#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৪৭.
সকাল সাতটা,
ধড়ফড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে হাই তুলতে তুলতে ওয়াশরুমে প্রবেশ করে চাঁদ।খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রেডি হয়ে সাতটা বিশের দিকে বের হয়ে যায় কলেজের উদ্দেশ্যে।প্রণয়ের যেহেতু বিদায় হয়ে যাচ্ছে ছেলেটাকে আর বিরক্ত করতে মন সায় দেয় না চাঁদের।প্রণয়ের সাথে কলেজে যেতে যেতে অভ্যাস বিগড়ে গেছে তার।এখন আর একা যেতে ইচ্ছে করেনা।বাড়ির বাইরে এসে জনমানবশূন্য রাস্তা দেখে একটু ইতস্ততবোধ করে সে।অজানাই এক আশংকা হানা দেয় মনে।ঢোক গিলে দোআ-দরুদ পড়ে রিক্সা খোঁজের জন্য হাইওয়ের দিকে হাটা দেয়।পথেই সে ভাবে অবনীকে একবার কল দেবে কিনা?অতঃপর অবনীকে কল দেওয়া মাত্রই সে রিসিভ করে বলে,
“হ্যা বল”
“দোস্ত তুই কি বেরিয়েছিস?”
“হ্যা হাইওয়ের দিকেই আসছি।আজ জলদি যাওয়ার কথা না?”
চাঁদ আমতাআমতা করে বলে,
“একসাথে যাই?”
খানিকটা ঠাট্টা করেই অবনী বলে,
“ক্যান?দুলাভাই বুঝি নিতে আসেনাই?”
লজ্জা পেয়ে ঢোক গিলে চাঁদ বলে,
“না তেমন কিছুইনা।প্রণয়েরতো বিদায় হয়ে যাবে এরপরতো একা একাই আসা লাগবে তাছাড়া আজ একটু ভয় ভয়ই লাগছে।হঠাৎ করেই প্রায় আড়াই বছর পর এভাবে একা আসছি একটু এমন হওয়া স্বাভাবিক না?”
“আমাদের ঝাঁসিকিরানি ভয়ও পায় নাকি?”
ইতস্তত করে চাঁদ বলে,
“ভয় না মানে…”
অতঃপর ঝাঝ দেখিয়ে আবারও বলে,
“এখন তুই কি আসবি?থাক আমিই আসছি”
“ঢং করা লাগবেনা।হাইওয়েতে এসে দাড়া।আমরা আগে যেখানে দাড়াতাম ঐখানটায়।সেখান থেকেই রিক্সা নেবো”
“ইপ্সি আসছে?”
“না।ওর শরীর টা ভালো না।আজ ক্লাসে আসবেনা বললো।একবারে কাল অনুষ্ঠানে আসবে কিনা!”
“ঠিক আছে আসছি”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
কলেজে এসেই সকলকে চলে যেতে দেখে খানিকটা অবাকই হয় চাঁদ আর অবনী।একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করে ইশারায় জিজ্ঞেস করে ‘কী হয়েছে?’ দু’জনই বুঝায় তাদের জানা নেই।অতঃপর নিজেদের ক্লাসের দিকে এগিয়ে অবনী একজনকে জিজ্ঞেস করে,
“কী ব্যাপার তোমরা সবাই চলে যাচ্ছো কেনো?ক্লাস করবেনা?”
ছেলেটা অবনীর কথা শুনে হাটা থামিয়ে তার পানে চেয়ে বলে,
“আজ ক্লাস হবেনা।শুধু যারা দায়িত্বে আছে তারাই থাকবে।এজন্যই সবাই যাচ্ছে”
চাঁদ ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে,
“কিন্তু সাইফ আমিতো প্রায় সব ইয়ারের ছেলেপেলেদেরই চলে দেখে দেখছি?”
সাইফ ছেলেটা জবাব দেয়,
“হ্যা কারণ আজ কারোরই ক্লাস হবেনা।ঘোষণাটা নাকি কালই দিতো।কিছু কারণবশত দেয়া হয়নি।তাই আজ জানিয়ে দিয়েছে।সেজন্যই সবাই যাচ্ছে।থাকবে শুধু তোমরা কয়জন যারা কালকের ফাংশনের দায়িত্বে আছো।পুরো কলেজ খালি করার এটাই কারণ,যাতে সবকিছু আজকে সুন্দরভাবে করতে পারো”
“আচ্ছা আচ্ছা!”
চাঁদের পরপরই অবনী জিজ্ঞেস করে,
“আমাদের ফ্রেন্ডরা কোথায়?ক্যাপ্টেন দলের সবাই?”
“ওরা ক্লাসেই আছে।দু’একজন হয়তো এখনও আসেনি”
“আচ্ছা”
বলেই দ্রুত পা চালিয়ে নিজেদের ক্লাসে প্রবেশ করে তারা।এসেই অবনী হাবিবের কাধে হাত রেখে বলে,
“কিরে আমরা এ কয়জন পারবোতো?”
বুকে থুতু দিয়ে হাবিব বলে,
“শ!য়তান মহিলা!হঠাৎ কেউ অ্যাম্নে ধরে?”
অবনী কুটিল হেসে বলে,
“ভয় পাইছিস নাকি?ফায়ান কোথায়?”
ইফাদ উত্তর দেয়,
“ফায়ান আর ইলা ছাড়া বাকিরা সবাই আসছে”
চাঁদ হাই তুলতে তুলতে বলে,
“আজকে যে ক্লাস হবেনা এটা কাল বললেই হতো।একটু ঘুমাতাম আর এই বইগুলোও আনা লাগতোনা ধ্যাত!”
বলেই লো বেঞ্চে কাধের ব্যাগ রেখে হাই বেঞ্চে গিয়ে দু’হাটুর উপর দু’হাত রেখে বিরক্তি নিয়ে বসে সে।তাকে ঠেলেঠুলে তাদের ক্লাসমেট মেরিনও তার পাশে বসতে বসতে বলে,
“হ্যা!হুদাই ব্যাগ ভরে এত্তগুলা বই আনলাম!ভাল্লাগেনা শা*লার পড়াশুনা আর!কীভাবে যে ফাইনাল ইয়ার পর্যন্ত যাবো মগজেই আসেনা চু*ল!এই চাঁদ এই?প্রণয় ভাই টানা চার ইয়ার টপ ক্যাম্নে করছে রে?”
মেরিনের প্রশ্নে হতবুদ্ধি হয়ে চাঁদ কপাল কুচকে বলে,
“এই কথা আমারে জিগাস ক্যান?”
ঠে!স মেরে তাদের আরেক ক্লাসমেট আবদুল্লাহ বলে,
“তোমারে জিগাইবোনা তো কারে জিগাইবো হ্যা?”
ইফাদও তাল মেলায়,
“সেটাইতো!আফটার অল তুমিই তো প্রণয় ভাইয়ের….ইহিম…ইহিম….”
বলতেই সকলে মুচকি মুচকি হাসে।তখনই দরজার কাছ থেকে ভেসে আসে ইলার কন্ঠস্বর,
“বোকা মেরিন্না রে!তোর নাম মেরিন না হয়ে মোরোন হওয়া উচিত ছিলো!যে নিজেই টানা তিন বছর ক্যাপ্টেন হয়েছে এবং আগামী দুইবছরও হবে।আর যে কিনা নিজেই টপার অফ হোল বিডি হয়ে আসছে তাকে তুই জিগাইতেছিস টপ ক্যাম্নে করে?মোরোন জানি কোথাকার রে!”
বলতে বলতেই মেরিনের ডান পাশের লো বেঞ্চে এসে বসে ইলা।অতঃপর সবাইকে পর্যবেক্ষণ করে বলে,
“ফায়ান কই?আর পুরা কলেজ এমন ভাগতেছে ক্যান?”
হাবিবও তাকে ঠে!স মেরে বলে,
“তোমার বিয়া লাগছে তাই সবাই আয়োজন করতে যাচ্ছে।বুঝোনাই ব্যাপারটা?”
ইলা বিরক্ত হয়ে বলে,
“ম!গজের হালুয়া বানাস নাতো।বল না কী হয়েছে?এই চাঁদ তুইতো বল”
চশমা চোখে ভালোভাবে এঁটে নিয়ে এক হাত হাটুতে রেখেই হাই তুলে অপরহাত গালে চেপে চাঁদ বলে,
“আমি নিজেই এসে দেখি চলে যাচ্ছে।তো হাবিবরা বললো আজ নাকি ক্লাস হবেনা।আমরা যাতে সব আয়োজন কমপ্লিট করতে পারি তাই”
কপাল কুচকে বিস্ময় নিয়ে ইলা বলে,
“কিন্তু আমরা এই সাত-আটজন করবোটা কী ভাই?ফায়ান কই ওকে দেখছিনা কেন?”
ইফাদ বলে,
“তোরা ভুলে গেছিস সবকিছু কেনার দায়িত্ব ওকে দিয়েছিস?”
মনে পড়ার ভঙ্গিতে আবদুল্লাহ বলে,
“খাইছে রে!আমারে কাল যেতে বলছিলো।না জানি ক্লাসে আইসা কোন বো!ম ফাটায় শা*লায়”
“বোম ক্লাসে না তোর মাথায় ফা!টাবো শা*লা!”
বলেই আকস্মিক পিছন দিয়ে এসে আবদুল্লাহর মাথায় হাতে থাকা সমস্ত ব্যাগ দিয়ে বারী মা!রে ফায়ান।মাথায় হাত রেখে মাথা ডলতে ডলতে আবদুল্লাহ ফায়ানের পানে ঘাড় ঘুরিয়ে তীক্ষ্ণ নজরে চেয়ে বলে,
“শা*লার শা!লা”
অবনী ফুসে উঠে বলে,
“এই আমার বন্ধুকে শা*লা বলিস কেন?তোর বোন বিয়ে দিবি নাকি?”
মেরিন সুর টেনে বলে,
“তোমার জ্বলে কেন অবু সোনা?”
চাঁদ প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে বলে,
“অ্যাই তোরা থামতো!এমনেই ঘুম হয়নাই।হয় কাজে লেগে পড় নয়তো এইযে গেলাম বাসায়”
বলেই লো বেঞ্চ থেকে নিজের ব্যাগ নিতে গেলে হাবিব তার ব্যাগ টেনে নিয়ে বলে,
“ক্যান গো খালা?প্রণয় ভাই বুঝি ঘুমাতে দেয়না?”
হাবিবের কথা শুনে মাত্রাতিরিক্ত লজ্জা পায় চাঁদ।দৃষ্টি নত করে এদিক ওদিক চায় লজ্জা কাটানোর জন্য।তা দেখে ইলা বলে,
“যাই বলিস না কেন।আমাদের ঝাঁসিকিরানির সামনে প্রণয় ভাইয়ের কথা বললে তৎক্ষনাৎ যে লজ্জাটা ও পায়,দিল চুরি করে নেয়ার মতো ভাই!আমি মেয়ে হয়েই জ্ঞা!ন হারাচ্ছি।প্রণয় ভাই তো ম!রেই…..”
হঠাৎ করেই চাঁদ চেচিয়ে উঠে বলে,
“একদম চুপ!আজাইরা কথা বলবিনা”
ব্যাস!এই এক কথায় সেখানকার যুবক আর রমনীগণের হাসির আওয়াজে মুখরিত হয় ফাকা ক্লাসরুম।চাঁদ বেশ অস্বস্তিতে পড়ে সে অবস্থায়।সেই অস্বস্তিকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে অবনী বলে,
“প্রণয় ভাই যেই প্রেমিক পুরুষ!এখন থাকলে নিশ্চিত চাঁদের লজ্জার প্রশংসা স্বরূপ কোনো উপন্যাস টাইপ বাক্য রচনা করে ফেলতো।তাই না রে চাঁদ?”
অবনীর কথায় চাঁদের মস্তিষ্ক তাকে স্মরণ করায় প্রণয়ের বলা দু’টো বাক্য,
“সে যখন লজ্জায় লালরাঙা হয়,প্রণয় হয় তখন সবচাইতে বেহায়া,নির্লজ্জ পুরুষ!”
“আমার সামনে লজ্জা কম পাবেন,নয়তো বেসামাল হলে আপনারই বিপদ চন্দ্রময়ী”
অতঃপর হঠাৎ করেই কান গরম হয়ে আসে তার।গাল দু’টো জ্বলে উঠে।লজ্জায় দৃষ্টি নত করে সে।তা দেখে মেরিন বলে,
“নিশ্চিত!নিশ্চিত তুই প্রণয় ভাইয়ার কথা ভাবছিস?”
মেরিনের কথায় সকলে চাঁদের পানে তাকায়।তা বুঝতে পেরে লজ্জায় আরও কুকড়ে যায় চাঁদ।
সন্ধ্যা ছ’টা বেজে তেরো মিনিট,
গগণ তখন সবেই আঁধারের দিকে গ্রাসিত হচ্ছিলো।লালচে আভা তাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিরাজমান।কেমন একটা রক্তিম ভাব তাতে!ঠিক যেনো কারো হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ।কাজ করতে করতে ক্লান্তিতে মাঠের এক পাশে বসে আকাশবিলাস করছিলো চাঁদ।তখনই তার মুঠোফোনটা বেজে উঠে।অতঃপর তাতে দৃষ্টি দিতেই নজরে আসে ‘মি.বিড়াল’ লিখাটার উপর।আনমনেই হাসে সে।কিছুক্ষণ ফোনটা হাতে নিয়েই চেয়ে থাকে নির্নিমেষ।যখন তা বেজে বেজে কেটে যায়,ঠিক তখনই কন্টাক্টলিস্টে গিয়ে ‘মি.বিড়াল’ লিখাটা এডিট করে ‘প্রণয়’ লিখে সেভ করতেই আবারও কল আসে ‘প্রণয়’ লিখা নম্বরটি থেকে।সেকেন্ড দুয়েক বাদেই চাঁদ তা রিসিভ করে মৃদুস্বরে বলে,
“হ্যালো?”
“ওহ চন্দ্রময়ী!কর্ণদু’টো ধন্য হলো বলে!”
প্রণয়ের কথায় লজ্জা পেয়ে দৃষ্টি নামায় চাঁদ।অতঃপর প্রণয়ের হঠাৎ বলা বাক্যে অবাক হয় সে,
“লজ্জা পাওয়ায় একটুর জন্য বিরতি দিন আর আমায় বলুন কোন দিকটায় আছেন আপনি?আমি কলেজের বাইরেই আছি।আসবো”
কপাল কুচকে চাঁদ বলে,
“কলেজে কেনো এসেছেন?আপনাদেরতো আর ক্লাস নেই?”
“হ্যা নেই তো?”
“কিন্তু ভেতরেতো আসতে পারবেন না।সাজানো পুরোপুরি হয়নি।আর কালকের আগে দেখতে পারবেন না,বলে দিলাম!”
“ওসব সাজ টাজ দেখার জন্য মরিয়া হইনি।প্রণয়ের হৃদয় ব্যাকুল শুধু তাকে দেখার জন্য”
ঠোট চেপে মুচকি হেসে চাঁদ বলে,
“কিন্তু আজ আর তা হচ্ছেনা মি.ধলা বিলাই!কালই সেই সৌভাগ্য জুটবে বুঝলেন?”
“অসহায়ত্বের মজা নিচ্ছেন?”
“বলতে পারেন তা ই!”
বলেই খানিকটা উচ্চশব্দে হাসে চাঁদ।তা শ্রবণ হতেই প্রণয় বলে,
“হৃদয়ে তুফানের বেগে আলোড়ন চালানোর জন্য তার ঐ এক ঝংকার তোলা হাসিই যথেষ্ট চন্দ্রময়ী!”
লজ্জা পেয়েও নিজেকে সামলে চাঁদ বলে,
“আচ্ছা আমি রাখছি,কাজ আছে।আপনি আপাতত যান।কালকের আগে আপনার সামনে আসছিনা”
“একটু আসুন না চাঁদ?”
“না না।তা হচ্ছেনা”
ধীরস্বরে প্রণয় বলে,
“একটু?”
চাঁদের মন হয়তো গললো বলে?সেও নিম্নকন্ঠে শুধায়,
“কিন্তু অল্প একটুই শুধু ঠিক আছে?”
“হ্যা অল্প একটুই চলবে।আপনি আসুন তাও”
“আসছি”
কল কাটার জন্য উদ্যত হতেই তার সামনের দিকটায় বাগানের দিকে কোনো কিছুর আওয়াজ পেয়ে সেভাবেই উঠে যায় চাঁদ।কিছুটা এগিয়ে এসে এপাশ ওপাশ করে তাকাতেই ফোন থেকে ভেসে আসে প্রণয়ের কন্ঠস্বর,
“কী হলো?আসছেন?”
অতঃপর আবারও ফোন কানে লাগিয়ে দৃষ্টি অন্ধকার বাগান পানে রেখেই চাঁদ বলে,
“আসছি”
বলেই কল কেটে দিয়ে আরেকবার অন্ধকার জায়গাটুকুতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসহিত পর্যবেক্ষণ করে।অতঃপর চশমা তর্জনী দিয়ে ঠেলে দিয়ে মনে মনে ভাবে ‘হঠাৎ ওখানটায় কিসের আওয়াজ হলো?কী পড়লো ওখানে?বিড়াল টিড়াল?নাকি কোনো মানুষ?’
“কিন্তু বিড়াল কি অতো জোরে পড়ে?”
এসবকিছু বিড়বিড় করতে করতেই কলেজ গেটের সামনে আসে চাঁদ।এসেই পকেটে এক হাত গুজে ডান পা বাম পাশে বাকিয়ে নিয়ে বুড়ো আঙুলের উপর ভর দিয়ে প্রণয়কে লোহার গেটের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনের পানে নজরাবন্দী করাবস্থায় দেখে কিছুক্ষণ এক ধ্যানে তার পানে চেয়ে ডান হাত দিয়ে বুকের বা পাশটায় হাত রেখে তারই পানে চেয়ে খানিকটা অস্ফুটস্বরে বলে,
“হায়!”
অতঃপর মনে মনে শুধায়,
“ম!রে গেলাম তো!”
বলেই চোখজোড়া বুজে নেয় চাঁদ।কিছুক্ষণের মাঝেই হঠাৎ করে কারো উপস্থিতি নিজের ডান পাশে টের পেয়ে চোখ খোলার পূর্বেই ঘাড়ে গরম নিশ্বাস সহ কানের কাছে প্রণয়ের ফিসফিসানো শুনতে পায় সে,
“ম!রেতো আমি প্রতিনিয়তই যাই মিস রেডরোজ”
হঠাৎ বলা প্রণয়ের এরূপ কথা শুনে ঝট করে চোখ খুলে তার পানে বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে তাকায় চাঁদ।অতঃপর কিছু বলতে উদ্যত হতেই প্রণয় তাকে আটকে দিয়ে বলে,
“কোনো কথা না”
বলেই চাঁদের কাছ থেকে সরে এসে তার হাত ধরে টেনে আগের তুলনায় কিছুটা কাছে এনে দাড় করিয়ে আবারও গিয়ে গেটের সাথে একই ভঙ্গিতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে তার পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বলে,
“তৃষ্ণা মেটাতে দিন”
বলেই পলকহীনভাবে তাকিয়ে থাকে চাঁদপানে।চাঁদের দূরত্ব তার থেকে কেবল দু’হাতের।
To be continued…..