#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৫৮.
“এই বেয়াদব মেয়েটা এখানে কী করছে আহিন?একে কেনো এনেছো তুমি?”
অধিরাজ শেখের কঠিন বাক্যে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তার পানে চাইতে বাধ্য হয় চাঁদ।চাঁদের অগ্নিদৃষ্টি যেনো অধিরাজ শেখের শরীরে আ!গুন ধরিয়ে দিলো।তিনি ফের আহিনকে বললেন,
“এই মেয়েকে এক্ষুনি এখান থেকে যেতে বলো।যেতে বলো আহিন”
তখনই অরণ চাঁদের হাত শক্ত করে ধরে অধিরাজ শেখকে বলে,
“আংকেল চাঁদকে আমি এনেছি।আহিনেরও এতে কোনো সমস্যা নেই”
গম্ভীরভাবে অধিরাজ শেখ বলেন,
“প্রশ্নটা আমি আহিনকে করেছি”
অধিরাজ শেখের কথা শুনে তৎক্ষনাৎ আহিন বলে,
“আমিই ওদের দুইজনকে আসতে বলেছি বাবা।দুজনই বেশ ভালো করে মেডিকেলের ব্যাপারে আমায় জানাতে পারবে তাই”
“মেডিকেল নিয়ে তোমার এতো আগ্রহ কেনো?পলিটিক্স থেকে মন উঠে গেছে?”
“তেমন কিছুই না বাবা”
“তুমি কি ভুলে গেছো এই মেয়ে তোমার সাথে…”
নিজের বাবাকে থামিয়ে দিয়ে আহিন বলে,
“পুরোনো কথা মনে করতে চাই না বাবা”
“পুরোনো মানুষকে তবে বর্তমানে আসতে দিচ্ছো কেনো?”
“প্লিজ বাবা এই টপিকে আর কথা বলতে চাচ্ছি না আমি”
“মেয়েটাকে যেতে বলো”
বাবার জেদ দেখে আহিন খানিকটা পিছিয়ে চাঁদের কাছে এসে তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে হাত ধরে বলে,
“চলো চাঁদ।কারো কথায় কান দিতে হবেনা”
বলেই অরণসহ তিনজনে একসঙ্গেই ভেতরের দিকে এগোয়।আর অধিরাজ শেখ ছেলের এহেন কান্ডে চোয়াল শক্ত করে ভেতরে যাবার বদলে জায়গা প্রস্থান করেন,সাথে তাঁর সাঙ্গ-পাঙ্গের সকলেই।
ভেতরে এসেই চাঁদ আহিনকে বলে,
“আপনার আংকেলকে এভাবে বলা ঠিক হয়নি আহিন”
চাঁদের দিকে চেয়ে আহিন বলে,
“আমি আমার বাবাকে ভালো করেই চিনি।এবং এজন্যই কাজটা করেছি”
চাঁদ আহিন আর অরণকে অন্যদিকে নিতে নিতে ফিসফিসিয়ে বলে,
“কিন্তু এতো মানুষের মাঝে আমি বা অরণ যা করতে এসেছি তাতো সম্ভব না”
“চিন্তা করোও না।বাবা এতক্ষণে চলেও গেছে জানি আমি।আর আমি আমার দলকে নিয়ে অন্যদিকটায় যাচ্ছি।তুমি অরণকে নিয়ে অন্যদিকে যাওয়া।কাজ হলে আমায় কল বা টেক্সট করও।আমি সেদিকে যাবো তারপর তুমি এদিকটায় আবার দেখে নিও,ঠিক আছে?”
লম্বা শ্বাস নিয়ে চাঁদ কৃতজ্ঞতার সহিত বলে,
“আপনার এই ঋণ…..”
খানিকটা হেসে আহিন বলে,
“আপাতত তোলা থাক।কখনো সুযোগ হলে শোধ করে দিও”
অতঃপর নিজের দলবলকে নিয়ে অন্যদিকে যেতে লাগে আহিন।চাঁদ আর অরণও তাদের সাথেই ছিলো তবে সুযোগ পেয়েই তারা আড়াল হয়ে যায় আর অপরপাশটায় চলে আসে।
বেশ মনোযোগ সহিত দুজনই দুজনের চশমা বারবার ঠেলেঠুলে আশেপাশে এবং ঘাসের উপর কি যেনো খোঁজার প্রয়াস চালাচ্ছে।তবে এমন কিছুই তারা খুঁজে পাচ্ছেনা যা তাদের কাজে লাগবে অথবা লাগতে পারে।কোনোপ্রকার প্রমাণ তারা এখান থেকে যোগাড় করতে পারছেনা।হতাশ হয়ে চাঁদ সেখানেই বসে পড়ে হাপাতে থাকে।চাঁদকে এভাবে বসতে দেখে অরণও তার পাশে বসে বলে,
“কী হলো?”
“কিছুই পেলাম না।ভালো লাগছেনা”
“কথাটা তিক্ত হলেও সত্য যে কোনো অপরাধীই অপ!রাধ করে সেখানে নিজের বিরুদ্ধে প্রমাণ রেখে যাবেনা অবশ্যই।আমরা অযথাই আসলাম”
অরণের পানে চেয়ে চাঁদ বলে,
“এটাও কিন্তু সত্যি যে অপরাধী অ!পরাধ করে একটা না একটা ভুল অবশ্যই করে যায়।শুধু নিখুঁতভাবে তা খোঁজার অপেক্ষা মাত্র”
“তাহলে চলো এখানে বসে না থেকে ঐপাশটায় যাই।খুব সম্ভবত এখানে কিছু নেই”
“আমারও তাই মনে হচ্ছে।আম্বিয়া আপুর লা*শটাও তো সেই দিকটায়ই ছিলো।আরেকটা কথা অরণ”
“বলো?”
“আমি আম্বিয়া আপুর মতো সেই মেয়েটাকে আবার দেখেছি এবং এবার কথাও বলেছি”
“মানে?কিসব বলছো?তোমায় কিছু করেনিতো?”
“না।জানি শুনলে রাগ করবেন তাই আপাতত কিছু বলছিনা।আমি আরও কিছু জেনে নেই তারপর আপনায় সবটা বলবো”
কপাল সামান্য কুচকে অরণ বলে,
“তুমি আসলে করতে টা কী চাচ্ছো বলোতো?”
“সময় হলেই জানাবো।তাছাড়া আমি দুঃখিতও ভীষণ আপনার কাছে”
ভ্রুযুগোল কুঞ্চিত করে অরণ শুধায়,
“আর সেটা কেনো?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাঁদ বলে,
“এই যে আমার জন্য আপনার ইন্টার্নশিপে সমস্যা হচ্ছে”
“না তেমন কিছুই না”
“আমার জন্য আপনার বেস্ট ফ্রেন্ডসহ বন্ধুবান্ধবের সকলেই আপনায় সন্দেহ করছে এমনকি ক্যারেক্টার নিয়েও প্রশ্ন তুলছে”
“আমি আমার বন্ধুবান্ধবদের চিনি চাঁদ।ওরা কেউই আমায় বা তোমায় সন্দেহ করছেনা,কেনোনা ওরা জানে আমাদের মাঝে কিছুই সম্ভব না।আর প্রণয় যেটা করছে তা নিতান্তই জেলাসিবশত করছে”
প্রসঙ্গ এড়াতে চাঁদ বলে,
“চলুন যাওয়া যাক।ঐপাশটায় যাই।আমি আহিনকে কল দিয়ে বলছি”
“টেক্সট দাও।দিয়ে মিসডকল দাও।নাহয় কেউ সন্দেহ করবে”
“ঠিক আছে”
অরণের কথা মোতাবেক তাই করে চাঁদ।অতঃপর তারা আসে বাগানের অপরপাশটায়।এসে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে চাঁদ অরণকে বলে,
“এই অরণ?এখানে না আপুর লা*শ ছিলো?কোথায় গেলো?র*ক্তের ছিটেফোঁটাও নেই?”
সামান্য হেসে অরণ বলে,
“তোমাকে দেখে বোকা মনে হলেও ততটা বোকা মেয়েতো তুমি নও চাঁদ।এতো বিচক্ষণ হয়েও এ কথা কী করে বলছো?”
“মানে?”
“আরে বোকা মেয়ে,ওরা কী জেনেশুনে নিজেদের বিপদে ফালাবে?এখনো সেসব রেখে দেবে?”
“ওহ সরি!আমি ভাবিনি সেটা”
“আচ্ছা এখন দেখো কোনো ক্লু পাও কিনা।হতে পারে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কিছু ফেলে গেলো”
“হ্যা দেখছি”
অতঃপর দুজনে আবারও প্রাণপন চেষ্টা করে যেনো ছোট্ট একটা হলেও কোনো প্রমাণ তারা পাক যার বদৌলতে সামনে আগানো যাবে।এবং সম্ভবত অরণ তা পেয়েও যায়,পায় কিছু একটা চাঁদও।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রাজ ভিলায়,
লোকসমাগম শুরু হয়েছে ঘন্টাখানেক পূর্বেই।তবে আজ এক নতুন মুখের সাথে পরিচিত হয়েছে চাঁদ।লোকটার মুখে মাস্ক,পরণে এবং মাথায় কালো রঙের পোশাক।শুধু চোখদুটোই দেখা যাচ্ছে।চাঁদ মনে মনে ভাবছে সম্ভবত এই লোকটাই মাস্টারমাইন্ড হতে পারে।নাহয় নিজেকে এতো লুকাবার কীই বা প্রয়োজন?সে কিছু একটা পরিকল্পনা করে শরবতের গ্লাসগুলো নিয়ে সেই লোকটার দিকে এগিয়ে যায়।অতঃপর একে একে সবাইকে শরবত দিয়ে লোকটার দিকে যেয়েই সাবধানতা অবলম্বন করে তার গায়ে শরবের গ্লাস ফেলে দেয়।লোকটা তাতে ভ!ড়কে গিয়ে চেচিয়ে উঠে।কালো রঙের ব্লেজারটা ঝাড়তে ঝাড়তে তর্জনী উঁচিয়ে বলে,
“ইউ বু!লশিট গার্ল!এই আম্বিয়া?আম্বিয়া?এই মেয়েটাকে কে এনেছে এখানে?এমন কুৎসিত মেয়ে এখানে কী করে?”
আম্বিয়ারূপী মেয়েটা তৎক্ষনাৎ নিজ কক্ষ হতে বেরিয়ে বলে,
“কা…কী হয়েছে স্যার?কোনো সমস্যা?”
“ইয়েস অফ কর্স!হু’জ দিজ গার্ল?এমন কালো আর অদ্ভুত মেয়ে এখানে কী করছে?এই মেয়েতো আমার ব্যবসা লাটে উঠিয়ে দেবে।একে দেখলেতো আমার কাস্টমারেরা আর এদিকে আসবেওনা।একে এক্ষুনি বের করো”
আম্বিয়া বলে,
“স্যার আসলে হয়েছে কী মেয়েটা গরীব।লিমা এনেছে,আমারও মায়া হলো”
গম্ভীরভাবে লোকটা বললো,
“এটা মায়া করার জায়গা নয় আম্বিয়া”
“জানি স্যার কিন্তু মেয়েটা গতকালই এসেছে।আর আড়ালে আড়ালেই থাকে।কাস্টমার নিয়ে চিন্তা করবেন না।যদি এই মেয়েটাকে কারো পছন্দ হয় এই মেয়েও এসব করবে।আর দেখুন না কি নিখুঁত মুখশ্রীর মেয়েটা।বেশভূষা এমন বলে আজব লাগছে।তবে মেয়েটার চেহারা-সুরত খারাপ না।ভালোভাবে দেখুন স্যার”
আম্বিয়ার কথায় লোকটা চাঁদকে আপাদমস্তক পরখ করতে লাগে।বেশকিছুক্ষণ চাঁদের মুখপানে তাকিয়ে থাকে সে।চাঁদের দৃষ্টিও লোকটার পানেই ছিলো।ঠিক তার চোখ বরাবর।চোখে চোখ পড়তেই চাঁদ তা সরিয়ে ফেলে।লোকটা তাও তারই দিকে তাকিয়ে আছে।তা বুঝতে পেরে বেশ অস্বস্তিবোধ করে চাঁদ।লোকটা গলা খাকারী দিয়ে বলে,
“একে যেতে বলো এক্ষুনি।আমার কাস্টমারদের সামনে যেনো না আসে।যদি কেউ বিষয়টা অপছন্দ করে তো তোমাকে এবং লিমা দুজনকেই এর শা*স্তি পেতে হবে সাথে এই মেয়েটাকেও”
আম্বিয়া মেয়েটা চাঁদকে বলে,
“যাও মহুয়া তুমি তোমার রুমে যাও।এখানে এসোনা,দরকার পড়লে আমি ডাকবো তোমায়”
“ওকে উনাউনু” [ঠিক আছে আপু]
চাঁদের কন্ঠস্বর শুনে লোকটা আরেকদফা তার পানে তাকায়।তাকিয়ে তার মুখশ্রী পর্যবেক্ষণ করে।অতঃপর পিছু ঘুরে চাঁদ চলে যেতে আরম্ভ করলেই লোকটার দৃষ্টি গিয়ে আটকায় চাঁদের অর্ধোন্মুক্ত পিঠের দিকে।সাথে সাথে সে দৃষ্টি নত করে।হঠাৎ করেই তার হাশফাশ লাগা শুরু হয়।সে আম্বিয়ারূপী মেয়েটার কানে কি যেনো বলে প্রস্থান করে।আর চাঁদ নিজের রুমের দিকে এসে দরজার আড়ালে লুকোয় সবটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য।এবং তার নজরে আসে একের পর এক আসা বহু পুরুষের আগমনের দিকে।তারা এসেই হয় সেখানে থাকা মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন রুমে ঢুকছে নয়তোবা একাই রুমে ঢুকে দরজা আটকে দিচ্ছে।আর চাঁদ জানে রুমের ভেতর আগে থেকেই মেয়ে আছে।হতাশার নিশ্বাস ছাড়ে চাঁদ।সে ভেবে পায়না এসব করার মানে কী?কী লাভ এসব করে?কীই বা সে পাবে যে এসব করছে?কেনোই বা করছে?কী উদ্দেশ্য তার?ঠিক তখনই নজরে আসে লিমার পাশে এক লোক দাঁড়িয়ে তার পেটে হাত রেখে তাকে নিয়ে লিমার রুমের দিকে যেতে লাগলো।অতঃপর রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো।দৃশ্যখানা দেখে লিমাকে স্বাভাবিকই মনে হলো তবে স্বাভাবিক থাকতে পারলোনা চাঁদ।তার দম ব*ন্ধ হয়ে আসছে।নিশ্বাস নিতে ক*ষ্ট হচ্ছে ভীষণ।এ কোন গোলক ধাধায় পড়েছে সে?কবে এসবকিছুর রহস্য সে উদঘাটন করবে?কবে সবাইকে মুক্তি দেবে এখান থেকে?এখন নিশ্চয়ই বর্বরদের ন্যায় লিমার উপর হাম!লে পড়বে লোকটা?লিমা কি চিৎকার করবে?নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে?নাকি সবটা মেনে নেবে?উত্তর চাঁদের ষষ্ঠ ইন্দ্রীয়ই তাকে দিয়ে দিলো।উত্তরটা ঠিক এরকম যে ‘হ্যা এছাড়া আর যে উপায় নেই!মেনে নেওয়া ছাড়া এখন আর কিছুই করার নেই’।চাঁদের পক্ষে আর কিছু দেখা সম্ভব হলোনা।দীর্ঘশ্বাস ফেলে দরজা বন্ধ করতে নিলেই নজরে আসে কালো পোশাকে আবৃত আরেকজন লোককে।প্রথমে চাঁদ ভেবেছিলো প্রথম লোকটাই।কিন্তু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর সে লক্ষ্য করলো আগেরজন বেশ লম্বা আর সুঠামদেহী ছিলো আর এখন যে এসেছে সে আগেরজনের তুলনায় খানিকটা খাটো।হাতে গ্লাভস নেই,যার দরুন খানিকটা কুচকানো চামড়াও চাঁদের নজরে এলো।সে বেশ বিপাকে পড়ে গেলো মাস্টারমাইন্ডকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বেশকিছুদিন পরের কথা,
অরণের সাথে চাঁদের দেখা হচ্ছেনা বলে ক্লাস পিরিয়ড চলাকালীনই অরণ চাঁদের ক্লাসের বাইরে এসে দাঁড়ায়।অপেক্ষা করতে লাগে পিরিয়ড শেষ হওয়ার।অতঃপর স্যার ক্লাস থেকে বের হতে নিলেই অরণকে দেখে বলেন,
“কিরে অরণ?ইন্টার্নশিপ কেমন যায় তোর?”
অরণ মৃদু হেসে বলে,
“এইতো স্যার,যাচ্ছে বেশ!”
“কী নিয়ে ইন্টার্নশিপ করছিস এখন?”
“কার্ডিওলজি স্যার”
“বাহ বেশ!তোরাই জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।তা প্রণয় কী করছে ইদানীং?”
“ওর ও একই”
“আচ্ছা আচ্ছা।দুই বন্ধু এক জায়গায়ই যাচ্ছিস।তা সাথেরজন কই তোর?আর এখানে কী করছিস?”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে অরণ বলে,
“প্রণয় হাসপাতালেই আছে স্যার।আমি কাজে এসেছিলাম”
“আচ্ছা আচ্ছা,তোদের মনঃকামনা পূর্ণ হোক”
“দোয়া রাখবেন স্যার”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
বর্তমানে চাঁদসহ অরণ ক্যান্টিনে বসে আছে।চাঁদকে বেশ ক্লান্ত লাগছে বলে অরণ লেমন জুস নিয়ে এসে চাঁদের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“নাও খাও”
অরণের পানে চেয়ে গ্লাসটা নিয়ে জুসটুকু খেয়ে টেবিলেই রেখে দেয় চাঁদ।অতঃপর অরণই বলে,
“কয়দিন ধরে খুব ব্যস্ত মনে হচ্ছে?”
লম্বা শ্বাস নিয়ে চাঁদ বলে,
“অনেকটা তেমনই।আপনাকে বেশ কিছু বলার আছে আমার”
“হ্যা বলো?”
“এখানে না”
“তাহলে বাইরে কোথাও চলো”
“কালতো শুক্রবার।কাল চলুন?”
“ঠিক আছে”
“উঠি তাহলে”
“কোথায় যাবে?”
“ক্লাসে”
“তোমায় মনমরা লাগছে চাঁদ”
“মনতো কবেই ম!রেছে।মন বলতে আর কিছু আছে নাকি?”
“তুমি কি প্রণ…”
“আমি চললাম।আপনিও হাসপাতালে ফিরুন নাহয় আবার লোকে সন্দেহের বশত আপনায় ফলো করবে”
কপাল কুচকে অরণ বলে,
“তুমি জানো কী করে?”
ম্লান হেসে চাঁদ বলে,
“জানিতো অনেক কিছুই।এবং অনেক কিছুই শুনেছি,শুনি।থাক সেসব,আপনি বরং উঠুন আমিও উঠছি”
বলে আর এক মুহুর্ত দেরি করেনা চাঁদ,দ্রুতই সে জায়গা প্রস্থান নেয়।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রাজ ভিলার সদর দরজা দিয়ে কালো পোশাকে আবৃত এক লোক ভেতরে প্রবেশ করেই আশেপাশে চোখ বুলিয়ে আম্বিয়ারূপী মেয়েটাকে বলে,
“মহুয়া মেয়েটা কোথায়?দেখছিনা কেনো?”
আম্বিয়া বলে,
“শরবত করতে গেছে”
“শোনো আম্বিয়া।ঐ মেয়েটাকে আর মজলিশে আসতে দেবেনা।আমি চাইনা সে কারো নজরে পড়ুক”
ভ্রু কুচকে আম্বিয়া বলে,
“কিন্তু কেনো স্যার?”
“তোমায় আমি অর্ডার ফলো করতে বলেছি প্রশ্ন করতে নয়”
“জ্ব…জ্বি স্যার এমনটাই হবে”
“আর এক্ষুনি তাকে তার রুমে পাঠাও।মেয়েটাকে আমার লাগবে দ্রুত”
To be continued….
Waiting the next part
Next part kobe diben?
Opekkhai achi noton porber.