আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৫৬.

0
1018

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৫৬.
“এতোটা ভয়াবহ লা*শ আগে কখনো দেখিনি।কতটা বিকৃ!ত মস্তিষ্কের অধিকারী হলে কেউ কাউকে এভাবে খু*ন করতে পারে!”

বাক্যগুলো সম্পন্ন করে নিজ চোখে দেখা সকল ঘটনা একের পর এক ডায়েরির পাতায় তুলতে থাকে চাঁদ।এবং সর্বশেষে লিখে,

“আমি বোধহয় জানি সবকিছুর পেছনে কে হতে পারে।তবে কেবলই সন্দেহ হচ্ছে।যেদিন জানতে পারবো সবটা,সেদিন এই পাতাটাও পূর্ণ করবো”

অতঃপর কলমের মুখ লাগিয়ে ডায়েরীটা বন্ধ করে আলমারিতে সন্তপর্ণে তা লুকিয়ে রাখে চাঁদ।

আজ রবিবার,
মাঝে দিয়ে কেটে গেছে দু’টো দিন।বিশেষ কিছু ভেবে পায়নি চাঁদ।তবে আজ এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে।যে করেই হোক তা আমলে আনতেই হবে।কাজটা তার করতেই হবে এবং সে করবেও।এক বুক শ্বাস সঞ্চার করে বাড়ির বাইরে পা রাখে।রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে ডায়াল করে লিমা নামক সেই মেয়েটার নম্বরে।কয়েকবার রিং হয়ে রিসিভ হতেই মেয়েটার সালামের জবাব নিয়ে চাঁদ বলে,

“কলেজ যাচ্ছো আজ?”

“আপনি কে?”

“চাঁদ”

“আপ…আপু।শোনো আমি একটু তাড়াহুড়োয় আছি তোমার সাথে পরে কথা বলবো।আর হ্যা কলেজ যাচ্ছি”

বলেই দ্রুত কলটা কাটে মেয়েটা।লিমার কর্মকান্ডে অবাক হয়ে মোবাইলের পানে চেয়ে থাকে চাঁদ।অতঃপর কলেজের উদ্দেশ্যে হাটা ধরে।

কলেজ ক্যাম্পাসের একপাশে দাঁড়িয়ে আছে অরণ।তার থেকে হাত তিনেক দূরেই দাঁড়িয়ে আছে প্রণয়ও।দুজনের মুখে কোনো রা নেই।সেইসাথে গম্ভীরভাব বজায় রেখেছে দুজনই।অরণ বেশি অসন্তুষ্ট।সেদিনের প্রণয়ের বলা কথাগুলো এখনও সে স্মরণে রেখেছে।রাখার মতো কথাই সে বলেছে।যার দরুন প্রণয়ের থেকে যথেষ্ট দূরেই দাড়িয়েছে সে।প্রণয়ও যে এর ব্যতিক্রম তেমন না।দুজনই কিছুক্ষণ নিজেদের মাঝে নীরবতা পালন করে।অতঃপর বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে প্রণয়ই অরণের কাছে আসতে আসতে বলে,

“এখন আমার সাথে কথা বলতেও তোর রুচিতে বাধে নাকি রে?”

অরণও সাথে সাথে জবাব দেয়,

“রুচিতে না বিবেকে বাধে”

“তা বিবেক কী বলে?”

“এটাই যে,পরিবারের পরে যাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসি সে অবিশ্বাস করেছে,অ!পবাদ দিয়েছে”

“তুই এখনও বলছিস আমি অ!পবাদ দিয়েছি?”

“না।তুই কেবলই অ!পবাদ না,অপমানও দিয়েছিস”

“আর তুই কী দিয়েছিস?”

“তোকে আর কীই বা দিতে পারি আমি?”

“তুই জানতিস না আমি?আমি চাঁদকে…চাঁদকে আমি….”

কথাটা বলতে চেয়েও বলতে পারছেনা প্রণয়।তাই অরণই সে কথা সম্পূর্ণ করে,

“ভালোবাসিস তাইতো?”

কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রণয় বলে,

“তবুও তুই কী করে আমার চাঁদের সাথে?”

“তুই ওসব টিপিক্যাল বয়ফ্রেন্ডদের মতো বিহেভিয়ার করছিস না প্রণয়?অথচ তুই চাঁদের বয়ফ্রেন্ডও নস”

“তোকে বানিয়েছে নাকি বয়ফ্রেন্ড?”

“শাট আপ প্রণয়”

“ইউ শাট আপ।তোর চাঁদের সাথে এতো কী?আমি…আমি সেদিনও তোদের একসাথে দেখেছি”

“কবে দেখেছিস?”

“বৃহস্পতিবারে”

কপাল কুচকে অরণ বলে,

“কোথায় দেখেছিস?”

“তোরা যেখানে দেখা করেছিস সেখানেই দেখেছি”

“টিএসসির মোড়ে?”

“তো আর কোথায় দেখবো?”

“আর কিছু দেখিস নি?”

“হ্যা দেখেছি তো।তোর চাঁদের প্রতি যত্ন নেয়া দেখলাম।যত্ন করে ঔষধ খাইয়ে দেয়া দেখলাম।আরও দেখলাম দুজনে খুব মজা করে ফুচকা খেলি”

“আর কিছুই দেখিসনি তুই?”

“কেন?আরও কিছু দেখার বাকি ছিলো নাকি?আরও কিছু করেছিস নাকি তোরা?”

“জাস্ট শাট আপ প্রণয়!মুখে যা আসছে বলে যাচ্ছিস।একবারও ভাবছিস না কাকে বলছিস,কেনো বলছিস,কোন ভিত্তিতে বলছিস?”

“যেই ভিত্তিতে তোদের এতো মেলামেশা”

থমথমেভাবে অরণ বলে,

“কাজে গিয়েছিলাম একটা”

“কাজটা নিশ্চয়ই চাঁদের সাথে প্রেম করা?”

প্রণয়ের পানে অবিশ্বাস্য চাহনী নিক্ষেপ করে অরণ বলে,

“সিরিয়াসলি প্রণয়?তুই আমায় এসব বলছিসও কী করে?”

“তুই করতে পারলে আমি বলতেও পারবোনা?”

“তোর এতোটাই অবিশ্বাসের পাত্র হয়েছি যে তুই আমায় ফলো অব্দি করেছিস?এতো সন্দেহ করছিস আমায়?অথচ তুই জানিস আমি পূর্ণকে….”

“আমি জানি।এজন্যই এখনও বুঝতে পারছিনা তুই কী করে এমনটা করছিস?তুই তো শুরু থেকে চাঁদের বিষয়টা জানতি তবুও তোর কেনো চাঁদের সাথে সম্পর্ক করতে হলো?তোকে আমি বলেছিলাম না চাঁদের জন্মদিনের দিনই তাকে মনে চে!পে রাখা সকল কথা বলবো?তবুও তুই আমার সাথে এমনটা কী করে করলি অরণ?করছিসই বা কেনো?”

কিছুক্ষণ পলকহীন প্রণয়ের পানে তাকিয়ে থাকে অরণ।কোনোকিছু বলেনা।তা দেখে প্রণয় বলে,

“কী হলো বল?”

তবুও অরণ তাকিয়ে আছে তারই দিকে।এবার অরণের আরও সামনে এসে অরণকে ঝাকিয়ে প্রণয় বলে,

“কী হয়েছে?এভাবে তাকিয়ে আছিস কেনো?”

দৃষ্টি মাঠপানে দিয়ে খানিকটা হেসে অরণ বলে,

“তাকিয়ে আছি আমার বন্ধুর দিকে।সেই বন্ধুর দিকে যেই বন্ধু ব্যতীত নিজের অস্তিত্ব কখনো কল্পনা করিনি।যেই বন্ধুহীন আমি অসহায়।আর যেই বন্ধুকে ছাড়া অরণের কোনো জুড়ি হয়না”

কথাটা শুনে দৃষ্টি নত করে প্রণয়।সে দৃষ্টি আর তুলতে পারেনা সে।তা দেখে অরণ প্রণয়ের বাহুতে হাত রেখে বলে,

“এমন কাজ কখনো করিস না যার জন্য দৃষ্টি মেলানো দায় হয়ে পড়বে।আর তোর সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো।অবশ্যই দেবো,সময় হোক।এখন আসি”

বলেই পিছু ঘুরে পা চালায় অরণ।ঠিক তখনই দৃষ্টি উঁচু করে প্রণয় বলে,

“অরণ?”

বন্ধুর ডাকে পা জোড়া থামায় অরণ।অতঃপর পিছু ঘুরে তাকায় তার পানে।দৃষ্টি দিয়েই জিজ্ঞেস করে ‘কী?’ প্রণয় গম্ভীরভাব বজায় রেখে দৃষ্টি নত করে শুধায়,

“কোথায় যাস?চাঁদের কাছে?”

প্রণয়ের কথায় হেসে দেয় অরণ।অতঃপর লম্বা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে খানিকটা উচ্চস্বরে বলে,

“আবারও বলছি,এমন কিছুই করিস না যার দরুন দৃষ্টিতে দৃষ্টি রেখে কথাও বলা যাবেনা”

বন্ধুর জবাব শুনে চটজলদি তার পানে তাকায় প্রণয়।কিন্তু দেরি হয়ে যায় তার।তার তাকানোর পূর্বেই অরণ দৃষ্টি ঘুরিয়ে বহুখানি পথ চলে গিয়েছে।হতাশার শ্বাস ফেলে প্রণয়।সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে সে।সবটা মিথ্যা মনে হচ্ছে,মনে হচ্ছে হয়তো সে ই ভুল ভাবছে,বেশি ভাবছে।কিন্তু আঁখি দেখা জিনিস কি ভুল হয়?

কলেজে প্রবেশ করেই নিজ কক্ষে না গিয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাসের দিকে এগোয় চাঁদ।অতঃপর সেথায় এসে খুঁজতে থাকে লিমা নামক সেই মেয়েটাকে।তাকে দেখতে না পেয়ে তারই এক বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করে,

“লিমাকে দেখেছো মিতু?আসেনি আজ?”

“এখনও তো দেখিনি আপু।বলতে পারলাম না সরি”

“আচ্ছা।সমস্যা নেই”

কথাটুকু বলে আরেকবার পুরো ক্লাসজুড়ে দৃষ্টি বুলিয়ে বের হয় চাঁদ।বের হতে গেলেই লিমার সাথে তার সামনাসামনি হয়ে যায়।লিমাকে প্রচন্ড অস্থির দেখাচ্ছে।অনেকটা ঘেমেও গিয়েছে।কপাল কুচকে চাঁদ কিছু বলার পূর্বেই চাঁদের হাতে আড়ালে কিছু গুজে দিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করে সে।চাঁদ স্পষ্ট সেটা টের পেয়েছে তবে তৎক্ষনাৎ কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সে হাত মুঠো করেই নিজ ক্লাসে এসে বসে।বসতেই পাশে এসে দাঁড়ায় ইফাদ।ইফাদকে দেখেও কিছু বলেনা চাঁদ।এক হাতে পানির বোতল নিয়ে খোলার চেষ্টা করেও পারেনা।অতঃপর বোতলটা পাশে রেখে দিয়েই কিছু একটা মনোযোগ সহকারে চিন্তা করতে লাগে।ধ্যান ভাঙে তার ইফাদের কথায়,

“কী হলো নাও”

“হা?কী নেবো?”

“পানি”

বলেই চোখের ইশারায় পানির বোতলটা দেখায় ইফাদ।তা দেখে বোতল নিতে নিতে চাঁদ বলে,

“ওহ হ্যা”

অতঃপর অনেকখানি পানি খেয়ে লম্বা এক শ্বাস নেয় চাঁদ।ইফাদ হঠাৎ প্রশ্ন করে,

“কী হয়েছে চাঁদ?কোনো সমস্যা?”

“না তো”

“ইদানীং বেশি চিন্তিত লাগছে।সারাক্ষণ কী যেনো ভাবো”

ম্লান হেসে চাঁদ বলে,

“ভাবি নিজের ভবিষ্যৎ।কী করবো জীবনে”

“কী করবে মানে?আমাদেরতো উজ্জ্বল এক ভবিষ্যৎ আছে।বিশেষ করে তোমার”

খানিকটা হেসে চাঁদ বলে,

“কোথায় আর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।সবাই কি সবটা পায়?”

“কেনো পাবেনা?”

প্রসঙ্গ এড়াতে চাঁদ জিজ্ঞেস করে,

“ফায়ান কোথায় ইফাদ?আর বাকিরা?”

“ফায়ান কোথায় জানি গেলো।অবনী আর ইপ্সি রাস্তায় আছে বোধহয়”

“ফায়ানকে একটু ডেকে দেবে প্লিজ?কাজ ছিলো”

“হ্যা ডাকছি।বসো তুমি”

“ঠিক আছে”

ইফাদ যেতেই মুঠ করে রাখা হাত প্রসারিত করে চাঁদ।হাত খুলতেই দেখতে পায় একটা কুচকানো কাগজ।তা দেখে ভ্রুযুগোল কুঞ্চিত করে কাগজ খুলে তাতে লেখা শব্দগুলো মনে মনে পড়ে সে,

“এগারোটার দিকে আমাদের ক্লাসের পাশের ওয়াশরুমে এসো।সেখান ছাড়া কথা বলা সম্ভব না।আর আমায় কলও দিয়োনা ভুল করেও।আমার থেকে যত দূরে থাকবে তত ভালো।আমি তোমার সাথে ওয়াশরুমের ওখানেই দেখা করবো যা বলার সেখানে বলোও।আর এই কাগজটা কাউকে দেবেনা।কারো চোখে পড়তেও দেবেনা।ব্যাগে রেখে দাও।পারলে বাসায় গিয়ে ছিড়ে ফেলোও অথবা পানিতে ধুয়ে ফেলোও”

লিমার দেওয়া চিরকুট পড়ে বেশ চিন্তায় পড়ে যায় চাঁদ।কতটা ভয়ে থাকলে মেয়েটা এভাবে বলতে পারে ভাবতেই চাঁদের বেশ খারাপ লাগা শুরু হয়।লিমার কথা মোতাবেক নিজের ব্যাগে কাগজটা রাখতে গিয়েও রাখেনা চাঁদ।কী যেনো ভেবে হিজাবের নিচ দিয়ে জামার ভেতরে কাগজটা লুকিয়ে রাখে সে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
এগারোটা বেজে তিন মিনিট,
হাতঘড়ি দেখে বই বন্ধ করে দ্রুত গতিতে ক্লাস থেকে বের হয় চাঁদ।বের হওয়ার সময় তাদের এক প্রফেসর ক্লাসে আসতে গেলেই চাঁদ বলে,

“ম্যা’ম ওয়াশরুমে যাচ্ছিলাম”

প্রফেসর হাসিমুখে বলেন,

“হ্যা যাও।সমস্যা নেই”

চাঁদও প্রতিত্তোরে সুন্দর এক হাসি উপহার দিয়ে লিমার ক্লাসের দিকে পা বাড়ায়।অতঃপর ওয়াশরুমের কাছে এসে নিজেকে স্বাভাবিক করে ওয়াশরুমের দিকটার ভেতরে যায় সে।সেখানে যেতেই লিমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কিছু বলতে নিলেই লিমা আশেপাশে তাকিয়ে তাকেসহ একটা ওয়াশরুমের ভেতরে ঢুকে যায়।চাঁদ বেশ অবাকই হয় তাতে।কিছু বলতে নিলে লিমা বেসিনের কল ছেড়ে দিয়ে লম্বা শ্বাস নিয়ে বলে,

“এবার বলো আপু”

“এতোটা ভয় পাচ্ছো কেনো?”

“কারণ ভালো মুখোশের আড়ালে লুক্কায়িত খা!রাপ মানুষটার নজর কখন কোথায় পড়ে যায় বলাতো যায়না আপু”

“মানে?”

“মানে হলো শ*ত্রু আশেপাশেই।খুব নিকটে অথচ আমরা জানিনা”

“তুমি বলতে চাচ্ছো এখানকার কেউই?”

“এখানে বলার কিছু নেই।অনিন্দ্য স্যার,মাহতিম স্যার আর কাশেম মামার ব্যাপারে তুমি জানোই।বাকি আর কে কে আছে সেতো জানোনা,হয়তো আমিও নাম জানিনা বা চিনিনা এমন কেউ আশেপাশে থেকে গেলো।যাদের নজরে আমিসহ তুমিও পড়ে গেলে।সেটা চাচ্ছিলাম না”

“বুঝতে পেরেছি”

“কল কেনো দিয়েছিলে আপু?আমায় প্লিজ আর কল দেবেনা।সেই সিমটাও তাদের দেয়া।ভয়েস রেকর্ডিং সিস্টেম চালু করা।সেজন্যই দ্রুত কেটে দিয়েছিলাম”

“কী!আমি বেশ চিন্তায় ছিলাম লিমা”

“হ্যা আপু।প্লিজ আর কল দিওনা।আমার সাথে দেখাও করতে চেয়োনা প্লিজ।শুধু আমার না,যাদেরই ধরে নিয়েছিলো কারো সাথে দেখা করোও না আপু।এতে তোমার বিপ*দ বৈ আর কিছুই আসবেনা”

“ঠিক আছে সাবধানে থাকবো।আমি আসলে তোমায় কিছু বলার জন্যই কল দিয়েছিলাম”

“হ্যা বুঝতে পেরেছি,বলো”

“তোমার সাথে আমায় সেই বাড়িটায় নিয়ে যাবে প্লিজ?”

বিস্ময় নিয়ে লিমা বলে,

“কী!”

লিমার মুখ চে!পে ধরে চাঁদ বলে,

“আস্তে!”

চাঁদের হাত সরিয়ে লিমা বলে,

“কিন্তু সেখানে যেতে চাচ্ছো কেনো?সে জায়গা ভালো না আপু।আমি তোমায় রি!স্ক নিতে দেবোনা।সে জায়গায় ভালো মানুষেরা যায় না”

“তুমিতো রোজ যাচ্ছো”

“আমিও তো ভালো না আপু”

“যার মন পবিত্র সে অবশ্যই ভালো ব্যক্তিত্বেরই অধিকারী লিমা”

“ব্যক্তিত্ব দিয়ে আর কী হবে?যেখানে…”

“আমায় প্লিজ নিয়ে চলো লিমা।যাওয়াটা জরুরী”

“না আপু।আমি নিতে পারবোনা।আমি চাইনা তোমার কোনো ক্ষ*তি হোক।জায়গা টা ভ!য়াবহ।তোমার জন্য আরও বেশি।তোমার জীবন আর সম্ভ্রমের ক্ষ*তি আমি জেনেশুনে করতে পারিনা।তুমি প্রণয় ভাইয়ার আমানত।ঐ একটা মানুষই কেবল তোমায় ডিজার্ভ করে।তার ভালোবাসায় তুমি ভালো থাকো আপু।এসব উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে নিজের জীবন কেনো ন*ষ্ট করার পেছনে লাগছো আপু?সেইসাথে অরণ ভাইয়াও ঝামেলায় পড়বেন।তোমরা দুজনই এসব থেকে দূরে থাকো প্লিজ।এসব কিছুতে জড়ালে জীবনের ঝুঁ*কিতো আছে সাথে করে ক্যারিয়ারও আপু।বোঝার চেষ্টা করো”

“না লিমা।আমার যাওয়াটা জরুরী।আমার যেতেই হবে।আমি জানতে চাই সেখানে কী আছে,কী করা হয়”

“সেখানে কী হয় আমি বলবো তোমায়।তবুও যেতে চেয়ো না প্লিজ আপু”

“না লিমা।আমি যাবোই।এবং তোমাকে নিতেই হবে”

“ওরা তোমায় দেখলে সমস্যা হবে আপু।বোঝার চেষ্টা করো।তোমায় ওরা ছেড়ে দেবেনা”

“চিনবেনা তো।আমি সেসব পরিকল্পনা করেই এসেছি”

“মানে?”

“শুধু এতটুকু বোঝো যে আমায় নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।আমি সাবধানে যাবো এবং সাবধানেই আসবো।কেউ বুঝতে পারবেনা।তুমি শুধু ক্লাস শেষে আমায় তোমার সাথে নিয়ে যাবে।বলবে নতুন মেয়ে এনেছো।ঠিক আছে?”

“তুমি বোঝার চেষ্টা করো আপু।তোমার লাইফ রি*স্কে পড়ে যাবে”

“জীবনে বহু রি*স্ক নিয়েছি।এবার নাহয় নিজের জীবনটাই রি!স্কে নিলাম”

To be continued…..

[বিঃদ্রঃআজ সকালেই গল্প দেয়ার কথা ছিলো।তবে তখন অল্প একটুর বেশি লিখতে পারিনি।মাত্রই লিখে শেষ করলাম।শরীরের সাথে মনও খানিকটা অসুস্থ।সেই দরুন সবকিছু সাজিয়ে লিখতে সময়টা বেশি লাগছে।দুঃখিত!কেউ প্লিজ রেগে থাকবেন না।আশা করি বুঝবেন।আর গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here