#বুকে_যে_শ্রাবণ_তার
#পর্ব_____৪০
#নিশাত_জাহান_নিশি
“তুই হলি আমার কাছে সিগারেটের একটান ধোঁয়ার মতো! সিগারেটের একটান ধোঁয়ায় যেমন সাময়িকভাবে আমার ভেতরের সমস্ত অশান্তি দূর হয়ে যায়, সেই ধোঁয়া কেটে যাওয়ার পর কিন্তু তা আমার শরীরের ভেতরটাকে নিদারুনভাবে ধ্বংসও করে দেয় তেমনি তোকে কাছে পেয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটাও তাই! সাময়িক শান্তি। আমার জীবনের এক সেকেন্ডেরও ভরসা নেই। এখান থেকে যাওয়ার পর একটু পরেই আমার সাথে কী ঘটবে আমি জানিনা। তাই কিছু প্রশ্নের উত্তর না জানাই ভালো।”
নিশ্চুপ সামান্তা। নিস্তব্ধ, নির্বিকার। মিশালের বুকের সাথে সে মিশে রয়েছে ঠিকই তবে তার মনে বইছে প্রবল অশান্তির ঝড়। মিশালের এহেন কঠিন কথার মানে খুঁজে পায়না সে। মৃতু অনিবার্য এটা সত্যি। তবে মিশাল স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেনি। অস্বাভাবিক কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছে। ভেতর থেকে এক নিদারুন অস্বস্তিবোধ হতে লাগল সামান্তার। অভিমান জমতে লাগল। মিশালের সান্নিধ্য থেকে সরে দাড়ানোর চেষ্টা করল। তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হলো। মিশালের বলিষ্ঠ শরীরের সঙ্গে সে পেরে ওঠছেনা। নিঃশব্দে অভিযান চলছে সামান্তা ও মিশালের মধ্যে। তুমুল ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মিশাল মুখ খুলল। ক্ষীণ গলায় শুধালো,
“শখ মিটে গেছে জড়িয়ে ধরার?”
“আমি এই কঠিন মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতে চাইনি।”
“আমি কঠিন?”
“লোহার মতো কঠিন। হিমালয়ের মতো দাম্ভিক।”
“তাই বুঝি এই কঠিন ও দাম্ভিক মানুষটিকে ছেড়ে যেতে চাস?”
“আগলে রাখলে কোথায়? এই কঠিন মানুষটা কাউকে আগলে রাখতে পারেনা।”
“এইযে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম, আগলে রাখলাম।”
“সাময়িকভাবে! আমি তোমার জীবনে স্থায়ী নই।”
“তুই হয়তো আমার কথার গভীরতা বুঝতে পারিসনি।”
“বুঝতেও চাইনা। এই কঠিন মিশালকে আমি চাইনা।”
মিশালকে ছেড়ে সামান্তা হাঁটা ধরল বাড়ির দিকে! বুকে তার বেদনার ঝড়, নিবিড় এক করুন আকুতি, চোখের কোণে দুঃখের নোনাজল। ভগ্ন দৃষ্টিতে মিশাল তাকিয়ে রইল সামান্তার যাওয়ার পথে। কিছু মুহূর্ত পর্যন্ত দৃষ্টি তার স্থির রইল। অতঃপর ম্লান হাসল। চাপা দুঃখ নিয়ে মিহি স্বরে বলল,
“তুই শুধু আমার কঠিন রূপটাই দেখলি সামান্তা। ভেতরে পুষে রাখা কঠিন যন্ত্রণাটা বুঝলিনা। খুব শীঘ্রই আমি তোর মনের মতো হয়ে ওঠব দেখিস! আমি আর কারো জন্য নিজের সুখ সেক্রিফাইজ করবনা। যা করব তোর জন্য করব। এই নতুন মিশালটাকে আমি তোর নামে লিখে দিব!”
সাহিলকে ছেড়ে দাড়ালো জেনিয়া। তার সম্বিত যেনো মাত্র ফিরে এলো! সাহিলের দিকে নিগূঢ় দৃষ্টিতে তাকাতেই তার চোখ দুটি ছানাবড়া হয়ে গেল! উন্মুক্ত শরীরে সাহিল তার সামনে দাড়িয়ে। এই ছেলেটিকেই কী সে এতোক্ষণ যাবত জড়িয়ে ধরে দাড়িয়েছিল? ছিঃ কী লজ্জার ব্যাপার। সাহিল উজবুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আচম্বিত জেনিয়ার দিকে। বুঝার চেষ্টা করল জেনিয়া কেনো হুট করে তার দিকে এহেন অস্বাভাবিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। মুখে হাত চেপে জেনিয়া পিছু ঘুরে নিলো। বিব্রতকর গলায় বলল,
“এই আপনি খালি গাঁয়ে কেন?”
সাহিলের এতোক্ষণে টনক নড়ল। গাঁয়ের দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই সে খালি গাঁয়ে দাড়িয়ে। মেয়েদের মতো হাত দ্বারা সাহিল তার গাঁ ঢাকার চেষ্টা করল! নখ কামড়ে অস্বস্তিকর গলায় বলল,
“আইলা। আমিতো খেয়ালই করিনি। এই মেয়ে আবার আমাকে খারাপ ভাববে না তো? যদি ভাবে বডি দেখিয়ে তাকে ইমপ্রেস করছি?”
তখনি হাসতে হাসতে মিশাল এগিয়ে এলো সাহিল ও জেনিয়ার দিকে। মিশালকে এক ঝলক দেখা মাত্রই জেনিয়া তার মাথা নুইয়ে নিলো। বেশ গম্ভীর ভাব নিলো। মেয়েদের মতো সাহিলের লজ্জা পাওয়া দেখে মিশাল হাসতে হাসতে প্রায় ফিট হয়ে গেল। সাহিলের কাঁধে হাত রেখে বলল,
“সিরিয়াসলি ভাউ? তুমি মেয়েদের মতো লজ্জা পাচ্ছ? এটাতো ছেলেদের জন্য নরমাল।”
দাঁতে দাঁত চেপে সাহিল মিনমিনিয়ে বলল,
“লেগফুল করিসনা তো। তার সামনে কিছুতেই নিজেকে নির্লজ্জ প্রমাণ করা যাবেনা! তাকে প্রথমে তার মতো করে ইমপ্রেস করতে হবে। পরে না হয় নিজের আসল রূপ দেখানো যাবে!”
“বাহ্ রে বাহ্। মেয়ে পটানোতে দেখি পিএইচডি করে রেখেছ! ওহ্ মাই গুডনেস এই কোন সাহিলকে দেখছি আমি?”
“কথা না বাড়িয়ে তোর শার্টটা দে তো! দেখছিস না সে আমার মুখোমুখি হতে শাই ফিল করছে?”
মিচকে হেসে মিশাল বলল,
“আমি জেনে-বুঝে তোমার ক্ষতি করতে চাইনা সাহিল ভাই। এখন যদি আমি শার্ট খুলি তবে কিন্তু জেনিয়ার নজর তোমার থেকে বেশি আমার ওপর পরবে! ইউ নো হোয়াট? জেনিয়া আমার ওপর আগে থেকেই ফিদা!”
মিশালের গাঁ থেকে কেড়েকুড়ে সাহিল তার শার্টটি খুলে নিলো! ক্ষিপ্ত হয়ে মিশালকে গাড়ির ভেতর ঢুকিয়ে দিলো। হতবাক মিশাল। এ কী ঘটে গেল তার সাথে? জানালা দ্বারা সাহিল ভ্যাবাচ্যাকা মিশালকে বলল,
“তুই গাড়ি নিয়ে যা। আমি জেনিয়ার সঙ্গে হেঁটে আসছি!”
জেনিয়ার পিছু নিলো সাহিল। জোছনা ভরা নির্জন রাতে দুজন পাশাপাশি হাঁটতে লাগল। চাঁদের অতি সূক্ষ্ম আলোয় জেনিয়াকে দেখতে বড্ড মায়াবী দেখাচ্ছে। সাহিল ক্রমে ক্রমে মুগ্ধ হচ্ছে। পাশ ফিরে জেনিয়া বিদ্বেষি দৃষ্টি ফেলে সাহিলের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল। মিশালের শার্ট যে সাহিলের গাঁয়ে সে তা দেখেই বুঝতে পারল। মুহূর্তেই সাহিলের থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিলো জেনিয়া। গলা ঝেড়ে প্রশ্ন ছুড়ল,
“আপনি কী কোনোভাবে আমাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছেন?”
হকচকালো না সাহিল। বরং সোজা সাপটা গলায় বলল,
“তুমি যদি একে ইমপ্রেস করা বলো তো ইমপ্রেস করা, আর যদি বলো এ মোহ নয় প্রেম, তবে প্রেম!”
থেমে গেল জেনিয়া। পাশ ফিরে আগ্রাসী দৃষ্টিতে তাকালো বেখেয়ালি সাহিলের দিকে। ফোঁস করে শ্বাস ফেলল। খরখরে গলায় বলল,
“আপনার সাথে প্রেম? কখনও নয়!”
“কেন নয়? একটু ভেবে দেখেছো কী? তোমার বিপদের কথা শুনে আমি এই রাত বিরাতে কতোটা পাগল পাগল হয়ে তোমার কাছে ছুটে এসেছি?”
“ইট’স ইউর প্রবলেম! একদম আমার পিছু নিবেননা!”
বাঁকা হাসল সাহিল। মেয়ে মানুষের মন পাওয়া যে খুব একটা সহজ নয় এই বিষয়ে তার বেশ ভালো ভাবেই জানা। মেয়েরা না বলা মানেই হ্যা বলা! এদের মুখ থেকে সহজে সত্যি কথা বের করা যায়না! জেনিয়ার পিছু ছাড়লনা সাহিল। আপত্তি থাকা সত্ত্বেও জেনিয়ার পিছু পিছু হাঁটতে লাগল। মিশাল যেনো বোকা বনে গাড়িতে বসে রইল। মাঝ রাস্তায় সাহিল তাকে এভাবে উলুঙ্গ করে ছেড়ে দিলো? মেয়েদের মন রক্ষা করতে গিয়ে কতো কী না করতে হয় ছেলেদের! অথচ এতকিছুর পরেও মেয়েরা তাদের মন বুঝতে পারেনা।
সামান্তা বাড়ি ফিরল৷ আনমনা হয়ে তার রুমে প্রবেশ করল। দেখল সাইফা ও রুমকি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে রয়েছে। দুজনই গভীর ঘুমে মগ্ন। রুমকির ঘুম ভাঙাতে ইচ্ছে করলনা তার। সকালেই বরং তার কুখ্যাত বয়ফ্রেন্ডের কীর্তিকলাপ তাকে শুনানো যাবে! এতে যদি কিছুটা শিক্ষা হয় রুমকির। তাদের পাশে একটুখানি জায়গা দখল করে শুয়ে পরল সামান্তা। মনে কেনো যেনো শান্তি নেই তার। সবকিছু কেমন এলোমেলো লাগছে। ভাবনাচিন্তারা বেহিসেবী হয়ে পরেছে। মিশাল কেন তাকে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনা? কীসের এতো বাঁধা তার? কয়েকটা দিন মিশালের থেকে তাকে দূরে থাকতে হবে। তবেই হয়তো মিশাল তার গুরুত্ব বুঝতে পারবে!
_____________________________
প্রতিদিনকার সকালের তুলনায় আজকের সকালটা একটু ভিন্ন মিশালের। মন মেজাজ বেশ ফুরফুরা তার। ফরমাল লুকে বেশ পরিপাটি হয়ে সাহিলের সঙ্গে একটু বের হচ্ছে সে। কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্সের জন্যে! সাহিলের বাবার একটি পুরোনো এক্সপোর্ট ইম্পোর্টের কোম্পানি রয়েছে। সেই কোম্পানিটিকেই নতুনভাবে শুরু করতে চাইছে সাহিল। তার বিজনেস পার্টনার হিসেবে মিশাল তার সঙ্গে রয়েছে। নতুন করে সেই কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে। কোম্পানি টাকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।
যাত্রাপথে মিশাল চেয়েছিল সামান্তার সাথে একটুখানি দেখা করে যেতে। তবে সামান্তাই রাগ করে মিশালের মুখোমুখি হতে চাইলনা! দরোজা বন্ধ করে ঘুমের বাহানা করে পরে রইল। বাড়ির সবার থেকে সুন্দরভাবে বিদায় নিয়ে মিশাল ও সাহিল তাদের যাত্রাপথে রওনা হলো। শাহনাজ বেগমও হাসিমুখে মিশালকে বিদায় দিলেন। সবাই তাদের উদ্যোগকে বাহবা জানালো। তবে তরুন চৌধুরী খুশি নন সাহিলের এই সিদ্ধান্তে! সাহিলের জেদের জন্যই তিনি কোম্পানির দায়িত্ব মিশালের ওপরেও ন্যাস্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
সাহিল তার গাড়ি স্টার্ট করে দিলো। সামান্তা দৌড়ে তার বেলকনিতে এসে দাড়ালো। গাড়ির পেছনের দিকটিই কেবল তার চোখে পরল। আফসোস হতে লাগল কেন সে মিশালকে দেখা দিলোনা! মিশাল তার দরজা থেকে ফিরে গেল। ইতোমধ্যে সাইফা সামান্তার রুমে প্রবেশ করল। মনমরা হয়ে থাকা সামান্তার পাশে এসে দাঁড়ালো। সামান্তার দিকে নিশ্চল দৃষ্টিতে তাকালো। ধীর গলায় শুধালো,
“কী? তাকে ফিরিয়ে দিয়ে খুব আফসোস হচ্ছে?”
“মোটেও নয়।”
“তাহলে তার যাওয়ার পথে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?”
“রাস্তায় শুধু সে নয়, অনেক পরিচিত মানুষই আসা যাওয়া করে। হতে পারে আমি তাদের যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছি।”
“প্লিজ স্টপ আপু। তোমরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নও। একটা সম্পর্কে ইগু থাকার চেয়ে ছাড় দেওয়াটাই বেশি জরুরি। কেন বুঝতে চাওনা বলো তো?”
“জ্ঞান দিতে আসিসনা আমায়। অন্যকিছু বলার থাকলে বল।”
“ওকে বাদ দাও। এসব তোমাদের ব্যাপার। যাই হোক, একটা গুড নিউজ দিতে এলাম তোমায়।”
“কী নিউজ?”
“লাবিবের চাকরী হয়ে গেছে!”
আলতো হাসল সামান্তা। খবরটা সত্যিই খুশির। সাইফার চোখেমুখে হাসিখুশি চিকচিক করছে। আলতো করে সাইফার গাল ছুঁয়ে দিলো সামান্তা। উচ্ছ্বল গলায় বলল,
“বাহ্। বেশ ভালো খবর তো। তার মানে তোর বিয়েটা আমার আগেই হয়ে যাচ্ছে?”
“ধ্যাত। এতো ইজি নাকি বিয়ে করা? ওয়েল স্যাটেল্ডড হতে লাবিবের কমপক্ষে একবছর সময় তো লাগবেই। তাছাড়া তোমার আগে আমার বিয়ে হওয়ার কথা আমি কখনই ভাবিনা। আগে মিশাল ভাইয়া ও তোমার বিয়ে হবে এরপর আমার।”
হেয়ো হাসল সামান্তা। দীর্ঘ একটি শ্বাস ফেলল। কণ্ঠে গ্লানি নিয়ে বলল,
“আমার বিয়ে? তাও আবার ঐ কঠিন মানুষটির সাথে? তোর মতো লাবিব সবাই পায়না রে! যে ভালোবাসার জন্য সব করতে পারে, অন্তত ভালোবাসার মানুষটির ক্ষেত্রে সে কঠিন হতে পারেনা। আমি হয়তো কখনও তাকে আমার করে পাবনা। মানুষটা হয়তো আমারই না!”
বিষণ্ন মন নিয়ে সামান্তা সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। বেসিনে মুখ ডুবিয়ে সে অনবরত কাঁদতে লাগল। কিন্তু এই কান্নার মানে খুঁজে পায়না সে। মিশাল বরাবরই এমন। মিশালের কথা ভেবে কেন আজ সে এতো কষ্ট পাচ্ছে? ভেতরটা দুরুদুরু করে কাঁপছে। এই প্রশ্নের উত্তর তার অজানা। সাইফা বেলকনির ধারে এখনও দাড়িয়ে রইল। সামান্তার ব্যবহার আচরণ আজ তার কাছে অদ্ভুত লাগল। কী হয়েছে সামান্তার? কেন সে মিশালের ওপর ভরসা রাখতে পারছেনা? রীতিমতো মিশালকে অস্বীকার করছে। মনে এই কঠিন প্রশ্ন রেখে সাইফা সামান্তার রুম ত্যাগ করল৷
গতকাল রাতের সমস্ত দুর্ঘটনা জানার পর থেকেই রুমকি মুখ ফুলিয়ে রেখেছে। জারিফের প্রতি তার ভালোবাসা ওঠে যাচ্ছে! যেখানে জারিফের উচিৎ ছিল মিশালের মন জয় করে তার হাত মিশালের থেকে চেয়ে নেওয়া সেই জায়গায় জারিফ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করেছিল? কতটা নিচু জারিফের চিন্তাভাবনা। জারিফের প্রতি তার ঘৃণা জন্মাতে লাগল। এমনকি নিজের প্রতিও রাগ হতে লাগল।
রুমকির এই পরিবর্তন দেখে সামান্তা বেশ খুশি হলো। অন্তত বিবেক কাজে লাগিয়ে তো রুমকি তার ভুল বুঝতে পারল। খারাপ মানুষটিকে শনাক্ত করতে পারল। ড্রইংরুমে বসে রুমকিকে এই বিষয়ে আরও জ্ঞান দিচ্ছিল সাইফা ও সামান্তা। রুমকিও তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছিল।
কয়েকঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর মিজানুর রহমান হঠাৎ তাঁর রুম থেকে দৌড়ে এলেন বাড়ির ড্রইংরুমে। তখনও বাড়ির সবাই আলাপচারিতায় মগ্ন। বেশ আতঙ্কিত হয়ে তিনি জেসমিন বেগমকে পিছু ডাকলেন। শুকনো গলায় বললেন,
“সর্বনাশ হয়ে গেছে জেসমিন। সাহিল ও মিশালকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে! দুজনের নামেই নাকি অ’স্ত্র পা’চা’র ও খু’নে’র অভিযোগ রয়েছে!”
#চলবে______?