দাম্পত্য_জীবন #মেহু_আপু #পর্ব_১৯

0
237

#দাম্পত্য_জীবন
#মেহু_আপু
#পর্ব_১৯

পার্টি সবাই ইনজয় করছিলো। বক্সে একের পর এক হিন্দি/ইংলিশ গান চলছিলো। সবাই যার যার মতো ড্যান্স করতেছিলো। সবার পছন্দমতো ক্লোডড্রিংক ও কোমল পানীয় খাচ্ছিছিলো।

আকাশ তিন বউকে জুস দিলো। ঈশান, ইমরান একটু ক্লোড ড্রিংক নিলো!আকাশ জুস দেখলো একটাও নেই টেবিলে তাই সে জুস আনতে গেলো।

হামজা ঠিক এই সময়ে ক্লোড ড্রিংকসের সামনে এসে ক্লোড ড্রিংকস নেয়। আর আকাশের জন্য ওয়েট করতে থাকলো।

আকাশ জুস এনে রেখে দিয়ে নীলার কাছে যেতে চাইলো। হামজা তখন কোল্ড ড্রিংস হাতে দিয়ে বললো হবে না একটু খানি। আকাশ তখন মুচকি হাসি দিয়ে ক্লোড ড্রিংস খেতে লাগলো। হামজা ঠিক ওই সময়ে বেশ্যাকে ইশারা করলো। নেশায় বুদ রাখতে আকাশকে। বেশ্যা মানে শারমিন মেয়েটি আকাশের কাছে এসে আকাশকে আরো ক্লোড ড্রিংস দিলো। আকাশ ফর্মালিটির জন্য আবার খেয়ে নিলো।

এমন সময় হামজা ইচ্ছে করে নীলার গায়ে ড্রিংস ঢেলে দেয়।
সরি আমি ইচ্ছে করে করিনি নীলা।
ইট’স ওকে
ঈশান আর ইমরান হামজাকে নিয়ে আসলো ওখান থেকে এন্টারটেইনমেন্ট করো। হামজা আজকে,ঈশান আর ইমরানের মাতলিয়ে মাতলিয়ে বললো। তা দেখে উষশী, আর রিয়া বললো এই ছেলে গুলোকে এখান থেকে নিয়ে যেতে হবে নাহলে আজকে মাতাল হয়ে যাবে।

নীলা রিয়াকে বললো আকাশ কই?
ওইতো ভাইয়া ওখানে ড্রিংস করছে! নীলা বললো আমি ওয়াশরুমে যাচ্ছি, শাড়িটি পরিস্কার করে আসছি ততক্ষণে তোরা বেড়া।
নীলা ওয়াশরুমে চলে গেলো।

আকাশ ক্লোড ড্রিংস নিয়ে মাতাল হয়ে যায়। শারমিন হামজাকে ইশারা করে ডান। হামজা ইশারা করে রুমে নিয়ে যাও।
আকাশ মাতাল হয়ে গেছে চারবার ক্লোড ড্রিংস নিয়ে। শারমিনকে নীলা ভেবে বলছে আমি তোমাকে ভালোবাসি নীলা। শারমিন আকাশকে কাঁধে নিয়ে রুমে চলে যায়।

আকাশ মাতাল অবস্থায় সোফাতে বসে। শারমিন কে নীলা ভেবে বলছে আমি তোমাকে কাছে পেতে চাই নীলা। শারমিন মনে মনে বলে এতো পুরাই মাতাল। আমার মধ্যে তার স্ত্রী কে খুঁজছে। আমার কাজ হয়ে যাবে। আকাশ পুরাই মাতাল অবস্থা দাঁড়াতে পারছেনা। সোফা থেকে বলছে কাছে আসো নীলা। শারমিন নিজের শাড়ি বুকের উপর থেকে সড়িয়ে, আকাশকে নিজের কাছে টেনে নিলো। আকাশ পুরাই মাতাল নিজের শরীরে ভর করতে না পেরে শারমিনের উপর শুয়ে পড়ে।শারমিন উঠে আকাশের শার্ট খুলে দেয়। আকাশ আবার শারমিনকে বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি নীলা। শারমিন সুযোগ নিয়ে বুকের কাছে আকাশের মুখ লাগিয়ে দেয়। আকাশের কোনো জ্ঞান নেই শুধু একটা কথাই বলছে আমি তোমাকে ভালোবাসি। শারমিন মনে মনে বলছে এ কোন মাতাল রে ভাই কিছুই করছে ক্যান আমাকে। আমার যে করেই হোক টাকা পেতে হবে। তাই সে জোড় করে আকাশের ঠোঁটে চুমু দিতে লাগলো।

নীলা ওয়াশরুম থেকে আকাশকে না পেয়ে রিয়াকে বললো আকাশ কই। রিয়া বললো আমার কিছু ভালো লাগছে না। নীলাপু তুমি তাড়াতাড়ি আকাশ ভাইয়াকে নিয়া আসো। আমরা চলে যাবো। নীলা বললো আকাশ তো ক্লোড ড্রিংস নিচ্ছিলো।ওখানে তো দেখতে পারছি না রিয়া। রিয়া বললো দেখো হয়তো চারপাশে আছে। নীলা আকাশকে খুঁজতে লাগলো। ফোন দিলো।

শারমিন দেখলো আকাশের ফোন বাজছে। আকাশের ওয়াইফ ফোন দিছে। শারমিন আকাশের ফোন সাইলেন্ট করে দেয়। এরপরে আকাশকে উত্তেজিত করার জন্য আকাশের ঠোঁটে, মুখে,বুকে,ঘাড়ে সব জায়গায় কিস করলো। আকাশ নিজেকেই সামলাতে পারছেনা। রোমান্স করাতো দূর। শারমিন মনে মনে বললো কেনো যে ০৪ বার দিলাম। আগে যদি জানতাম যে অল্পতে কাহিল তাহলে এতো দিতাম না।

হামজা শারমিনকে ফোন দিলো। শারমিন আকাশকে সোফাতে শুয়ে দিয়ে ফোন ধরলো। হামজা বললো কাজ হলো। শারমিন বললো কিছুই তো হলো না মালটা ০৪ বার খেয়েই নেতিয়ে পড়ছে।

হামজা বললো তোমাকে কি আমি এসব করার কথা বলেছি। তুমি আর ও এমন অবস্থায় থাকো যেনো ওর স্ত্রী যেকোনো মূহূর্তে ঢুকে দেখতে পারে আকাশ তোমার সাথে ওসব করছো।

শারমিন বললো ঠিক আছে। ওর স্ত্রীকে জলদি পাঠাও। হামজা বললো ও খুঁজা শুরু করেছে তুমি তাড়াতাড়ি তোমার মিশন স্টার্ট করো।

শারমিন এরপরে নিজের শাড়ি খুলে সোফায় দুপা উঁচু করে আকাশকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে কিস করতে থাকলো।
আকাশ মাতাল অবস্থায় ঠোঁট মিলাচ্ছে শারমিনের সাথে।

এমন সময় ওই রুমে নীলা প্রবেশ করে। আকাশকে শারমিনের সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে।

শারমিন বলে কে আপনি দরজা নক করে ভিতরে ঢুকবেন না।
নীলা শুধু আকাশকে যেয়ে বলে এসব কি? আমি থাকতে তুমি কার সাথে ইন্টিমেন্ট হচ্ছো।

আকাশ শুধু মাতাল অবস্থায় বলতে থাকে আমি তোমাকে ভালোবাসি নীলা। এই কথাটি বলার সাথে সাথেই পড়ে যেতে লাগলো। শারমিন ধরে নিয়ে বললো আমিয়ো তোমাকে খুব ভালোবাসি আকাশ।আগে কতো আমরা ইন্টিমেন্ট হতাম কিন্তু বিয়ের পর তুমি আমাকে পর করে দিছিলা। আজকে আমি অনেক খুশি। বলেই নীলার সামনে লিপ কিস করলো।

নীলা বললো ছি! আকাশ ছি!
শারমিন বললো ভালোবাসার মূহুর্তে তৃতীয় ব্যাক্তি থাকতে নেই।

নীলা এবার রেগে যেয়ে শারমিনকে চড় দেয়। ফালতু মেয়ে অন্যর স্বামীকে নিয়ে এসব কি হচ্ছে। আবার বলছেন তৃতীয় ব্যাক্তি আমি।
আকাশ মাতাল অবস্থায় খালি বলছে ভালোবাসি নীলা তোমাকে 😐

শারমিন বললো দেখেন অনি নিজ মুখেই আমাকে ভালোবাসার কথা বলছে।

নীলা এ কথা শুনামাত্রই আবার শারমিনের গালে চড় দেয়।

তারপরে আকাশকে ধরে নিয়ে বলে ও আমার স্বামী। এরপরে আকাশকে সোফায় বসায়। তারপরে শার্ট পড়িয়ে দেয়।

শারমিন বললো আপনি কাজটা কিন্তু ভালো করলেন না।
আবার চড় খেতে চাও, যদি চড় খেতে না চাও সত্যি কথাটা বলে দাও। কে তোমাকে এখানে পাঠাইছে?

কে আবার আমাকে এখানে পাঠাবে।আপনার স্বামী আমাকে ডেকেছে।

আকাশ যে তোমাকে এখানে ঢেকেছে,তার প্রমান কি? নিশ্চয় ফোন করে ডেকেছে। তা দেখি আকাশ তোমাকে কয়বার ডায়াল করেছে?

সেতো আমাকে ফোন করে ডাকে নাই।আমি তার অফিসের ডিজাইনার। পার্টি থেকে আমাকে এই রুমে ডেকে নিয়ে এসেছে।
তুমি যে এই অফিসের ডিজাইনার তার প্রমাণ কি? তোমার আইডি কার্ড কোথায়?

ইয়ে মানে ম্যাডাম ওটাতো আবার ব্যাগে _____ আমতা আমতা করতে থাকে

তোমার নাম কি?
শারমিন বললো শারমিন ____

নীলা বললো আমি ছোট বাচ্চা না বুঝলা, আমার স্বামীকে দেখেই টের পেয়েছি। ও নেশায় বুদ হয়ে আছে। ও যে এখানে এসেছে তাও জানে না। ও যদি জানতো কখনো মাতাল অবস্থায় আমার আমার নাম নিতোনা। ও আমাকে ভালোবাসার কথা বলছে তোমাকে না। কারণ আমি নীলা তুমি না। যে ছেলেটা ভালোমতে দাঁড়াতে পারছে না সে নাকি তোমার সাথে ইন্টিমেন্ট হবে এ কথাও আমাকে বিশ্বাস করতে হবে। এখন যদি নিজের ভালো চাও তাহলে সবটা স্বীকার করো।

শারমিন কাপড় ঠিক করে পালানোর চেষ্টা করে।
নীলা শক্ত করে শারমিনের হাত ধরে নেয়।

আমাকে ছেড়ে দিন আমি চলে যাবো।
তোমাকে ছাড়বো ক্যান? তুমি আমার সুচরিত্রবান স্বামীর নামে কলঙ্ক রটানোর চেষ্টা করছো। আমি তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবো। সবটা স্বীকার করো নাহলে পুলিশে দিবো তোমাকে।

শারমিন বললো দেখুন আমি এসব করতে চাই নাই। আমাকে এ কাজের বিনিময়ে 5 লাখ টাকা দেওয়া হবে। আমি টাকার জন্য এসব করছি। কারণ আমি একজন বেশ্যা। পেটের দায়ে হয়েছি বেশ্যা।

টাকার জন্য তুমি যে এসব কাজ করো এগুলা কি পাপ নয়।

খেতে না পারলে বাচবো কি করে? আমাকে কেউ কাজ দিতে চায় না কারণ আমি অশিক্ষিত। ছোটথেকে অনাথ আমি। তাই বেচে থাকার লড়াইয়ে এ পেশা বেছে নিছি।

আমি তোমাকে এ জীবন থেকে মুক্তি দিবো শারমিন।
কিভাবে দিবেন মুক্তি ম্যাডাম?

আমি কথা দিলাম তোমাকে পাপের জগত থেকে বের করবো। তুমি এখন বলো আমার স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কে?
সে আপনাদের নিকট আত্মীয় হতে পারে । আমি তাকে চিনি না? সে শুধু এই কাজের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা উপহার করছে। তাই আমি রাজি হয়ে গেছিলাম।

তার নামটা কি একবারো শুনো নাই?
হুম তার নাম হামজা!
নীলা বললো আগে থেকেই জানতাম এটা ওরই কাজ।
শারমিন বললো ম্যাডাম এবার আমাকে ছেড়ে দিন।
নীলা বললো তোমাকে এক সত্ত্বেও ছাড়তে পারি। তুমি এখন গাড়ি করে আমার জামাইকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে যাবা। বাকিটা আমি দেখে নিবো।

দেখুন ম্যাম আমাকে ছেড়ে দিয়েন কিন্তু।
নীলা বলে কিছু হবে না তোমার ভরসা রাখো। এরপরে নীলা আকাশকে নিয়ে দুই নম্বর গেইট দিয়ে ড্রাইভার দিয়ে শারমিনকে সহ চৌধুরী ম্যানশনে পাটায়।

নীলা পার্টিতে চলে আসলো। তা দেখে রিয়া বললো কিরে এতক্ষণ কই ছিলি আকাশ ভাইয়া কই?

নীলাকে দেখে হামজা মনে মনে ভাবলো কি হলো ব্যাপারটা। নীলা কি আকাশের কনফারেন্স রুমটায় যায় নাই? তা দেখে শারমিন কে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন সুইচ অফ বলে😐

নীলা বললো উষশী ভাবী রিয়া, ইমরান, হামজা ও ঈশান ভাই চলো তাড়াতাড়ি বাবা আমাদেরকে এক্ষুনি বাড়ি যেতে বলছে।

তা শুনে হামজা বললো কিসের জন্য যেতে বলছে। আর আকাশ কোথায়?

নীলা বললো কিসের জন্য যেতে বলছে আমাদের, তাতো জানিনা। তবে আকাশের নাম নেয়নি। হয়তো ও ওয়াশরুমে গেছে। ওকে আমি টেক্সট করতেছি ও একাই চলে আসবে। জরুরি তলব বলে কথা।
ঈশান বললো হুম চলো সবাই।

হামজা মনে মনে বললো ধ্যাত কি করতে চাইলাম আর কি হলো? ভেবেছিলাম আকাশকে ইন্টিমেন্ট হতে দেখলে অন্য কারো সাথে নীলা কষ্টে ক্ষোভে আকাশ কে ছেড়ে চলে যাবে। আর আকাশ ভালোবাসার মানুষ কে হারানোর জন্য পাগলামী করবে। ওই সুযোগে আমি আকাশের চেয়ারে বসবো। আশা আশাই রয়ে গেলো। এই শারমিন কোনো কাজের না। এখন ফোনটাও সুইচ অফ করে রাখছে। বেশ্যা বলে কথা, এখন রস খোসাচ্ছে হয়তো হ্যান্ডস্যাম ছেলে দেখে । কাকে দিলাম এতো টাকা।

নীলা বললো এই হামজা কি ভাবছো এতো। জ্বলদি চলো জরুরি তলব।

হামজা বললো হুম যাচ্ছি।

সবাই রওনা দিলো চৌধুরীর ম্যানশনে।

চলবে,,,

[আসসালামু আলাইকুম, পাঠকগণ আপনারা বলেন গল্পটা কি শেষ করবো নাকি আরো কিছু পর্ব বাড়াবো। আপনাদের সিদ্ধান্তে গল্পটা নির্ভর করতেছে। কারণ রিচ পাচ্ছি না সেভাবে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here