আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড) #নুসরাত_জাহান_মিম ২৩.

0
751

#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম

২৩.
আকস্মিক চৈত্রের দেয়া আ*ঘাতে কপাল কুচকে গালে হাত রেখেই তার পানে চেয়ে রয় রুবা।অপরদিকে চোখমুখ গরম করে মুখ দ্বারা কেবলই শ্বাস নিচ্ছে চৈত্র।আপাতত নিজ রাগ সংবরণ করা তার বড্ড প্রয়োজন।অন্যথায় এর চাইতেও খারাপ কিছু সে করে বসবে।অতঃপর দাঁতে দাঁত চেপে রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় চৈত্র বলে,

“আপনার কি ন্যূনতম লজ্জাবোধ নেই?”

গাল হতে হাত সরিয়ে চোখজোড়া বোজাবস্থায় সামান্য কুচকে চৈত্রের পানে মুখ রেখেই বেশ সোজাসাপটা জবাব রুবার,

“একদমই নেই মিস্টার চৈত্র।আপনাকে দেখলে লজ্জারা জানালা দিয়ে কোথায় যে পালায়!”

তৎক্ষনাৎ হাত মুষ্টিবদ্ধ হয় চৈত্রের।নিজেকে সামলে লম্বা শ্বাস নিয়ে সে বলে,

“আপনি এখনো কিন্তু বাচ্চা নন মিস রুবা।আপনার সিচুয়েশনগুলো বুঝতে হবে…”

চৈত্রকে মাঝ পথে থামিয়েই রুবা বলে,

“বাচ্চা নই এজন্যই তো আপনাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি চৈত্রসোনা।আমার হয়ে যান না!এমন করেন কেনো?”

বলতে বলতেই চৈত্রের নিকট এগোতে চাইলে চৈত্র তাদের মাঝে হাত দ্বারা বাধা সৃষ্টি করে বলে,

“স্টপ!এক থা*প্পড়ে আপনার পোষাচ্ছে না?বেহায়া,নির্লজ্জের মতো ব্যবহার”

অতঃপর বিড়বিড়ায় ফের,

“রিজেক্ট করার পরেও কানের সামনে প্যানপ্যান শুরু করে দিয়েছে অসহ্য একটা!”

বিড়বিড় কর‍তে করতেই চৈত্র শুনতে পায় রুবার সহজ বাক্য তবে মেজাজ তার নিমিষেই চটে,

“বেহায়ার সর্বোচ্চ কাতারেও যদি পড়তে হয় তাও পড়ে যাবো আমার চৈত্রসোনা”

বলেই চুমু খাওয়ার ভঙ্গিমায় ঠোটজোড়া গোল করে চৈত্রের পানে ইশারা করে রুবা।রুবার কান্ডে হকচকায় চৈত্র।রাগের মাত্রা তার বাড়তেই রুবার দিকে পিঠ করে প্রস্থান নিতে গেলে চৈত্রের কব্জি ধরে নিজ পানে তাকে ঘুরিয়ে রুবা বলে,

“এই,এই কোথায় যাচ্ছেন?”

তৎক্ষনাৎ ঝাপটা মেরে রুবার হাত হতে নিজ হাত ছাড়ায় চৈত্র।অতঃপর চোখ বরাবর তর্জনী নিয়ে শাসায় তাকে,

“সাহস কী করে হয় টাচ করার?বেহায়ার চেয়েও নিম্ন কাতারে যাচ্ছেন থার্ড ক্লাস,বেয়াদব মেয়ে কোথাকার!”

বাক্যসমূহ শেষ হতে না হতেই পালটা জবাব আসে রুবার,

“সাহসের দেখলেনই কী?বেয়াদব বলতেই পারেন,বেহায়াও মানা যায়।তবে!তবে থার্ড ক্লাস মোটেও না।একদম চকাচক ফার্স্ট ক্লাস মেয়ে পেয়েছেন বেয়াই সাহেব!”

কপাল কুচকে অতিরিক্ত বিরক্ত হয়ে চৈত্র বলে,

“ওহ জাস্ট শাট আপ!বাচ্চাদের মতো ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন।বোঝার চেষ্টা করছেন না কেনো কিছু?দেখি সরুন!”

অতঃপর রুবাকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে গেলেই খপ করে কাধের কাছে রাখা চৈত্রের হাত ধরে ফেলে রুবা।কপাল মাত্রাতিরিক্ত কুচকে রুবার পানে চাইতেই রুবা হাসিমুখে একহাতে চৈত্রের হাত ধরে অপরহাতে থাকা গোলাপটা তার বুকের কাছে এগিয়ে কপাট রাগ দেখাবার চেষ্টায় বলে,

“এবার যদি না নিয়েছেন না?কাটাসহ গোলাপ বুকে বিধিয়ে দেবো একদম!”

তৎক্ষণাৎ রুবার হাতের গোলাপ ছিনিয়ে নিতেই হাতের কয়েক জায়গায় চৈত্রের কাটা বিধে র*ক্তের ফোটা ঝড়ে।সেদিকে তোয়াক্কা না করেই গোলাপটা দূরে ছুড়ে গম্ভীরস্বরে সে বলে,

“রিজেক্ট করার মানে বোঝেন?আপনাকে এককথায় রিজেক্ট করেছি আমি!আর রইলো গোলাপ?তো,আমার গোলাপতো দূর কোনো ফুলই পছন্দ নয়।শেষবারের ন্যায় বলছি সরে দাড়ান।মেজাজ বিগড়াবেন না”

বলে পাশ কেটে যেতে নিলে ফের তাকে টেনে ধরে বিড়বিড়ায় রুবা,

“ফুল পছন্দ হবেই কী করে?করলার চেয়ে তিক্ত তো নিজেই!”

অতঃপর আকস্মিক রাগ নিয়ন্ত্রণে অক্ষম হয়ে সর্বশক্তি দ্বারাই রুবার হাত ঝাড়া দেয় চৈত্র।অতঃপর রুবা গিয়ে রাস্তার পাশে পড়তেই গর্জাতে বাধ্য হয় সে,

“কখন থেকে বেহায়ার মতো আচরণ করেই যাচ্ছেন,করেই যাচ্ছেন।রিজেক্ট করেছি শোনার পরেও বেয়াদবির মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে,মাথাব্যথা কোথাকার!”

বলে এক মুহুর্ত দেরি না করে হনহনিয়ে পা চালায় চৈত্র।আর রুবা রাস্তা হতে উঠে দুই হাত ঝাড়তে ঝাড়তেই গলার স্বর উচিয়ে বলে,

“মাথাব্যথা হিসেবেই আপনার মাথায় থেকে যাবো মিস্টার চৈত্র!এই মাথাব্যথা আপনি কখনোই সাড়াতে পারবেন না”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
স্টেজে বিদ্যমান সোফার দুইপাশে বসে আছে বর আর কনে অর্থাৎ রায়হান এবং শিফা।আপাতত সকলের খাওয়াদাওয়ার পর্ব চলছে।প্রায় ঘন্টাখানেক পূর্বেই দু’জনের আংটিবদল সম্পন্ন হয়েছে।বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ক্যামেরাম্যান তাদের কাপল ফটো তুলছে তবে ভালো কোনো ফ্রেম সে পাচ্ছেনা।অগ্যতা দু’জনকে বারংবার কাছে আসতে বললেই শিফা বেশ হকচকায় আর রায়হান কপাল কুচকে বসে রয়।যার দরুন ক্যামেরাম্যান বিরক্ত হয়ে অন্যদের ফটোসেশনে ব্যস্ত হয়।এরই মাঝে সুযোগ বুঝে আকস্মিক রায়হান শিফার হাত ধরে টেনে নিজের পাশেই ফেলে তাকে।হঠাৎ রায়হানের কর্মে হকচকিয়ে শিফা বলে,

“কা..কী?….কী?”

শিফাকে নিজের কাছে এনে চট করেই তার কোমড় চেপে নিজের সাথে মিশিয়ে কানের কাছে ফিসফিসায় রায়হান,

“ফায়ানের সাথেতো বেশ ঢলাঢলিই করেছিস।এখন আমার পাশে বসতে এত সমস্যা কীসের?”

ভয় এবং লজ্জা দু’টোই কাবু করে শিফাকে।শরীরের লোমকূপসমূহ দাড়াতেই গলার কাছে শ্বাস আটকে তোতলায় সে,

“তা….তেমন তেমন কিছু….কিছু না”

শিফার কথায় ফের ফিসফিসায় রায়হান,

“তো কেমন কিছু মিসেস রায়হান?আমার উপর ক্রাশ খেয়ে আরেকজনের সাথে প্রেম?এর উসুল সুদে আসলে তুলবো,মনে রাখিস”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রাত্রি তখন দশটা বেজে চল্লিশ মিনিট,
ফের পূর্ণতার সম্মুখীন হয়েছে প্রণয়।পূর্ণতার পায়ের কাছেই চেয়ারে এক হাত হেলে বসে আছে সে।কিয়ৎক্ষণ বসে হঠাৎ ই দাড়িয়ে পূর্ণতার পিছু গিয়ে চোখের বাঁধন খোলে তার।আকস্মিক চোখের বাঁধন খুলতেই হকচকায় পূর্ণতা।হঠাৎ চোখে আলো বিঁধলে সহ্যসীমার বাইরে যায় তা।পুরো একদিন একইভাবে চোখসহ সর্বাঙ্গ বাঁধাবস্থায় বসে থেকে শরীর ম্যাজম্যাজ করছে তার।সেইসঙ্গে ক্ষুধায় বুকের কাছটা জ্বলছেও বেশ।তৃষ্ণাও যে পায়নি তেমনও না।তবে প্রণয়কে সে বলতে পারছেনা।কোথাকার এক ইগো এসে ভর করেছে সমস্তসত্তা জুড়ে।যার দরুন চেয়েও প্রণয়ের সাথে কথা বলতে মোটেও ইচ্ছা হচ্ছেনা।তাই চোখজোড়া বুজে রেখেই বসে থাকে সেভাবে।অতঃপর হঠাৎ চোখমুখে গরমপা*নির ঝলকানি পড়তেই চোখজোড়া বড় বড় হয় তার।আ!র্ত!নাদ করার চেষ্টা করে তবে মুখ বাঁধা থাকায় সক্ষম হয়না।কোমল মুখশ্রী জ্বলছে ভীষণ।তবুও কোনো এক দাম্ভিকতায়ই প্রণয়ের পানে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে চেয়ে থাকে পূর্ণতা।অতঃপর শুনতে পায় প্রণয়ের শীতল কন্ঠস্বর,

“জ্বলুনি কম মনে হচ্ছে না পূর্ণ?এই নে পানি খা,তৃষ্ণাও হয়তো পেয়েছে?বেশি ভাবিস না খা।এটা ঠান্ডা এবং ফ্রেশ পানি।মিনারেল ওয়াটার”

প্রণয়ের কথায় পূর্ণতা কপাল সামান্য কুঞ্চিত করতেই ফের প্রণয় বলে,

“ও সরি!দাড়া বাঁধন খুলছি,খেয়ে নে”

বলেই আকস্মিক জোরালোভাবেই পূর্ণতার মুখে থাকা স্কচটেপ টেনে তোলে প্রণয়।যার দরুন ব্যথা অনুভূত হলেও নিজেকে যথাসাধ্য সামলে রাখে পূর্ণতা।অতঃপর ফের কানে ভাসে প্রণয়ের গম্ভীর কন্ঠস্বর,

“গরম পানি দিইনি।ঠান্ডাই আছে খেয়ে নে”

বলেই বাম হাতে পূর্ণতার চোয়াল চে!পে ডান হাতে পানির গ্লাস মুখের কাছে নিয়ে একটু জোরালোভাবেই পানি তাকে পান করায় প্রণয়।পানি খাওয়া শেষে শ্বাস নেওয়ার সময়টুকুও পূর্ণতা পায়না,ফের প্রণয় তার ঠোটে স্কচটেপ লাগিয়ে তার পায়ের কাছে বসে রয়।আর পূর্ণতা বেশ কষ্টেই নাসিকা দ্বারা শ্বাস নেবার চেষ্টা চালায়।অসহায় দৃষ্টি প্রণয়ের পানে নিক্ষেপ করামাত্র প্রণয় বেশ ধীরকন্ঠে শুধায়,

“পানিতে যদি বি*ষ মিশিয়ে দিই?তোর সমাপ্তি নিশ্চিত না পূর্ণ?”

প্রণয়ের কথায় চোখজোড়া সামান্য ভয়ার্ত হয় পূর্ণতার।যা স্পষ্ট অবলোকিত হয় প্রণয়ের নিকট।অতঃপর ঠোট মৃদু বাকিয়ে প্রণয় বলে,

“অনেকতো পয়জন,পয়জন খেলেছিস।তোর সাথে পয়জন নিয়ে খেললে নিশ্চয়ই দোষের হবেনা?”

পূর্ণতা প্রণয়কে কিছু বলতে চাইলে পূর্ণতার অস্থিরতা নজরে আসে প্রণয়ের।অতঃপর ফের ধীরকন্ঠে প্রণয় শুধায়,

“চিন্তা করিস না।আমি তোকে ফ্রেশ পানিই দিয়েছি।এত সহজে তোকে মা*রলে আমার বাচ্চা বল,রিহা বল বা যাদেরই তুই মে*রেছিস তারা সন্তুষ্ট হবেনা।তাই তোকেও এভাবে মা*রলাম না তবে!”

বলে খানিকক্ষণ থেমে বসা থেকে উঠে নিকটে রাখা এক টেবিলের কাছে গিয়ে সেথায় থাকা ধারালো ছুড়ি হাতে নিয়ে ফের আগের ন্যায় বসে প্রণয়।অতঃপর পূর্ণতার ডান হাতের বাঁধন খুলে শক্ত করেই হাতের কব্জি ধরে তার।প্রণয়ের কান্ডে ভয়ের মাত্রা বাড়ে পূর্ণতার।হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়।সূক্ষ্ম ঘাম কপাল হতে কানের পাশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে।ঢোক গিলে সে।নিজ হাত এবং প্রণয়ের পানে চেয়ে থেকে বারংবার পলক ঝাপটায়।প্রণয়ের নৃ*শংসতা সম্পর্কে সে অবগত।কিয়ৎক্ষণ ছুড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করা প্রণয় যখন তার মৌনতা ভাঙে পূর্ণতারও ধ্যান ভাঙে।এবং সে ফের স্তব্ধ নয়নে প্রণয়পানে চাইতে বাধ্য হয়,

“তোর এই হাত দিয়েই আমার চাঁদের গায়ে হাত দিয়েছিলি না পূর্ণ?তার ওড়না নিয়ে কাড়াকাড়িও করেছিলি মনে আছে?আহহা!এই হাত দিয়েই তো আমার চাঁদের পরণের হিজাবও তুই নষ্ট করেছিলি।একের পর এক থা*প্পড়ও তার গালে তুই বসিয়েছিলি মনে আছে কিছুও?তবে আমার সবটাই স্মরণে আছে।আমার চাঁদের গায়ের ওড়না টানতেও তোর নারীসত্তা তোকে বাঁধা দেয়নি।সবচাইতে নিকৃষ্ট রূপটা তুই চাঁদ আর অরণের সামনেই নিজের দেখিয়েছিলি।আমারটা দেখবি না?আচ্ছা বল তো তোর এই হাতের কী করলে আমার প্রেমিক সত্তা অথবা আমার স্বামী সত্তা শান্তি পাবে?তোর সাথে কী এমন করলে তোর বাবাকে খু*ন করে পাওয়া আত্মতৃপ্তির চেয়েও বেশি তৃপ্ত হবো আমি?আয়,তার ছোট্ট একটা ডেমো তোকে আমি দেখাই”

বলেই পূর্ণতার ডান হাত টেনে নিজের সামনে রাখতেই পূর্ণতা তা ছাড়ানোর চেষ্টা করলে প্রণয়ের হিংস্র নজরে দমে যায় সে।স্পষ্ট সেথায় একইসঙ্গে প্রতিহিংসা এবং কষ্টের বোঝা উপলব্ধি করে সে।তার সঙ্গে ভয়াবহ কিছু যে নিশ্চিত হতে চলেছে সে সম্পর্কেও সম্পূর্ণ অবগত পূর্ণতা।অগ্যতা ঘাড় বাকিয়ে অন্যপানে চেয়ে রয় সে।এবং প্রণয় ঠোট বাকিয়ে ছু*ড়ি দ্বারাই তার হাতের তালুসহ পুরো কব্জিতেই এক এক করে আ*চড় কাটে।র*ক্ত টপটপ করে ঝড়ে সেথা হতে।পূর্ণতার জান বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও চোখজোড়া বুজে অশ্রু বিসর্জন করে কেবল।আ!র্তনাদের কোনো উপায় না থাকা সত্ত্বেও অন্তঃস্থলেই বেশ ভয়ানক আ!র্তনাদ করে সে,

“আল্লাহ!ও আল্লাহ গো!”

অতঃপর সেই পর্যন্তই ক্ষান্ত হয়না প্রণয়।পাশে রাখা বাটি ভর্তি মরিচের গুড়োয় পূর্ণতার হাতের কব্জির পুরোটাই সে ডুবিয়ে দেয়।তৎক্ষনাৎ চোখজোড়া বুজে বুকফাটা আ!র্তনাদ করে পূর্ণতা।তবে ভাগ্য তার সহায় নয়!আর্ত!নাদের বহিঃপ্রকাশ সে ঘটাতে পারছেনা।শুভ্ররাঙা আঁখিজোড়া য*ন্ত্রণায় রক্তিম পূর্ণতার।নেত্র বেয়ে অবিরাম অশ্রু গড়াচ্ছে।সে কেবলই সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা ভিক্ষা করছে।অতঃপর চোখজোড়া সে তখন খোলে যখন দেখে ফের প্রণয় তার হাত চেয়ারের সাথে বাঁধতে আরম্ভ করে।বেশ করুন দৃষ্টি প্রণয়ের পানে পূর্ণতা নিক্ষেপ করে কেবল চেয়ে থাকে।আর প্রণয় পূর্ণতার হাত বাঁধা হলে তার পানে চাইতেই দু’জনের চোখাচোখি হয়।এবং বাকা হাসে সে।পরিশেষে পূর্ণতার পিছু গিয়ে কানের কাছে মুখ নিয়ে ধীরকন্ঠে প্রণয় বলে,

“তোকে আরও কিছু নি!র্মমতা প্রণয়ের দেখানো বাকি।তবে এত সহজ মৃ*ত্যু কি তোকে দেওয়া যায়?ইহিম!তোকে শারীরিক মৃ*ত্যুর তুলনায় মানসিক মৃ*ত্যুটা অতি নিকৃষ্টভাবে দেবো”

বলতে বলতেই পূর্ণতার চোখজোড়া ফের কাপড় দ্বারা বাঁধতে আরম্ভ করে প্রণয়।এবং আরও কিছু বাক্য সে আওড়ায়,

“আজ এইটুকুই মিস অহনা অধিরাজ শেখ পূর্ণতা!আগামীকালের জন্য তৈরি থাকবি।টিল দেন ইঞ্জয় দিজ ট্রায়াল”

বলেই চলে যেতে গিয়েও ফিরে আসে প্রণয়।অতঃপর আকস্মিক হাতে থাকা ছু*ড়ি পূর্ণতার কা!টা হাতের চার আঙুল বরাবর রেখে চাপ দিতেই চার আঙুলেরই মাথা প*ড়ে যায়।র*ক্ত গড়ায় বিরামহীন।বাম পাশের ঠোট মৃদু বাকিয়ে হাতে থাকা র*ক্তাক্ত ছুড়িসহই ডান হাত উচিয়ে কামড়ার বাইরে বেরুতে বেরুতে প্রণয় শুধায়,

“ইঞ্জয় ড্যাডিস প্রিন্সেস”

To be continued……

[বিঃদ্রঃআপাতত এতটুকুই পড়ুন।পরবর্তীতে এর বর্ধিতাংশ দেবো।এবং গল্পটা কাল্পনিক]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here