আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৬১.

0
901

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৬১.
উশ্মির ডাকে বন্ধ চোখজোড়া খুলে তার পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে কপাল খানিকটা কুচকিয়ে চাঁদ বলে,

“বিয়ে?কার তোমার?”

অতঃপর উঠার চেষ্টা করতে চাইলে উশ্মি বাধা দিয়ে বলে,

“আহহা ভাবি!উঠো নাতো।সবই বলবো তবে তোমার এ অবস্থা হলো কী করে?এতোটা আ!ঘা!ত কীভাবে পেলে?দেখেতো মনে হচ্ছে মাথা ফে*টেছে কিন্তু কীভাবে ভাবি?”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাঁদ বলে,

“সে বড়োই দুঃখজনক কথা।সময় করে শোনাবো একদিন।তুমি বলো,হঠাৎ বিয়ে?”

চাঁদের পাশে বিছানায় পা তুলে বসে উশ্মি।বসে এক পাশের বালিশে ডান হাতের কনুই এ ভর দিয়ে তালুতে মাথা ঠেকিয়ে চাঁদের পানে চেয়ে উৎফুল্লতার সহিত বলে,

“হ্যা ভাবি হ্যা!আমার বিয়ে,ভাবতেই যে কি খুশি খুশি লাগছে!”

বলেই খানিকটা লজ্জা পায় উশ্মি।উশ্মির লজ্জা পাওয়া দেখে চাঁদ বলে,

“ওরে ননদিনী আমার!এত্ত লজ্জা?রামিম ভাইয়ার ফ্যামিলি জানে সব?”

“আমাদের দুই ফ্যামিলিই তো জানে ভাবি।সবাই রাজি, শুধু আমার ফেরার অপেক্ষায় ছিলো।আমিও আর দেরি করতে চাইছিলাম না তাই রামিমকে বলেছি আংকেল আন্টিকে যেনো বিয়ের কথা বলতে পাঠায়”

“তাই?তারপর?”

“তারপর আর কি?আজ আমায় দেখতে আসবেন তারা”

“সব না জানেই?তো দেখতে আসবেন মানে?”

“আরেএ!দেখতে আসবেন বলতে কথা পাকাপাকি করা ভাবি”

“আচ্ছা আচ্ছা!তাহলেতো আমার অনেক কাজ আছে।কিন্তু এভাবে কীভাবে?”

“তোমার যে এমন অবস্থা হয়েছে আমিতো জানতাম না ভাবি।একটু আগেই চাচির কাছ থেকে শুনলাম।কালও তো বাড়ি ছিলেনা,কোথায় গিয়েছিলে?”

“হসপিটাল”

“হসপিটাল?কিন্তু কেনো?”

“অরণকে দেখতে গিয়েছিলাম”

“অরণ ভাইয়া?তুমি আসলেই দেখি সবাইকে চেনো।তোমাদের বিষয়টা বুঝতে পারছিনা আমি।আমায় সবটা না জানালে কীভাবে কী করবো?আবার তুমি ডিভো!র্সও চাও।কিন্তু কেনো?সেটা তুমি আমায় স্পষ্টভাবে বলছোনা ভাবি”

মৃদু হেসে চাঁদ বলে,

“আমায় নিয়ে ভাবতে হবেনা মেয়ে।বিয়ে নিয়ে ভাবো,রামিম ভাইয়াকে নিয়ে ভাবো।তোমাদের বিয়ের ঝামেলাটা যাক তারপরই আমি তোমায় জানাবো কেনো তোমার ভাইকে আমি ডিভো!র্স দিতে চাই।আর আশা রাখছি সবটা শোনার পর তুমি নিজেই বলবে যেভাবেই হোক ডিভো!র্স তুমি আমাকে দেওয়াবেই।তাই পেপার সব রেডি করে রেখো”

কপাল কুচকে উশ্মি বলে,

“এতোটা শিওর কী করে?তোমার আর প্রণয় ভাইয়ের মাঝে আসলে হয়েছে টা কী?”

“হয়েছে বহু কিছুই আপাতত সেসব রাখো আর সবকিছুর ব্যবস্থা করো।কখন আসবে রামিম ভাইয়ারা?”

“না আজ আর আসবেনা।আমি মানা করে দেবো।তুমি একটু সুস্থ হও তারপরই কথা আগাবো”

কপাল কুচকে হাত নাড়াতে গেলে হাতে সুচ বি!ধে যাওয়ায় চোখ বন্ধ করে দাত খিচে চাঁদ বলে,

“আরেএ খামোখা আমার জন্য কেনো?”

“চুপ থাকো।বেশি বুঝবেনা বলে দিলাম।আমি যেভাবে বলবো সেভাবেই হবে”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরেরদিন সকালেই চৈত্র বোনকে দেখতে বোনের শ্বশুরবাড়ি হাজির হয়।এসেই বোনের রুমে গিয়ে বোনকে শোয়া অবস্থায় দেখে তার কাছে আসতে আসতে বলে,

“ছোটি?”

ভাইয়ের কন্ঠস্বর পেয়ে তৎক্ষনাৎ চোখজোড়া খোলে চাঁদ।খুলেই ভাইকে দেখে বলে,

“ভাই তুই?”

বোনের কাছে এসে তার পাশে বসে চৈত্র বলে,

“হ্যা আমি।কেনো আসতে পারিনা?নাকি ভেবেছিস বিয়ে হয়ে গেছে বলে পর হয়ে গেছিস?”

“আরেএ না ভাই”

“এবার বল এসব হলো কী করে?”

“অরণের ব্যাপারে জানিস না?সেদিনতো অরণের জন্যই বেঁচে ফিরতে পারলাম”

শেষের কথাটা খুব ধীরগতিতে বলেই দৃষ্টি নত করে চাঁদ।তা দেখে চৈত্র বলে,

“ওসব মনে করিস না।হঠাৎ অরণের কথা বলছিস যে?”

“ভাই তুইতো জানিস আমি সেদিন ইচ্ছা করে অরণের মাথায় বা*রীটা দেইনি।ওরা যাতে,ওরা যাতে তাকে….”

বোনের ঠোটে তর্জনী রেখে চৈত্র বলে,

“হিশ!সেসব জানতে চাইনি।তুই বল ওর কথা কেনো বলছিস?হঠাৎ পাঁচ বছর আগের ঘটনা কেনো মনে করছিস?যা চলে গেছে গেছেই!তুইও তো মুভ অন করেছিস।আর যেনো তোর মুখে এসব না শুনি”

“ভাই আমি অরণকেই দেখতে গিয়েছিলাম হাসপাতালে।অরণের অবস্থা খুবই করুন।ছেলেটা কোমায় গিয়ে রয়েছে।আর খুব সম্ভবত তা পাঁচ বছর ধরে।আমার সেই কাহিনীর পরেই!”

কপাল কুচকে চৈত্র বলে,

“কী!”

“হ্যা।আমার দেওয়া আ!ঘা!তটা হয়তো গুরুতরভাবেই লেগেছে।তুইতো জানিস আমি ইচ্ছা করে….”

“হ্যা জানি।অরণ তারপর থেকেই কোমাতে?”

“আমারতো তাই মনে হচ্ছে।এখনো ছেলেটা ঠিক হয়নি।সবকিছু আমার জন্য হয়েছে রে!এতটা বিধ্ব*স্ত অবস্থায় তাকে দেখে আমার যে কেমন লাগছে!তোকে বলে বোঝাতে পারবোনা আমি ভাই”

“কিন্তু অরণের সাথে তোর এ অবস্থা হওয়ার কানেকশান কোথায়?তোর মাথা কী করে ফে*টেছে?”

“ইম….আমি অরণকেইতো দেখতে গিয়েছিলাম।সেখানেই বাথরুমে গিয়ে সাবানে পা দিতেই পিছলিয়ে পড়ে গিয়ে”

কপাল কুচকে চৈত্র বলে,

“সত্যি বলছিস?”

চোখজোড়া বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিয়ে ভাইয়ের চোখে চোখ রেখে চাঁদ বলে,

“হ্যা সত্যি”

“তবে তুই কিন্তু আজও আমায় বলিস নি সেদিন তুই ছেলেটাকে মাথায় আ!ঘা!ত কেনো করেছিলি?যেখানে ছেলেটা নিজের প্রাণের বিনিময়ে তোকে বাঁচিয়েছিলো!”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাঁদ বলে,

“সে এক অজানা রহস্য,যা গোপন থাকাই শ্রেয়”

অতঃপর হাসিমুখ করে বিছানা থেকে উঠতে উঠতে বলে,

“তুই বস আমি তোর জন্য শরবত করে আনি”

চাঁদের কব্জি ধরে তাকে বিছানায় বসিয়ে ধমকের সুরে চৈত্র বলে,

“চুপচাপ বস।বেশি পাকামো করতে হবেনা”

দিন দু’য়েক বাদের কথা,
হলরুমের একপাশের সোফায় বসে আছে উশ্মি।তার একপাশে বসা রামিমের মা তথা প্রণয়ের মামি আর অপরপাশে রিদি।তাদের বিপরীতপাশের সোফাতে বসে আছেন উশ্মির বাবা,রামিমের বাবা আর প্রণয়ের বাবা। তাদের পাশের সিংগেল সোফায় বসে আছে রামিমও।রামিম আর উশ্মিকে একবারের জন্যও মাথা তুলে তাকাতে দেখেনি চাঁদ।যার দরুন খানিকটা কেশে শরবতের গ্লাস রামিমের দিকে এগিয়ে দিয়ে চাঁদ বলে,

“নিন ভাইয়া শরবত নিন।কিছুইতো খেলেন না।মানলাম জামাই হয়ে আসছেন,তাই বলে কিছুই খাবেন না?জামাই হওয়ার আগে কিন্তু প্রণয়ের ভাই আপনি”

রামিম খানিকটা হেসে চাঁদের থেকে গ্লাসটা নিয়ে বলে,

“না না তেমন কিছুই না।তুমিতো অসুস্থ এসব কেনো করছো?রিদির পাশে বসে পড়ো।উশি বললো খানিকটা সুস্থ হয়েছো তাই ই আসা।কিন্তু এখনতো দেখছি ততটাও সুস্থ হও নি।তাছাড়া এক্সিডেন্টটা হলো কী করে?”

চাঁদ প্রসঙ্গ এড়াতে বলে,

“আরেএ ভাইয়া সেসব বাদ দিন।আজ কেবলই আপনাদের দিন।আমায় মাঝে টানবেন না”

বলেই খানিকটা হাসে চাঁদ।হেসে আবারও বলে,

“মামা আপনারা তাহলে কথা বলুন আমি আপনাদের খাবারের ব্যবস্থা করছি।মামিমা আপনারা কিন্তু না খেয়ে যাবেন না।আমার রান্না প্রায় শেষই”

রামিমের মা বললেন,

“সে কী মা?এই অসুস্থ শরীর নিয়ে এসব করতে গেলে কেনো তুমি?”

“আমি টুকটাক হেল্প করেছি মামিমা।উশ্মিই সব করেছে।আপনাদের হবু বউ কিন্তু পাকা রাধুনী”

চাঁদের কথা শুনে রামিমের মা উশ্মির পানে চেয়ে বলেন,

“তাই নাকি বউমা?”

হবু শাশুড়ীর কথায় লজ্জায় দৃষ্টি নত করে উশ্মি।দৃষ্টি নত ঝুকাতেই রিদি বলে,

“ইশ রে ভাবি!এভাবে লজ্জা পেওনাতো।এতো লজ্জা পেলে চলে নাকি?বিয়ে যে তোমাদের হবেই তাতো সবাই জানতোই”

হঠাৎ প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর শোনা যায়,

“মামা?সব কথাইতো হলো।ওদের বিয়ের দিনতারিখের ব্যাপারে কিছু ভাবলেন?”

রামিমের বাবা খানিকটা কেশে শান্তকন্ঠে বলেন,

“হ্যা বলছিলাম যে রিদির এডমিশন ফেজ টা যাক।তাছাড়া শিফা আর রুবারও তো এডমিশনের ব্যাপার স্যাপার আছে।মাস দুয়েক পরে দিন তারিখ ঠিকঠাক করলে কেমন হবে ভাইসাহেব?”

শেষের প্রশ্নটা উশ্মির বাবার কাছেই করা।উশ্মির বাবা তথা প্রণয়ের চাচা বলেন,

“জ্বি ভাইসাহেব সেটা করলেই ভালো হয়।ওদের এডমিশনের ঝামেলাটা গেলেই বরং যা করার করলে ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে”

উশ্মির বাবার কথা শুনে রামিমের মা বলেন,

“তাহলে মেয়েকে আজই আংটি পরিয়ে যাই তবে?কী বলো মা?তোমার আপত্তি আছে?”

উশ্মির কিছু বলার পূর্বেই চাঁদ ইতস্তত করে বলে,

“মামিমা একটা কথা বলতাম যদি আপনাদের কারো আপত্তি না থাকে তো”

প্রণয়ের বাবা বলেন,

“আপত্তি কেনো থাকবে?তুমি বাড়ির বড় বউ,উশ্মির বড় ভাবি।তোমার তার ব্যাপারে কথা বলার অধিকার অবশ্যই আছে।বলো নির্দ্বিধায়”

শ্বশুরের সম্মতি পেয়ে চাঁদ বলে,

“আসলে বাবা,আমি বলছিলাম যে উশ্মিকে নিয়ে রুবা,শিফারও বেশ উৎফুল্লতা।তো সবাই থাকাবস্থায় যদি রামিম ভাইয়া আর উশ্মির রিং সেরিমনি টা হতো তাহলে হয়তো ভালো হতো।ওরা জানলে হয়তো কষ্ট পাবে।তাই বলছিলাম আজকের মতো ভাইয়ারা থেকে যাক আগামীকাল নাহয় সবাইকে ডাকিয়ে এনে ঘরোয়াভাবে আংটিবদল করে ফেললে?মানে যদি আপনাদের কারো কোনো সমস্যা না হয় তবেই আরকি”

প্রণয় কিছু বলতে উদ্যত হতেই রামিম প্রণয়ের বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

“হ্যা ফুপা চাঁদের কথায় যুক্তি আছে।তাছাড়া আমারও কয়েকজন বন্ধু ছিলো।ওদেরও বলতাম আর রায়হানও তো….”

কথাখানা বলেই উশ্মির পানে তাকায় রামিম।তাকাতেই উশ্মির শান্ত মুখশ্রী দেখে স্বস্তির শ্বাস ফেলে তার বাবার পানে চেয়ে আবারও বলে,

“রায়হান তো আমার জানের জিগার।ওকে ছাড়া কীভাবে এনগেজমেন্ট করি বাবা?রায়হানকে বরং তুমিই দাওয়াত করোও মা।আমি করলেতো আসবেনা।আর ফুপি তুমি কিন্তু রায়হানকে বিশেষ তলব দিয়ে আনাবে”

শেষের কথাটা প্রণয়ের মা’কে উদ্দেশ্য করে বলে রামিম।প্রণয়ের মা পুষ্পিতা জামান রামিমের পাশে এসে তার কান মলে দিয়ে বলেন,

“তবে রে পাজি!বিয়ে নিয়ে এত নাচগান তোর?”

“হবে নাই বা কেনো?তোমাদের ভাতিজিকে যে পাচ্ছি!তাছাড়া অনুপ্রাণিত কিন্তু আমি তোমার ছেলে প্রণয়ের থেকেই”

কপাল কুচকে প্রণয়ের চাচা বলেন,

“প্রণয়ের থেকে মানে?”

রামিম বলে,

“আরেএ বাবা আপনিতো জানেন না আপনার ভাতিজা কী সাংঘাতিক কাজ করেছে!এই যে চাঁদ না?এই চাঁদতো আপনার ভাতিজার প্রাক্তন প্রেমিকা।প্রাক্তনকে বিয়ে করেছে সে”

তৎক্ষনাৎ প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর ভেসে আসে,

“সে না কখনো আমার প্রেমিকা ছিলো,না কোনোকালের প্রাক্তন।চাঁদ নামক চন্দ্রময়ী কেবলই আমার বউ তথা অর্ধাঙ্গিনী”

কথাখানা বলে তৎক্ষনাৎ সে জায়গা প্রস্থান করে প্রণয়।আর প্রণয়ের এরূপ ভয়ডরহীন প্রেমবাক্যে চাঁদ ভারী লজ্জায় পড়ে।কেনোনা আশেপাশে সকল বড়রাই প্রণয়ের পানে চেয়ে থেকে তার দিকেই দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।যার দরুন তৎক্ষনাৎ দ্রুত পায়ে রান্নাঘরের দিকে এগোয় সে।

To be continued…..

[বিঃদ্রঃআমি গতকাল রাতেই পূর্ববর্তী পর্বের কমেন্টবক্সে জানিয়ে দিয়েছিলাম গল্প কেনো দিতে পারছিলাম না।অনেকে হয়তো দেখেননি আবার কয়েকজন দেখেছেন।তো যারা দেখতে পারেননি তাই আবারও বলছি।আমি বাসা চেঞ্জ করেছি ত্রিশ তারিখ যার দরুন ঝামেলাতো ছিলোই আবার শরীরও অসুস্থ এজন্যই মূলত লিখতে পারিনি আর গতকালই সব গুছানো হয়েছে।তাই আজ দেওয়ার কথা বলেছিলাম।কিন্তু এর বেশি লিখা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিলোনা।দুই দিন ধরেই আমার বাম চোখটা ভীষণ জ্বালাপোড়া করছে।আজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে ফুলে লাল হয়ে গেছে,জ্বলার সাথে সাথে প্রচন্ড ব্যথাও চোখটা।চেয়েছিলাম পর্বটা আরেকটু বড় করবো তবে এইটুকুর বেশি আমি লিখতেই পারলাম না।মনক্ষুন্ন হবেন না প্লিজ।আগামীকাল আমি এর বর্ধিতাংশ দেবো।আর অতীতপাতা গত পর্বেই শেষ হয়েছে।যাদের বর্তমান টা মনে নেই তাদের সুবিধার্থে বলে দিচ্ছি,পয়ত্রিশ নম্বর পর্ব থেকে বর্তমান শেষ হয়ে অতীত শুরু হয়েছিলো।যাদের মনে নেই পয়ত্রিশ নম্বর পর্ব রিচেক দিয়ে নেবেন।আর সম্ভব হলে আমার জন্য দুআ করবেন]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here