পরিণয়_প্রহেলিকা #লেখিকা_সিনথীয়া #পর্ব_৪

0
918

#পরিণয়_প্রহেলিকা
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_৪

মালিহাকে এই নিয়ে ওয়াট্স এ‍্যাপে ছয়বারের বেশী ফোন করে ফেলেছে তুরিন। উদ্দেশ‍্য, ভিডিও কলের মাধ‍্যমে মিহরানকে একবার দেখা। কিন্তু মালিহা ফোনটা পিক করছে না দেখে রাগে দপ দপ করছে তুরিনের মাথা। বিছানায় এক প্রকার ছুড়েই ফেললো ও মোবাইলটা আর ঠিক তখনই খাট কাঁপিয়ে রিংটোন বেজে উঠলো। ছো মেরে মোবাইলটা নিয়ে তাকায় তুরিন। মুখে হাসি ফোটে, হ‍্যা মালিহা কল করেছে, তবে ভিডিও না অডিও কল। তুরিনের তাতেই হবে। কল কাটার আগেই জলদি রিসিভ করেই আগে ঝাড়ি দিল,
– তুই কই মরতে গেসিশ মালিহা? ফোন ধরিস না কেন!
মালিহা জানতো এরকমই কিছু হবে ওর সাথে,
– সরি রে বান্ধবী, ভাইয়া আসার উপলক্ষ‍্যে বাসায় অনেক গেস্ট। এতো ব‍্যস্ত থাকায় কলটা দেখারই সময় পাই নি। কি ব‍্যাপার বল তো?
– আগে ভিডিও কলে আয়।

মালিহা ঠোট টিপে নিঃশব্দে হাসে। বান্ধবীর এই অসময়ের আকুল আবেদনের মূল কারণ জানা থাকলেও সে না জানার ভান করে।
– ভিডিও কল? না রে এখন পারবো না। বাসা ভর্তি মানুষ। কিন্তু তোর হঠাৎ ভিডিও কলে কথা বলার সাধ জাগছে কেন হ‍্যা? আমাকে তো দুপুর পর্যন্ত দেখলিই, এতো তাড়াতাড়ি আবার বুঝি আমাকে দেখতে মন চাইছে?

মালিহার দুষ্টুমি বুঝে লজ্জা লাল হয়ে গেল তুরিন। তার সাথে বান্ধুবি যে ওর ভিডিও কল করার আসল কারণ বুঝে গিয়েছে, এটা ভেবেই অস্বস্তিতে পরলো ও। যত যাই হোক, ওর পছন্দের মানুষের ছোট বোন মালিহা, একটা লজ্জার ব‍্যাপার আছে না!
এদিকে মালিহা ফোনের এপাশ থেকেই ওপাশের খবর বুঝে হাসতে শুরু করে দিল। বান্ধবীকে আরেকটু লজ্জা দিতেই ফিসফিস করে বললো,
– যাকে দেখার জন‍্য তোর মন এমন উতলা হয়ে আছে, সে কিন্তু আমার সামনেই বসা। কিন্তু আশপাশে তার অনেক মানুষ। এখন বল্ সবার সামনে দিব ভিডিও কল্।
ওমনি লাফিয়ে উঠলো তুরিন,
– এই না, খবরদার না। এই কাজ ভুলেও করিস না দোস্ত, আমি মরেই যাবো।
মালিহার মুখের হাসি চওড়া হলো,
– কতবার আজ বল্লাম তোকে, আমার সাথে বাসায় আয়, ভাইয়াকে সরাসরি দেখে নিয়ে মনকে শান্তি দে, কিন্তু না তিনি আসবেন না। এমন ভাব যেন বিয়ে ঠিক হয়ে বসে আছে, আর তিনি হবু বউ বিয়ের আগে হবু শ্বশুরবাড়ির পথে হাটবেন না।
শেষের দুই লাইন তুরিনকে ব‍্যঙ্গ করেই বললো মালিহা। তবে তুরিন স্মিত হাসি হেসে ফেললো লজ্জায়। কথায় কথায়ই হোক না কেন, অন্তত মিহরানের সাথে ওর বিয়ের কথা বলেছে তো মালিহা, ও তো শুনেছে, এই ঢের।

এই কথাগুলোর পর তুরিনের আর কোনো কথা বলতে ইচ্ছে হলো না। ও বিয়ের কল্পনা নিয়েই আজকের বাকি সময়টুকু কাটাতে চায়। তাই মালিহাকে বাই বলে ফোন রেখে দিল।
……….
ঐশ্বর্য কিছুক্ষণ পর পর এদিক সেদিক উকি মারছে। এক জায়গায় বসে থাকলেও নয়নের চঞ্চলতা স্পষ্ট। মিহরান খালা ফুফুদের সাথে গল্প করছে, আবার মাঝে মধ‍্যে ফোনেও কথা বলছে বলে এক স্থানে স্থির থাকতে পারছে না। এবং সেই কারণেই সোফায় বসা ষোড়শির আক্ষিযুগলো অস্থির।
মাহিরা ঐশ্বর্যর পাশ দিয়েই যাচ্ছিল যখন ওর নজরে মেয়েটার কান্ড ধরা পরে। আগে থেকেই এই ব‍্যাপারে বিরক্ত মাহিরা, আর নিতে পারলো না বিষয়টা। যেয়ে একদম ঐশ্বর্যে গা ঘেঁষে বসলো। পাশে কেউ বসাতে ঐশ্বর্যও লাফিয়ে উঠলো। মাহিরা এ দেখে মুচকি হাসে,
– কোথায় হারিয়ে ছিলি ঐশু?
-কক…কোথাও না আপু।
-হমম…আচ্ছা তোর পড়াশোনা কেমন চলছে? কলেজে ভালো লাগছে?
-হ‍্যা ভালো লাগছে।
– আচ্ছা জানিস একটা গুড নিউজ আসে।
-কি আপু?
-মমম? বলতে পারি, তবে এটা সিক্রেট। তোকে আগে প্রমিস করতে হবে যে তুই কাউকে এই ব‍্যাপারে কিছু বলতে পারবি না। আম্মু, খালামুনিদের তো একদমই না।
ঐশ্বর্যের মধ‍্যে উত্তেজনা দেখা দিল,
– আচ্ছা আচ্ছা বলবোনা আপু। এখন বলো কি সিক্রেট।
মাহিরা নড়েচড়ে বসে,
– জানিস…মেজো ভাইয়ার না একটা রিলেশন আছে।

মাহিরার চোখ ঐশ্বর্যে উজ্জ্বল মুখশ্রি নিমিষেই অস্তে যাওয়ার সাক্ষী হলো। মেয়েটার হাসি পুরাই উবে গেল, বাসা বাধলো একরাশ অন্ধকার।
– ক..কার আপু? মি..মি..মিহরান ভাইয়ের?
-তো আমার আর কয়টা মেজো ভাই আছে?
– সত‍্যি ওনার রিলেশন আছে?
– আরে তো আমি মিথ‍্যা বলবো নাকি? আমি তো ইভেন ছবিও দেখেছি ভাইয়ার মোবাইলে। যা টুকটুকে সুন্দর মেয়েটা জানিস? চুল তো না, যেনো ঘন কালো চাদরের আস্তরণ। হাটু ভেঙে নিচে পরে সেই চুল। আর হাসির কথা নাই বললাম। একদম ক্লোসাপ হাসি যাকে বলা যায় আর কি। আমার তো ভাবিকে সেই সুন্দর লেগেছে, মাশাল্লাহ্।ভাইয়ার চয়েস আছে বলতে হবে।

ঐশ্বর্যের চোখে তখন গভীর বরষা। পানির ঘোলাটে আস্তরে মনি দুটো ঠাওর করা ভার। মনের গহীনে চলছে তান্ডব। ভালোবাসার মানুষের অন‍্য কাউকে ভালোবাসার গল্প কি শোনার মতন কিছু? আর সেটা শুনে কি শান্ত থাকা যায়। না থাকা যায় না। ঐশ্বর্য পালাতে চায় এখান থেকে। এক্ষুনি।
মাহিরা আড়চোখে দেখেও পুরো বিষয়টা না দেখার ভান করলো। ঐশ্বর্য আরেকপাশ ফিরে নিজের অশ্রু লুকিয়ে উঠে দাড়ায়। মাহিরা এবার তাকায়,
-আরে কই যাস?
– আম্মুর কাছে যাই আপু। বাসায় যাব।
– এখন কেন যাবি? আরেকটু থাক্। আরও কথা আছে তো, শুনবি না?
– না আপু, আর শুনতে ইচ্ছা করছে না। আর এমনিতেও এখন বাসায় যেতে হবে, কাল কলেজ আছে।
-ওওও, তাহলে যা। আচ্ছা শোন, আবার বলছি, এই সিক্রেট কিন্তু কাউকে বলা যাবে না এখন, গট ইট।
ঐশ্বর্য ভ্রান্ত মনে মাথা হাল্কা দোলায়। তারপর চলে যায় ডাইনিং হলে বসা নিজের মায়ের কাছে। মাহিরা চুপচাপ মেয়েটাকে দেখে আর হাসে। এইবার যদি মেয়েটার একটু সুবুদ্ধি হয়।
………………..
বড় ফুফুর আর ছোট খালার পরিবার একসাথে কিছুক্ষণ পর বের হলেন। খালার আরও কিছুক্ষণ থাকার ইচ্ছা থাকলেও মেয়ের জোড়াজোড়িতে থাকতে পারলেন না। মনে মনে ভীষণ অবাকও হলেন, যেই মেয়ে মিহরান আসার কথা শুনে গতকাল থেকে পাগল করে দিয়েছে এখানে আসার জন‍্য, সেই কি না এখন বাসায় যাওয়ার জন‍্য এভাবে তাল ধরলো? এই টিনেজারদের নিয়ে এই এক সমস‍্যা। কখন কি ইচ্ছা করে এদের, এটা নিজেরাই বোধহয় বুঝতে পারে না।
ওনাদের বিদায় দিয়ে মিহরানও নিজের ফ্ল‍্যাটে চলে গেল, তবে যাওয়ার আগে মাহিরা আর মেহরাবকে বলে গেল যে আগামীকাল ওরা যেন মিহরানের জন‍্য ওয়েট করে। একসাথেই যাবে মিহরানের গাড়িতে কারণ মিহরানের পিকনিকের জন‍্য কিছু কাজে ভার্সিটি যেতে হবে।

মিহরান চলে যাওয়ার পর, আফিয়া বেগম মাহিরাকে ডেকে এক ট্রে খাবার ওর হাতে দিয়ে বললেন, শৈলীদের বাসায় দিয়ে আসতে,
– মেয়েটা তখন খালি মুখে চলে গেল, এটা আমার একদমই ভালো লাগে নাই। কিন্তু ভাবীর কথা বলাতে আমি আর মানা করলাম না। যা তো মাহি, একটু খাবার গুলা দিয়ে আয়তো।
মাহিরা খুশি মনেই খাবারের ট্রে নিয়ে বের হলো। বান্ধবীর সাথে আড্ডা মারার কোনো সুযোগই সে হাতছাড়া করতে চায় না। শৈলীদের বাসার ডোর বেল বাজাতেই দরজা খুললো নিপুন, পেছনে ডাইনিং হলে বসে শৈলী আর রেহানা। মাহিরাকে দেখে তিনজনই অনেক খুশি হয়ে গেল। শৈলী এগিয়ে এসে মাহিরার হাত থেকে ট্রে টা নিয়ে নিল। মাহিরা রেহানাকে সালাম জানালো। রেহানাও তা উত্তর দিয়ে কাছে এলেন,
– কি রে মা,ভাইয়া এসেছে বলে আমাদের ভুলেই গিয়েছিস? দুই দিন হলো বাসায় দেখিনা কেন তোকে?
মাহিরা খিলখিলিয়ে হাসলো,
– না না আন্টি এমন কিছু না। আসলে ভাইয়া আসাতে বাসায় সবাই তার সাথে দেখা করতে আসছে তো, তাই একটু ব‍্যস্ত ছিলাম এই যা। আন্টি, মা একটু খাবার পাঠিয়েছিলেন আপনাদের জন‍্য।
রেহানা ব‍্যস্ত হয়ে পরলেন,
– হায় আল্লাহ্! এই কষ্ট আবার কেন করতে গেলেন ভাবি? দেখেছ কান্ড!
রেহানার কথায় মাহিরা, শৈলী আর নিপুন একসাথে হেসে দিল। রেহানা শৈলিকে বললেন মাহিরাকে নিয়ে ওর নিজের রুমে চলে যেতে। তিনি নিপুনকে সাথে নিয়ে খাবার গুলো গোছাতে ব‍্যস্ত হয়ে পরলেন।
দুই বান্ধবী রুমে এসেই জম্পেষ আড্ডার আসর বসালো। গল্প করতে করতে এক সময় আজ বিকেলের কথা উঠলো। তখন শৈলী মনে করার মতন করে বললো,
– এই মাহি, তুই বিকেলে তোর ঐ কাজিন, কি যেন নাম, ও হ‍্যা ঐশ্বর্য না? হ‍্যা ওর ওপর বিরক্ত হলি কেন?
সাথে সাথে মাহিরার হাসি মুছে বিরক্তির দেখা মিললো,
– আর বলিস না দোস্ত। এই মেয়েকে নিয়ে বেশ ভেজালে আছি।
-কিসের ভেজাল?
মাহিরা দুই পা তুলে আসন গেড়ে বসে,
– ঐশ্বর্য মনে মনে মেঝো ভাইয়ার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। can you imagine? আরে ? মেয়েটার বয়সই বা কত? মাত্র ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে উঠলো। আর সেখানে ভাইয়া পিএইচডি শেষ হয়ে এসছে প্রায়। বয়সে পাক্কা ১২ বছরের গ্যাপ। এটা কি মানা যায়? আর বয়সের পার্থক্যটাও বড় কথা না, সমস্যাটা হলো ম্যাচিউরিটির। ঐশ্বর্যের মত ন্যাকা মেয়ে আমি আজ অব্দি দেখিনি। নাম একটা পেয়েছে এমন, যে নিজেকেই ও মিস ওয়ার্ল্ড মনে করে, আসছে আমার এ‍্যাশওয়ারিয়া রায়! হুহ্।
মাহিরার কথার ধরনে শৈলীর ভীষণ হাসি পায়। মেয়েটা অনেক মজা করে কথা বলতে পারে। এই যে এখনই মাহিরা কিন্তু খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে ওর কাজিনের ওপর রেগেই কথাগুলো বলছে, কিন্তু তা শুনে শৈলীর শুধু হাসিই পাচ্ছে। মাহিরা কটমট করে তাকায়,
– আমি রেগে ফায়ার হয়ে আছি আর তুই হাসছিস?
-কি করবো বল্। তুই কথাই বলিস এতো মজা করে যে না হেসে পারিনা।
এই কথা বলে শৈলী আদুরে ভঙ্গিতে মাহিরার দুই গাল টেনে দিল। মাহিরা শৈলীর হাত সরিয়ে দিয়ে হঠাৎ উচ্ছাসিত হলো,
-তবে আজকে আমি এই প্রব্লেমের পার্মানেন্ট একটা সমাধান করেছি।
শৈলীর চোখে কৌতুহল,
– কি করেছিস।
মাহিরা এবার সোজা হয়ে বসে, একটা বড় দম নিল। তারপর হাসিমুখে গড়গড় করে ঐশ্বর্যের সাথে ওর সব কথোপকথনের বৃত্তান্ত পেশ করলো। শুনে শৈলীর চোখে দেখা দিল বিভ্রান্তি,
-তোর ভাইয়ার যদি রিলেশন থাকে তাহলে তো ঐশ্বর্য কে নিয়ে তোর কোনো চিন্তাই থাকার কথা না। তুই তাহলে এতো টেনস্ড কেন?
-কারণ, বাস্তবে ভাইয়ার কোনো রিলেশনই নেই।
-মানে কি? ওয়েট ওয়েট তার…মানে…
মাহিরা সামনে ঝুকে,
– জ্বী ম‍্যাডাম, আমি ঐশ্বর্যকে সব মিথ‍্যা বলেছি। ভাইয়ার কারও সাথে কোনো সম্পর্ক নাই, অন্তত আমার জানা মতে নাই। কারণ ভাইয়া যেই নিরস আর গম্ভীর, তার এই সবে জড়ানোর চান্স মাইনাসের পর্যায়ে। কোনো মেয়ে ওনার সাথে প্রেম করার আগেই ভাগবে।
বলেই মাহিরা চোখ উল্টায়। বান্ধবীর বিরক্তি মাখা মুখ দেখে শৈলী মুচকি হাসে। তবে কথা বলার সময় একটু কঠোর স্বর টেনে আনে আওয়াজে,
– তাহলে তুই যা করেছিস এটা ঠিক করিস নি দোস্ত। অন্তত আমার মনে হয়নি মেয়েটাকে এভাবে মিথ‍্যা বলে বিভ্রান্ত করাটা ঠিক হয়েছে।
মাহিরা বিরক্তিতে ভ্রু জোড়া কুচকায়,
– কেনো, কি ভুল করেছি আমি? তুই জানিস এই ব‍্যাপারটা নিয়ে কতো বেশি চিন্তিত ছিলাম?
শৈলী তার উত্তেজিত বান্ধবীকে স্থির করার চেষ্টায় বলে,
– আরে বোন আমার… তুই এতো চিন্তা করছিস কেন? ঐশ্বর্যর বয়সই বা কতো? এই বয়সে এই সব আবেগ থাকেই। বড় হতে হতে সেটা হয়তো এক সময় এমনিতেই চলে যেত। আর ও পছন্দ করলেই তো আর তোর ভাইয়ার সাথে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে না, তাই না?
মাহিরা তাও সন্তুষ্ট হলো না,
– আমি ঐশ্বর্য কে নিয়ে চিন্তা করি না। করি ওর মা, মানে আমার প্রানের খালামণিকে নিয়ে। ওনার যে মিহরান ভাইয়ার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার খুব সখ, তা আমি জানি। একবার তার আর খালুর এই বিষয়ে আলোচনা আমি শুনে ফেলেছিলাম। এবং আমি শিওর আম্মুকে খালামণি এটা জানালে আম্মুও লাফিয়ে লাফিয়ে এই বিয়েতে রাজি হয়ে যাবেন। কলিজার বোন কি না! এখন আমার চিন্তার কারণ বুঝছিস?
শৈলী দুই ঠোট এক অপরের সাথে চেপে মাথা ওপর নিচ ঝাকালো। এটা আসলেই সমস‍্যার কথা। তবুও বান্ধবীকে তো সামলাতে হবে, তাই ওর মন ভালো করতে ব‍্যতিব‍্যস্ত হয়ে বললো,
– তাহলে এক কাজ কর মাহি। তুই নিজের পছন্দের একটা মেয়ে তোর ভাইয়ের জন‍্য নিয়ে আয়। ঐ যে তুই যেই বিবরণ দিয়েছিস না ঐশ্বর্যকে, সেরকমই একটা মেয়ে নিয়ে আয় ভাবি হিসেবে। তোর খালামণি, আন্টিকে জানানোর আগেই তুই সেই মেয়ের সাথে তোর ভাইয়ের সেটিং করিয়ে দে। ব‍্যাস! লেঠা চুকে গেল।
এটা বলেই শৈলী নিজের মোবাইলটা খুজতে ঘুরে গেলে মাহিরা বললো,
-আমি তো ভাইয়ার জন‍্য একদম পারফেক্ট বউ অলরেডি খুজে পেয়েছি। তার বিবরণই তো দিয়েছিলাম ঐশ্বর্যকে।
শৈলী নিজের মোবাইল পাচ্ছে না। ওর মনোযোগ ফোন খোজায়,
-ও তাই নাকি? কে সে?
-তুই।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here