পরিণয়_প্রহেলিকা #লেখিকা_সিনথীয়া #পর্ব_২

0
1120

#পরিণয়_প্রহেলিকা
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_২

বৃষ্টির ফোটাগুলো হাতে পরতেই কেমন যেন শিহরণ বয়ে গেল শৈলীর সর্বাঙ্গে। খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো ও। আবার গুণগুণিয়ে উঠলো , তবে এবার ধ্বনিতে ছিল না কোনো শব্দ, শুধু ছিল কন্ঠে হামিং।

মিহরান হঠাৎ চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস ফেললো। বৃষ্টি ভেজা পরিবেশে এমন এক দীঘল ঘন কেশের অধিকারীণীর সুরেলা কন্ঠ ওর মতন এক নিরস, রুষ্ঠ মানবকেও বিভ্রান্ত করে তুলছে। নিজেকে সরানোর চেষ্টা করেও পারছে না ও কেন যেন। এক পর্যায়ে নিজের ওপর বেশ বিরক্তি অনুভূত হলো এবং সেই বিরক্তিতেই বেখালই ভাবে ঠোট দ্বয় জুড়ে ‘চ’ শব্দটা বেরিয়ে আসে।

বৃষ্টির বেগ কিছুটা কমেছে তখন। আবহাওয়ার উন্মাদ শব্দধ্বনি নিভেছে অনেকটাই। এমন সময় এমন এক শব্দ শৈলীর কানেও স্পষ্ট পৌছেছে। সাথে সাথেই ও ফিরে তাকায় শব্দের যাত্রা পথের দিকে। আর ফিরে যা দেখলো তাতে মুখের হাসিটুকু পুরাই মিলিয়ে গেল ওর।

পাশের ইউনিটের থাই গ্লাসের দরজাটা ভেদ করে দাড়িয়ে আছে এক যুবক। শ‍্যাওলা পাতা রঙের টি শার্ট আর গাঢ় নীল চেকের ফুল ট্রাউজার পরা ছেলেটা নিজের সুঠাম দেহ নিয়ে সোজা দাড়ানো। ট্রাউজারের পকেটে হাত ডুবিয়ে এক পলকে সে চেয়ে আছে শৈলীর দিকে আর এই চাহনিটাই শৈলীর মুখের হাসিটা মুছে দেওয়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এতো শান্ত, গভীর, রহস‍্যময় দৃষ্টি শৈলী আজ পর্যন্ত নিজের ওপর পরতে দেখেনি। হঠাৎ আবহাওয়াটা শৈলীর কাছে আগের থেকে কয়েকগুণ বেশী হিমশীতল মনে হতে লাগলো। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো ওর। কিন্তু কোনো এক অজানা মোহে এক পাও নড়ানোর মতন শক্তি পেল না ।
মোহটা যেন ছোয়াচে রোগের মতন মিহরানকেও আকড়ে ধরেছে কারণ ও নিজেও সরে আসতে পারছিলো না। নিষ্পলকে আক্ষি কোটর স্থির করে রেখেছিল সামনে দাড়ানো রমণীর পানে। এখন সম্পূর্ণ ওর দিকে ঘুরে দাড়ানোতে মিহরান মেয়েটার চেহারাটা স্পষ্ট অবলোকন করতে পারলো। গৌরবর্ণ মুখশ্রীতে ছুয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফোটাগুলো বেশ আকর্ষণ যোগালো। লাল বাটিকের ফুল স্কার্ট আর সাদার ওপর সাদা কাজ করা কুর্তিতে ঢাকা পাতলা গড়নের মেয়েটার ঠোঁটে লেপ্টে থাকা এতোক্ষণের খিলখিলানো হাসিটা পুরোপুরিই গায়েব, আর ঘন পল্লবে জড়ানো চোখ দ্বয়ে বিশ্বয় ভরপুর। মেয়েটার ঘাবড়ানো মুখাবয়ব দেখে নিজেকে কিছুটা ধাতস্থ করলো মিহরান। ওর মনে হলো পরিস্থিতিটা একটু স্বাভাবিক করা উচিত। হাল্কা নড়েচড়ে উঠলো ও। উদ্দেশ‍্য সামনে দাড়ানো মানুষটাকে কিছু বলা, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক করে তোলা। কিন্তু সময় মনে হয় আজ ওর পাশে ছিল না। যেই না মিহরান কিছু বলতে যাবে, হুট করেই ওর রুমে রাখা ফোনটা জোড়ে বেজে উঠলো। বৃষ্টির বেগ অনেকটা কমে আসায় আবহাওয়ায় শব্দ প্রায় নিশ্চুপ হয়ে গেছে। এর মাঝে এই দুই মানবীর ঘোর কাটানোর জন‍্য ফোনের আওয়াজটা যথেষ্টরও বেশী ছিল। কেঁপে উঠলো দুজন। মিহরান শৈলীর থেকে এক পলক সরিয়ে ভেতরে নিজের ফোনের দিকে তাকায়। শৈলীরও মিহরানের দিকে ফেরানো দৃষ্টির সুতা ঠিক তখনই কেটে যায়। আর এক মুহূর্তও ওখানে ঠাই নিল না ও। পেছন ঘুরে, কোনমতে গিটার টা নিয়ে দৌড়ে পালালো।

মিহরান ফোন থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকাতেই দেখলো শৈলীকে চলে যেতে। ভ্রু জোড়া কুচকে সেই পানেই কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিজেই নিজেকে সুধালো,
– মেয়েটা কে? এখানে আসলো কিভাবে? আমাদের এই বিল্ডিংয়ে থাকে নাকি? কই আগে তো কখনো দেখিনি? তবে যাই হোক, গানের কন্ঠটা বেশ মধুর।

মস্তিষ্কে এতো প্রশ্নের এমন হুটাহাট ট্রাফিক উপলব্ধি করে আনমনে হেসে ফেলে মিহরান। চুলের মাঝে হাত দিয়ে ব‍্যাক ব্রাশ করে আকাশ পানে চোখ ফেরায়, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি এখনো পরছে। ফোনটা প্রথম বারে বাজতে বাজতে কেটে গিয়েছিল। এখন আবার বাজলো। এইবার ধরলো মিহরান। বাসা থেকে কল এসছে। মেহরাব আর মাহিরা বাসায় ফিরেছে। মিহরান বললো ও নিচে আসছে।
…………

শৈলী কোন দিকে না চেয়ে এক দৌড়ে সিড়ি বেয়ে নিজের বাসায় ঢুকে গেল।রীতিমতো হাপাচ্ছে ও ।খাটের উপর গিটারটা রেখে ধপ করে বসে পরলো। নিজের বোকামির জন্য নিজেকে কোষে চড় মারতে ইচ্ছা করছিল ওর। আরে! এই দুপুরেই তো মাহিরা জানালো ওর মেজ ভাই দেশে ফিরেছে। আর ছাদের পাশে ইউনিট টা যে ওর মেজ ভাইয়েরই এটাতো শৈলীর আগে থেকেই জানা। মাহিরা কতোবার বলেছে ওকে। তাহলে এত জরুরী একটা বিষয় কিভাবে ভুলে গেল ও? মাথায় চাটি মেরে নিজেকেই বকলো শৈলী,
-তুই জীবনেও ঠিক হবি না।বৃষ্টি দেখেই দিকবেদিক ভুলে গান গেতে চলে গিয়েছে। একবার খেয়াল তো করবে আশেপাশে কেউ আছে কিনা!মানুষটা না জানি কি ভাবলো? এভাবে কারো প্রাইভেসি নষ্ট করাটা কি ঠিক?

এসব ভাবতে ভাবতেই কুন্ঠায় আরো কুকড়ে গেল শৈলী। মানুষটার চোখের সেই গভীর চাহনি এখনো ওর মাঝে হিম শীতল অনুভূতি দিচ্ছে। বিছানার চাদর খামচে ধরলো শৈলী,কেঁপে উঠল কিছুটা। নিজের মাঝেই প্রতিজ্ঞা করল, ছাদের দিকে আর পা বাড়াবে না, তা সে যতই বৃষ্টি আসুক।ঝড়, তুফান এমনকি বন্যা হয়ে যাক, তাও না।
……………..

সন্ধ‍্যায় বাবুল সাহেবের পুরো পরিবার একত্রিত হলো। মালিহা ট‍্যুর থেকে এসেছে আধাঘন্টা হলো। মেহরাব আর মাহিরা তো আগেই এসেছে। পাঁচ ভাইবোন মিলে সে কি জমজমাট আড্ডা! ঝুমাও মাহিবের পাশে এসে বসেছে। ভাই বোনদের এই আদর ভালোবাসা দেখতে ওর খুবই ভালো লাগে। মিহরান গুনে গুনে সবার জন্য আলাদা গিফ্ট এনেছে। এমনকি নিজের অনাগত ভাতিজা বা ভাতিজির প্রতিও তার ভালোবাসা আর দায়িত্ব বাদ যায়নি। খেলনা থেকে নিয়ে বেবি কসমেটিক্স কি আনে নি মিহরান? নিজের সন্তানের প্রতি তার চাচ্চুর আদর দেখে ঝুমার চোখে জল চলে আসলো।

রাতে ডিনারের পরে ভাই-বোনদের আড্ডা আবার জমলো। তবে এবার তারা সবাই বসলো ছাদে,পুলের পাশে। আকাশটা এখন একদম পরিষ্কার। মেঘমালা সব গায়েব,তারারাও মিটিমিটি জ্বলছে। এখনের পরিবেশটা দেখলে বোঝাই যাবে না,বিকেলে কি রকম ঝড় হয়েছিল।এটা দেখে মেহরাব মজা করে বলল,
– ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের ওয়েদার এখন একদম এক, কখন রোদ কখন বৃষ্টি ঠাওরই করা যায় না।
মালিহাও ভাইয়ের সাথে তাল মিলালো,
-একদম ঠিক বলছিস। এই যে আজ বৃষ্টি আসবে সকালেও কি সেটা বোঝা গিয়েছে? ছাতা নিয়ে যায়নি বলে আসার সময় পুরাই ভিজে গেলাম। একটা যাচ্ছেতাই অবস্থা। এভাবে হুটহাট বৃষ্টি আসলে কোন মজাই নাই।
-তবে আজকের বৃষ্টিটা আমার বেশ লেগেছে।
মিহরানের আনমনে বলা কথাটায় চার জোড়া চোখ ওর দিকে চকিতে তাকাল। বৃষ্টি অতটা না পছন্দ করা এমন কারও কাছ থেকে এরকম একটা মন্তব‍্য শুনলে অবাক তো হওয়ারই কথা।
সবার দৃষ্টি ওর দিকে হওয়ায় মিহরান একটু অপ্রস্ত হয়ে গেল,
-না, মানে বাংলাদেশের বৃষ্টি অনেকদিন পর দেখলাম তো তাই………আচ্ছা, আমাদের এই বিল্ডিং এর ব্যাপারে বলতো? সবগুলা বাসায় কি ভাড়া হয়ে গেছে?

মাহিরা তাড়াতাড়ি উত্তর দিল।
-হ্যাঁ, ভাইয়া সবগুলো বাসায় ভাড়া হয়ে গেছে। তোমার অ্যাপার্টমেন্টের ঠিক নিচে বড় ফুফুর বাসাটাই তো খালি ছিল শুধু ।সেটাও ভাড়া হয়ে গেছে প্রায় দেড় বছর হল।

মিহরান পিঠ সোজা করে বসলো। আজকের বিকালের মেয়েটার পরিচয় জানার জন্যই তো ও এই বিল্ডিং নিয়ে এত প্রশ্ন করছে। তাহলে কি মেয়েটা বড় ফুফুর বাসার ভাড়াটিয়া? নিশ্চিত হতে মাহিরা কে আবার জিজ্ঞেস করল মিহরান,
ওওও….কে এসেছে ওখানে?
আজাদ আঙ্কেল রা। আজাদ আঙ্কেল রেহানা আন্টি, আর তাদের দুই মেয়ে,শৈলী আর নিপুন। শৈলী আমার আর মেহরাবের সমবয়সী, আমাদের ভার্সিটিতেই পড়ে। আর নিপুন কলেজে।
ও হ্যাঁ,ভুলেই তো গেলাম, শৈলী তো তোমার ডিপার্টমেন্টের স্টুডেন্ট।

ছোট বোনের কথায় এবার পিঠ পুরোপুরি সোজা হয়ে গেল মিহরানের। শৈলী মেয়েটাই যে সেই বিকালের মানবী তা বুঝতে একটুও সময় লাগলো না। কারণ মাহিরার সমান আর কোন মেয়ে এই বিল্ডিংয়ে নেই। মিহরানের যা জানার সব জেনে গেছে তাই আর কোন নতুন প্রশ্ন করল না।
……………

রাতে আবার ঝড় আসলো। নিস্তব্ধতা ভেদ করে বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দ ছড়িয়ে গেল চারিদিকে। বিকালে ভালো ঘুম হওয়াতে রাতে ঘুম আসতে চাইলো না মিহরানের।তার সাথে অস্ট্রেলিয়ার আর বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য তো আছেই। এখানের সাথে খাপ খাওয়াতে একটু তো সময় লাগবেই । মিহরান থাই গ্লাসটা ভেদ করে আবার পুলের পাশে যেয়ে দাঁড়ায়, ইচ্ছা নিশীতের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মন ভরে উপভোগ করার। কিন্তু কেন যেন পারছেনা ও। কি যেন নেই । ভ্রু জোড়া কুঁচকে এলো মিহরানের। বিকেলের সেই গানটা শুনতে পারলে কি ভালো লাগতো? হমম… মনে হচ্ছে গানটা না থাকায় প্রকৃতিরও মন খারাপ। গানটার শব্দগুলো মনে পড়ছে না কিন্তু বৃষ্টি নিয়েই ছিল সেটা।
গানটা মনে করতে চোখ জোড়া বন্ধ করলো মিহরান , আর সাথে সাথেই সামনে ভেসে উঠলো সেই মায়াবী মুখটা। টানা টানা বিস্ময় ভরা আঁখি জোড়ার কথা মনে পড়তেই মিহরান নিজের চোখ খুলে ফেললো । নিজের সদাচিত গম্ভীর মুখাভাবে ছেয়ে গেল বিরক্তি। নিজেকে ওর খুব হ্যাংলা মনে হল। একটা মেয়েকে নিয়ে এত চিন্তা করার কি আছে? ওর দাম্ভিক ব্যক্তিত্বের সাথে তো এইরূপ মেলেও না। আজ অব্ধি কোনো নারীই ওকে নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করতে পারেনি। তাহলে এই বাচ্চা মেয়েটার মাঝে কি পেল ও? হ‍্যা, বাচ্চাই তো, মাহিরা বললো না ওর সমবয়সই? তাহলে তো মিহরানের থেকে সেই মেয়ে কম করে হলেও সাত থেকে সাড়ে সাত বছরের ছোট। আশ্চর্য!
মিহরান বেশ বুঝতে পারল এখন ওর একটা ঘুম দরকার। সকাল হলেই ওই মেয়ের ভুত মাথা থেকে পালিয়ে যাবে।

এদিকে শৈলী বৃষ্টি উপভোগ করছে নিজের খাটে বসে। বৃষ্টির পানি আছড়ে পরে পুরো বারান্দা ভিজিয়ে দিয়েছে বলে সেখানে যাওয়ার উপায় নেই। তাই খাটে বসেই জানালার কাঁচের এপাশ থেকে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছে অম্বর ধারার দিকে। পাশে নিপুন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। ওর বৃষ্টি তেমন একটা পছন্দ না, শুধু বৃষ্টি আসলে ঘুমটা ভালো হয় এটাতেই ওর শান্তি। কিন্তু শৈলী বিশাল বৃষ্টি বিলাসী। ঘন্টার পর ঘন্টা এভাবে বসে বৃষ্টি দেখতে ওর কোন সমস্যা নেই।
হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকে ক্ষনিকের জন্য রুমে আলো ছড়িয়ে পড়ল। সেই আলোতেই পাশে রাখা গিটারের দিকে চোখ চলে গেল শৈলির।আর সাথে সাথেই মস্তিষ্কের পাতায় ভেসে এলো বিকেলের সব চিত্র। বাসায় ফিরে লজ্জা জড়ানো শৈলী এ নিয়ে বেশি কিছু আর ভাবতে পারিনি। তবে এখন একটু একটু করে সব মনে পড়ছে।আর তার সাথেই জাগছে মনে নানান প্রশ্ন?
-আচ্ছা, মানুষটা কতক্ষণ ধরে ওখানে দাঁড়িয়ে ছিল?আর এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়েছিল কেন ? উনি কি আমার গান শুনছিলেন? এটা কেমন অভদ্রতা? কারো পারমিশন ছাড়া তার গান শোনা কি ঠিক? আর আমি যখন তাকালাম তখন উনি আমার দিকে এমন নিষ্পলক ভাবে চেয়েছিলেন কেন? আজব তো। অবশ্য…. আমিও তো পলক ঝাপটাতে ভুলে গিয়েছিলাম।
সেই মুহূর্তটা মাথায় আসতেই আবার সব রাগ কোথায় যেন উড়ে গেল শৈলির । গালে ছেয়ে গেল লজ্জার লাল আবরণ। এভাবে বেহায়ার মতন ও আগে কাউকে অবলোকন করেনি। মানুষটার দৃষ্টির সাথে ওর দৃষ্টি যেন এক প্রকার লক হয়ে গিয়েছিল। ছুটানো ছিল তখন বড়ই মুশকিল ।সাথে সাথেই কাঁধ কেঁপে উঠলো শৈলীর।
– না, না আর চিন্তা করা যাবে না। বাদ, বাদ সব বাদ। এমনিতেও রাত হয়েছে অনেক এখন ঘুমানো দরকার, না হলে কাল সকালে আমার কানের কাছে কেউ ট্রাম্পেট বাজিয়েও আমাকে ঘুম থেকে উঠাতে পারবে না।
এই সাত পাঁচ চিন্তা করেই শৈলী শুয়ে পড়লো,পাড়ি দিল ঘুমের রাজ্যে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here