানার কথা শুনে অপরাজিতার গায়ে আগুন ধরে গেল।সে ইয়ানার হাত খামচে ধরে বলল,
‘তোর সাহস তো কম না। তুই আমার টেবিলে হাত দিস কেন৷ আবার আমার জামাইয়ের দিকেও নজর দিস৷ বের হো তুই আমার বাসা থেকে!’

বলে সে ইয়ানাকে বাসার বাহিরে নিয়ে আসলো।ইয়ানা হাতে ব্যথা পেল।তবুও হেসে হেসে বলল,
‘আগে আগে দেখো কি হয়!’

অপরাজিতা রাগে চেচিয়ে উঠলো,
‘তুই যাবি?’

বলেই সে বাসার ভিতর ঢুকে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিল।মায়ের উদ্দেশ্যে বলল,
‘মা তোমার বোনের মেয়ে যেন আমার বিয়ের কোনো ফাংশনে না আসে।’

রামিসা বেগম বললেন,
‘তোর খালু রাজনীতি করে ভুলে গেছিস! এর বেশি কিছু করলে রাস্তায় নামাবে আমাদের। মেয়েটা তার জন্যই খারাপ হইসে। আমার বোনটার জীবন নষ্ট!’

অপরাজিতা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রুমে ফেরত গেল।টেবিলের উপর ফায়াদের ছবি গুলো গুছিয়ে রাখলো।একটু খেয়াল করে গুছালে হয়তো টের পেতো সেখানে একটা ছবি কম আছে।অপরাজিতা ভাবছে এই মেয়েটা আবার কি করে কে জানে!কিন্তু তার ডাক্তারের দিকে হাত বাড়ালে হাত ভেঙে ফেলবে সে।

~~~~~~~~~~

দুপুরে ঘুমিয়ে সন্ধ্যা বেলা উঠলো ফারাজ৷ ফায়াদ ল্যাপটপে কিছু পেসেন্ট এর ফাইল দেখছিল। ফায়াদকে দেখে ফারাজ মুচকি হেসে বলল,
‘গুড মর্নিং ‘

ফায়াদ ল্যাপটপ এর দিকে নজর রেখেই বলল,
‘গুড ইভিনিং!’

তারপর ল্যাপটপ বন্ধ করে ফারাজকে বলল,
‘বাবা এসেছে অফিস থেকে।চল’

বসার ঘরে আসতেই ফারাজ দেখলো ফারদিন আহমেদ গম্ভীর ভাবে বসে আছে। ফায়াদ বসলো সিঙ্গেল সোফায়।ফারাজ গিয়ে বাবার পাশে বসে বলল,
‘পার্টনার?’

ফারদিন আহমেদ গম্ভীরমুখে তাকালেন ফারাজের দিকে৷ পরক্ষণেই হেসে দিয়ে বললেন,
‘হেই চ্যাম্প!’

জড়িয়ে নিলেন ছেলেকে।ফারাজ এবং ফারদিন আহমেদ একসাথে কাজ করেছে অফিসে আগে। তখন ফারাজ তার বাবাকে পার্টনার বলতো। দুজনের স্বভাব আচরণ খুব মিলে।
ফায়াদ তার মা কে বলল,
‘ঘরটা আবার মাছের বাজার হয়ে যাবে মা’

আখি বেগম জোরে হেসে দিলেন। ফারাজ এবং ফারদিন আহমেদ পাত্তা দিলেন না।ফারাজ জিজ্ঞেস করল,
‘নীতি কই মা?’

‘ঘুমায়।’

‘ওহ আচ্ছা ঘুমাক তাহলে’

ফারদিন আহমেদ এবার বললেন,
‘আমি আর এখন থেকে অফিস যাবো না। তুমি সামলাও এখন থেকে এটা। ‘

ফারাজ ভ্রু নাচিয়ে বলল,
‘কেন? বাসায় থেকে বউকে সময় দিবে নাকি?’

ফারদিন আহমেদ ভাবলেশহীন ভাবে বললেন,
‘তা না হয় দিলাম!’

ফারাজ দাঁত কেলিয়ে বলল,
‘হুম হুম তোমারই তো সময়।’

ফারদিন আহমেদ ভাব নিয়ে বললেন,
‘আমার এতো সুন্দর বউকে সময় না দিয়ে অফিসে পড়ে থাকবো নাকি!’

আখি বেগম চোখ বড় বড় করে বললেন,
‘তোমরা বাপ ছেলেরা এতো নির্লজ্জ কেন বলো তো?’

ফায়াদ মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,
‘কারন তাদের মধ্যে —‘

আখি বেগম ফায়াদের দিকে ঘুরে শাসিয়ে বললেন,
‘এই চুপ! সব কিছুতে ডাক্তারি ঝারবি না’

ফায়াদ, ফারাজ এবং ফারদিন আহমেদ একে অপরের দিকে তাকিয়ে উচ্চস্বরে হেসে দিলেন৷ তাদের হাসি দেখে আখি বেগমের কপাল চাপড়াতে ইচ্ছে করলো। বাপও ফাজিল সাথে ছেলে গুলোও।

(চলবে)

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here