আবার_প্রেম_হোক #নুসরাত_জাহান_মিম ৭২.

0
769

#আবার_প্রেম_হোক
#নুসরাত_জাহান_মিম

৭২.
মাস খানেক পরের কথা,
বেশকিছুক্ষণ যাবৎ বিছানার উপর বসে দাঁত দিয়ে কলম কা!মড়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে কিছু একটা ভাবছিলো চাঁদ।ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় ধ্যানভগ্ন হয় তার।অতঃপর ফোন কানে তুলতেই ওপাশ থেকে রবিনের উত্তেজিত কন্ঠস্বর ভেসে আসে,

“চাঁদ?তুমি কি ইমিডিয়েটলি আমার বাড়ি আসতে পারবে?অমি আবারও চলে এসেছে”

কপাল অনেকখানি কুচকে চাঁদ বলে,

“অমি এসেছে?তাও আবার তোমার বাড়ি?কিন্তু কেনো ভাইয়া?”

“নিমিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।ওর ফোনের লাস্ট লোকেশন নাকি ঢাকা পাওয়া গেছে।তো অমিও আর দেরি না করে এসে পড়েছে”

বেশ অবাক হয়ে চাঁদ বলে,

“হোয়াট?নিমি?নিমি পালিয়েছে বলছো?কিন্তু কোথায় যাবে?আর কেনোই বা যাবে?তাছাড়া অমিই বা কেনো তোমার বাসায় যাবে?এখানে আমার বাড়ি,শ্বশুরবাড়ি সব আছে।তো এসব রেখে তোমার বাসা ই কেন?”

“এত প্রশ্নের সময় নেই এখন।তুমি দ্রুত আসো অমির অবস্থা ভালোনা।নিমির টেনশনে প্রেশার লো হয়ে গিয়েছে।নাক-মুখ দিয়ে র*ক্ত যাচ্ছে”

“কী!আমি….আমি আসছি।তুমি…তুমি ওকে একটু দেখোও।আমি এক্ষুনি আসছি”

বলেই কল কেটে দিয়ে বিছানা থেকে উঠে দ্রুত হিজাব পরিধান করে পার্সে ফোন ভরতে ভরতেই পাশে থেকে প্রণয়ের নিম্ন কন্ঠস্বর শুনতে পায়,

“এত সকালবেলা দ্রুতগতিতে কোথায় যাচ্ছেন?”

প্রণয়ের দিকে চেয়ে চাঁদ বলে,

“রবিন ভাইয়ার বাসায় যাচ্ছি”

কপাল কুচকে প্রণয় বলে,

“রবিনের বাসা?কিন্তু ওর বাসায় কেনো যাচ্ছেন?”

“অমি….অমি এসেছে।ওর নাকি অবস্থা ভালো না”

“অমৃতা?”

চাঁদ হ্যা বোধক মাথা নাড়তেই প্রণয় বলে,

“কিন্তু কেনো?”

“এতকিছু বলার সময় নেই আমি যাচ্ছি”

“আমিও যাবো আপনার সাথে,চলুন”

“তাড়াতাড়ি করুন একটু”

চাঁদের কথা মোতাবেক বিছানা ছেড়ে উঠে দ্রুত কোনোমতে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে শার্ট গায়ে দিয়ে বোতাম লাগাতে লাগাতেই চাঁদের সাথে বের হয় প্রণয়।অতঃপর বাইরে এসে বলে,

“গাড়িতে উঠুন”

প্রণয়ের কথানুযায়ী ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটেই চাঁদ বসে।আর প্রণয়ও গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিতেই ‘উহ’ শব্দ উচ্চারণ করতেই চাঁদ তার পানে তাকিয়ে বলে,

“কী হয়েছে?”

“গতকাল সার্জারীর সময় ছুরি লেগে হাতের চামড়া চি!রে গিয়েছে”

“তো ড্রাইভ করছেন কেনো?চলুন রিক্সা নেই”

হঠাৎ প্রণয়ের প্রশ্ন,

“ড্রাইভ করতে পারেন?”

কিছুক্ষণ ভেবে চাঁদ বলে,

“পারি টুকটাক”

“আপনি চালাবেন?”

“দেখি আসুন এপাশে”

বলেই প্রণয়ের জায়গায় চাঁদ আসে আর চাঁদের জায়গায় প্রণয়।অতঃপর চাঁদ গাড়ি স্টার্ট করে।প্রায় মিনিট বিশেক পর যখন মেইনরোডে তারা চলে আসে তখনই চাঁদ ব্রেক কষতে নিলে আর ব্রেক করতে পারেনা।দুই-তিনবার করেও যখন দেখে হচ্ছেনা তখনই প্রণয়কে বলে,

“প্রণয় ব্রেকতো হচ্ছেনা”

“কী বলেন?”

“হ্যা ব্রেক করতে পারছিনা”

“দেখি সরুন”

বলেই নিজেও কয়েকবার চেষ্টা করে সরে এসে বলে,

“হাইপার হবেন না।ট্রাই করুন”

এবার চাঁদের কান্না করে দেবার মতো অবস্থা।কোনোক্রমেই সে গাড়ি থামাতে পারছেনা।এমতাবস্থায় গাড়ির সামনে দিয়ে এক বাচ্চা ছেলে যেতে নিলে প্রণয় হঠাৎ চেচিয়ে বলে,

“গাড়ি থামান চাঁদ।থামান বলছি!বাচ্চা ছেলেটার উপর দিয়ে চলে যাবে।এক্ষুনি থামান!”

“কীভাবে থামাবো আমি?”

বলতে বলতেই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে চাঁদের।আর প্রণয় ফের চেচিয়ে বলে,

“দয়া করে বাচ্চাটাকে মা!রবেন না চাঁদ!আপনি গাড়িটা থামান।আমি রিকুয়েষ্ট করছি থামান।এভাবে বাচ্চাটাকে মে!রে ফেলবেন না।বাচ্চাটা কী ক্ষতি করেছে আপনার?”

প্রণয়ের কথায় বিস্ফোরিত নয়নে তার পানে তাকায় চাঁদ।অতঃপর কিছু বলার পূর্বেই গাড়িটা গিয়ে বাচ্চাটাকে ধাক্কা দিয়ে বসে আর বাচ্চাটা গিয়ে ছিটকে পড়ে রাস্তার মাঝ বরাবর।অতঃপর পাকা সড়ক রঞ্জিত হয় বাচ্চা শিশুটির লাল র*ক্তে।বাচ্চা ছেলেটা বার তিনেক বড় বড় শ্বাস নিয়ে নেতিয়ে পড়ে র*ক্তে রঞ্জিত হওয়া লাল সড়কের মাঝে।

এতটা নি!র্মম দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠতেই চোখজোড়া খুলে ঘুম থেকে ধড়ফড়িয়ে উঠে চাঁদ।অতঃপর নিজেকে আবিষ্কার করে জেল হাজতের পাকায় শোয়াবস্থায়।শোয়া থেকে উঠে বসে গুটিশুটি মেরে হাটু ভাজ করে দুই হাত দ্বারা হাটু জাপটে ধরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আশেপাশে তাকাতে লাগে সে।অতঃপর মনে মনে বলে,

“এতটা নিখুঁত অভিনয় কী করে করলেন প্রণয়?এজন্যই বুঝি শেষে দিয়ে এত ভালোবাসা,এত আদর-যত্ন করলেন?ভালোবাসায় মাখো মাখো রেখে এই পরিকল্পনাই মনে এঁটেছিলো বুঝি?আমিও কত বোকা!যারে ভালোবেসে সর্বস্ব করিলাম দান,সে হৃদয়ে ব্যথা দিয়ে চালিলো সেথায় যান”

বলেই আলতো হাসে চাঁদ।আর তার পানে এক ধ্যানে চেয়ে থাকে সেখানকার দুজন মহিলা আসামী।একজন এগিয়ে এসে চাঁদের পাশে বসে বলে,

“কিগো সুন্দরী?কারে খু*ন করিছো?তোমারে দেহিতো লাগেনো তুই কাওরে খু*ন করিতে হারো?”

কারো কন্ঠস্বর শুনে মাথা হাটু থেকে তুলে তার পানে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চাঁদ বলে,

“নিজেই খু*ন হয়ে আছিগো কাকিমা”

“হে কি কও?কিতা অইছে তুমার?কির লাই এনে আইছো?”

চাঁদ চুপ করে আছে দেখে ফের মহিলাটি কিছু বলতে নিলে দূরে বসে থাকা আরেকজন মহিলা বলে উঠে,

“এত সৌন্দর্যের অধিকারী হয়েও কাউকে খু*ন করা লাগে তোমায় না দেখলে জানতামই না মেয়ে।কিসের অপরাধে তোমার মত রূপের অধিকারিণীও কিনা এমন এক জায়গায় বন্দি?”

চাঁদ কেবলই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।কারো কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়না।ঠিক তখনই জেলখানার ভেতরে চেচামেচির আওয়াজে ফের মাথা তুলে তাকায় বাইরের দিকে আর দেখতে পায় তার পরিবারের প্রতিটা লোকজনকে।শ্বশুরবাড়ি,বাবার বাড়ির সকলেই এসে হাজির।এমনকি নতুন বিয়ে হওয়া রামিম আর উশ্মিও।কেবল একজন মানুষ ব্যতীত সকলের দেখাই মিলছে।আর সে মানুষটি হলো চাঁদের অতি প্রিয়,অত্যাধির প্রিয়মানব তার প্রাণের স্বামী।কথাখানা ভাবতেই আনমনেই নিজেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে হেসে উঠে চাঁদ।থানার দায়িত্বে প্রধান যেই পুলিশ কর্মকতা আছেন তার সাথে চৌধুরী পরিবারের প্রায় সকলের তুলকালাম ঝ!গড়া বেঁধে যাওয়ার মতো অবস্থা।শেষে পরিস্থিতি সামলিয়েছে উশ্মি।সে তার হাতে থাকা কাগজপত্র দেখিয়ে পুলিশকে বলছে,

“আমি অ্যাডভোকেট উশ্মিতা উশ্মি।মিসেস মুহাইমা বিনতে চাঁদের একমাত্র এবং পার্সোনাল লইয়ার।তাদেরকে ভেতরে না যেতে দিলেও আমার ভেতরে গিয়ে তার সাথে কথা বলার পার্মিশন আছে।এখনও যদি আপনি ঝামেলা বাঁধান আমি উপর মহলে নালিশ জানাতে বাধ্য হবো।এবার ডিসিশন আপনার”

কিছুক্ষণ ভেবে অফিসার বলেন,

“আপনি যান।আর উনাদের সকলকে থানা থেকে বেরুতে বলেন”

“অল্প একটু দেখেই চলে যাবে বাইরে থেকে।নাকি তাও দেবেন না?”

“আপনি নিজেই বিবেচনা করে দেখুন আপনারা কাজটা ঠিক করছেন?এটা কি বিয়ে বাড়ি যে এভাবে পরিবারের বুড়ো বাচ্চা সকলে এসে হাজির হয়েছেন?এক দুজনের বেশি তার ধারেকাছেও যেতে পারবেন না।আসামীর নামে বেশ কড়া করেই মামলা করা হয়েছে।সকল প্রমাণও আমাদের কাছে ন্যস্ত।এবং আপনি হয়তো ভুলে যাননি আসামীর স্বামী ড.রুহায়ের প্রণয় নিজেই খুটিনাটি সবকিছু সাব্যস্ত করে গেছেন?”

বেশ থমথমেভাবে উশ্মি বলে,

“জানি”

তখনই ভেসে আসে চাঁদের মায়ের চেচানো কন্ঠস্বর,

“আমার চৈত্র,আমার চৈত্র ঠিকই বলেছিলো।আমার ছেলে তখনই বলেছিলো মেয়েটাকে ঐ বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে।যদি নিয়ে আসতাম আজ এই দিন দেখা লাগতোনা!”

চৈত্রও বেশ গম্ভীরভাবে বলে,

“চেচিয়োনা মা।আমি আর উশ্মি চাঁদের কাছে যাচ্ছি,তোমরা চলে যাও আপাতত।তোমার মেয়ে থেকেছে না একরাত পুরো?বাকিটাও সামলে নেবে।এতটাও ভীতু আমার বোন নয়।তোমরা যাও আমি আর উশ্মি বলছিতো চাঁদকে যেভাবেই হোক বের করে আনবো।আমার বোনের যেখানে কোনো দোষই নেই সেখানে আমার বোনকে থানার ভেতরেও বা কে রাখতে পারে তাও আমি দেখে নেবো।তন্ময়,উজান সকলকে নিয়ে যাও তোমরা।আমি,রামিম আর উশ্মি আছি”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
হাসপাতাল থেকে ক্রন্দনরত ফোলা চোখ নিয়েই বের হচ্ছে প্রণয়।এমতাবস্থায় তার সামনে হাজির হয় মিরসহ পূর্ণতা আর রবিন ব্যতীত তার বন্ধুমহলের সকলেই।মির প্রণয়ের সামনে এসেই তার কলার ধরে তাকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে,

“ছি! প্রণয়!আমার তোকে বন্ধু বলতেও ঘৃ!ণা হচ্ছে।তোর ভেতরকার মনুষ্যত্ববোধ কি ম!রে গেছে?”

তখনই রিহাও বলে,

“তোর জন্য এক বাচ্চা শিশুর মৃ*ত্যু হচ্ছে,অন্যদিকে নিষ্পাপ এক মেয়ে তোর জন্য সাজা ভোগ করছে আর তুই?একটুও অনুতাপ হচ্ছেনা তোর?ঘৃ!ণা তোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে গেছে তাইনা?”

মিরা গম্ভীরভাবে বলে,

“এক অপরাধের জন্য অপর এক মিথ্যা অপরাধের দায়ভার তুই ওর উপর চাপিয়ে দিতে পারিস না।যে কাজ মেয়েটা করেইনি তার জন্য সাজা পেতে দেখে তোর সত্যিই ভালো লাগছে প্রণয়?”

বন্ধুবান্ধবের এত এত প্রশ্ন তবুও মুখ ফুটে কিছুই বলছেনা প্রণয়।সে কেবলই চুপ করে সবটা শুনে যাচ্ছে।সে ফের শুনতে পায় মিরের গম্ভীর কন্ঠস্বর।এবার মির তাকে ছেড়ে দিয়ে তার দিকে পিঠ করে বলে,

“অরণের এ অবস্থার আগেও একবার তুই ওদের দুজনকে বহু কষ্ট দিয়েছিস প্রণয়।আবারও একই কাজ করছিস।মেয়েটাকে যতটা জ!খম তুই দিচ্ছিস সারাজীবনেও তা সাড়তে পারবিনা।এমনকি অরণ ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও এসবের জন্য কোনোদিনই তোকে মাফ করবেনা।আরেকটা কথা মনে রাখিস,অরণ কিন্তু তোকে বলে দেয়নি আমার অবস্থার জন্য চাঁদকে তুই ম!রণ যন্ত্রণা দে।তুই মেয়েটাকে মর!ণ যন্ত্র!ণার চাইতেও জঘন্যরকমের য!ন্ত্রণা দিচ্ছিস।যা অরণ কেনো আমাদের কারো কাছেই কোনোদিনের জন্যও কাম্য নয়।আর তোর জন্য আরেকটা কথা জানাই!যে কথাটা নিয়ে প্রচুর ভেবেছি।আজ না বলে পারছিই না।সেদিন চাঁদের মুখে কী শুনেছি জানিস?”

মিরের কথা শুনে তার পানে র!ক্তিম দৃষ্টি নিয়েই চায় প্রণয়।প্রণয়ের র!ক্তিম বিড়ালাক্ষীজোড়া দেখে একবারের জন্য থমকে গেলেও পরবর্তীতে নিজেকে সামলে দাঁতে দাঁত চেপে কঠিন দৃষ্টি প্রণয়ের পানে নিক্ষেপ করে মির বলে,

“মেয়েটা বলেছিলো যার জন্য তার প্রাণ বেঁচেছে তাকে সে কিচ্ছু হতে দেবেনা।প্রাণ বেঁচেছে বলতে বুঝিস?বুঝিস কিছু তুই?সেদিন অরণ আর চাঁদ একা ছিলোনা তাদের সাথে আরও মানুষ ছিলো।কারা তারা?আর প্রশ্ন কিন্তু এখানেই শেষ না।একজন মেয়ে মানুষ শক্তপোক্ত এক যুবক ছেলেকে ওভাবে কোনোদিনও মা!রতে পারবেনা।তবে কে মে!রেছিলো সেদিন অরণকে?এতটা আ!ঘা!ত তাকে কেই বা দিয়েছিলো?প্রশ্ন কিন্তু এটাও যে চাঁদই বা কেনো অরণের সাথে অমনটা করতে যাবে?তোর কথা মোতাবেক চাঁদ আর অরণের অ্যাফেয়ার যদি চলতোও তবে চাঁদ কেনো অরণের সাথে অমন করবে?আর কেনোইবা চাঁদ বলবে অরণের জন্য তার প্রাণ বেঁচেছে?নিশ্চয়ই চাঁদের জীবন হু!মকিতে ছিলো আর অরণ তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সেই অবস্থা করেছে?আর কে তাদের সাথে এমন করেছে,কেনো করেছে।ওদের দুজনের শত্রু হলো কেমন করে এসব প্রশ্নের উত্তর কেবল অরণ আর চাঁদই জানে।চাঁদতো কখনোই তা বলবেনা।বললে অন্তত পালিয়ে যেতোনা।আর পালিয়েছেই যখন তার মানে বিরাট সত্য লুকাচ্ছে।আর অরণের থেকেও ও ঠিক না হওয়া পর্যন্ত জানতে পারছিনা।তবে তোকে দেখলে আমার ঘৃ!ণা লাগছে প্রণয়।নিজের পার্সোনাল রেশারেশির মাঝে তুই এতটাই ডুবে গিয়েছিস যে বাস্তবতা একেবারেই ভুলে যাচ্ছিস।কী থেকে কী করছিস,কেনো করছিস কিছুই বুঝছিস না।যাতো তুই!যা আমার চোখের সামনে থেকে।আর তোরা?চাঁদের সাথে দেখা করবি?করলে চল,নাহয় থাক”

মিরের কথা শুনে প্রণয়ের পানে তাচ্ছিল্যপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সকলেই মিরের সাথে চাঁদের কাছে যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়।আর প্রণয় সেখানেই থমকে দাঁড়ায়।দৃষ্টি তার দূর রাস্তার পানে।থেমেছে আঁখি জোড়া,হয়েছে সে পলকহীন।

To be continued……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here