#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৪৮
” ছেড়ে দিন না আমায়। ”
” সরি সোনা। এটা যে ইহকালে আমার দ্বারা সম্ভব নয়।”
কণ্ঠে তখন দৃঢ়তা। চোখেমুখে আকুল আকাঙ্ক্ষা! দিনের কথা স্মরণ করেই আবেগী হয়ে পড়লো তৃষা। উপুড় হয়ে বিছানায় শুয়ে মেয়েটি। বালিশে মুখ গুঁজে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
” এমনটা করবেন না নিশাদ ভাইয়া। ভুলে যান সবটা। ”
ভুলে যেতে বলছে। তবুও কেন সিক্ত অক্ষিকোল। কেন হাহাকার অনুভূত হচ্ছে অন্তরে? যন্ত্রণা হচ্ছে অন্তঃস্থলে? জানা নেই।
•
দিবাবসুর দীপ্তিতে উজ্জ্বল বসুন্ধরা। লিভিং রুমে সোফায় বসে আনোয়ারা বেগম। কথা বলছেন বড় কন্যার সঙ্গে। তখনই সেথায় ছুটে এলো দুই রমণী।
” নানুমনি! ”
ওনার কোলে মাথা এলিয়ে দিলো দুয়া এবং তৃষা। দু’জনের অধরে খুশির ছাপ। উনিও মুচকি হেসে দু’জনের মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিলেন।
” কেমন আছে আমার নানুভাইরা? ”
দুয়া নানুমনির হাতটা আঁকড়ে ধরে খুশিমনে বললো,
” আলহামদুলিল্লাহ্ খুউব ভালো আছি। তুমি কেমন আছো গো? ”
উনি হাসিমুখে বললেন,
” আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তবে আমার নানুভাই মনে হয় একটু বেশিই খুশি? কি ব্যাপার? বিয়ের ফুল ফুটেছে মনে? ”
র’ক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়লো মায়াবী চেহারায়। আনোয়ারা বেগম মুচকি হেসে ওর ললাটে চুমু এঁকে দিলেন।
” সুখী হও নানু। স্বামী, পরিবার নিয়ে আল্লাহ্’র রহমতে ভালো থাকো। ”
দুয়া নানুমনির কোলে মাথা রেখে শুলো। মৃদু স্বরে বললো,
” দোয়া করো নানুমনি। ”
এবার পাশ থেকে ফোঁড়ন কাটলো তৃষা।
” বলি আমি কি অদৃশ্য হয়ে গেছি? সামওয়ান পাত্তা মি প্লিজ।”
হেসে উঠলো সকলে। আনোয়ারা বেগম বললেন,
” তোমাকেও দোয়া করলাম নানু। শীঘ্রই এক রাজপুত্তুর এসে তোমাকে পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় করে নিয়ে যাক। ”
দুয়া দুষ্টুমি করে বললো,
” আর আপদ বিদায় হোক। ”
তৃষা ধপাধপ ওর পিঠে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিলো। নানুমনির উদ্দেশ্যে বললো,
” ও নানুমনি। দোয়া করলে ভালো করে করো। আদিম কালের দোয়া করছো কেন? এখন আর পঙ্খির যুগ নেই। আমার বর তো ফার্স্ট ক্লাস বাইক কিংবা বিএমডব্লিউ করে আসবে। ”
” জ্বি না। পায়ে হেঁটে আসবে। ” দুয়া মিটিমিটি হাসছে।
” দুয়া কি বাচ্চি! ” দাঁতে দাঁত চেপে রয়েছে তৃষা।
তাসলিমা মেয়ের কাঁধে চাপড়ে দিলেন।
” ভালো করে ডাক। ভাবী হয় তোর। ”
” উফ্ আম্মু। শুধু শুধু মা;রছো কেন? লাগে তো। ”
” লাগুক। ঠিক করে কথা বল। ”
” বলতাম না। ” মুখ ফুলিয়ে রেখেছে মেয়েটা।
দুয়া সশব্দে হেসে ওকে জড়িয়ে ধরলো। আদুরে কণ্ঠে নাটকীয় ভঙ্গিতে বললো,
” লাগ কলে না বেপ্পি। ও লে আমাল বাবুতা। ”
না চাইতেও ফিক করে হেসে উঠলো তৃষা। ভাবিকে জড়িয়ে বললো,
” লাগ কলিনি তো। খুদু পেয়েছে আম্মা। ”
দুয়া ওর বাহুতে আঘাত করে বললো,
” নটাঙ্কি! আমাকে ডিরেক্ট মা বানিয়ে দিলি? ”
দাঁত কেলিয়ে হাসলো তৃষা। মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
” তোকে তো আমি.. ”
ধাওয়া করলো দুয়া। হাসতে হাসতে ছুটলো তৃষা। সে দেখে হেসে উঠলেন মা-মেয়ে যুগল।
•
নিশুতি রাত। বিছানায় হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে বসে তূর্ণ। ওর বক্ষদেশে মিশে মেয়েটি। নিভানো কক্ষের আলো। আঁধারে ঘনিষ্ঠ রূপে বসে দু’জনে। মেয়েটির পৃষ্ঠ ঠেকে স্বামীর বক্ষে। তূর্ণ’র পেশিবহুল দু হাতে বেষ্টিত মাইরা’র কটি। মেয়েটির দৃষ্টি নিবদ্ধ সম্মুখে। সমতল বৃহৎ আকৃতির স্মার্ট টিভিতে। দুয়া’র হাতে রিমোট। দুয়া একের পর এক চ্যানেল পরিবর্তন করছে। খুঁজে বেড়াচ্ছে পছন্দসই প্রোগ্ৰাম। কিন্তু পেছনে থাকা মানব? সে ব্যস্ত দুষ্টুমিতে। কখনো দীঘল কেশে মুখ ডুবিয়ে ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে টেনে নিচ্ছে মা.তাল করা সুবাস! কখনোবা আলতো স্পর্শে ডান কাঁধ হতে সরিয়ে দিচ্ছে কেশগুচ্ছ। উন্মুখ কাঁধে অঙ্কন করে চলেছে ওষ্ঠ পরশ। শিহরণে আবিষ্ট মেয়েটি নিজেকে ছাড়াতে চেয়ে ব্যর্থ। বন্দী শক্তপোক্ত দু হাতের মধ্যিখানে। দুয়া শেষমেষ হাল ছেড়েই দিলো। মনযোগ দিলো টিভির পর্দায়। চ্যানেল পরিবর্তন করছিল হঠাৎ পেছন হতে বাঁধা এলো।
” অ্যাই! দাঁড়া দাঁড়া। ”
” হুঁ? ” চমকে উঠলো দুয়া!
” আরে আগের চ্যানেলটা দে। ”
” তা বলবে তো। শুধু শুধু ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে। অন্ধকারে এভাবে কেউ চেঁচায়? ভয় লাগে না বুঝি? ”
তূর্ণ দাঁত কেলিয়ে হাসলো। উদরে এক হাতে চাপ প্রয়োগ করে মৃদু স্বরে বললো,
” আমার বিবিজান তাহলে আমায় ভয় পায়? জানা ছিল না তো। ”
থতমত খেলো দুয়া। কি বলতে কি বলে ফেলেছে। সর্বনাশ। এ তো এখন থেকে সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে! কোনোমতে নিজেকে ধাতস্থ করে দুয়া বললো,
” ভ্ ভয়! কে ভয় পায়? অন্ধকারে ভুলভাল শুনছো নাকি? ”
” হা হা। আমি তো জানতাম পুতলা বলে একজন আমাকে বেশ ভয় পায়। পিচ্চি কালে দেখলেই পালাই পালাই করতো কিনা! ”
দুয়া আত্মরক্ষার ভঙ্গিতে বললো,
” তখন আমি ছোট ছিলাম। শিশু। অমন লম্বা খুঁটি দেখলে যেকোনো বাচ্চাই ভয় পাবে। কিশোর তো নয় যেন স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। ”
তূর্ণ ওকে শক্ত রূপে আবদ্ধ করে বললো,
” ওরে পাকনি। সাহস বেড়ে গেছে তাই না! তূর্ণ ভাইয়াকে এখন আর ভয় হয় না? ”
” ভয় পাবো কেন? তুমি কি এখন শুধুই তূর্ণ ভাইয়া? নও তো। বর হও আমার। আর ইতিহাস সাক্ষী দেয় পুরুষ মানুষ যতই সিংহ কিংবা বাঘ হোক না কেন… বেলাশেষে বউয়ের কাছে ভেজা বেড়াল। বুঝলে? ”
অজান্তেই অস্ফুট স্বরে ম্যাঁও করে উঠলো তূর্ণ। নাকমুখ কুঁচকে বললো,
” বে*দ্দপ মাইয়া। জামাইরে শেষমেষ ম্যাঁও? আমার সোনাবাবুরা তোরে গা.লমন্দ করবে। পাপ লাগবে রে পাপ। ভালা হয়ে যা। ”
ভেংচি কাটলো দুয়া। পাত্তা দিলো না এসব ছাইপাশে। তূর্ণ বলে উঠলো,
” আমাকে নাকি ভয় পায় না। মনে পড়ে গত মাসের কথা? ভার্সিটির কাজে আমি বেশ ডিস্টার্বড্ ছিলাম। মন মেজাজ বিগড়ে ছিল। তাই অজান্তে তোকে ছোট্ট বকা দিয়েছিলাম। তাতেই বিবিজান নাকের জল চোখের জল এক করে কাঁদা। ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। দু’দিন তো চোখের দেখাই পাওয়া যায়নি। তৃতীয় দিন গিয়ে কতগুলো চু মু ঘুষ দিয়ে মানাতে হয়েছিল। কি চতুর মেয়ে রে বাবা! চু মু চাই বললেই হয়। এজন্য এমন ভঙ ধরতে হয়? নট্টি গার্ল। ”
চোখমুখ নাচিয়ে শেষোক্ত কথাটা বললো তূর্ণ। দুয়া তো হতভম্ব-হতবাক! উদরে রাখা স্বামীর হাতে জোরসে চিমটি কেটে বললো,
” চাপাবাজ! তোমাকে তো চাপাবাজির জন্য নোবেল ছুঁড়ে দেয়া উচিত। কি পরিমান চাপা ছাড়লে! তোমার বুঝি পাপ লাগবে না? ”
ডান কপোলে ওষ্ঠ চেপে নেতিবাচক মাথা নাড়লো তূর্ণ। স্বামীর স্পর্শে শিউরে উঠলো মেয়েটি। আবেশে বুজে গেল অক্ষি পল্লব। অস্ফুট স্বরে বলল,
” কি করছো? ছাড়ো। ”
ছাড়লো না মানুষটি। বরং হাত বাড়িয়ে রিমোট নিয়ে বন্ধ করলো টিভি। আঁধারে নিমজ্জিত কক্ষে ঘন শ্বাসের আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে লাগলো। সুগভীর ছোঁয়া অঙ্কিত হতে লাগলো কোমল কায়ায়।
•
তূর্ণয়া’র বিবাহ বলে কথা! ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্য। ছোট থেকে বড় সকলেই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শপিং, ইনভিটিশেন প্রদান, কাজকর্ম আগেভাগেই সম্পাদন, ওয়েডিং প্লানারের সঙ্গে যোগাযোগ, ক্যাটারিং ব্যবস্থা আরো কত কি। সমস্ত প্রস্তুতি শেষে এলো কাঙ্ক্ষিত দিন।
আদিত্য’র কিরণে আলোকিত বসুন্ধরা। বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে সফেদ এ/সি বাস। তূর্ণ, জাবির এবং রিশাদ সমস্ত লাগেজ বাসে তুলছে। পরিবারের বাকি সদস্যরা একে একে বাসে উঠে পড়েছে। গ্রহণ করেছে নিজেদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন। খানিক বাদে তানজিনা জানালা গলিয়ে বাহিরে তাকালো। শুধালো,
” কি গো? তোমাদের হয়েছে? ভেতরে এসো। ড্রাইভার তাড়া দিচ্ছে। ”
ওর স্বামী রিশাদ জবাবে বললো,
” এই তো হয়ে গেছে। আসছি। ”
ওরা দ্রুত কর্ম সম্পাদন করে বাসে উঠে পড়লো। রিশাদ বসলো স্ত্রীর পাশে। জাবির জাহিনের পাশে। তূর্ণ আশপাশে চোখ বুলাতে বুলাতে খুঁজে পেল কাঙ্ক্ষিত মানবীকে। অধর প্রসারিত হলো তার। তবে তা শীঘ্রই মিলিয়েও গেল। ব্যস্ত কদম ফেলে বাঁ পাশের চতুর্থ সিটের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো সে। বোন এবং অর্ধাঙ্গী হা হা হি হি করতে ব্যস্ত। সে গলা খাঁকারি দিলো ওদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। সফল হলোও বটে। তৃষা ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
” আরে ভাইয়া? দাঁড়িয়ে কেন? গিয়ে বসো। বাস ছেড়ে দেবে তো। ”
” হাঁ সেটাই। ওঠ এবার। ”
” মানে? ”
” মানে টানে ছাড়। আমায় বসতে দে। ”
তৃষা দুয়া’র পানে তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। দুষ্টু হেসে বললো,
” আমি তো বসে পড়েছি। তুমি অন্য সিটে বসো। ”
” অসম্ভব। বউ ছাড়া বসে জার্নিতে ব্লাড প্রেশার হাই করতে পারবো না। ”
তৃষা অবাক হয়ে বললো,
” ব্লাড প্রেশার হাই হয়ে যাবে! কেন? ”
” কে বলতে পারে বাতাসে হয়তো আমার শুঁটকি বউটা ফুরুৎ করে উড়ে গেলে। তুইই বল বউ গেলে কি আর বউ আসবে? চিন্তায় চিন্তায় তো আমার দিশেহারা অবস্থা। শেষমেষ প্রেশার হাই হয়ে ফিট না খেয়ে বসি। ”
দুয়া গরম চোখে তাকালো। বেশরম পুরুষ কিসব উল্টোপাল্টা বলে চলেছে! এর মধ্যে কি লাজশরম এর
‘ ল ‘-ও নেই? তৃষা মিটিমিটি হাসছে। তখন ডান পাশের সামনের সিট হতে রিশাদ বলে উঠলো,
” শালি সাহেবা! সিটটা দ্রুত ছেড়ে দাও। শালা বাবু যেকোনো সময় চেতনা হারালো বলে। ”
তূর্ণ মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। সশব্দে হেসে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো তৃষা। ভাইকে নিজের যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়ে নিশি’র পাশে বসলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ধপ করে সঙ্গিনীর পাশে আসন গ্রহণ করলো তূর্ণ। দুয়া কটমট করে তাকিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। তাকালো বাহিরে। তূর্ণ বিড়বিড় করে সুরে সুরে বলতে লাগলো,
” রাগ করে না। লা লা লা লা। ”
.
ঢাকার ব্যস্ত সড়ক, যানবাহনের কোলাহল পেরিয়ে নীরবতায় অগ্রসর হচ্ছে বাস। জানালার ধারে বসে দুয়া। চক্ষু তার নিমীলিত। চোখেমুখে ছুঁয়ে যাচ্ছে শীতল পবন। পুলকিত হৃদয়ের অন্তঃস্থল। অধরে লেপ্টে খুশির ছোঁয়া। সে খুশিতে অংশীদার তূর্ণ। বিমুগ্ধ চাহনিতে পরখ করে চলেছে হালাল সঙ্গিনীকে। উচ্ছসিত হচ্ছে তার খুশিতে। চোখেমুখে অপার মুগ্ধতা বিরাজমান!
জাহিন নিজ আসনে বসে চিপস খাচ্ছে এবং বাইরের দৃশ্য দেখছে। কখনো কখনো এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে জাবির ভাইয়াকে। সে-ও খুশিমনে জবাব দিচ্ছে। তৃষা এবং নিশি তো পাশাপাশি বসে কত আলাপ করে চলেছে। ননস্টপ টকিং যারে বলে। সকলেই উপভোগ করছে এই ভ্রমণ। উত্তেজনা বিরাজ করছে শিরায় শিরায়।
.
তূর্ণ’র হাতে একটি কিটক্যাট চকোলেট। প্যাকেট ছিঁড়তে ছিঁড়তে কাউকে শুনিয়ে বলতে লাগলো,
” উম্! কিটক্যাট! বেশ ইয়াম্মি লাগছে! কেউ কি খাবে?”
প্রিয় চকোলেট এর নাম শুনেও সাড়া দিলো না দুয়া। তার ধ্যান জ্ঞান সবটাই বাহিরে। তূর্ণ দীর্ঘশ্বাস ফেললো। বউ ভালোই চেঁতিছে। এবার একে বাগে আনা মুশকিল। অন্তত সবার মাঝে। কেননা তার তো স্পেশাল আদুরে টোটকা রয়েছে। যা ব্যবহার করলেই সমস্ত রাগ অভিমান উধাও। তবে সবার মাঝে কি আর সেসব প্রয়োগ করা যায়? লজ্জা বলে কিছু আছে না? সে তো আর বেলাজ বেশরম নয়। সমস্যা নেই। একবার গন্তব্যে পৌঁছানো যাক। ওখানে আদরে সোহাগে মান অভিমান ভাঙানো যাবে। হুঁ। তাই আর বেশি ঘাঁটালো না সে। চুপচাপ ভ্রমণ উপভোগ করতে লাগলো।
কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হলো। অভিমানিনীর অভিমান আরো বৃদ্ধি পেলো। অর্ধাঙ্গের আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে ছলছল করে উঠলো নেত্রজোড়া।
চলবে.
[ তূর্ণয়া’র বিবাহে সকলে সাদরে আমন্ত্রিত! উপহার নিয়ে যথাসময়ে চলে আসবেন কিন্তু… ]