#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
#পর্ব_১৮
#মোহনা_হক
আজ রুয়াতের পরীক্ষার শেষ দিন। শুরুটা খুব ভালো হয়েছিলো এখন শেষ ভালোটা দেখতে চায়। কলেজের ইউনিফর্ম পড়ে রেডি সে। এই কয়টা দিন আয়াজ তাকে যথেষ্ট হেল্প, সাহস, কেয়ার সব কিছুই করেছে৷ আর এতো কিছুর জন্য বিশাল বড় ধন্যবাদ তাকে। আয়াজের কথা মনে উঁকি দিলেই এক চিলতে হাসি ফুটে ওঠে মুখে। রুয়াত তার মায়ের রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়। হান্নান মজুমদার ও সেখানে আছেন। আজ রুয়াতের সাথে তিনি যাবেন। গত রাতে আয়াজ বলেছিলো সে ও আসবে। কিন্তু সেটা পপরীক্ষার পর। সকাল সকাল ভীষণ কাজের চাপ থাকে তার। মেহরুবা জাফরির সাথে ভিডিও কলে কথা বলছে। ইনিমা ৭-৮ দিনের মতো থেকে আবার চলে যায়। হান্নান মজুমদার রেডি হচ্ছে। রুয়াত তার মায়ের রুমে যায়। মেহরুবার পাশে বসে।
রুয়াত হাস্যজ্জ্বল চাহনিতে তাকায় জাফরির দিকে। পাশেই ইনিমা বসে আছে। জাফরি বাচ্চা তো তার মিম্মিম কে দেখে খুশিতে হাতে তালি দেওয়া শুরু করলো। রুয়াত তার মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই আয়াজের জন্য মোবাইলটা অন করে রাখতে হতো। একবার অনেক বকাও দিয়েছিলো আয়াজ। এরপর থেকে শুধু আয়াজের সাথে কথা বলার সময় মোবাইল অন করে রাখতো। যখন কথা হতো না তখন মোবাইল বন্ধ করে রাখতো রুয়াত। আর এই কারণেই জাফরি কথা বলতে পারে না। কল ও দিতে পারে না। হান্নান মজুমদার নিচে এসে তাড়া দিচ্ছে। রুয়াত কিছু সময় ইনিমার সাথেও কথা বললো। মেহরুবা কল কেটে দিয়ে রুয়াতের পিছন পিছন আসে। মা কে বলে বাহিরে অগ্রসর হয়। শেষ পরীক্ষা এই নিয়ে মোটামুটি একটু টেনশনে আছে।
মেহরুবার সামনে রুয়াত দাঁড়ায়।
-‘মা দোয়া করো।’
রুয়াতের কাঁদো মুখ দেখে মেহরুবা হেসে দেয়। প্রতিবার রুয়াত এমন করে। ছোট বেলা থেকেই। বড় হলো কিন্তু স্বভাবের আর পরিবর্তন হলো না।
-‘টেনশন করিস না। ভালো হবে। মা দোয়া করি তো সব সময় তোর জন্য।’
মাথা নাড়ায় রুয়াত। হান্নান মজুমদারের ডাকে সেদিক ছুটে। আর অপেক্ষা করলো না। দেরি হয়ে গেলে হাজারো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই কয়েক দিনে এমন অহরহ ঘটনা দেখে ফেলেছে। বোর্ড পরীক্ষা তাও শিক্ষার্থীরা এতো অসচেতন। হান্নান মজুমদারের সাথে রুয়াত পৌঁছায় সেখানে।
(*)
-‘তো আশরাফ কি অবস্থা তোমার? এতো মোটা হয়ে যাচ্ছো আজকাল।’
আশরাফ অবাক চোখে আয়াজের দিকে তাকায়। মুখে সুন্দর করে কথা বললেও চোখ দিয়ে যেনো আগুন বের হচ্ছে৷ আয়াজ আশরাফ কে একটু সময় দিয়েছিলো। কিন্তু না অগোচরে ঠিকই আশরাফ ইকরামুলের হয়ে কাজ করছে। উত্তর দিতে বেশি সময় দেয় নি আয়াজ। পুনরায় জিজ্ঞেস করে-
-‘ইকরামুলের দূর্নীতির টাকা মাসে মাসে পেয়ে যাচ্ছো। ভালো ভালো খাচ্ছো। মোটা হয়ে যাচ্ছো দিনকে দিন।আমার থেকেও টাকা নাও। আবার আমার দলের সাথে কাজ করে সেই দলের গোপন খবর পাচার করছো। তোমাদের মতো মানুষদের আসলে কি করা উচিৎ বলো? ভালো হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলাম। সব জেনেও চুপ ছিলাম। তুমি তো আর ভালো হলে না। আয়াজের সাথে বেইমানি করার শাস্তি তুমি পাবে আশরাফ। আর যার হয়ে কাজ করছো না সে এই অবস্থানের থাকবে আর দু’দিন। তারপর? তারপর কি করবে শুনি। এইযে এখানে তোমার সহযোগী যতজন আছে সবাই কে খুব ভরসা, বিশ্বাস করি আমি। বর্তমানে ভরসা আর বিশ্বাসের জায়গা থেকে তুমি সরে গিয়েছো। তোমাকে আমি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করি না। একবারও বুক কাঁপলো না তোমার? এতোই সাহস তোমার? তোমাকে আমি আমার দলে নিয়ে খুব ভুল করেছি। আমার জীবনের সব থেকে বড় ভুল এটা।’
আশরাফ আয়াজের দু পা জড়িয়ে ধরে। আজ যদি আয়াজ ক্ষেপে যায় তাহলে সে নিশ্চিত আয়াজ তাকে মেরেই শান্ত হবে। ইকরামুলের ফাঁদে পা দিয়ে মস্ত বড় ভুল হয়েছে। আগেই সাবধান হওয়া উচিৎ ছিলো তার। লোভ লালসা তার জীবনটা তছনছ করে দিলো। আয়াজ মুখ খিঁচে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টায় আছে। ভয়ে সবার মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। আর কিছু একটা হবে এখানে বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে তারা।
-‘স্যার আমাকে ক্ষমা করে দিন। আর একটি বার আমাকে সুযোগ দিন স্যার।’
কাঁদতে কাঁদতে কথাটি বলে আশরাফ। এ কথায় যেনো আয়াজের রাগ তীব্র গতিতে বেড়ে যায়।
-‘পা ছাড়ো। তোমার নোংরা হাত দিয়ে আমাকে ধরবে না।’
আশরাফ ছাড়লো না। আয়াজ একবার পা ঝাড়া দেয় কিন্তু সে ছাড়ছে না। সাহেদের দিকে অগ্নিদৃষ্টি তে চেয়ে বলে-
-‘সাহেদ গা’ন বের করো।’
একটু সংকোচ বোধ করলো সাহেদ। আয়াজ সচরাচর এসব হাতে নেয় না। আজ কি সত্যিই আশরাফ কে কিছু করে ফেলবে নাকি?
-‘কানে কথা যাচ্ছে না তোমার?’
প্রচন্ড জোরে কথাটি বলে আয়াজ। সাহেদ মাথা নিচু করে ফেললো। স্যার কে একটু বোঝানোর দরকার। এভাবে হুটহাট কিছু করে ফেললে হবে না।
-‘স্যার বলছিলাম কি একটু বসে যদি কথা বলতেন।’
আতংকে আশরাফের গলা শুকিয়ে গিয়েছে। আয়াজ কি তাকে মেরে ফেলবে নাকি?
-‘তোমাকে এতো কথা বলার অধিকার দেইনি। ওর যা প্রাপ্য আমি তাই দিবো ওকে। আর এখানের প্রত্যেকটা মানুষের উদ্দেশ্যে বলছি বেইমানি করলে এমন শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
সাহেদ গা’ন এগিয়ে দেয় আয়াজ কে। আশরাফ চোখ বন্ধ করে ফেলে এই বুঝি আজ তাকে মেরে ফেলবে। আয়াজ একবার ভ্রু কুচকে তাকায়। এক আকাশ সমান ভয় দেখছে আশরাফের চোখ মুখে। কিন্তু শাস্তি তো দিতেই হবে।
-‘স্যার আশরাফের ২২ দিনের একটা সন্তান আছে। নতুন জন্ম নেওয়া। আরও দুটো ছেলে মেয়ে আছে স্যার। ওকে মারবেন না স্যার। সন্তান গুলো বাবা ছাড়া হয়ে যাবে স্যার।’
আয়াজ হাত থেকে গা’ন ফেলে দেয়। আশরাফের কানে সাহেদের কথা গুলো যায়। চোখ খুলে সবার আগে আয়াজের দিকে তাকায়। নিচে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পড়ে আছে। নিজের শরীর চেক করে না কোথাও কোনো ব্যাথা লাগেনি। আয়াজ তাকে কিছুই করেনি। পরপর আয়াজের দিকে দু’বার তাকানোর ফলে আয়াজ তার শরীরের সব শক্তি কে কাজে লাগিয়ে আশরাফের গাল বরাবর থাপ্পড় দিলো। সাথে সাথে যেনো গাল’টি জ্বলে ওঠলো। আয়াজের হাতের চারটি আঙুলের ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে মুহুর্তেই।
-‘আশরাফ কে সম্পুর্ণ আলো হীন রুমে তিন দিন বন্ধি করে রাখবে। কোনো রকম খাবার দিবে না শুধুমাত্র পানি ছাড়া। এর হেরফের হলেই তোমাদের অবস্থা খারাপ হবে বলে দিলাম। এই জা’নো’য়া’র কে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাও। এর মুখে থু থু ফেলতেও আমার ঘৃণা লাগছে। তার স্বার্থপর চেহেরা আমি দেখতে পারছি না। নিয়ে যাও একে।’
একজন এসে সাথে সাথে আশরাফ কে নিয়ে যায়। বের হয়ে আসে নিজের অফিস থেকে। সাহেদ ও চলে আসে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আয়াজ। রাগে তার শরীর ফেঁটে যাচ্ছে। সাহেদ আয়াজের সামনে এসে দাঁড়ায়।
-‘স্যার বাসায় ফিরবেন এখন?’
আয়াজ সাহেদের কলার ধরে উচ্চস্বরে বলে-
-‘কেনো আশরাফের পরিবারের কথা টেনেছো? কেনো এভাবে বাঁধা দিয়েছো আমায়? তোমাকে আমার কাজে বাঁধা দেওয়ার সাহস কে দিয়েছে?’
সাহেদ মাথা নিচু করে মুচকি হাসে। সে জানে এখন আয়াজ তাকে এসব বলবে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলো। এমন তুলকালাম তান্ডবে আয়াজ কে কি জবাব দিবে সব কিছুই তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো। আশরাফ তার পরিবারের কথা সাহেদের কাছে বলে। আর সে এটাও জানে যে আয়াজ আশরাফ কে কিছু না কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতো সহজে যে তাকে ছেড়ে দিবে না সেটাও জানে সাহেদ। নাহ্ আশরাফের সাথে কোনো খাতির নেই তার। শুধুমাত্র আশরাফের পরিবারের কথা ভেবেই এসব করেছে।
-‘স্যার মেরে ফেললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো? ওকে আপনি শাস্তির ডোজ বাড়িয়ে দিবেন তাও মৃত্যু দিবেন না স্যার। ভবিষ্যতে আপনি বাবা হবেন। যাদের বাবা নেই তারা বাবার মর্ম বুঝে। আমি শুধু আশরাফের পরিবারের কথা ভেবে আপনাকে আটকিয়েছি স্যার।’
-‘তুমি জানো তুমি আমার সাথে বেইমানি করলে আমিও তোমাকে মেরে ফেলতে পারি?’
সাহেদ হাসে।
-‘স্যার আপনি আমায় অকারণে মেরে ফেললেও আমি কোনো অভিযোগ রাখবো না। কিন্তু আপনার সাথে বেইমানি করার সাহস নেই আমার স্যার।’
সাহেদ কে ছেড়ে দেয় আয়াজ। গাড়িতে ওঠে পড়ে। ঠায় সে জায়গায় সাহেদ দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির ছাড়ার পর পরের গার্ডদের গাড়িও চলে যায় আয়াজের গাড়ির পিছনে। সাহেদ সেখানে দাঁড়িয়ে সবার আগের গাড়িটা কে দেখে যাচ্ছে। যাক স্যার কে তো বোঝাতে পেরেছে তাতেই খুশি।
(*)
রুয়াতের পরীক্ষা শেষ। নিমির জন্য ওয়েট করছে। এখনো বের হয়নি নিমি। আজ যেহেতু শেষ পরীক্ষা তাই নিমির সাথে দেখা করেই যাবে। আবার কবে না কবে দেখা হয় তাদের। অবশেষে নিমি বের হয়ে আসলো। রুয়াত কে দেখেই ঝাপটে ধরে।
-‘এক্সাম কেমন হয়েছে দোস্ত?’
রুয়াত হেসে বলে-
-‘ভালো হয়েছে তোর?’
-‘ভালো। কিন্তু আমার মন খারাপ হচ্ছে তোর সাথে কবে দেখা হবে আবার?’
রুয়াত হেসে নিমির কাঁধ জড়িয়ে বলে-
-‘তোর দাওয়াত রইলো আমার বিয়ে তে। তুই তো বলেই দিয়েছিস তোকে দাওয়াত দেওয়া লাগবে। না বললেও দিতাম। আসিস।’
মুখে দু’হাত চেপে ধরলো রুয়াত। নিমির সাথে একটু মজা করেছে। নিমি ভ্রু কুচকে ফেলে।
-‘মজা করছিস?’
মাথা দু’পাশে নাড়ায় রুয়াত।
-‘একটুও মজা করিনি।’
নিমি ভেবেছে রুয়াত মজা করেছে কিন্তু না মজা করে বলেনি তাহলে তার দাওয়াত কনফার্ম। রুয়াত আর বেশিক্ষণ কথা বলেনি। তাড়াতাড়ি বিদায় দিয়ে চলে আসে।
আয়াজের গাড়ি দূর থেকে দেখতে পায়। তাই সে চলে আসে। হাসি মুখে গাড়িতে ওঠে পড়ে। মাস্ক পড়ে মাথা সিটে হেলিয়ে দিয়েছে তার পাশের পুরুষটা। রুয়াত অধর কামড়ে ধরে। লোকটার কি হয়েছে? আর আয়াজ সব সময় মাথা সিটে হেলিয়ে রাখার পর ও কথা বলেছে। আজ একবারও বলছে না। কিছু পথ যাওয়ার পর ট্রাফিকে আটকা পড়ে গাড়ি। ভাবার বিষয় হলো আয়াজ এখনো চুপচাপ। রুয়াত আয়াজের পাঞ্জাবীর হাতের উপরের অংশ ধরে হালকা টান দেয়।
আয়াজ তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন করলো না। সে অবস্থায় থেকেই উত্তর দিলো।
-‘কি?’
রুয়াত চমকায়।
-‘তারমানে আপনি এতোক্ষন ঘুমোন নি? আমি ভেবেছি আপনি ঘুমাচ্ছেন।’
আয়াজ চোখ মেলে তাকায় রুয়াতের দিকে। চোখ গুলো ভীষণ লাল হয়ে আছে। সে কেউ দেখলেই ভয় পাবে এমন অবস্থা। রুয়াত একটু নড়েচড়ে বসে।
-‘এতো বেশি বুঝতে কে বলেছে তোমায় হ্যাঁ?’
কন্ঠস্বর ও অন্য রকম শোনাচ্ছে আয়াজের। একটু ভীতু গলায় বললো-
-‘কি হয়েছে আপনার?’
-‘পা’গ’ল হয়ে গিয়েছি আমি। তোমার জন্য পা’গ’ল হয়েছি। এই কথা আমি আগেও একবার রিপিট করেছি। আর কিছু শুনতে চাও? বড্ড বেশি কথা বলছো আজকাল। সব কথা শোনা চাই তোমার?’
রুয়াত হাত চেপে ধরে আয়াজের। হঠাৎ এমন ব্যবহার হজম করতে পারল না। সে তো তেমন কিছুই বলেনি। কিন্তু আয়াজ এমন ভাবে কথা বলছে কেনো? একবার ড্রাইভারের দিকে তাকায়। খুব অপমান লাগছে তার। আর আয়াজ তো আগে খুব বিরক্ত হতো যখন রুয়াত খুব কম তার সাথে কথা বলতো। এখন নিজ থেকে একটু বলাতে রেগে গিয়েছে। রুয়াত ধরে নিয়েছে সে নিজে সত্যিই একটা বিরক্তিকর মানুষ। ছোট থেকেই তার সাথে একটু জোরে কথা বললে কেঁদে ফেলে। আর এই কারণে হান্নান মজুমদার কখনো জোরে কথা বলেনি রুয়াতের সাথে। রুয়াত কান্না আটকানোর
চেষ্টায় আছে। কিন্তু বেহায়া চোখের পানি সুড়সুড় করে পড়ে গেলো।
-‘ সামনে ড্রাইভার আছেন।’
ভাঙা গলায় রুয়াত কথাটি বলে। আয়াজ একবার তার পানে চায়। আজ মন মেজাজ খুব বেশি খারাপ। নিজেকে অসংখ্য বকা দিয়ে দিয়েছে। মেয়েটার সাথে জোরে কথা না বললেই হতো। এখন প্রেয়সী কে কাঁদিয়ে ভালো লাগছে না। আবার রাগ ও ভাঙাতে মন চাচ্ছে না। কাঁদুক তার প্রেয়সী। একেবারে রাগ ভাঙিয়ে দিবে।
-‘গাড়িটা ম্যাডামের বাসার সামনে যাবে।’
ড্রাইভার মাথা নাড়ায়। আড়চোখে রুয়াত কে একবার দেখে নিলো। সে আপাতত তার হাত দিয়ে চোখের পানি ক্রমশ মুছেই যাচ্ছে। গাড়িটা রুয়াতের বাসার সামনে রাখা হয়। তড়িঘড়ি করে সে নেমে পড়ে। যেসব জিনিস দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলো সেগুলো ও নেয়নি। আয়াজ হাসে রুয়াতের কান্ডে। মনে মনে বলে-
❝আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা প্রেয়সী। প্রস্তুতি নাও আয়াজের নামে নিজেকে লিখে দেওয়ার জন্য। তোমার এসব ক্ষণিকের রাগ আমি আদর দিয়ে পুষে দিবো।❞
#চলবে…