FF:#মেডিকেল_ক্যাম্প
Part:11
পরের দিন সকালে__হিয়া স্নান করে ঘরে চুল মুছতে থাকে টাওয়াল দিয়ে___
উজান:মিস মিএ__আসবো
হিয়া:হুম স্যার আসুন।আপনি উঠে পড়েছেন।নাস্তা করেছেন।বুলি কে যে বললাম আপনি উঠে পড়লে নাস্তা দিতে__বুলি এই বুলি___
উজান:হিয়া আপনি এতো ব্যাস্ত হবেন না আমি নাস্তা করেছি__
হিয়া:হুম।তা এখনি বের হবেন বুঝি
উজান:হা এমনিতে অনেক লেট হয়ে গেছে__আপনাকে কিছু দেওয়ায় আছে হিয়া__
হিয়া:আমাকে!আমাকে আবার এই সময় কি দেওয়ায় আছে আপনার___
উজান:এই নিন..
___উজান মিরাদির দেওয়া সিদুর কৌটোটা আর হিয়ায় শাখাপলা গুলো হিয়াকে দিয়ে দেয়__
হিয়া:এসব আপনি কোথা থেকে মানে
উজান:মেট্রন দিয়েছিলো আপনাকে দেওয়ায় জন্য আমার মনে ছিলো না তাই এখানে এনেছিলাম আসার সময়টাতে___
হিয়া:দিন___উজান স্যার
হিয়া ওর চোখের ইশারায় উজান কে খানিকটা সিদুর ওর কপালে ছুইয়ে দিতে বলে
উজান:কিন্তু হিয়া কেউ দেখলে
হিয়া:খানিকটা ছুইয়ে দিন।কেউ বুঝবে না।আমি চুল দিয়ে না হয় ঢেকে রাখবো
উজান:ঠিক আছে এদিকে আসুন
__________
বাসবি:বুলি উজানকে দেখেছো
বুলি:উজান দা তো মনে হয় হিয়া দির রুমে।কেনো খুব দরকার
বাসবি:নাহ একটু কথা ছিলো ওর বাবা ফোন করেছিলো তাই ওকে একটু খুজঁছি
বুলি:বেশ চলো আমিও যাবো দিদি তখন কিসের জন্য ডাক দিলো আমাকে শুনে আসি
___উজান হিয়ায় কপালে সিদুর পড়িয়ে দিচ্ছি এসময় বুলি আর বাসবি রুমে ঢুকে___
বাসবি:রাজা!!
বুলি:দিদি এসব!!
হিয়া:কাকিমা আসলে
বাসবি:তুমি বিয়ে না করে রাজার হাত থেকে সিদুর।এসবের মানে কি হিয়া!!
উজান:মা আমি তোমাকে সব বলতাম কিন্তু সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো___
বাসবি:কি বলতি রাজা___কি লুকোচ্ছিস তোরা দুজন আমাদের কাছ থেকে
উজান:মা আসলে আমি আর হিয়া
বুলি:তুমি আর দিদি কি
উজান:আমরা মানে আমি হিয়া___আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে__
___উজান বাসবি আর বুলি কে সব খুলে বলে।আর হিয়া এখন এসব কাউকে জানাতে বারণ করে দেয়____
হিয়া:কাকিমা আমি তোমাকে রিকুয়েস্ট করছি প্লিজ তুমি এখন এই ব্যাপারটা কাউকে বলো না।কোথা থেকে কি হলো আমি আর উজান স্যার দুজনে কেউ এখনো ব্যাপার টা সামলে উঠতে পারি নাই_____বুলি আমি তোর দিদি হিসাবে তোর কাছে এতটুকুনি রিকুয়েস্ট করছি প্লিজ তুই বাবাকে কিছু বলিস না এসব এখন___বাবা কিভাবে কথা টা নেবে।প্লিজ বুলি
বুলি:ঠিক আছে দিদি আমি না হয় কাউকে বললাম না।কিন্তু আমার মনে হয় মামু এটা শুনলে রাগ না বরং খুশিই হবে__
বাসবি:হ্যা হিয়া আমারো তাই মনে হয় তুমি আর রাজা আর একবার ব্যাপারটা ভেবে দেখো___
উজান:মা আমাকে এখন বেরোতে হবে___
বাসবি:ঠিক আছে সাবধানে আসিস।আর তোর বাবা ফোন করেছিলো তোর কথা জানতে চাইলো পথে একবার কথা বলে নিস___
উজান:হুম।আসছি__
বুলি:একটু কাশি দিয়ে___কি রে দিদিয়া এজন্যই বুঝি দা ফেমাস হার্ট সার্জন ডক্টর উজান চ্যাটার্জি তার সব কাজ কর্ম বাদ দিয়ে তার স্টুডেন্ট সরি তার বউ কে দেখতে সেই সূদূর টিউলিপ থেকে বাতাসিয়া গ্রামে ছুটে এসেছে😂😂😂😂😂
হিয়া:তবে রে।থাম বলছি থাম আজকে তোকে আমি বুলি😡😡😡😡
এক সপ্তাহ পর..টিউলিপ..
সমরেশ:উজান এসেছো___বসো___আজকে তো তোমার ক্লাস নেওয়ায় আছে না
উজান:হুম এইতো একটু পরেই ক্লাস শুরু
সমরেশ:তা বেশ।আজ ডক্টর মৃনালিনীর টিউলিপে জয়েন ডেট।আসছেই হয়তো তাই ভাবলাম একবার তোমার সাথে ওর আলাপ করিয়ে দেই।তুমি হয়তো ওকে চিনোই
হিয়া:স্যার আসবো
সমরেশ:আরে হিয়া তুমি এসো এসো ।কবে ফিরলে গ্রাম থেকে___
____উজান আর হিয়ায় খানিক টা চোখাচোখি হয়___
হিয়া:এই তো কাল রাতেই__আজ থেকে ক্লাস শুরু তাই চলে এলাম।এই নিন এটা বাসবি কাকিমা আপনাকে দিতে বলেছে___
সমরেশ:বাসবি আমাকে দিতে বলেছে।দেও দেখি___
হিয়া:আচ্ছা স্যার আমি আসি তাহলে এখন___
সমরেশ:ঠিক আছে এসো___
_____হিয়া বের হতেই নিলীম আর মৃনালিনীর সাথে ওর ধাক্কা লাগে হালকা____
হিয়া:সরি ম্যাম আমি আসলে দেখতে পারি নি
নিলীমা:it’s ok..মৃনালিনী এসো
____হিয়া চলে যায়।নিলীমা আর মৃনালিনী সমরেশে কেবিনে ঢুকে____
নিলীম:আঙ্কেল আসতে পারি।
সমরেশ:আরে এসো।মৃনালীন।welcome to our tulip.উজান ইনি হলেন মৃনালিনী।হার্ট সার্জন।তোমার সাথে একসাথে লান্ডানে পড়েছিলো মনে পড়ে____
উজান:হুমম সেদিন তুমি নাম বলেছিলে আমি বুঝতে পারি নাই বাট আজকে বুঝলাম মানে চিনলাম আরকি।তোহ মৃনালিনী কেমন আছো..?
মৃনালিনী:এটা শুনে ভালো লাগলে তোমার এখনো আমার কথা মনে আছে।আমি ভালো আছি।তুমি কেমন আছো বলো।কলকাতা আসার পর তো কারো সাথে তেমন যোগাযোগ ই রাখলে না দু একজন তোমার ক্লোজ ফ্রেন্ড ছাড়া_____
উজান:হুম এখানে এতো কাজের চাপ।anyway তোমরা কথা বলো আমাকে এখন আসতে হবে আমার ক্লাস আছে___
সমরেশ:চলো উজান আমিও আসছি তোমার সাথে____
নিলীমা:আপনি আর উজান আগে থেকে চেনেন একে অপরকে____
মৃনালিনী:শুধু চিনি না বলতে পারো আমি উজানের জন্যই শুধু এই টিউলিপে জয়েন করতে সবটা বাজি রেখেছি
নিলীমা:মানে ঠিক বুঝলাম না!!!
মৃনালিনী:মানে আমি আর উজান যখন একসাথে লান্ডানে পড়তাম তখন থেকেই আমি ওকে ভালোবেসে ফেলেছি____
নিলীমা:মনে মনে(একে তো এতোদিন ছিলো হিয়া আবার এ আসলো নতুন করে😡😡😛😡😡😡😡😡😡😡😡😡😡😡তাতে কি নিলীমা কে হারানো এতো সহজ নয়।উজান তো শুধু আমার।কাটা দিয়ে কাটা কিভাবে তুলতে হয় এবার তুমি দেখবে হিয়া)___উজান কে ভালো বাসো বলছো..কিন্তু
মৃনালিনী:কিন্তু কি
নিলীমা:আঙ্কেল এর কেবিন এ ঢোকার সময় একজনের সাথে ধাক্কা খেলাম মনে পড়ছে
মৃনালিনী:হুম দেখে তো মনে হলো টিউলিপেরই স্টুডেন্ট
নিলীমা:হুম।হিয়া।হিয়া মিএ..বলতে পারো ওর আর উজানের মধ্যে একটা গভীর সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে____উজান তো হিয়া বলতেই পাগল
মৃনালিনী:সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে বললে এখনো তো হয়নি।ওসব নিয়ে তুমি ভেবো না।ওসব আমার হাতের ময়লা
নিলীম:হিয়া কে এতো ছোট করে দেখার কিছু নেই।ওহ কি তুমি আস্তে আস্তে জানতে পারব।anyway আমাকে রাউন্ড এ যেতে হবে আমি আসছি____
……………..
মেট্রন:হিয়া হিয়া
হিয়া:মিরাদি ডাকলে
মেট্রন:হুম কেমন আছো কতোদিন দেখা হয় না বলো তো কবে ফিরলে
হিয়া:আমি ভালো আছি।আর কাল ই ফিরেছি।তুমি কেমন আছো বলো..??তোমার পুচঁকু কেমন আছে..?
মেট্রন:আমি আর পুচঁকু দুজনেই ভালো আছি।
উজান স্যার তোমাকে দিয়েছে যেটা দিতে বলেছিলাম
হিয়া:কি বলো তো ওহ ওটা হ্যা দিয়েছে।
মিরীদি:আসলে আমি দিতাম কিন্তু সেদিন রাতে যা হলো
হিয়া:আমি আর ওসব মনে রাখতে চাই না মিরাদী
মেট্রন:হুমম তবে উজান স্যার সমরেশ স্যারকে বলে ভালোই করেছে।স্যার ডক্টর রাহুল এর রেস্ট্রিকশন এর ব্যবস্থা করে ওনার একটা শাস্তি র ব্যবস্থা করেছে
হিয়া:উজান স্যার আর সমরেশ স্যার এসব করেছে।কই উজান স্যার তো আমাকে একবারো বললেন না___
মেট্রন:তবে কি জানো হিয়া আমি শুনেছি ডক্টর রাহুল এর নাকি অনেক হাত।উনি এতো সহজে সবটা মেনে নেবেন বলে মনে হয় না।তুমি সাবধানে থেকো কেমন____
হিয়া:ঠিক আছে।আমি আসি ক্লাস শুরু হয়ে যাবে না হলে___
মেট্রন:হুম ঠিক আছে___