#পরিণয়_প্রহেলিকা
#লেখিকা_সিনথীয়া
#পর্ব_৪১
মালিহা কাপড় পাল্টে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখে মাহিরা আর নিপুন গল্প করছে।
– শৈলী কই রে মাহি?
– আপু, ও আন্টির কাছে গেসে বাসায়।
নিপুন অবাক হয়,
-আপি আম্মুর কাছে? কই দেখলাম না তো? আমি তো আসলাম ওখান থেকে কিছুক্ষণ আগে।
মাহিরা এবার প্যাচে পরে। মেঝ ভাই আর বান্ধবীর প্রেম কাহিনী বানাইতে গিয়ে আশপাশের সব কিছু ভুলে বসেছে। নিপুনের কথা মাথাতেই ছিল না। তাড়াতাড়ি কথার প্যাকিং দিতে বলে ও,
– শৈলী এই একটু আগেই গিয়েছে। কি যেন একটা লাগবে, সেটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছে। ওর একটু সময় লাগবে বোধহয়। চলো আমরা ঘুমিয়ে পরি। ও এসে শুয়ে পরবে।
বাকি দুজন আর এটা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামালো না। যার যার জায়গায় শুয়ে পরলো।
…………….
তুরিন খাটে উপর হয়ে শুয়ে একবার বেডসাইড ল্যাম্প টা জ্বালাচ্ছে তো একবার নিভাচ্ছে। এর কারণে ক্ষণে ক্ষণেই রুমের পরিবেশ একবার আলোয় ভাসে তো একবার তিমিরে ডুবে যায়। ঠিক সেরকমই একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি এখন চলছে ওর মাথার ভেতর। মিহরানকে আপন করার সঠিক টেকনিক মাথায় আসছে না। একবার একটা আইডিয়া জ্বলে তো আরেকবার নিভে যায়। শৈলী নামক আপদটা মাথার থেকে আপাতত বের হয়েছে বলে একটু স্বস্তি পাচ্ছে। তবে সামনে আরও এরকম অনেক শৈলী আসতে পারে। তাই তুরিনের যা করার তা এখনই করতে হবে। কাল থেকেই মিহরানের সাথে সরাসরি যোগোযোগ শুরু করবে ও। হমম তাই করবে।
…………………….
নিশুতি রাতের নিলিমায় ঘেরা চারিপাশ। এমনকি ছাদও আজ ডুবেছে আঁধারের তিমিরে। সবগুলো কৃত্তিম আলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে ইচ্ছা করেই। শুধু দূরের আকাশে মেঘমালার সাথে লুকোচুরি খেলা চাঁদটাই একমাত্র উজ্জ্বলতার উৎস। একটু আধটু আলো ছায়ার মাঝেই ছাদের এক প্রান্তে বসা মিহরান আর শৈলী। পানির ট্যাংক হাউসের ওঠার দুটো সিড়ি আছে। ওপরের সিড়িতে স্ত্রীকে নিজের মাঝে আগলে ধরে বসে আছে মিহরান। শৈলী ঠিক নিচের শিড়িতে বসা, মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে ওর বুকে। দুজনের মাঝে অনেক্ষণ ধরেই চলছে খুনশুটি, আবার হচ্ছে আলোচনা।
কিছুক্ষণ আগের স্পর্শকাতর মুহূর্ত থেকে বের হতে দুজনকেই বেগ পেতে হয়েছিল। হৃদস্পন্দনের গতি স্বাভাবিক করতে সময় দিতে হয়েছিল নিজেদের। এর আগেও কাছে এসেছে দুজন কিন্তু এতোটা ঘনিষ্টতায় রুপ নেয়নি তাদের মিলন। দুজনেই বুঝতে পারছে দিন দিন তাদের দুরত্ব ঘুঁচে আসছে, একে অপরের মাঝে মিশে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তীব্র আকারে। এবং এই অনুভূতিকে সামলানোর ক্ষমতা দুজনের এক জনের মাঝেও নেই।
তখন শৈলীর সাজানো চুলগুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল মিহরানের বেসামাল স্পর্শে। সেগুলোই এখন বসে বসে ঠিক করছে সে। মিহরানও পেছন থেকে সাহায্য করছে ওকে, তবে কতুটুকু সাহায্য আর কতটুকু দুষ্টুমি তার মাপ মেলা ভার।
শৈলী একসময় কপট রাগে পেছনে তাকায়,
– আপনি আমার চুলগুলো ঠিক করতে দিবেন নাকি আরও বিগড়াবেন, কোনটা? দেখি ছাড়ুন, আপনার করা লাগবে না।
মিহরানের হাসি বাড়ে। শৈলীর ঘন চুলের গোছায় হাত আটকিয়ে আল্তো একটা টান দেয়,
– তোমার চুল ভীষণ সুন্দর। জানো আমি ফার্স্ট তোমার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলাম তোমার চুলের কারণে।
শৈলী হার্টবিট মিস করে,
– আআপনি আআমার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন?… কবে?
মিহরান বাঁকা হাসে। ঘাড় নামিয়ে শৈলীর মুখের সামনে এনে ফু দিয়ে ছোট ছোট চুল সরায়।
– যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন থেকে।
শৈলীর মুখ গোল হয়ে হা হয়ে যায়। এই খবর ওর কাছে একদম নতুন।
– আ আপনি তো আমাকে প্রথম, পুলের পাশে….দেখেছিলেন। সেদিন…..থেকেই?
-হমম।
লজ্জায় নিজেকে মুড়িয়ে ফেলে শৈলী। এতো আগে থেকে ও নিজেও মিহরানের প্রতি ক্রাশ খায় নি। ওর ঠোটের কোণের হাসি দেখে মিহরান ওকে জড়িয়ে নেয় পেছন থেকে। ওর ঘাড়ের কাছে নিজের মাথা রেখে, গালে গাল লাগায়,
– এভাবে হাসছো কেন? খুব মজা লেগেছে কথাটা শুনে, তাই না?
শৈলী এবার একটু জোরেই হাসে,
– আচ্ছা একটা প্রশ্ন করি?
-হমম?
-আপনার কখনো কোনো গার্লফ্রেন্ড ছিল না?
মিহরান ওখানে চোখ ঘোরায় শৈলীর দিকে,
-হঠাৎ এই প্রশ্ন?
– বলুন না? ছিলেন কোনো রিলেশনে?
– নাহ্। আমার জীবনে তুমিই প্রথম নারী। এর আগে কেউ আসার সুযোগ পায় নি।
শৈলী অবাক হয়।
-কেন সুযোগ পায় নি?
মিহরান নিজের বাহু বন্ধনে ঢিল দেয়। একটু পিছিয়ে সোজা বসে। কপাল ভাজ করে চিন্তায় ,
– আসলে সেভাবে কখনো কাউকে মনে ধরেনি। কলেজ লাইফ পর্যন্ত তো নিজের ইন্টোভার্টনেসের কারণে কারো সাথে তেমন মিশতামই না। ভার্সিটি তে এসে মেয়েদের অকারণে আমার প্রতি ঢলাঢলি গুলো আমার পছন্দ হতো না। অবশ্য এটা কখনোই আমার ভালো লাগতো না।ছেচড়া মনে হতো সবসময় মেয়েদের এই স্বভাব। তাই এইসব প্রেম, প্রনয়ে জড়ানো হয়নি।
শৈলী মিহরানের শেষ দিকের বাক্য গুলো শুনে একটু বিচলিত হয়। মুখ লটকে আপনাতেই ওর থেকে একটু সরে বসার চেষ্টা করে। নিজের শরীরের থেকে শৈলীর দূরে যাওয়ার আভাস পেতেই মিহরান সচকিত হয়,
– কি ব্যাপার? সরে যাচ্ছো কোথায়?
শৈলী ইতস্তত বোধ করে,
– আপনি আমাকেও তাহলে ছেচড়া মনে করবেন। আমি তো সারাক্ষণই কারণে অকারণে আপনার সাথে লেগে থাকি। আমি কিন্তু মোটেও ছেচড়া ন…
বাক্য শেষ করার আগেই মিহরান শৈলীকে নিজের কাছে নিয়ে এসে আবার জড়িয়ে ধরে, সেই আগের মতনই ঘাড়ে মাথা রেখে গাল ছোয়ায়,
– আমার স্ত্রী আমার সাথে ছ্যাচড়ামো করবে না তো করবে কার সাথে বলো তো? তুমি আমার সাথে কারণে অকারণে যাই করো, সেটা তোমার অধিকার শৈলী। আমি তোমার সব ব্যবহারেই সমর্পিত।
শৈলীর মনটা শান্ত হয়ে আসে। এক গভীর নিশ্বাস ফেলে নিজের ভার ছেড়ে দেয় মিহরানের বুকে। কতোক্ষণ এভাবেই পার হয়। তারপর মিহরান পাশে তাকিয়ে শৈলীকে প্রশ্ন করে,
– তোমার গিটার এখানে কি করছে।
মিহরানের চোখ অনুসরন করে গিটারটা দেখে শৈলী।
– আপনার রাগ ভাঙানোর সরঞ্জাম হিসেবে এনেছিলাম। ভেবেছিলাম আপনার যেহেতু আমার গলায় গান শুনতে পছন্দ তো তাই শোনাবো আপনাকে। এ দিয়ে যদি আপনার মন গলে।
মিহরান নিজের স্ত্রীর প্রচেষ্টা শুনে তুষ্ট হয়। মেয়েটা যে এভাবে চিন্তা করেছে ওর জন্য সেটাই ওর মনকে প্রসন্ন করে। হাত বাড়িয়ে গিটার টা নিয়ে শৈলীর কোলে এনে রাখে,
– আমি যে কোনো সময়ই তোমার গান শুনতে রাজি। নাও, এখন শোনাও।
শৈলী স্বস্তির হাসি ঠোটের দুকোণে লাগিয়ে গিটারে সুর তোলে।
………………………………
এর মাঝে দুদিন পার হয়। মিহরানদের বাসার মেহমানরা সবাই চলে গিয়েছে। ঝুমার ডেলিভারি আর বেশী দেরী নেই বলে এবার ওর মা থাকতে পারলেন না। নিজের বাসা গুছিয়ে একবারে ডেলিভারির আগে আগে আসবেন তিনি। বাবু হওয়ার পর থাকবেন বেশ কিছুদিন।
মিহরান আজ ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে ভাবছিল সন্ধ্যায় বাবা মাকে নিয়ে বসবে ও। এ ব্যাপারে শৈলীকেও জানিয়েছে, অনুমতিও চেয়েছে যে কথা আগাবে কি না। মেয়েটা প্রথমে ভীষণ নার্ভাস হয়ে পরেছিল, তবে পরে নিজেকে ধাতস্থ করে মিহরানকে হ্যা সুচক উত্তর দিয়েছে। ওদের দুজন ছাড়া বিষয়টা মাহিরাও জানে। ও তো ভীষণ এক্সাইটেড। বিয়ের সদাইয়ের ফর্দও বানানো শুরু করেছে মনে মনে।
………………….
আজ তুরিন মালিহার সাথে মিহরানদের বাসায় এসেছে। মূল উদ্দেশ্য তো মিহরানকে দেখাই। গতকাল ফোন দিয়েছিল ও, মিহরান রিসিভও করেছিল কিন্তু সর্বসাকুল্যে কথা হয়েছে মাত্র এক মিনিট আটত্রিশ সেকেন্ড। মন একদমই ভরেনি তুরিনের। তাই আজ ছুটে এসেছে সয়ং মনের মানুষটাকে দেখতে।
………………
বিকালে ওরা সবাই যখন বাসায় এলো, মাহিরা বারবার শৈলীকে বলেছিল ওদের এপার্টমেন্টে আসতে, কিন্তু লজ্জায় শৈলী সেদিকে পা মাড়ালো না। ওদের বিয়ে নিয়ে কথা বলবে আর ও নিজেই থাকবে ওখানে, এটা কি করে হয়? মাহিরাও বুঝলো বিষয়টা, তাই আর জোর করলো না। তবে লিফ্ট থেকে বের হয়ে নিজের জমজ কে টেনে নিয়ে আগে চলে গেল। মিহরান বোনের কান্ডে মুচকি হাসে। এরপর শৈলীকে নিজের কাছে টেনে এনে গলা খাদে নামায়,
– রেডি হোন মিসেস মিহরান। এতদিন ছিলেন শুধু আমার স্ত্রী, এখন হাসান পরিবারের বউ হওয়ার জন্য রেডি হয়ে যান।
শৈলীর রক্তিম মুখের হাসিটা এরপর মন ভরে দেখে
নিজেদের বাসার দিকে মিহরান পা বাড়ায়।
তবে বাসায় ঢুকে ড্রয়াইং রুমের দৃশ্যটা দেখে ও কিছুটা অবাক হয়। আফিয়া এবং রেহানা গল্প করছেন একসাথে। তবে সেটা অবাক হওয়ার বিষয় না। বিষয় হলো মাঝখানে বসা ডেইসি খালা কে নিয়ে। এই সময় ডেইসি খালাকে বাসায় মিহরান এক্সপেক্ট করে নি। মাহিরা, মেহরাব ও অবাক হয়েছে ওনাকে দেখে। আফিয়া তার তিন সন্তানকে বাড়ি ফিরতে দেখে ব্যাতি ব্যাস্ত হয়ে পরলেন। ওদেরকে হলে আসতে বললেন গল্পের জন্য। মাহিরা মেহরাব ফ্রেশ হওয়ার বাহানায় সরে পরলেও মিহরানকে অগত্যা বসতেই হলো। ওর রুম তো আর এই বাসায় নেই।
ডেইসি খালা আর বেশিক্ষণ থাকলেন না। বাসায় যেতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলে উঠে পরলেন। তবে যাওয়ার আগে রেহানার হাত ধরে বললেন,
– আপা, আমি আমার ছেলের বায়োডাটা আপনাকে পাঠিয়ে দিব আফিয়ার হাতে। আপনি ভাইয়ের সাথে আলোচনা করে আমাকে জানিয়েন। অপেক্ষায় থাকবো আপা।
মিহরান প্রতিটা কথা খুব স্পষ্ট ভাবে শুনলো। কপালে কয়েকটা ভাজ একসাথে পরলো ওর। ডেইসি খালার কথাগুলো এতোটা কঠিনও ছিল না যে ও বুঝবে না। তরতর করে রক্ত গরম হতে শুরু হলো ওর।
এরই মধ্যে ডেইসি প্রস্থান করলেন। রেহানাও, শৈলী বাসায় এসেছে দেখে আফিয়া কে বলে বাসায় চলে গেলেন। ওনারা যেতেই মিহরান মায়ের কাছে গেল। আফিয়া ততক্ষণে আলেয়াকে ওপরে পাঠিয়েছেন সব ছেলেমেয়েদের বলতে নিচে নামার জন্য। উনি ডাইনিং টেবিলে নাস্তা সাজাতে সাজাতেই মিহরান ওনার সামনে এসে দাড়ায়,
– আম্মু, ডেইসি খালা হঠাৎ আজ কেন এসেছিল?
আফিয়া মুচকি হাসেন,
– হঠাৎ না রে। আমিই আপাকে ডেকেছিলাম একটা বিশেষ কারণে।
-কি সেটা?
আফিয়া এতক্ষণে টেবিল থেকে মুখ তুলেন। ওনার ঠোটের হাসি এপার থেকে ওপার হয়,
– ঘটকালি করছি রে। আমাদের আবিদ আছে না? ডেইসি আপার বড় ছেলে? ও শৈলীকে নাকি এবার ঝুমার প্রোগামে দেখে পছন্দ করেছে। ডেইসি আপা অনুষ্ঠানেই আমাকে বলেছিলেন এই ব্যাপারে। রেহানা ভাবীর সাথে দেখা করতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু আমিই এতো ঝামেলায় দুইদিন সময় মেলাতে পারিনি। তাই আজ ডেকে দুই পক্ষকে দেখা করালাম। এখন শৈলীর কনসার্ন হলেই সম্মন্ধটা পাকা….
– আম্মু ডেইসি খালাকে এখনই ফোন দিয়ে বলে দাও, এই প্রপোসাল যেন তিনি ফিরায় নেয়। এক্ষুনি ফোন দাও।
মিহরানের কন্ঠের স্পষ্ট রাগ আর তেজ শুনে আফিয়া পুরাই হকচকিয়ে যান। এটা কি বলছে তার ছেলে?
এদিকে ওপর থেকে মাহিরা মালিহার সাথে তুরিনও নামতে থাকে নিচে। ডাইনিং হল থেকে ভেসে আসা মিহরানের গম গমে কন্ঠ ওরা স্পষ্ট শুনতে পায়। কিছু একটা যে হয়েছে বুঝে দৌড় দেয় তিন জন।
আফিয়া অবাক চোখে মিহরানের দিকে চান,
– কি বলতেসিশ বাবা এটা তুই? আমি ডেইসি আপা কে মানা করবো কেন? আবিদ ভালো ছেলে, শৈলীও ভালো মেয়ে। তাহলে এদের বিয়ে দিলে সমস্যা কোথায়?
– সমস্যা আছে বলেই মানা করছি আম্মু।
– কি সমস্যা বলবি তো আমাকে?
– সমস্যা এটাই যে এক জনকে বার বার বিয়ে দেওয়া যায় না। শৈলী অলরেডি ম্যারিড, ওর সাথে অন্য কারো বিয়ের প্রশ্নই আসে না।
আফিয়া মিহরানের মুখ থেকে বের হওয়া বাক্য শুনে রীতিমতো চমকে উঠলেন।
– কি ফালতু কথা বলছিস তুই? শৈলীর বিয়ে হতে যাবে কেন? আমাদের সাথে চব্বিশ ঘন্টা ওদের পরিবারের ওঠা বসা, ওই বাড়ির মেয়ে বিবাহিত এটা আমরা জানবো না? আর শৈলীর বিয়ে হয়ে গেলে রেহানা ভাবি কিভাবে আবিদের বিষয়টায় আগালেন? তুই ভুল করছিস বাবা, শৈলীর বিয়ে হয় নি। ও অবিবাহিত।
– শৈলী বিবাহিত মা। এবং ওকে আমি বিয়ে করেছি। শি ইস মাই ওয়াইফ।
………….
আজ একটু ছোট দিচ্ছি গল্পটা। কারণটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কেন? এখান থেকে গল্পটার মোড় পাল্টাবে। এটাকে লেখা শুরু করলে অনেকটুকু একসাথে লিখতে হবে। তাই কালকে, ইনশাআল্লাহ, আগামি পর্বে নতুন উত্তেজনা নিয়ে হাজির হবো।
চলবে….