#হৃদয়জুড়ে_প্রেয়সীর_আভাস
#পর্ব_০৮
#মোহনা_হক
-‘রুয়াত দরজা খোল। কতক্ষণ ধরে ডাকছি তোকে। এভাবে কি কেউ দরজা বন্ধ করে রাখে?’
‘অস্থির হয়ে বসে আছে রুয়াত। ভেবে পাচ্ছে না দরজা খুললে তার বোন আয়াজ কে দেখে কি মনে করবে। দরজা তো বন্ধ করেছে আয়াজ তাহলে ওকে বলবে কেনো? কিন্তু তার যে বোন নিশ্চয়ই তাকে চেপে ধরে বসে থাকবে কিছু শোনার জন্য।’
‘রুয়াত কে এভাবে ভয় পেতে দেখে ভ্রু কুচকালো আয়াজ।’
-‘তুমি এতো ভয় পাচ্ছো কেনো?’
‘মাথা তুলে একবার আয়াজ কে দেখলো রুয়াত।’
-‘আপু যে ডাকছে দরজা খুলুন আগে।’
‘আয়াজ দরজা খুলে দিলো। দরজা খোলার পর আয়াজ দেখে বেশ অবাক হলো ইনিমা। এসেছিলো বোন কে ডাকতে এখন এসে দেখে তার দেবর ও উপস্থিত এখানে।’
‘ইনিমা হেসে বললো-‘
-‘তুমি কখন এলে?’
-‘বেশিক্ষণ হয়নি।’
-‘এখানে কেনো?’
‘আয়াজ পিছন ফিরে একবার রুয়াত কে দেখে নিলো। জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একদম মেয়েটা।’
-‘আপনার বোন কে একটু দেখতে এসেছিলাম। আর হ্যাঁ দরজাটা আমিই বন্ধ করেছিলাম। আসছি আমি।’
‘ব্যাস এইটুকু বলেই আয়াজ চলে গেলো। আয়াজ দরজা বন্ধ করেছে কথাটা ইনিমা কে বলে দিলো। কারণ রুয়াত এ নিয়ে চিন্তা করছে না জানি ইনিমা তাকে কি বলে। তাই কথাটি বলেই বের হয়ে গিয়েছে রুম থেকে। রুয়াত আয়াজের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। যাক একটু হলেও বেঁচে গিয়েছে সে।
‘ইনিমা রুয়াতের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো-‘
-‘কি বলেছে আয়াজ তোকে?’
‘রুয়াত বোনের দিকে তাকালো। সে জানে তার বোন অন্য কিছু ভেবে বসে আছে এখন শুধু রুয়াতের মুখ থেকে শোনার জন্য অধীর আগ্রহে আছে।’
-‘কিছু বলেনি।’
‘ইনিমা রুয়াতের গাল ধরে বললো-‘
-‘মিথ্যে বলিস না।’
‘রুয়াত জানে তার বোন আজ না বললে ছাড়বে না, তাই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দিলো ইনিমা কে। অবাক হয়ে শুনছে রুয়াতের কথা কারণ তার দেবরের যে এতো প্রে’ম তা রুয়াতের সাথে বিয়ে ঠিক না হলে জানা হতো না।’
‘শাড়ির যে জায়গায় আয়াজ ধরেছে ওই জায়গা দেখিয়ে রুয়াত বললো-‘
-‘দেখো এখানটায় তোমার দেবর ধরেছে। এবারও কি মনে হচ্ছে আমি একটা কথাও মিথ্যে বলেছি?’
‘ইনিমা হেসে রুয়াতের কাঁধ জড়িয়ে ধরলো।’
-‘না বোন বিশ্বাস করেছি। আমি শুধু এই কথাই ভাবি আয়াজের এখনই এই অবস্থা বিয়ের পর জানি কি হবে।’
‘ইনিমার বলা কথা কেনো জানি ভীষণ লজ্জা পেলো রুয়াত। আজ আয়াজের কার্যকলাপের জন্য লজ্জা পাচ্ছে সে।’
-‘হয়েছে তুমি রেডি হবে না? এভাবে মেয়ের পাশে দাঁড়াবে?’
‘ইনিমা এখনো রেডি হয়নি। এতো কাজের চাপ ছিলো আজ। তাই আর রেডি হওয়া হয়নি তার।’
-‘আরে আর বলিস না কাজ করতে করতে আমার দিন যায় আর আসে। অন্য দিনের তুলনায় আজ বেশি কাজ পড়ে গিয়েছে। এখনই রেডি হবো।’
‘ইনিমা তড়িঘড়ি করে রেডি হওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। রুয়াত তার বোন কে সাহায্য করলো। ইনিমা ও তার বোনের সাথে মিল রেখে হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পড়েছে। আবার রুয়াতের মতো সেজেছে। বোঝার উপায় রাখছে না কে ইনিমা আর কে রুয়াত। কিন্তু ইনিমা একটু মোটা হওয়াতে বোঝা যাচ্ছে।’
(*)
-‘মা তুমি আজ রুয়াত কে জোর করে আমাদের বাসায় রাখবে।’
‘ছেলের কথায় সায় দিতে পারছে না মায়া চৌধুরী। যদি হান্নান সাহেব না রাখতে চান তখন কিভাবে রাজি করাবে আয়াজ কে। আর রুয়াত ও থাকতে চাইবে কিনা সন্দেহ।’
-‘আহা আয়াজ যদি রুয়াত না থাকতে চায়?’
‘আয়াজ চোখমুখ শক্ত করে বললো-‘
-‘ও থাকবে। তুমি শুধু হান্নান আঙ্কেল কে ম্যানেজ করবে।’
‘মায়া চৌধুরী ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন-‘
-‘আমি ওনাকে বলবো। ম্যানেজ করার ও চেষ্টা করবো। তুমি এমন করো না এখন।’
‘আয়াজ শান্ত হলো।’
-‘আর শুনো রুয়াত কে তুমি তোমার আশেপাশে রাখবে। অনেক মানুষই থাকবে। ও যেনো একা একা কোঁথাও না যায়।’
‘মায়া চৌধুরী অবাক হলেন ছেলের কথায়। তার ছন্নছাড়া ছেলেটা আজ রুয়াতের জন্য ভালোবাসা দেখাচ্ছে। আশ্বাস দিলেন ছেলেকে। কারণ তার ছেলে নাহলে পাগল বানিয়ে ছাড়বে। মেয়েটা কে অনেক ভালোবাসে। নাহলে কি আর মায়ের সামনে এসব বলে। মুচকি মুচকি হাসলেন। আয়াজ নিজের কথাগুলো বলে চলে গেলো। মূলত এর জন্যই আসা মায়ের কাছে।’
‘জাফরির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সব মানুষ এসে পড়েছে। একটু পরেই মূল অনুষ্ঠান শুরু হওয়া বাকি। এর ফাঁকে আয়াজ একটু রেডি হয়ে নিলো। পাঞ্জাবি ছেড়ে আজ অন্য কিছু পড়লো। ব্ল্যাক কালারের ব্লেজার পড়ে নিলো। চুলগুলো সুন্দর করে জেল দিয়ে সেট করে নিলো। রেডি হওয়া শেষে নিচে নামলো। বেশ কিছু মানুষের সাথে গিয়ে কথা বলছে কারণ তারা আয়াজের থেকে একটু উপরের প্রফেশনে আছে। বেশ মানুষ এসে হাত মিলালো আয়াজের সাথে। ভদ্রতা নম্রতা সহকারে কথা বলছে আয়াজ।’
‘রুয়াত, ইনিমা আর জাফরি নামছে। আয়াজের কথা বলার মাঝেও নজর পড়লো রুয়াতের দিকে। তার সুন্দর প্রেয়সী। রুয়াত কে দেখলেই সুখের হাসি ফুটে ওঠে। চোখ সরিয়ে নিয়ে পুনরায় কথা বলছে মানুষের সাথে। সবার সাথে কথা বলা শেষ করে আয়াজ আরহামের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।’
‘আরহাম তার ভাইকে দেখে একটু হাসলো।’
-‘তোর প্রেয়সীর পাশে গিয়ে দাঁড়ালি না?’
‘প্রতিউত্তরে হাসলো আয়াজ।’
-‘সময় হলে ঠিকই দাঁড়াবো। কিন্তু তুমি আপাতত জোর করে দাঁড়া করিয়ে রাখবে তোমার শালীকা কে এখন। আমাই গিয়ে দাঁড়ালে সে আবার অন্য কিছু মনে করবে। এখন যাও ওকে নিয়ে আমার পাশে এনে দাঁড়া করাও।’
‘আরহাম ভেঙচি কাটলো।’
-‘আমি এসব কাজ করি না।’
‘আয়াজ হেসে বললো-‘
-‘তোমার ব্যবসা লাটে উঠিয়ে দিবো।’
‘আরহাম ঘাবড়ে গিয়ে তাকালো তার ভাইয়ের দিকে। বিশ্বাস করতে পারছেনা আয়াজ কে। হয়তো উঠিয়েও দিতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি করে রুয়াতের হাত ধরে এনে আয়াজে পাশে দাঁড় করালো। রুয়াত বুঝতে পারলো না কেনো আরহাম এমন করলো।’
‘রুয়াত অবাক হয়ে চেয়ে রইলো শুধু। আরহাম রুয়াতের হাত ধরে বললো-‘
-‘শুনো শালীকা তোমাকে একদম নিরাপদ জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছি। তোমার পাশে যিনি আছেন তিনি খুবই সম্মানীয় ব্যক্তি। তার অনেক পাওয়ার। তুমি আয়াজের পাশে নিশ্চিন্ত থাকতে পারো।’
‘আবার পরক্ষণেই আয়াজের কানে গিয়ে বললো-‘
-‘আমার ব্যবসার দিকে আর নজর দিস না। তোর পাশে যিনি আছেন তার দিকে দিলেই হবে।’
‘কথাটি আরহাম এতো আস্তে বললো রুয়াত ও শুনতে পেলো না দু’জনের কথপোকথন। আরহামের কথা বলা শেষ হলেই সে চলে যায়। রুয়াত মাথাটা উচু করে আয়াজ কে দেখলো। অবশেষে পাঞ্জাবী ছেড়ে অন্য কিছু পড়েছে। রুয়াতের চেয়ে থাকা দেখে আয়াজ ও তাকালো। দু’জনেত চোখাচোখি হয়ে গেলো। দৃষ্টি সরিয়ে নেয় রুয়াত।’
-‘শাড়ি পড়ে কি আমায় মাতাল করতে এসেছো এখানে?’
‘আচমকা আয়াজের শব্দ শুনে তাকায় সেদিকটায়। একটু নিচু স্বরে বললো-‘
-‘আপনি মাতাল হবেন জানলে পড়ে আসতাম না।’
‘আয়াজ অবাক হয়ে চরম পর্যায়ে। কথাটা কি সত্যিই রুয়াত বলেছে? বিশ্বাস হচ্ছে না।’
-‘তোমার কি জ্বর এসেছে?’
‘রুয়াত মাথা নাড়িয়ে বললো-‘
-‘না তো।’
-‘উন্নতি হচ্ছে তাহলে আয়াজের বউয়ের।’
‘আয়াজের বউ কথাটি শুনে শিউরে ওঠে রুয়াত। এই প্রথম অপ্রত্যাশিত কিছু শুনেছে সে। আয়াজ রুয়াত কে তার মায়ের কাছে দিয়ে আসলো। জাফরির কেক কাটা শেষ করে সবাই খাওয়া দাওয়া শুরু করলো। আর সবকিছুর দেখাশোনা করতে আয়াজ ব্যস্ত হয়ে পড়লো। দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে রুয়াত। হঠাৎ হঠাৎ তার ভাবনার মাঝে আয়াজ চলে আসে। তাহলে কি সে মানুষটার মায়ায় পড়ে যাচ্ছে?’
‘হান্নান মজুমদার বাসায় যাওয়ার জন্য তোরজোড় শুরু করলো। মায়া চৌধুরী রুয়াতের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এখনো বলেনি হান্নান মজুমদার কে। রুয়াত চুপিসারে দাঁড়িয়ে আছে শুধু।’
‘মায়া চৌধুরী রুয়াতের হাত ধরে হান্নান মজুমদারের সামনে নিয়ে গেলেন।’
-‘বেয়াই সাহেব আজ আপনার ছোট মেয়েটা আমার বাসায় থাকুক। ওর যত্নের কোনো কমতি রাখবো না কথা দিলাম।’
‘হান্নান মজুমদার মনে মনে রাজি না। কিন্তু তাও বললো-‘
-‘না আপা মেয়েটা তো কয়েকদিন পরেই আপনার কাছে চলে আসবে। আমি এখন চাই মেয়েটা আমার কাছে থাকুক। তখন তো চাইলেও রাখতে পারবো না।’
‘মায়া চৌধুরীর খারাপ লাগলো হান্নান মজুমদারের শেষের কথা শুনে। তার ছেলের আবদার একদিকে আরেকদিকে এমন কথা কথা।’
-‘আজকের দিনটা শুধু। কাল আয়াজ দিয়ে আসবে ওকে।’
‘ইনিমা এসে তার বাবার হাত ধরে বললো-‘
-‘বাবা আজ রুয়াত থাকুক।’
‘মায়া চৌধুরী আর ইনিমা ফিরিয়ে দিতে পারলো না হান্নান মজুমদার। হয়তো আরও কিছু বললে বেমানান হয়ে যাবে। মেয়েটা কে এভাবে ছাড়তে মন চায় না। যেহেতু এ বাড়িতে ইনিমা আছে তাই মেয়েকে রেখে আসছে। শুধু ইনিমার উপর ভরসা করে।’
‘হান্নান মজুমদার ছোট মেয়ের মাথায় চুমু খেলেন। আদুরে স্বরে বললেন-‘
-‘সুন্দরমতো থেকো আম্মা। বাবা আসছি হ্যাঁ।’
‘বাবার কথা শুনে নোনাপানি ছলছল করে এসে পড়লো রুয়াতের চোখে। তার বাবার এরকম নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখে আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না। বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। বরাবরের মতো রুয়াত তার বাবার এমন কথা শুনলে কেঁদে ফেলে। মেয়েকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন হান্নান মজুমদার। বেশ কিছু সময় পর তারা চলে গেলো। আয়াজ আর আরহাম গিয়ে তাদের পৌঁছে দিলো।’
‘রুয়াত ইনিমার সাথে বসে কথ বলছে। সাথে মায়া চৌধুরী ও ফজলুল চৌধুরী আছে। কিছুক্ষণ আগে আয়াজ আর আরহাম ফিরেছে বাসায়। আরহাম আর উপরে যায়নি। এখানেই বসে গল্প শুরু করে দিয়েছে। আরহামের কোলে জাফরি দুষ্টুমি করছে বসে বসে। আয়াজ তার ব্লেজার খুলে একটা টি-শার্ট পড়ে নিচে আসলো। রুয়াতের পাশে এসে বসে গেলো।’
‘ফজলুল চৌধুরী বেশ হাসির কথা বলছে। আর মায়া চৌধুরী কে বারবার কিছু না কিছু বলে রাগাচ্ছে।’
-‘আমি তো আগে আরহামের মা কে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না। তাকে তার বাপের বাড়িতেও থাকতে দিতাম না।’
‘ফজলুল চৌধুরীর কথায় যেনো আরও রেগে গেলে মায়া চৌধুরী। ‘
-‘কথায় লাগাম দাও। এখানে তোমার ছেলে, ছেলের বউ, নাতনি রয়েছে ঠিকভাবে কথা বলো।’
‘রুয়াত হেসে দিলো এমন মিষ্টি ঝগড়া দেখে। পাশ থেকে সোফায় আধশোয়া আয়াজ তাকাচ্ছে তার প্রেয়সীর দিকে। মেয়েটা হাসলেই মুখে হাত দিয়ে ফেলে।’
‘মায়া চৌধুরী রেগে উঠে চলে গেলো। সাথে সাথে ফজলুল চৌধুরী ও উঠে চলে গেলো। আজ তার বারোটা বেজে যাবে। তিনি তো শুধু হাসানোর জন্য এসব বলেছে।’
‘আয়াজ আরহামের উদ্দেশ্যে বললো-‘
-‘ভাইয়া তোমার একটুও লজ্জা লাগলো না বাবার কথা শুনে?’
‘আরহাম ভ্রু কুচকে বললো-‘
-‘কেনো লজ্জা লাগবে? তেমন তো কিছুই বলেনি।’
‘আয়াজ তার চোখগুলো ছোট ছোটো ফেললো।’
-‘তোমার তো লজ্জা নেই লাগবেও বা কিভাবে?’
-‘তুই এখন যা শুরু করেছিস বিয়ের পর বাবার মতো ও এমন করবি তুই। তোর যদি এতোই লজ্জা থাকতো তুই উঠে যেতে পারলি না?’
‘ইনিমা দাঁত কেলিয়ে হাসছে। এ দু’জনের ঝগড়া এতো ভালো লাগে তার। আরহাম বেখেয়ালিতে মাঝে মাঝে উল্টো পাল্টা বলে ফেলে। যার কারণে পরে ইনিমা আরহাম কে রাগায় এসব বলে।’
‘আয়াজ রুয়াতের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
-‘বিয়ের পর কি করবো সেটা তোমার শালীকা দেখতেই পাবে। আমার লজ্জা নেই বলেই বসেছিলাম। তুমি তো শুধু হেসেছিলে। আমার মুখে তো একটুও হাসি ছিলো না। তার মানে কি তুমি মজা নিয়েছো?’
‘আরহাম উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো। দু’হাত তুলে বড় একটা
মোনাজাত ধরলো। আর বিড়বিড় করে বলা শুরু করলো-‘
-‘আল্লাহ এই নির্লজ্জ ছেলেকে একটু রহমত দিও যাতে আর আমার পিছনে না লাগতে আসে।’
‘আয়াজ হাসছে ভাইয়ের কান্ড দেখে। সাথে সাথে সবাই হেসে দিলো। আরহাম এতো মজা করতে পারে। সারাক্ষণ দু’ভাইয়ের এভাবে খুনশুটি লেগেই থাকে। আরহাম যে এতো রসিকতা করতে পারে তা আয়াজকেও হার মানায়। তবে দু’জন দু’জন কে বড্ড ভালোবাসে।’
‘আরহাম একটা দরকারে ইনিমা কে নিয়ে উপরে চলে আসলো। আয়াজ জাফরির সাথে খেলছে। রুয়াত দূরে সরতে গেলেই হাত ধরে ফেললো আয়াজ।’
-‘কোঁথায় যাচ্ছো?’
-‘না মানে যাচ্ছি না।’
‘আয়াজ রুয়াতের হাত টেনে ধরলো। জাফরি আয়াজের বুকে মাথা দিয়ে দেখছে। আয়াজ জাফরির উদ্দেশ্যে বললো-‘
-‘তোমার মিম্মিম কেনো তোমার চাচ্চুকে বুঝতে চায় না বলো তো।’
‘জাফরি যেভাবে ছিলো সেভাবেই রইলো। আয়াজের কথায় ঠোঁট উল্টে ফেললো। অর্থাৎ সে জানে না। রুয়াত জাফরিকে দেখে আয়াজের দিকে তাকালো।’
‘আয়াজ রুয়াতের দিকে তাকিয়ে বললো-‘
-‘তোমার কাছে আমি আমার গম্ভীরতা, কঠোরতা, আগুনের ন্যায় ভয়ংকর রূপ সব বিলীন দিলাম প্রেয়সী। ‘
#চলবে….
[আসসালামু আলাইকুম। আমি আমার গল্পটা কে নিজের মতো করে লিখতে চাই কিন্তু অনেকের কিছু কিছু কথায় তা পারি না একদমই। রুয়াত কে নিয়ে বা’জে কিছু বলবেন না। আমি চাই সে ধীরে ধীরে আয়াজের ভালোবাসা বুঝুক। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]