#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম
১২.
এতক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় অধিরাজ শেখের কালো জঘন্য কুকীর্তিসমূহ ছড়িয়ে পড়েছে।এমনকি সে যে দেশের বিরু*দ্ধে কত বড় ষ!ড়যন্ত্রে নেমেছিলো সেই সত্যসমূহও সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কেবল তারই চর্চা।কারো চোখে ঘুম নেই।সকলেই চিন্তিত প্রণয় নামক সেই খু*নী ডাক্তারের ফা!সির সিদ্ধান্ত নিয়ে।সে কি আদোতে বাঁচবে?নাকি তাকে সত্যি সত্যি মে*রে ফেলা হবে একটা ভুল সিদ্ধান্তের দরুন?চাঁদ যেই ফোনে বছর সাতেক পূর্বে সমস্ত প্রমাণ ভিডিও ধারণ করেছিলো সেই ভিডিওটিই আজ ঠিক সাত বছর পর সকলের সামনে এসেছে।খবর গিয়েছে দেশপ্রধানের নিকটও।এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে দেশের বর্তমান খবর সম্পর্কে অবগত নয়।অধিরাজ শেখ যে কেবল তার লোকজন ব্যতীত বর্তমান সরকারের সাথে থাকা বড় মাপের নেতাকর্মীদের এক নিশ্রংস হ*ত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা আটছিলো সমস্ত কিছুই বর্তমান শিরোনাম হিসেবে খবরের প্রতিটা চ্যানেলে দেখানো হচ্ছে।শুধু যে অধিরাজ শেখ তা নয়।তার সঙ্গে মিলিত ছিলো কিছু বিদেশী পলিটিশিয়ানও।এবং এর জন্যই মূলত তার এই পতিতালয়।সে একে একে পুরো বাংলাদেশেই এর এক প্রচলন করার পরিকল্পনা করেছিলো।বাংলাদেশকে এক অশা*লীন দেশে রূপান্তরিত করাই তার মূল লক্ষ্য ছিলো যাতে করে বর্তমান সরকার ধ্বং!স করতে তার কোনো অসুবিধেই না হয়।ভিডিও তে সকলকিছু স্বীকার করার পরেও সে আরও কিছু নির্ম!ম সত্য স্বীকার করে।এবং সেগুলো ছিলো সে আর তার সহযোগীরা কীরূপে নারীদের দিয়ে কা*লোবাজারি করেছে।তাদের বাধ্য করেছে এ পথে আসতে।কতশত নারীর ধ!র্ষণ করেছে,কতজনকে হ*ত্যা করেছে।তার মূল লক্ষ্যই ছিলো সমস্ত অপ*রাধের দায়ভার বর্তমান সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়ে সকল ক্ষমতা নিজ হাতে নেবে।এবং সকলকিছু তার পরিকল্পনামাফিকই চলছিলো।অতি সূক্ষ্ম ছিলো তার পরিকল্পনা,কোনোরূপ খাদের চিহ্ন পর্যন্ত ছিলোনা তাতে।কিন্তু!ভাগ্য তার সহায় হয়নি।চাঁদ নামক এক রমনীর আগমণে তার পতনের সূচনা ঘটে।আর সেই পতনের সমাপ্তি ঘটায় সেই রমনীর প্রিয় মানব ডাক্তার প্রণয়।কিন্তু সেই শয়তান রাজার রাজ্য ধ্বংস করে তার পতন ঘটাতে গিয়ে সেই দূতরূপী প্রণয়েরই কি পতন হলো?মানুষরূপী ইবলিশের সমাপ্তি ঘটাতে গিয়ে প্রণয়ের প্রণয়পাতারই কি সমাপ্তি ঘটলো?আর কি তাদের দেখা হবে?চোখে চোখ রেখে কথা হবে কি?হবে কি তাদের ফের প্রণয় গাথা?প্রেম কি তাদের আবারও হবে?কীরূপে হবে?সম্ভব কি তা?
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
প্রণয়ের নাম চিৎকার করা মাত্রই সকল পুলিশকে ধাক্কিয়ে ঠেলতে ঠেলতেই দৌড়ে পাটাতনের উপরে উঠে চাঁদ।ততক্ষণে অরণও তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সময় ব্যায় না করেই উঠে এসেছে বন্ধুর শায়রে।অতঃপর দু’পাশ থেকে দু’জন প্রণয়কে জাপটে ধরেছে।চাঁদ প্রণয়কে ধরে রেখেই অরণকে বলে,
“প্লিজ একটু শক্ত করে ধরুন”
অতঃপর নিজের পায়জামার চোরাপকেটে রাখা ধারালো ব্লে*ড নিয়ে মোটা দড়িটা কা*টতে আরম্ভ করে চাঁদ।বেশ তাড়াহুড়ায় দড়ি কা*টতে গিয়ে নিজের কয়েক আঙুলে আ!ঘা!ত লেগে যায় চাঁদের।র*ক্তও ঝড়ছে তবে সেদিকে তোয়াক্কা নেই তার।অবশেষে দড়ি কাটতে সক্ষম হতেই প্রণয়ের মুখে বাধা লাল কাপড়টা চট করেই খোলে চাঁদ।অতঃপর দু’জনে মিলেই প্রণয়কে খোলা পাটাতনের অপর পাশেই শুইয়ে দেয়।প্রণয়ের ঘর্মাক্ত লালচে বর্ণ ধারণ করা এবং সাথে বেশ কা*টাছে*ড়া জখমভর্তি মুখশ্রী দেখে খা খা করে উঠে হৃদয়,চিত্ত তার পো*ড়ে।তবুও নিজেকে সামলে প্রণয়ের গালে বারকয়েক থা!পড়িয়ে অস্থিরচিত্তে ডাকে চাঁদ,
“প্রণয়?এই প্রণয়?উঠুন না!উঠুন।আপনি আমায় আর বাবুকে এভাবে ফেলে যেতে পারেন?বলুন যেতে পারেন?এই উঠুন না।প্রণয়?এই প্রণয়?প্রণয়?”
অতঃপর বেশ জোরেসোরেই চেচায় চাঁদ,
“প্রণয়!”
চেচিয়েই তার বুকের কাছে মাথা ঠেকিয়ে ফুপিয়ে উঠে চাঁদ।তখনো কেবল প্রণয়কেই সে ডেকে চলেছে।ডাকছে অরণও।বন্ধুকে কিয়ৎক্ষণ ডেকে তার থেকে আশানুরূপ কোনো ফল না পেয়ে ছুটে আসে জেলপ্রধানের নিকট।লোকটার কাছে গিয়েই চেচিয়ে সে বলে,
“আপনারা জানতেন প্রণয়ের ফা*সি কার্যকর হবেনা তারপরেও কোন ভিত্তিতে তাকে ফা*সির আসরে দাড় করিয়েছেন?উপরমহল থেকে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পরেও সাহস হয় কী করে কোনোকিছু করার?”
লোকটা নিম্নকন্ঠে শুধায়,
“সরি?কিন্তু আমাদের কাছে কোনোরূপ বার্তাই আসেনি।আমরা চাচ্ছিলামই কোনো কিছু হোক!আর প্রণয়ের ফা*সিটা আটকে যাক কিন্তু উপরমহল থেকে কোনো খবরাখবর না আসায় আমাদের তাই করতে হয়েছে যা করার ছিলো”
এবারে নিজেকে সামলে লম্বা শ্বাস নিয়ে অরিন বলে,
“কিন্তু আমি যতটুকু জানি বারোটা বাজার পূর্বেই উপরমহল থেকে ফা*সি নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেয়া হয়েছিলো।তবুও বিষয়টা এতটা গুরুতর হওয়ার কথা না।এই জেলের জেলার কে?”
তৎক্ষনাৎ ইন্সপেক্টর রুবায়েত অরিনের সামনে এসে অরিনের বুক পকেটে তার নাম দেখে অরিনের পানে চেয়ে বলে,
“আমি,মিস অরিন!হোয়াটস দ্যা প্রবলেম?”
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লোকটার পানে চেয়ে অরিন বলে,
“দ্যা প্রবলেম ইজ ইউ অ্যান্ড ইওর ননসেন্স ওয়ার্ক।আপনার কাছে বার্তা আসার পরেও সেটা আপনি সুপারিন্টেন্ডেন্ট কে জানানোর প্রয়োজনবোধ করেন নি?প্রণয়ের কিছু হলে আপনার বিরুদ্ধে কতবড় অ্যাকশন নেয়া হবে আপনি জানেন?তার কিছু না হলেও নেয়া হবে।ডু ইউ নো ‘বাউট দ্যাট?”
লোকটা ভাবলেশহীনভাবে বলে,
“অফকর্স আই নো।এবং তাতে আমার কিছু যায় আসেনা।ছ’জন খু*ন করা আসামী কখনোই পার পেয়ে যেতে পারেনা।তার যেই শাস্তি পাবার ছিলো তাই পেয়েছে এবং আমি তাই চেয়েছি”
তৎক্ষনাৎ ঝড়ের বেগে রুবায়েতের নিকট ছুটে আসে ক্রন্দনরত চাঁদ।অতঃপর ইন্সপেক্টর রুবায়েতের দুই গাল সর্বশক্তি দ্বারা চে!পে ধরে গ!র্জে উঠে,
“সাহস কী করে হয়?তোর সাহস কী করে হয় আমার প্রণয়কে ফা*সির পাটাতনে দাড় করানোর?ইউ!ব্লা!ডি মন্সটার!”
বলেই আরও জোরে রুবায়েতের চোয়াল চে!পে তাকে ঠেলে দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে মুহুর্তের মাঝেই ডান হাত দ্বারা উলটো,সোজা সবরকমের চ*ড় নিক্ষেপ করেও ক্ষান্ত হয়না চাঁদ।লোকটার গলা চে!পে ধরে শ্বাস নিতে নিতে বলে,
“মানুষরূপী শয়তান!তোকে তো আমি…..”
বলেই ফের থুতনী চেপে ধরতে গেলেই রুবায়েত চাঁদের কব্জি ধরে তার পানে একধ্যানে চেয়ে কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলে,
“আপনার প্রণয়তো পগারপার!বাকি জীবন কী করবেন মিসেস প্রণয়?ওপ্স সরি!প্রণয়ের বিধবা বউ!”
চাঁদ তৎক্ষনাৎ তার অপর হাতে বেশ জোরালোভাবেই থা!প্পড় বসায় লোকটার গাল বরাবর।চ*ড়ের জোরালো শব্দ প্রতিধ্বনিত হয় জেলের দেয়ালজুড়ে।অতঃপর রুবায়েতের চোখ বরাবর তর্জনী তাক করে নাকমুখ ফুলিয়ে বারংবার শ্বাস নিতে নিতে চাঁদ বলে,
“আমার প্রণয় আমাকে ছেড়ে কোথাও যায়নি।যেতে পারেনা!তোর চোখে আঙুল দিয়ে তা আমি দেখিয়ে দেবো ইউ ব্লা!ডি ফুল!”
বলেই দ্রুতগতিতে প্রণয়ের নিকট ফের ছুটে আসে চাঁদ।এসে দেখে অরণ পানির ছিটেফোটা দিয়ে প্রণয়কে উঠাবার চেষ্টা করছে তবে প্রণয়ের কোনো সাড়াশব্দ নেই।শরীর অবশ হয়ে গিয়েছে।মুখশ্রী লালচে,সারা বদন ফ্যাকাশে তার।এরূপ দৃশ্য অবলোকন হতেই রুহ গলার কাছে আ!টকে আসে চাঁদের।নিজেকে সামলে ঘনঘন শ্বাস নিয়ে ফের প্রণয়ের গালে আলতো থা*পড়িয়ে ডাকে তাকে,
“প্রণয়?এই প্রণয়?উঠুন না!এমন করছেন কেনো?”
“দেখুন!আমি কিন্তু এবার ভয় পাচ্ছি।প্রেগন্যান্ট বউকে কেউ এভাবে ভয় দেখায় বলুন?আপনি মজা করছেন তাইনা?”
“আপনি না আমার গম্ভীর মানব?আপনার গম্ভীরতার সাথে কি এরূপ বি!শ্রী মজা সাজে?আমার কিন্তু সত্যিই ভালো লাগছেনা প্রণয়।আপনি কি উঠবেন?এই প্রণয় উঠুন না!এই?এই?”
“এই প্রণয়!”
কি যে করুন শোনালো সেই কন্ঠধ্বনি!বুক ফাটা আ!র্তনাদ বেরুতে চাইছে চাঁদের হৃদয় চি!ড়ে।তবে পারছেনা কোনো এক অজানা বাঁধায়।ফের প্রণয়ের গালে হাত রেখে তাকে ডাকলো চাঁদ,
“প্রণয়?এই?”
সঙ্গে সঙ্গে গাল বেয়ে দুই ফোটা অশ্রু বর্ষিত হয় চাঁদের।এবং তা গিয়ে পড়ে প্রণয়ের দুই গাল বরাবর।অতঃপর বারিধারা থামার নাম নেয়না।তেমনিভাবে প্রণয়ের গালেও অশ্রু ঝড়া থামেনা।টপ টপ করে তা অবিরাম ঝড়ে।আকস্মিক চাঁদ প্রণয়ের দুই গালে দুই হাত রেখে ঘোলাটে হয়ে আসা দৃষ্টির সহিতই পলকহীন চায়।অতঃপর শ্বাস আটকে প্রণয়ের বাকা হওয়া ঠোট স্থির করিয়ে আলতোভাবে চুমু খায় সেথায়।চোখের চশমা খুলে পাশে রেখে আরেকবার প্রণয়ের অধরজোড়ায় নিজ কম্পিত অধর মিলিত করে সে।আঁখি হতে অশ্রু গড়া থামেনা তার।ঠোট আলগা করেই প্রণয়ের কপালের কাছে ওষ্ঠ নিয়ে গভীরভাবে চুমু খায়।অতঃপর লম্বা শ্বাস নিয়ে প্রণয়ের বুকে মাথা ঠেকিয়ে তার পাশেই শুয়ে পড়ার ভঙ্গিমায় জড়িয়ে ধরে বলে,
“আমি আপনাকে ভালোবাসি মি.বিড়ালাক্ষী মানব!আমার জন্য আপনাকে……”
বলতে বলতেই ভ্রু জোড়া কুঞ্চিত হয় চাঁদের।বেশ গভীরভাবে প্রণয়ের বুকের পাশে কান চেপে মাথা ঠেকিয়ে শোনার চেষ্টা করে কিছু ভয়ংকর ধ্বনি।অতঃপর কর্ণকুহর হয় চাঁদের ‘লাব ডাব’ ‘লাব ডাব’ শব্দসমূহ।চোখজোড়া বড় বড় হয় চাঁদের।তৎক্ষণাৎ প্রণয়ের বুক থেকে উঠে তীব্র গতিতে লাফানো নিজ হৃদযন্ত্রকে সামাল দেয় সে।অতঃপর প্রণয়ের কব্জি ধরে তার নাড়ি পরীক্ষা করতে করতেই চট করে প্রণয়ের দুই গাল চেপে ঠোটজোড়া গোল করার চেষ্টা করে ফের প্রণয়ের অধরে অধর মিলিত করে চাঁদ।এবং এবারে কৃত্রিম শ্বাস চালায় সে প্রণয়ের ওষ্ঠদ্বয়ের মাঝে।মিনিট তিনেকের বেশি বাতাস দিতে দিতেই আচমকা কারো অতি ঠান্ডা হওয়া হাতের স্পর্শ কোমড়ের দুইপাশে অনুভব করে চাঁদ।চট করেই চোখ খুলে প্রণয়ের দিকে চাইতেই প্রণয়কে আগের ন্যায় দেখে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছু চাইতে গেলেই বাধা পড়ে প্রণয়ের ওষ্ঠদ্বয়ের মাঝে।কপাল কুচকে প্রণয়ের পানে চাঁদ চাইতেই দীর্ঘক্ষণ পর এক চোখ বন্ধ করাবস্থায় অপরচোখ পিটপিট করে খোলে প্রণয়।অতঃপর দেখতে পায় কপাল কুচকে তার দিকেই চেয়ে আছে তার প্রেমমানবী।চাঁদকে প্রথমবারের ন্যায় এরূপ গম্ভীর দেখে খানিক ভড়কায় প্রণয়।সঙ্গে সঙ্গে ঠোট ছেড়ে অসহায় ভঙ্গিমায় চাঁদের পানে চেয়ে কোমড়ে চাপ প্রয়োগ করে বেশ ঘনিষ্ঠভাবেই চাঁদকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।অতঃপর দুই চোখ খুলেই ঠোটের বাম পাশ মৃদু বাকিয়ে চাঁদকে জাপটে ধরে হোহো করে হেসে দেয় প্রণয়।সেখানে উপস্থিত সকলে বোকা বনে যায় প্রণয়ের কর্মে।তবুও কপাল কুচকে চাঁদ চেয়ে থাকে প্রণয়ের পানে।আর প্রণয় এক হাতে চাঁদের কোমড় জড়িয়ে রেখে তার মুখে ফু দিয়ে কপালের কাছে পড়ে থাকা কিছু চুল কানের পেছনে গুজে দিয়ে চাঁদকে আরেকটু ঘনিষ্ঠ করে বুকের সাথে মিশিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,
“প্রণয়ও তার চন্দ্রময়ীকে অত্যাধিক ভালোবাসে মিসেস প্রণয়!”
তৎক্ষণাৎ প্রণয়ের থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে কপাল কুচকে নাক টেনে চাঁদ বলে,
“আপনি বেশ নিষ্ঠুর প্রণয়!অতিরিক্ত মাত্রায় নিষ্ঠুর।আপনার মতো স্বামী কারো কপালে না জুটুক!ছাড়ুন,ছাড়ুন বলছি”
প্রণয় চাঁদকে আরেকটু চেপে ধরে বলে,
“ছাড়ার জন্য তো ধরিনি বাবুর আম্মু!”
রাগমিশ্রিত কন্ঠে চাঁদ বলে,
“আপনার লাগাম বেশ ছুটে গিয়েছে,ছাড়ুন”
প্রণয় চাঁদকে আলগা করে দিয়ে গম্ভীরভাবেই বলে,
“সত্যি সত্যি যদি ম*রে যেতাম খুব…….”
প্রণয়কে থামিয়ে দিয়ে প্রণয়ের উপরই শুয়ে তাকে জাপটে ধরে চাঁদ বলে,
“হিশ!আর না।বেশ জ্বালিয়েছেন।এখন ভালোবাসবেন”
প্রণয়ও চাঁদকে আলিঙ্গন করে বলে,
“আপনাকে ভালো না বাসলে আমার বাচ্চারাও আমায় বলবে ‘বাবা বেশ পঁচা!”
বলতে বলতেই হেসে দেয় দু’জনে।এমতাবস্থায় অরণ খানিক শব্দ করেই কাশতে কাশতে বলে,
“এটা পাবলিক প্লেস!এবং আমরা থানার মধ্যে,পুলিশদের সামনে আছি”
ততক্ষণে অরিনের দৃষ্টিও চাঁদ-প্রণয়ের থেকে সরে এলোমেলো হয়েছে।চোখে জমেছে অশ্রুর ভীড়।দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে সে শুধায়,
“কেউ কাউকে এতটা কী করে ভালোবাসতে পারে?আপনি সত্যিই বেশ নিষ্ঠুর প্রণয়!কেনো চাঁদ আপুকেই আপনার ভালোবাসতে হলো?বাসলেন তো বাসলেন এতটা কেনো বাসলেন?”
To be continued…….
[বিঃদ্রঃইম…..প্রণয়কে মে*রে দিয়েছি ভেবে বেশ বকাঝকাতো আমায় অনেকেই করলেন।কিন্তু আমিতো আপনাদের এই চমক দেয়ার অপেক্ষায়ই ছিলাম!একটু কষ্ট কষ্ট ভাবের মাঝে হঠাৎ এমন চমক!ব্যাপারটা দারুন তাইনা?ইহিম!আমিতো আপনাদের প্রণয়কে মা*রার উদ্দেশ্য কখনোই রাখিনাই।যদি মা*রারই হতো গল্পের নাম অন্যকিছুই হতো।তো আবারও বলছি!গল্পটা কাল্পনিক।এবং ভুলসমূহ ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ]