❤️58_59❤️ FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প Part:58

0
237

❤️58_59❤️

FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:58

ঠাম্মি বাসায় নেই তাই কেউ আজ টিভি ওন করে নি।তাই টিভির হেড লাইনের ব্রেকিং নিউস দেখার কারো সময় ছিলো না।কিন্তু জিনি ওন লাইনে সব টা জানতে পারে।কিন্তু সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে বলে হিয়া বা বাসবি কাউকে না ডেকে পাবলো কে ফোন করে।পাবলো খবর পেয়ে জিনি কে আশ্বাস দেয় ওহ সব ঠিক করে দেবে।পাবলো সেই রাতে গাড়ি নিয়ে টিউলিপে বেরিয়ে পড়ে..

পরের দিন হিয়া হিয়ান কে বাসবির কাছে রেখে টিউলিপের জন্য বেরোয়..

হিয়া:আজ টিউলিপের পরিবেশ টা একটু অন্যরকম লাগছে না।এতো ভিড় কেনো আজ টিউলিপে।এরকম ভিড় তো আগে কখনো দেখি নি….যাবো ওদিক টায়…না না আগে উজান এর সাথে কথা বলে আসি…..পাবলো না…হ্যা পাবলোই তো…কিন্তু ওহ এতো সকালে এখানে………পাবলো..পাবলো..পাবলো এদিকে….

পাবলো:বৌদিভাই……বৌদি ভাই তুমি এখানে এতো সকালে?

হিয়া:হ্যা কাল না তোমার দাদাভাই আমাকে মেসেজ করে বললো সকালে একবার টিউলিপ এসে দেখা করতে।তাই…আচ্ছা তুমি দেখেছো উজান কে…আচ্ছা ওখানে এতো ভিড় কেনো?

পাবলো:মনেমনে(এখনি বৌদি কে সবটা জানানো দরকার না হলে পরে দেড়ি হয়ে যাবে)

হিয়া:পাবলো কি হলো কি ভাবছো?

পাবলো:বৌদি আসলে(পাবলো এক এক করে সব ঘটনা হিয়া কে বলে)

…….হিয়ার যেনো মাথায় বাজ পড়ে।চারিদিক অন্ধ কার লাগতে শুরু করে।পিছন দিয়ে পড়ে যেতে ধরলে পাবলো হিয়া কে ধরে ফেলে…

হিয়া:না না না আমার উজান কখনো এমন করতেই পারে না।পাবলো পাবলো বলো না তুমি যা বলছো সব মিথ্যে।কোথায়,কোথায় কাল তো ওর সাথে আমার কথা হলো ওহ তো আমাকো কিছু বললো না।আর টিভি তে টিভি তে কোথায় দেখিয়েছে আমি তো দেখলাম না….কি হলো পাবলো চুপ করে আছো কেনো?

পাবলো:তুমি একটু নিজেকে সামলাও বৌদিভাই।প্লিজ এমন করো না.

হিয়া:আমি যাবো।আমি যাবো ওর কাছে।উজান কোথায়…আমি যাবো।তুমি বলছো না কেনো উজান কোথায়(চিৎকার করে)…

পাবলো:বৌদি বৌদি..তুমি এখন প্লিজ চুপ করে এভাবে কান্নাকাটি করে কি হবে…আচ্ছা চলো আমি তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি দাদাভাই এর কাছে..

….হিয়া পাবলো যেতে ধরলে দেখে উজান কে গাড়িতে করে কোর্ট এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।উজান গাড়িতে করে হিয়ার ছোটফোটানি দেখতে পাচ্ছে কিন্তু উজান সত্যি আজ নিরুপায়…..

হিয়া:ওরা ওরা উজান কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে…..(চিৎকার করে……উজান উজান….)পাবলো হাত ছাড়ো আমার আমি যাবো উজানের কাছে।পাবলো ছাড়ো……উজাজাজাজন…(হিয়া কান্নাকাটি শুরু করে)

পাবলো:আমাদের কে এখন কোর্ট এ যেতে হবে বৌদি
হিয়া:কোর্ট এ কোর্ট এ কেনো…

পাবলো:আমি জানি না বৌদি।তুমি যাবে আমার সাথে গেলে গাড়িতে উঠো…

…….কোর্টে কাজ চলতে চলতে বিকেল হয়ে যায়।এদিকে বাসবি জিনির কাছে খবর পেয়ে হিয়ান কে নিয়ে ছুটে কোর্ট এ আসে…যেহেতু উজানের শরীরে ড্রাগ পজিটিভ আসে আর উজানের এর আগে কোনো কেস ফল্ট ছিলো না তাই বিচারক অনেক চিন্তা ভাবনা করে উজান কে ছ মাসের জন্য সাসপেন্ড আর ১কোটি টাকা জরিমানা করে…..

রাতে আটটার দিক।কোর্ট এর বাহিরে হিয়া বাসবি হিয়ান,উজান এর অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিলো।

পাবলো সব ডকুমেন্ট সব ফাইল সাবমিট করে উজান কে নিয়ে আসে…..উজান কে আসতে দেখে হিয়া দৌড়ে গিয়ে উজান কে জরিয়ে ধরে….

হিয়া:(ভীষণ কাঁদতে কাঁদতে) আমাকে একবার একবার তুমি এসব জানানোর প্রয়োজন মনে করলে না হিয়ানের বাবা।কেনো করলে এমন।কি হতো আমাকে কাল বললে।কেনো লুকালে আমার কাছে সব?

উজান:(হিয়াকে নিজের বুক থেকে সারিয়ে সামনে ধরে)…তুমি আমাকে বিশ্বাস করো তো হিয়া?

হিয়া:এটা তুমি বলছো….

…….এদিকে উজানকে দেখতে পেয়ে হিয়ান কান্না শুরু করে উজানের কোলে উঠবে বলে।উজান চোখ মুছে হিয়ান কে কোলে নেয়…..

বাসবি:(চোখ মুছতে মুছতে)…হয়েছে অনেক রাত হয়েছে এবার বাড়ি চল….রাজা দেখে তো মনে হচ্ছে না কাল থেকে কিছু খেয়েছিস…

হিয়া:তুমি কিছু খাও নি…আমি তো জানি।মা তো ভুল কিছু বলছে না।

উজান:হিয়া আমি ঠিক আছি।

হিয়া:কিচ্ছু ঠিক নেই…পাবলো তোমরা গিয়ে গাড়িতে বসো সবাই আমি আসছি..

বাসবি:তুই আবার কোথায় যাচ্ছিস।

হিয়া:আসছি মা…

বাসবি:ঠিক আছে…রাজা আয়…

….আজ পাবলো গাড়ি চালাবে।বাসবি পাবলোর পাশে বসে।উজান পিছনে…..বাসবির কোলে হিয়ান জানালার কাছ দিয়ে বাহির দেখার চেষ্টা করছে আর মুখ দিয়ে কিছু অস্পষ্ট শব্দ বের করছে…..হিয়া গিয়ে উজানের জন্য কিছু বিস্কুট আর পানি কিনে আনে…

উজান:এসব কি হিয়া…
হিয়া:কোনো কথা না।

….পাবলো গাড়ি চালিয়ে দেয়।হিয়া বিস্কুট খুলে একটা একটা করে উজান কে খাইয়ে দিতে থাকে।উজানের মুখে কোনো কথা নেই উজান জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে আর খাচ্ছে…গাড়িতে কোনো শব্দ নেই শুধু সবার কান্না মোছার শব্দ আর হিয়ানের কিছু বুলি ভেসে আসছে….

উজান:হিয়া আর না
হিয়া:আর একটা
উজান:হিয়া
হিয়া:ঠিক আছে…জল
….উজান জল খেয়ে নিলে হিয়া বাকি বিস্কুট আর জল এর বোতল গুলো ওর ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে উজানের কাধে মাথা দেয়…পুরো রাস্তা আর কেউ কোনো কথা বলে না…

খয়ে খয়ে যাবার এ সময়
মেনে নে তার পরাজয়
জীবন পড়ে ধুলোতে হারিয়ে সংশয়
খয়ে খয়ে যাবার এ সময়
মেনে নে তার পরাজয়
জীবন পড়ে ধুলোতে হারিয়ে সংশয়
যার উষ্ণ আচে ভালোবাসা বাচে
সে হদয় ভাঙ্গে তা মানি না
জানি না কেনো তা জানি না
জানি না কেনো তা জানি না
চ্যাটার্জী মেনশন:
পাবলো আর বাসবি,হিয়াউজান কে শান্ত করার জন্য হিয়ান কে নিয়ে নানা কথা বলে চলে নিজেদের মধ্যে…কথা বলতে বলতে তারা চ্যাটার্জী মেনশনে ঢুকে….

পাবলো:বড়োমা দেখো হিয়ান এর কিন্তু বৌদি ভাই এর মতো গালে হালকা ডিমপেল হবে.. দেখো দেখো এই যে হাসছে…

বাসবি:তাই তো হিয়া দেখ…আরে দেখ না…
হিয়া:হুম
বাসবি:আমাদের পুচকু টার আজকে ঘুম নাই..খালি বাহিরে নিয়ে বের হলে ভালো…তাই না মা টা..

মিনাক্ষী:আসলে তাহলে তোমরা….
পাবলো:মা তুমি
মিনাক্ষী:অবাক লাগছে তাই না পাবলো।আমি এতো রাতে এ বাড়িতে…..

জিনি:দেখ না দাদাভাই মা কিসব বলছে।এ বাড়িতে নাকি আর দাদাভাই বৌদিভাই থাকতে পারবে না।তখন থেকে শুধু এক কথা বলেই চলছে..
পাবলো:হোয়াট….এসব জিনি কি বলছে মা।

মিনাক্ষী:ওহ একদম ঠিক বলছে পাবলো….আজ থেকে এই চ্যাটার্জী মেনশন এর একরওি মালকিন আমি।তোমাদের ড্যাড আমার নামে এই চ্যাটার্জী মেনশন লিখে দিয়েছে….বিশ্বাস না হলে..এই নেও…এখানে সব লিগাল পেপারস আছে…..উজান নেও নেও একবার চেক করে নেও..অবশ্য চেক করার মতো অবস্থায় আছো তুমি…

হিয়া:এসব আপনি কি বলছেন?

মিনাক্ষী:খুব অবাক লাগছে তাই না হিয়া।আমার কাছ থেকে সব কিছু কেড়ে নিয়েছিলে এখন আমি তোমাকে আর উজানকে নিঃস্ব করে ছাড়লাম এখন দেখো কেমন লাগে…

বাসবি:তুমি এমন টা করতে পারো না মিনাক্ষী।আর সমরেশ কি কারনে তোমাকে এই বাড়ি লিখে দিবে আমি জানতে চাই?

উজান:তুমি ওনাকে চিনো না মা।মানুষ কে কীভাবে ব্ল্যাক মেইল করে নিজের কাজ করে নিতে হয় সেটা ওনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না।

বাসবি: আমরা এখন কোথায় যাবো এতো রাতে..মিনাক্ষী আমি তোমার কাছে হাত জোড় করছি তুমি এমনটা করো না।একবার এই বাচ্চা মেয়ে টার দিকে তাকাও কোথায় যাবো ওকে নিয়ে আমরা এখন…..

মিনাক্ষী:সেটা তো আমার দেখার বিষয় নয়….এনিওয়ে অনেক হয়েছে এবার আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও…আমি আর এক সেকেন্ড ও তোমাদের কাউকে এখানে দেখতে চাই না…

….(হিয়ার কাছে সবটা এখন পরিষ্কার হয়ে যায় ওর আর বুঝতে বাকি থাকে না এসব কিছুর পেছনে মিনাক্ষী আর বিহান জড়িত)….

হিয়া:(মিনাক্ষীর কাছে গিয়ে)..যেই নোংরা খেলা টা আপনারা মা ছেলে মিলে শুরু করেছেন এর ফল আপনাদের পেতে হবে…আপনি হয়তো ভুলে গেছেন এর আগের বার জাল ঔষধ কান্ডে আমি বিহান স্যারের কি হাল করেছিলাম আর এবার তো আপনারা আমার উজান স্যার,আমার গুরুজি,আমার হাসবেন্ড এর উপর নিজেদের ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছেন এবার আপনি দেখুন আমি কতোদূর যেতে পারি উজান কে বাচানোর জন্য।উজানের হারানো সম্মান ওকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি কি করতে পারি আপনার কোনো ধারনাও নেই…

মিনাক্ষী:হাত নামিয়ে কথা বলো…আর কিছু করতে গেলে না টাকা লাগে যানো সেটা আছে এখন তোমাদের(মিনাক্ষী হিয়াকে বলে দেয় উজান টিউলিপ কে বাচানোর জন্য ওর সব সেভিংস দিয়ে দিয়েছে)

হিয়া:এসব আপনি কি বলছেন…উজান…উনি যা বলছে সব সত্যি
উজান:হ্যা হিয়া…আমি তোমাকে বলতাম কিন্তু
হিয়া:(উজানকে থামিয়ে দেয়)

মিনাক্ষী:অনেক হয়েছে এবার প্লিজ বের হও আমার বাড়ি থেকে দয়া করে…নাকি আমি তোমাদের কে নিজে হাতে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো…

জিনি:তুমি এটা করতে পারো না মা।যদি দাদাভাই রা এ বাড়ি ছেড়ে চলে যায় তাহলে আমিও আর এ বাড়িতে থাকবো না..
পাবলো:আমিও না..

হিয়া:(জিনিয়ার কাছে গিয়ে)জিনি দেখো আমার দিকে।
জিনি:আমি তোমার কোনো কথা শুনবো না হিয়াদি
হিয়া:তুমি আর পাবলো এখন আর ছোট নেই।অনেক বড়ো হয়েছে…..এবার অনেক কিছু জিনিস তোমাদের বুঝতে হবে…..জিনি….ঠাম্মি এলে যদি আমাদের কাউকে না দেখতে পায় কি হবে একবার ভাবো তো…তুমি আর পাবলো এ বাড়িতে থাকবে…আমি যতোদিন সব কিছু আগের মতো ঠিক করে এ বাড়িতে ফিরছি এ বাড়ির সমস্ত দায়িত্ব আমি তোমাকে আর পাবলো কে দিয়ে গেলাম…..
পাবলো:না হিয়াদি তোমাদের কে ছাড়া আমরা এ বাড়িতে কিভাবে
উজান:হিয়া ঠিক বলছে পাবলো
পাবলো:কিন্তু তোমরা এতো রাতে কোথায় যাবে।বুলি রাও তো নাই দুদিন হলো গ্রামে গেছে কোথায় উঠবে তাহলে তোমরা?
উজান:আমি মার আর হিয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো।কিন্তু তুমি আর জিনিয়া বাড়িতেই থাকবে…
পাবলো:কিন্তু দাদাভাই
উজান:আর কোনো কথা না…
…হিয়া কোনোরকম একটা লাগেজে পুচকুর কটা শীতের কাপড়,ফিডার,ডায়পার,সিদূর কৌটো ওর আর উজান বাসবির কিছু দরকারি জিনিস নিয়ে চ্যাটার্জী মেনশন থেকে বেরিয়ে আসে।যদিও বাড়ি থেকে চলে আসতে হিয়ার খুব কষ্ট হয় কারন হাজাট হোক এটা হিয়ার সংসার ছিলো আর একটা মেয়ের কাছে তার গোছানো সংসার টা ফেলে আসা সত্যি অনেক কষ্টের।হিয়া বের হওয়ার আগে আরো একবার ভালো করে বাড়ি টা দেখে নেয়..

স্বপ্ন ডানা মেলে
আজ ওরে মনে মনের পাখি
চোখে আশা রঙে
ভালোবাসার ছবি আকি(sad version)

হিয়ার উজানের উপর খুব রাগ হয় কেনো উজান ওর কাছে সব টা লুকালো।রাস্তায় হিয়া উজানের সাথে একটা কথা বলে না।উজানের খুব অস্বস্তি লাগতে শুরু করে।উজান হিয়ার সাথে কথা বলতে চেষ্টা করে কিন্তু হিয়া একটা টু শব্দ পর্যন্ত করে না…
উজান:হিয়া….হিয়া কি হলো কথা বলছো না কেনো আমার সাথে…

হিয়া:আমার না তোমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না।

উজান:এমন করছো কেনো তুমি।আমি কিছু করেছি….হিয়া…..আমি আমার সব কিছু হারিয়ে ফেলেছি বলে তোমার রাগ হচ্ছে।

হিয়া:তোমার সত্যি মনে হয় উজান আমি এ কারনে তোমার উপর রাগ করছি।

উজান:তাহলে কেনো এমন করছো।

হিয়া:আমি কে হই তোমার উজান?

উজান:কে হও মানে।তুমি আমার ওয়াইফ হও।আমি তোমার হাসবেন্ড

হিয়া:সেটা তো আমিও জানি উজান।কিন্তু মন থেকে আমার জন্য কিছু আসে তোমার।তোমার জীবনে এ কদিনে এতো এতো কিছু ঘটে গেলো আমি ওয়াইফ হয়েও জানতে পারলাম না…নিজের উপর না আমার ঘৃনা হচ্ছে জানো,আজ মনে হচ্ছে আমি নাম মাএ তোমার ওয়াইফ কিন্তু তোমার ওয়াইফ হওয়ার কোনো যোগ্যতা আমার নেই…

উজান:হিয়া প্লিজ শান্ত হও।

হিয়া:কি শান্ত হবো বলবে তুমি।এতো এতো কষ্ট যন্ত্রনা নিজের মধ্যে রেখে দিলে।একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজন টুকু তুমি মনে করলে না।কাল রাতে একবার একবার তো অন্তত বলতে পারতে, তোমাকে আমার দরকার হিয়া।

উজান:বললে কি হতো কি করতে পারতে তুমি।পারতে কোনো সমাধান দিতে।

হিয়া:সমাধান দিতে পারলে আমাকে বলবে না হলে বলবে না সত্যি উজান।

উজান:তা নয় হিয়া।

হিয়া:তাই তো দাঁড়াচ্ছে উজান….আর তুমি তুমি মিনাক্ষী ম্যাম কে এতো গুলো টাকা দিয়েছো এটা তো একবারো আমাকে বললে না।এটা বলতে তো কোনো সমস্যা ছিলো না।

উজান:আমি টিউলিপ কে বাচাতেঁ আমার সব সেভিংস দিয়ে দিয়েছি বলে তুমি রাগ হচ্ছো।তুমি চাও না টিউলিপ কে বাচাতেঁ…

হিয়া:টিউলিপ আমার কাছে কি সেটা নিশ্চয় তোমার কাছে অজানা না উজান।টিউলিপ কে বাচাতে তুমি যেমন তোমার সব টা দিতে পারো আমিও আমার সবটা দিতে পারি…তার জন্য যদি আমাকে সারাজীবন তোমার সাথে এই খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয় আমি তাও পারবো..

উজান:তাহলে কেনো তুমি..

বাসবি:তোরা দুজন একটু থামবি।কি শুরু করলি মাঝ রাস্তায়।এসব ঝগড়া পড়েও করা যাবে…এখন কোথায় থাকবো সেটা ভাব….হিয়া যা তো গাড়িতে উঠে আগে হিয়ান কে খাইয়ে দে…কি হলো যা….
…হিয়া গাড়িতে উঠে হিয়ান কে খাওয়াতে শুরু করে…

NextPart:
উজান:বুঝেছি
হিয়া:কি
উজান:আজকে হিয়ানের মার মাথা খুব গরম হয়ে আছে…একটা মাথা ব্যাথার থেরাপি দিতে হবে
হিয়া:হ্যা প্রথমে নিজে থেকে মাথা ব্যাথা তুলে তারপর আবার নিজে থেকে ব্যাথা কমিয়ে দিবে..ভালো না খুব ভালো
উজান:রাগলে তোমার নাক টা কি রকম ফুলে যায়..

FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প
Part: 59

বাসবি:এসব কি রাজা।এটা চেঁচামেচি করার মতো অবস্থা
উজান:আমি কি করবো মা।হিয়া আমাকে ভুল বুঝছে
বাসবি:হিয়া তোকে ভুল বুঝছে না।ওর তোর উপর একটা রাগ হয়েছে আর রাগ হওয়া টা স্বাভাবিক…আমি জানি তুই হিয়া কে কোনোরকম চিন্তায় ফেলতে দিতে চাসনি তাই ওকে বলিস নি কিন্তু আমি আমাকে তো বলতে পারতি….

উজান:আমার ভুল হয়ে গেছে মা।
বাসবি:যাগ গে এখন সেসব কথা ।এখন কোথায় গিয়ে থাকবো ভাবলি কিছু
উজান:আমি দেখছি মা কোনো হোটল এর ব্যাবস্থা করতে পারি কিনা…
হিয়া:(গাড়ি থেকে নেমে)…তোমার জন্য তো এতো রাতে হোটল খোলা আছে না😒😒
বাসবি:হিয়া কি হচ্ছে কি

…. এমন সময় রাস্তা দিয়ে অদিতির বাবা আর মা গাড়ি করে যাচ্ছিলো।তারা উজান হিয়া কে দেখতে পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে উজান হিয়ার কাছে যায়।

অদিতির বাবা:উজান না?
উজান:আপনারা এখানে?
অদিতির বাবা:এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম তোমাদের দেখতে পেয়ে গাড়ি টা দাড় করালাম।এতো রাতে এখানে কি করছো তোমরা।গাড়ি নষ্ট হয়নি তো আবার।
উজান:আসলে তা নয়…
অদিতির মা:কোনো সমস্যা..?হিয়া….মেয়েকে নিয়ে এভাবে এতো রাতে ওর তো ঠান্ডা লেগে যাবে এমনিতে যে শীত পড়েছে।
বাসবি:(বাসবি হিয়ানের কথা ভেবে ওদের কে সব টা বলে দেয়)
অদিতির বাবা:হুম আমরা আজ নিউজ টা দেখলাম।সত্যি বলতে আমরাও একটু অবাক হয়েছি।এলিনার মা তো বিশ্বাস ই করতে পারছে না তুমি এমনটা করতে পারো।
উজান:আমি সত্যি কিছু করি নি
অদিতির মা:আমরা জানি কিন্তু কি করবা ঔ যে কপাল বলে একটা জিনিস আছে সবসময় সাথ দেয় না…….যাই হোক এখন আর কোনো কথা নয় তোমরা আজ রাতে আমাদের বাসায় থাকবা আর কাল না হয় হিয়ার বাবা এলে চলে যেও ওদের বাড়িতে।

হিয়া:কিন্তু আমরা কিভাবে আপনার সাথে..

অদিতির মা:আমি কোনো কথা শুনতে চাই না।আর তাছাড়া অদিতি এলিনা তোমাদের দেখলে খুব খুশি হবে……আসো আসো আর দেড়ি করো না….

…….হিয়া উজান ওদের বাড়ি চলে যায় রাত টা থাকবে বলে…..

অদিতির বাবা:এই অদিতি এলিনা দেখ কে এসেছে…
অদিতি:আঙ্কেল
উজান:তোমার বোন কোথায়(অদিতি কে কোলে নিয়ে)
অদিতি:ওহ হিসু করতে গেছে…
…..সবাই হেসে দেয়…

রাত ১২টা অদিতির বাবা মা,উজান হিয়া আর বাসবির জন্য খাবারের আয়োজন করে।বাসবি আগে বসে খেয়ে নিয়ে হিয়ান কে ধরে তার পর উজান হিয়া একটা রুমে খেতে বসে…কিন্তু উজানের গলা দিয়ে আজ খাবার নামছে না।শুধু ওহ না খেলে হিয়া খাবে না তাই উজান মনের সাথে যুদ্ধ করে খেতে চেষ্টা করে।আর হিয়াকে তো হিয়ানের জন্য খেতে হবে যতোই মন না চাক।কিন্তু উজানের ব্যাপারটা হিয়া ঠিক ধরতে পারে….

হিয়া:উজান…..
উজান:বলো
হিয়া:খেতে কষ্ট হলে খাওয়ার দরকার নেই।আমি আজ আর বায়না করবো না।দেখো আমি খেয়ে নিচ্ছি….
উজান:থ্যাংকস হিয়া….(উজান প্লেট রেখে উঠে যায়)

রাত ১টা হিয়ান ঘুমিয়ে পড়লে হিয়া হিয়ান কে শুইয়ে দেয়…উজান পাশেই বসে ছিলো।কারো মুখে কোনো কথা নেই…
এলিনা:(দৌড়াতে দৌড়াতে উজানের কোলে গিয়ে উঠে)…আঙ্কেল ফোন টা খুলে দেও না।মা বন্ধ করে দিলো.
উজান:কি করবে তুমি ফোন খুলে(এলিনার গালে একটা চুমু খেয়ে)
এলিনা:কার্টুন দেখবো…
উজান:কিন্তু এটা যে তোমার মা ছাড়া আমি খুলতে পারবো না..
অদিতি:(রেগে এসে)..এই তুই আমার ফোন কেনো নিয়ে এসেছিস পচা মেয়ে
হিয়া:(অদিতি কে কোলে নেয়)এতো রাত হচ্ছে তোমরা দুজন এখনো ঘুমোও নি কেনো?
অদিতির মা:ওদের কথা বলছো ওরা কতো রাত পর্যন্ত জাগে জানো..
হিয়া:বসুন না আপনি
অদিতির মা:না হিয়া এখন তোমরা দুজন শুয়ে পড়ে।যা শুনলাম তাতে বুঝতে পারলাম আজ কি ধক্কল টা গিয়েছে তোমাদের উপর দিয়ে…আর এ দুটো কে এখন বিছানায় না নিয়ে গেলে আর ঘুমোবে না….এই দেখি আয় আয় আয়।তোরা আবার ফোন নিয়ে এসেছিস এবার কিন্তু আমি তোদের কে সত্যি সত্যি মারবো…..হিয়া গেট টা লাগায় দেও…
……উজান গেট লাগায় দিলে হিয়া হিয়ানের পাশে মুখ ঘুরে শুয়ে পড়ে…উজান কি করবে বুঝতে পারে না।হিয়া এখনো রাগ করে আছে।উজান গিয়ে সাহস করে হিয়াকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে…

উজান:হিয়া…….হিয়া…….হিয়া সরি….হিয়া…..কথা বলবে না আমার সাথে….তুমি যদি এসময় এমন সিচুয়েশন আমার উপর রাগ করে থাকো আমি কিভাবে নিজেকে সামলাবো….হিয়া……হিয়া সরি……

হিয়া:(উজানের দিকে ঘুরে)….এখানে তো সরির কিছু নেই উজান…একটা কথা বলবে আজ যদি আমার সাথে এমন খারাপ কিছু হতো আর আমি যদি তোমাকে না বলতাম তোমার কতোটা খারাপ লাগতো…?

উজান:আমার ভুল হয়ে গেছে হিয়া।
হিয়া:এটা ভুল না উজান।এটা ভরসা যেটা তুমি এখনো আমার উপর করতে পারো নি…

উজান:আমি তোমাকে কোনোরকম চাপ দিতে চাইনি হিয়া…
হিয়া:আচ্ছা ওসব বাদ এখন আমাকে সব কিছু প্রথম থেকে খুলে বলো
উজান:এখন আর ওসব বলে কি হবে হিয়া
হিয়া:তুমি বলবে
উজান:হুম বলছি এতো জেদ কেনো করো(উজান এক এক করে সব ঘটনা খুলে বলে)
হিয়া:এতো কিছু হলো আমি একবার জানতেও পারলাম না….
উজান:আর একটা কথা হিয়া..আমি যেনো তোমাকে না দেখি এসব নিয়ে কোনোরকম কথা বলা…আমি আছি আমি সামলে নিবো…তুমি দয়া করে এসবের মধ্যে নিজেকে জড়াবে না…
হিয়া:সেটা আমার ব্যাপার তুমি কিছু করার সময় বলো আমাকে যে আমি বলবো ভাবলে…

উজান:বুঝেছি
হিয়া:কি
উজান:আজকে হিয়ানের মার মাথা খুব গরম হয়ে আছে…একটা মাথা ব্যাথার থেরাপি দিতে হবে
হিয়া:হ্যা প্রথমে নিজে থেকে মাথা ব্যাথা তুলে তারপর আবার নিজে থেকে ব্যাথা কমিয়ে দিবে..ভালো না খুব ভালো
উজান:রাগলে তোমার নাক টা কি রকম ফুলে যায়..
হিয়া:সবসময় বাজে কথা….
উজান:বাজে কথা আমার না তোমার।তখন থেকে ডিটেক্টিভ দের মতো প্রশ্ন করেই যাচ্ছো করেই যাচ্ছো।এর পর কিন্তু আমার মাথা গরম হয়ে যাবে বলে দিলাম……এখন কি আমরা একটু ঘুমোতে পারি…

(হিয়া উজানের বুকে মুখ গুজে দেয়)(উজান কাল সারারাত থেকে ঘুমোয়নি তাই হিয়া জরিয়ে ধরাতে সাথেসাথে ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু হিয়ার চোখে ঘুম নেই)

হিয়া:(মনেমনে) তুমি আমাকে যতো ভুলাতে চাও উজান।যতোক্ষন না আমি তোমার সব কিছু আবার তোমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি আমি এভাবে চুপ করে বসে থাকবো না..তোমার সাথে এতো বড়ো অন্যায় আমি হিয়া থাকতে কখনো হতে দিবো না….

…..রাত দুটো থেকে তিনটে তিনটে থেকে চারটে হিয়ার চোখে ঘুম নেই..হিয়া উজানের বলা সব কথা গুলো মিলাতে থাকে হুট করে হিয়ার মনে পড়ে যায় উজান যে মিনাক্ষী কে দিয়ে পেপার সাইন করে নিয়েছে ওটা ওটা কোথায় রেখেছে ওটা যদি মিনাক্ষীর হাতে পড়ে তাহলে তো সব টাই বৃথা…

হিয়া:উজান উজান…শুনছো…উজাজাজাজান
উজান:কি হলো তুমি ঘুমোওনি(চোখ কচলাতে কচলাতে)
হিয়া:ওসব বাদ।শুনো না বলছি কি ওসব পেপার কোথায় রেখেছো যেটা তে মিনাক্ষী ম্যাম কে দিয়ে সাইন করে নিয়েছিলে
উজান:(উজানের হুশ ফিরে)ওটা তো আমাদের রুমেই আমি রেখে এসেছি আলমারির ডোয়ারে
হিয়া:এখন…এখন যদি ওটা মিনাক্ষী ম্যাম এর হাতে পড়ে তখন।

উজান:আমার তো এটা মাথা তেই আসেনি হিয়া।

হিয়া:সে আর আসবে কি করে ঔ অপারেশন থিয়েটার এ হার্ট কাটা ছেড়া করা ছাড়া আর কিছু করতে পারো তুমি আর কিছু মাথায় আসে তোমার(ইয়েন ফানি বুম)

উজান:জাস্ট শেট আপ সবসময় আমার ডক্টরি ওটি হার্ট সার্জারি এসব কেনো নিয়ে আসো তুমি?

হিয়া:বেশ করি নিয়ে এসে…দেখি ফোন টা দেও।

উজান:ফোন দিয়ে কি হবে

হিয়া:উমহুম এতো কথা…

….হিয়া ফোন নিয়ে জিনিয়া কে ফোন করে সবটা বলে যে কোথায় ফাইল গুলো রাখা আছে।জিনি হিয়ার কথা মতো রাতেই ফাইল গুলো হিয়াদের রুম থেকে নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়।মাঝরাতে সবাই ঘুমোচ্ছিলো তাই কেউ টের পায় না…

হিয়া:যাগ….একটা কিছু তো হলো…আরো কতো যে কি কি করে রেখেছো তুমি কে জানে😒😒
উজান:হুম😊😊
হিয়া:কি..কি দেখছো এভাবে😒😒
উজান:নাহ দেখছি আমার ইডিয়ট টা কবে এতো চালাক হয়ে গেলো…আমার চাইতেও😍😍

হিয়া:আমি না বরাবরি খুব চালাক বুঝলে তোমার মতো নাকি…তুমি বোকা বলেই না সবাই এভাবে তোমাকে ঠোকানোর সুযোগ পেলো..😡😡

…..উজান পিছন থেকে হিয়াকে জোড়ে জোরায় ধরে..
হিয়া:আহ কি করছো কি।ছাড়ো😡😡
উজান:সেই আমি তো বোকা😊😊লাইফে এরকম ডানপিটে ওয়াইফ মানে যাকে বলে গোয়ান্দাগিন্নি থাকলে কি আর চালাক হতে হয় নিজেকে(হিয়াকে আরো জোরে চেপে ধরে)😘😘
হিয়া:উজাজাজাজানননন 😡😡😡ওসব করো না এমনিতে এখন মন টন কিছু ভালো নেই….ঘুমোও তো তুমি যাও😡😡
উজান:নাহ আগে তোমাকে ঘুম পাড়ায় দিবো তারপর আমি ঘুমোবে😍😍 নাহলে এসব ডিটেক্টিভ গিরি করতে করতে তুমি সকাল করে দিবে….
….উজান হিয়াকে টেনে এনে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়….😘😘😘
সেদিন রাত টা অদিতি দের বাড়িতে থেকে উজান হিয়া পরেরদিন ওদের বাড়িতে চলে যায়।বুলিরা খবর পেয়ে পরের দিনই চলে আসে।এক সপ্তাহ পর…..

হিয়া:আমি না হয় ঝিনুকের কথা বলে কাল বের হবো কিন্তু আমি ওর কাছে ওর রুম আর কেবিনের চাবি গুলো নেই কিভাবে।ওহ তো আমাকে কিছুই করতে দিচ্ছে না…..ওকে কিছুতেই জানানো যাবে না আমি টিউলিপ যাচ্ছি…

উজান:হিয়া আমার ফোন টা…আমাকে বের হতে হবে আর দেড়ি করলে ব্যাংক খোলা পাবো না।(হাতে ঘড়ি পড়তে পড়তে)

হিয়া:এই যে নেও…শুনো না বলছি কি তোমার কাছে যেই চাবি গুলো আছে ওগুলো একটু আমাকে দেও না।আমার না এই আলমারিরর ড্রয়ার টা খুলছে না যদি ওগুলো দিয়ে খুলে।

উজান:এক চাবি দিয়ে আরেক চাবির কাজ হয় নাকি.

হিয়া:দেও না তুমি চেষ্টা করতে তো সমস্যা নেই।

উজান:আচ্ছা দিচ্ছি।

….উজান চাবি বের করলে হিয়া ধপাস করে উজানের কাছ থেকে চাবি গুলো নিয়ে নেয়..
হিয়া:হয়েছে এখন তুমি যাও
উজান:যাবো মানে
হিয়া:তোমার না দেড়ি হয়ে যাচ্ছে বললে।আমি দেখে নিচ্ছি হলে হলো না হলে নেই
উজান:ঠিক আছে।আমি আসছি..

পরেরদিন টিউলিপ:
হিয়া:একি ওর কেবিন তো খোলা।কিন্তু চাবি তো আমার কাছে….
……হিয়া উজানের কেবিনে গিয়ে দেখে কোনো কিছু আগের মতো নেই..দেওয়ালে লাগানো উজানের সব সার্টিফিকেট,যা যা উজান এচিভ করেছিলো এতো দিন কিছুই নেই…শুধু টেবিলের উপর উজানের নেম প্লেট টা উল্টে পড়ে আছে..

হিয়া:এসব কি…ওর সব জিনিস গুলো কোথায়।ওর সার্টিফিকেট গুলো ওগুলো তো এখানেই ছিলো কয়েকটা আর বাকি গুলো বাড়িতে আমার ড্রয়ার এ।ওগুলো কোথায়।আর ওহ যা যা এচিভ করেছিলো ওসব ব্যাচ মেডেল ওগুলো তো কিচ্ছু নেই……
মেট্রন:হিয়া আছো
হিয়া:হ্যা মিরাদী এসো..মিরাদী এসব কি ওর সব জিনিস গুলো কোথায়
মেট্রন:তাই তো…কিন্তু স্যারের রুম তো লক করা ছিলো তাহলে
হিয়া:আমার না কিছু মাথায় আসছে না।
মেট্রন:তুমি স্যারের রুম চেক করেছিলে ওখানে পেলে কিছু
হিয়া:হ্যা আমি এসেই ওর রুম চেক করেছি কিন্তু ওখানে তেমন কিছু ছিলো না
মেট্রন:এভাবে কি কিছু হবে হিয়া
হিয়া:আমি জানি না মিরাদী কিন্তু আমাকে তো চেষ্টা করতে হবে এমনিতে ওকে মিথ্যা বলে এসেছি।ওহ যদি জানতে পারে আমি টিউলিপে এসেছি আমাকে শেষ করবে…..তোমাকে যেটা বলেছিলাম ফোনে তুমি করেছো সেটার ব্যাবস্থা
মেট্রন:করেছি হিয়া…এসো আমার সাথে…
…..হিয়া মেট্রন কে সিসিটিভি কালেক্ট করতে বলেছিলো ফোনে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here