#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৬২.
“রামিম ভাইয়া আর রায়হান ভাইয়ার মাঝে কিসের এত রাগ?”
চাঁদের হঠাৎ বলা বাক্যে ঈষৎ কেপে উঠে রুবাসহ তার দুই বান্ধবী শিফা আর রিদিও।শিফা আমতা আমতা করে বলে,
“তু….তুমিতো ঘুমিয়ে ছিলে ভাবি”
শোয়া থেকে উঠে বসে হাই তুলতে তুলতে চাঁদ বলে,
“হ্যা ছিলাম তবে তোমাদের কথাবার্তায় ঘুম আলগা হয়ে গেছে।এখন বলো তাদের মাঝে ঠিক কী হয়েছে?উশ্মিকে নিয়ে কোনো বিষয়?”
রুবা জিহবা দ্বারা ঠোট ভিজিয়ে বলে,
“না মানে বাদ দাওনা ভাবি।আজতো উশ্মিপুর এংগেজমেন্ট অনেক কাজ আছে চলো চলো”
চাঁদ গম্ভীরভাবে বলে,
“এড়িয়া যাওয়ার প্রচেষ্টা?তিনজনই আমার সামনে বসো”
রিদি বলে,
“তুমি যেমন ভাবছো বিষয়টা তেমন….”
“বিষয়টা কেমন তাতো জেনেই নেবো।দু’জনের মাঝে সমস্যা হলে তাদের মিটমাট করা উচিত বলেই মনে হচ্ছে।তোমরা আমায় জানালে হয়তো কিছুটা হলেও হেল্প করতে পারবো”
তখনই রুবা বলে,
“অথচ তোমার আর প্রণয় ভাইয়ার ব্যাপারে কিছুই জানিনা আমরা।তুমিও তো নিজেদের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলোনি।ভাইয়ার রুম থেকে এই রুমে এসেছো কেনো?”
রুবার কথায় গতকাল রাতের প্রণয়ের করা কঠিনসব অপমান স্মরণ হয় চাঁদের।অতঃপর হৃদয় তার ভার হয়ে আসতেই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে,
“আমি তোমার বড় ভাইয়ের বউ রুবা।সে হিসেবে তোমাদের বড় ভাবি।আবার এমনও কিন্তু নয় যে আমি তোমাদের বয়সী।তো তোমার বড় ভাই আর ভাবির পার্সোনাল ইস্যু নিয়ে এত মাথাব্যথা তোমাদের কিন্তু সাজেনা রুবা”
চাঁদের কথায় দৃষ্টি নত করে রুবা।সাথে সাথেই শিফা চাঁদের দিকে চেপে গিয়ে তাকে বলে,
“তুমি রুবার কথায় কিছু মনে করও না ভাবি।ও আসলে বুঝতে পারেনি।আমি তোমায় বলছি রামিম ভাইয়া আর রায়হান ভাইয়ের মাঝে কী হয়েছে।তবে তুমি তাদেরকে বুঝতে দেবে না তাদের ব্যাপারে যে সবটা তুমি জানো।আর আমি আশা রাখছি তোমার থেকে উৎকৃষ্ট সমাধানই পাবো।আমি খুব করে চাই তাদের মাঝে সব ঠিক হয়ে যাক।জানো?দুজন একে অপরকে ছাড়া কিছুই বুঝতোনা।বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো”
চাঁদ জিজ্ঞেস করে,
“ছিলো বলতে?”
শিফা বলতে শুরু করে,
“প্রায় বছর নয়েক আগের কথা।তখন আমরা পড়তাম সবেমাত্র ক্লাস ফোরে।আমি রুবা আর রিদির থেকে দেড়-দুই বছরের বড় ছিলাম তাই অনেকটাই বুঝতাম বিভিন্ন জিনিস।প্রণয় ভাইয়ারা তখন ইন্টারে পড়তো।প্রণয় ভাইয়া,রামিম ভাইয়া,রায়হান ভাইয়েরা একই ক্লাসে ছিলো।সমবয়সী তারা।বেশ ছোটবেলা থেকে রামিম ভাইয়া আর রায়হান ভাই খুব ক্লোজ,বেস্ট ফ্রেন্ড আরকি। আর উশ্মিপু ছিলো রায়হান ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড”
কপাল কুঞ্চিত করে সাথে সাথে চাঁদ বলে,
“কী!কিন্তু উশ্মিতো রামিম….”
শিফা আবারও বলে,
“হ্যা কিন্তু সর্বপ্রথম উশ্মিপু রায়হান ভাইয়েরই গার্লফ্রেন্ড ছিলো।স্কুল লাইফ থেকে।দুজন দুজনকে বেশ ভালোও বাসতো।কিন্তু তাদের মাঝে কী হয়েছে তা আমি জানিনা।হঠাৎ শুনি তাদের ব্রেকাপ হয়ে গেছে।পরে আস্তেধীরে জানলাম আপু নাকি রায়হান ভাইকে ধো*কা দিয়েছে।পরে আরও জানলাম উশ্মিপু রামিম ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড।দুজন নাকি দুজনকে ভালোবাসে।তো এসবের জন্যই রামিম ভাইয়া আর রায়হান ভাইয়ের মাঝে সমস্যা।একে অপরের ছায়াও মাড়াতে চায়না দুজনে।তুমি বিষয়টা বুঝতে পারছো ভাবি?”
বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে চাঁদ বলে,
“হ্যা বুঝলাম।পুরো বিষয়টারই কেন্দ্রবিন্দু উশ্মি।তো উশ্মিই সবটা জানে হয়তো”
শিফা বলে,
“হ্যা উশ্মিপু আর রামিম ভাইয়াই হয়তো জানবে”
“তোমরা জানো কিছু?রিদি তুমি?”
রিদি মৃদুস্বরে বলে,
“না ভাবি।আমিও এই ব্যাপারে অবগত নই”
“রামিম ভাইয়া জানায়নি তোমায় কিছু?”
“আমিতো বেশ ছোট এসব ব্যাপারে ভাইয়া আমায় তেমন কিছুই বলেনা ভাবি”
এবার চাঁদ রুবার দিকে তাকিয়ে বলে,
“আর রুবা?”
রুবাও হতাশার শ্বাস ফেলে বলে,
“না ভাবি।প্রণয় ভাইয়া আর আমার ভাইকেই আমি মাত্রাতিরিক্ত ভ*য় পাই।ভাইকে এসব জিগেস করার মতো সাহস কোনোকালেই আমার ছিলোনা”
ঠোটে ঠোট চেপে দাত দিয়ে তা কামড়ানোর ভঙ্গিমায় লম্বা শ্বাস ফেলে চাঁদ বলে,
“আমি দেখছি বিষয়টা”
চাঁদের ভাবুক কন্ঠস্বরে সকলেই তার পানে তাকায়।অতঃপর রুবা বলে,
“কী করতে চাচ্ছো ভাবি?”
বিছানা থেকে নামতে নামতে চাঁদ বলে,
“উশ্মির বিয়ে হতে হতে রায়হান ভাইয়া,রামিম ভাইয়া আর উশ্মির প্রব্লেম সর্ট আউট হয়ে যাবে”
সকলে একইসাথে জিজ্ঞেস করে,
“কিন্তু কীভাবে?”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
দুপুর বারোটা,
সকলে নাস্তা শেষে বসে আড্ডা দিচ্ছে খাবার টেবিলে।আড্ডার প্রসঙ্গ কে কাকে কাকে দাওয়াত করবে সে বিষয়ে।উশ্মি বলছে,
“বিডিতে আমার ফ্রেন্ডের সংখ্যা ভারী কম।আছেই দু’ তিনজন।সবারই বিয়ে হয়ে গেছে।আসবে কিনা জানিনা।ততটা ক্লোজও না।আমার তরফ থেকে আমার বোনেরাই ঠিক আছে।আলু আর হুরুকে জানিয়ে দিও মা।বলবে ওদের আসাই লাগবে নাহয় ভালো হবেনা বলে রাখলাম”
উশ্মির মা কিঞ্চিৎ হেসে খাবারের বোলসমূহ নিতে নিতে বলেন,
“হ্যা আমি কাল রাতেই বলে দিয়েছি।ওরা এতক্ষণে বেরিয়ে পড়েছে সম্ভবত”
উশ্মি আবারও বলে,
“হুমু আপু আসতে পারবেনা না?”
“না।দু’দিন হলো কক্সবাজার গেছে।এখনই আসবে কিনা জানিনা।বলে দেখবো?”
“হ্যা বলো তুমি।নাহয় পরে যদি বলে বললাম না কেনো”
“আচ্ছা বলছি”
“আর আলফি ভাই?”
“ও কোন জন্মে কোনো ফাংশনে এসেছে?”
“এবার বলেই দেখোনা যদি আসে!”
“আচ্ছা বলবো”
তখনই চাঁদ তার চাচি শাশুড়ীকে বলে,
“চাচিমা রুবাতো এসেছেই।রায়হান ভাইয়া আসলোনা যে?”
“হ্যা আমি আপাকে জিজ্ঞেস করছি ও আসলোনা কেন”
রুবা ঝটপট বলে,
“আম্মুকে কিছু বলও না মামি।ভাইয়া বিজি থাকেতো আসবেনা মনে হয়”
চাঁদ কপাল কুচকে বলে,
“কেনো আসবেনা?রামিম ভাইয়ার বেস্টফ্রেন্ড না?তাকে অবশ্যই আসতে হবে।আপনি কল করে আসতে বলুন চাচিমা”
“তোমরা বসো আমি ওদের দু’জনকেই কল করছি”
মিনিট দশেক বাদে উশ্মির মা এসে হতাশ হয়ে বলেন,
“আমিতো জানতামই এদের কেউই আসবেনা।তাও তোমরা বললে তাই বললাম তবুও একই উত্তর”
“রুবা,রিদি,শিফা চলো আমার সাথে”
রিদি কপাল কুচকে বলে,
“কোথায় ভাবি?”
“রুবাদের বাসায়”
উশ্মির মা বলেন,
“কিন্তু এই শরীর নিয়ে তুমি?”
“চিন্তা করবেন না চাচিমা।ওদেরকেতো নিয়েই যাচ্ছি আর রায়হান ভাই আসবে মানে আসবেই।আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।আর কে যেনো আসছেনা?তাকেও আনবো।নাম কী তার?কে সে?”
উশ্মি বলে,
“আলফি ভাই।আমার মামাতো ভাই,তাদের বাসায় কী করে যাবে তুমি?”
“রুবা,রিদি তোমরা চেনো কেউ?”
কারো প্রতিত্তোর করার পূর্বেই রামিম বলে,
“উজান চাঁদ আর তোর বাকি বোনদের নিয়ে আলফিদের বাসায়ও যেয়ে আসিস।কিন্তু আগে রুবার বাসায় যাবি।যা ওদের সাথে”
“ভাইয়া?এখানে কাজ আছেনা?”
“আমরা সবাই করে নেবো।তুই যা ওদের নিয়ে”
“ঠিক আছে চলো ভাবি”
দুপুর দেড়টা,
রায়হানের সামনে বসে আছে তার কাজিনমহল সহ ভাবিও।সে সোফায় বসেই বলে,
“কী হয়েছে?তোমরা এখানে কেনো?আমি বলেছি না রুবা আমি যাবোনা?তারপর ওদের নিয়ে এখানে এসেছো কেনো?”
রুবা চুপ করে আছে দেখে রায়হান গম্ভীরভাবে বলে,
“কী হলো?চুপ করে আছিস কেনো?”
তৎক্ষনাৎ চাঁদ বলে,
“ভাইয়া ওরা আসতে চায়নি।আমিই ওদের জোর করে আনিয়েছি।একাতো আসতে পারতাম না তাই”
“তো তুমি এই অবস্থায় এসেছো কেন?কে বলেছে আসতে?আর এমন হয়েছেই বা কীভাবে?”
“কেউই বলেনি ভাইয়া।আমিই এসেছি আপনাকে নিতে”
“অযথাই অসুস্থ শরীর নিয়ে আসলে।যাবোনা কোথাও আমি”
“কিন্তু কেনো ভাইয়া?”
“শরীরটা ভালো লাগছেনা তাই”
চাঁদ সকলকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“তোমরা একটু কষ্ট করে কিছুক্ষণের জন্য অন্যরুমে যাও”
চাঁদের কথা শুনতেই সকলে ড্রয়িং রুম থেকে রুবার রুমে চলে যায়।সকলে উঠে যেতেই চাঁদ খানিকটা কেশে বলে,
“শরীর কিন্তু ভালোই দেখছি ভাইয়া”
“এক কথা দুইবার পছন্দ করিনা চাঁদ”
“আমায় কি ভাবি হিসেবে দেখেন নাকি ছোট বোন?”
“দুটোই”
“তাহলেতো আদেশ আর আবদার দুটোই করতে পারি ভাইয়া”
“যেকোনো আবদার অথবা আদেশ রাখতে পারবো।কিন্তু ওদের এনগেজমেন্টে যেতে বলবেনা প্লিজ”
“হাটতে গেলে মাথায় বেশ চাপ পড়ে।তবুও কেবল আপনাকে নিতে এতদূর অব্দি এসেছি ভাইয়া।শূন্য হাতে ফেরত পাঠাবেন?এতটা নিঠুর আপনি?”
“ছিলাম না”
“এখনও একটু দয়া করুন প্লিজ!”
বলেই হাত জোর করতে নিলে রায়হান চাঁদের দুই হাত ধরে ফেলে বলে,
“ছি চাঁদ!এসব কী করছো তুমি?প্রণয় জানলে বলবে আমার বউকে হিউমিলিয়েট করেছিস কেন?”
কিঞ্চিৎ হেসে খুবই ধীরগতিতে চাঁদ বলে,
“যে নিজেই হিউমিলিয়েট করতে দ্বিধাবোধ করেনা সে আবার অন্যকে এসব বলবে?অসম্ভব!”
চাঁদের কথা শুনতে না পেয়ে রায়হান জিজ্ঞেস করে,
“কিছু বললে?”
“না ভাইয়া।চলুন তাহলে”
“আমি সত্যিই যেতে পারবোনা চাঁদ।আমার সমস্যা আছে”
“সমস্যাটা নিশ্চয়ই রামিম ভাইয়া?”
অবাকপানে চাঁদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে রায়হান জিজ্ঞেস করে,
“তুমি?”
“একটা কথা বলি ভাইয়া,শুনুন।এই যে আমি?আপনাদের কাছে মনে হয় খুব সুখ দিয়ে ভরপুর জীবন।অথচ জীবনে কতকিছু যে দেখেছি,কত কিছুর হিসাব নিকাশ যে ছোট্ট এই জীবনে করেছি ভাইয়া!জানেন?প্রণয়ের সাথে সম্পর্ক টা আমার মোটেও সহজ নয়।অতীত জীবনের রেশ বর্তমানে জীবনে রয়েই গেছে জানেন ভাইয়া?এখনকার যেই চাঁদকে আপনারা দেখেন,চাঁদ কিন্তু মোটেও এমন ছিলোনা।না প্রণয় এমন ছিলো।প্রণয়-চাঁদ বলতে সকলেই ছিলো পাগল।আমরা ছিলাম আমাদের কলেজের প্রিয় জুটি।না না,ভাববেন না প্রেম করেছি বা সম্পর্কে ছিলাম।আমাদের সম্পর্কটাই ছিলো এরকম যে এর কোনো নামই ছিলোনা।এবং তখন কোমো নাম পাওয়ার সুযোগও হয়নি।সেই নামহীন সম্পর্কটা বর্তমানে জীবনসঙ্গির নাম পেলেও।তা খুবই ঠুনকো।আমাদের সাথে যা হয়েছে তার সামনে আপনাদের তিনজনের মাঝেকার বিবেদ-কলহ খুবই সামান্য।বলছিনা গুরুতর নয়।এটা অবশ্যই খারাপ হয়েছে তবে আমাদের সাথে যা হয়েছে তার তুলনায় সামান্যই বলবো।তবুওতো ভাগ্যের জোরে আজ আমরা একসাথে।ভাগ্যকে মেনে নিয়ে একইসাথে,একই ছাদের নিচে এমনকি একই রুমে,এক বিছানায় ই থাকছি।তবুও হৃদয়ের দূরত্ব কমেনি একটুখানিও।আপনি হয়তো ভাবছেন আপনাকে কেনো এসব বলছি?তারও কারণ আছে ভাইয়া।আপনাকে আমি এটাই বোঝাতে চাইছি যে কোনোকিছুই জীবনে সহজ নয়।জীবনটাইতো সহজ নয় ভাইয়া।আল্লাহ আমাদের সাথে যা করেন তা কোনো না কোনো কারণবশতই করেন যার প্রভাব পরবর্তীতে অথবা ভবিষ্যতে আমাদের জন্য সুখ বয়ে আনবে”
চাঁদের কথার মাঝেই রায়হান বলে,
“তোমার জীবনের সুখ কোথায় চাঁদ?”
রায়হানের কথায় কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেলেও সাথে সাথেই মৃদু হেসে চাঁদ জবাব দেয়,
“তবুও আমি আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট।আমি বিশ্বাস করি একদিন আমি জীবনের সর্বসুখ পাবো।আল্লাহ আমার ভাগ্যে অবশ্যই সুখ লিখে রেখেছেন।কোনো না কোনোভাবে তা পেয়েই যাবো”
“কিন্তু কখন?”
“যখন পেলে সুখগুলোকে আমি উপভোগ করতে পারবো আল্লাহ তখনই হয়তো দেবেন”
“এত দুঃখ থাকার পরেও এতটা সুখী নিজেকে কীভাবে দেখাও চাঁদ?”
“দুঃখগুলোকে এখন আর পরোয়া করিনা ভাইয়া।তাই ই বলছি জীবন কারো জন্যই থেমে থাকেনা।জানেন?প্রণয় নামক মানুষটাকে আমি ভীষণ ভালোবাসতাম।কখনো তাকে হয়তো বলতে পারিনি তবে বাসতাম খুব”
“বাসতে বলতে?এখন বাসোনা?”
“সত্যি বলতে তার প্রতি এখন আর সেই সম্মান টা আসেনা যেটা আগে আসতো।সম্মানহীন ভালো কী করে বাসতে হয় তা আমি জানিনা”
“তো এখন ভালোবাসোনা ওকে?”
“জানিনা।তবে বাসতাম খুব।পরিস্থিতির দরুন তাকেও ছেড়ে বহুদূর যেতে হয়েছিলো।এমনকি আমার স্বপ্নের ঢামেক ছেড়েও দূর থেকে দূরান্তে যেতে হয়েছিলো আমায়।ভাগ্যের নি!র্মম খেলায় দেখুন না আবারও সেখানে এসেই উপস্থিত হলাম।হয়তো আল্লাহ ভালো কিছুর উদ্দেশ্যেই এনেছেন।নাহয় যার থেকে এত পালিয়ে বেড়ালাম কেনোই বা সেখানেই আসলাম?”
“এসব দিয়ে কী বোঝাচ্ছো তুমি?”
“এটাই বোঝাচ্ছি যে পরিস্থিতি মেনে নিন ভাইয়া।এতবছরেও কেনো সবটাকে সেভাবেই দেখবেন?হতেও পারে আপনি যেমনটা ভাবছেন বিষয়টা তেমন না।একটা জিনিস বলি শুনুন।প্রণয় আর অরণ বেস্ট ফ্রেন্ড জানেন তো?তাদের মাঝেও বিরাট ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো।কিন্তু কেউই দোষী ছিলোনা।সেই ভুলের রেশ ধরে আজও অরণের কাছে সে ক্ষমা চাইতে পারেনি।আপনিও কি চান রামিম ভাইয়ার এমন কিছু?….”
চাঁদকে থামিয়ে দিয়ে রায়হান বলে,
“থামো আর শুনতে চাচ্ছিনা আমি”
“ভুল নাহয় একটা হয়েই গেছে।তার রেশ ধরে এখনো থেকে যাবেন না প্লিজ!সহজ হোন হয়তো সত্যিটা জানতেও পারবেন।সত্যি নাইবা জানলেন।বন্ধুর সুখে একটু সুখী হন।একটু নাহয় ত্যাগ করলেনই।কীই বা হয়ে যাবে তাতে?”
রায়হান কেবলই চুপ করে রয়।তা দেখে চাঁদ বলে,
“ভেবে দেখবেন কথাগুলো।আমি বসলাম মিনিট দশেক মতো।আশা রাখছি সাথে নিয়েই ফিরবো আপনায়”
To be continued…..
[বিঃদ্রঃবাড়িতে মেহমান আছে তাই কাল দিতে পারিনি।এখনও লিখেছি তবে রিচেক দেয়ার সময়ই পাইনি মোটেও।বানানে ভুল থাকলে একটু বুঝে নেবেন।আমি পরবর্তীতে এডিট করে দেবো]