#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম
৭০.
অরণের এক্স-রে রিপোর্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চাঁদ।বিস্ময়ে তার চোখজোড়া থমকে গিয়েছে সে পানে।নিজের চোখকে কোনোক্রমেই বিশ্বাস করাতে পারছেনা।অতঃপর শরীরের ভার পাশে থাকা চেয়ারে ছেড়ে দিয়ে ধপ করেই বসে পড়ে সেখানে।বসে ঘনঘন শ্বাস নিয়ে চোখের চশমাখানা চোখ হতে খুলে পরনের ওড়না দ্বারা মুছে আবারও তা চোখে দিয়ে এক্স-রে রিপোর্টটা চোখের সামনে মেলে ধরে পর্যবেক্ষণ করতে করতেই কপাল কুচকে তা উরুর উপর রেখে আবারও ভালোভাবে অনেক্ক্ষণ যাবৎ এক ধ্যানে সে পানে তাকিয়ে থাকে।অতঃপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিছুক্ষণ ফ্লোরের পানে তাকিয়ে থেকে রিপোর্টগুলো ফাইলে ভরে হাটা ধরে হাসপাতালের বাইরের উদ্দেশ্যে।
শুক্রবার বাদ জুমা উশ্মি আর রামিমের কাবিন করা হবে।অতঃপর খাওয়া দাওয়ার পর্ব চুকতেই তাদের কাজিনমহলের আড্ডার আসর জমবে।সে দরুনই বর্তমানে রুবাসহ উশ্মির ছোট সকল ভাই বোনেরা রামিমের জুতা চু!রির পরিকল্পনা আটছে।পাশেই বসে থাকা চাঁদের পানে চেয়ে তন্ময় বলে,
“কী হয়েছে ভাবি?শরীর খারাপ লাগছে?”
তন্ময়ের কোনো কথাই চাঁদের কর্ণকুহরে যায়নি।সে কেবলই অন্যমনস্ক হয়ে চেয়ে আছে স্টেজ পানে।ভাবছে কিছু জিনিসের গরমিল।অতঃপর কাধে কারও স্পর্শ পেয়ে সে পানে তাকাতেই তন্ময়কে দেখে হকচকিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“কী?কী হয়েছে তন্ময়?কিছু লাগবে তোমার?”
“না ভাবি।তোমার কি শরীর খারাপ করছে?রেস্ট নেবে?এখানে ভালো না লাগলে ঐখানটায় চলো,উশ্মিপুর সাথে বসে থেকো।নাকি ভাইকে ডেকে দেবো?”
“না ঠিক আছি আমি,সমস্যা নেই।ইঞ্জয় করো তোমরা”
“তুমি এভাবে বসে আছো কেন?হাতে কি বেশি জ্বা*লাপো!ড়া করছে ভাবি?”
হঠাৎ অপরপাশে রুবার কন্ঠস্বর পেয়ে তার দিকে তাকিয়ে চাঁদ বলে,
“না রে,আমি ঠিক আছি।এমনিতেই বসে আছি ভালো লাগছিলোনা”
তখনই চাঁদের সামনে এসে আলিশা বলে,
“ভাবি এভাবে বসে না থেকে কিছু আইডিয়া দাওনা,কীভাবে জুতো চু!রি করা যায়?”
চাঁদ কিছুক্ষণ ভেবে বলে,
“কিন্তু আমি কোন পক্ষে যাবো তাইতো বুঝতে পারছিনা আলিশা।প্রণয়তো কেবল উশ্মিরই না রামিম ভাইয়ারও ভাই।সে হিসেবে কী ই বা করা যায়?তোমরাই উপায় খোঁজো আমি একটু আসছি”
বলেই সেখান থেকে উঠে দাঁড়ায় চাঁদ।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
সকল মেহমানের আনাগোনা শুরু হতেই তাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থার তদারকিতে রায়হানও শামিল হয়।সে সবটা পর্যবেক্ষণ করছে ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা,কার কী প্রয়োজন ঠিকমতো পাচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়াদি।এমতাবস্থায় তার ফোনে কল আসায় সাইডে গিয়ে সে কল রিসিভ করে বলে,
“হ্যা বল”
অপরপাশ থেকে রামিমের ক!র্কশ কন্ঠস্বর ভেসে আসে,
“শা*লা তুই না আমার বন্ধু?তো বন্ধুর বিয়েতে তার সাথে আসছিস না কেনো?নাকি ভাইয়ের দায়িত্ব পালনের জন্য আমার জুতা চু!রির ধান্দায় আছিস?দেখ রায়হা…..”
রামিমের কথার মাঝেই রায়হান বিরক্তি নিয়ে বলে,
“এমনেই ম!গজের হালুয়া হয়ে আছে,বাকিটা তুই বিগড়াস না।আসছি আমি”
“জলদি আয়,একসাথে ঢুকবো”
ইতস্তত করে রায়হান জিজ্ঞেস করে,
“শিফাও তোর সাথেই না?নাকি আগেই?”
“না আমার সাথেই আছে।কিন্তু উশির সাইডে যেতে চেয়েছিলো আমি জোর করে রাখিয়েছি সাহস কত বড় ওর”
রায়হান তৎক্ষনাৎ বলে,
“ভালো করেছিস”
“এখন আপনি জলদি এসে আমায় উদ্ধার করুন”
কপাল কুচকে রায়হান বলে,
“কেনো?গেট কি ধরে ফেলেছে?”
“না শা*লা!ধরতে কতক্ষণ?ঢুকতে নিলেইতো এসে ধরবে।জলদি আয়”
“তুই ভুলে যাচ্ছিস আমি উশ্মির বড় ভাই”
“হইছে,মনে পড়ছে।এবার আসুন ভাইসাহেব”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
গেটের বাইরে হৈ হুল্লোড় লেগে গিয়েছে।সকলে ‘জামাই এসে গেছে’ বলে চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে।আগে থেকেই উশ্মির ভাইবোনেরা প্রস্তুত ছিলো গেটের সামনে ফিতা ধরে।কোনোক্রমেই টাকা উসুল না করে আজ রামিমকে ভেতরে যেতে দেবেনা তারা।সেই দরুনই রামিম প্রথমেই হার মেনে টাকা দিতে গেলে রায়হান তার হাত চে!পে ধরে বলে,
“আগেই কেন দিচ্ছিস শা*লা?সবেতো বলাবলি শুরু হলো”
তখনই গেটের ভেতর থেকে কপাল কুচকে রুবা বলে,
“দিজ ইজ নট ফেয়ার ভাই।তুমি উশ্মিপুর পক্ষে না এসে রামিম ভাইয়ার সাইডে গিয়েছো কেনো?আমরা আপুর ফুপাতো ভাইবোন না?”
রায়হান শান্তকন্ঠে জবাব দেয়,
“আগে বন্ধু,পরে বোন”
রায়হানকে সকলেই ভয় পায়।যার দরুন তার বিরুদ্ধে আর কেউই কিছু বলতে পারলোনা।কিন্তু হঠাৎ সেখানে ফায়ান এসে উপস্থিত হয়ে বলে,
“সে যাই হোক ভাইয়া।আপাতত রামিম ভাইয়ার উচিত তার শালাশালিদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া।এটা তাদের হক”
ফায়ানের কথা শুনে বিরক্তি নিয়ে তার পানে তাকিয়েও শান্ত ভঙ্গিতেই রায়হান তার ভাইবোনদের পানে চেয়ে বলে,
“হ্যা তা অবশ্যই।বল কত লাগবে তোদের”
রুবা বেশ ভাব নিয়ে বলে,
“পঞ্চাশ হাজারের এক টাকাও কম নেবোনা”
রুবার কথা শুনে কপাল অতিরিক্ত কুচকে রামিম বলে,
“আমাকে কি বিয়ের আগেই ফতুর বানিয়ে দিবি?তাহলে তোদের বোনকে কীভাবে রাখবো আমি?”
আলিশা বলে,
“সেতো আমরা জানিনা ভাইয়া।আপনি কীভাবে কী করবেন সে আপনিই ভালো জানেন”
ওপাশ থেকে রিদি ভ!ড়কে বলে,
“নাটক পেয়েছো তোমরা?আমরা ভাইকে কাঙাল বানাতে চাও?”
শিফাও রিদির পরপরই বলে,
“পঞ্চাশ হাজার একসাথে কখনো চোখেও দেখেছিস তোরা?”
রুবা ঠান্ডা গলায় বলে,
“পরে আবার আসিস টাকায় ভাগ বসাতে।টাকা গুলিয়ে খাইয়ে দেবো তোদের”
রায়হান জবাব দেয়,
“ছোচাদের মতো তো করছিস তোরা।পঞ্চাশ হাজার কেউ ডিমান্ড করে?লাইক সিরিয়াসলি?”
হঠাৎ ই বাইরে থেকে চৈত্র আসতে আসতে রায়হানের পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
“এরা বুঝবে কী করে ভাই?কাজবাজ করে কিছু?”
চৈত্রের খোচাপূর্ণ কথায় তেলেবেগুনে জ্ব!লে উঠে রুবা।এবং তৎক্ষনাৎ সে বলে উঠে,
“আপনিতো বেশ কাজ করে উলটে ফেলছেন!তাহলে আপনিই অর্ধেক দিয়ে দিন”
চৈত্র কপাল কুচকে বলে,
“আমি কেনো দেবো?আর আপনারাই বা কেন এত নিতে চাচ্ছেন?করবেন টা কী?চাইলেইতো ভাইবোনদের থেকে নিতে পারেন।ফ্যামিলিতে ডাক্তার,অ্যাডভোকেট সবই তো আছে”
চৈত্রের দিকে তর্জনী তাক করে রুবা বলে,
“এই এই আপনি!”
রায়হান তখন গম্ভীরভাবে বলে,
“স্টে ইন ইওর লিমিটস রুবা” [নিজের সীমার মধ্যে থাকো রুবা]
ভাইয়ের গম্ভীর কন্ঠে ভয়ে চুপ!সে যায় রুবা।অতঃপর সে চুপ করে যেতেই তন্ময় বলে,
“ভাই তুমি রুবাকে চুপ করিয়ে আমাদের দমাতে পারবেনা বলে দিলাম”
চৈত্র তন্ময়কে বলে,
“তোমাদের তো কেউ দমাতে চাইছেনা।প্রোপার টাকা চাও।হুজুগের বশে একটা অংক বলে দিলেইতো হয়না”
চৈত্রের কথা শুনে সকলে নিজেদের মাঝে বলাবলি করে টাকা নির্ধারণ করছিলো এমন সময় সেখানে চাঁদ এসে রামিমকে বলে,
“ভাইয়া বিশ দিয়ে দিন।এর বেশি ওরা চাইলে আমি নিজেই ফিতা কে!টে আপনাকে ভেতরে ঢুকাচ্ছি”
চাঁদের কথা শুনে বিস্ফোরিত নয়নে তার দেবর-ননদেরা তাকিয়ে থাকে তার পানে।অতঃপর উজান কিছু বলতে নিলেই চাঁদ তাকে হাতের ইশারায় থামিয়ে বলে,
“আর কোনো কথা শুনতে চাচ্ছিনা আমি”
রুবা গোমড়ামুখে বলে,
“তাই বলে এত কম ভাবি?”
চাঁদ শান্তস্বরে বলে,
“সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মালে এমনই হয় বুঝলে?একশ টাকা রোজগার করার চেষ্টা করে দেখো,কতটা খাটুনির পর তা চোখে দেখতে পাওয়া যায় বোঝা যাবে।এমনকি ত্রিশ-চল্লিশ টাকার জন্য পায়ে চালিয়ে একশ-দেড়শো কেজির দুই-তিনজন মানুষ নিয়েও রিক্সা চালকেরা তার মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন।অথচ আমরা আরামে রিক্সায় চড়ে ঘুরে বেড়াই”
এবারে সকলের মাথা নিচু হয়ে আসে।আর চাঁদ ম্লান হেসে বলে,
“তোমাদেরকে আমি দেবো টাকা।মন খারাপ করোনা,আপাতত ভাইয়াকে ভেতরে আসতে দাও”
রায়হান চাঁদকে বলে,
“কিসব আশকারা দিচ্ছো ওদের?তুমি টাকা পাবে কোথায়?”
তখনই রামিমের এক দূর সম্পর্কের কাজিন বলে,
“কেন?প্রণয় ভাইয়া আছেনা?ভাবির আর চিন্তা কিসের?”
কথাখানা শুনে নিম্নকন্ঠে গম্ভীরভাবে চাঁদ বলে,
“আমি ইন্টার্নশিপ করছি ভুলে যান নি নিশ্চয়ই?”
রামিম পরিস্থিতি অন্যদিকে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে হাতে থাকা টাকার বান্ডিল চাঁদের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“কী সিরিয়াস আলাপ আলোচনায় চলে গেলে তোমরা?আমিতো বাসা থেকেই ডিসাইড করে এসেছি ওদের ত্রিশ দেবো।কিরে ত্রিশে চলবে তোদের?নাকি চাঁদের কথা মোতাবেক……”
রামিমের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই টাকার বান্ডিল রুবা ছো মে!রে নিয়ে বলে,
“চলবে মানে!দৌড়াবে ভাইয়া”
অতঃপর চাঁদ হাসিমুখেই রামিমের হাতে ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজানো ফিতায় বাধা কেচি এগিয়ে দেয়।আর রামিমও প্রতুত্তরে হেসে থালা হতে কেচি নিয়ে তা দ্বারা ফিতা কে!টে ভেতরে ঢুকে।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রামিমের জুতা শিফা নিজের হাতেই রেখেছে চু!রি হবার ভয়ে।আর তা দূর হতে রুবাসহ সকলেই দেখতে পেয়েছে।কিন্তু কীভাবে তার কাছ থেকে জুতা জোড়া নেবে ভেবে না পেয়ে চিন্তাভাবনা করছিলো।এমন সময় ফায়ানের কাছে এসে চাঁদ তাকে এক পাশে নিয়ে বলে,
“তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো”
“হ্যা বলো?”
গম্ভীরভাবে চাঁদ বলে,
“আজ হসপিটাল গিয়েছিলাম আর রিপোর্টও দিয়েছে”
ফায়ান জিজ্ঞেস করে,
“কিছু কি ধরা পড়লো?”
চাঁদ হ্যা সূচক জবাব দিতেই ফায়ান কপাল কুচকে বলে,
“কিন্তু কী?”
আশেপাশে নজর বুলিয়ে চাঁদ বেশ ধীরকন্ঠে ফায়ানকে বলে,
“অরণের মাথার চামড়া ভে!দ করে তাতে কিল ঢুকানো হয়েছে ফায়ান।মস্তিষ্কের পাশ ঘেষে তা স্পষ্ট দেখেছি আমি”
বিস্ফোরিত নয়নে চাঁদের পানে চেয়ে খানিকটা উচ্চস্বরেই ফায়ান বলে,
“কী!”
ফায়ানের বাহুতে হালকা চেপে চাঁদ বলে,
“আস্তে!”
ফায়ান জিজ্ঞেস করে,
“আসলেই চাঁদ?”
“হ্যা।আমি নিজেই বিশ্বাস করতে পারিনি এটা দেখে।হাসপাতাল থেকে এসে এখনও পর্যন্ত মাথা আমার জাস্ট থমকে গিয়েছে”
“কিন্তু এমনটা কে করবে চাঁদ?”
“সেটাইতো বুঝতে পারছিনা।তবে সেটা যেই করেছে হাসপাতালেই করেছে এবং সে একজন সূক্ষ্ম ডাক্তার নতুবা কেউ কোনো ডাক্তারকে দিয়ে করিয়েছে”
“তুমি কি শিওর চাঁদ?”
“কিলের ব্যাপারটা শিওরই ফায়ান।আমাদের যত দ্রুত সম্ভব অরণের অপারেশন করিয়ে সেটা ফেলতে হবে”
“কিন্তু মস্তিষ্কের পাশে সেটা বের করা অতিরিক্ত মাত্রায় রিস্কের চাঁদ।অরণ ভাইয়ার জীবনের প্রশ্ন”
“কী বলতে চাচ্ছো তুমি?”
“যদি ভাইয়ার কিছু হয়ে যায়?আর এতদিন কেনো এক্স-রে রিপোর্টে তা ধরা পড়লোনা?আমি দেখলাম না কেনো?”
“কিলটা বেশ ছোট ফায়ান।আর আমার মনে হচ্ছে কেউ রিপোর্ট বদলে দিয়েছে নাহয় যেটা আমার চোখে স্পষ্ট নজরে এসেছে সেটা তোমার চোখে আসবেনা কেন?”
“কিন্তু ভাইয়ার মাথায় যদি তা ভরাই হবে তাহলে কোনো সেলাইয়ের দাগ থাকবেনা?”
“অরণের চুলতো বেশ বড় হয়েছে ফায়ান।তুমি কি কখনো চুল সরিয়ে দেখেছিলে?”
ফায়ান এবার বেশ খানিকক্ষণ ভাবতে লাগে।অতঃপর বলে,
“না।কিন্তু অপারেশন করিয়ে যদি এমনটা করাই হয় তবে চুল তো থাকার কথা না।আমি অন্তত এত বছরেও এমন কিছুই দেখিনি”
“তুমি ভুলে যাচ্ছো তুমি সদ্য হওয়া ডাক্তার।আর অরণ পাঁচ বছর ধরে এ অবস্থায় আছে”
এবার ফায়ান বেশ ভাবতে লাগে।অতঃপর বলে,
“আমিতো ভাইয়ার সাথে তিন-চার বছর ধরেই আছি চাঁদ।ইন্টার্নশিপ শুরু করার পর থেকেই।তার মানে এর আগেই কেউ?”
“এক্সেক্টলি!এক্সেক্টলি এমনটাই কিছু।তোমার প্রণয়ের সাথে কথা বলা উচিত।সে অরণকে একা রেখে কোথাও গিয়েছিলো কিনা”
ফায়ান চাঁদকে বলে,
“হ্যা আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করবো চাঁদ।তুমি টেনশন নিওনা।অরণ ভাইয়া যে তারপরও কোমায় আছে এটাই আল্লাহর নিকট হাজারো শুকরিয়া।নাহয় এতটা ক্রিটিকাল অবস্থায় মানুষের বাঁ!চা বেশ মুশকিল”
“এভাবে বলোওনা।অরণকে সুস্থ করতে যা যা করা লাগবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো,আল্লাহ অবশ্যই আমাদের সাথে আছেন।আর এখন আরেকটা কাজ করতে হবে তোমার”
“কী কাজ?”
“এদিকে এসো”
অতঃপর ফায়ানের কানের কাছে গিয়ে ফিসফিসিয়ে কিছু কথা বলে সে জায়গা প্রস্থান নেয় চাঁদ।
To be continued…..
[বিঃদ্রঃগল্পটা সম্পূর্ণই কাল্পনিক।তাই বাস্তবতার সঙ্গে না মেলানোর অনুরোধ রইলো সকলের কাছে]