#ফেরার_কোন_পথ_নেই (১৬)অন্তিম পর্ব
কলমে #রেহানা_পুতুল
দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মানুষ আমাকে ধরে দাঁড় করিয়ে নিল। তারা বলল,
আরেহ মারা যায়নিতো। নিঃশ্বাস এখনো উঠানামা করছে। বুক ধড়পড় করছে। উনি কে হয় আপনার? উনাকে হাসপাতাল নিতে হবে জরুরীভাবে।
আমি তাদের কথার কর্ণপাত করলামনা। ঘাড় ঘুরিয়ে ভাই ভাবিকে হাত উঁচিয়ে ডাকলাম। তারা ব্যস্ত পায়ে ছুটে এলো।
একরাম ভাই এহসানের পাশে হাঁটু মুড়ে বসে পড়লেন। বুঝলেন নির্জীবের ন্যায় অসাড় হয়ে পড়ে থাকা দেহটার ভিতরে এখনো প্রাণ আছে। তিনি অন্যদের সাহায্যে এহসানকে ধরে গাড়ির ভিতরে ঢুকালেন। আমরা গাড়ি রিজার্ভ নিয়েই এসেছিলাম। ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করালেন এহসানকে। উনি ও ভাবি ছুটাছুটি করছে।
আমি, মা,বাচ্চারা বারান্দায় অপেক্ষমান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রোগীর পাশে অতিরিক্ত লোকজন না থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
এভাবে কিছুসময় পার হয়ে গেল। হাতে থাকা মুঠোফোন টনটন আওয়াজে শব্দ করে উঠল। রিসিভ করলাম।
সেজো খালা কুশলাদি জিজ্ঞেস করার পর বিষকন্ঠে বলতে লাগলেন,
তোর কি আফসোস হইতাছে জামাইরে তালাক দিলি বইলা?
এটা কেন বলছ খালা?
বলছি ক্যান।ধর এখনতো মিতা এ দুনিয়াতেই নাই। তোর মনে হয়তো, এমন কথা ভুল করে হলেও আইতেই পারে। যে তারে তালাক না দিলেই পারতাম।
আমি চুপ হয়ে আছি। আমার নিরবতায় খালা কি বুঝলেন জানিনা।
রাগে গজগজ করে বলতে লাগলেন,
ছাইড়া দিয়া খুউব ভালা কাম করছত। অন্যবেডির পিছে বিলাইর মতন ছোঁক ছোঁক করা পুরুষ মাইনষের লগে অশান্তির জিন্দেগী পার করার চাইতে একলা জীবন ম্যালা ভালা। আর কিসের একলা তুই। কি সুন্দর চান্দের মত তিনখান পোলাপাইন আছে।
খালা এখন আবার নতুন করে কি হলো?
মিতার সবচেয়ে খাতির ছিল আমগো বাড়ির যার লগে। হেই মেয়েলোক অন্যদের গলা ধইরা কাঁনতে কাঁনতে কয়,
হায়রে সমাজ,হায়রে ছেলেরা,তোর মা কি পাপ করছে নাকি? কি হইতো মাইনা নিলে? তোরা বাইর কইরা দিলি বইলা এই কঠিন মরণ হইল ভাবির। কি ভালোবাসা ছিল এহসান ভাইর লগে। মনে হয় ষোল বছরের কিশোরী আর বিশ বছরের তরুণ প্রেম করতাছে। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেইকা বাইক চালায় আসত গ্রামে। মিতা ভাবি নামাজের বিছানায় থেইকাও কত যে কথা কইতো। কতদিন কথা কইতে কইতে চুলার তারকারি পুইড়া গেছিল। কত টাকা পয়সা দিছে। তার কোন হিসাব নাই। দুজনেই সমান বয়সের ছিল। তাই তুই তাকারি করেও কথা বলত তারা। মিতা ভাবির শোকে এহসান ভাইও মইরা যাইব।
বুঝলি এমন আরো কিচ্ছা কাহিনী সে পুঁথির মত ঢুলে ঢুলে বলতে শুনলাম আমি। আমি মনে মনে চিন্তা করি,
এই হারামির বাচ্ছা হারামির মনে আমার বোনজির জায়গাটা কই। নাতিগো জায়গা কই।
খালা এসব শুনতে ভালো লাগছেনা আর। খুউব খারাপ লাগছে। রাখি বলে ফোন লাইন কাটলাম।
মুহুর্তেই আমার নিজের উপর রাশি রাশি ঘৃণা জন্মে গেল। ছিঃ! এই বেঈমানের জন্যই গত রাতে আমার দরদ উথলে উঠল টগবগ করে। আবার এখন সে মরে গিয়েছে ভেবে আর্তনাদ করলাম। হুহ। নাহ। আমাকে পাহাড়ের ন্যায় অবিচল হতে হবে। বজ্রের ন্যায় কঠিন হতে হবে।
সে যে আবার এমন করবেনা। এর কোন নিশ্চয়তা নেই। আমি একরাম ভাইকে ডেকে খালার কথাগুলো বললাম। এবং আমার জীবনে তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে জানিয়ে দিলাম।
উনি বললেন, জীবন তোমার। সিদ্ধান্তও তোমার। সেখানে আমার হস্তক্ষেপ করা একেবারেই অনুচিত। যতই খারাপই হোক আমারতো মায়ের পেটের ভাই। আমি ফেলে দিতে পারবনা।
আমিতো আপনাকে ফেলে দিতে বলছিনা ভাইজান। আমার এখানে থাকতে কোন অভিরূচি হচ্ছেনা। আমি ওদের নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।
ঠিক আছে। সাবধানে যাও।
আমি,মা,বাচ্চারা বাসায় চলে আসলাম। ভাই ভাবি হাসপাতালে রয়ে গেল।
এশা এতসময় চুপ ছিল। একটি কথাও বলেনি। বাসায় ঢুকতেই তার মেলানো দুঠোঁট ফাঁক হলো। আমার দিকে দৃষ্টি তাক করে বলল,
তোমার খালা কি বলছে, তা তোমার রিপ্লাই শুনেই আমি বুঝতে পেরেছি। আরও বল তাকে ফিরিয়ে আনবে। যে পিতার জীবনে সন্তানের চেয়ে তৃতীয় নারী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। সে পিতাকে আমি ঘৃণা করি। অস্বীকার করি। করো আরো ক্ষমা তুমি।
শোন আম্মু,
কিছু মানুষের কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য। এদের প্রাপ্য সাজাটুকুর পথ রুদ্ধ করতে নেই।
আমি কখনোই চাইনা সে আমাদের জীবনে কামব্যাক করুক। যে চলে যায়। তাকে যেতে দিতে হয়। পিছু ডাকতে নেই।
তোমার জীবন নামক বৃক্ষ হতে যে ফুল অসময়েই ঝরে গেল। সে ফুল কুড়িয়ে আবার সুবাস নিতে চাও কেন। ওই একজন ছাড়া তোমার জীবনে বাকি সবাইতো আছি আমরা। অমন নষ্ট একজন থাকার চেয়ে তোমার একাকী বিশুদ্ধ জীবন অনেক সুন্দর। নির্মল। খামাখা তাকে জড়িয়ে কেন নিজের জীবনটাকে দূষিত করবে?
বকবক করিসনা মেয়ে। রুমে যা তুই। মৃদু ধমকে এশাকে সরিয়ে দিলাম আমার সামনে হতে।
ভাবছি এসএসসি পরিক্ষা দিবে। এতটুকুন একটা মেয়ে কত জীবনবাদী ভারী ভারী কথা বলতে শিখে গিয়েছে।
এশা চলে গেলে,মা আমাকে আস্তে করে বলল,
এশা যা বলছে হক কথাই বলছে।
আমি আর এহসানের কোন খবর নিলাম না। এই মুহুর্তে আমার হৃদয়ে তার জন্য কোন সহমর্মিতাও অবশিষ্ট নেই। বরঞ্চ আছে শুধু ধিক্কার,উপেক্ষা,ঘৃণা।
এর কিছুদিন পর কথা প্রসঙ্গে ভাবির কাছে শুনলাম, সে এখন কিছুটা সুস্থের দিকে। হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়েছে। তাদের বাসায় আছে আপাতত। এরপর নাকি এই দেশেই থাকবেনা। বাইরে চলে যাবে।
শুনে কিঞ্চিৎ করুণাই হলো আমার। হায় মানুষ কি করলি। নিজ হাতে সোনার সাজানো সংসারটা শেষ করলি। হারিয়ে ফেললি সব প্রিয়জনদের। মিথ্যে মরীচিকার পিছনে ছুটলি অহেতুক। থরে থরে দামী হিরে জহরত ফেলে কোঁচা ভরে নিলি সস্তা কাঁচের টুকরো। সেই কাঁচগুঁড়োতে নিজেই রক্তাক্ত হলি।
এবার থাক তুই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। আমাদের জীবনে তোর আর #ফেরার_কোন_পথ_নেই।
এশার ফাইনাল পরিক্ষা ঘনিয়ে আসছে। তাকে নিয়ে এই কোচিং ওই কোচিং দৌড়ঝাঁপ করছি। ও আমার প্রথম সন্তান। প্রথম মা হওয়ার প্রগাঢ় অনুভূতি। ওকে নিয়ে আমার বিপুল স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণে আমার চেষ্টার কমতি নেই।
দোকান ও চলছে দক্ষ নারী পুরুষ কর্মীদের ভালোবাসায় ও শ্রমে। সামনে দোকানের পরিসর বাড়াব। মেশিন উঠাতে হবে আরো। এরা কুলিয়ে পারেনা সেলাই করে। তবে এর পুরো অবদান ও কৃতিত্ব আমার ভাসুর, আমার মা, ও আমার গাঁয়ের বাদল ভাইয়ের।
” পৃথিবীতে বড় কোন মহৎ কাজ একা করা সম্ভব নয়। পাশে অকৃত্রিম বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রয়োজন হয়।”
মা জায়গা বেচে টাকা দিয়েছে। নইলে আমি এত টাকা কোথায় পেতাম। একরাম ভাই নিজের দোকানটা দিয়ে দিয়েছে। ভাড়াও নিতনা মাসে মাসে। এই শহরে এডভান্স দিয়ে একটা দোকান নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাদল ভাই মেশিন ও যাবতীয় জিনিসপত্র কেনা, কর্মী যোগাড় করা থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে।
আমি এশা,মাহিন,মায়ের সাথে আলাপ করলাম আমার পড়াশোনার বিষয়ে। মা হাসিমুখেই সাপোর্ট দিল। ছেলেমেয়েরাতো ভীষণ উৎফুল্ল। আয়রা বলে উঠল। তাহলে আমাদের বাসায় এখন থেকে আমরা চারজন স্টুডেন্ট হবো।
নিজেই নেট থেকে ভার্সিটির তথ্য উপাত্ত যোগাড় করলাম। ভর্তির সকল শর্ত পিলাপ করে উত্তরাতেই একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স এ ভর্তি হলাম। এখানে এইজের কোন তারতম্য নেই। যে কোন এইজেই ভর্তি হওয়া যায় চাইলেই। বাদল ভাইয়ের বউ ইতিও সেই ভার্সিটিতেই পড়ে। অন্য ডিপার্টমেন্টে। ইতির সাথে আমার ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল।
এশার ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্ট ও দিয়ে দিল। এশা এখন কলেজে পড়ে বিজ্ঞান বিভাগে। বাদল ভাইয়ের বড় ভাইয়ের ছেলে নিশান ও এশার ক্লাসমেট। এদের বন্ধুত্বটা চোখে পড়ার মতো।
কয়েকমাস পর এহসান দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। যাওয়ার আগের দিন ভাই ভাবিকে নিয়ে আমার বাসায় এসেছে। সে ওদের সামনেই অশ্রুভেজা কন্ঠে বলল,
আমি ফিরে আসতে চাইলেও জানি তুমি সেই সুযোগ দিবেনা। তাই ফিরে আসতে আর চাইওনা। হয়তো আর কোনদিন দেশে ফিরবনা। তোমরা ভালো থেক। আমার ভালোবাসা এখন আগের মতই তোমাদের জন্য আছে। গ্রামে আমার ভাগের সম্পত্তি তোমাদের যে কোন প্রয়োজনে বিক্রি করতে পারবে চাইলে। আমি ভাইজানকেও বলে রেখেছি।
আমি তার কোন কথার প্রতিউত্তর দিইনি। সে দূরে দাঁড়িয়ে তিন সন্তানের মুখের দিকে অবোধ শিশুর মত ফ্যালফ্যাল চোখে একটুক্ষণ চেয়ে রইলো। পরে বেরিয়ে গেল। সেই শেষ দেখা তার সাথে।
সে চলে গেলে ভাবছি,
প্রকৃতি তার নিজের নিয়মেই সকল অন্যায়ের বিচার করে। আশ্চর্য হই। আমরা যে মানুষটাকে ভালবেসে হৃদয়ের রাজ সিংহাসনে আসীন করি। তারাই আমাদেরকে সবচেয়ে বড় আঘাত দেয়। তাই আমরা ক্ষমা করলেও প্রকৃতি তাদেরকে ক্ষমা করেনা। প্রকৃতি তার আপন গতিতে প্রতিশোধ নিবেই।
‘ রিভেঞ্জ অব নেচার’ কথাটা সবসময় ফলে যায়। গল্প অথবা বাস্তবে। পরকিয়া ধ্বংস করে সবকিছু। এটা জেনেও মানুষ ভুল করে। কেউ ভুল থেকে শিক্ষা নেয়। কারো কারো অনেক দেরি হয়ে যায়। মিতা ও এহসানের মতো হাজারো চরিত্রহীন আছে এ সমাজে। যারা ধর্মের বর্ননা করে পাপ করে অবিচল।আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। এর চেয়ে উত্তম শাস্তি আর কি হতে পারে এই পৃথিবীতে।
বর্ষার অবসন্ন বিকেলে চায়ের কাপ হাতে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। বাইরে ঘনধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ছাঁটে গাছগুলোকে বেশ সতেজ দেখাচ্ছে। কিছুদিন আগে এশা বেলী ও হাসনাহেনা ফুল গাছ লাগিয়েছে টবে। যত্নে আর ভালোবাসায় অজস্র ফুল ফুটেছে সেই গাছগুলোতে। এক চিলতে বারান্দাটা বেলী ও হাসনাহেনার সুবাসে ম ম করছে।
জীবন কারো জন্য থেমে থাকেনা। সময়ের পরিক্রমায় সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। বাদলা দিনে যেমন করে মেঘপুঞ্জ সরে গিয়ে আকাশটা ঝকঝকে হয়ে যায়। ঠিক তেমনি। তবুও বুকের বাঁ পাশটায় একটা গোপন সূক্ষ্ম ব্যথা চিনচিন করে উঠে মাঝে মাঝে। আমি কি চাইলেই আমার এই সঙ্গীহীন একলা জীবনে সঙ্গী জোটাতে পারি? নাহ। জীবনের কিছু পর্যায় থেকে আমাদের কারোই ফেরার কোন পথ নেই।
বেলাশেষে কিছু স্বপ্ন,কিছু আশা,কিছু দুঃখ, কিছু স্মৃতি, কিছু প্রাপ্তি, কিছু অপ্রাপ্তি, কিছু দীর্ঘশ্বাস,কিছু দহন,কিছু ব্যর্থতা, কিছু শূন্যতা,জীবনের এ সম্বলগুলো নিয়েই আমাদের ভালো থাকতে হয়। ভালো রাখতে হয় প্রিয়জনদের। ফেরার কোন পথ নেই গল্পটি এখানেই ফুরোল।
পরিসমাপ্তি ( আসসালামু আলাইকুম। বর্তমান সময়ের সামাজিক, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক, মানুষের নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সম্পর্কের টানাপোড়েন,সংগ্রামী নারীর ঘুরে দাঁড়ানো,মনোবলের বলিষ্ঠতা,দৃঢ় চেতনা ও এর করুণ পরিণতিই ছিল আলোচিত উক্ত গল্পের মূল বিষয়বস্তু। ‘ দ্বিতীয় বিয়ে পাপ নয়। জায়েজ।’ এটা বলে আমি ২য় বিয়েকে কিছুতেই প্রমোট করার পক্ষপাতী নয়। স্ত্রী /স্বামী থাকাকালীন দ্বিতীয় বিয়ে কখনোই একজন নারী/পুরুষের জন্য কল্যাণকর নয়। সুখকরও নয়। না বয়ে আনে কোন সুফল।
অতীতে মহান লেখকেরাও লিখেছিলেন সেই সময়কার চলমান ঘটনা নিয়ে। সাহিত্য প্রভাবিত হয় বর্তমান দ্বারা। কারণ সাহিত্য প্রভাব নিয়ে কাজ করে। এটাই সাহিত্যের মূল ধর্ম।
বর্তমানে বহু পরিবারে ঘটে যাওয়া ক্ষয়িষ্ণু সমাজের সচিত্র পরিষ্ফুটিত হয়েছে সবার অতি পছন্দের সমকালীন বাস্তববাদী জীবনমুখী গল্প #ফেরার_কোন_পথ_নেই আলোচিত গল্পটিতে।
আপনাদের প্রতি আমি চিরকৃতার্থ আমার ক্ষুদ্র সৃষ্টিকে মূল্যায়ন করেছেন বলে। অন্তত দশজন আপু আমাকে রচনাসমেত মেসেজ লিখে জিজ্ঞেস করেছে,
পুতুল আপু আপনি আমাকে চিনেন? আমার ঘটনা নিয়ে গল্প লিখছেন যে?
আমি অবাক হলাম শুনে। আমি এদের কাউকেই চিনিনা। তারমানে বর্তমানে পরকিয়া, দ্বিতীয় বিয়ে ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলছে মহামারীর মতো। একটা গল্প পড়া থেকে এতজন উঠে আসলে গোটা দেশে কি পরিমাণ রয়েছে। তা সহজেই অনুমেয়।
আমি এই গল্পের মূল প্রেক্ষাপট বাস্তবতা থেকে নিয়েছি। বাকি সংলাপ ছিল আমার কল্পনাপ্রসূত। আপনারা চাইলে এমন আরো গল্প আপনাদের সামনে প্রকাশ করতে পারি। ছোট্ট একটা জার্নি গেল আপনাদের সাথে। মানুষ মাত্রই ভুল। তাই গল্পে কোন ভুলত্রুটি সুন্দরের চোখে দেখবেন। বেঁচে থাকলে আবারও নতুন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের সাথে দেখা হবে। নিরাপদে থাকবেন।)
এত চমৎকার বার্তানির্ভর গল্পটা শেয়ার দিয়ে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিবেন।🙏