#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৪০.
“বয়ফ্রেন্ডের সাথে প্রেম করে আবার অন্য ছেলেকে পিছে ঘুরাও লজ্জাবোধ করেনা তোমার?”
আহিনের হঠাৎ আগমনে চাঁদ যতটানা অবাক হয়েছে।তার চাইতে বেশি হতবাক হয়েছে তার কথা শুনে।চাঁদের এরূপ মুখভঙ্গি দেখে খানিকটা হেসে আহিন বলে,
“অবাক হচ্ছো নাকি?”
“অবাক হওয়ার মতো প্রশ্ন নয় কি?”
“মোটেও নয়”
“আপনি জানেন আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা?আর কিসব ফালতু অপ!বা!দ দিচ্ছেন?”
“যেই ছেলের সাথে এতো ঘোরাফেরা,বয়ফ্রেন্ড না হলে কী তবে?নাকি ছেলে ঘুরাতে মজা লাগে তোমার?”
“ঠিক এজন্যই আপনাকে আমার পছন্দ নয় মি.আহিন”
“পছন্দ হোক,না হোক।হতে তো তোমাকে আমারই হবে।এবং তুমি হবেও”
“ইন ইওর ড্রিমস”
“ড্রিমেতো তুমি আমারই।সেই ড্রিমকে বাস্তবে রূপান্তর করতে হবে নীলাম্বরী।তাই বলছি বয়ফ্রেন্ড থাকলেও কোনো লাভ নেই।ওসব হ্যাংলা-পাতলা বয়ফ্রেন্ড আমার কিছুই করতে পারবেনা।ঐ ছেলের থেকে দূরে থাকবে বুঝলে?”
“কার কথা বলছেন আপনি?”
“তোমার সাথে সাথে থাকে যে?ফর্সা করে ছেলেটা”
“ফায়ান?ও আমার বয়ফ্রেন্ড?ছিহ!যেমন আপনি তেমন কুরুচিপূর্ণ আপনার চিন্তাধারা।সাথে থাকলেই বয়ফ্রেন্ড হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।আর আমি কার থেকে দূরে থাকবো বা কার কাছে থাকবো তা আমি অবশ্যই আপনার থেকে জানবোনা”
“হবেতো তুমি আমারই।হয় আজ,নয়তো কাল।তাই আমার কথা তোমার মানতে হবে”
চাঁদের কিছু বলার পূর্বেই সে হঠাৎ শুনতে পায় প্রণয়ের শান্ত কন্ঠস্বর,
“যারা বোকা তারাই তর্কে জড়ায়।আপনাকে দেখে বিজ্ঞই মনে হয়।অযথা তর্কে না জড়িয়ে আমার সাথে আসুন”
বলেই চাঁদের কব্জি ধরে নিজের সাথে নিতে লাগলে চাঁদের অপরহাত ধরে আহিন বলে,
“তোর সাহস কী করে হলো নীলাম্বরীর হাত ধরার?”
চাঁদের বেশ হাসফাস লাগছে।সে অস্থিরতা নিয়েই বললো,
“দেখুন,হাত ছাড়ুন আমার”
কথাটা শুনে আহিন বলে,
“দেখেছিস?হাত ছাড়তে বলেছে তোকে”
“ভালোভাবে দেখে তারপর কথা বলা উচিত”
“হাত ছাড়ুন মি.আহিন”
একসঙ্গেই প্রণয় আর চাঁদের কথা শুনে আহিন ভ!ড়কে গিয়ে বলে,
“হাত তো প্রণয় আগে ধরেছে নীলাম…”
“আমি আপনাকে হাত ছাড়তে বলেছি আহিন”
“কেনো ছাড়বো?”
“আমি ছাড়তে বলেছি তাই ছাড়বেন”
চাঁদের থমথমে জবাব শুনে প্রণয় চাঁদের হাত ছেড়ে আহিনের কাছে গিয়ে খানিকটা বল প্রয়োগ করে আহিনের থেকে চাঁদের হাত ছাড়িয়ে বলে,
“জোর করে কোনোকিছুই পাওয়া যায়না কথাটার মর্ম তোর বোঝা উচিত”
বলেই চাঁদের পিছু থেকেই চাঁদকে বলে,
“আপনি আগে হাটুন।আমি আছি”
প্রণয়ের আস্বস্তমূলক বানী শুনে স্বস্তি পেলো চাঁদ।অতঃপর কিছুটা পথ হাটলো।যতক্ষণ না আহিনের দৃষ্টি সীমানা থেকে তারা দূরে আসতে পারলো ঠিক ততক্ষণ।অতঃপর পা জোড়া থামিয়ে প্রণয়ের দিকে ঘুরে বললো,
“ধন্যবাদ।এবার আমি যেতে পারবো”
“যাবেন তো কলেজেই।হাটতে থাকুন”
“কিন্তু….”
“হাটতে বলেছি হাটুন”
প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর শুনে চাঁদ ইতস্ততবোধ করে হাটতে লাগলো সামনের দিকে।কিছুক্ষণ পর হাটা থামিয়ে স্থির থেকেই বললো,
“এভাবে পিছু না হেটে পাশে হাটুন”
“কোনো সমস্যা?”
“আসলে…”
চাঁদকে থামিয়ে দিয়ে প্রণয় বলে,
“ইটস ওকে”
বলেই চাঁদের বাম পাশের রাস্তার দিক দিয়ে তার পাশেই যথেষ্ট দূরত্ব রেখে হাটতে হাটতে বলে,
“হাটুন এবার”
কিছুদূর যেতেই প্রণয় গম্ভীরভাবে বলে,
“আপনাকে গতকাল কিছু সাজেস্ট করেছিলাম।কাজে লাগান নি নিশ্চয়ই”
প্রণয়ের কথা শুনে আড়চোখে তার পানে তাকায় চাঁদ। অতঃপর দেখতে পায় বাম কাধে গিটার আর ডান কাধে ব্যাগ ঝুলিয়ে সেই ব্যাগে এক হাত রেখে অপরহাত পকেটে গুজে ধীর গতিতে সোজা হয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতেই কথাটা বলেছে প্রণয়।অতঃপর চাঁদও তার দৃষ্টি রাস্তার পানে দিয়ে বলে,
“সে সুযোগই পেলাম না”
“আমি এসে পড়লাম বলে বলতে পারলেন না?”
“না তেমন কিছুইনা”
“তবে কেমন কিছু মিস রেডরোজ?”
প্রণয়ের মুখে ‘রেডরোজ’ শুনে চকিতে তার পানে তাকায় চাঁদ।অতঃপর ঝট করেই নিজের দিকে নজর দিতে বাধ্য হয়।আজও কি সে লাল পরেছে?যার দরুন প্রণয় তাকে রেডরোজ বললো?কিন্তু কই?সেতো আজ লাল পরেনি।সেতো পরেছে গোলাপির মাঝে সাদা রঙ।এসবকিছু ভাবতে ভাবতেই কপাল কুচকে আসে চাঁদের।এমতাবস্থায় প্রণয়ের শীতল কন্ঠস্বর শুনে মুখজুড়ে রক্তিম আভা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদের।দৃষ্টি পা জোড়ার দিকে সীমাবদ্ধ হয়।কোনোক্রমেই মাথা তুলতে সক্ষম হয়না চাঁদ,
“এতো কেনো অস্থিরতা?সে কি জানেনা?সে যে কারো হৃদয়ে আজন্মের জন্য ফুটে উঠা তাজা লালগোলাপ!”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
কলেজের অনেকটা কাছাকাছি আসতেই চাঁদ নিজের মৌনতা কাটিয়ে প্রণয়কে জিজ্ঞেস করে,
“আপনি হঠাৎ কোত্থেকে এলেন?আর লোকটা নিশ্চয়ই আপনার পরিচিত?”
“ছিলো কোনো একসময়।তবে এখন আর নেই”
“আপনি বললে সে আমার পিছু নেয়া ছেড়ে দেবে?”
চাঁদের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রণয় বলে,
“ছেড়ে দিলেতো হয়েছিলোই মিস চাঁদ।একবার যেহেতু আপনাতে নজর পড়েছে এতো সহজে সরাবেনা”
“তবে উপায়?”
“উপায় আপাতত নেই।আপনি যথেষ্ট সাহসী,তবে সাবধানে থাকবেন।আগের আহিন আর এই আহিনের মাঝে বিরাট তফাৎ।পলিটিক্সে গিয়ে অধঃপতন ব্যতীত আর কিছু হয়নি ওর”
“খারাপ কিছু ঘটার নিশ্চয়তা আছে কি?”
সবেই দৃষ্টি ঘুরিয়েছিলো প্রণয় কিন্তু চাঁদের ভয়ার্ত স্বরের বাক্য শুনে তৎক্ষনাৎ দৃষ্টি চাঁদের পানে করে সে।দৃষ্টি সে পানে দিতেই নজরে আসে চাঁদের সন্দেহপূর্ণ,খানিকটা ভয় পাওয়া মুখশ্রী।তা দেখে প্রণয় বলে,
“যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা খারাপ অবশ্য নয়।বেশি থেকে বেশি আপনাকে বিয়ে করার জন্য তুলে নিয়ে যেতে পারে।এর বেশি কিছুই করবেনা”
কলেজ গেটে পা দিতেই প্রণয়ের এমন কথা শুনে পা জোড়া থামাতে বাধ্য হয় চাঁদ।অতঃপর কপাল কুচকে বলে,
“কী বললেন?কী বললেন আপনি?”
প্রণয় চাঁদের এরূপ অস্থির কন্ঠে খানিকটা মজা পায়।তবে হাসেনা।গম্ভীরভাব বজায় রেখেই আরেকটু ভয় দেখাতে চাঁদের দিকে চেয়ে তার হাত ধরে কলেজে ঢুকতে ঢুকতে বলে,
“হয়তো মেয়র অধিরাজ শেখ নাই মানতে পারেন।তখন এই ঠিক এভাবে আপনার হাত ধরে আহিন আপনাকে তার বাড়ি নিয়ে যাবে।আপনিতো দেখতে অতোটা খারাপও নন তার উপর মেডিকেলে টপ করুয়া স্টুডেন্ট।সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ও আছে।নিশ্চিত আপনার শশুর আপনায় মেনে নেবেন”
চাঁদ এবার মেজাজ খারাপ করে ক্যাম্পাসে ঢুকেই প্রণয়ের দিকে মুখ করে তাকিয়ে তার ঠোট বরাবর তর্জনী নিয়ে বলে,
“আপনার সাহস তো কম না।আপনি আমার সাথে টিটকারি করছেন!ভয় দেখাচ্ছেন আমায়?কোথাকার না কোথাকার বুইড়া খাটাস অহংকারী লোককে আমার শশুর বানাচ্ছেন?আপনার সাহসের প্রশংসা না করে পারছিনা মি.বিড়ালাক্ষী মানব”
প্রণয় বেশ মজা পাচ্ছে চাঁদকে রাগিয়ে।ভেতর ভেতর হাসতে গিয়ে তার চোখ দু’টো হেসে ফেলছে কিন্তু উপরে উপরে নিজেকে গম্ভীর রেখে সে আবারও বলে,
“বুইড়া খাটাস কোথায় মিস রেডরোজ?যথেষ্ট হ্যান্ডসাম কিন্তু আপনার শশুর মশাই।আহিন কিন্তু তারই মতো হয়েছে।আর আহিনের পেছনে কিন্তু বহু মেয়েই ঘোরে।সেই আহিন আপনাকে পছন্দ করেছে ভাবতে পারেন?হাউ মাচ লাকি ইউ আর?”
রাগে ফর্সা গাল,নাক এবং ঠোট লাল হয়ে গেছে চাঁদের।সে রেগে প্রণয়কে বলে,
“দেখুন মি.বিড়াল ভালো হচ্ছেনা কিন্তু!”
প্রণয় চাঁদকে আরেকটু রাগাতে বলে,
“দেখুন,আহিন কিন্তু আমার বন্ধু ছিলো।এখন অবশ্য নেই।কিন্তু যদি সে আসলেই আপনাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে আমায় কিন্তু আপনি অবশ্যই ইনভাইট করবেন। আমি নিজে গিয়ে আপনাদের সাক্ষী হবো”
“এই আপনি!আপনি,আপনাকে তুলে নিয়ে যাবে কোনো পরী এসে।আপনার দিকে নজর দিয়ে আপনাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করবে কোনো মহিলা জ্বীন!হ্যা মহিলা জ্বীন!”
চাঁদের কথা শুনে এবার আর নিজেকে আটকাতে পারেনা প্রণয়।এক হাতে কাধের ব্যাগ মাঠে নামিয়ে হুহা করে হেসে দেয় সে।চাঁদের এমন বাচ্চাদের মতো মুখশ্রী আর উদ্ভট কথাবার্তা শুনে নিজেকে সামলাতে ব্যর্থ হতে হয় প্রণয়কে।সে এক হাতে চাঁদের হাত ধরে রেখেই অপর হাতে নিজের কপালে হাত রেখে হাসতে হাসতেই বলে,
“মাই গড!মিস চাঁদ!আপনাকে এখন পুরোই লালগোলাপ থেকে লাল টকটকে টমেটো লাগছে।বিশ্বাস করুন!”
বলে আরেকদফা হাসতে গেলেই চাঁদের কান্নার বেগ বেড়ে যায়।সে ভয়ঙ্কর রকম রেগে গেলে নিজেকে সামলাতে পারেনা।চোখদুটো দিয়ে ভারী বর্ষণ শুরু হয়।এখনো ঠিক তেমনটাই হতে যাচ্ছে।সে প্রণয়ের কলার আরেকটু জোরে চে!পে ধরে টলমলে চোখ নিয়ে কান্নামিশ্রিত কন্ঠেই বলে,
“প্রণয় আপনি!আপনি হাসছেন!”
বলতে বলতেই চোখ দিয়ে পানির বর্ষণ হওয়ার আগেই দৃষ্টি নত করে চাঁদ।অতঃপর গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রুবিন্দুরা।প্রণয় চাঁদের এরূপ অবস্থায় হতবিহ্বল হয়ে যায়।সে ভাবতে পারেনি এমন কিছু হয়ে যাবে।তবে সে ই বা কেনো নিজের গম্ভীর সত্ত্বাকে ভুলে গিয়ে এমন এক কান্ড ঘটালো যা সে কস্মিনকালেও করেনি?সে কেনো এভাবে এক নারীর সম্মুখে নিজের অন্য সত্ত্বাকে মেলে ধরলো?কেনো এই নারীর কাছে তার গুরুগম্ভীর সত্ত্বা বজায় রাখতে সক্ষম হলোনা সে?এসব ভাবতে ভাবতেই গম্ভীর হয়ে আসলো প্রণয়।হাসি মিলিয়ে গেলো তার।তবে পুরোপুরি গম্ভীর হওয়ার আগেই সে উপলব্ধি করলো চাঁদের ফোপাঁনো।অতঃপর বুঝতে পারলো সে আসলেই বেশি করে ফেলেছে।এবার মেয়েটাকে শান্ত করতে হবে।কিন্তু কিভাবে?এসবতো তার জানা নেই?তবুও নিজেকে ধাতস্ত করে সে চাঁদের হাত ছেড়ে দিয়ে চাঁদের দু’গালে হাত রেখে মুখ উঁচু করিয়ে বললো,
“চাঁদ?মিস চাঁদ?লালগোলাপ?চন্দ্র?এই চন্দ্র দেখুন, দেখুন আমি হাসছিনাতো।এই যে দেখুন আমি আর এসব বলবোনা।আপনি কান্না কেনো করছেন?আপনার মতো মেয়েকে কি কান্নাতে মানায়?সবাইতো আপনাকে স্ট্রং পার্সোনালিটির মেয়ে ভাবে?এভাবে সামান্য একটা বিষয়ে এভাবে কাদবেন আপনি?”
নিজেকে সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাঁদের।অতঃপর না পেরে প্রণয়ের কলার আরও জোরে চে!পে ধরে তার বুক বরাবর মুখ গুজে নাক টেনে চাঁদ বলে,
“প্লিজ আমায় সরাবেন না।সরাবেন না প্লিজ!অতি…অতিরিক্ত রেগে গেলে আমি…আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনা।আমার খুব কান্না পায়।তখন আমি ভা..ভাই অথবা আম্মুর বুকে মুখ লুকাই।প্লি…”
প্রণয় কী করবে বুঝতে না পেরে আগলে নিলো চাঁদকে।অতঃপর মাথায় হাত রেখে তাকে শান্ত করতে বললো,
“সরাবোনা।শান্ত হন চাঁদ।শান্ত হন আপনি”
আশপাশের পরিস্থিতির কথা ভুলে গিয়ে দুই মানব-মানবী একে অপরকে নিজেদের অজান্তেই আলিঙ্গন করে নেয়।চাঁদ তার এক হাত প্রণয়ের কলারে আর অপরহাত দিয়ে প্রণয়ের বাহু খাম!চে ধরে অশ্রু বিসর্জন দিতে ব্যস্ত।অপরদিকে প্রণয়ও চাঁদকে একপাশ দিয়ে জড়িয়ে আরেক হাত মাথায় রেখে তাকে শান্ত করার প্রয়াস চালায়।বেশ কিছুক্ষণ এভাবে থেকে হঠাৎ চাঁদ ছিটকে সরে প্রণয়ের থেকে।খানিকটা ধাক্কা দিয়েই প্রণয়কে ছেড়ে দু’হাত জায়গা রেখে দূরে সরে দাঁড়ায় সে।অতঃপর সকলের দৃষ্টি তাদের দিকে সীমাবদ্ধ দেখতেই মাথা নিচু হয়ে আসে চাঁদের।মুখ মলিন রেখেই প্রণয়কে বলে,
“সরি প্রণয়”
বলেই চলে যেতে নিলে প্রণয় গম্ভীরভাবে বলে,
“দাড়ান চাঁদ”
প্রণয়ের কথা শুনে চোখ তুলে তাকায় তার পানে চাঁদ।অতঃপর প্রণয় যখন তার পাশে এসে কব্জি ধরে আগে বাড়তে নেয় তখন হুশ ফেরে তার।তবে কোনোকিছু না বলে প্রণয়ের সাথে পা মিলিয়ে চলতে থাকে সে।কোথায় যাচ্ছে,কেনো যাচ্ছে অথবা তাদের গন্তব্য কোথায় জানা নেই চাঁদের।সে কেবলই হেটে চলেছে।হাটছে এবং হাটছে আর উপলব্ধি করছে হৃদস্পন্দনের তীব্র গতি।এতো তীব্র কেনো হয়েছে তারা?হৃদযন্ত্র টা কি তবে বেরিয়ে আসবে?মস্তিষ্ক কেমন যেনো ফাকা ফাকা লাগছে তার।কী হচ্ছে,কেনো হচ্ছে কিই বা হবে কিছুই জানা নেই তার।জানতে চায়ও না,ইচ্ছেও করছে না জানতে।মন কাননের আকাঙ্ক্ষা সময়টা থেমে যাক,এখানেই থেমে যাক!
To be continued….