‘নিজের হবু বর হিসেবে বড় বোনের দেবর এমপি মহোদয় কে দেখে হকচকিয়ে গেলো রুয়াত। যদিও এখন তার বিয়ে করার কোনো রকম ইচ্ছে নেই তবুও মা ও বড় আপুর কথায় পাএ পক্ষের সামনে যেতে রাজি হলো। কিন্তু এমন কাহিনী হবে ভাবেনি সে। এই এক লোক যার সাথে রুয়াত কখনো কথা বলেনি। আবার বিয়ে তাও এই লোকের সাথে সে আসলে ভাবতে পারছে না।’
-‘ শুনুন হান্নান সাহেব আপনার বড় মেয়ের পাশাপাশি ছোট মেয়েকে ও আমি দিব্যি ভালো লাগে। আশা করছি আপনার ছোট মেয়েকে ও আমাদের ঘরে তুলে দিতে কোনো আপত্তি করবেন না।’
‘হান্নান সাহেব এক প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। দুই মেয়েই তার ভীষণ আদরের। মেয়েদের নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসেন তিনি। যদিও ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি তিনি ভাবেননি। মেয়ে বড় হবে তখন বিয়ে নিয়ে ভাববেন কিন্তু হঠাৎ এহেন প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলেন।’
-‘ না ভাই কি যে বলছেন। আপনার দুই ছেলে এতো ভালো মাশাআল্লাহ। আমার মেয়েরা সুখি থাকুক এটাই চাই।’
‘ফজলুল চৌধুরী শব্দ করে হাসলেন। মনে থেকে তিনি বেশ খুশি ছোট ছেলের আবদার পূরণ করতে পেরে।’
-‘ তাহলে আরকি এখন মিষ্টি মুখ করা যাক।’
‘সবাই যেনো খুশিতে আত্নহারা। রুয়াতের পাশে দাঁড়ানো ইনিমা হাসছে অবশেষে তারা দু বোন একসাথে থাকবে।’
[রুয়াত ফাইরোজ তয়ত্রী। এবার এইচএসসি ক্যান্ডিডেট সে। হান্নান মজুমদার আর মেহরুবা ফাইরোজ এর ছোট মেয়ে। ইনিমা ফাইরোজ রুয়াতের বড় বোন। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় আরহাম ত্বায়ীম চৌধুরীর সাথে। তাদের ছোট্ট সংসারে এক পুচকে ও আছে। আয়াজ ত্বায়ীম চৌধুরী ফজলুল চৌধুরী ও মায়া চৌধুরীর সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র। তাদের ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি রাজনীতিতে যুক্ত আছে। সংসদ সদস্য সে। চারপাশে বেশ জনপ্রিয়তা তার।]
‘সবার সামনে ঘোমটা টেনে বসে রইলো রুয়াত। মেয়েটা বরাবরের মতোই লাজুক সহজ সরল। আর তার এই সহজ সরলতাই ঘায়েল করে আয়াজ ত্বায়ীম কে। ছোট জাফরি তার চাচ্চুর কোল থেকে নেমে তার একমাত্র মিম্মির[রুয়াত] কোলে আসলো।
আয়াজ বেশ আয়েশ করেই বসেছে সামনে তার সেই ছোট্ট প্রেয়সী ঘোমটা টেনে বসে আছে। মুচকি মুচকি হাসছে সে। অবশেষে তার কল্পনার প্রেয়সী কে বাস্তবে পরিণত করবে।’
‘জাফরি রুয়াতের কোলে উঠে বসলো। রুয়াত জড়িয়ে ধরে আছে। বাচ্চাটাকে এতো আদুরে লাগে। দেখলেই মন চায় সারাদিন এভাবে জড়িয়ে ধরে বসে থাকতে। আয়াজ স্থির চোখে রুয়াত আর জাফরির দিকে তাকিয়ে আছে। রুয়াত সে প্রথমে একবার তাকানোর পর আর তাকায়নি। সাহস দিচ্ছে না তাকানোর।’
‘ হান্নান মজুমদার ফজলুল সাহেব কে বললো-‘
-‘ ভাই আমার একটা আবদার আছে।’
-‘বলুন। ‘
-‘আসলে মেয়েটার তো এখনও এইচএসসি ও শেষ হলো না আমি চাই এইচএসসির পর বিয়েটা হোক।’
‘ফজলুল চৌধুরীর কপাল কুচকে এলো। এ কথায় তো তিনি রাজি কিন্তু তার ছেলের মতামত ও লাগবে।’
-‘জ্বী অবশ্যই। তবে আমার ছেলে কি বলে সেটা তো তার কাছ থেকে জানা উচিৎ!’
‘আয়াজ দৃষ্টি হান্নান সাহেবের দিকে নিলো। যেহেতু রুয়াতের এইচএসসি সামনে তাই সে কোনো রকম চিন্তা ভাবনা ছাড়াই বলে দিলো।’
-‘সমস্যা নেই। ওর পরীক্ষা শেষ হোক আগে।’
‘ইনিমা সবাইকে বলে রুয়াত কে ভিতরের রুমে নিয়ে আসলো। রুয়াত মেহরুবা মজুমদার কে ধরে কান্না জুড়ে দিলো একদম। মেয়েকে শান্ত করার চেষ্টায় আছে। রুয়াতের মনের ভিতর এক অজানা কষ্ট এসে হানা দিচ্ছে। দু’মাস পর এইচএসসি তারপরই বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুড় বাড়িতে পাড়ি জমাতে হবে।’
‘ইনিমা বিরক্ত হয়ে গেলো। কোথায় রুয়াত খুশি হয়ে হাসবে তা না আরও কাঁদছে তার মাকে ধরে। মায়ের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে রুয়াত কে সোজাসুজি দাঁড়া করালো।’
-‘কাঁদছিস কেনো বোন?’
-‘আপু আমি বিয়ে করবো না।’
‘ইনিমা বিরক্ত এই কথা শুনে শুনে। সে রাত থেকে শুরু করেছে বিয়ে করবো না বিয়ে করবো না।’
-‘আচ্ছা বুঝেছি নতুন কিছু বল। আমি সত্যিই বিরক্ত রুয়াত। রাতে তো আর জানতি না যে কে তোর বর হবে এখন তো জেনেছিস। এখন বল কেনো বিয়ে করতে চাচ্ছিস না? আমার দেবর কে কি তোর পছন্দ হয়নি?’
‘রুয়াত নাক টেনে বললো-‘
-‘ওনি কখনো আমার সাথে কথা বলেনি। বছরে দু একবার আর টিভিতে ছাড়া কখনো দেখিও নি। মানুষটা তো আমার সাথে কথা বলতে আসেনি। আবার তিনি পলিটিক্স করে। আপু তুমি জানো না আমার পলিটিক্যাল লোকদের ভালো লাগে না?’
-‘সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটা কথা বলি? আমি তো আয়াজ কে পাঁচ বছর ধরে দেখেছি। যথেষ্ট ভালো ছেলে। হ্যাঁ মানছি তোর সাথে কথা বলেনি কোনোদিন কিন্তু মনে মনে তো ঠিকই ভালোবেসেছে। নাহলে কি আর বিয়ের জন্য তোকে পছন্দ করেছে? আর পলিটিক্স বাদ দে তোর জিজুও তো এসব করে আমার সাথে কি তার কখনো কিছু হয়েছে? আমার তো পলিটিক্যাল লোকদের ভালো লাগে। তুই তো আমারই বোন তাহলে তোর সাথে আমার এতো পার্থক্য কেনো বল তো?’
‘রুয়াতের কানে শুধু ওই ভালোবাসার কথাটা ভাসছে। মানে কি? ভালোবেসেছেন অথচ বলেনি কখনো! এটা আবার কেমন কথা? ভেবে পায় না রুয়াত।’
-‘ ভালোবেসেছেন? কখন থেকে? আশ্চর্য আমি তো জানি না?’
‘ইনিমা রুয়াতের মুখ চেপে ধরলো। তাদের মা এখানে দাঁড়িয়ে আছে তো। এই খেয়াল ওর কি নেই? মেহরুবা রুম ত্যাগ করলেন। দু’বোনের এসব কথায় তিনি থাকতে চান না।’
-‘ভালোবাসার কথা একটু পরে বলতে পারলি না? মা শুনেছেন তো। তোর জন্য আমার ইমেজটাই নষ্ট হলো।’
‘রুয়াত ভ্রু কুচকালো। একি তার বোনেই তো সবার আগে এ কথা বলেছে। এখানে সম্পুর্ণ দোষী সে। কি সুন্দর নিরীহ ছোট বোনটা কে ফাঁসিয়ে দিলো।’
‘রুয়াত মিনমিন করে বললো-‘
-‘ তুমিই তো আগে বলেছো কথাটা?’
-‘ আচ্ছা হয়েছে চুপ কর। এ নিয়ে আর একটাও কথা বলবি না। বিয়ের পর তার মুখ থেকেই শুনিস। আপাতত রাজি হয়ে যা।’
‘রুয়াতের মন সায় দিচ্ছে না। সে কিছুতেই মানতে পারছে না। সবাই সবার মতামত নিয়ে রাজি হয়ে গেলো। কই তাকে তো কেউ জিগ্যেস ও করলো না। মন ক্ষুন্ন হয়ে গেলো তার।’
‘রুয়াত কে চুপ থাকতে দেখে ইনিমা বললো-‘
-‘আহারে চুপ আছিস কেনো?’
‘রুয়াতের দৃষ্টি মেঝেতে। তার বোন কে আসলে কি বলা উচিৎ?’
-‘আপু সবাই সবার মতামত নিলো আমাকে তো কেউ একটিবার জিগ্যেস করার ও প্রয়োজনবোধ করলো না। ‘
-‘ সে জন্যই তো আমি জিগ্যেস করছি। তুই কি রাজি না? শুন আমি বরাবরের মতোই বলছি আয়াজ খুব ভালো ছেলে। হয়তো প্রচুর গম্ভীর স্বভাবের কিন্তু সবাই কে খুব সম্মান করে। আয়াজের মতো ছেলে আর একটা হয় না। তুই তো তাকে চিনে উঠতে পারিস নি তাই রাজি হচ্ছিস না। বাসার ভিতরে সে যেমন বাহিরের সবার কাছে সে খুব জনপ্রিয়। এমন কোনো লোক নেই যে তোর অনাগত স্বামী কে চিনে না। আরে বোন তুই একজন এমপির বউ হচ্ছিস এর চেয়ে ভালো আর কিইবা চাওয়ার আছে। আমার তো মনেহয় তুই শুধু রাজি না অন্য কোনো মেয়ে হলে সাথে সাথে কবুল পড়ে ফেলতো।’
‘রুয়াত জানে এমন পলিটিক্যাল লোকদের এখনকার প্রজন্মের মেয়েদের ভীষণ পছন্দের। তবে কেনো জানি রুয়াতের এসব পছন্দ না।’
-‘আমি সবার মতো না।’
‘ইনিমা এক দীর্ঘ গতিতে নিঃশ্বাস ছাড়লো। ছোট বেলা থেকেই রুয়াত কথা কম বলা লাজুক মেয়ে। কিন্তু ভীষণ ত্যা’ড়া সে। এক কথা সহজে মেনে নিতে পারে না।’
-‘জানি তুমি তো অন্য মেয়ের মতো না। তোমার মানসম্মান বোধ খুব বেশি। এক কথা সহজে মানতে চাও না।’
‘রুয়াত মাথা নিচু করে ফেললো। ইনিমা রুয়াতের গালে হাত রেখে বললো-‘
-‘ কেউ তোর খারাপ চায় না। আমিও না। তুই বস এখানে আমি আসছি।’
‘অতঃপর ইনিমা চলে গেলো। রুয়াত মাথার ঘোমটা ফেলে মায়ের খাটে বসলো। খাটের পাশেই জানালা থাকাতে সেদিকটায় তাকিয়ে রইলো। তার এই মুহুর্তে মনে হলো প্রকৃতিই মানুষ কে আসল সুখ দান করতে পারে।’
‘ইনিমা আয়াজ কে নিয়ে আসতে গিয়েছে। রুয়াতের সাথে আয়াজের একান্ত কিছু কথা বলার দরকার আছে।’
‘ইনিমা আয়াজ কে নিয়ে রুয়াত যে রুমে আছে সেখানে নিয়ে গেলো। রুয়াত এক দৃষ্টিতে বাহিরে তাকিয়ে আছে। মৃদু বাতাস যে তার ব্যাক্তিগত প্রেয়সী কে ছুঁয়ে দিচ্ছে সে খেয়াল কি আছে তার? দরজার বাহিরে ইনিমা আর আয়াজ দাঁড়িয়ে আছে।’
‘ইনিমা আয়াজ কে নিয়ে রুয়াতের সামনে দাঁড়াতেই সে একদফা ভয় পেয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি শাড়ির আচঁল টেনে মাথায় দিলো। আয়াজ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। চোখেমুখে একরাশ গম্ভিরতা।’
-‘শুনুন দেবর সাহেব জাতির মন তো আপনি আগেই পেয়েছেন। এবার আপনার হবু বউয়ের মন পাওয়ার চেষ্টা করুন। নাহলে আপনাকে আমি এতো বড় এমপি হিসেবে মানতে নারাজ থাকবো। সংসদ সদস্য হয়েছেন এবার বউয়ের মনের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ আপনার।’
‘রুয়াত মাথা নিচু করে আছে। তার বোন এসব কি বলছে? লজ্জা লাগছে তো! আয়াজ তার চোখমুখের গম্ভিরতা এখনো কমায় নি।’
-‘ভাবি আসলে কি বলতে চাচ্ছেন বুঝতে পারিনি?’
-‘ এই যা এতো বড় নেতা হয়ে লাভ কি হলো? সামান্য কথাও বুঝতে পারেননি আপনি? আপনার হবু বউ কেনো বিয়েতে মত দিতে পারছে না সেটা আপনি তাকে একটু জিগ্যেস করুন তো। আমি গেলাম নিচে। আশাবাদী ভালো কিছুই শুনবো।’
‘এই বলে ইনিমা চলে গেলো। এইদিকে রুয়াত তো ভয়ে লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। আয়াজ তার দুটো হাত বুকে গুঁজে দাঁড়ালো। এতো বছর কষ্ট করেছে রুয়াতের জন্য সে আর এখন বিয়েতে রাজি হচ্ছে না? এই কথা আয়াজ মেনে নিবে না। এর যথাযথ উত্তর দিতে হবে তার। ‘
-‘ বিয়েতে রাজি না হওয়ার দু’টো কারণ শুনতে চাই আমি। আশা করছি কোনো রকম ভনিতা ছাড়াই উত্তর দিবেন। যেহেতু আপনি একটু লাজুক মনের মানুষ ভনিতা করতেই পারেন তাই শব্দটি আগে আগেই উচ্চারণ করা। এবার আমার উত্তর চাই।’
‘রুয়াত যেনো খিঁচে এলো। শাড়িটাকে শক্ত করে ধরলো। তার আপুর বিয়ের পাঁচ বছর পর এই প্রথম লোকটি তার সাথে কথা বললো। ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না ঠিক। আবার একদম সরাসরি উত্তর দিতে বলছে।’
‘কয়েক মিনিট পার হয়ে গেলো কিন্তু রুয়াতের উত্তর দেওয়ার কোনো খবর নেই। এক জিনিস দু’বার রিপিট করা তার মোটেই পছন্দ নয়। এটা যদি তার কোনো পলিটিক্যাল মিটিং হতো তাহলে তার সব রাগ তার সহকারীদের উপর ঝা’ড়ি দিত। প্রেয়সীর সাথে এই প্রথম কথা এহেন কান্ড বাঁধাতে চায় না সে। খুব ধৈর্য সহকারে কথা বলতে হবে।’
-‘উত্তর নেই?’
‘রুয়াত তাও কিছু বললো না। আয়াজ আর পারছে না এতো ধৈর্য নিয়ে থাকতে। গম্ভীর কন্ঠ ছাড়লো।’
-‘ উত্তর নেই আচ্ছা মেনে নিলাম। তাহলে আপনিও তৈরি থাকুন আপনাকে এই বিয়ে করতেই হবে। আর আজই বাগদান সম্পন্ন করা হবে।’
‘রুয়াতের বুকটা ধক করে উঠলো। এমনটা তো হওয়ার কথা ছিলো না। কি যে বলছে এই মানুষটা ভেবে পায় না সে।’
‘অবশেষে রুয়াত মুখ খুললো।’
-‘আপনি যে পলিটিক্স করেন এটা আমার পছন্দ নয়।’
-‘ আর?
‘রুয়াত মাথা নাড়লো। আর কিছু বলার নেই তার। আয়াজ রুয়াতের বরাবর চোখ রেখে বললো-‘
-‘এটা আমার রক্তের সাথে মিশে গিয়েছে ছাড়তে পারবো না। আর একটি উত্তর পাইনি। আমি কিন্তু দু’টো কারণ জানতে চেয়েছিলাম একটি দিতে আপনি পারেননি। তাহলে ধরে নিন আপনাকে আমার জীবন সঙ্গী হিসেবেই কাঁটাতে হবে। ধন্যবাদ আসি এখন।’
‘আয়াজ চলে গেলো নিজের উত্তর দিয়ে। অপর পাশের মানুষের ও তো মন্তব্য শোনা লাগবে। নিজের ভাষন শেষ আর চলে গেলো। রুয়াত আয়াজের পানে চেয়ে রইলো। যা বুঝলো তার আপুর কথাটিই ঠিক প্রচুর গম্ভীর লোকটা। রুয়াত আবার খাটে বসে পড়লো। এখনো তার এইচএসসির দু’মাস সময় আছে। এই দু’মাসে সে দেখবে নিজের মন কে পরিবর্তন করতে পারে কিনা! কিন্তু আজ বাগদান সম্পন্ন হবে এটা আর হজম হলো না তার। হাঁটু মুড়ে তাতে মাথা দিয়ে বসে রইলো। এক নতুন জীবনের সূচনা হবে হয়তো আজ।’
#চলবে
#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
#পর্ব_০১
#মোহনা_হক
[আসসালামু আলাইকুম। প্রায় এক মাস পর নতুন একটা গল্প শুরু করেছি। আশা করি আয়াজ আর রুয়াত কে আপনাদের পছন্দ হবে। আমার ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শব্দসংখ্যা ১৬০০+]