দাম্পত্য_জীবন #মেহু_আপু #পর্ব_১৭

0
248

#দাম্পত্য_জীবন
#মেহু_আপু
#পর্ব_১৭

কে আপনি, আমাকে এইভেবে ধরেছেন ক্যান? আপনার সাহস তো কম না। জানেন আমি কে? আমি আকাশ চৌধুরীর ওয়াইফ। সে যদি জানতে পারে তার স্ত্রীর সঙ্গে আপনি অশ্লীলতা কিছু করেছেন। সে আপনাকে জিন্দা রাখবে না।

ডাকুন তাকে দেখি তার সাহস কত বড়।

তুমি এইভাবে কেউ ধরে। আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম।

আমাদের রুমে আর অন্যকোনো পুরুষের আগমন হবে কি করে? কারো কি সাহস আছে এতো? আর তুমি আমার স্পর্শ টের পেলা না 😓

এইভাবে ধরছো আমি আতঙ্কে ছিলাম। আর হুট করেই কারেন্ট গেছে। এখনো আসছে না। এ কেমন রিসোর্টে উঠলাম আমরা।

চিন্তা করিয়ো না। আমি থাকতে কিসের ভয় সুইটহার্ট।
ঢং পরে আগে খোঁজ নেও এইখানে কি কারেন্ট এইভাবে যায়। এইভাবে গেলে আমরা অন্য রিসোর্টে উঠবো।

কারেন্ট চলে আসলো। রিসোর্ট ম্যানেজার সিপ্কার অন করে সবার কাছে আমরা আন্তরিক ভাবে দুঃখিত যান্ত্রিক ত্রুটি ছিলো আইপিএজে। যার জন্য কারেন্ট যাওয়ার সাথে সাথে আইপিএজের লাইন অন করতে পারিনি। সমস্যা ঠিক হয়ে গেছে। আপনারা কেউ উত্তেজিত হবেন না।

আকাশ বললো শুনলাতো এই কাহিনী। নীলা বলে ঠিক আছে চলো কক্সবাজার সমুদ্রের তীরে যাবো এখন।
এখন যাবা, এখনতো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কাল সকালে যাই।
না এক্ষুনি যাবো, অনেকদিনের শখ সন্ধ্যা বেলায় সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে খেলা করার।
আচ্ছা আমি দুই কাপল কে এসেমেস দিয়ে ডাকছি ওরা আসুক ওখানে।
হুম তাড়াতাড়ি দাও।

আকাশ ইমরান আর ঈশানকে এসেমেস দিয়ে রওনা দিলো নীলাকে নিয়ে সমুদ্রের তীরে।

____ সমুদ্রের তীরে ____

নীলা, উষশী,রিয়া, আকাশ,ঈশান, ও ইমরান এক সঙ্গে একত্রে হলো। এরপরে পছন্দ মতো সবাই একেকজনের সাথে কাপল পিক তুললো। এরপরে সমুদ্রের ঢেউয়ের নিচে নামলো একেক কাপল আরেক কাপল কে ভিজাতে ব্যস্ত থাকলো। এরপরে চটপটি, ফুচকা খেয়ে রাতের দিকে রিসোর্টে ফিরলো। যার যার রুমে সবাই চলে গেলো। এরপরে সবাই চেঞ্জ করলো।

ইমরান আমার খুব ভালো লাগলো আজকে। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো জামাইকে নিয়ে কক্সবাজার ঘোরার। আজকে আমার ইচ্ছে বিয়ের সঙ্গে সঙ্গেই পূরণ হয়ে গেলো। ধন্যবাদ ইমরান।

ধন্যবাদ আমাকে না তোমার শশুড়দের দিয়ো। ওদের জন্যই সবটা সম্ভব হয়েছে রিয়া।
কিন্তু ইমরান তোমার মনে প্রশ্ন জাগেনা আমাদের সাথে কে এরকম করলো। যে আমাদের সাথে এরকম করলো তাকে যদি কোনোদিন আমি জানতে পাই সে কে? তাকে কোনোদিন মাফ করবো না । যার জন্য আমার বড় বাবা আমার বিদায়ের সময় মুখ দেখেন নাই এমনকি এখনো আমাকে ফোন দেয় নাই। যার জন্য আমার পরিবারের এতো কিছু হলো তাকে জেলে পাঠাবো আমি।

এসব মনে রাখিয়ো না। বড়বাবা একাই সবটা মেনে নিবে। এখন ট্রোমাটাইজ হয়ে আছে ওরা। তুমি চিন্তা করিয়ো না এইখান থেকে সোজা ওদের বাড়ি যাবো আমি তোমাকে। সব ঠিক করে দেবো আমি?
আর বাবা এত কিছুর আয়োজন করেছে তোমার মন ভালো করার জন্য। এইখান থেকে মাইন্ড সুন্দর করে সেটাপ করে নিয়ে যাবো আমরা।
চলো শুরু করি।
কি শুরু করবা?
এরপরে ইমরান কানের লতিতে কামড় দিয়ে বলে এ রাত শুধু তোমার আমার।
রিয়া বললো কি করছো এসব?
হানিমুন করতে এসেছি হানিমুন করবো না। অতীতকে নিয়ে ভাবলে হবে রিয়া। এখন আমরা স্বামী স্ত্রী আমাদের সম্পর্ক টা স্বাভাবিক ভাবে এগোতে হবে।
এখন না একটু পর শুরু করি।
আর সময় নষ্ট করতে চাইনা রিয়া। এই রুম টা কত সুন্দর করে সাজানো। ফুলশোভিত বেড। এমন মূহুর্তে ভালোবাসা ছাড়া কিছু চাইনা রিয়া। আমাকে আলিঙ্গন করে নাও রিয়া।
রিয়া পালিয়ে যায়।
ইমরান আবার টেনে ধরে কপাল আর ঠোঁটে আলতো করে কিস দিয়ে রিয়াকে উত্তেজিত করে তোলে।

ঈশান বলে দেখো উষশী কত সুন্দর করে রুমটা সাজানো। ফুলশোভিত বেড ঠিক আজ থেকে ২.৫ বছরের আগের মূহুর্তের কথা মনে পড়ে গেলো। কত সুন্দর ছিলো সেই সময় গুলো। আমাদের প্রথম রাতের কথা মনে পড়ে গেলো। তোমার কিছু মনে পড়ছে না উষশী।
উষশী বললো ২.৫ বছরের সংসার জীবনে অনেক স্মৃতি মেমোরিয়াল হয়ে আছে ঈশান। প্রথম রাতে আমরা দুজন দুজনকে চিনতাম না। কতো না কৌতূহল ছিলো তোমার আমার কাছে আসার। ঠিক এর মাঝে মেঘ / ইমরান কাবাব মে হাড্ডি হয়ে ব্যাগড়া দিছিলো। তুমি কতো বেহায়া ছিলা ওদের দ্রুত রুম থেকে বেড় করে দিছো। আজকে সেই ইমরান / মেঘ বিয়ে করে এসব সময় পার করছে।
ঈশান বললো চলো না সেই প্রথম রাতের মতো আজকের রাতটাও শুরু করি। উষশী ঈশানকে কাছে টেনে নিলো। ঈশান এরপরে উষশীর ঠোঁটে কিস করলো এরপরে দুজন দুজনকে ভালোবেসে নতুন সূর্যের উঠার অপেক্ষায় ভালোবাসায় হারিয়ে গেলো।

আকাশ বললো দেখো নীলা আমাদের বিয়ের পর হামজা শুধু অঘটন ঘটাই দিয়া গেছে। এমন কোনো রাত ছিলো না মাথায় টেনশন ছিলো হামজার।
কিন্তু তোমরা এটা ঠিক করলা না আকাশ। হামজাকে এইভেবে মুক্ত করে দিয়ে। শুনো অর্থলোভী মানুষ কখনো নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেনা। ও আমার পরিবারের সাথে এইরকম জঘন্য একটা ঘটনা ঘটাইলো। রিয়া যদি জানতে পারে তার এই করুণ কাহিনীর পিছনে হামজা দায়ী ও কখনো তোমাদের মাফ করবেনা। হামজার জন্য আমার পরিবার এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন। আজ যদি তোমার পরিবার এইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতো তোমরা কি পারতা ওকে এইভেবে মুক্ত করে দিতে।
আকাশ বললো দেখো বাবার এই বিষয়ে আমি কখনো সাপোর্ট করি নাই। কিন্তু বাবার বাইরে যাওয়ার আমার সাধ্য ছিলো না। কিন্তু তোমাকে কথা দিলাম এরপরেও যদি হামজা কোনো কিছু ঘটাও আমাদের লাইফে। কারো কথা আমি মানবো না। নিজ হাতে আমি তাকে শাস্তি দিয়ে, আমার বোনকে তার জীবন থেকে মুক্তি করবো।
অর্থলোভী মানুষ কখনো নিজেকে শুধরাতে পারেনা আকাশ। একটার পর একটা চাহিদা থেকেই যাবে। আজ ওকে ক্ষমা করে দিয়ে ভবিষ্যতে আমরা ঝড়ের মুখোমুখি হতে চলেছি দেখে নিয়ো।
সেই ঝড় এইভেবে সামলে নিয়ে ওখে আমাদের লাইফ থেকে বের করে দিবো, কথা দিলাম প্রিয়তমা। এখন ওর প্রসঙ্গ বাদ দাও চলো না অনেকদিন হলো তোমাকে ভালোবাসি না। আজকে আমাকে ভালোবাসা দাও। এই সুন্দর কারুকার্য দেখে আমার তোমার সেই সারপ্রাইজের কথা মনে পড়ে গেছে।

নীলা বললো তোমার খালি ওইসব।
আকাশ এরপরে নীলাকে বুকে টেনে নিয়ে ঠোঁটে কিস করলো। নীলাও আকাশকে চুমু দিলো। আকাশ নীলাকে কোলে নিয়ে বেডে শুইয়ে দিলো।
এরপরে দুজন দুজনকে চুমু দিয়ে ভরিয়ে দিলো। এরপরে আকাশ কানের লতিতে কিস করলো। নীলা আকাশের ভালোবাসা পেয়ে ককিয়ে উঠলো। আকাশ ইচ্ছেতালে নীলার সাথে রোমান্স করতে করতে নতুন সূর্য উঠা পযন্ত অপেক্ষা করতে থাকলো। এবং দুজন দুজনের হানিমুন কে তাজা করে দিলো।

ওদিকে ইমরান আর রিয়াও সেইম কাজ করলো সারারাত।

ঈশান আর উষশী ও সেইম কাজ করলো।

ভোরবেলা তিনজুটি শাওয়ার নিলো তাদের নিজস্ব বাথরুমে।

হানিমুন পর্বকে তাজা করে দিলো তিন জুটি।

সকাল বেলা নাস্তা করে গোটা সমুদ্রের তীরে টাইম স্পেন্ট করলো। বোর্ড চড়লো। জাহাজে ঘুরলো। স্ট্রিমারে চড়লো। সমুদ্রের তীরে ঢেউয়ের সঙ্গে গোসল করলো। নানান অঙ্গি ভঙ্গিতে পিক তুললো।

রাতের বেলা আবারো তিনজুটি রোমান্সে লিপ্ত হলো। সারারাত শুধু একে অপরকে ভালোবাসতে থাকলো।

সকাল হলো বাড়ি থেকে ফোন এলো। আজগর সাহেব আকাশকে বললো। দুদিনতো অনেক ঘোড়লা এখন বাড়িতে আসো বজোহরি রায়ের অর্ডার কমপ্লিট করেছে। প্রতিটা ডিজাইনার আর ওয়ার্কার। আমি আর তোমার আঙ্কেল সেগুলাকে পাঠিয়ে দিছি বজোহরি রায়ের কাছে। প্রতিটা মালের সেম্পল, নিখুঁত ভাবে তৈরি হয়েছে বজোহরি রায় বললো। তাদের বায়ার এইরকম ডিজাইন পেয়ে খুশি। তাই এই খুশিতে আমরা সকল ইম্পপোলায়দের জন্য এক পার্টির অর্গানাইজেশন করেছি আগামীকাল। তোমরা চলে এসো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

আকাশ বললো ঠিক আছে বাবা। আকাশ সবাইকে এই কথা বললো। সবাই খুব খুশি হলো কারণ তাদের কাজ সময়ের আগেই হয়েছে।

সকল ইম্পপোলায় আমাদের অপেক্ষায় আছে চলো।

আকাশ,নীলা,ঈশান, উষশী, ইমরান ও রিয়া বাড়িতে রওনা দিলো।

আজগর আর শুকর ওদের বাড়ি ফিরা লেইট হবে বলে ফোন করে সব দায়িত্ব হামজার কাঁধে দেয়। হামজা অফিসে যেয়ে ডেকোরেশন সুন্দর করে সাজায়। হামজা এক বেশ্যা মেয়েকে ভাড়া করে হাতে আকাশের পিক দিয়ে বলে। আগামীকাল পার্টির সময় যদি তুমি এই ছেলেকে তোমার রুমে আটকে রেখে। তার স্ত্রীর সামনে ফাঁসাইতে পারো! তাহলে তোমাকে ০৫ লক্ষ টাকা দিবো।

মেয়েটি বলে এ আমার রুমে আসবে ক্যানো? কে নিয়ে আসবে তাঁকে।

হামজা বলে আমি একে এতটাই নেশায় আসক্তি করে রাখবো যে তুমি একাই ওখে নিয়ে আসতে পারবা।

কোথায় যাবো আমি?

হামজা বললো এই নেও ইনভাইটেশন কার্ড। কাল ঠিক সময়ে এই অফিসে উপস্থিত থাকবা। আর কেউ যাতে জানতে না পারে তোমাকে আমি ইনভাইট করছি।

মেয়েটি বলে ঠিক আছে। কিন্তু আপনি যে আমাকে ০৫ লক্ষ্য টাকা দিবেন তার প্রমান কি?

হামজা ২ লক্ষ্য টাকা এডভান্স দিয়ে বলে সারাজীবন দেহ ব্যবসা করে যা পাও নাই এক রাতেই তা পাবা।

চলবে,,,,

আসসালামু আলাইকুম। গল্পটির পর্ব কেমন হয়েছে একটু জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here