তিক্ত_বুকের_বাঁপাশ #ফিজা_সিদ্দিকী #পর্ব_৯(প্রণয়োন্মেষ)

0
486

#তিক্ত_বুকের_বাঁপাশ
#ফিজা_সিদ্দিকী
#পর্ব_৯(প্রণয়োন্মেষ)

“আমাকে উন্মাদ বানিয়ে ছুটে পালানোর কোনো উপায় যে তোমার নেই নম্র। যেভাবে ধিকে ধিকে উন্মাদনায় ডুবিয়েছ, সেভাবে উন্মত্ততা সহ্য করতে পারলেই হয়।”

লাজুক অথচ অভিমানী দৃষ্টিতে পিছনে ফেরে নম্রমিতা। হুট করেই আগের রফিদকে দেখে তারও ডুবে যেতে ইচ্ছে করছে উন্মাদনায়। উষ্ণ সিক্ত ওষ্ঠে লোহুলুহান করতে মন চাইছে। কিন্তু অভিমানি মন আর বিবেকের কাছে পরাজিত ইচ্ছেশক্তি। চাইলেও হুট করে ধরা দিতে পারছেনা। ইতিমধ্যে একজোড়া শীতল হাত ছুঁয়েছে উষ্ণ কোমর। কেঁপে ওঠে নম্রমিতা। হৃদপিণ্ডের গতি চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েই চলেছে। নেতিয়ে পড়া অনুভুতিগুলো যেনো ক্রমে সজাগ হয়ে উঠছে। শিরশিরে অনুভূতিতে ডুবে যাচ্ছে নম্রমিতা। নিঃশ্বাসও ওঠানামা করছে দ্রুত। রাফিদ আরও খানিকটা এগিয়ে খরখরে ওষ্ঠ ঠেকালো নম্রমিতার কানে। গভীর এক চুমু শেষে নম্রমিতাকে ঘোরালো নিজের দিকে। নম্রমিতা খানিকটা সময়ের জন্য চোখ তুলে তাকালো রাফিদের দিকে। নাহ! বেশিক্ষণ তাকাতে পারলোনা। ওই চোখের মাঝে আজ মাদকতার সমুদ্র নিমজ্জিত। কয়েক মুহূর্ত তাকালেই সেও ডুবে যাবে বিশাল এক মাদকতায়।

রাফিদ অনেকটা সময় নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলো নম্রমিতাকে। এতদিন শুধু লুকিয়ে দেখেছে। আজ সম্মুখে কাছাকাছি চোখে চোখ রেখে দেখছে। চোখের নিচে কাজলের মাঝে চাপা পড়া ডার্ক সার্কেল থেকে শুরু করে সদ্য গজিয়ে ওঠা পিম্পল, সবই অনিমেষ দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছে। অতঃপর দুই চোখের পল্লবে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ঠোঁট ছোঁয়ালো। নম্রমিতার ঠোঁটের একেবারে কাছে ঠোঁট এনে বিড়বিড়িয়ে বলে উঠলো,

“নম্রের নম্রতা নয় বরং ঔদ্ধত্যতা আমার বড্ডো প্রিয়।”

কথার তালে তালে ছুঁয়ে যাওয়া ওষ্ঠ শিহরণে ডুবিয়ে রেখেছে নম্রমিতাকে। দুই চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে শুধু সে। হাতের মুঠোয় খামচে ধরা শাড়ির ভাঁজ। হাসে রাফিদ। ঠোঁটের কোণে ভীড় জমিয়েছে দুষ্টুমিরা। পরক্ষনেই নম্রমিতাকে রেখে রাফিদ ঢুকে পড়ে ওয়াশরুমে। হাঁফ ছেড়ে বাঁচে নম্রমিতা। এক হাত বুকে রেখে জোরে জোরে শ্বাস টেনে নেয় নিজের ভেতর। রাফিদের মাঝের এ আমুল পরিবর্তনের কিছুই বোধগম্য হচ্ছেনা তার। হঠাৎ করেই দমকা হাওয়ার মতো শিহরন জাগিয়ে চলে গেলো সে। আসলেই রাফিদের উন্মত্ততা সহ্য করতে পারবে তো সে! ভাবনার মাঝেই লাজে রঞ্জিত মুখ দুইহাতে ঢেকে ফেলে।

রাতে কিচেনের সব কাজ গুছিয়ে রুমে আসে নম্রমিতা। চোরা চোখে একপলক তাকায় রাফিদের দিকে। ম্লান আলোয় আবছা অবয়ব ফুটে উঠেছে রাফিদের। সম্ভবত গভীর ঘুমে সে। কিঞ্চিৎ মন খারাপ হয় নম্রমিতার। একটু কি অপেক্ষা করা যেতনা তার জন্য! পরক্ষণে নিজের ভাবনায় নিজেই হাসে সে। হাল্কা হেসে বিছানার দিকে যেতেই স্পষ্ট হয় রাফিদের মুখ। পাশে তাকাতেই হতবাক নম্রমিতা। মাঝের কোলবালিশের কোনো অস্তিত্ব নেই আজ। কিঞ্চিৎ লাজুক আভা ফুটে ওঠে নম্রমিতার গালে। অতঃপর রাফিদের দিকে পিঠ করে বিছানার একদম কিনারা ঘেঁষে শুয়ে পড়ে নম্রমিতা। মনের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে অদ্ভুত এক দোলাচল। নিজেকে শান্ত রাখা বড্ডো দায় হয়ে পড়ছে। চোখ বুঁজলেই কিছুক্ষণ আগের ঘটনাগুলো দৃশ্যের ন্যায় ধরা দিচ্ছে দৃষ্টিপটে। ঠোঁট কামড়ে হাসে নম্রমিতা। মনের মাঝে উদ্ভুত হয় ক্ষীণ আশার আলো। ভাবনার মাঝেই মাত্র চোখ লেগে এসেছিলো নম্রমিতার। অকস্মাৎ উষ্ণ ছোঁয়ায় চট করে চোখ খুলে ফেলে সে। বুকটা হাপরের মতো ওঠানামা করছে। পিঠের খোলা অংশে হতে ঠোঁট ছুঁইয়ে গলায় মুখ ডুবিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে শুয়ে আছে রাফিদ। একহাতে কোমর জড়িয়ে রেখে মেতে উঠেছে সে নিদ্রায়।

“অনেক রাত হয়েছে।”

“তো! আদর চাই!”

“ঘুমাবো”

“ঘুমাও”

“এভাবে!”

“অভ্যাস করে নাও।”

“পারবোনা। বেডে ঘুমাও।”

“বউ থাকতে বেড কেনো? বেড তো শক্ত।”

কথার পিঠে কথা বলার মতো আর কিছু খুঁজে পায়না নম্রমিতা। অগত্যা চুপ করে সহ্য করতে থাকে রাফিদের আদুরে অত্যাচার।

১০.

বেশ খানিকটা বিরক্তিকর চেহারা নিয়ে কলেজে প্রবেশ করে তোহা। আজকের প্রথম ক্লাস সে মিস করেছে। মূলত এ কারণেই যতো বিরক্তি তার। পড়াশোনার ব্যাপারে যথেষ্ট সিরিয়াস না হলেও একেবারে গা ছাড়া ভাবও তার নয়। মাঝের দিকের স্টুডেন্টের মধ্যে পড়ে সে। অনার্স প্রথম বর্ষের স্টুডেন্ট হওয়ায় সিনিয়রদের দাপটে বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছে তাকে। আজও তার ব্যতিক্রম হলোনা। বিরক্তি এবার যেনো আকাশচুম্বী।

“তোহা, রিয়েলি তুমি কলেজেই পড়ো তো? কারণ দেখে তো মনে হয় ক্লাস সেভেনের বাচ্চা একটা মেয়ে।”

সিনিয়রদের দলের মাঝে এক আপু বলে ওঠে কথাটা। বাকিরাও বেশ হাসাহাসি করে তোহাকে নিয়ে। চোখ ছোটো ছোটো করে তাকায় তোহা। মন চাইছে মুখের উপর দুই চারটে কথা শুনিয়ে দিতে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীতও হয়ে যেতে পারে।

“গলায় ঝুলে থাকা আইডি কার্ডটা নিশ্চই আপনার বয়ফ্রেন্ড দেয়নি আমাকে আপু! কলেজ অথোরিটি থেকে যখন দেওয়া হয়েছে তারা নিশ্চই আপনার থেকে একটু বেশিই বোঝেন!”

শান্তশিষ্ট, চুপচাপ থাকা মেয়েটার এহেন জবাবে মুখ হা হয়ে যায় সবার। বেশ কয়েকবার তোহাকে নিয়ে তারা মজা করেছে। প্রতিবারই চুপচাপ তাদের মনোরঞ্জন করেছে সে। অথচ আজ যেনো একটু বেশিই ডেসপারেট হয়ে আছে সে। সিনিয়রদের মুখের উপর এভাবে জবাব দেওয়ায় ক্ষেপে যায় তাদের মাঝের কয়েকজন। দুই একজন আবার মুখ টিপে হাসছেও। মেয়েটা রাগে অপমানে খানিকটা তেড়ে আসে তোহার দিকে। অতঃপর শাসনের ভঙ্গিতে বলে ওঠে,

“সিনিয়রদের সাথে করা এই ব্যবহারের পরিনাম কি হতে পারে জানা আছে তো!”

“উহু, জানা নেই তো আপু। ঠিক কি হবে?”

“বলা তো যায়না কখন যেনো কলেজ থেকে রেস্ট্রিকেট হয়ে গেলে!”

এবার খানিকটা ভয় পায় তোহা। মনে মনে বেশ কিছু কড়া কথা শোনায় সেই মানুষটাকে, যায় দৌলতে আজ এদের মুখের উপর এতগুলো কথা বলেছে সে। অতঃপর ভীতু চোখে তাকায় মেয়েটার দিকে। মিনমিনিয়ে বলে ওঠে,

“সরি আপু। আর হবেনা। আমার ক্লাস আছে, আসছি।”

“তা বললে তো হবেনা। ভুল যখন করেছো শাস্তি তো পেতেই হবে। আর তোমার শাস্তি হলো রুহেলকে প্রপোজ করবে।”

“ওহ আচ্ছা এইটুকুই! এরপর চলে যেতে পারবো তো আমি?”

“পারবে।”

“আলাবু রুহেল ভাইয়া। সিনিয়র মানে হলো বড়ো ভাই। সো ভাইয়াকে এটা বলাই যায়। টাটা।”

কয়েকজোড়া চোখ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তোহার দিকে। অবিশ্বাস্য এই মেয়ের পরিবর্তন। সবচেয়ে বেশি বিস্মিত রুহেল নিজেই। তার মতো চার্মিং একটা ছেলেকে শেষে কিনা একটা পুচকি মেয়ে ভাইয়া বলে বলে গেলো! একজোড়া চোখ এতক্ষন গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করছিলো তোহাকে। কিছুক্ষন আগের হাসিখুশি চেহারা মুহুর্তেই রং বদলায় তোহার শেষ কথায়। রাগী দৃষ্টিতে তাকায় তোহার দিকে। অতঃপর সরাসরি চলে যায় নিজের কেবিনে।

“স্যার আসবো?”

তোহার কণ্ঠ শুনে খুব একটা চমকায় না রনক। যেনো সে জানতো তোহা আসবে। রাগের মাত্রা এতক্ষণে খানিকটা থিতিয়ে গেলেও তোহার আগমনে আবারো তরতর করে বেড়ে উঠলো। চোখ তুলে তাকায়না সে। নিজের মতোই ব্যাস্ত থাকে কাজে। তোহা মনে মনে ভাবলো রনক হয়তো তাকে সম্মতি দিয়েছে ভেতরে আসার। কারণ চুপ থাকা সম্মতির লক্ষণ। কলেজের গেস্ট টিচার রনক রাজ। কয়েকমাস আগেই জয়েন করেছে। অল্পদিনের মাঝে তোহার সাথে বেশ খানিকটা সখ্যতা গড়ে উঠেছে তার। তোহাকে ভেতরে আস্তে দেখে রাগী চোখে তাকায় রনক। থতমত খেয়ে যায় তোহা।

“ভেতরে আসার পারমিশন কি আমি দিয়েছি? একজন টিচারের পারমিশন ছাড়া তার কেবিনে আসতে নেই এটুকু কমন সেন্স নেই তোমার?”

কথাগুলো যেনো কোনো শব্দ নয় অদৃশ্য এক তীর। যা একে একে গেঁথে যেতে থাকে তোহার হৃদয়ে। নরম মনের তোহার চোখ ভরে আসে কান্নায়। রনকের সাথে বেশ ভালো সখ্যতা আছে বলেই হয়তো এই সাহস হয়েছে তার। ভুল করেছে সে। রনক তো একজন টিচার। অনেক স্টুডেন্টের সাথেই তার ভালো সম্পর্ক থাকতে পারে। তাই বলে সে সেটাকে বন্ধুত্ব ভেবে ভুল করেছে। কয়েক কদম পিছিয়ে দরজার বাইরে যায় তোহা। পিছন ফিরে মুছে ফেলে অবাধ্য চোখের অশ্রুকণা। অতঃপর জোরে শ্বাস টেনে মুখে জোরপূর্বক হাসি টেনে ধরে।

“সরি স্যার, আসছি। ক্লাসের লেট হচ্ছে।”

আর এক মুহুর্ত দাড়ায়না তোহা। হাতের পিঠে চোখ মুছতে মুছতে ক্যাম্পাস ছাড়ে। রাস্তার মাঝে ফুটপাত ধরে এলোমেলো পায়ে চলছে তোহা। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে তার। রনকের এমন ব্যবহার সে আশা করেনি। ভীষণ চার্মিং না হলেও যথেষ্ট ভালো মানুষ রনক। চোখে মুখে হাসি হাসি একটা ভাব সর্বক্ষণ থেকেই যায়। অল্প বয়সের এই টিচারকে প্রথম থেকেই বেশ ভালো লাগে তোহার। যেমন সুন্দরভাবে পড়ান তেমনই সুন্দর তার কথা। পার্সোনালিটির দিক থেকে একেবারে যথার্থ যাকে বলে। রনককে আইডিয়াল মনে হলেও কখনও সখ্যতা করার চেষ্টা করেনি সে। একদিন হুট করেই সিনিয়রদের কাছে র্যাগিং হতে গিয়ে রনকের চোখে পড়ে। সেই থেকেই তাদের কথাবার্তা টুকটাক। তোহাকে তাদের চোখে চোখ রেখে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার কথা তিনিই বলেন। সখ্যতা তো সে করতে যায়নি! বরং রনক নিজেই এগিয়ে এসছিল। তবে আজ এ ব্যবহার কেনো! হাল্কা হাসে তোহা। মনে মনে আওড়ায়,

“পছন্দের মানুষগুলো দূরে থাকাই ভালো। কাছাকাছি এলেই সবকিছু নাই হয়ে যায়। হোক সে ভালোবাসা কিংবা অন্যকিছু।”

****************

কিচেনে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করছে নম্রমিতা। আরিয়ান সাহেব দুপুরে রুটি খেতে পছন্দ করেন। সেজন্যে আটা মাখছে নম্রমিতা। কাজের মেয়েটা রান্নাঘর গুছিয়ে, সব কাজ শেষ করে বাড়ীতে গিয়েছে। বিকালে আসবে আবার। রাফিদ আশেপাশে তাকিয়ে দেখে কেউ আছে কিনা! অতঃপর কাউকে না পেয়ে সরাসরি ঢুকে পড়ে কিচেনে। বেসিনের কাছে হেলান দিয়ে পিছন থেকে চুপিচুপি দেখতে থাকে নম্রমিতাকে। শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে একমনে আটা মাখছে সে। আশেপাশের কোনো খেয়াল নেই। নম্রমিতাকে এই অবস্থায় দেখে দুষ্টুমিরা চেপে বসে রাফিদের মাথায়। ফ্রিজ থেকে একটুকরো বরফ বের করে পিছন থেকে একহাতে চেপে ধরে নম্রমিতার উন্মুক্ত কোমরে। শিউরে ওঠে নম্রমিতা। আকস্মিক এমন আক্রমনে খানিকটা ভয়ও পায়। কিন্তু রাফিদ থেমে থাকেনা। অপর হাতে টান দিয়ে খুলে দেয় নম্রমিতার চুল। চোখ পাকিয়ে তাকায় নম্রমিতা। সামনের ছোটো ছোটো চুলগুলো চোখে মুখে এসে বিরক্ত করছে। এদিকে আবার কোমরে বরফ ঠেকিয়ে থাকায় ঠান্ডায় শিরিশির করছে শরীর। ছুটতে চাইলে আরো শক্ত করো চেপে ধরে রাফিদ। অতঃপর নম্রমিতা পরাজিত সৈনিকের ন্যায় বলে ওঠে,

“কি করছো রাফিদ! ছাড়ো। কেউ এসে যাবে।”

“আসুক। বউকে জড়িয়ে ধরে আছি, অন্য কাউকে না।”

“বিরক্ত হচ্ছি কিন্তু।”

আটা মাখা হাত দিয়েই চোখের সামনে আসা চুলগুলো সরাতে সরাতে বলে নম্রমিতা। মলীন চোখে তাকায় রাফিদ। অতঃপর দুঃখী দুঃখী মুখ করে বলে ওঠে,

“যাদের ছোঁয়ার কোনো অধিকার নেই, তারা ছুঁয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ যার প্রাপ্য সেই ছোঁয়ার বাহানা খুঁজছে। ছুঁয়ে দিয়েও যেনো ছুঁতে পারছেনা।”

রাফিদের কথা শুনে বেশ খানিকটা অবাক হয় নম্রমিতা। কথার মানে বোধগম্য হতেই শব্দ করে হেসে ওঠে সে।

#চলবে!

১৫০০ শব্দের গল্প দিলাম। রাতেও আর এক পর্ব দেবো, তবে ছোটো করে। বিগত দুইদিন গল্প দিতে না পারার জন্য দুঃখিত। ব্যক্তিগত এক কাজে হুট করেই ফেঁসে গিয়েছিলাম। এবার থেকে কন্টিনিউ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here