#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৪৯
” হোয়াট! আর ইয়্যু গাইজ জোকিং? ”
” না আব্বা। আমরা ঠিকই বলছি। ”
হতবিহ্বল তূর্ণ! গণ্ডস্থল শুকিয়ে কাঠ। এসব কি বলছে তারা? এ যে অসম্ভব! হতেই পারে না। তূর্ণ শুকনো ঢোক গিলে অসহায় কণ্ঠে বললো,
” আম্মু। এমন বলো না। আমি, দুয়া.. না না। তোমরা একটু বোঝার চেষ্টা করো। ”
তাসলিমা দ্বিমত পোষণ করে বললেন,
” না আব্বা। বিয়ের আগ পর্যন্ত এটাই ফাইনাল কথা। ঠিক আছে? আশা করি আমার বুঝদার ছেলেটা বুঝবে। হুম? ”
মিটিমিটি হাসছে সকলে। শুধুমাত্র মলিন কপোত- কপোতীর বদন। তৃষা টুপ করে ভাবির হাতটা ধরলো। খুশিমনে অগ্রসর হতে লাগলো তাদের রুমের পানে। হাঁটার তালে পিছু ঘুরে তাকালো দুয়া। ম্লান দু জোড়া নয়ন মিলিত হলো। দু’জনের চোখেমুখেই বেদনার ছাপ! আকুলতা! তবে কিছু করার নেই। স্বল্প সময়ের মধ্যেই দৃষ্টি সীমার বাহিরে চলে গেল দুয়া। পরবর্তীতে বাকিরাও প্রস্থান করলো নিজ কক্ষের উদ্দেশ্যে। রিসোর্টের রিসিপশনে একাকী রয়ে গেল তূর্ণ। দাঁতে দাঁত চেপে আওড়ালো,
” শিট! ”
.
বরাদ্দকৃত কক্ষের বিছানায় বসে দুয়া। সম্মুখে থাকা রমণী হাসতে হাসতে কুপোকাত। হাসির দমকে কথা আঁটকে যাচ্ছে।
” বেবি রে! ভাইয়া আমার শোকে দুঃখে বিয়ের আগেই দেবদাস। এখন টালমাটাল হয়ে ঘুরে না বেড়ায়। হা হা হা। ইতিহাস হয়ে যাবে রে। সাক্ষী রইবে এ গাজীপুর বাসী। ”
দুয়া সরু চোখে তাকালো। মৃদু স্বরে শুধালো,
” তুই আগে থেকেই জানতি? ”
তৃষা কোনোমতে হাসি থামাতে সক্ষম হলো। এগিয়ে এসে বসলো দুয়া’র ডান পার্শ্বে। ঘন শ্বাস ফেলে বললো,
” সে টুকটাক জানতাম। তবে আম্মু যে আজ এভাবে ক্লিন বোল্ড করে দেবে ভাবিনি। সত্যি। আম্মু পারেও বটে। ভাইয়ার মুখটা কিন্তু দেখার মতো হয়েছিল। ”
আফসোস প্রকাশ করে,
” আহা রে ভাই আমার! বিবাহ পর্যন্ত বউ ছাড়া একাকী রাত্রি যাপন করতে হবে। ইশ্! কাটেনা যে বেলা। একাকী একেলা। ভালোবাসায় এ কি জ্বালা! উঁহু হুঁ। ”
দুয়া তেঁতে উঠে ওর বাঁ বাহুতে আঘাত করলো।
” তুই থামবি? ”
” আহা গো? জামাইয়ের বিরহে দু ক্কু হচ্ছে? জামাই যাবে? ”
দুয়া আর’ক্ত মুখে মেকি বিরক্তি প্রকাশ করলো।
” অ্যাই থাম তো। এতটা পথ জার্নি করে এসেছি। আ’ম টায়ার্ড। ”
” আচ্ছা! ভাইজানের কাছে থাকলে ঠিক অ্যানার্জি বুস্টার পাইয়া যাইতা। তাই না? ” ভ্রু নাচিয়ে চলেছে তৃষা।
দুয়া কোনোমতে চেহারার লালিমা লুকিয়ে উঠে দাঁড়ালো। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে মৃদু স্বরে বললো,
” ফ্রেশ হয়ে আয়। একসাথে বের হবো। ”
নিঃশব্দে হাসতে লাগলো তৃষা। আহা রে! বিরহে কাতর দু’জনা! কি যে হবে এদের?
.
নিজস্ব কক্ষে লাগেজ হতে পোশাকআশাক বের করছেন তাসলিমা। বিছানায় বসে নিজাম সাহেব। উনি স্ত্রীর পানে তাকিয়ে বললেন,
” লিমা! ”
” হুঁ বলো। ”
” বলছি যে, ওদের দুজনকে তো আলাদা করে দিলে। কাজটা কি ঠিক হলো? আফটার অল বিয়ের আগ আগ মুহূর্ত। এসময়ে দু’জনে কাছাকাছি থাকবে। একে অপরকে জানবে। সুন্দর সময় কাটাবে। তুমি উল্টো আলাদা করে দিলে? ”
তাসলিমা হাসিমুখে স্বামীর দিকে তাকালেন। বললেন,
” কাছে থাকলে অপর পাশে থাকা মানুষটির মর্ম পুরোপুরি বোঝা যায় না। কখনো কখনো সাময়িক দূরত্বে ভালোবাসা আরো গাঢ় হয়। মজবুত হয়। আপাতত দু’জনে সাময়িক দূরত্বে থাকুক। ইনশাআল্লাহ্ বিয়ের পর সবটা উসুল হয়ে যাবে। দু’জনের ভালোবাসা আরো মজবুত হবে। ”
হেসে উঠলেন নিজাম সাহেব।
” এটা অবশ্য মন্দ বলোনি। তবে আমি চিনি তো তূর্ণ’কে। আমার ছেলে কিনা? ঠিক ইনিয়েবিনিয়ে বউ অবধি পৌঁছে যাবে। এত দূরত্ব মানবে না। ”
” ইশ্ থামবে তুমি? বাবা হয়ে কিসব বলছো? ছেলেটাও হয়েছে তোমার মতো। নির্লজ্জ। ”
নিজাম সাহেব অবাক হওয়ার ভান করে বললেন,
” কি বললে! আমি নির্লজ্জ? তুমি জানো সবাই আমাকে এক নামে লাজুক হিসেবে জানে। ”
তাসলিমা পোশাক গুছিয়ে রাখতে রাখতে বললেন,
” হুহ্! চাপা। লোকে তো আর ঘরের খবর জানে না। বুঝবে কি করে তোমার লজ্জা আছে কি নেই। ”
” এমন করে বলো না মিসেস। বুকে লাগে গো। ”
বুকে হাত রেখে নাটুকে ভঙ্গিতে বললেন নিজাম সাহেব। তাসলিমা মৃদু লজ্জালু হেসে বললেন,
” বুড়ো বয়সে যতসব ভীমরতি! ”
শব্দ করে হেসে উঠলেন নিজাম সাহেব। তাসলিমাও নিঃশব্দে হাসলেন।
.
তমসায় আবৃত ধরিত্রী। হিমাংশু’র দ্যুতি ছড়িয়ে চারিদিকে। মৃদু পবনে নৃত্যরত বৃক্ষপত্র। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে তূর্ণ। দৃষ্টি নিবদ্ধ বাহিরে। বৃক্ষপত্রের নৃত্যে নিবদ্ধ আঁখি যুগল। মনে জমেছে তুলোর ন্যায় ঘন কালো মেঘ। এই আঁধার রজনীর ন্যায় সে কালো মেঘ। নিস্তব্ধতায় আচ্ছাদিত মানসলোক। চোখেমুখে উদাসীন ভাব। বিছানায় শুয়ে থাকা মানব মোবাইল স্ক্রল করতে করতে তা লক্ষ্য করলো। ডেকে উঠলো সহসা,
” ভাইয়া? ”
ধ্যান ভঙ্গ হলো। পিছু ঘুরে তাকালো তূর্ণ। অতঃপর বাহিরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বললো,
” বল। ”
মিহাদ বললো, ” ভাইয়া আর কত কবির সিং হয়ে ঘুরবে? এবার তো এসো। ঘুমাবে না? ”
” ঘুম আসছে না রে। তুই ঘুমা। ”
” তুমি জেগে থাকবে। আমি একা ঘুমাবো। তা কি করে হয়। এসো। ঘুমাও। এমন ছ্যা কা খাওয়া পাবলিকের মতো ঘুরো না। ”
তূর্ণ তেঁতে উঠলো এবার। পিছু ঘুরে বললো,
” ব্যা টা রা*মছাগল। সিঙ্গেল হয়ে মিঙ্গেলের দুঃখ বুঝবি কি করে? বিবাহিত পুরুষের জন্য বউ ছাড়া ঘুমানো
অ;ভিশপ্ত। কাঁটায় আচ্ছাদিত বিছানায় ঘুমানোর মতো। বুঝেছিস? ”
ভ্যাবাচাকা খেল মিহাদ। বুকে পড়ে রইলো মোবাইল। বিবাহিত ভাইয়ের দুঃখে তার চি!ক্কুর দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এত দুঃখ! শেষমেষ অ;ভিশাপ! আহা রে! আকাশে বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে ভারতবর্ষ কাঁপানো ছ্যা’কার গান,
” হামারি আধুরি কাহানি। ”
•
পরেরদিন সকালবেলা। ভানু’র কিরণে আলোকিত বসুন্ধরা। তৃষা কক্ষ হতে বের হলো। ঠিক সে মুহূর্তে চুপিসারে আগমন হলো দেবদাস ওরফে প্রেমিক পুরুষের। চুপিচুপি গন্তব্যে পৌঁছে বিশ্বজয়ী হাসি দিলো। আস্তে করে আঁটকে দিলো দ্বার। বদ্ধ ওয়াশরুমের দ্বারে তাকিয়ে বসলো বিছানায়। অপেক্ষায় আকাঙ্ক্ষিত রমণীর। বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। খট করে উন্মুক্ত হলো দ্বার। ভেজা চুলে তোয়ালে চালনা করতে করতে বেরিয়ে এলো দুয়া। পড়নে তার মেরুন রঙা থ্রিপিস। ওড়না বিহীন সদ্য স্নাতা রমণী! তোয়ালের অন্তরালে লুকায়িত চেহারার একাংশ। সম্মোহিতের ন্যায় বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো তূর্ণ। অবর্ণনীয় ঘোর লেগে গেল অক্ষি জোড়ায়। আস্তে ধীরে অগ্রসর হতে লাগলো সে। সহসা কারোর উপস্থিতি অনুভব করে সম্মুখে তাকালো দুয়া। স্তব্ধ হলো অনাকাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে দেখে। বড় হলো মায়াবী আঁখি যুগল। থেমে গেল চলন্ত হাত।
” ত্ তুমি! ”
কিচ্ছুটি বললো না তূর্ণ। নিঃশব্দ পদচারণায় এগিয়ে এলো। দাঁড়ালো মাইরা’র সন্নিকটে। দু জোড়া তৃষ্ণার্ত নয়ন মিলিত হলো। স্বস্তি মিললো হৃদয়ে। তৃপ্ত হলো অন্তঃস্থল। দুয়া মুগ্ধ নয়নে স্বামীর পানে তাকিয়ে। পুরো দশ ঘণ্টা বাদে মানুষটির সনে সাক্ষাৎ। এই দশটি ঘন্টা যেন দশ বছরসম ছিল। কাটছিল না সময়। অস্থিরতা গ্রাস করে ফেললো করুণ ভাবে। বিছানায় বারবার এদিক ওদিক করছিল। আসছিল না শান্তির নিদ্রা। এ মানুষটি বিহীন সে যে রাত্রি যাপন করতে অভ্যস্ত নয়। বিবাহ পরবর্তী বিগত প্রায় এক বছর দু’জনে একসঙ্গে কাটিয়েছে। হাতে গোনা মাত্র কয়েক রাত্রি কেটেছিল আলাদা। এছাড়া প্রতি রাতে শয্যা সঙ্গী ছিল মানুষটি। সে বিহীন রাত্রি যাপন যেন দুষ্কর। কষ্টকর। যেমনটি ছিল বিগত রাত। ঘোর কেটে গেল দুয়া’র। নিজেকে আবিষ্কার করলো একান্ত জনের বক্ষদেশে। লাজুক আভা ফুটে উঠলো মায়াবী মুখে। হাত খসে পড়ে গেল তোয়ালে। তৃপ্তির হাসি অধরে লেপ্টে মেয়েটিও কোমল দু হাতে স্বামীর পৃষ্ঠদেশ আঁকড়ে ধরলো। বাহুবন্ধনে অতিবাহিত হলো অগণ্য মুহূর্ত। নিমীলিত হলো দু’জনার আঁখি পল্লব। সিক্ত কেশে মুখ ডুবিয়ে দিলো তূর্ণ। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে টেনে নিতে লাগলো প্রিয় মা*দকতায় আচ্ছন্ন সুবাস! শক্ত হাতটি আরো ডেবে গেল পৃষ্ঠে। মেয়েটির কর্ণ কুহরে পৌঁছালো সম্মোহনী স্বর,
” আই মিসড্ ইউ বিবিজান! ”
লালাভ আভা দু কপোলে লেপ্টে গেল। ইচ্ছে স্বত্ত্বেও নিজের মনোভাব ব্যক্ত করতে পারলো না মেয়েটি। শুধু আরো নিভৃতে আঁকড়ে ধরলো। তাতেই যেন অব্যক্ত ভালোবাসা খুঁজে পেল মানুষটি।
.
‘ সারাহ রিসোর্ট গাজীপুর ‘. নীলাভ জল ধারণকৃত গোলাকার একটি সুইমিং পুল। তার অপর পাশে কয়েক তলার রিসোর্ট। আশপাশে অসংখ্য বৃক্ষরাজি। পাখপাখালির গুঞ্জনে মাতোয়ারা দেহমন। সুইমিং পুলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তৃষা। হাতে মোবাইল। একের পর এক সেলফি তুলে চলেছে মেয়েটি। নিজেকে দেখে নিজেই নতুন করে প্রেমে পড়ছে। হঠাৎ কর্ণ কুহরে পৌঁছালো সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কণ্ঠ,
” বেবি গার্ল সাবধান। পড়ে যাবে তো। ”
সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত কণ্ঠে মেয়েটা সত্যিই পুলে ডুবে যেতো। যদি না সময়মতো বলিষ্ঠদেহী মানুষটি আঁকড়ে ধরতো। ভীত সন্ত্রস্ত মেয়েটির ঘন শ্বাস পড়ছে। ওঠানামা করছে বক্ষস্থল। বেশ ভয় পেয়েছে। ওকে সযতনে আগলে পাশের সিটিং এরিয়ায় বসালো নিশাদ। স্বল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে এলো ওয়াটার বটল নিয়ে। হাঁটু গেড়ে সম্মুখে বসলো। বোতলের ছিপি খুলে এগিয়ে দিলো তৃষার পানে। তৃষা দ্রুত পানি পান করলো। আস্তে ধীরে একটু স্বাভাবিক হলো। নিশাদ বোতল হাতে নিয়ে বিচলিত স্বরে শুধালো,
” আর ইয়্যু ওকে? ”
তৃষা অসন্তুষ্ট কণ্ঠে বললো, ” আপনি? আপনি এখানে কি করছেন? আর উল্টোপাল্টা কিসব বলছিলেন? কে বেবি গার্ল? ”
” কেন? তুই। আমার ওয়ান অ্যান্ড অনলি বেবি গার্ল। ” বাচ্চা ফেস করে বললো নিশাদ।
তৃষা দু’চোখ বন্ধ করে নিজেকে শান্ত করলো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালো। বললো,
” এসব বাজে কথা বলবেন না। কেউ শুনলে মন্দ বলবে। ”
উঠে দাঁড়ালো নিশাদ। দায়সারা ভাবে বললো,
” তাতে কার কি এসে যায়? লোকের কাজ বলা। এখন মন্দ বলবে না ভালো সেটা তাদের বিষয়। ”
” আপনি এমন করছেন কেন? অবুঝ তো নন। একজন ওয়েল এস্টাবলিসড্ বুঝদার মানুষ। তাহলে কেন ছেলেমানুষী করছেন? ”
মধুরতম জবাব, ” শুধু তোমারই জন্য। ”
তৃষা দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। মৃদু স্বরে বললো,
” পা*গলামি বন্ধ করে আগের মতো সভ্য হয়ে যান। এতেই সকলের মঙ্গল। ”
সেথা হতে প্রস্থান করলো তৃষা। নিশাদ একাকী আওড়ালো,
” তা তো সম্ভব নয় সোনা। তোমায় ভালোবাসার পূর্বে যেমন তোমার অনুমতি নেইনি। তেমনিভাবে তোমার কথায় ভালোবাসা বন্ধ করতেও পারবো না। অ্যান্ড আ’ম নট সরি ফর দ্যাট। ”
দূর হতে এমন মুহূর্তের স্বল্প সাক্ষী হলো একজন।
.
তূর্ণ এবং দুয়া’র বন্ধুমহল চলে এসেছে। আর মাত্র ছয়দিন। অতঃপর তূর্ণয়া’র বিবাহ। ওয়েডিং ডেস্টিনেশন নির্বাচন করা হয়েছে গাজীপুরের এই নান্দনিক সৌন্দর্যের অধিকারী রিসোর্টটি। এখানেই তূর্ণ, দুয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে। সে-ই উপলক্ষে পুরো রিসোর্ট বুক করা হয়েছে। বন্ধুমহল, দূর হতে আগত নিকট আত্মীয় বিবাহ পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবে। সে ব্যবস্থা ই করা হয়েছে। যদিওবা খরচ হচ্ছে বেশ। তবে একমাত্র পুত্রের বিয়েতে নিজাম সাহেব খরচ করতে মোটেও কার্পণ্য করছেন না। মুক্ত হস্তে খরচ করছেন।
চলবে.