FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:10
রাত১০টা__
হিয়া উজান কে কন্টিনিউয়াসলি ইগনোর করতে থাকে উজানের রাগ চরম পর্যায়ে পৌছায়___উজান হিয়াকে একা পেয়ে ওর হাত ধরে টেনে দেয়ালে টেসে চেপে ধরে
উজান:আসছি থেকে দেখছি আমাকে ইগনোর করা হচ্ছে😡😡কি মনে করেন আমি কিছু বুঝি না।আমার কিন্তু এসব একদম ভালো লাগে না মিস মিএ😡😡
হিয়া:বাহ রে আপনি তো তখন বললেন যে কাকিমার জন্য নাকি আপনি এখানে এসেছেন।আপনি আমার জন্য তো আসেন নাই।তাই আমিও আরকি
উজান:আমিও আর কি হা।আপনি জানেন না আমি এখানে কার জন্য এসেছি
হিয়া:ওহ তাই না।তা তখন ওভাবে কেনো বললেন।আমাকে ধরা টা খাইয়ে দিলেন তো।
নিচ থেকে পিসির ডাক আসে__
পিসি:হিয়া হিয়া কোথায় গেলি দেখ কে এসেছে
হিয়া:ছাড়ুন পিসি ডাকছে
উজান:আমার হাত ছাড়তে পারলে ছেড়ে নিন😍
হিয়া:উজান স্যার কেনো এমন করছেন
উজান:কেমন করছি আবার
হিয়া:আমার লাগছে
উজান:আমার তো বেশ লাগছে
হিয়া:হুহু কাকিমা তুমি
____উজান বাসবির কথা শুনে হিয়াকে চোট করে ছেড়ে দেয়__
উজান:মা কোথায় মা
হিয়া:কাকিমা এখানে নেই কাকিমা নিচে😂😂
বলে হিয়া হাসতে নিচে নেমে আসে।ওর পিছু পিছু উজান ও নেমে আসে___
পিসি:দেখ হিয়া কে এসেছে চিনতে পারলি
হিয়া:আরে নিখিল😍😍কতোদিন পর তোর সাথে দেখা হলো বলতো।কেমন শুকনো হয়ে গেছিস দেখছি
নিখিল:কি আর করবে বল।আগে তে পিসি আর তোর স্পেশাল স্পেশাল স্যাুপ খেতাম তাই মোটা গাটা ছিলাম এখন তো আর সেসব কিছুই কপালে নেই😂😂
হিয়া:হুমম আয় বস।কাকু কাকিমা এরা সবাই কেমন আছে রে।কতোদিন যাই না
নিখিল:তোর কথা বুলির কথা তো রোজ ই বলে।তা শোন কালকে কিন্তু তোর সারাটা সময় আমাকে দিতে হবে।কালকে বড় বাজার বসবে শুনলাম।তোকে আর বুলি কে নিয়ে অনেক কেনা কাটা করার আছে___
___উজান এসব দেখে আরো রাগে ফুঁসতে থাকে।এদিকে বুলি টাও কম যায় না।উজান কে রাগতে দেখে____
বুলি:জানো তো উজান দা।এই যে দেখছো না নিখিল দা।আগে তো ছোট বেলায় ডোডো দা,নিখিল দা,দিদি সবাই একসাথে খেলতো কতো।নিখিল দা তো ছোট বেলায় ঠিকি করেছিলো দিদি কে বিয়ে করবে বলে।কি মিল ছিলো ওদের দেখোনা এতোদিন পরের কি খুশি দেখছো না___
উজান রাগে বেরিয়ে যায়…..
রাত ১০:৪০:
হিয়া:বুলি উজান স্যার কোথায় রে দেখছিস ওনাকে এখানে
বুলি:উজান দা তো মনে হয় বাহিরে গেলো দেখলাম।ফোনে নেট পাচ্ছিলো না শুনলাম।
হিয়া:ঠিক আছে।ঔ গায়ের চাদরটা দে তো।বাহিরে আজ কেমন শীত না আসতেই ঠান্ডা পড়ছে___
বুলি:নে দিদি ধর চাদর
……….
এদিকে বাহিরে দাড়িয়ে উজান ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছিলো।হিয়া পেছন থেকে এসে উজানকে ভয় দেখায় নিজে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে___
হিয়া:ভাাাাআউউ😂😂😂
উজান:what is this হিয়া😡😡
হিয়া:আপনি ভয় পেয়েছিলেন😂😂
উজান:মোটেই না
হিয়া:হিয়া তখনো পাগলি গুলোর মতো হাসতে থাকে
উজান:একদম হাসবেন না বলে দিচ্ছি😡😡এমনি তে কিন্তু আপনার জন্য আমার মাথার ঠিক নেই তার উপর
হিয়া:ঠিক আছে ঠিক আছে আর হাসবো না এই চাদর টা গায়ে পড়ে নিন না হলে ঠান্ডা লেগে যাবে
উজান:আপনি আবার হাসছেন
হিয়া:নিন না চাদর টা পড়ুন।আর হাসবো না😂😂উজান স্যার ও ভয় পায় ভাবা যায়😂😂
উজান:দিন😒😒আর আপনার চাদর__
হিয়া:আমার চাদর লাগবে না এটা আমার পরিবেশ।আমি এসবে অভ্যস্ত😍
____উজান চাদরটা গায়ে জরিয়ে নেয়____
হিয়া:আসুন আমার সাথে,এখানে নেট পাবেন না ভালো
উজান:কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনি আমাকে
হিয়া:ছাদেঁ আসুন না
_____________
ছাদেঁ:
হিয়া:এই পুচকে গুলো তোরা এতো রাতে কি করছিস কি ছাদেঁ।আর এসব আগুন দিয়ে কি ঠান্ডা যাবে।খুব সাহস হইছে তোদের।থাম গিয়ে পিসিকে বলে দিচ্ছি….আপনি কথা বলে নিন স্যার
পুঁচকে গুলো:দিদি তুমি এসো দেখবে হাত পা সব গরম হয়ে যাবে আগুনে হাত পোহালে আর ঘুমো ভালো হবে
হিয়া:তাই না খালি পিসি জানতে পারুক😊😊
হিয়া গিয়ে আগুনের পাশে বসে পড়ে
হিয়া:স্যার হলো আপনার কথা।এদিকে আসুন।বসুন😊😊
উজান:নাহ আমি ঠিক আছি
হিয়া:বসুন না একটু প্লিজ
____হিয়া উজান কে টান দিয়ে আগুনের পাশে ওর সাথে উজান কে বসিয়ে দিয়ে___
হিয়া:জানেন স্যার আমাদের এখানে তো শহরেরর মতো গীজার,রুম হিটার এসব নেই থাকলেও খুব কম বাড়িতে পাওয়া যাবে তাই আমরা এখানে এভাবে নিজেদের শীত তাড়ানোর আয়োজন করি😊😊
পুঁচকেগুলো:জানো তো হিয়া দি এই বান্টি টা না খুব বদ ওহ আগুন দেখলে বিছানায় হিসু করে দেয় ঠাম্মি ওকে কতো আসতে মানা করে আমাদের সাথে তাও আসে।বদজাত ছেলে একটা😂😂😂
হিয়া:এসব শুনে হিয়া আবার হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যায়😂😂😂
____হিয়ায় এই প্রানখোলা হাসিমাখা মুখ উজান কে মুগ্ধ করে💜💜💜আগুনের আলোতে হিয়া আর হিয়ার এই হাসি কতো না জোনাকির আলোর মতো উজানের চারপাশ টাকে আলোকিত করে ফেললো💜💜💜এই রঙে হিয়া কে অন্যরকম লাগছে।উজান একদৃষ্টি ভরে তাকিয়ে আছে হিয়ায় দিকে___
হিয়া:বান্টি এটা কি শুনলাম হ্যা তোর এখনো এই পচা অভ্যাস গুলো যায়নি না।
কিছুক্ষণ পর হিয়া ওর হাত গুলো আগুনে গরম করে____
হিয়া:স্যার একটু এদিকে ঘুরুন😊
উজান:কেনো
হিয়া:ঘুরুন না বলছি তো
____হিয়া ওর গরম হাত গুলো উজানের গালে কপালে হাতে ছুইয়ে দেয়____
হিয়া:দেখলেন আপনার ঠান্ডা ঠান্ডা রাগে ফোলা গাল গুলো কেমন গরম হয়ে গেলো😊😊
____হিয়া এভাবে করতেই থাকে। উজান আবারো হারিয়ে যায় হিয়াতে।নিচ থেকে বুলি চেঁচাতে চেঁচাতে উপরে ওঠে।বুলির ডাকে উজানের ঘোর কাটে____
বুলি:বান্টি,ইশা…কোথায় তোরা___তোরা এখানে আজকেও।পিসি আসছে।জলদি চল বলছি।না হলে আজকে সবকটার কপালে মাইর আছে।উঠ জলদি😡😡
হিয়া:বুলি তুই যাচ্ছিস
বুলি:তোদের মাঝে আর আমি থেকে কি করবো বল
উজান:তুমি চাইলে থাকতেই পারো আমাদের কোনো সমস্যা নেই…
বুলি:নাহ কাবাবে আর হাড্ডি হতে চাই না।
হিয়া:তুই যা তো সবসময় তোর পাকা পাকা কথা😡😡
____উজান হিয়া দুজনে দাড়িয়ে পড়ে____
হিয়া:স্যার উঠলাম তো ঠান্ডা লাগছে তো___
উজান:আসুন এদিকে
উজান ওর চাদের ভেতর হিয়াকে জড়ায় নেয়।হিয়া আর কিছু না বলে উজান কে জরিয়ে ধরে___
হিয়া:স্যার চাদঁ টা দেখুন কেমন ভরা পূর্নিমা আজকে
উজান:হুম সুন্দর
হিয়া:আপনি কালকে থাকছেন তো নাকি কালকেই আবার টউলিপে ফিরে যাবেন
উজান:নাহ হিয়া যেতে হবে।আপনি তে তো দেখলেন ক্যাম্প এর জন্য কতো ওটি,ওপিডি আটকে ছিলো।আর আজকে আবার আমি ছুটি নিলাম।কালকে এমন করলে চলবেনা হিয়া।আমি একজন ডক্টর।আর একজন ডক্টর হিসাবে আমার পেশেন্ট সবার আগে___
হিয়া:হুম___
___উজান আস্তে করে হিয়ার মুখ টা তুলে হিয়ায় কপালে একটা স্নেহের চুম্বন একে দেয়___
উজান:কমলো মন খারাপ
হিয়া:ঔ একটু
____হিয়া আবার উজানের বুকে মাথা গুজে দেয়।উজান আবার ওর বাহুডোরে হিয়াকে শক্ত করে ধরে____
উজান:তাহ ঔ নিখিল বলে যিনি কালকে কোথায় যাওয়ায় কথা বললো
হিয়া:কই আবার বড় বাজার বসবে ওখানে
উজান:এসব করে করে আপনার কতো পড়া নষ্ট হচ্ছে তার খেয়াল আছে___
হিয়া:আপনি আছেন তো
উজান:হুমম ওটার জন্যই বেচে যান আপনি।কিন্তু মনে রাখবেন পরীক্ষায় কিন্তু আমি থাকবো না।তখন আপনাকে সব করতে হবে___
হিয়া:হুমম।চাদঁটা দেখুন কেমন মেঘের সাথে খেলছে…
___পূর্নিমার চাদঁ।সাথে পাহাড় থেকে আসা ঠান্ডা হাওয়া।পাশে আগুনের ফুলকি।হিয়ান ব্যস্ত ওদের প্রেমময় গল্প শোনানোর জন্য একে অপরকে____
___পরিবেশ টাও আজ সাক্ষী উজানহিয়ায় এই প্রেমের।এ ভালোবাসা কয়েকটি পর্বে শেষ হওয়ায় না।এটা তো আজীবনের ভালোবাসা___
💜সখি ভাবনা কাহারে বলে💜
💜সখি যাতনা কাহারে বলে💜
তোমরা যে বলো দিবোশ রজনি
ভালোবাসা ভালোবাসা..
সখি ভালোবাসা কারে কয়..!!
সে কি কেবলি যাতনাময়
সে কি কেবলি চোখের জল
সে কি কেবলি দুঃখের শ্বাস..