#বুকে_যে_শ্রাবণ_তার
#পর্ব_২৪
#নিশাত_জাহান_নিশি
“সেদিন আপনি কলটা কেন তুলেননি তা আমার বেশ ভালোভাবেই জানা হয়ে গেছে স্যার। যখনই আমার পরিশ্রমের বিনিময়ে পারিশ্রামিক নেওয়ার প্রয়োজন পরে ঠিক তখনই আপনি হয় আমার কল তুলবেননা নয় আপনার যতো রাজ্যের ব্যস্ততা ভর করে থাকে! এভাবে আর কতোদিন বলুন? বিনা পারিশ্রমে আর কতদিন? সংসার চালাতে কী এখন আমি চু*রি, ডাকা*তি করব?”
বিষয়টিকে ঠান্ডা মাথায় আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেন টুটুল চৌধুরী। মিশালকে তার উদ্দেশ্য কোনোভাবেই বুঝতে দেওয়া যাবেনা! যদিও মিশাল আঁচ করতে পেরে গেছে তার উদ্দেশ্য। রীতিমতো সন্দেহ করতে শুরু করেছে তাকে। তবে কোনোক্রমেই এই সন্দেহকে দীর্ঘ হতে দেওয়া যাবেনা। এই মুহূর্তেই মিশাল এবং তার সন্দেহপ্রবনতাকে থামিয়ে দিতে হবে। কৌশল কাজে লাগাতে হবে। স্বার্থ উদ্ধারের জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব করতে প্রস্তুত তিনি। উভয় দিক চিন্তাভাবনা করে অতঃপর জোরপূর্বক হাসলেন টুটুল চৌধুরী। মিশালের কাঁধে ভারি হাত রাখলেন। নাক ঘঁষে ধীরস্থির গলায় বললেন,
“দেখ মিশাল। আমি জানি তুই অবুঝ নোস, যথেষ্ট বুঝদার। সামান্য একটা বিষয় নিয়ে তুই আমার সাথে রাগ করে এতোটা দূরে সরে যেতে পারিসনা। টাকারই তো ব্যাপার তাইনা? কাল, পরশুর মধ্যে টাকা পেয়ে যাবি তুই। যদিও জানি এই ছোটো বিষয় নিয়ে তুই অহেতুক বাড়াবাড়ি করবিনা। এখন চল আমার সাথে। একটা বড়ো অপারেশন আছে আজ।”
ঝট করে মিশাল তার কাঁধ থেকে টুটুল চৌধূরীর হাতটি সরিয়ে দিলো! অবিশ্বাস্যভাবেই রাগী দৃষ্টিতে তাকালো টুটুল চৌধুরীর দিকে। মিশালের আমুল পরিবর্তন দেখে তাজ্জব বনে গেলেন টুটুল চৌধুরী। কোনোদিকে কালক্ষেপণ না করে মিশাল শক্ত গলায় বলল,
“সরি স্যার। আমি আপনার কথায় আর ভরসা রাখতে পারছিনা। আপনার কাছে বিষয়টা অতি সামান্য মনে হলেও আমার কাছে গুরুতর। ভুলে যাবেননা সংসার চালানোর তাগিদেই কিন্তু আমি আমার এই শখকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু এখন যখন দেখলাম শখকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে জেনুইনলি আমার কোনো লাভ হচ্ছেনা তাই আমি এই শখ ছাড়তে বাধ্য হলাম! নেক্সট টাইম যদি আমার কাছে আসতে হয় তবে একটা পার্মানেন্ট চাকরী বাকরীর অফার নিয়ে আসবেন! রেদার আসার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমি অবুঝ নই, যথেষ্ট বুঝদার!”
মুখের ওপর জবাব দিয়ে মিশাল পিছু ঘুরে জায়গা থেকে প্রস্থান নেওয়ার পূর্বেই টুটুল চৌধুরী অট্ট হেসে বললেন,
“তোর সাহস দেখে আমি অবাক না হয়ে পারছিনা মিশাল। কোথা থেকে পাচ্ছিস এতো স্যাল্টার তুই? কার সাথে যোগ দিয়েছিস এখন? আমার চেয়েও কী সে তোকে মোটা অঙ্কের টাকা অফার করে?”
থমকালো মিশাল। তবু পিছু ফিরে তাকানোর প্রয়োজনটুকু বোধ করলনা। রাগ তার অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়তে থাকলেও রাত-বিরাতে কোনো হাঙ্গামা করতে চাইলনা। ভদ্রতা বজায় রেখে কেবল খরতর গলায় প্রত্যত্তুরে বলল,
“আপনার সাথে কথা বাড়ানোর কোনো ইন্টারেস্টই নেই আমার। আপনি এখন আসতে পারেন স্যার।”
“ওকে! তোর নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা রইল! আজকের পর থেকে আমার আর কোনো কাজে আমি তোকে আর ডাকবনা। তবে ভবিষ্যতে তোররকোনো প্রয়োজন পরলে তুই অবশ্যই বিনা সংকোচে আমার কাছে আসতে পারিস। আমি ফেরাবনা। ভালো থাকিস, গুড বায়।”
স্বাভাবিকভাবেই প্রস্থান নিলেন টুটুল চৌধুরী। তবে স্বাভাবিকের মাঝেও অস্বাভাবিকতা টের পেল মিশাল! রীতিমতো ভাবুক ও অস্থির হয়ে ওঠে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেল সে। টুটুল চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিণাম যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেই সম্পর্কে মিশাল পূর্ব থেকেই অবগত। তবে যতোই বাঁধা আসুক না কেন তাকে এই পথ ছাড়তে হবে। ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হবে। নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হলে বাড়ির সবাইকে তার চোখে চোখে রাখতে হবে। কোনো বিপদ আসতে দেওয়া যাবেনা। কোনোভাবেই না।
সামান্তার পাশের ভাঙাচোরা রুমটিতে জেনিয়া শিফট হলো আজ। রাত জেগে জেনিয়াকে পড়তে হবে আর এতে সামান্তার অসুবিধা হবে বলে তার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। রাত জেগে জেনিয়া এখনও পড়ছে, বিরতিহীনভাবে পড়ছে। আর সেই পড়ার শব্দ মিশালের কান অবধি ভেসে আসতেই মিশাল রগচটা হয়ে জেনিয়ার রুমের দরজায় কড়া নাড়ল! মৃদু স্বরে বলল,
“জেনিয়া?”
তৎক্ষণাৎ জেনিয়া পড়া থামিয়ে দিলো! মিশালের গলার আওয়াজ শুনে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠল। আগ পাছ না ভেবে দৌড়ে গিয়ে রুমের দরজা খুলে দিলো। গাঁয়ে তার ওড়না নেই! হুড়োহুড়িতে ভুলেই গেছে প্রায়। সঙ্গে সঙ্গেই মিশাল তার দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। অন্যপাশ ফিরে অপ্রস্তুত স্বরে শুধালো,
“ঘুমোওনি এখনও?”
“না। পড়ছিলাম।”
“ঘড়ি দেখেছ কয়টা বাজে এখন?”
“না দেখিনি। তবে পড়া শেষ না করে ওঠতে পারছিনা।”
“শরীর খারাপ হবে। ঘুমিয়ে পড়ো। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তো পরীক্ষাও ঠিকঠাক ভাবে দিতে পারবেনা। লাভ কি হবে এতে?”
“কিন্তু তুমি এতো রাতে এখানে?”
“আমার রুমের দিকেই যাচ্ছিলাম। তোমার পড়ার শব্দ শুনে থামলাম। শরীর খারাপ করে তো এতো পড়াশোনা দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই। ঘুমিয়ে পড়ো এখন।”
প্রস্থান নিলো মিশাল। আকুল হয়ে জেনিয়া পেছন থেকে মিশালকে ডাকল। ঈষৎ ভেবেচিন্তে কেমন আবদারসূচক গলায় বলল,
“মিশাল ভাই? কাল আমার সাথে ভার্সিটিতে যাবে?”
পিছু ঘুরে তাকালো মিশাল। আশ্চর্য হলো সে। ভ্রু যুগল কিঞ্চিৎ কুঁচকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ল,
“কেন? তুমি কী ছোটো? ভার্সিটি চিনো না?”
অপমানবোধ করল জেনিয়া! লজ্জায় মাথা কাটা গেল তার। মিশালের তিখা প্রশ্নের জবাব দিতে পারলনা সে। ঠাস করে রুমে দরজাটি বন্ধ করে দিলো। চোখ থেকে টলটলিয়ে অশ্রু গড়াতে লাগল তার। বইপত্র খোলা রেখেই রুমের লাইট নিভিয়ে বিছানায় শুয়ে পরল। মুখ চেপে কাঁদতে কাঁদতে বলল,
“আমি এতো বেহায়া কেন? কেন জেঁচে পড়ে তার কাছে বার বার অপমান হতে যাই?”
মিশাল তার রুমে চলে গেল। মাথায় এতো শতো চিন্তার ঝুড়ি নিয়ে ঘুম আসছিলনা তার। বিশেষ করে ক্যারিয়ার নিয়ে প্রচন্ড দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে তার। এই মুহূর্তে ভালো একটা চাকরী-বাকরীর ভীষণ প্রয়োজন তার। বিয়ের উপযুক্ত হয়ে ওঠেছে রুমকি। তার ক্যারিয়ার ঠিক হলেই তো তবে রুমকিকে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারবে। এতো পুরনো বাড়ি তাদের। বালু, সিমেন্ট সব খসে পরছে। পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আগে বাড়িটাও ঠিক করতে হবে। নিজের কথা না ভাবলেও আজকাল সামান্তাকে নিয়েও ভাবতে হচ্ছে তাকে! না চাইতেও ভাবতে হচ্ছে৷ জোর করেই যেনো ভাবনাতে চলে আসছে। তার ভাবনাচিন্তাগুলোই বেহায়া হয়ে গেল না-কি সামান্তাই জোরপূর্বক তার ভাবনায় এসে ঢুকে পরে তার সাথে বেহায়াগিরি করছে তাও সঠিক বুঝতে পারছেনা সে! এসব ভাবতে ভাবতেই এক গ্লাস পানি খেলো মিশাল। গলা ভিজিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিলো। কিয়ৎক্ষণ পেরিয়ে যেতেই তার চোখে ঘুম ধরা দিলো। সেই ঘুম ভাঙল তার সামান্তার হাঁকডাকে। দরজায় অনবরত কড়া নাড়তে লাগল সে। অধৈর্য হয়ে মৃদু চিৎকার করে বলল,
“আরে কী হয়েছে তোমার? দরজা খুলছ না কেন?”
সাংঘাতিক কিছু একটা হয়ে গেছে ভেবে মিশাল ধরফরিয়ে শোয়া থেকে ওঠে বসল। সমস্ত শরীর অতি মাত্রায় কেঁপে ওঠল। একপ্রকার ছুটে গিয়ে রুমের দরজাটি খুলে দিলো। নিমিষেই চোখ থেকে তার ঘুমটুম সব উধাও হয়ে গেল। সামান্তা দাড়িয়ে তার সামনে। আতঙ্কিত হয়ে মিশাল শুকনো গলায় শুধালো,
“কী হয়েছে?”
“নাশতা করবেনা?”
সামান্তার প্রত্যত্তুর শুনে মাথা তরতরিয়ে গরম হয়ে গেল মিশালের। ঠাস ঠাস করে সামান্তার গালে চড় বসিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো তার। সামান্য বিষয় নিয়ে এমন কেউ করে? যে কাউকে হার্ট অ্যাটাক করিয়ে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই মেয়ে। গিজগিজিয়ে ওঠল মিশাল। সামান্তাকে আঘাত করতে না পেরে তুখোর জিদ্দি হয়ে নিজেই নিজের মাথার চুল টানতে লাগল! সামান্তার দিকে রোষাগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
“রা’বি’শ!”
সামান্তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতেই সামান্তা ঘুরে এসে মিশালের মুখোমুখি দাড়ালো। কোমরে হাত গুজে বেশ রগচটা গলায় শুধালো,
“এই? তুমি রাবিশ বললে কাকে?”
“সামনে থেকে সরে দাঁড়া। না হয় গলা টিপে ধরব!”
“আরে আরে আরে! কী বললে তুমি? করলামটা কী আমি?”
“শাট আপ। এতক্ষণ তো জাস্ট বলছিলাম, এখন সত্যি সত্যি করে দেখাব! সরে দাড়া সামনে থেকে।”
“এইরে, কাহিনী তো কিছুই বুঝলামনা। তুমি সকাল সকাল আমার ওপর এতো চটে গেলে কেন?”
“ডাকাতের মতো ওভাবে দরজা ধাক্কাচ্ছিলি কেন? বাড়িতে কী ডাকাত পরেছিল?”
“তো কী করব? তোমাকে তো ডেকেই ওঠানো যাচ্ছিলনা। ওদিকে রুমকি জেদ ধরে বসে আছে ফ্রেন্ডসদের সাথে পিকনিকে যাবে বলে। চাচি নিষেধ করাতে ক্ষেপে গেছে। তুলকালাম কান্ড ঘটে গেছে বাড়িতে।”
“মানে? কীসের পিকনিক? এই ব্যাপারে তো রুমকি আগে আমাদের কিছু বলেনি।”
“চাচিও তাই বলল। পিকনিক করার প্ল্যানটা নাকি আজ হঠাৎ করেই হলো।”
মিশাল আর এক মুহূর্ত দাড়ালো না। রুমকির রুমের দিকে ছুটে গেল। দরজা ভেজিয়ে রুমকি কান্নাকাটি করছে। হাঁটুতে মুখ লুকিয়ে কাঁদছে। হন্তদন্ত হয়ে মিশাল বিছানায় রুমকির পাশে বসল। মিশালের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই রুমকি কান্নার মাত্রা অধিক বাড়িয়ে দিলো। তীক্ষ্ণ গলায় মিশাল রুমকির দিকে প্রশ্ন ছুড়ল,
“কীসের পিকনিক রে? কবে থেকে চলছে এই প্ল্যানিং?”
হাঁটুতে মুখ রেখেই রুমকি অশ্রুসজল গলায় বলল,
“কাল রাতেই প্ল্যানিং হলো।”
“হুট করে এক রাতেই কীভাবে পিকনিকে যাওয়ার প্ল্যানিং হতে পারে? মাথা ঠিক আছে তোর?”
“অতো শতো বুঝিনা আমি। পিকনিকে আমি যাবো মানে যাবোই।”
“পিকনিকটা কোথায় হচ্ছে?”
“ফ্রেন্ডের বাসায়!”
“কোন ফ্রেন্ডের বাসায়?”
“তুমি চিনবেনা।”
“বাড়ি কোথায়?”
“কলেজের পাশেই।”
“নিজস্ব বাড়ি? নাকি ভাড়া বাড়ি?”
“ভাড়া বাড়ি।”
“ছেলে ফ্রেন্ড না-কি মেয়ে ফ্রেন্ড?”
“ছেলে ফ্রেন্ড।”
“কোনো প্রয়োজন নেই যাওয়ার! আমার মুখের ওপর আর কোনো টু শব্দ করবিনা তুই।”
হনহনিয়ে মিশাল রুম থেকে বের হয়ে গেল। রাগান্বিত হয়ে রুমকি বসা থেকে ওঠে ঘরের আসবাবপত্র ছুঁড়তে লাগল! মিশালের মুখের উপর তর্ক করার সাহস হলোনা তার। ঐদিকে তাকিয়েও দেখলনা মিশাল। রুমকির জেদকে বিন্দু পরিমাণ প্রশ্রয় দিতে চাইলনা। তবে ইদানিং রুমকির পরিবর্তন লক্ষ্য করল! রুমকি কোনো ছেলের সাথে হয়তো সম্পর্কে রয়েছে তা বুঝতে বেশী বেগ পেতে হলোনা তার! তবে ছেলেটিকে খুঁজে বের করতে হবে তাকে। ভালো খারাপ তো জগৎ জুড়েই রয়েছে।
মিশাল তার রুমের দিকে অগ্রসর হতেই গম্ভীর গলায় জেসমিন বেগম মিশালকে পেছন থেকে ডাকলেন। মাথা নুইয়ে মিশাল তার মায়ের সামনে দাড়ালো। তৎক্ষনাৎ গলা উঁচিয়ে জেসমিন বেগম শুধালেন,
“সাহিলের সাথে কাল কী হয়েছিল?”
মাথা নুইয়ে মিশাল পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ল,
“হঠাৎ এই প্রশ্ন?”
“যা জিজ্ঞেস করছি বলো?”
“আমার সাথে কিছু হয়নি। হয়েছে অন্য কারো সাথে। এবার বলুন কী ব্যাপার?”
“আজ সকালে সাহিলের বাবা ফোন করে বলল জায়গা সম্পত্তি ভাগ বন্টন করতে! তোমার ফুফুর জায়গা তোমার ফুফুকে বুঝিয়ে দিতে। তার মানে বুঝতে পারছ তুমি? আমাদের বাড়িটাও কিন্তু ভাঙা পরবে!”
মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মতো অবস্থা হলো মিশালের! সাহিলকে অপদস্ত করতে গিয়ে সে তাদের জীবনে এতোটা দুঃখ টেনে আনবে তা কস্মিনকালেও ভাবতে পারেনি। এই ধাক্কাটা সামলাতে পারলনা মিশাল। মাথায় হাত চলে গেল তার। ইতোমধ্যেই সাহিলের আগমন ঘটল তাদের বাড়ির ড্রইংরুমে। সামান্তা তখন সোফায় বসে খবরের কাগজ পড়তে ব্যস্ত। আশেপাশে মনোযোগ নেই তার। সামান্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সাহিল গলা ঝাকালো। ঝট করে সামান্তা চোখ তুলে সামনের দিকে তাকালো। ব্যগ্র হাসল সাহিল। শার্টের কলারটি টেনে হেয়ো স্বরে বলল,
“ওহো। তুই এখনও বাড়ি যাসনি? ভাবলাম বাড়ি ভাঙার কথা শুনে এতোক্ষণে হয়ত নিজের বাড়ি ফিরে গেছিস।”
অবাক হলো সামান্তা। বসা থেকে ওঠে দাড়ালো। উদগ্রীব হয়ে সাহিলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলল,
“বুঝলাম না। কার বাড়ি ভাঙা হবে?”
“কার আবার? এই বাড়ি! জানিসনা তুই?”
“হোয়াট? পাগল হয়ে গেছো তুমি? বাড়ি বয়ে এসে পাগলামি করছ?”
#চলবে…?