#পরিণয়_প্রহেলিকা
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_৪৭
শৈলী চুপচাপ মাথা নিচু করে ওর ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি কর্ণারে ঢোকে। আশপাশে পরিচিত সব টিচার দের দেখে ভীষণ ইতস্ততা বোধ করে ও। মনে হয় যেন বিশাল বড় চুরি করে সেটা লুকাতে ব্যস্ত। স্যার, ম্যাডামদের সামনে ধরা পরলেই সর্বনাশ!
রাস্তায় রাকিব স্যারের সাথে দেখা,
– খবর কি শৈলী?
– আআস্সালামুআলাইকুম স্যার।
-ওয়ালাইকুমআস্সালাম। তা আজ এখানে কেন?
– উনা…মানে…মিহরান…সস্যারের কাছে এসেছিলাম।
-ওওও। তোমার স্যার কেবিনেই আছে, যাও।
-থ্যাংক ইউ স্যার।
শৈলী দ্রুত সরে আসে ওখান থেকে। একদম মিহরানের কেবিনের সামনে এসে নিজের পা কে থামায়। একটা গভীর স্বাস নিয়ে দরজায় টোকা দেয়। দুই টোকা দিতেই ভেতর থেকে নব ঘোরানোর আওয়াজ আসে। দরজা খুলতেই বিশাল দেহী মানুষটা তার পেটানো মেদহীন শরীরটা নিয়ে শৈলীর সামনে প্রকট হয়।
শৈলীর আপনাতেই মিহরানের চোখে চোখ পরে। কিন্তু তাড়াতাড়িই আবার সেটা সরিয়ে নেয় সে। মিহরান নিঃশব্দে একপাশে সরে ওকে রুমে ঢোকার জায়গা করে দেয়। শৈলী পা টিপে ভেতরে আসে। পেছনে দরজা বন্ধ করার শব্দ পায় ও। এমনকি স্তব্ধতার মাঝে নবের লক্ টেপার শব্দও কানে ঝঙ্কার তোলে। শুকনো ঢোক গিলে শৈলী। ব্যাগের হাতল জাপটে ধরে কাঁচুমাচু হয়ে দাড়ায়।
মিহরান দরজা বন্ধ করে শৈলীর কাছে আসে। প্যান্টের এক পকেটে হাত ঢুকিয়ে স্ত্রীর পাশ ঘেসে দাড়ায়। ওর নিঃশ্বাস শৈলীর ঘাড় ছুতেই কেঁপে ওঠে মেয়েটা। মিহরান ছোট্ট করে হাসে,
– ব্যাথা কমেছে?
শৈলীর শরীর অসাড় হয়ে পরে। প্রথমেই এই প্রশ্ন? রাত টার কথাটা মনে করানো কি খুবই জরুরী? শৈলী আরও নুইয়ে যায়। মাথাটা ওপর নিচ দুলিয়ে বোঝায় ব্যাথা কমেছে।
মিহরান বোধহয় বোঝে উত্তরটা, তাই পরের প্রশ্ন ছোড়ে,
– আমাকে ঘুম থেকে না ডেকে চলে গিয়েছিলা কেন?
শৈলী ঠোট টিপে। এই উত্তর মাথা ঝাকিয়ে দেওয়ার মতন না, আবার মুখে বলার তো অবকাশই নেই। লজ্জায় সে তো এখন বাক্ হারা। মিহরান আচমকাই পেছন থেকে শৈলীর কোমড়ে হাত দেয়। চোখ আপনাতেই বন্ধ হয়ে যাওয়া শৈলীকে নিজের দিকে ঘুরায়। পলক নামানো ছোটখাটো আননে নিজের স্ত্রীকে দেখে বড্ড আদুরে লাগে ওর। আল্তো ঠোটে টুপ করে কপালে চুমু খায়। এতে চমকে শৈলী চোখ খোলে। অবাক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ওপরে। দেখে মিহরানের ঠোটের প্রশান্তির হাসি। লাজে আবার চোখ নোয়ায় ও।
মীহরান এবার শৈলীর হাত ধরে নিজের ডেস্কে নিয়ে যায়। গেস্ট চেয়ার টেনে তাকায় ওর দিকে,
– বসো।
শৈলী লক্ষী মেয়ের মতন বসে যায়। ওকে ঠিকঠাক করে মিহরান নিজের চেয়ারে বসে। কিছুটা গম্ভীর টানে কথা চালায়,
– বাসায় গতকাল আমাদের বিয়ে নিয়ে ছোট ফুফু আর ছোট খালার সাথে একটু গন্ডগোল লেগেছিল। তবে সেটা সর্ট আউট হয়ে গিয়েছে তখনই। আমার আব্বু আম্মুও পুরো রাজি এই সম্পর্ক নিয়ে। এখন বাকি শুধু তোমার আম্মু।….ভাবছি আজ তোমাদের বাসায় আমি যাব। মায়ের সাথে আলাদা ভাবে কথা বলবো। তুমি কি মনে করো?
শৈলী ভেতর ভেতর ভীষণ স্বস্তি অনুভব করে। গতকাল রাতে মিহরানের ভরষার হাত বাড়িয়ে দেওয়াতে ঠিক একই স্বস্তি অনুভব করেছিল ও। মৃদু হাসি দেয় এখন,
– আম্মু বোধহয় আমাকে নিয়ে ইনসিকিওর ফিল করছেন। হওয়ারই কথা অবশ্য। কিন্তু আমারও মনে হয় আপনি কথা বললে বিষয়টা ইসি হয়ে যাবে।
মিহরান এতোক্ষণ সামনে ঝুকে বসে কথা বলছিল, এখন পেছনে হেলান দেয়,
-হমম। কথা তো বোলবোই। তবে তুমি আগে আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো।
-কি?
– আমাকে কি সারা জীবন গুরুজনদের মতন ‘আপনি’ করে ডাকার প্ল্যান করেছো?
শৈলী তব্দা খায়। এই মুহূর্তে এই প্রশ্ন আসলে ও আশা করেনি।
– আপনি তো এটা নিয়ে আমাকে কিছু বলেননি আগে। তাই….
-আমার ইচ্ছার অপেক্ষায় ছিলা নাকি?
শৈলী মাথা নামিয়ে চুপ থাকে। মিহরান হাসে,
– আমি চাই তুমি আমাকে ‘তুমি’ বলো। আপনি শুনলে তোমার থেকে বেশী বড় বড় লাগে নিজেকে।
শৈলীর এই মুহূর্তেও হঠাৎ কেন যেন দুষ্টুমি ভর করে,
– যা বাস্তব তা তো লাগবেই। আপনি তো বয়সে কত্তো বড় আমার থেকে, তাই না?
– কি বললা?
মিহরান কে চেয়ার থেকে উঠতে দেখে শৈলী ঝট্ করে দাড়িয়ে যায়। বাঘ যে ক্ষেপেছে বুঝতে দেরী নেই। এখন এখান থেকে না পালালে ও শেষ।
-আমার ক্লাস আছে এখন। আমি যাই।
বলেই শৈলী দৌড়ায়, কিন্তু দরজা পর্যন্ত আর যেতে পারে না। মিহরানের বাহুবন্ধনে নিমিষেই আবদ্ধ হতে হয় ওকে। ঘাবড়ে যায় রীতিমতো। মিহরান ওর দিকে বাঁকা চোখে তাকাতেই আকুতি করে ওঠে,
– আমার ক্লাস আছে প্লিজ এখন ছাড়ুন না।
– তোমার ক্লাস আমার সাথেই আছে।
শৈলী থমকে যায়। আসলেই তাই, এখন ওনারই ক্লাস। হায় হায়! কি জ্বালা। এখন কি বলবে ও? মিহরান অবশ্য ওকে এতো চিন্তা করার সুযোগ দেয় না,
-কি বললা তখন? আবার বলো?
-ককি বললাম?
– মনে পরছে না। আমার বড় হওয়া নিয়ে কি বললা?
-কিছু না।
– তাই না?
এবার মিহরান শৈলীর কানের পাশে ঝুকে,
– বয়সে যে বড় স্বামী পেয়েছো, সেটার সুখ নিশ্চয়ই গতকাল রাতে বুঝতে অসুবিধে হয় নি তোমার। হমম?
কান দিয়ে ধোয়া বের হওয়া বাকি শৈলীর, এতোই তা গরম হয়ে গেল। মিহরানের বুকে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে ওকে সরালো। মিহরানও হাসতে হাসতে ওকে ঢিল করলো নিজ থাকে। আর শৈলীকে পায় কে। এক দৌড়ে দরজা খুলে পগাড় পার। তবে যাওয়ার আগে মিহরানকে বকতে ভুললো না,
– অসভ্য।
……………………………
এতোকিছুর মাঝে ক্লাসের সময় প্রায় হয়ে যাওয়াতে শৈলী সোজা ক্লাসের দিকে দৌড়ায়। রুমে ঢুকে রুম ভর্তি স্টুডেন্টস্ দেখে ঠোট বাকায়,
– এই মানুষের ক্লাসে এ্যাটেন্ডেন্সের কমতি হয় না কখনো। ফাজিল মেয়েগুলা। খালি আমার স্বামীর দিকে নজর দেয়। ইচ্ছা করে সবগুলার চোখ গেলে দেই।
-এই শৈলী, কি বিড়বিড় করিস?
শৈলী পেছন ফিরতেই কেয়া আর প্রিতি কে দেখে।
– না কিছু না।
– তুই আজ ক্লাসে আসিস নি কেন?
– শরীর টা একটু খারাপ ছিল রে। তাই…। চল্ বসি।
ওরা বসে কিছুক্ষণ গল্প করতেই রুমে মিহরানের আগমন ঘটে। ঠোটে ওর হাসি দেখে ক্লাসে মৃদু গুঞ্জন ওঠে। শৈলী স্পষ্ট পেছন থেকে মেয়েদের চাঁপা খিলখিলানো আওয়াজ শুনতে পায়,
– দেখ্ দেখ্ স্যার হাসছে। ওহ্ ওয়াও, ওনার হাসিটা কি সুন্দর! আরও হ্যান্ডসাম লাগছে ওনাকে। মাই গুডনেস!
শৈলী আর পারে না, আস্তে ঘুরে কঠিন নজরে পেছনে তাকায়। মেয়েগুলোর দিকে দৃষ্টি স্থির করে,
– স্যার লেকচার দিচ্ছেন কিন্তু আমি শুনতে পাচ্ছি না। চুপ করো কথা।
হতভম্ব হওয়া দুই মেয়েকে রেখে শৈলী ফিরে সামনে। কেয়া আর প্রিতিও ওর দিকে উৎসুক চোখে তাকায়। ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে ওর হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ। শৈলী মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু না। এতোকিছুর মাঝে ও খেয়ালই করে না যে মিহরানের চোখে সব ধরা পরেছে।
……………
ক্লাস শেষে, মিহরানের একটা ছোট মিটিং আছে বলে শৈলী মাহিরাদের ও ক্যাম্পাসে ওয়েট করতে বলে। তাই ওখানেই ছোট একটা আড্ডার আসর বসে ওদের। মেহরাব অবশ্য স্বভাব শুলভ ভাবে খেলতে চলে যায়। ওর জায়গায় প্রিতি আর কেয়া যোগ দেয়। চারজন মাঠের ঘাসে একসাথ বসে নানান গল্প জুড়ে। এরই মাঝে শৈলী প্রিতির দিকে খেয়াল করে,
– প্রিতু, কি ব্যাপার রে? তুই মনে হয় একটু ওয়েট গেইন করেছিস। আরও কিউট লাগছে তোকে এখন।
প্রিতি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে,
-আর বলিস না বান্ধবী। এই কথা শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। আমার মোটা হওয়াটা সবার চোখেই লাগছে। কিন্তু আমি কি করবো বল্? যে একগান বয়ফ্রেন্ড পেয়েছি, সে মনে হয় মিশনে নেমেছে আমাকে আল্লাহ্ খাশি বানানোর জন্য। ডেইটে গেলেই আমাকে এতো এতো খাওয়ায় যে আমি কি বলি। এমন বয়ফ্রেন্ড শুনসিশ কখনো যে বলে, ‘ তুমি যতো পারো খাও, আমার তোমার ফিগার নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। তুমি মোটা ঢোল হলেও আমি তোমাকে ভালবাসবো।’
কেয়া এটা শুনে আফসোসের বাণী ছোড়ে,
– ইশ! তুই কি লাকি দোস্ত। তোর বয়ফ্রেন্ড এই কথা বলে। আমাকে তো পিয়াল খালি বলে, তুমি মোটা হইয়ো না, অনেক অসুখ বিসুখ ধরতে পারে। আমি তো আসল কথা বুঝি, অসুখের বাহানা ফাউ। আসল কথা, সে আমাকে স্লিম ফিগারে চায় সবসময়। সত্যি তুই অনেক লাকি রে প্রিতি, এরকম একটা ছেলে জুটসে তোর কপালে।
– হ্যা প্রিতি, তুই আসলেই লাকি। ঠিক আমার বড় বোনটার মতন। ওর বয়ফ্রেন্ডও এরকম জানিস। আপুকে নাকি খুব খাওয়াতে পছন্দ করে। আপু তো ভীষণ রাগ করে ওনার ওপর, কিন্তু তাও নাকি ভাইয়া শোনে না। এত ভালো ছেলেরাও হয় আজকাল!
এদের কথা চলতেই থাকে। কিন্তু শৈলী থমকে যায় এক যায়গায়। ওর খটকা আটকে যায় মস্তিষ্কে। এর আগেও মালিহা আপুর আর প্রিতির বয়ফ্রেন্ডের মাঝে একটা মিল পেয়েছিল ও, যেটা একদমই কমন না। আজও এরকম দুষ্প্রাপ্য একটা মিল দেখা গেল দুজনের মাঝে। কেমন আজব কাকতলীয় ঘটনা না? শৈলীর কেন যেন ব্যাপারটা ভালো লাগে না। ও প্রিতিকে আরো কিছু প্রশ্ন করতে চায়, কিন্তু আগ বাড়ানোর আগেই মিহরানের কল আসে।
– হ্যালো।
-চলে আসো। আমি পার্কিং এ আছি।
মেয়েদের আড্ডা ওখানেই ভেঙে যায়। মনে ভাড় নিয়ে শৈলী সরে আসে ওখান থেকে। পরে ও প্রিতির সাথে বসবে এটা ভেবে নেয়।
…………….
বাসার রাস্তায় ঢুকতেই মিহরানের কাছে ফোন আসে। বাবার ফোন দেখে অবাক হয়। গাড়ি স্লো করে কল রিসিভ করে,
– হ্যালো আব্বু।….হম….হ্যা আছে আমার সাথে….ওদের বাসায় আসবো? এখন?…..আচ্ছা।
ওপর পাশে কি কথা হয়েছে এটা না বুঝতে পারলেও এটা যে ওদেরকে নিয়ে কথা হয়েছে শৈলীর এটা ধরতে কষ্ট হয়নি। সাথেসাথেই টেনশনে পরে যায় ও। আতঙ্কিত চোখে মিহরানের দিকে তাকায়। ওর দৃষ্টি দেখে অল্প হাসে মিহরান। স্বান্ত্বনার হাত রাখে ওর হাতের ওপর।
-আমাকে, তোমাকে নিয়ে তোমার বাসায় যেতে বলা হয়েছে। বড়রা সবাই ওখানেই আছে।
শোনার সাথেসাথেই শৈলীর বুক নেমে যায়। ভয়ংকর পরিমানে ভয় পায় ও। মিহরান ব্যাপারটা তখনই ধরতে পারে। পেছনে বসা একই ভাবে ভয়ার্ত মাহিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-তুইও সাথে চল্। শৈলীর পাশে থাকিস।
মাহিরা নিঃশব্দে মাথা ওপর নিচ নামায়। ভেতরে ক্রামাগত সৃষ্টিকর্তাকে ডেকেই চলেছে,
– ইয়া আল্লাহ্, এদের দুজনকে ঘিরে আজ নতুন কোন নাটক সৃষ্টি হতে দিয়েন না।
প্রায় দশ মিনিটের মাথায় মিহরান শৈলী আর মাহিরাকে নিয়ে শৈলীদের বাসায় আসলো। ড্রয়িং রুমে দুই পরিবারের বড়দের দেখে শৈলী একটু পিছায়। আরও ভয় পায় যখন দেখে আফিয়া উঠে আসছেন ওদের কাছে।
আফিয়া মুখে চওড়া একটা হাসি পরে মিহরান-শৈলীর সামনে এসে দাড়ান। মাথা হালকা নত শৈলীর মুখটাকে দু হাতে আগলে নিয়ে ওপরে তুলেন।
– এতো দিন মনে মনে আমার মিহরানটার জন্য কত মেয়ের কথা চিন্তা করেছি। কে জানতো সেই লক্ষি মেয়েটা একেবারে আমার পাশেই ছিল?
বলেই টুপ করে শৈলীর কপালে একটা চুমু এঁকে দিলেন। শৈলীর হতবাক ভাবটা কাটতে না কাটতেই, ওকে একপাশ দিয়ে জড়িয়ে ধরে, আফিয়া রেহানার দিকে তাকালেন,
– রেহানা ভাবি, বিয়ে তো ওদের হয়েই গিয়েছে, আমার আর তর সইছে না। আজই নিয়ে যাই আমার বউ মাকে। কি, দিবেন না?
আফিয়ার কথায় উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন। রেহানা চোখে চমক নিয়ে বললেন,
– আপনার বউ, নিয়ে গেলে নিয়ে যান। আমার আর কি আপত্তি থাকবে বলেন তো?
দুই মায়ের কথা শুধু শৈলীর কানে ঢুকছে, কিন্তু মস্তিষ্কে পৌছতে বেশ সময় লাগছে। মাহিরা ওকে জড়িয়ে ধরে ওর কানের কাছে এসে যখন নিজের উল্লাস প্রকাশ করলো, তখন বুঝলো শৈলী যে দুই পরিবার সব সমস্যা সমাধান করে ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। বুঝে ওঠার প্রথম ক্ষণেই শৈলী ওপরে তাকায়। মিহরানের সন্তুষ্ট হাসি যা চোখ ছুয়েছে দেখে ও নিজেও একইভাবে হেসে ফেলে। অবশেষে হলো সব সমাধান। ওদের ভালোবাসা সফলতার শিখর ছুলো।
চলবে।
বি:দ্র:
শৈলী-মিহরানের ভালোবাসার তরী প্রায় তীরে ভিড়ে গিয়েছে। আর দুই তিনটা ছোট খাটো টুইস্ট ছাড়া গল্পের মূলভাব মোটামোটি একটা আকৃতিতে চলে এসেছে। গল্পটা আমার খুব ভালো লেগেছে লিখতে, ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না, তবে কোনোকিছুই অযথা টানতে আমার ভালো লাগেনা। তাই এটাও টানবো না।
আগামী তিনদিনের এই সরকারি ছুটিতে আমার বাড়ি ভর্তি গেস্ট। শহরের বাইরে থেকে বন্ধু বান্ধব ও বাচ্চা কাচ্চাদের দল আসছে। ভীষণ রকম বিজি থাকবো তাই এই তিনিদিন গল্প হয়তো দিতে পারবো না। ইনশাআল্লাহ রবিবার হাজির হব শৈলী আর মিহরানকে নিয়ে।
ভালোবাসা অবিরাম।