মেডিকেল_ক্যাম্প Part:21

0
273

21-FF: #মেডিকেল_ক্যাম্প

Part:21

____উজান গাড়িতে হিয়ার জন্য অপেক্ষা করে।হিয়া এলে দুজনে টিউলিপের জন্য রওনা দেয়।কিন্তু রাস্তায় একদল গুন্ডার পাল্লায় পড়ে দুজন।গুন্ডা গুলো ডক্টর রাহুল পাঠিয়েছে উজান আর হিয়ার ক্ষতি করার জন্য___

_____গুন্ডা গুলোর সাথে উজানের চরম মারামারি হয়।এতো গুলো গুন্ডা দের সাথে উজান একা পেরে উঠে না।সাথে তো হিয়া আছে।হিয়া উজান দুজনে অনেক চোট পায়।
একজন একটা বিশাল কাচেরঁ টুকরো দিয়ে উজান কে মারতে আসলে হিয়া উজান কে সরিয়ে দেয়।আর ওটা এসে হিয়ার শরীরে লাগলে হিয়া ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়____

উজান:হিয়া…….হিয়া হিয়া……উঠুন না হিয়া।কিচ্ছু হয়নি আপনার।আমি আছি তো আমি কিছু হতে দিবো না আপনার…..হিয়া হিয়া….

___উজান হিয়া কে হন্তদন্ত করে টিউলিপে নিয়ে আসে।খবর পেয়ে বাসবি বুলি ঠাম্মি জিনিয়া সবাই চলে আসে টিউলিপ।হিয়ার রক্তে উজানের শরীর সিক্ত____

উজান:মেট্রন মেট্রন সুনয়না মেট্রন ইমিডিয়েট ওটির ব্যবস্থা করুন…আর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্ট এ এখন কে আছে…বলুন গিয়ে উজান স্যার বললো এখুনি ওটি করতে হবে….কি হলো দাড়িয়ে দেখছেন কি যান…..(উজান হাপাঁতে থাকে)

____ওটি শুরু হয়।উজান পাগলের মতো করতে থাকে।একবার চেয়ারে বসছে একবার ওটি রুম চেক করছে।কালকে রাতে হিয়ার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো ভাবছে তারপর সকালে এমন একটা ঘটনা আর উজানকে বাচাঁতে গিয়ে হিয়া নিজের উপর এতোবড় একটা রিস্ক নিয়ে নিলো সবটা উজান কে দুমড়েমুচড়ে শেষ করে দেয়_____

ঠাম্মি:উজান শোন না বাবা আমার কথাটা।তুই একটু শান্ত হো।দেখ তুই এভাবে ভেঙ্গে পড়লে হিয়াকে কে দেখবে…

উজান:আমি পারছিনা ঠাম্মি।তুমি জানো না ঔ কাচের টুকরো গুলো হিয়ার শরীরে…(উজান আর কিছু বলতে পারে না)

সমরেশ:উজান প্লিজ নিজেকে শান্ত করো।আমাকে প্লিজ ঘটনা টা খুলে বলো নাহলে আমি আমাকে তো ব্যাপারটা পুলিশকে জানাতে হবে….

বাসবি:ওকে একটু ওর মতো ছেড়ে দেও।অপারেশন টা শেষ হোক।সময় বুঝে সব শুনে নিও….

বিহান:নিলীমা নিলীমা…

নিলীমা:কি হলো বিহান।দরকারি কিছু বললে বলো আর নাহলে পরে এসো আমার কাজ আছে..

বিহান:আচ্ছা একটা কথা বলো তো মানে আমি আমি কি শুধু দরকারেই তোমার প্রয়োজন এমনিতে নই…

নিলীমা:না নও।আর কিছু বলবে।

বিহান:তুমি এভাবে মুখের উপর না বলতে পারলে।বড্ড কষ্ট পেলাম জানো।যাই হোক জা জানাতে এসেছিলাম।কি যেনো হিয়া..হিয়া টিউলিপে এডমিট…

নিলীমা:কেনো আবার কি বাধালো।এই মেয়ের তো দেখছি টিউলিপেই বাড়ি বানানো দরকার।কখন কি বাধিয়ে ফেলে…….

বিহান:হাসালে….ঔ দাদাভাই আর হিয়া একসঙ্গে টিউলিপে আসছিলো কারা যেনো তাদের উপর হামলা করে হিয়া দাদাভাই কে বাচাতেঁ নিজের লাইফ রিস্ক নেয় এই এসবই

নিলীমা:এতে নতুন কি আছে বিহান।এরপর ওর জন্য সবচেয়ে বেস্ট কেবিন ডক্টর সব তো উজান আরেন্জ করবে প্রতিবারের মতো

বিহান:নতুন এর তো কিছু নেই তবে একটা প্রশ্ন আছে

নিলিমা:মানে

বিহান:মানে কালকে রাতে দাদাভাই টিউলিপে ছিলো না বাড়িতেও যাই নাই কোথায় ছিলো বলেও নাই কাউকে_____তবে এটুকু শুনলাম কালকে হিয়াকে নাকি পাওয়া যাচ্ছিলো না দাদাভাই আবার ওকে খুঁজতে বেরিয়ে ছিলো___আর আজ আবার হিয়ার সাথে একসঙ্গে টিউলিপে আসছে___

নিলীমা:তুমি আসলে কি বলতে চাইছো বিহান একটু খুলে বলবে প্লিজ___

বিহান:দেখো নিলীমা এটা বোঝার মতো বোধবুদ্ধি দুটোই তোমরা কাছে আছে আমি জানি তাই খামোখা আমাকে প্রশ্ন করে লজ্জা কেনো দিছো বলো তো…Anyway আমি তাহলে আসি এখন..তুমি ভেবে দেখো কিন্তু

ওটি কম্পিলিট:

উজান:ড.দাশ কি হলো হিয়া ঠিক আছে তো।ওর তেমন বড়ো কিছু হয়নি তো।কি হলো আপনি চুপ করে কেনো আছেন…

ড.দাশ:তুমি আগে শান্ত হও উজান।হিয়া এখন আউট ওফ ডেন্জার।আমি সব গুলো ভালো করে ওয়াশ করে দিয়েছি।হা তবে বাম হাতে একটু বেশি চোট পেয়েছে ওটা একটু দেখেশুনে চললে আই হোপ তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে___

উজান:thank you ডক্টর। আপনাকে যে কি বলে আমি।দেখা করা যাবে এখন ওর সাথে__

ড.দাশ:একটু পরে দেখা করে নিও ওর সেন্স টা ফিরুক___

উজান:হুম____

রাত ১০টা___

ঠাম্মি:কি যে করিস না মাঝেমাঝে তুই।এমনিএমনি কি তোকে পাগলি বলি…এমনটা কেউ করে

হিয়া:আমি না আটকালে যে ওরা উজান স্যারকে

উজান:তাই বলে আপনি যেটা করেছেন আমি সেটা একদমই সাপোর্ট করি না মিস মিএ

হিয়া:আচ্ছা একটা কথা বলুন তো আমার জায়গায় আপনি থাকলে কি করতেন।দাড়িয়ে সবটা দেখতে পারতেন..

উজান:আপনাকে আমি পরে দেখে নিচ্ছি

বাসবি:থাম তো তোরা।রাজা তোর না রাতে ডিউটি আছে তুই যা হিয়াকে এবার একটু ঘুমোতে দে দেখি___

ঠাম্মি:বুলি কাল না তোমার পরীক্ষা তুমি আর বাসবি বরং বাসায় যাও আমি আছি হিয়ার কাছে

বাসবি:কিন্তু মা আপনি একা

ঠাম্মি:একা কই জিনি তো বললো ওহ রাতে আসবে।আসছেও হয়তো___

বাসবি:ঠিক আছে মা।বুলি মা চলো।তুমি পরীক্ষা দিতে গেলে আমি ওদিক দিয়ে এখন কাল চলে আসবো এখানে

বুলি:ঠিক আছে।দিদি থাক।আমার পরীক্ষা টাও এমন একটা দিনে পড়লো।আমি মামুকে বলে দিয়েছি টেনশন না করতে তুই পারলে একটু কথা বলে নিস পরে ফোনে

হিয়া:ঠিক আছে।শোন আর পরীক্ষা হলে ঘামড়ে যাস না যা পারবি আগে ওগুলো টপাটপ লিখে নিবে..(হিয়া বলতে থাকে)

বুলি:হয়েছে হয়েছে বুঝেছি তুই আগে নিজেকে নিয়ে ভাব।আমি আসছি…

উজান:ঠাম্মি তুমি তাহলে থাকো ওনার কাছে।আমি মাঝেমাঝে এসে দেখে যাবো।আর আপনি বেড থেকে উঠে লাফালাফি শুরু করবেন না ডক্টর এই কদিন একদম নড়াচড়া করতে মানা করে দিয়েছে___

হিয়া:শুনুন আমারো না ঙ্গান আছে আমি জানি আমাকে কি করতে হবে আর না হবে

উজান:জানলেই ভালো।(খাবারের দিকে চোখ দিয়ে) খেয়ে নিবেন পুরোটা..

ঠাম্মি:যাহ তো তুই।আমি আর হিয়া একটু গল্প করি…

পরেরদিন সকাল….

বাসবি:মা আপনি আছেন।আমার আসতে একটু দেরি হয়ে গেলো।আপনি আর জিনি যান গিয়ে বাড়িতে ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি আছি।আর বুলিও পরীক্ষা শেষ করে এখানে সোজা চলে আসবে বললো__

ঠাম্মি:ঠিক আছে।তুমি থাকো তাহলে।হিয়া আসছি নিজের খেয়াল রাখিস।বেশি উঠাউঠি করিস না উজান এসে দেখলে কিন্তু আবার রাগারাগি শুরু করবে…..

____হিয়া বাসবি গল্প করতে থাকে।হিয়ার আর বেশিক্ষণ একা বেডে আর শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করে না।ওহ উঠে কেবিনেই ঘোরাঘোরি এপাশওপাশ করে বাসবির সাথে গল্প করতে থাকে।বাসবি ও আর মানা করে না___এমন সময় মেট্রন আর উজান ঢুকে পড়ে কেবিনে___

উজান:What is this হিয়া😡আপনি এভাবে হাটাচলা করছেন।কেউ দেখলে বলবে কাল আপনার😡😡

বাসবি:থাম না এসেই শুরু করে দিলি কতোক্ষন আর এভাবে বেডে শুয়ে থাকা যায় বল দেখি…

মেট্রন:হিয়া একি তোমার হাত দিয়ে তো রক্ত পড়ছে___

হিয়া:কোথায় না তো

মেট্রন:দেখি দেখি___এদিকে এসো কি যে করো না তুমি___

_____উজান এবার রেগে যায়____

উজান:এজন্য কি আমি এসেই বললাম।দেখলে তো মা😡😡ডক্টর রা কি এমনি এমনি সব বলে নাকি😡😡নিন আরো লাফালাফি করুন।মেট্রন আপনি বরং ওকে চিলড্রেন ওয়ার্ড এ শিফট করে দিব।এতেই ওনার ভালো হবে।এরপর কিছু হলে আমাকে আর ডাকবেন না😡😡

উজান রেগে কেবিন থেকে চলে যায়।আর সারাদিন একবারো হিয়াকে দেখতে আসে না।হ্যা মেট্রন এর কাছে সব খবর নেয় কিন্তু হিয়াকে বলতে মানা করে দেয়____

রাত৮টা…

হিয়া:তুই ও উজান স্যার এর হয়ে কথা বলছিস বুলি।বলবি তো।সব দোষ তো আমার নাহ এজন্য তো আসলো না আজ একবারো আমাকে দেখতে..

বুলি:দেখ দিদি উজানদার রাগ হওয়া টা না স্বাভাবিক।তোকে কে উঠতে বলছিলো বেড থেকে__

হিয়া:তোর মনে আছে এর আগে যেদিন হুইল চেয়ার নিয়ে আমি পড়ে যেতে ধরি ঔদিন ও আমার হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো তখন উনি কি সুন্দর আমাকে আবার নতুন করে বেন্ডেজ করে দিলেন আর আজ আজ তো দুম করে রাগ দেখিয়ে চলে গেলেন😥😥

বুলি:তখন আর এখন কি আর এক দিদি!

হিয়া:আলাদার কিআছে😏

বুলি:তুই না খুব সরল দি কিচ্ছু বুঝিস না

হিয়া:তোর মতো এতো বুঝেও না আমার কাজ নেই___

বাসবি:বুলি মা চল।আজকে তোর উজান দা নাকি থাকবে তোর দিদির সাথে।আসার সময় দেখা হলো তখন বললো আমাদের কাউকে আর কষ্ট করে রাতে থাকতে হবে না___

বুলি:কষ্ট বালাইসাট বললেই হয় দিদি র সাথে একা থাকতে চায়😂😂

হিয়া:বেশি বকবক বন্ধ করে বল বাবা কি বললো ফোনে কবে আসছে

বুলি:কালকে আসবে বললো তো

হিয়া:যাহ আর কালকে আসলে পরীক্ষার কোয়েশ্চেন টা সাথে নিয়ে আসবি___

(আজকে ১৩টা পার্ট পোস্ট করবো তাই সবাই প্লিজ লাস্ট পার্ট টায় গিয়ে কমেন্ট করো কার কি রকম লেগেছে।তাহলে আমার দেখতে সুবিধে হবে।কিন্তু লাইক দিতে ভুলো না প্লিজ🥰🥰)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here