আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড) #নুসরাত_জাহান_মিম ০৩.(বর্ধিতাংশ)

0
804

#আবার_প্রেম_হোক (২য় খন্ড)
#নুসরাত_জাহান_মিম

০৩.(বর্ধিতাংশ)
অধিরাজ শেখের ঘাড় বরাবর কা*চি দিয়ে টা!ন দিতেই গলগলিয়ে র*ক্তে তার উদোম শরীর লালচে বর্ণে পরিপূর্ণ হয়।সে চিৎকার দেয়ার পূর্বেই প্রণয় তার মুখ চে!পে ধরে বলে,

“আবার বল!আবার বল যা বলছিলি”

প্রণয়ের সাথে ধস্তাধস্তি করে না পেরে পরিশেষে ছুড়ি দ্বারা প্রণয়ের অপর বাহুতে ফের আ!ঘা!ত করে অধিরাজ শেখ।ব্যথায় চোখমুখ কুচকে প্রণয় তাকে ছেড়ে দিতেই অধিরাজ শেখ তার ঘাড়ের কা!টা স্থানে হাত দিয়েই চেপে ধরে চেচিয়ে উঠে,

“এই বে!শ্যা মা* উঠে আয়।এই কু*ত্তার বাচ্চাটাকে ধর!ধর বলছি”

অধিরাজ শেখের কথা শুনে আশেপাশে তাকাতেই প্রণয় দেখতে পায় বিছানার চাদর গায়ে জড়িয়েই নিচে নামছে সেদিনের সেই মহিলাটি।তৎক্ষনাৎ গা ঘিনঘিন করে উঠলো প্রণয়ের।সে সঙ্গে সঙ্গেই অধিরাজ শেখের পানে চেয়ে বললো,

“স্বভাব পাল্টালো না আর না পাল্টালি তুই!”

বলে ফের অধিরাজ শেখের কাছে যেতে নিলেই মহিলাটি চাদর ফেলেই দৌড়ে আসে তাদের দু’জনের পানে।তৎক্ষনাৎ প্রণয় তার চোখজোড়া বন্ধ করে বলে,

“ছিহ!”

অতঃপর এক হাতে কা*চি অপরহাতের ছু*ড়ি দুইজনের দিকে তাক করে চোখ বন্ধবস্থায়ই বলে,

“এই মহিলাকে কিছু পরতে বলুন মিস্টার শেখ!গা ঘিনঘিন করছে আমার”

প্রণয়ের কথা যেনো হাস্যকর ঠেকলো অধিরাজ শেখের নিকট।সে বিদঘুটে হেসে বললো,

“সিরিয়াসলি?এত সাধু সাজছিস কেনো?নাকি তোর বউ তোকে কাছে যেতে দেয়নি?নিজের বউকে কখনো এই দশায় দেখেছিসও?আমি কিন্তু দেখেছি প্রণয়।তোর বউ আসলেই এক…..”

অধিরাজ শেখের কথা সম্পূর্ণের পূর্বেই প্রণয় অধিরাজ শেখের নিকট হিংস্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এগুতে নিলেই মহিলাটি এগিয়ে আসতে চায়।তবে এবারে প্রণয় তার তোয়াক্কা করেনা।মহিলাটির পানে না তাকিয়ে ডান হাতে থাকা কা*চি দ্বারা সজোরে গায়ে বসাতে গেলেই ঠিক মহিলাটির বাহু বরাবর টান লেগে মাটিতে ছিটকে পরে সে।আর প্রণয় সেই কা*চি নিয়েই অধিরাজ শেখের গলার কাছে গিয়ে তা ধরে অপর হাতের ছু*ড়ি কব্জির উপরে ক্যাচ করে ঢুকিয়ে দিয়ে তার পিছু দাঁড়িয়ে হিংস্রভাবেই বলে,

“তুই জানিস না?জানিস না আমার চাঁদের নামে একটা বাজে কথাও আমার চিত্তে যায়না?”

“যেই চাঁ……”

অধিরাজ শেখের আওয়াজ কানে আসতেই প্রণয় তার হাতে থাকা কা*চি অধিরাজ শেখের গলার কাছে আরেকটু চে!পে ধরে বলে,

“চুপ!একদম চুপ!”

অতঃপর আবারও বলে,

“এই মহিলাকে বল কাপড় পরতে আদারওয়াইজ এক্ষুনি তোর জা*ন আমি নিয়ে নেবো কসম!কসম আমার সৃষ্টিকর্তার!”

প্রণয়ের কথা মোতাবেক তাই করলো মহিলাটি।অতঃপর অধিরাজ শেখকে সেখানে ফেলেই দরজা খুলে পালাতে গেলে অধিরাজ শেখ চেচিয়ে বলে,

“কোথায় যাচ্ছো তুমি?আমায় এর থেকে…..”

প্রণয় তাচ্ছিল্যমিশ্রিত সুরে বলে,

“কেউ তোর সাথে থাকবেনা।সবারই জানের মায়া আছে”

ততক্ষণে মহিলাটি দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেছে আর প্রণয় তার হাটু দ্বারা অধিরাজ শেখের কোমড়ে আলতো গুতো দিয়ে বলে,

“চল।বের হ।পিছু নে তার।যদি হাত থেকে ছুটেছে তোকে তখনই শেষ করে দেবো।কোনো চালাকি করবিনা,হাট”

কথাগুলো বলতে বলতেই অধিরাজ শেখের অগোচরে তার ঘাড়ে ইঞ্জেকশন পুশ করে প্রণয়।অতঃপর তাকে ঠেলেঠুলে বাইরে এনে সিড়ি ভেঙে নিচে নামতে নামতেই ঢলে পড়ে অধিরাজ শেখ প্রণয়ের বুকের দিকে।প্রণয়ও গলা থেকে কা*চি নামিয়ে তার পিঠের কাছে লুকানো বস্তা খুলে তাতে অধিরাজ শেখকে ভরে বেশ সাবধানে টানতে টানতে আহিনের বাড়ির গোপন দরজার কাছে আনে।অতঃপর জানালা দিয়ে তাকে বাইরে ফেলে নিজেও সেখান থেকে বের হয়ে আশেপাশে নজর বুলায়।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
চাঁদ মিরার সাথে কথা বলতে বলতেই হলরুমে যাচ্ছিলো।এমনি সময় পূর্ণতা তাকে ডেকে তার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে অপরাধীর সুরে বলে,

“আই আম সরি চাঁদ!আমি আসলে বুঝতে পারিনি তোমায়।হয়তোবা কখনো চেষ্টাই করিনি বোঝার।আমায় তুমি প্লিজ মাফ……”

“ছি আপু এসব বলেনা।তুমি মিরাপু,রিহাপুর মতোই আমার বড় বোন।আমি তোমায়ও ভালোবাসি,স্নেহ করি।আমি মনে কিছু নেইনি,ভেবোনা সেসব”

দীর্ঘশ্বাস ফেলে পূর্ণতা বলে,

“তুমি সত্যিই অনন্য।এজন্যই হয়তো প্রণয় কেবল তোমায়ই ভালোবাসে”

মিরা কপাল কিঞ্চিৎ কুচকে বলে,

“তুই আবারও সেসব নিয়ে?”

পূর্ণতা মিরাকে জবাব দেয়,

“না দোস্ত।এখন আমি বুঝি,সবটাই বুঝি।ওরা একে অপরের পরিপূরক।ওদের মাঝে কেউই কখনো আসতে পারেনি,পারবেওনা”

চাঁদ গম্ভীরভাবে বলে,

“কে বলেছে পারেনি পূর্ণপু?পেরেছিলো,অবশ্যই পেরেছিলো।তবে তা কে ছিলো আজও জানিনা আমরা।সেসব ছাড়ো।তোমরা আপাতত অরণ আর প্রণয়কে নিয়ে ভাবো।আমি কোনোক্রমেই প্রণয়ের কিছু হতে দিতে পারিনা”

মিরার প্রশ্ন,

“কিন্তু দুইদিনে কী করতে পারবো আমরা চাঁদ?আদোতে কিছু করা যাবেও?”

পূর্ণতা বলে,

“তুমি প্রেগন্যান্ট চাঁদ।এত টেনশন নেওয়া ঠিক হবেনা তোমার।আমি আর রিহা যেহেতু গাইনী বিভাগের তাই তুমি আপাতত আমাদের আন্ডারেই থাকো।প্রণয়ের তো শত্রু কম না।নিশ্চয়ই তারা চাইবে প্রণয়ের প্রিয়জনদের ক্ষ*তি হোক।আর তুমি আমার বন্ধুর জন্য কতটা ইম্পর্ট্যান্ট তা আমি জানি,আমরা জানি।এখনতো আরেকজন আসছে।তোমার ক্ষ*তি কোনক্রমেই আমরা হতে দিতে পারিনা।তুমি চলো তোমার এখন চেকাপ প্রয়োজন।যেভাবে সেদিন দৌড়িয়েছো তাছাড়া খাবার-দাবার খাচ্ছোনা বাচ্চার যদি কোনো ক্ষ*তি হয় তোমায় আমরা আস্ত রাখবোনা মনে রেখো!এখন চলো রিহার চেম্বারে যাবো।চল মিরু”
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
তখন সবে সন্ধ্যা নেমেছে ধরণীতে।চারিদিকে লোকজনের সমাগম বেশ কমই বলা চলে।আর শহীদুল্লাহ হলের দিকটায় এ সময় মানুষের যাতায়াত থাকেই না প্রায়।সন্ধ্যার আবছা আলোতে কেবল দু’জন মানুষের অবয়ব দেখা যাচ্ছে।একজনের পিছু অপরজন দৌড়াচ্ছে হয়তোবা।পায়ের পদধ্বনি ক্রমাগত বাড়ছে।ধুপধাপ!ধুপধাপ!অতঃপর আরও জোড়ালো হলো তা।খানিক বাদে একজোড়া পা থেমে গেলো।আরেকজোড়া কেবলই ছুটে চলেছে।ঠিক এমতাবস্থায় দূর হতে তার পিঠ বরাবর এক ছু!ড়ি এসে বিঁধতেই মহিলাটি আ!র্তনা!দ করে রাস্তায় বসে পড়লো।দাঁত খিচে ফের উঠার পূর্বেই তার চু*লের মুঠি ধরে তাকে উঠিয়ে হিংস্র কন্ঠে প্রণয় বললো,

“একজন নারী হয়ে যখন আরেক নারীর স!র্বনাশে তৎপর ছিলেন তখন তারও আপনার ন্যায় প্রাণের ভয় হয়তোবা হয়েছিলো।তবে জানেন?তার তুলনায়ও অধিক ভয় তার সম্ভ্রম নিয়ে হচ্ছিলো?”

মহিলাটি হাত জোর করার ভঙ্গিমায় প্রণয়ের পা ধরতে নিলেই প্রণয় দূরে সরে গিয়ে চুল ছেড়ে তার গলা চে!পে ধরে দেয়ালের সাথে তাকে মিশিয়ে বলে,

“ডোন্ট ইউ ডেয়ার টু টাচ মি উইথ ইওর ব্লা!ডি হ্যান্ডস” [খবরদার!আপনার সেই নোংরা হাতে আমাকে ধরার চেষ্টাটুকু পর্যন্ত করবেন না]

মহিলাটি বেশ করুন কন্ঠে বলে,

“বাবারে!আমায় মাফ করে দাও।আমায় তুমি মে*রো না।তোমার বউকেতো আমি মা*রিনি বাবা”

“ওহ জাস্ট শাট আপ!আমি জানতে চাইনি আমার স্ত্রীকে আপনি কী কী করেননি!আমি কেবল এইটুকু জানি তার সাথে এবং অহরহ নারীর সঙ্গে আপনি কী কী করেছেন।তার প্রাপ্যটুকু কি আপনি পাওনা নন?অবশ্যই পাওনা!এবং পাবেনও”

অতঃপর পকেট থেকে একটু বড়মাপের মোটা আলপিন বের করে আকস্মিক মহিলার ডান হাতের তা*লু বরাবর ঢু!কিয়ে দেয়ালের সাথে এঁটে দিতেই গগনবিদারী চিৎকার দেয় সে।আর প্রণয় মৃদু ঠোট বাকিয়ে ডান হাতে ছু*ড়ি নিয়ে বাম হাত দ্বারা মহিলাটির অপর হাত ধরে রেখে ছু!ড়ি ঘুরাতে ঘুরাতে বলে,

“কী বলেন?শুরুটা আপনাকে দিয়েই করি নাহয়?”

মহিলাটি চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বেশ শব্দ করেই কাদতে কাদতে বলে,

“আমা…..আমাকে দয়া করে মে*রোনা।ছাড়ো!রহম করো”

র*ক্তিম দৃষ্টি মহিলার পানে দিয়ে হাতের ছু*ড়িটি মহিলার মুখ বরাবর তাক করে প্রণয় বলে,

“আপনারা করেছিলেন?করেছিলেন রহম আমার স্ত্রীকে?কত দোহাই সে দিয়েছিলো।একটাও শুনেছিলেন আপনারা?কতটা বেরহম তার প্রতি হয়েছিলেন মনে আছে?আছেতো?আজ থেকে সেই সাত বছর আগের কথা?এখানেই!এই রাস্তাজুড়েইতো আপনাদের কলঙ্কের সেই সন্ধ্যা নামে।দেখুন!আজও সন্ধ্যা।সেই সন্ধ্যাই!আজও গগণ রক্তিম।প্রকৃতি আজও এক নি!র্মম খেলা দেখবে।যার ত্রাসত্ব চালাবো আমি!দেখবেন আপনিও।আচ্ছা বলুনতো?শুরুটা কীভাবে করবো?”

বলেই মহিলার বাম হাতের তালুতেও সেই কিল দেয়ালের সাথে জুড়ে দেয় প্রণয়।মহিলাটি ফের আ!র্ত!নাদ করে।আর প্রণয় ঠোট বাকিয়ে ডান হাত দেয়াল থেকে টেনে তুলতেই মহিলাটি আরও একবার চিৎকার করতে বাধ্য হয়।প্রতিটা চিৎকারে প্রণয়ের হৃদয় শীতল হয় যেনো।সেই শীতল হৃদয়কে আরেকটু শীতল করতে প্রণয় মহিলাটির ক্ষ*ত ডান হাতের পাঁচ আঙুল ধরে নিজের সামনে রেখে বলে,

“এই হাত দিয়েই তাকে আপনি সর্বশক্তি দিয়ে ধরে রেখেছিলেন তার গায়ে কলঙ্কের তোকমা লাগাতে?তবে আপনি কি জানেন?আমার চন্দ্রের গায়ে কোনো কলঙ্ক নেই!কোনো কলঙ্কই নেই।সে পবিত্র আত্মার অধিকারী অতি পবিত্র এক নারী!আমার চন্দ্রময়ী!”

বলেই এপ্রোণের পকেটে রাখা কা*চি বের করে র*ক্তচক্ষু নিয়ে মহিলাটির কব্জি বরাবর একবারই আ!ঘা!ত করে প্রণয়।এবং একবারেই তার হাতের ক!ব্জি বাহু থেকে আলাদা হয়ে প্রণয়ের হাতেই রয়ে যায়।আর র*ক্তের নদীতে ভাসতে আরম্ভ করে পাকা সেই বুয়েট সড়ক!মহিলাটির গগণবিদারী চিৎকারে গাছে গাছে থাকা পাখিরা আকাশে উড়ে দ্রুতগতিতে ডানা ঝাপটাতে আরম্ভ করে।আর প্রণয় তার হাতে থাকা মহিলাটির ক!ব্জি দূরে ছুড়ে ফেলে অপর হাত দেয়াল থেকে টানতেই মহিলাটি ফের চিৎকার করে বলে,

“আল্লাহর দোহাই লাগে আমার জীবন ভিক্ষা দাও প্রণয়!তুমিতো ডাক্তার।ডাক্তারদের তো ধর্ম-কর্ম সব মানুষের প্রাণ রক্ষা করা।আমায় এবারের মতো ছেড়ে দাও বা…..বাবা”

প্রণয় ঘাড় নিচু রেখেই মহিলাটির পানে বাকা চোখে চেয়ে বলে,

“আল্লাহর দোহাই আমার চাঁদও দিয়েছিলো আন্টি!কই?তখনতো আপনার নারীসত্ত্বা জাগ্রত হলোনা।আজ মনুষ্যত্ব কী করে জেগে উঠলো?নাকি নিজের প্রাণ বলে দুনিয়ার যত যুক্তি মনে পড়ছে এখন?ধর্মের কথা বললেন তো?তো আমার সর্বপ্রথম ধর্ম আমার স্ত্রীকে রক্ষা করা যা আমি পারিনি।আর রক্ষা করতে পারিনি বলেই যে তাকে দুঃখের সাগরে যারা ভাসিয়েছে,আমার থেকে দূরে যারা তাকে করেছে তাদেরও ছেড়ে দেবো এমনটা নয়।তাদের সকলের র*ক্তে গোসল না করা অব্দি প্রণয়ের হৃদয় শীতল হবেনা!হবেনা!আর প্রাণতো আমি মানুষের বাঁচাই।আপনারাতো প*শুর চেয়েও অধম!নিজেদের মানুষ বলে দাবিও করেন কী করে?”

বলে আর এক মুহুর্ত দেরি না করে মহিলাটির অপর হাতের ক!ব্জিও একইভাবে ফেলে দেয় প্রণয়।অতঃপর তার মুখ চে!পে ধরে কা*চিটি দিয়েই তার গলা উঁচু করে গলার মাঝ বরাবর বেশ শক্তি প্রয়োগ করেই টা!ন দেয়।তৎক্ষণাৎ গলার শিরা উপশিরা কে*টে পিচকারির ন্যায় র*ক্ত ছুটে প্রণয়ের সারামুখ এবং শার্ট এপ্রোণের আশেপাশে ছিটে যায়।অতঃপর প্যান্টের পকেট থেকে স্কচটেপ বের করে মহিলাটির মুখে তা লাগিয়ে দিয়ে সেভাবেই তাকে গলাকা!টা মুরগির ন্যায় ছটফটিয়ে মৃ!ত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য ছেড়ে আসে।তাকে ছেড়ে খানিক দূরে গিয়ে এক বস্তা ডান হাত দ্বারা টানতে টানতে সামনে এগোয় প্রণয়।ফের সেদিনের ন্যায় এপ্রোণ তার বাতাসে উড়ছে।চোখে আছে প্রতিশোধের ঝলকানি,কিছু তিক্ত ব্যথা আর বেশ তৃপ্তির হাসি।প্রণয়ের বিড়ালাক্ষীজোড়া হাসছে।হাসছে তার ঠোটজোড়াও।নিজেকে বড্ড উন্মাদ মনে হচ্ছে আজ।এই উন্মাদনা?এই উন্মাদনা তার প্রাণেশ্বরীকে আরেকটা বার দেখার উন্মাদনা!তার হৃদয়েশ্বরীকে নি!র্মমতার এই নির্ম!মতা দেখানোর উন্মাদনা।তবে সে পারলোনা,যদি পারতো নিজ বিড়ালাক্ষীজোড়াতেই তার চন্দ্রময়ীকে সেসব সে দেখাতো।তবে তার চন্দ্রময়ী কি নিজ বিড়ালাক্ষীমানব তথা প্রিয় মানবের এই ধ্বংসাত্মক রূপ সহ্য করতে পারতো?স!র্বনাশা প্রণয়ের প্রলয়ঙ্কারী রূপ কি চাঁদ মেনে নিতে পারতো?যে হৃদয়ে এত দুঃখ আরও কিছু ক্ষ*ত কি তা সহ্য করার ক্ষমতা রাখতো?

To be continued……

[বিঃদ্রঃসকালে দেয়ার কথা থাকলেও লিখে উঠতে পারিনি বলে দুঃখিত।গল্পটা কাল্পনিক তাই কাল্পনিকভাবেই দেখার অনুরোধ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here