#লুকানো_অনুরক্তি (০৯)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)
আফসানা খানম টেবিলে খাবার দিয়ে গলা উঁচুয়ে অবনিকে ডাকলেন।
‘অবনি খাবি আয়। খাবার ঠান্ডা হয়ে গেল।’
নাদিয়া মিনমিনে স্বরে জবাব দেয়, ‘ও খাবে না।’
নাদিয়ার প্লেটে এক চামচ ভাত দিয়ে তিনি পুনরায় বলেন, ‘খেয়ে এসেছিস নাকি তোরা?’
নাদিয়া এক পলক মাহফুজের দিকে তাকায়। নত স্বরে বলে, সারাদিন কিছু খাওয়া হয়নি আমাদের। রেস্টুরেন্টে তো ভাইয়া,,,,,,,
চমকায় মাহফুজ। বিস্মিত চোখে নাদিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। সারাদিন না খাওয়ার কথা শুনে খারাপ লাগল তার। শান্ত গলায় বলে,
‘যা ডেকে নিয়ে আয়।’
মাহফুজের আদেশ শুনে সুড়সুড় করে রুমে যায় নাদিয়া। অবনির হাত ধরে টানাটানি শুরু করে।
‘চল না প্লিজ। অল্প করে খেয়ে নিবি। না গেলে ভাইয়া কিন্তু আবার রেগে যাবে।’
গায়ে কাঁথা জড়িয়ে শুয়ে ছিল অবনি। মাহফুজের রেগে যাওয়ার কথা শুনে উঠে বসে। অর্ধ ভেজা চুল গুলো হাত খোঁপা করে জবাব দেয়,
‘তোর ভাই বাঘ না ভাল্লুক? তোর ভাই রেগে গেলে আমার ভয় পেতে হবে কেন?’
তপ্ত শ্বাস ফেলে নাদিয়া।
‘আচ্ছা ভয় পেতে হবে না ভাইয়াকে। এখন খাবি চল। সারাদিন না খেয়ে আছি দু’জন। ভীষণ খিদে পেয়েছে আমার।’
‘তোর খিদে থাকলে তুই খা। আমার খিদে নেই। রেস্টুরেন্ট ভর্তি মানুষের সামনের যেসব কথা হজম করেছি ওতেই আমার পেট ভরেছে। খাবার খাওয়ার জন্য পেটে আর জায়গা ফাঁকা নেই।’
‘আমাকে যে সবার সামনে চড় দিয়েছে?’
‘চড় দিলেও এতটা কষ্ট লাগতো না। যতটা কষ্ট না তোর ভাই কথার মাধ্যমে দিয়েছে। ডিরেক্ট অর ইনডিরেক্ট আমার চরিত্রের উপর আঙুল তুলেছে সে।’
অবনির গালে হাত রাখে নাদিয়া। অনুনয়, মিনতি করে সে,
‘যা হওয়ার হয়েছে। এখন চল। সারাদিন না খেয়ে আছিস। রাতেও না খেলে অসুস্থ হয়ে যাবি। আমার অনুরোধ রাখ। খাবি চল।’
নাদিয়ার হাতটা সরিয়ে দেয় অবনি। মলিন স্বরে বলে, ‘আমার সত্যি খিদে নেই। তুই খেয়ে নে।’
অগত্যা বাধ্য করে ডাইনিং এ ফিরে গেল। চেয়ার টেনে বসে বলল,
‘খাবে না।’
রাগে নাক ফুলায় মাহফুজ। প্লেট টা দূরে সরিয়ে গজগজ করতে করতে বলে,
‘অন্যায় এ অন্যায় করবে শাসন করা যাবে না? শাসন করলে দোষ হয়ে যাবে? একে তো ভুল করেছে তার উপর আবার তেজ দেখাচ্ছে। পেয়েছেটা কি? অশান্তি করার আগে তোমার ভাইয়ের গুনধর মেয়েকে এসে খেতে বলো। অসুস্থ হলে পরে আমাদের বদনাম হবে। লোকে বলবে, আমরা না খাইয়ে রেখেছি। তাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে।’
ছেলের এই অযথা রাগে বিরক্ত হয় আফসানা খানম।
‘হয়েছে তো। একবার তো বকেছিস? আর কত? তোর খাওয়া আছে তুই খা। আমি পরে ওকে খাইয়ে দিবো।’
এতোক্ষণ সব শুনল অবনি। গা জ্বালানি কথাবার্তা গুলো আর সহ্য করতে পারল না সে। ওড়না শরীরে ভালো করে জড়িয়ে ডাইনিং উপস্থিত হয়।
অগ্নিঝরা চোখে মাহফুজকে পরখ করে আফসানা খানম কে উদ্দেশ্য করে বলে,
‘মাস শেষ হলে আমি হোস্টেল উঠব ফুফু। বাসা ছেড়ে চলে গেলে আমার অসুস্থ হওয়া না হওয়া তোমাদের আর পাবে না। তোমাদের বদনামও হবে না।’
টেবিলে থাবা ফেলে মাহফুজ। কন্ঠে দিগুণ তেজ নিয়ে বলে উঠল,
‘এখন যাবি কেন? আমি শাসন করেছি বলে? ভুল করেছিস। বকেছি। শাসন করছি। এখানে ভুলটা কোথায়? নাকি তুই ননীর পুতুল। তোকে কিছু বলা যাবে না? এখন আমাকে অপরাধী বানিয়ে তারপর যাবি। যেন পরে বলতে পারিস আমি তো ওই বাসায় থাকতে চেয়েছিলাম মাহফুজ ভাইয়ের জন্য থাকতে পারিনি। মানুষের কাছে প্রমাণ করবি আমি খারাপ।’
দুজনের কথার মাঝে এবার ফোঁড়ন কাটেন আফসানা খানম।
‘হয়েছে তো। একটা ঘটনাকে দলাই মলাই করে আর কত বড় করবি তোরা? যা ঘটেছে ঘটেছে। বললে ফিরে আসবে? আসবে না তো। শুধু শুধু কথা বাড়িয়ে ব্যপারটাকে বড় ইস্যুতে পরিনত করছিস।’
‘আমি বড় করছি?’ হুংকার দিয়ে উঠে মাহফুজ।
দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আফসানা খানম।
‘না আমিই বড় করছি। এবার থাম তোরা।’
‘যা বলেছি মাথায় রেখো ফুফু। আমি কিন্তু হোস্টেলে উঠবো।’
বলে আবারও রুমে ফিরে আসতে নিলে আফসানা খানম খপ করে অবনির হাতটা ধরে ফেলেন। মায়া ভরা কন্ঠে বলেন,
‘সে না হয় যাবি। আগে খেয়ে নে। চোখমুখ কেমন শুকিয়ে আছে।’
‘খাবো না আমি। আজ কথা দিয়ে পেট ভরিয়েছি।’
অভিমানের সূর টানেন তিনি।
‘আমি তোর হাত ধরেছি। আমাকেও উপেক্ষা করে চলে যাবি?’
মুখ কালো করে চেয়ার টেনে বসে পড়ে অবনি।
বাড়া ভাত ফেলে চলে যেতে নিলে মাহফুজকেও আটকান তিনি।
‘না খেয়ে তুই আবার কোথায় যাচ্ছিস? এখন কি তোকেও নম নম করতে হবে নাকি খাওয়ার জন্য?’
দাঁত কিড়মিড় করে প্লেটটা নিয়েই নিজের রুমে চলে গেল মাহফুজ।
_____________________
গত সাত দিন ধরে মাহফুজদের বাসায় ইদ ইদ আমেজ। তিন বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে এসেছেন শহীদুল হক।
দেশে এসেই তিনি উঠে পড়ে লেগেছেন ছেলের বিয়ে করানোর জন্য। দেশে এসে শান্ত হয়ে বসেননি তিনি। আজ এই ঘটক তো কাল আরেক ঘটক। এভাবে দৌড়াদৌড়ি করছেন। এইবার ছেলের বউ বাড়ি এনে তবেই তিনি ক্ষ্যান্ত হবেন।
ইলিশ মাছের কাঁটা বেছে নাদিয়া কে মুখে তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন তিনি। মাহফুজ কে উদ্দেশ্য করে বলেন,
‘খাবার সময় ছাড়া তো তোকে পাওয়াই মুশকিল। সেই সকালে বের হয়ে বাসায় আসিস রাত করে। এভাবে চললে হবে?’
‘প্রমোশন হয়েছে। কাজের চাপ বেশি।’
‘তোর টেবিলের উপর পাত্রীর ছবি রেখেছি। দেখেছিস?’
নাদিয়ার পাশেই বসেছিল অবনি। পাত্রীর কথা শুনে প্লেটে নড়তে চড়তে থাকা হাত আচমকাই থেমে গেল তার।
অতি সন্তর্পণে সরোষ চোখে অবনিকে পরখ করে মাহফুজ। স্তব্ধ অবনিকে দেখে ‘বিয়ে করবো না’ কথা ঠোঁটের অগ্রভাগে এনেও হজম করে ফেলে। স্বাভাবিক গলায় জবাব দেয়।
‘হুম দেখেছি।’
‘কেমন লাগল?’
‘মোটামুটি।’
‘কথা আগাবো?’
‘হুম’ বলে টেবিল ছাড়ে মাহফুজ।
‘তবে আগামী শুক্রবার চল। পাত্রী দেখতে।’
মাহফুজ নিজের রুমে ঢুকতে ঢুকতে জবাব দেয়,
‘তোমার যা ইচ্ছে।’
মুখের ভেতরে থাকা ভাতের লোকমা টা গিলতে পারে না অবনি। ভূবন কাঁপিয়ে চিৎকার দিতে মন চাইলো তার। সে তো এটাই চেয়েছিল। ‘মাহফুজ’ নামক ছেলেটা বিয়ে করুক। অদৃশ্য হয়ে যেভাবে তার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে যেন দূরে সরে যায়। তবে এই অতর্কিত যন্ত্রণার হিসেব মিলাতে পারল না সে।
আড়চোখে অবনিকে দেখল নাদিয়া। থমথমে মুখের দিকে তাকিয়ে রইল নিনির্মেষ।
_____________________
কপালে হাত ঠেকিয়ে শুয়ে আছে অবনি। শরীর কিঞ্চিৎ গরম। হয়তো জ্বর আসবে।
নাদিয়া এসে কপালে হাত রাখে তার।
‘ওমা তোর গায়ে তো জ্বর। ঔষধ খেয়েছিস?’
‘ও কিছু না সেরে যাবে। সামান্য জ্বরে ঔষধ খেতে নেই।’
অবনির উষ্ম হাতটা মুঠোবন্দী করে নাদিয়া। নিস্তেজ গলায় জানতে চায়,
‘তোর আর ভাইয়ার কি সেদিনের পরে প্যাচআপ হয়নি?’
বিস্মিত, হতবিহ্বল চোখে নাদিয়ার দিকে নেত্রপাত করে অবনি।
‘কিসের প্যাচআপ করবো?’
‘তুই আর ভাইয়া রিলেশনশিপে নেই?’
চট করে হাতটা ছাড়িয়ে নেয় অবনি।
‘তুই পা*গল? কিসের রিলেশনশিপ?’
‘সেদিন রাতে যে দেখলাম?’
‘তোর ভাই নিজের অনুভূতি শেয়ার করেছে। ব্যস এতটুকুই।’
‘তুই ভাইয়ার জন্য কিছু অনুভব করিস না?’
অবনি তৎক্ষনাৎ জবাব দেয়, ‘না।’
‘তবে তোর চোখ কেন মিথ্যা বলছে? কেন খাওয়ার সময় পাত্রী দেখার কথা তোর মুখের রং বদলে গেল? অবনি আমি ছোট বাচ্চা না।’
‘আমি তো বলিনি তোরা ছোট বাচ্চা। তোর ভাইয়ের প্রণয়ের বেড়াজালে আবদ্ধ হওয়া মানে পরাধীন হয়ে যাওয়া। সব জায়গাতেই তার নিষেধাজ্ঞা।’
‘আদৌও কি আমার ভাই এমন?’
___________________
দুইদিন পরে কথা।
নিস্তব্ধ, নিগূঢ় রাত! রাত পোহালেই পাত্রী দেখতে যাবে সবাই৷ মন অশান্ত হয়ে আছে অবনির। মনমস্তিষ্কের সাথে একা লড়াই করতে করতে ক্লান্ত সে। ভালোবাসার যুদ্ধে এক পরাজিত সৈন্য। ক্ষ*ত বি*ক্ষ*ত তার মন। খুব সন্তর্পণে চেপে রাখা সমস্ত যন্ত্রণা ফাঁক ফুকর দিয়ে ঠেলেঠুলে বেরিয়ে আসতে চাইছে।
খোলা চুলে জানালার গ্রিল আঁকড়ে ধরে আকাশপানে চেয়ে আছে অবনি। চোখ জোড়ায় ঘুম নেই। নির্ঘুম চোখ জোড়ায় শুধু অসহায়ত্ব। আকাশে তেমন তাঁরা নেই। যেই দুই একটা আছে সেগুলো মিটি মিটি করছে। খোলা আকাশে তার সমস্ত দুঃখকে বিলিয়ে দিতে ইচ্ছে করে বারংবার৷ তবে দুঃখ হয়তো আকাশে বিলিয়ে দেওয়া যায় না। মনের আনাচে-কানাচে ঘাপটি মে’রে বসে থাকে। ক্ষণে ক্ষণে পুড়াবে বলে।
বিছানা হাতরে অবনির জায়গা খালি পেয়ে চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে বসে নাদিয়া। ড্রিম লাইটের আবছা আলোয় জানালার পাশে অবনি দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সে।
অবনির দিকে ক্ষণকাল চেয়ে থেকে নৈঃশব্দ্যে বিছানা ছাড়ে । আলতো পায়ে হেঁটে শব্দ ছাড়াই খুব সাবধানে দরজা খুলে যেন অবনি শুনতে না পায়।
________________
ঠক ঠক শব্দে নিদ্রা হালকা হয়ে এলো মাহফুজের। বিছানা হাতরে বালিশের নিচ থেকে মোবাইল বের করে সময় দেখল। রাত দেড়টা বাজে। মানে গভীর রাত। বেশ বিরক্তি নিয়ে জানতে চায়, ‘কে?’
‘ভাইয়া আমি।’
‘এতো রাতে? কোনো সমস্যা?’
‘একটু দরকার ছিল। দরজাটা খুলবে?’
ইচ্ছে না থাকা সত্বেও দরজা খুলে সে। কপাল কুঁচকে প্রশ্ন করে,
‘এতোরাতে কি হয়েছে?’
‘ভাইয়া?’
বোনের দিকে এবার পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় মাহফুজ। শুষ্ক ওষ্ঠ জিহবা দ্বারা ভিজিয়ে নাদিয়া একটু সাহস সঞ্চার করে বলে,
‘তুমি তো অবনিকে ভালোবাসো।’
চমকায় মাহফুজ। হকচকিয়ে গেল সে। এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলে,
‘মাঝ রাত্তিরে ঘুম ভাঙিয়ে কিসব ভাট বকছিস? যা ঘুমোতে যা।’
‘আমার কাছে লুকিয়ে লাভ নেই। আমি সবটাই জানি। ওকে ভালোবাসার পরও অন্য কাউকে কেন বিয়ে করতে চাইছো?’
মাহফুজ বুঝলো বোনের কাছে ধরা পড়ে গেছে সে। লুকিয়ে লাভ নেই। তিগ্ম স্বরে বলে,
‘যে থাকতে চায় না তাকে কেন জোর করে ধরে রাখবো?’
‘আদৌও আমরা যা ধারণা করি তা কি সব সময় সত্যি হয়?’
‘ধারণা করার কি আছে সবটা জলের মতো পরিষ্কার। ওই ছেলের সাথে অবনির,,,,,
‘মোটেও না। অবনি নামক মেয়েটার সাথে সর্বক্ষণ আমি থাকি। আমি একটু হলেও আঁচ পেতাম। সেদিন ওই ছেলের আমাদের সাথে দেখা হওয়া ছিল কুয়েন্সিডেন্ট। আমাদের এক ফ্রেন্ডের নেক্সট উইকে বিয়ে। তাই গিফটের জন্য শপিংমলে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে উনার সাথে দেখা। পার্টটাইম একটা জব করে। মাসের শেষে অল্প বেতন পেয়েছে। পরিবার জন্য খুশি কিনার জন্য এসেছিল শপিংমলে। বাড়ি যাবে তাই মা, দুই বোন আর বাবার জন্য বেতন দিয়ে কিছু কিনতে এসেছিল। মেয়েদের জামাকাপড় সম্পর্কে তার ধারণা নেই বলে অবনিকে অনুরোধ করে যেন একটু সাহায্য করে। কেনাকাটা করতে করতে কখন যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো টেরই পায়নি। আমার মোবাইলের ব্যাটারি ডাউন ছিল। আর ও হয়তো মোবাইল সাইলেন্ট করে রেখেছিল।’
‘এই ঘটনা থেকে তো আর এটা বুঝা যায় না সে আমাকে ভালোবাসে।’
‘না বুঝা যায় না। তবে তোমার ভুল ধারণা ভাঙালাম।’
‘বেশ রাত হয়েছে। ঘুমোতে যা।’
‘তোমার মুখে পাত্রী ভালো লাগার কথা শুনে আজ দুই রাত ঘুমোয় না অবনি।’
চমকায় মাহফুজ। এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের ন্যায়। মাহফুজের চোখে বিস্ময়ভাব। হতচকিত, কিংকর্তব্যবিমূঢ় চোখে নাদিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল সে।
‘আমার মনে হয়েছে তোমাকে ব্যপারটা জানানো উচিত। মনে ভুল ধারণা পুষে রেখে কিংবা অভিমান করে অন্যকারো সাথে জীবন জড়িয়ে গেলে পরে আফসোস করা ছাড়া উপায় থাকবে না।’
_________________________
এখনো নিষ্পলক আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে অবনি। পিছনে কি হচ্ছে না হচ্ছে কোনো ধারণা নেই তার। সহসা কক্ষের আলো জ্বলে উঠে। ভাবনাচ্ছেদ হয় তার। তপ্ত শ্বাস ফেলে পিছনে না তাকিয়ে বলে,
‘আলো জ্বালিয়েছিস কেন নাদু? এই আলো আমার শরীরে এসে বিঁধছে খুব তীক্ষ্ণভাবে।’
‘সহ্যই যদি না করতে পারবি তাহলে মনের সমস্ত আবেগ, অনুরাগ, অনুরক্তি লুকিয়ে কেন রেখেছিস? লুকিয়ে রাখা অনুরক্তি প্রকাশ কর। আমিও তোর লুকানো অনুরক্তির ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে সিক্ত হই। নাকি সমস্ত লুকানো অনুরক্তি জোর করে নিংড়ে বের করতে হবে আমার?’
#চলবে
বানান ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আগামী পর্ব পরশুদিন পাবেন।