তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_৪৭

0
344

#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৪৭

” কনগ্রাচুলেশন ভাই ও বেহনা। ওপস্! ভাবিজি। ”

আয়তাকার যান্ত্রিক পর্দায় উপস্থিত কাজিনমহল। ভিডিও কলের মাধ্যমে তারা সংযুক্ত। মিহাদের কথা শুনে হেসে উঠলো সবাই। তূর্ণ এবং দুয়া পাশাপাশি বসে। তৃষা এবং নিশিও রয়েছে দু পাশে। ল্যাপটপে নিবদ্ধ তাদের দৃষ্টি। দুয়া দুষ্টুমি করে বললো,

” ভাইয়া এ কিন্তু অবিচার হলো। সম্পর্কের রদবদলে বোন ই শুধু ভাবি হয়ে গেছে? ভাই বুঝি বদলে যায়নি? ”

সিনথিয়া সাথে সাথে বললো,

” নিশ্চয়ই বদলেছে। ভাই এখন বোন জামাই। হা হা হা। ”

সশব্দে হেসে উঠলো ওরা। তৃষা সুরে সুরে বললো,

” ও ও ও। ভাইয়া এখন সাইয়্যা.. ”

ওর মাথায় গাট্টা মে রে থামিয়ে দিলো তূর্ণ। মুখ বেজার করে তাকালো মেয়েটা।

” ভাইয়া! ”

তানজিনা মুখ টিপে হাসতে হাসতে বললো,

” এই যে তূর্ণ ভাই। শুধু শুধু মা*রছো কেন? তৃষা ভুল কিছু বলেনি তো। ”

দুয়া লজ্জায় পড়ে গেল। মিনমিনে গলায় বলল,

” উফ্ আপু। সাইয়্যা! এটা আবার কেমন ভাষা? ছাড়ো না এসব। ”

তূর্ণ বসে বসে মজা নিচ্ছে। বিমোহিত নয়নে দেখছে একান্ত নারীর লজ্জালু আভা। তানজিনা এবং সিনথিয়া হেসে উঠলো।

” হায়! লজ্জা লজ্জা। ” নিশি দুষ্টু হাসছে।

তৃষা বললো, ” ও য়ে! আমার শ্রদ্ধেয় ভাবী! কিছু তো লজ্জা বিয়ের দিনের জন্য বাঁচিয়ে রাখ। সবটা এখনই ওয়েস্ট করে ফেলিস না। ”

এবার মুখ খুললো তূর্ণ। সবার উদ্দেশ্যে বললো,

” হয়েছে হয়েছে। আমার একমাত্র বউকে বেশ টিজ করেছিস। এবার থাম। তোদের চক্করে মেয়েটা বিয়ের দিন বেলাজ না হয়ে যায়। ”

সকলে হেসে উঠলো। কিন্তু দুয়া? কটমট করে তাকালো অর্ধাঙ্গের পানে। যেন এক্ষুনি কাঁচা খেয়ে ফেলবে। তা লক্ষ্য করে তূর্ণ মিথ্যা মিথ্যা ভীত হওয়ার ভান করলো। মিহাদ ওপাশ থেকে বললো,

” বোন? হেব্বি রাগ হচ্ছে? মনে হচ্ছে এ লোকের সাথে সংসার করা সম্ভব নয়? ”

দুয়া কিছু শুনলো কি? ক্ষ্যা!পা ষাঁড়ের মতো স্বামীর দিকে তাকিয়ে।

” বোন এক কাজ কর। একে রিজেক্ট করে অন্য কাউকে চুজ করে ফেল। ”

তূর্ণ আঁতকে ওঠার ভঙ্গিমায় মিহাদের দিকে তাকালো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,

” মিহুর বাচ্চা! আমার সোনা-রুপার সংসারে কাঁচ দিয়ে ঘষামাজা করছিস? তোকে হাতের কাছে পেলে না কে’লিয়ে ভূত বানাবো। ”

দুয়া দৃষ্টি সরিয়ে বিড়বিড় করে বললো,

” পারে তো খালি ওসবই। ”

তূর্ণ তৎক্ষণাৎ ওর কর্ণ কুহরে মুখ ঠেকালো। ফিসফিসিয়ে বললো,

” আরো অনেক কিছুই পারি। ফরগট দ্যা মর্নিং সিন? ”

আর’ক্ত হলো মেয়েটির বদন। সবার অলক্ষ্যে স্বামীর উরুতে চাপড় মে রে দিলো। বক্র হাসলো তূর্ণ। বাকিরা অবশ্য এসব লক্ষ্য করেনি। তারা নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে মত্ত।

ভানু’র দ্যুতি ছড়িয়ে ধরনীর বুকে। লিভিং রুমে ফোনালাপে লিপ্ত নাজমুল সাহেব উপস্থিত হলেন। কথা বলতে বলতে বসলেন বড় ভাইয়ের পাশে।

” আচ্ছা আচ্ছা। থ্যাংক ইয়্যু সো মাচ। ”

” …. ”

” ওকে। ডোন্ট ওয়ারি। ”

” …. ”

” হাঁ। আমরা সময়মতো চলে আসবো। ”

” ….. ”

” আচ্ছা ঠিক আছে। থ্যাংকস এগেইন। ”

” ….. ”

” রাখছি তাহলে। আসসালামু আলাইকুম। ”

” …. ”

কল কেটে গেল। নিজাম সাহেব খবরের কাগজ পড়তে পড়তে প্রশ্ন করলেন,

” কার সাথে কথা বলছিলি? ”

” ভাইয়া ওই রিসোর্টের ম্যানেজারের সাথে। গুড নিউজ। বুকিং হয়ে গেছে। ”

নিজাম সাহেব প্রসন্ন হলেন। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,

” বাহ্! বেশ ভালো করেছিস। সময় থাকতেই করে রাখা ভালো। নাহলে শেষ মুহূর্তে গণ্ডগোল হয়ে যায়। ”

” হাঁ ভাইয়া। চিন্তার কোনো কারণ নেই। অল ওকে। আমরা শুধু সময়মতো পৌঁছালেই হবে। ”

” হুম। যা যা বলতে বলেছিলাম বলেছিস? ”

” হাঁ। হাঁ বলেছি। তারা রাজী। ”

” ভেরি গুড। ” খুশি হলেন নিজাম সাহেব।

নাজমুল সাহেব আমতা আমতা করে বললেন,

” তবে? ”

” তবে কি? বল। ”

” ও ই.. খরচ পড়বে বেশি। ”

” তাতে কি হয়েছে? আমাদের ছেলে-মেয়ের বিয়ে বলে কথা। আমি দু হাত ভরে খরচা করবো। নো চিন্তা ডু ফুর্তি। ”

” আচ্ছা। ” হেসে উঠলেন নাজমুল সাহেব।

দুই ভাই বিবাহ সম্পর্কিত আলাপচারিতায় ব্যস্ত হয়ে রইলো। পরিকল্পনা করতে লাগলো কত কি।

নিশাকরের কিরণ জমিনের বুকে। কক্ষের ভেজানো দ্বার উন্মোচন করে প্রবেশ করলো দুয়া। বিছানায় শায়িত সাজ্জাদ সাহেব। ঘুমন্ত মানুষটির চোখে চশমা। বুকের ওপর বই। পড়তে পড়তে নিদ্রায় তলিয়ে পড়েছে। দুয়া মিষ্টি করে হাসলো। মনে পড়ে গেল পুরনো কত স্মৃতি। আব্বু সর্বদা এমনটি করে থাকে। বই হোক কিংবা অফিসিয়াল পেপার। পড়তে পড়তে নিদ্রায় তলিয়ে যায়। ভুলে যায় চশমা খুলতে। জ্বলে রয় কক্ষের আলো। তখন বেশিরভাগ সময় এগিয়ে আসতো সে। মাঝেমধ্যে আম্মু। আব্বুর চোখের চশমা খুলে আলো নিভিয়ে দিতো। কখনো কখনো সাজ্জাদ সাহেব কারো উপস্থিতি টের পেয়ে উঠে পড়তেন।‌ কখনোবা রয়ে যেতেন ঘুমন্ত। আজো সেই একই অবস্থা। আব্বুর স্বভাব পরিবর্তন হয়নি। আগের মতই রয়ে গেছে। দুয়া নিঃশব্দ পদচারণায় এগিয়ে গেল। পাছে ঘুম ভেঙে না যায়। আব্বুর শিয়রে দাঁড়িয়ে আলতো ভাবে চশমা খুলে দিলো। বুকের ওপর হতে সরালো বই। দেহে জড়িয়ে দিলো পাতলা কাঁথা। অতঃপর আব্বুর মাথায় হাত বুলিয়ে ললাটে এঁকে দিলো চু মু। প্রস্থান করলো কক্ষের আলো নিভিয়ে। সে মুহূর্তে চোখ মেলে তাকালেন সাজ্জাদ সাহেব। অধরকোলে ফুটে উঠলো তৃপ্তিকর হাসির রেখা।

আদিত্যর কিরণে আলোকিত ধরিত্রী। শহরের অভিজাত এক শপিং কমপ্লেক্সে প্রবেশ করলো নারীগণ। বিশালাকার জায়গা জুড়ে অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্সটি। লোক সমাগমে মুখর চারিপাশ। প্রবেশ দ্বার বরাবর লম্বা এস্ক্যালেটর। দুই পার্শ্বে অসংখ্য শো-রুম। নারীগণ আস্তে ধীরে অগ্রসর হতে লাগলেন। হাঁটতে হাঁটতে তাসলিমা বললেন,

” প্রথমে জুয়েলারি চুজ করা যাক। পছন্দ হলে এখান থেকেই কিনবো। নইলে আমিন’স জুয়েলার্স কিংবা আপন এ যাবো। ঠিক আছে? ”

তাহমিদা বললেন,

” আপা শুনেছি এখানেই বেশ কিছু ব্র্যান্ড নিউ কালেকশন এসেছে। ইনশাআল্লাহ্ পছন্দ হয়ে যাবে। ”

” তাই নাকি? চল তাহলে। দেখা যাক। ”

তাসলিমা, তাহমিদা, তানজিনা এবং সাজেদা এস্ক্যালেটর ধরে ওপর তলায় অগ্রসর হতে লাগলেন। ওনারা পৌঁছে গেলেন তিনতলায়। সাজেদা একটা দোকান দেখিয়ে বললেন,

” আগে ওখানে যাই? ”

তাহমিদা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। ওনারা পৌঁছে গেলেন সেই দোকানে। সুসজ্জিত এক সেলস গার্ল স্বাগতম জানালো।

” হ্যালো ম্যাম। ওয়েলকাম টু আওয়ার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডস্ ।”

তাসলিমা মুচকি হেসে বললেন,

” থ্যাংক ইয়্যু। ”

” বলুন ম্যাম কিভাবে আপনাদের হেল্প করতে পারি? আপনারা কেমন টাইপের জুয়েলারি খোঁজ করছেন? আমাদের কালেকশনে সব অ্যাভেলেবল। ”

তানজিনা বললো,

” আমরা প্রথমে রিং দেখতে চাইছি। ডায়মন্ড রিং। ”

” এনগেজমেন্ট এর জন্য? নাকি গিফট? ”

সাজেদা বললেন,

” না না। গিফট না। আমার দুয়া মায়ের এনগেজমেন্টের জন্য। সুন্দর দেখে আংটি দেখান তো। ”

সেলস গার্ল মুচকি হেসে বললো,

” ইয়াহ্। শিওর। ”

অতি শীঘ্রই সেলস গার্ল একটি কালো রঙা বাক্স উন্মুক্ত করলো। চক্ষুতারায় দৃশ্যমান হলো অসংখ্য রিং। ডায়মন্ড রিং। তাসলিমা এবং তাহমিদা একে অপরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করে মিষ্টি হাসলো। দেখতে লাগলো আংটি গুলো। অনেকগুলো ই তাদের পছন্দ হলো। তবে কোনটা রেখে কোনটা নেবে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছে। অবশেষে সমাধান বের করলো তানজিনা।

” ওয়েট ওয়েট। যার এনগেজমেন্ট সে-ই নাহয় চুজ করুক। ”

সাজেদা মুচকি হেসে বললেন,

” এটাই ভালো হবে। কর কর। ফোন কর। ”

তানজিনা ভিডিও কল করলো। ভাগ্যক্রমে সেসময় দুয়া অনলাইনে ছিল। স্বল্প সময়ের মধ্যেই কল রিসিভ করলো।

” হ্যালো আসসালামু আলাইকুম। হাঁ বড়াপু। বলো। ”

” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বোন তোর একটা হেল্প লাগবে। তুই কোথায় এখন? ফ্রি আছিস? ”

” হাঁ আপাতত আছি। ব্রেক টাইম চলছে। কিন্তু কেন? ”

তাসলিমা তানজিনা’র পাশে এসে দাঁড়ালেন। বললেন,

” ফ্রি আছিস তাহলে আমাদের সাথে এলি না কেন? আসলে কত উপকার হতো। ”

” মামণি। তোমাকে তো বলেছি আজ ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস আছে। মিস্ করা যাবে না। এছাড়াও গয়নাগাটির প্রতি আমার তেমন আগ্রহ নেই। যদি ড্রেস হতো আমি আসার চেষ্টা করতাম। এখন বলো তো। কি হয়েছে? ”

” আর কি হবে? রিং চুজ করতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। তোকে কতগুলো ফটো সেন্ড করেছি। একটু দেখে বল তো কোনটা ভালো লেগেছে। তোর পছন্দ মতোই সিলেক্ট করবো। এবার দেখ তো। দেখে বল। ”

বোনের কথামতো কল কেটে দুয়া হোয়াটসঅ্যাপে আগমন কৃত ফটোগুলো দেখতে লাগলো। এখানে নয়টা ফটো রয়েছে। সবগুলোই বেশ সুন্দর। বেচারি পড়ে গেছে দ্বিধায়। সে-ও তো কনফিউজড। এবার কি হবে! পাশে থাকা বিন্দু এবং তিয়াশ ওর হাবভাব বোঝার চেষ্টা করছে। তারা এই মূহুর্তে সবুজাভ ক্যাম্পাসের জমিনে বসে। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ বুদ্ধি উদয় হলো মেয়েটির। অধর কা’মড়ে হাসলো। মেসেজ পাঠালো বর সাহেবের কাছে। সাথে ফটোগুলো। মেসেজ ছিল এরকম,

‘ মামণি, আম্মু ওরা শপিংয়ে গিয়েছে। এনগেজমেন্ট রিং চুজ করতে গিয়ে কনফিউজড। আমিও চুজ করতে পারছি না। মাস্টার মশাই। আপনি যদি ফ্রি থাকেন একটু দেখে বলবেন? নাহয় আপনার পছন্দমতো রিং লেপ্টে নিলাম অনামিকায়। ‘

তূর্ণ তখন ভার্সিটির লন ধরে এগিয়ে চলেছে। হঠাৎ মোবাইলে নোটিফিকেশন এলো। রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। পকেট হতে মোবাইল বের করলো। হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে দেখতে পেল প্রিয়তমার ক্ষুদে বার্তা। তৃপ্তিময় হাসলো সে। কোনোরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করে ভালোমতো দেখতে লাগলো রিংয়ের ফটোগুলো। দেখার এক পর্যায়ে একটি রিং তাকে বেশ আকর্ষিত করলো। ছোট্ট গোলাকার রিং এর মধ‌্যমণি একটি লাভ শেইপ ডায়মন্ড। তূর্ণ মিষ্টি হেসে সেই রিং এর ফটোতে লাভ ইমোজি রিপ্লাই করলো। ওপাশে জবাব পেয়ে গেল অপেক্ষায় থাকা রমণী। তার অধরকোলে ফুটে উঠলো লাজুক রেখা।

পূর্বের ন্যায় আজো রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষটি। তবে আজ আর ওপাড়ে নয়। বরং পার্শ্বে। ঠিক বামেই। ভীত রমণী শুকনো ঢোক গিললো। অসন্তুষ্ট মানব মৃদু স্বরে বললো,

” সিস্টার। আই নিড সাম প্রাইভেসি। ইফ ইয়্যু.. ”

অসম্পূর্ণ বাক্যটি বোধগম্য হলো পুষ্পির।

” জ্বি নিশ্চয়ই। ”

ওদের একাকী ছেড়ে সেথা হতে সরে গেল পুষ্পি। তৃষা আরো ঘাবড়ে গেল। অজানা ভীতিতে স্বেদজল উপস্থিত। ধক ধক করছে অন্তঃস্থল। পলায়ন যে করবে সে শক্তিটুকু অবধি নেই। পদযুগল যেন আটকে মাটিতে। অস্ফুট স্বরে শুধু বললো,

” আ আমি আসছি। ”

যেই না প্রস্থান করতে উদ্যত হলো ওমনি কোমল হাতটি বন্দী হলো পুরুষালি হাতের মুঠোয়। শক্ত সে বাঁধন। হতবিহ্বল তৃষা! প্রথমবারের মতো কোনো পুরুষের এমন স্পর্শ। শিরশিরানি অনুভূত হলো তনুমনে। মায়া মায়া চোখে তাকিয়ে সে। নিশাদ একদম নির্বিকার। শুধু কঠিন গলায় সে শুধালো,

” এসবের মানে কি? ”

” ম্ মানে? কি বলছেন? আমার হাত ছাড়ুন। আমি বাড়ি যাবো। ”

” যাবে সোনা। নিশ্চয়ই যাবে। আগে আমরা একটু প্রেম আলাপ করি তারপর যাবে। ”

” প্রেম আলাপ! কি যা তা বলছেন? ছাড়ুন। ” হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো তৃষা।

নিশাদ তাতে আরো তেঁতে উঠলো। ওর হাতটি শক্ত করে ধরে সম্মুখে এগিয়ে এলো‌। চোখে চোখ রেখে আকুল কণ্ঠে শুধালো,

” কেন এভয়েড করছিস আমায়? কেন জ্ব!লন্ত বহ্নিতে দ গ্ধ করছিস এ হৃদয়? বল না রে। ”

সে আকুলতা কোমল হৃদয় স্পর্শ করতে সক্ষম হলো। অজান্তেই ছলছল করে উঠলো মায়াবী আঁখি যুগল। তবে সময়মতো নিজেকে ধাতস্থ করতে সক্ষম হলো তৃষা। হাত মোচড়াতে মোচড়াতে বললো,

” রাস্তাঘাটে সিন ক্রিয়েট করবেন না। ছাড়ুন আমাকে। ”

” ছাড়বো না। ”

দৃঢ় সে কণ্ঠস্বর। অসহায় চাহনিতে তাকিয়ে রইলো মেয়েটা। এ কি জ্বালায় পড়লো সে। করবে টা কি এবার?

চলবে.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here