তোর_প্রেমেতে_অন্ধ_হলাম #লেখিকাঃ Tamanna Islam #পর্বঃ০১

0
660

একটা মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে টেনে টেনে কলেজের সবার সামনে দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটা ছেলে। আর কলেজের মাঝ দিয়ে এভাবে কেউ কাউকে নিয়ে গেলে অবশ্যই তা সবার নজর কাড়বে। বর্তমানে মাত্রাতিরিক্ত ভয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে “সিয়া”। ভয়ের চোটে রীতিমতো কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে। মাথা নিচু করে দুই হাতের মাঝে নিজের ওরনা টা প্যাচিয়ে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। আসলে সিয়া তার কর্মকান্ডের পরিণাম ভেবে ভেবেই ভয়ে আসড় হয়ে যাচ্ছে। সিয়ার দোষ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের একমাত্র ছেলে ওরফে উচ্চ পদের একজন বিজন্যাস ম্যানের গায়ে এক বালতি পানি ফেলে দেওয়া। অর্থাৎ যা ইচ্ছে তাই একটা অবস্থা। আর সিয়ার এই অতিরিক্ত ভয়ের একমাত্র কারণ হচ্ছে “”আবরার চৌধুরী অর্নীল””।
সিয়া নিচু তাকিয়ে আছে আর তার চোখ দিয়ে টপ টপ করে গড়িয়ে পরছে পানি। থেকে থেকে নাক টেনে যাচ্ছে। সামনে আসা চুল গুলো মুখের খানিক অংশ ঢেকে রেখেছে। আর তার সামনেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে এক ভ্রু উঁচু করে নিজের দুইহাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে অর্নীল। আশে পাশে বেশ কিছু স্যারও দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। সিয়া তো মনে প্রাণে আল্লাহ কে ডেকে যাচ্ছে। সিয়ার ভয় এই যে যদি তাকে এই কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে। মনে মনে এগুলোই মনকলা খাচ্ছিলো সিয়া তখনই তার চিন্তা-ভাবনাতে পানি ঢেলে দিয়ে অর্নীল গম্ভীর পুরুষালী কন্ঠে বলে ওঠে……

অর্নীল;; এই মেয়ে….

সিয়া;; ________________

অর্নীল;; এই যে মেয়ে তোমাকে বলছি।

সিয়া;; জ জ্ব জ্বি।

অর্নীল;; এমন বিহেভ করার মানে কি। সামান্য ম্যানার্স টুকু জানো না। শুধু ঢ্যাং ঢ্যাং করে কি বড়োই হয়েছো নাকি কিছু শিখেছোও।

সিয়া;; না মানে আসলে আমি, আমি

অর্নীল;; তারপর কি? এই আমি পর্যন্তই কি সীমাবদ্ধ নাকি!!

সিয়া;; জ্বি আসলে আমাদের একটা ফ্রেন্ড আছে সজিব নাম। ওর বার্থডে ছিলো। আমরা ওর সাথে ফাজলামি করতে গিয়েছিলাম কিন্তু ভুলে আপনার ওপর….

অর্নীল;; হুম বুঝলাম তো এটা তো আর তুমি একা করতে পারবে না। আর বাকি সাঙ্গ পাঙ্গ গুলো কোথায় তোমার?

সিয়া;; পালিয়েছে ভয়ে।

অর্নীল;; আমি কি তোমায় বকেছি?

সিয়া;; _______________

অর্নীল;; এখন চুপ করে থাকলে সোজা মেরে বসবো কিন্তু!

সিয়া;; না।

অর্নীল;; তাহলে কাদছো কেনো। আসলে মেয়েদের স্বভাব এটাই বিনা বাক্যে শুধু চোখের পানি ফেলা। মাথা তুলো আর চোখের পানি মুছো।

অর্নীলের কড়া কথায় সিয়া তাই করে। নাকের ডগা টা কেমন লালচে আকার ধারণ করেছে। সিয়া হঠাৎ তার মাথা তুলে সামনে তাকায়। আর সামনে তাকাতেই কিছুটা চমকে গিয়ে কয়েক কদম পিছিয়ে যায়। কেননা অর্নীল এতোক্ষন তার থেকে বেশ দূরত্ব বজায় রাখলেও এখন সে সিয়ার বেশ কাছে এসে তার দিয়ে কিছুটা ঝুকে তাকিয়ে আছে। সিয়া কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে।

অর্নীল;; জানো আমি কে?

সিয়া দুই দিকে মাথা নাড়ায় আর অর্থ না।

অর্নীল;; নাম কি?

সিয়া;; স সি সিয়া।

অর্নীল;; পুরো নাম? (গম্ভীর গলায়)

সিয়া;; জান্নাতা আফরিন সিয়া।

অর্নীল সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরে।

অর্নীল;; সিয়া, নাও গো টু দি ক্লাস। (শান্ত মুখে)

অর্নীলের এটা বলতে দেরি কিন্তু সিয়ার দৌড়ে তার ক্লাসে যেতে দেরি না। সিয়ার যাওয়ার দিকে অর্নীল সরু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।


“জান্নাতা আফরিন সিয়া” খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। মিশুক আর চঞ্চল প্রকৃতির। একমাত্র তার এই মিশুক আর ভালো হওয়ার কারণেই কলেজে প্রায় সবাই সিয়ার পাগল। তবে যতোটা ভালো ঠিক ততটাই ত্যাড়া স্বভাবের। অর্থাৎ কেউ তাকে কিছু করে বা বলে পার পায় না। লাইক ইটের বদলে পাটকেল। ইন্টারে পড়ছে। পরিবার বলতে তার মা আর নানি রয়েছে। বাবা কোন এক দূর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন অনেক আগেই। সিয়ার নানির একমাত্র মেয়ে ছিলো সিয়ার মা তাই নিজ পরিবার থেকে এনাফ সাপোর্ট পেয়েছে সিয়ার মা দোলা বেগম। এই মা আর নানি কে নিয়েই সিয়ার সুখী পরিবার।

.
.

“” আবরার চৌধুরী অর্নীল “” প্রভাবশালী রাজনীতিবিদের একমাত্র ছেলে। তবে অর্নীলের কাছে তার এই পরিচয় টা মোটেও পছন্দের না। এটা কেমন জানি একটু আনইজি লাগে তার কাছে। অর্থাৎ সে এতো বড়ো হয়েছে এখনো কি সে নিজের বাবার পরিচয় নিয়ে ঘুড়বে নাকি। তাই অর্নীল বাইরে পড়াশোনা শেষ করে নিজের যোগ্যতায় আর দক্ষতায় দেশেই নিজের কোম্পানি গঠন করেছে। অর্নীল চৌধুরী গ্রুপের একমাত্র ওনার সে। আর মূল কারণ হচ্ছে অর্নীলের সাথে তার বাবার সম্পর্ক বেশি একটা ভালো না। বেশ তিক্তময় তাদের সম্পর্ক। অর্নীলের মা নেই। বাবা আছে তবুও তাতে সম্পর্কের মারপ্যাচ। অর্নীল দেখতে বেশ,, এক কথায় মাশআল্লাহ। যে কারো নজর যে কাড়তে পারে তা তাকে দেখেই বোঝা যায়।

আসলে সিয়া যে কলেজে পড়ে অর্নীলকে সেই কলেজ পরিদর্শনের জন্য ইনভাইট করা হয়। সসম্মানের সাথে অর্নীলও আসে। তবে আজ সিয়ার বন্ধুমহলের এক বন্ধুর জন্মদিন ছিলো,, সে সজিব। সজিবের সাথে মূলত তারা প্র‍্যাংক করতে চেয়েছিলো। সিয়া আর তার ফ্রেন্ডরা কলেজে এসেই আগে ক্যান্টিনে যায়। আর ক্যান্টিনের সবাই তাদের চিনে। ক্যান্টিনে দরজার আড়ালে হাতে এক বালতি পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো অনু (সিয়ার ফ্রেন্ড)। সে দিয়ার কথা তেই দাঁড়িয়ে ছিলো। অর্নীলও সেখানে আসে আর তার আসতেই ঝপঝপ করে পানি তার ওপরে পরে। একদম কাক ভেজা হয়ে গেছে। সিয়া ভেবেছিলো যে পানির সাথে সাথে কেক সহ মুখের ওপর মেরে দিবে কিন্তু অর্নীল ততক্ষণে মাথা তুলে সিয়ার দিকে তাকায়। সিয়া কেক হাতে নিয়ে অর্নীলের দিকে মারতে গিয়েও মারে না। তার আগেই সিয়ার মুখ কুচকে আসে। সিয়া অনুর দিকে তাকায় কিন্তু অনু হাত থেকে বালতি ফেলে দিয়ে ভো দৌড়। সিয়া কিছু বলতে যাবে কিন্তু সামনে তাকিয়ে দেখে অর্নীল রাগে ফুসছে। অর্নীল নিজের চুল গুলো কোন রকমে ঝেড়ে সেখান থেকে সিয়ার বাহু ধরে টেনে কলেজের ভেতরে নিয়ে আসে। সিয়া তো ভেবেছিলো যে আজই সে ইন্না-লিল্লাহ কিন্তু বেচে গেছে।


সিয়া দৌড়ে ক্লাসে চলে গিয়ে সিটে বসে পরে। ভয়ে ঘেমে গেছে। বুক উঠা-নামা করছে বারবার। কিন্তু তখনই সিয়ার মাথায় অনু, শান্তি, সোয়াদের নাম আসে। সিয়া ক্লাসের কিছুটা বাইরে যেতেই দেখে তিনটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একসাথে নখ কামড়াচ্ছে। সিয়ার তো এদের দেখে তো মাথায় আগুন জ্বলে ওঠে….

সিয়া;; শয়তানের দল,,কুত্তারায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।

শান্তি;; ওইযে আসছে।

সিয়া;; হারামির বাচ্চা রা ভালোই তো। আজ ওই ভাল্লুক আর দুই বন্ধুর কাহীনিটা সত্য হলো। আমাকে বিপদের মাঝে রেখে চলে আসিস। এই ছিলো তোদের মনে হ্যাঁ রে।

অনু;; দেখ আসলে সেই মূহুর্তে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। আর আমি এখানে আসি শান্তি আর সোয়াদ কে নিতে,, কিন্তু এদের কাউকেই পাই নি। বইন প্লিজ রাগ করিস না।

সোয়াদ;; যে তোর ক্লাস নিলো সে কে ছিলো জানিস?

সিয়া;; না।

সোয়াদ;; ওই আবরার চৌধুরী অর্নীল ছিলেন।

সিয়া;; হুয়াট?

শান্তি;; হ্যাঁ রে।

সিয়া;; তো উনি যে আজ কলেজে আসছেন তা আগে বলিস নি কেনো?

অনু;; আমি তো নিজেই জানতাম না।

সোয়াদ;; আমি বলার জন্যই আসছিলাম কিন্তু ততক্ষণে দেখি লংকা কান্ড বেধে গিয়েছে।

সিয়া;; দেখ এতোদিন অব্দি শুধু আবরার চৌধুরী অর্নীল এই নাম টা শুনেই গেছি কখনো উনাকে দেখি নি।

শান্তি;; আজ তো দেখলি।

সিয়া;; আমি ভাবি নি যে উনার সাথে আমার দেখা টা এভাবে হবে।

সোয়াদ;; আচ্ছা যাই হোক ইট ওয়াস এন এক্সিডেন্ট। ইচ্ছা করে করিস নি তুই সিয়া। ভয় পাস না কিছুই হবে না।

সিয়া;; নিজের কাছেই কেমন জানি লাগছে। সরি বলা উচিত ছিলো আমার। কিন্তু ভয়ে সেটাও মুখ ফুটে বলিতে পারি নি।

অনু;; আচ্ছা চল ক্লাসে যাই। স্যার আসছে।

সিয়া;; আরে ঘোড়ার ডিমের ক্লাস।

সবাই গিয়ে ক্লাসে বসে পরে। একজন টিচার এসে ক্লাসে ল্যাকচার দিচ্ছিলো আর সিয়া মাথায় হাত দিয়ে শুনছিলো। কিন্তু তখনই স্যার দের সাথে কথা বলতে বলতে অর্নীল আসে। স্যার রা আসলে সকল স্টুডেন্ট দের অর্নীলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। সিয়া যে ক্লাসে ছিলো সেই ক্লাসে পাশ দিয়েই অর্নীল যাচ্ছিলো। আর কাকতালীয় ভাবে সিয়াও ক্লাসে জানালার কাছেই বসে ছিলো। ক্লাসের পাশ পেড়িয়ে যেতেই অর্নীলের চোখ পরে সিয়ার দিকে। অর্নীল চলেই যেতো কিন্তু…..

অর্নীল;; মি. রুপম (কলেজ টিচার)

রুপম;; জ্বি স্যার।

অর্নীল;; আমরা প্রথমে এই ক্লাস টাতে যাই!

রুপম;; জ্বি স্যার সিওর।

রুপমের সাথে অর্নীলের ক্লাসে যেতেই অনু, শান্তি আর সোয়াদের মুখ হা হয়ে যায়। তারা এক ঝটকায় সবাই দাঁড়িয়ে পরে অর্নীল কে দেখে,, কিন্তু সিয়া তো মাথা নামিয়ে এক মনে খাতায় কলম ঘুড়িয়েই যাচ্ছে। তা দেখে অনু সিয়া কে দেয় এক ধাক্কা। সিয়া সামনে তাকালে দেখে অর্নীল দাঁড়িয়ে আছে। তার নজর অলরেডি সিয়ার ওপরেই। সিয়া আর অর্নীলের চোখাচোখি হয়ে যেতেই অর্নীল কিছুটা ভ্রু নাচায়। এটা দেখে সিয়া ভয়ে আরেক দফা ঝট করেই দাঁড়িয়ে পরে।

রুপম;; হ্যালো স্টুডেন্ট”স। ইনি হচ্ছেন আবরার চৌধুরী অর্নীল। উনার ব্যাপারে আর কি বলি। সবাই তো চিনোই উনাকে।

সবার সাথেই অর্নীল টুক টাক কথা বলে। তবে যাওয়ার আগে সিয়ার দিকে এগিয়ে যায়।

অর্নীল;; হেই, সাবধান আজ ছেড়ে দিয়েছি পরের বার কিন্তু আর ছাড়ছি না। ইন ফ্যাক্ট আর কখনো ছাড়ছিই না তোমাকে।

এই বলেই অর্নীল চলে গেলো। অর্নীলের কথা টা হয়তো খুব সিম্পল ছিলো তবে কথার মাঝে কেমন যেনো একটা থ্রেইট ওয়ালা ভাব ছিলো যা সিয়া বুঝেছে।

অবশেষে অর্নীল চলে যায়। সাথে ক্লাসের টাইমও ওভার হয়ে যায়, ফলে সিয়া বের হয়ে পরে ক্লাস থেকে। আর তখনই সজিব আসে।

সজিব;; ওই সরি সরি সরি রে, আজ ঘুম থেকে ওঠতে দেরি হয়ে গেছে তাই লেইট। ক্লাস কি শেষ নাকি শুরু!?

সিয়া;; তোর কাল্লা হারামজাদা। আজকে মরতে মরতে বেচেছি, সব একমাত্র তোর জন্য।

সিয়া এই বলেই দ্রুত চলে যায়। আর সজিব কিছু না বুঝেই হাবলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে।

সজিব;; যাহ বাবা এর আবার কি হলো কিছুই তো বুঝলাম না।

অনু;; সব বলছি চল।

অতঃপর অনু সব সজিব কে বুঝিয়ে বলে। আর সব শুনে সজিব হাসতে হাসতে লুটপাট। সিয়া এক প্রকার রাগেই সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে পরে। সিয়া যখন রাস্তায় বের হয় তখন একটা রিকশা নিয়ে নেয়। রিকশা তে উঠে যেতে ধরবে তখন দেখে অর্নীল তার গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। যাকে দেখে সিয়া তার ব্যাগ দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে। কিন্তু যতোই মুখ ঢাকুক অর্নীল সিয়াকে দেখেছে ঠিকই। সিয়া রিকশা করে প্রায় চলেই যেতো। কিন্তু সিয়ার ওরনার দিকে অর্নীলের নজর পরে। অর্নীল কোন উপায় না পেয়ে চিল্লিয়ে ডাক দেয়।

অর্নীল;; এই খালি! এইই

অর্নীলের ডাকে সিয়া আবার ভয় পেয়ে যায়। সিয়ার রিকশাওয়ালাও রিকশা থামায়। অর্নীল কিছুটা রাগ নিয়েই সিয়ার দিকে যায়।

অর্নীল;; এই যে মিস. সিয়া নাকি টিয়া কি নাম। ওরনা সামলাতে জানো না এখনো!

অর্নীলের কথায় সিয়ার টনক নড়ে।

সিয়া;; মানে?

অর্নীল;; দেখো তো তোমার ওরনা টা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে!

অর্নীল রিকশার চাকার দিকে সিয়া কে ইশারা করে। সিয়া তাকিয়ে দেখে আসলেই তার ওরনা রিকশার চাকাতে বাজতে বাজতে বেচেছে। সিয়া দ্রুত ওরনা ঠিক করতে গিয়ে ওরনার কিছুটা অংশ ছিড়েই ফেলে। তা দেখে অর্নীল বলে ওঠে…

অর্নীল;; আচ্ছা হয়েছে থাক আমিই ঠিক করে দিচ্ছি।

অর্নীল সিয়ার ওরনা চাকা থেকে বের করে দেয়।

অর্নীল;; এবার যাও।

সিয়া চলে আসে৷ চলে আসতেই সিয়া তার পেছনে রিকশার হুডের মাঝখান দিয়ে অর্নীলের দিকে তাকায়। অর্নীলও কতোক্ষন সিয়ার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে তারপর এসে পরে।





চলবে~~

#তোর_প্রেমেতে_অন্ধ_হলাম
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ০১

{ একদম নতুন গল্প নিয়ে আবার এসে পরলাম,, জানি না কেমন হয়েছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে। যদি রেসপন্স পাই তাহলে আগাবো নয়তো কয়েক পর্বেই শেষ করে দিবো। হ্যাপি রিডিং 😊❤️}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here